15/04/2023
আমাদের দাদী-নানীদের জেনারেশন ছিল লোহা, মা-খালাদের জেনারেশন হলো কাসার, আর আমাদের স্ত্রী-কন্যাদের জেনারেশন হলো প্লাস্টিকের।
মোটের উপর আমাদের মা-বোন-স্ত্রী-কন্যাদের ফিটনেস খারাপ। খারাপ মানেই খুবই খারাপ। তাদের সাপোর্ট দিতে লাগে কাজের মহিলা, এসে করে দিয়ে যায় ২-৩ কাজ, তারপরেও শরীরে শক্তি পায় না, কতরকম লাগে শরীর।
অথচ আমাদের দাদী-নানীদের জেনারেশন কত শক্তপোক্ত ছিল। তারা রেগুলার রান্নাবান্নার কাজ করেও উঠানে ধান শুকানোর কাজ, ঢেঁকি ইউজ করা, কিছু একটা হলেই পিঠা বানাতে ঢেঁকি অথবা ২-৩ জনে মিলে চাল বাসাতেই ভাঙ্গিয়ে ধুমসে ডজন ডজন মানুষের জন্য পিঠা বানাতেন।
ইউরোপ আমেরিকার মেয়েরা ছোট বেলা থেকেই নানান আউটডোর এক্টিভিটিসের সাথে থাকে। দৌড়ায়, লাফায়, সাতারায়, হাইকিং, ট্র্যাকিং আরো কত কী। ফলস্রুতিতে তাদের নরমাল ডেলিভারির হারও থাকে বেশি, শরীরে কম কমপ্লিকেশন থাকে। আর আমাদের ঘরের মেয়েরা ৩০-৪০ টাকা রিকশা যাওয়ার রাস্তায় হাটলে একদিন লাগে শরীর ঠিক হতে, আর আশা করি হালির হালি বাচ্চা হবে নরমাল ডেলিভারিতে, কোন কমপ্লিকেশন ছাড়াই। মহিলাদের যেচে পরে অখাদ্য খাওয়ার বিষয়টা না হয় বাদই দিলাম।
আমরা তো ওদের মত বেপর্দা হয়ে দৌড়াতে, লাফাতে, সাতার কাটতে দিতে পারি না। যার যার পরিস্থিতি অনুযায়ী নিয়মিত এক্সার্সাইজের মধ্যে রাখা উচিত ঘরের মহিলাদেরকে। যে কিছুই পারে না, সে হাটুক। যে ভাল হাটে, সে এবার ঘরে ট্রেডমিলে দৌড়াক, যে দৌড়াতে পারে তাকে পুশআপ, সিটআপ, স্কোয়াট, আস্তে আস্তে ওয়েট লিফটিং করান।
আমরা যারা ৯০ জেনারেশনের, তারা প্লিজ মা-খালাদের সহ বাবাদেরকেও আস্তে আস্তে হাটাহাটি সহ অন্য যা সম্ভব ফিজিক্যাল এক্টিভিটিজ করান। তা না হলে আরো বয়স হলে তারা বিছানায় কষ্টে ভুগবে, আর আপনি ভিতর ভিতর অর্ধেক হয়ে যাবেন তাদের কষ্ট দেখে। যাদের প্যারেন্টস এখনো ডিপেন্ডেন্ট না, প্লিজ তাদের এক্সারসাইজ করানোর ব্যাপার সিরিয়াসলি নেন। অলরেডি ঘরে ঘরে ডায়বেটিস, হাই প্রেসার, আর কিডনী রোগী। তাদেরকে এক্টিভ রাখেন, স্ট্রোক, হার্ট এট্যাক, কিডনী অকেজ হওয়ার সম্ভাবনা মিনিমাইজ করার খুব চেষ্টা করেন।