Saeed Mohammed Humayun Kabir

  • Home
  • Saeed Mohammed Humayun Kabir

Saeed Mohammed Humayun Kabir Blogger

রয়েসি গ্রেসী । ব্রাজিলিয়ান কারাতে লিজেন্ড । তিনি গত ৬ বছল ধরে ইসরাইলের কুখ্যাত আর্মি আইডিএফের মার্শাল আর্ট ট্রেইনার ছিলে...
26/03/2024

রয়েসি গ্রেসী । ব্রাজিলিয়ান কারাতে লিজেন্ড । তিনি গত ৬ বছল ধরে ইসরাইলের কুখ্যাত আর্মি আইডিএফের মার্শাল আর্ট ট্রেইনার ছিলেন । গত ৬ই রমজান তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন । তাঁর ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পরে ইসরাইলের আর্মি এইটাকে ভীষণ হতাশাজনক হিসাবে অভিহিত করে ।

রোনালদোকে ভালবাসি । কারন এই পৃথিবীতে ওর মত মুসলীমদের বন্ধু ।আর একজনও নেই । সবসময় ইসরাইল আর ইসরাইলের পণ্যের চরম বিরোধী সে...
25/03/2024

রোনালদোকে ভালবাসি । কারন এই পৃথিবীতে ওর মত মুসলীমদের বন্ধু ।আর একজনও নেই । সবসময় ইসরাইল আর ইসরাইলের পণ্যের চরম বিরোধী সে । এজন্য বহুবার তাকে মোটা অংকের টাকা জরিমানাও দিতে হয়েছে । কিন্তু তবুও সে একটুও পিছু হঠে নাই ।

মার্কিন বিখ্যাত কলামিষ্ট গত সপ্তাহে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে । আল্লাহ এই নও মুসলীমকে সকল কাজে সাহায্য করো ।
24/03/2024

মার্কিন বিখ্যাত কলামিষ্ট গত সপ্তাহে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে । আল্লাহ এই নও মুসলীমকে সকল কাজে সাহায্য করো ।

24/03/2024
অনেকের হয়তোবা এই পোষ্টটা দেখে চুলকানী উঠতে পারে । কিন্তু তারা একটু চোখ বুজে বাস্তবতাটা খুঁজে দেখিস । অথচ প্রিয় নবী (সা) ...
22/03/2024

অনেকের হয়তোবা এই পোষ্টটা দেখে চুলকানী উঠতে পারে । কিন্তু তারা একটু চোখ বুজে বাস্তবতাটা খুঁজে দেখিস । অথচ প্রিয় নবী (সা) এর যুগে মদীনা ছিল জ্ঞানের তীর্থস্থল । বিখ্যাত সমর বিশারদ সাহাবী সালমান ফারসী (রা) এর মত লোকেরা এখানে বিচরণ করতো । বিচরণ করতো বেলাল (রা) এর মানুষ । কিন্তু ওয়াহাবী ইহুদীদের কারনে ইসলামের সেই গৌরবগাঁথা আজ হারিয়ে গেছে । ওয়াহাবী ইহুদীরা ব্যস্ত মদ - নর্তকী এবং তাদের ইহুদী পিতাদের সাহায্যে । ইহুদীদের উপকারার্থে ওয়াহাবী ইহুদীরা তাদের মুল্যবান তেল ডলার ছাড়া অন্য মুদ্রাতে বিক্রি করে না । এছাড়া বর্তমানে ইয়েমেনের দুর্ধর্ষ হুতিদের আক্রমণ থেকে ইসরাইলকে বাঁচানোর জন্য ওয়াহাবী ইহুদীরা তাদের দেশ সৌদি আরবে ২৮টি প্যাট্রিয়টস সিস্টেম বসিয়ে রেখেছে । যা দিয়ে হুতিদের নিক্ষিপ্ত মিসাইল ধ্বংস করছে আমেরিকা । এছাড়া লোহিত সাগর বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে ইসরাইল তার সমস্ত সামরিক ও বেসামরিক সরঞ্জাম সৌদি আরবের জেদ্দা সামুদ্রিক বন্দর দিয়ে আনছে । সেইখান থেকে আরব আমিরাত হয়ে জর্ডাণের স্থল বন্দর দিয়ে ইসরাইল প্রবেশ করছে সেইসব মালামাল ।

Boycott India ... জমিতে মানুষের পায়খানার সঠিক প্রয়োগ এখন মোদীর দেশে আছে । সেই পায়খানা মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য এখন বাংলাদেশের...
19/03/2024

Boycott India ... জমিতে মানুষের পায়খানার সঠিক প্রয়োগ এখন মোদীর দেশে আছে । সেই পায়খানা মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য এখন বাংলাদেশের মানুষ খাবে কিনা তাহা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নাও । পায়খানার মতো নোংরা জিনিসে ভয়ংকর প্যারাসাইট থাকে । যা আগুনের তাপেও ধ্বংস হয় না । ফলে এসব প্যারাসাইট যুক্ত খাবার গ্রহণ করার ফলে দেশে এখন স্ট্রোকের পরিমাণ প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে । পায়াখানা যুক্ত পণ্য বর্জন করুন । নিজের দেশের পণ্য গ্রহন করুন ।

Indonesia . A brave muslim country..  ইন্দোনেশিয়া । বিশ্বের সবচাইতে বড় মুসলীম জনগোষ্ঠির বসবাস এই দেশটিতে । দেশটির ৯৫% মা...
15/03/2024

Indonesia . A brave muslim country.. ইন্দোনেশিয়া । বিশ্বের সবচাইতে বড় মুসলীম জনগোষ্ঠির বসবাস এই দেশটিতে । দেশটির ৯৫% মানুষই এখানে সুন্নী মুসলীম । ইন্দোনেশিয়াতে আমাদের দেশের মত ইসলাম বিদ্বেষীদের জামাই আদর দেয়া হয় না । সেখানে ইসলাম বিদ্বেষী যেকোনও কর্মকান্ড সম্পর্ণভাবে নিষিদ্ধ । যদি কেহ আমাদের দেশের মুরগী কবিরের মত ইসলাম বিদ্বেষী ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী চেতনা প্রদর্শন করে তবে সেই ধৃষ্টতার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড । ইন্দোনেশিয়াতে আমাদের দেশের মত ইফতার পার্টি কোথাও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় নাই । বরং প্রতিটি মসজিদ ও মহল্লায় ধনী-গরীব একসাথে ইফতার পালন করাকেই তাহারা তাদের সংস্কৃতির অংশ হিসাবে ঘোষণা করেছে । বিখ্যাত ইউটিউবার দাউদ কিম ইন্দোনেশিয়ার মুসলীমদের রোজা রাখার পরে ইফতারী গ্রহণ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন । পরবর্তীতে দাউদ কিম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং ইসলামের সেবায় নিয়োজিত আছেন । আমাদের দেশই এই দুনিয়ায় তথাকথিত মুসলীম দেশ , যেখানে ইসলাম বিদ্বেষী ভারতের দালালদের প্রগতিশীল হিসাবে সন্মাণ প্রদান করে । অথচ বিশ্বের সকল মুসলীম দেশে ইসলাম বিদ্বেষীদের মৃত্যুদন্ডসহ অন্যান্য অপমানজনক শাস্তি দেয়া হয় ।

শুয়োর, পেঁয়াজ, রসুন এবং মুরগী হিন্দু ধর্মগ্রন্থে খেতে বারণ করা হয়েছে । কিন্তু এরপরও হিন্দুরা এসব খাচ্ছে । মনুস্মৃতি অধ্য...
14/03/2024

শুয়োর, পেঁয়াজ, রসুন এবং মুরগী হিন্দু ধর্মগ্রন্থে খেতে বারণ করা হয়েছে । কিন্তু এরপরও হিন্দুরা এসব খাচ্ছে । মনুস্মৃতি অধ্যায় নং ৫, শ্লোক নং ১৯এ শুয়োরের গোশত নিষিদ্ধ করা হয়েছে । সেখানে বলা হয়েছে যে,‘‘``Brahmin knowingly if he eats Mashroom, if he eats Pigs, if he eats onion, or team c**k or garlic he shall fall in HELL .’’ এর মানে যদি কোনও ব্রাম্মণ জেনেশুনে মাশরুম, শুয়োর, পেঁয়াজ কিংবা রসুন খায় তবে সে নরকে পতিত হবে । -- এছাড়া বিষ্ণুসুত্রের অধ্যায় নং ৫, শ্লোক নং ৪৯এ বলা হয়েছে যে,‘‘``Anyone who sells PORK he would be punished in the same way. (Chapter No 5, Verse no 49) .

দেশের ফেসবুকে গত দুই দিন মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ে নিয়ে আলাপ। ত‌র্ক, বিত‌র্ক, ট্রল। এই আলোচনার মধ্যেই ভারতের একজন মুসলমা...
06/03/2024

দেশের ফেসবুকে গত দুই দিন মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ে নিয়ে আলাপ। ত‌র্ক, বিত‌র্ক, ট্রল।
এই আলোচনার মধ্যেই ভারতের একজন মুসলমান ধনকুবেরে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসটা উল্লেখ করছি আমি!
অল্প কয়েক দশক আগেই ভারতের শী‌র্ষ ধনী ছিলেন একজন মুসলমান। শুধু ভারত না, পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী ছিলেন বলে তাকেই ভাবা হয়।
ভদ্রলোক হায়দারাবাদের সপ্তম নিজাম মীর ওসমান আলী।
১৯৩৭ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারী টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ ছিল তাকে নিয়ে *। ম্যাগাজিনটির সেই প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে বলা হয় মীর ওসমান আলী পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী ছিলেন।
সে সময়ে তাঁর সম্পদ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির ২২ শতাংশ। পৃথিবীর সবচেয়ে দামী হীরা ছিল তাঁর ব্যক্তিগত কোষাগারে।
বৃৃটিশদের কাছ থেকে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে ভারতের শাসকরা তাঁর সম্পত্তি কুক্ষিগত করে। নিয়ম কানুন বসিয়ে সম্পত্তির উপর সরকারী নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন । কিন্তু এত কিছুর পরেও তিনিই ছিলেন সেরাদের সেরা! দেশ ভাগের পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেহেরুকে ভারত গঠনের জন্য ২৬ মণ সোনা উপহার দিয়েছিলেন তিনি! উপহার দিয়েছিলেন ৩টি যুদ্ধবিমান! কিন্তু তার এই বদান্যতার প্রতিদান নেহেরুর মত হিন্দুরা শয়তানী আর দখলদারীর মাধ্যমে ফিরিয়ে দিয়েছিল!
হায়দারাবাদ বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীন প্রথম থেকেই ছিল! এসময় হায়দারাবাদের নিজাম তার নিজ পুত্রের বিয়ে দিয়েছিলেন অটোমান বংশের শেষ খলিফার মেয়ের সাথে। যে বিয়েতে অংশ নিয়েছিল বৃটিশ রাজ প্রতিনিধি সহ বিশ্বের নামীদামী মানুষ! নিজাম হয়তো ভেবেছিলেন দুই সাম্রাজ্যের উপরাধিকাররা মিলে নতুন সাম্রাজ্য তৈরি করবে। কিন্তু বিয়েটা বেশী দিন টিকে নাই । এরই মধ্যে শুরু হয়ে ভারতের দখলদারিত্বের শয়তানী খেলা!
ভারত নিজামের রাজ্যে এখনকার বাংলাদেশের মত এক শ্রেণীর দালাল তৈরী করেছিল! যাদেরকে গোপনে নেতৃত্ব দিতেছিল নিজামেরই সেনাবাহিনী প্রধান!
ভারত ১৯৪৮ সালে নিজামের সেই সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে আতাত করে হায়দারাবাদ দখল করে নেয়! ৮দিনের যুদ্ধে নিহত হয় ৪লাখ মানুষ! ইজ্জৎ হারায় ২ লাখ মুসলীম নারী! যাদের অভিভাবকরা আজও জানে না যে, তাদের মেয়েরা কোথায় !!? হায়দারাবাদের নিজামকে তার স্বদেশ থেকে বিতাড়িত করা হয় !
নিজাম ওসমান প্রথমে আশ্রয় গ্রহন করেন ইংল্যান্ডে! পরে প্যারিসে! রাজ্যহারা রাজা ওসমান জীবিত অবস্থায় তার উত্তরাধিকার নির্বাচিত করে গিয়েছিলেন ! তিনি নিজ ছেলেকে উত্তরাধিকারী না করে নাতিকে উত্তরাধিকার করেছিলেন। কিন্তু নাতিও যোগ্য ছিলেন না । ৮ম নিজাম মুকাররম জাহ ছিলেন বেশ বেহিসাবী । এছাড়া তাঁকে ঘিরে রেখেছিল প্যারিস ও লন্ডনের কিছু ফন্দিবাজ মানুষ । তাদের প্ররোচনায় অষ্টম নিজাম মুকাররম জাহ নিজ দাদার সব সম্পত্তি খুইয়েছিলেন । তারা তাঁকে মুদ্রা ব্যবস্থাপনাতে ভূল বিনিয়োগে উৎসাহিত করেছিল । যাহা তাঁর সম্পত্তি ধ্বংসের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছিল । এছাড়া একজন ফারসী খ্রিস্টানকে বিবাহ করেও তাঁকে বিপুল অংকের টাকা জরিমাণা গুনতে হয়েছিল । ডিভো‌র্স স্যাটেলমেন্ট করতে গিয়ে খুইয়েছিল প্রায় ১১ মিলিয়ন ডলার ।
২০২২ সালের শুরুর দিকে তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগে তার অ‌র্থনৈতিক অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। থাকতেন দুই রুমের একটি ফ্লাটে ।
খোদাতাআলা হয়তো মানুষকে এসব উত্থান - পতন দেখিয়ে শিক্ষা দিচ্ছেন!

কখনও কোনও দিন কোনও ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ সরকারী কর্মচারী বা কর্মকর্তার বৌ কি তার দুর্নীতিবাজ জামাইকে ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে?  আ...
04/03/2024

কখনও কোনও দিন কোনও ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ সরকারী কর্মচারী বা কর্মকর্তার বৌ কি তার দুর্নীতিবাজ জামাইকে ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে? আমি আমার ৫৫ বছর বয়স কালে দেখিও নাই কিংবা শুনিও নাই ! জানি না এটা দেখব কিনা ?
বেতন কত ? একটি ছোট্ট প্রশ্ন । কিন্তু দুর্নীতিবাজদের মুখ শুকিয়ে যায় জবাব দিতে !! (ছোট্ট একটি গল্প )
- - - - - - - - - - - - - ------------------------------------------------
আমার ভাই রোডস অ্যান্ড হাইওয়েতে আছে। ৩ কোটি টাকা দিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়িতে বাড়ি করছে!
আমি বললাম, আপনার ভাইয়ের বেতন কত?
গর্বে ভরা চেহারাটা মুহূর্তে ছাই হয়ে গেলো।
দোস্তো বলিস না, এই শালা ট্রাফিক পুলিশ, শালারা দুই টাকারও ঘুষ খায় ! তাকে আমি প্রশ্ন করলাম --
দোস্ত !! তোদের ফ্লাটে কত খরচ পড়েছে ?
- এই সব মিলে ৯৭ লাখ।
তোর বাবা তো ইনকাম ট্যাক্সে আছে ! উনি বেতন কত পান ? চেহারাটা আবারও ছাই ।
ওদিকে আমার বান্ধবী লায়লা তার বয়ফ্রেন্ডকে বলছে, কাবিন কিন্তু ৩০ লাখ টাকা হতে হবে। (বয়ফ্রেন্ড ২৮ হাজার টাকার বেতনের চাকুরি করে)!! তা না হলে নাকি তার প্রেস্টিজ পাংকচার হয়ে যাবে ! ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে, "যে ছেলে যৌতুক চায়, তাদের না বলুন!"
পাশের ফ্ল্যাটে প্রতিবেশীর সুন্দরী মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসছে বহু মানুষ । একজন ছেলে কলেজের টিচার, আরেকজন পিডাব্লিউডিতে সরকারী চাকুরি করে। মেয়ের বাবা পরের জনে মত দেয়ায় মেয়ে বলছে, " বাবা তোমার পছন্দই সেরা পছন্দ "!
এক আত্মীয়ের বাসায় গেলাম। সারা জীবন সততার বুলি আউড়িয়েছেন। মেয়ের জামাই চাকুরি করেন সিটি কর্পোরেশনে। খুব গর্ব করে বলছেন, তার মেয়ে ঘরের ফার্নিচার ৪/৫ বছর পরেই পাল্টায়। মেয়ে খুব সৌখিন। ৮০ লাখ টাকায় ফ্লাট কিনে আরও ৫০ লাখ টাকা খরচ করছে ইন্টেরিয়র কাজে!
জিজ্ঞেস করলাম, ভাইজান, জামাইয়ের বেতন কতো?
অফিসে বসে আছি। একটা ছেলে সালাম দিয়ে ট্রেনের সময় জানতে চাইল। কথায় কথায় বলল তার ভাইও রেলওয়েতে জব করে।
-জিগ্যেস করলাম কোন পোস্ট?
ও বলল ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা। তার ভাই নাকি ৬/৭বছরে অনেক কিছু করেছে।
জিগ্যেস করলাম,তোমার ভাইয়ের বেতন কত?
আর কোন উত্তর নাই...।
আমরা এত নষ্ট হয়েছি, এত নষ্ট হয়েছি যে, আমাদের কোন লজ্জা নেই। ঘুষ আমার অধিকার, কিন্তু কন্ডাকটর ১৫ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা চাইলেই, "এগুলা মানুষ না। এই টাকা খেয়ে এরা কিছুই করতে পারে না। মানুষের টাকা মেরে কিছুই করতে পারে না।" অথচ একটু আগেই বাসে মোবাইলে আলাপ করছিল, একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরির জন্য ৯ লাখ আর ১০ লাখের ঘুষের আলাপ!!
কন্ডাকটর গলা কাটছে। গলা কাটছে শিক্ষিত দুর্বৃত্তরাও। শিক্ষিতদের গলাকাটা বড় নির্মম, দেশটাকে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়।
কন্ডাকটররা একটা নিদারুণ সত্যি কথা বলে,
"আফনেরা যে কলমের খোচায় কুটি কুটি টাকা মাইরা খান, হেই হিসাব তো আমরা নেই না!"
কথা সত্যি এবং নিদারুণ সত্যি।
কিছু অসভ্য শ্রমিকদের দেখলাম অ্যাম্বুলেন্সেও কালি দিচ্ছে, আটকাচ্ছে।
সেই অ্যাম্বুলেন্স দেখে মনে পড়ে গেলো এর চেয়ে ভয়াবহ অসভ্য গোষ্ঠীর কথা। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির দালালদের কথা, যারা অতি উচ্চ শিক্ষিত ডাক্তার এবং যাদের পেছনে রাষ্ট্রের কোটি টাকা খরচ হয়। মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ, আইসিইউতে রেখে গলা কাটার সেই সব অমানুষদের কথা।
মানুষ হয়তো আছে। সংখ্যাটা কম।
মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে।
তা কোথায় হলো, ছেলে কী করে?
যদি ঘুষের ডিপার্টমেন্টের হয়,
দেখবেন মেয়ের বাবা মা, ভাই বোন আর মেয়ের চেহারা খুশিতে কেমন চকচক করে!!
অথচ এই যে অরাজকতা, এই যে ভেজাল জিনিস, এই যে উচ্চমূল্য, এই যে গলাকাটা সেবা, এই যে পেনশনের টাকা তুলতে ফাইলের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যাওয়া, এই যে পরীক্ষায় ভালো করলেও চাকুরি না হওয়া, এই সবের মূলে তো ওই যে যেখান থেকে বিয়ের প্রস্তাব এলে জিহবা চকচক করে, চেহারায় (নোংরা) খুশির ঢেউ উঠে, সেই দুর্নীতিবাজ শুয়োরদের কারণে।
বিখ্যাত এক অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, "শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি"! এই শুয়োরের বাচ্চারা কারা ? এদের সম্পর্কে জানতে হলে সবাইকে বাংলাদেশের চারদিকে তাকাতে হবে । এদেশই একমাত্র দেশে যেখানে শাসকরা ঘুষকে ‘‘স্পীড মানি’’’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে । আর এ কারনেই একজন দ্বিতীয় শ্রেণী সরকারী কর্মচারীরও হেলিকপ্টার থাকে । এমনকি আমার পরিচিত এক ওয়াসার ইঞ্জিনিয়ার আছে যে একসময় ঠিক মত ভাতও পায় নাই । কিন্তু আজকাল সে প্রতি মাসে শুধু বিনোদন ব্যয়ই করে ৫/৬ লাখ টাকা । নাম তার বদরুল আলম !!
এই লেখা পড়ে পরে যাদের চেহারায় চপেটাঘাত পড়বে, ছাই হয়ে যাবে, তারা নিজেদের নাম উল্লেখ করে যেতে পার । তোমাদের ঠিকানায় আমি গরীব হিসাবে ২ কেজী মিষ্টি পাঠিয়ে দেব ।

কখনও কোনও দিন কোনও ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ সরকারী কর্মচারী বা কর্মকর্তার বৌ কি তার দুর্নীতিবাজ জামাইকে ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে?  আ...
04/03/2024

কখনও কোনও দিন কোনও ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ সরকারী কর্মচারী বা কর্মকর্তার বৌ কি তার দুর্নীতিবাজ জামাইকে ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে? আমি আমার ৫৫ বছর বয়স কালে দেখিও নাই কিংবা শুনিও নাই ! জানি না এটা দেখব কিনা ?

বেতন কত ? একটি ছোট্ট প্রশ্ন । কিন্তু দুর্নীতিবাজদের মুখ শুকিয়ে যায় জবাব দিতে !! (ছোট্ট একটি গল্প )
- - - - - - - - - - - - - ------------------------------------------------
আমার ভাই রোডস অ্যান্ড হাইওয়েতে আছে। ৩ কোটি টাকা দিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়িতে বাড়ি করছে!
আমি বললাম, আপনার ভাইয়ের বেতন কত?
গর্বে ভরা চেহারাটা মুহূর্তে ছাই হয়ে গেলো।
দোস্তো বলিস না, এই শালা ট্রাফিক পুলিশ, শালারা দুই টাকারও ঘুষ খায় ! তাকে আমি প্রশ্ন করলাম --
দোস্ত !! তোদের ফ্লাটে কত খরচ পড়েছে ?
- এই সব মিলে ৯৭ লাখ।
তোর বাবা তো ইনকাম ট্যাক্সে আছে ! উনি বেতন কত পান ? চেহারাটা আবারও ছাই ।
ওদিকে আমার বান্ধবী লায়লা তার বয়ফ্রেন্ডকে বলছে, কাবিন কিন্তু ৩০ লাখ টাকা হতে হবে। (বয়ফ্রেন্ড ২৮ হাজার টাকার বেতনের চাকুরি করে)!! তা না হলে নাকি তার প্রেস্টিজ পাংকচার হয়ে যাবে ! ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে, "যে ছেলে যৌতুক চায়, তাদের না বলুন!"
পাশের ফ্ল্যাটে প্রতিবেশীর সুন্দরী মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসছে বহু মানুষ । একজন ছেলে কলেজের টিচার, আরেকজন পিডাব্লিউডিতে সরকারী চাকুরি করে। মেয়ের বাবা পরের জনে মত দেয়ায় মেয়ে বলছে, " বাবা তোমার পছন্দই সেরা পছন্দ "!
এক আত্মীয়ের বাসায় গেলাম। সারা জীবন সততার বুলি আউড়িয়েছেন। মেয়ের জামাই চাকুরি করেন সিটি কর্পোরেশনে। খুব গর্ব করে বলছেন, তার মেয়ে ঘরের ফার্নিচার ৪/৫ বছর পরেই পাল্টায়। মেয়ে খুব সৌখিন। ৮০ লাখ টাকায় ফ্লাট কিনে আরও ৫০ লাখ টাকা খরচ করছে ইন্টেরিয়র কাজে!
জিজ্ঞেস করলাম, ভাইজান, জামাইয়ের বেতন কতো?
অফিসে বসে আছি। একটা ছেলে সালাম দিয়ে ট্রেনের সময় জানতে চাইল। কথায় কথায় বলল তার ভাইও রেলওয়েতে জব করে।
-জিগ্যেস করলাম কোন পোস্ট?
ও বলল ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা। তার ভাই নাকি ৬/৭বছরে অনেক কিছু করেছে।
জিগ্যেস করলাম,তোমার ভাইয়ের বেতন কত?
আর কোন উত্তর নাই...।
আমরা এত নষ্ট হয়েছি, এত নষ্ট হয়েছি যে, আমাদের কোন লজ্জা নেই। ঘুষ আমার অধিকার, কিন্তু কন্ডাকটর ১৫ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা চাইলেই, "এগুলা মানুষ না। এই টাকা খেয়ে এরা কিছুই করতে পারে না। মানুষের টাকা মেরে কিছুই করতে পারে না।" অথচ একটু আগেই বাসে মোবাইলে আলাপ করছিল, একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরির জন্য ৯ লাখ আর ১০ লাখের ঘুষের আলাপ!!
কন্ডাকটর গলা কাটছে। গলা কাটছে শিক্ষিত দুর্বৃত্তরাও। শিক্ষিতদের গলাকাটা বড় নির্মম, দেশটাকে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়।
কন্ডাকটররা একটা নিদারুণ সত্যি কথা বলে,
"আফনেরা যে কলমের খোচায় কুটি কুটি টাকা মাইরা খান, হেই হিসাব তো আমরা নেই না!"
কথা সত্যি এবং নিদারুণ সত্যি।
কিছু অসভ্য শ্রমিকদের দেখলাম অ্যাম্বুলেন্সেও কালি দিচ্ছে, আটকাচ্ছে।
সেই অ্যাম্বুলেন্স দেখে মনে পড়ে গেলো এর চেয়ে ভয়াবহ অসভ্য গোষ্ঠীর কথা। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির দালালদের কথা, যারা অতি উচ্চ শিক্ষিত ডাক্তার এবং যাদের পেছনে রাষ্ট্রের কোটি টাকা খরচ হয়। মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ, আইসিইউতে রেখে গলা কাটার সেই সব অমানুষদের কথা।
মানুষ হয়তো আছে। সংখ্যাটা কম।
মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে।
তা কোথায় হলো, ছেলে কী করে?
যদি ঘুষের ডিপার্টমেন্টের হয়,
দেখবেন মেয়ের বাবা মা, ভাই বোন আর মেয়ের চেহারা খুশিতে কেমন চকচক করে!!
অথচ এই যে অরাজকতা, এই যে ভেজাল জিনিস, এই যে উচ্চমূল্য, এই যে গলাকাটা সেবা, এই যে পেনশনের টাকা তুলতে ফাইলের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যাওয়া, এই যে পরীক্ষায় ভালো করলেও চাকুরি না হওয়া, এই সবের মূলে তো ওই যে যেখান থেকে বিয়ের প্রস্তাব এলে জিহবা চকচক করে, চেহারায় (নোংরা) খুশির ঢেউ উঠে, সেই দুর্নীতিবাজ শুয়োরদের কারণে।
বিখ্যাত এক অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, "শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি"! এই শুয়োরের বাচ্চারা কারা ? এদের সম্পর্কে জানতে হলে সবাইকে বাংলাদেশের চারদিকে তাকাতে হবে । এদেশই একমাত্র দেশে যেখানে শাসকরা ঘুষকে ‘‘স্পীড মানি’’’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে । আর এ কারনেই একজন দ্বিতীয় শ্রেণী সরকারী কর্মচারীরও হেলিকপ্টার থাকে । এমনকি আমার পরিচিত এক ওয়াসার ইঞ্জিনিয়ার আছে যে একসময় ঠিক মত ভাতও পায় নাই । কিন্তু আজকাল সে প্রতি মাসে শুধু বিনোদন ব্যয়ই করে ৫/৬ লাখ টাকা । নাম তার বদরুল আলম !!

এই লেখা পড়ে পরে যাদের চেহারায় চপেটাঘাত পড়বে, ছাই হয়ে যাবে, তারা নিজেদের নাম উল্লেখ করে যেতে পার । তোমাদের ঠিকানায় আমি গরীব হিসাবে ১ কেজী মিষ্টি পাঠিয়ে দেব ।

Saudi WAHABI Jews will participate in Miss Universe Competition..  সৌদি আরবের ওয়াহাবী ইহুদীর বাচ্চারা এখন থেকে বিশ্ব সু...
26/02/2024

Saudi WAHABI Jews will participate in Miss Universe Competition.. সৌদি আরবের ওয়াহাবী ইহুদীর বাচ্চারা এখন থেকে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করবে । সৌদি আরবের সৌদ পরিবারের ইহুদীর বাচ্চা বিন সালমান এই ঘোষণা দিয়েছে । সেই লক্ষ্যে সৌদি আরবের মডেল রুমি আল-কাহতানি বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে ।
আগামী ১০ বছর পর সৌদি আরব'কে কোথায় নিয়ে যাবে! ওয়াহাবী ইহুদীর বাচ্চারা !! ইহুদীর গর্ভ থেকে জন্ম নেয়া বিন সালমান শুয়োরের বাচ্চা বলেছিলো যে, ‘‘‘সৌদি হবে আধুনিক ইউরোপ।’’ এটাই ওর আধুনিক নগ্ন ইউরোপ । এজন্যই আমি বলি যে, প্রতিটি ওয়াহাবী ইহুদীর জন্ম হয় হিন্দু আর ইহুদীর যৌথ বীর্যে !!
কলেমার পতাকাকে নিজের নাপাক নোংরা নগ্ন দেহের উপর মিশিয়ে এসব ওয়াহাবী ইহুদী কুত্তীরা এসব বেশ্যা নির্বাচন ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করবে ।

নবাবী বাংলায় মারাঠা নির্মমতার ইতিহাস:ভারতীয় ইতিহাসের মধ্যযুগের মারাঠা শক্তির উত্থান বেশ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। মহারাষ্ট্রে এক...
26/02/2024

নবাবী বাংলায় মারাঠা নির্মমতার ইতিহাস:
ভারতীয় ইতিহাসের মধ্যযুগের মারাঠা শক্তির উত্থান বেশ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। মহারাষ্ট্রে এককালের রাজা শিবাজী ভোঁসলে প্রায় দেবতার মতোই সম্মান পেয়ে থাকেন। তিনি ছত্রপতি শিবাজী হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও সম্মানিত। প্রবল প্রতাপের সাথে রাজত্ব করা মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছিল সে । দুর্ধর্ষ আওরঙ্গজেবের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এই নমশুদ্র দাক্ষিণাত্যের পাহাড়ী অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করেছিল বিশাল মারাঠা সাম্রাজ্য। মুঘলদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবারের সফল যুদ্ধযাত্রা মারাঠা রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে দিয়েছিলো।
১৬৮১ সালে শিবাজী মহারাজের মৃত্যু হলে তার শুন্যস্থান পূরণ করেন জ্যেষ্ঠ পুত্র শম্ভজী ভোঁসলে। পর্তুগিজ শক্তি ও মহীশুরের ওয়াদিয়ের রাজাকে পরাজিত করে সে আগেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছিল। এমনকি সম্রাট আওরঙ্গজেবের বিদ্রোহী পুত্র আকবরের সাথেও রাজনৈতিক মিত্রতা কায়েম করেছিলেন। মুঘলদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ইচ্ছে থাকলেও প্রতিপক্ষ পিছিয়ে ছিলো না। আগে প্রচুর যুদ্ধজয়ের পতাকা উড়লেও সঙ্গমেশ্বরে মুঘলদের বিরুদ্ধে হামলা করে সাম্ভাজি ভোঁসলে পরাজিত হয় এবং যুদ্ধক্ষেত্রে ভয়ংকর ভাবে আহত হয়ে পলায়ন করে । ১৬৮৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি ও তার সহযোগী কবি বিলাস মুঘল সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়লেন। ২১ মার্চ তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তার পুত্র সাহুজী ভোঁসলে মুঘলদের হাতে বন্দী ছিলেন । ১৭০৭ সালে মুঘল সাম্রাজ্যের মহাবীর আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর সে মুঘল বন্দী দশা থেকে মুক্তি পায় ।
সাহুজী ক্ষমতা নেবার পর বালাজী বিশ্বনাথকে ‘পেশোয়া’ বা প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। তার সময় মারাঠা সাম্রাজ্য দূর পূর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। মুঘল আমলের সুবে বাংলা অঞ্চলের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছিলো।
মারাঠা সেনাপতিদের মধ্যে রঘুজী ভোঁসলে সবচেয়ে দুর্ধর্ষ এবং লুটেরা প্রকৃতির ছিল। মারাঠা সাম্রাজ্যের বিস্তৃতিতে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। বালাজী বাজীরাও এর অধীনে রাজপুত শক্তির বশ্যতা স্বীকারের কৃতিত্বও তার। ক্রমান্বয়ে দক্ষিণের কর্ণাটক ও ত্রিচিনোপল্লিতেও সফল অভিযান মারাঠা শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলো। কর্ণাটক থেকে ফিরে রঘুজী ভোঁসলে বাংলার দিকে নজর দিলেন। কৃষি, কারিগরি ও ব্যবসায় যে বাংলা সেসময় উপমহাদেশ সবচেয়ে সমৃদ্ধ ছিলো।
উল্লেখ্য, উপমহাদেশের অন্যান্য রাজশক্তির যুদ্ধকৌশলের সাথে মারাঠা কৌশলের পার্থক্য ছিলো। সরাসরি সম্মুখযুদ্ধের পাশাপাশি অতর্কিতে আক্রমণ ও পশ্চাদপসরণ এই কৌশলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এছাড়া শত্রুর শক্তি কমানোর জন্য কোল্যাটারাল ড্যামেজ বা যুদ্ধজনিত ক্ষয়ক্ষতি তাদের অন্যতম মনস্তাত্ত্বিক অস্ত্র হিসেবে কাজ করতো । এরা সামনা সামনি যুদ্ধের চাইতে আতর্কিতে পেছন দিক থেকে আক্রমণে সিদ্ধহস্ত ছিল । এছাড়া এরা লোকালয়ে হামলা আচমকা হামলা চালিয়ে নিরীহ প্রজাদের দাস হিসাবে ধরে নিয়ে যেত । এই কারনে এদের এসব শয়তানীমুলক কর্মকান্ড ভয়ের স্মৃতি হিসেবে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল । বাংলার বিশাল অঞ্চলে এক ধরনের হাহাকার হিসাবে এদের নাম ছড়িয়ে পড়েছিল ।
১৭৪২ সালে বাংলায় সর্বপ্রথম মারাঠা আক্রমণ হয়। রঘুজী ভোঁসলে তখন অনেকটা স্বায়ত্তশাসিত রাজার মতো। তার দুর্ধর্ষ ও নিষ্ঠুর সেনাপতি ভাস্কর রাম কোহ্লাটকর আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছিল। ইতিহাসে এই সেনাপতি ভাস্কর পন্ডিত নামেও খ্যাত। নিরীহ কৃষকদের ফসল জ্বালিয়ে দিয়ে সে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করত এবং নারকীয় উল্লাস প্রকাশ করতো । চারিদিকে সে নির্বিচারে লুটতরাজ চালতে থাকলো। বাংলার চারিদিকে লক্ষ লক্ষ হতভাগ্যদের বোবা কান্না ও আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠলো।
পুরো বাংলা জুড়ে হিন্দু মারাঠা আক্রমণের নির্মমতা ‘বর্গীর হামলা’ নামে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়লো।
‘বর্গী’ শব্দটি মারাঠী ‘বর্গির’ শব্দ থেকে আগত- যার মূল অংশ ফার্সী থেকে এসেছে। এর শাব্দিক অর্থ ‘হালকা অস্ত্র বহনকারী দল’।
তখন সুবে বাংলার নবাব ছিলেন আলীবর্দি খান। ১৭৪২ সালে তিনি উড়িষ্যা দখল করে কটক থেকে ফিরছিলেন। হুগলীর আরামবাগ এলাকায় মোবারক মঞ্জিলে পৌঁছতেই তার কাছে ‘‘‘বাংলা অঞ্চল’’ আক্রমণ ও প্রাণক্ষয়ের সংবাদ এসে পৌঁছলো । এদের নৃশংসতা প্রত্যক্ষ করতে তিনি দ্রুত সৈন্য সামন্ত নিযে রওয়ানা হন । তাঁর সাথী হিসেবে ছিল মাত্র ১৪ বছর বয়সী বালক সিরাজউদ্দৌলা ! নানা আলীবর্দী খাঁর সাথে তিনিও শত্রুকে প্রতিহত করার জন্য রওনা হলেন। ১৭৪২ সালের ১৫ এপ্রিল বুরদোয়ান অঞ্চলে পৌঁছলেন।
ভাস্কর পণ্ডিতের মারাঠা বাহিনী চারিদিক থেকে তাকে ঘিরে ফেললো। মুর্শিদাবাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা আগে করায় প্রবল শত্রুর তুলনায় তার ৩০০০ ঘোড়সওয়ার নিতান্ত কম দেখা গেলো।
মারাঠা সৈন্যদের একটি দল ভাস্কর পণ্ডিতের নেতৃত্বে আলীবর্দীর বাহিনীর রসদ সরবরাহে প্রচণ্ড বাধা দিতে লাগলো। অন্য দল বল্গাহীন লুটতরাজ চালিয়ে যেতে লাগলো।
সুচতুল নবাব আলীবর্দি খান ও তার নাতি সিরাজউদ্দৌলা তাদের সাথে থাকা গোলন্দাজ ও বন্দুক বাহিনী দিয়ে মারাঠাদের বিধ্বস্ত করতে লাগলেন। কিন্তু সমস্যা হল এই যে, মারাঠারা পরাজিত হওয়ার আগেই ঘন জঙ্গলে কিংবা লোকালয়ে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়ে দিত । তাদেরকে কখনই একত্রিত ভাবে পাওয়া যেত না । সর্বোচ্চ ৫০০ মারাঠা সৈন্যকে একত্রে পাওয়া যেত ।
আলীবর্দি মারাঠাদের একত্রিত ভাবে পাওয়ার জন্য বাংলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে বেড়াতে থাকলেন । সাথে ছিল কিশোর নবাব সিরাজউদ্দৌলা । তারা তাদের বাহিনী নিয়ে শত্রুর আরো কাছে অগ্রসর হতে চাইলেন।
ভাস্কর পণ্ডিতের নেতৃত্বে চতুর মারাঠা বাহিনী তার গোলন্দাজের সীমানার বাইরে থাকে লুটতরাজ আরো প্রসারিত করে চললো। নিরীহ মানুষের হত্যাযজ্ঞ আরো বাড়ানো হলো। আলীবর্দির বাহিনী দ্রুততার সাথে কাটওয়া পৌঁছলো।
কিন্তু মারাঠা দস্যুরা সেখানে বসে ছিলো না তার জন্য । সুজাউদ্দীনের জামাতা মির হাবিব আলিবর্দির অন্যতম শত্রু ছিল । মারাঠা বাহিনীর আক্রমণের নতুন পরিকল্পনা তার কাছ থেকে এলো। মীর হাবিবের পরামর্শে ভাস্কর পণ্ডিত ৭০০ ঘোড়সওয়ার নিয়ে মুর্শিদাবাদ হামলা চালালো। সমানে লুটতরাজ ও হত্যাযজ্ঞ চললো এখানেও।
মুর্শিদাবাদে ধনকুবের (পলাশীর মূল ষড়যন্ত্রকারী ) জগৎশেঠের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা আদায় করে মারাঠা বাহিনী কাটওয়ার দিকে রওনা দিলো।
আলীবর্দি ইতোমধ্যে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে কাটওয়া ছেড়েছেন। মারাঠা সৈন্যরা কাটওয়া এলাকায় তাদের ঘাঁটি গড়ে তুললো। মির হাবিব কার্যত এই সৈন্যদলের উপদেষ্টা হলেন। হুগলী ও এর বন্দর মারাঠাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হলো।
বুরদোয়ানের মহারাজের সভাকবি বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার তার কবিতায় এসে অঞ্চলে মারাঠা দস্যুদের নির্মমতার সাহিত্যিক সাক্ষ্য রেখে গেছেন।
সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভাস্কর পণ্ডিত বিজয়ের উৎসব হিসেবে বড় আকারে দুর্গাপুজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিলেন। লুটতরাজের অর্থ ও ধনরত্ন ব্যয় করে জমকালো আয়োজন করা হলো। মহানবমীর ভোর রাতে- অর্থাৎ ২৭ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে আলীবর্দি খান তার বাহিনী নিয়ে মারাঠাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। অতর্কিত এ আক্রমণের কোন রকম উত্তর দেবার ক্ষমতা মারাঠা দস্যুদের ছিলো না। তাই প্রাণ নিয়ে পলায়নই ছিলো একমাত্র পথ। বেঈমান মীর হাবিব নিহত হল সেই যুদ্ধে ।
মারাঠাদের সেনাপতি ভাস্কর পণ্ডিত প্রাণ বাঁচানোর জন্য পিছু হঠে গেল । সে তার বাহিনী নিয়ে মেদিনীপুর জেলায় এল। এই অঞ্চলের রাধানগরের বিখ্যাত রেশম শিল্পের কেন্দ্র অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ধ্বংস করে লুটতরাজ ও হত্যা চালাতে লাগলেন। তার সৈন্যের অন্য একটি দল কটকে ঘাঁটি করলো। কিন্তু নবাবআলীবর্দি কটক দখল করে মারাঠা সৈন্যদের তাড়িয়ে দিলেন। ১৭৪৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে নবাব রাজধানীতে বিজয়ীর বেশে ফিরলেন।
কিন্তু মারাঠা বাহিনীর মতো দুর্ধর্ষ ও চতুর শত্রু এত সহজে দমে যাবার পাত্র ছিলো না। আর শাসক হিসেবে আলীবর্দি খানও সম্ভবত সামান্য নিঃশ্বাস ফেলার অবকাশ যাপনের ভাগ্য নিয়ে জন্ম নেন নাই !
১৭৪৩ সালের মার্চ মাসে নাগপুরের রাজা রঘুজী ভোঁসলে স্বয়ং ভাস্কর পণ্ডিতকে নিয়ে কাটোয়ায় উপস্থিত হলেন। ছত্রপতি সাহুজী ভোঁসলেকে স্বয়ং মুঘল সম্রাট বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা থেকে কর আদায়ের অনুমতিপত্র দিয়েছিলেন। সাহুজী সেজন্যই রঘুজীকে পাঠিয়েছেন। শক্তি প্রয়োগ করে সেই দাবি পূরণ করতেই রঘুজী ও ভাস্কর পণ্ডিতের আগমন। মুঘল সম্রাট সাহুজীকে বাংলায় লুটতরাজ বন্ধের আহ্বান জানালে তিনি সম্মত হলেন। সাহুজী নবাব আলীবর্দি খানের সাথে সাক্ষাৎ করলেন। আলীবর্দি খান বাৎসরিক কর ছাড়াও পেশোয়া সাহুজীকে ২২ লাখ টাকা দিতে সম্মত হলেন। বিনিময়ে তিনি রঘুজী ও ভাস্কর পণ্ডিতের লাগাম টেনে ধরার আশ্বাস দিলেন।
কিন্তু বিধি বাম।
কয়েক মাস পরে ভাস্কর পণ্ডিত উড়িষ্যা ও মেদিনীপুরের পথে এসে আবার বাংলায় চড়াও হলেন। পেশোয়া সাহুজী ও আলীবর্দির সমঝোতার সংবাদ তাকে উন্মাদ করে তুলেছিলো । স্বভাবগত কুচক্রী ছিল এই হিন্দু ব্রাহ্মণ ভাষ্কর পন্ডিত । সে দেখল যে , তার এত বছরের পরিশ্রম মাটি হতে চলেছে । পরিশ্রম করল সে আর পেশোয়া সাহুজী কিনা ২২ লাখ টাকা বিনা পরিশ্রমে পাবে ! মনে মনে স্থির করল সে , সে এই সন্ধি চুক্তি কিছুতেই সফল হতে দিবে না ।
আলীবর্দি ভাস্কর পণ্ডিতের আক্রমণে প্রমাদ গুণলেন। ক্রমাগত যুদ্ধ ও অন্যান্য খরচের কারণে রাজকোষও শূন্য হয়ে এসেছিলো । এছাড়া চলমান সংগ্রামে তার সেনাবাহিনীও রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো। সুতরাং আবার বড় যুদ্ধের ঝুঁকি তিনি চাচ্ছিলেন না। তার সেনাবাহিনীর অন্যতম বিশ্বস্ত ব্যক্তিত্ব সর্দার গুলাম মুস্তফা খান নবাবের সাহায্যে এগিয়ে এলেন। তিনি নবাবকে কৌশলে কাজ করতে উৎসাহ দিলেন।
তার পরামর্শ ছিলো- সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে ভাস্কর পণ্ডিতকে সমঝোতায় আহ্বান করা হোক। তারপর সুযোগ বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
১৭৪৪ সালের ৩১ মার্চ। বহরমপুরের কাছে এক তাঁবুতে সমঝোতার আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা করা হলো। ভাস্কর পণ্ডিত তার ২১ সহযোদ্ধা নিয়ে তাঁবুর সামনে এলেন। আড়ালের গুপ্তঘাতকরা অতি সাবধানে ২০ জনকে গোপনে হত্যা করলো। শুধু রঘুজী গাওয়োকার পালিয়ে বাঁচলো। ভাস্কর পণ্ডিত চতুর ও দুর্ধর্ষ হলেও এতটা তার ধারণার বাইরে ছিলো । ২৬ জন গুপ্তঘাতকের হাতে এই তুখোড় সেনানায়কও শেষ পর্যন্ত প্রাণ বিসর্জন দিল । শেষ হল মারাঠা নামক পিশাচদের নির্মম কাহিনী ।

‘‘খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়াল বর্গী এল দেশে’’ -- এই ছড়াটি এসব ডাকাত কুকুরদের স্মরণ করেই রচনা করা হয়েছিল ।

তথ্যসূত্র ঃ--
This Bangla article is about the Maratha invasion in Bengal.
01. Forgotten Indian history: The brutal Maratha invasions of Bengal
02. Maratha Invasion Of Bengal Post Shivaji: An Underlying Truth
03. Relation of Alivardi with the Marathas

ইহুদী রথচাইল্ড পরিবারের প্রধান আজ মারা গেছে ---A member of the Rothschild banking family, the British peer has passed aw...
26/02/2024

ইহুদী রথচাইল্ড পরিবারের প্রধান আজ মারা গেছে ---A member of the Rothschild banking family, the British peer has passed away at the age of 87, his family announced on Monday.. এই কুকুর ও তার পরিবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সৌদ পরিবারের ইহুদীদের সহায়তায় ওসমানীয় তুর্কিদের পরাজিত করে এবং জেরুজালেম দখল করে । এই ইহুদী কুত্তার পরিবারই পৃথিবীর ৬টি দেশ বাদে আর সকল দেশের ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করে । ইসরাইল রাষ্ট্র এই কুকুরের পয়সাতেই চলে । এই কুকুরের মৃত্যুতে ইসরাইলের ইহুদী কুত্তারা তাদের এক পরম বন্ধুকে হারাল ।

বাংলা  ! প্রাচীনকাল থেকেই সম্পদে পরিপূর্ণ এক দুর্যোগময় এলাকা ছিল । এজন্য লোভী সেন বংশীয় তামিল ছাড়াও এদেশে এসেছিল মুঘল এব...
25/02/2024

বাংলা ! প্রাচীনকাল থেকেই সম্পদে পরিপূর্ণ এক দুর্যোগময় এলাকা ছিল । এজন্য লোভী সেন বংশীয় তামিল ছাড়াও এদেশে এসেছিল মুঘল এবং ইংরেজরা । এমনকি সম্রাট আলেকজান্ডারও বাংলার উপকন্ঠে এসেছিল । মৃত্যু হয়েছিল তার অদ্ভুত এক জ্বরে ।অনেকে এটাকে ম্যালেরিয়াও বলে ।
মধ্যযুগে শাসকশ্রেণীর লোকেরা এখানকার মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল। ইংরেজ শাসনামলে ঢাকায় তাদের ক্যান্টনমেন্টে ছিল ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকায় (পল্টন মানে হল সেনা ইউনিট) !!
এই স্থানটি মূলত ব্যবহৃত হতো বেয়াড়া এবং অবাধ্য সৈনিকদের শায়েস্তা করার জন্য শাস্তিদায়ক বদলী হিসেবে। শুনেছি আধুনিক বাংলাদেশে শাস্তিদায়ক বদলী দেয়া হয় বান্দরবনে । এমনকি অনেককে তার উপরস্থ বসেরা বান্দরবনের ধমক দিয়ে ঠান্ডা করে দেয় । অনেকটা সেই রকম আরকি !!

সমগ্র ভারতবর্ষে যত বেয়াড়া সৈনিক, তাদেরকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হতো, মশার কামড় খেয়ে, ম্যালেরিয়া বাঁধিয়ে তারা সোজা হয়ে যেত অথবা মরে যেত ।

কালক্রমে ব্রিটিশরা চলে গেল, পাকিস্তান তৈরি হল, ঢাকা হল পূর্ব বাংলার রাজধানী। নতুন দেশের নতুন রাজধানীতে লোকজন বসতবাড়ি করতে শুরু করল ! ১৯৪৭ সালে কোলকাতাতে দাঙ্গা লাগল । মুসলীম নিধন শুরু হল ভারতের সর্বত্র । তখন ভারত থেকে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে এল লাখে লাখে মুসলমান । তাদের বেশীর ভাগ এসে ঢাকাতেই উঠলো। কিছু নোয়াখালীতে গিয়ে উঠেছিল । কারন নোয়াখালীর চৌমুহনী তখন উপমহাদেশের বিখ্যাত বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল । লক্ষীপুরের জোতদার সারওয়ার সাহেব তাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং রক্ষা করেছিলেন । ১৯৪৭ সালে ঢাকা অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব শুরু হল । তৎকালীন শাসকরা অনেক কিছু করেও মশার যন্ত্রণা কমাতে পারছিল না।

সেই সময় পূর্ব পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন ফেনীর তুখোড় মেধাবী কৃতি সন্তান হাবিবুল্লাহ বাহার চৌধুরী । কলকাতা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক অধিনায়ক এই মানুষটি কথা খুব কম বলতেন, কাজ করতেন বেশী ।

দায়িত্ব পেয়েই তিনি তাঁর এক মুসলীম বন্ধুর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০,০০০ মশার ঔষধ ছিটানোর মেশিন নিয়ে আসলেন ( ব্রাশের তৈরি এই মশার ঔষধ ছেটানোর লম্বা টিউব আকৃতির যন্ত্রগুলো ১৯৮০-৯০ সাল পর্যন্ত ঢাকা শহরে দেখা যেত )। দিনরাত পরিশ্রম করে নিজের তদারকিতে রাস্তার পাশে গভীর ড্রেন খনন করালেন । বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক করলেন । ঢাকা সহ তার আশেপাশের অঞ্চলের মফঃস্বল শহরের সবগুলো পুকুর খাল ডোবা পরিষ্কার করালেন। অবিভক্ত পাকিস্তানের বিখ্যাত ধনী ব্যক্তি ইস্পাহানীর সহায়তায় মশার ওষুধ ছিটানোর উপযোগী দুটো বিমান পর্যন্ত ক্রয় করলেন।

মাত্র দুই বছরের মধ্যে উনি ঢাকার মশাকে এমন মাইর দিলেন যে, উনার মৃত্যুর আরো ১০ বছর পর ১৯৭৫/৭৬ সালেও ঢাকা শহরের মানুষ মশারি না টানিয়ে ঘুমাতে পারতো । পুর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ থেকে ম্যালেরিয়া বা কালা জ্বর যেন হারিয়ে গেল বাতাসের সাথে ।

আফসোস! হাবিবুল্লাহ বাহারের মত আরেকজন মানুষ জন্ম নেয় নাই । কিন্তু অকৃতজ্ঞ হিসাবে আমাদের জগৎজোড়া খ্যাতি আছে । তাই আমরা কেহই কৃতি সন্তান হাবিবুল্লাহ বাহার সম্পর্কে কিছু জানিও না । ভূলতে বসেছি আধুনিক ঢাকার রূপকার এবং মুসলীম রেঁনেসার জনক নবাব সলিমুল্লাহকে । কিন্তু এসব মনীষির বিপরীতে যেসব লোক বাংলার মানুষকে চাষা হিসাবে গালি দিত সেই রবি ঠগদের ঠিকই মনে রেখেছি । পুজোও করছি বটে !!

পুনশ্চ:
মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়কালে শান্তিনগরে"হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ " তাঁর সম্মানে নামকরণ করা হয়েছে । আর এতেই যেন দায় সারা হয়ে গেছে । আমি নিজে অনেক খোঁজাখুজি করেও কৃতি সন্তান হাবিবুল্লাহ বাহারের একটি ছবিও জোগাড় করতে পারি নাই ।

পুনঃ পুনশ্চ:
হাবিবুল্লাহ বাহারের বোন ছিলেন
"শামসুন্নাহার মাহমুদ"। যার নামে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি হল আছে । হাবিবুল্লাহ বাহার সাহেবের সাথে ঘনিষ্ঠতা ছিল বিদ্রোহী কবি নজরুলের । ঘনিষ্ঠতার সুত্রে "শামসুন্নাহার মাহমুদ" এর ছেলে আল মামুনকে কোলে নিয়ে কবি নজরুল লিখেছিলেন তাঁর কালজয়ী বিখ্যাত কবিতা " শিশু যাদুকর’’!!
" পার হয়ে কত নদী কত যে সাগর, এই পারে এলি তুই শিশু যাদুকর "!

সেই শিশু যাদুকর আল মামুন বড় হয়ে পিএসসি পাশ করেন । এরপর পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন । সুনামের সাথে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনও করেছিলেন । ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন । প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেন দুর্ধর্ষ পাক বাহিনীর বালুচ রেজিমেন্টের বিরুদ্ধে । একদা সম্মুখ যুদ্ধে রাজশাহী রেন্জ পুলিশের ডিআইজি অবস্থায় তিনি শাহাদাত বরণ করেন । তাঁর নামে রাজশাহী পুলিশ লাইনস হাইস্কুলের নামকরণ হয় ।

(মুসলীমদের উচিত তাদের কৃতি সন্তানদের কৃতিত্ব নিয়ে কথা বলা । মানুষকে জানিয়ে দেয়া । নচেৎ মুসলীমদের কষ্ট করে অর্জিত কৃতিত্বের ভাগীদার হবে অচেনা অজানা নমঃশুদ্ররা । ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলীমরা কি জানে যে, ভারতের দিল্লী গেইটে যে ৯৪হাজার স্বাধীনতাকামী যোদ্ধার নাম লেখা আছে তাহাদের মধ্যে ৬৩ হাজার স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাই হলেন মুসলীম ??)

★বোমাবর্ষণ থেকে শত মানুষকে রক্ষা করেছিল জাপানের কোবে মসজিদ ★সালটা ১৯৪৫, দ্বিতীয়  বিশ্বযুদ্ধ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। আমেরিকা...
22/02/2024

★বোমাবর্ষণ থেকে শত মানুষকে রক্ষা করেছিল জাপানের কোবে মসজিদ ★
সালটা ১৯৪৫, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। আমেরিকা, ব্রিটেন ও রাশিয়ার মিত্রশক্তি প্রায় পরাজিত কর ফেলেছে জাপান ও জার্মানির অক্ষশক্তিকে… এমন অবস্থায় ইউ এস এর নিক্ষিপ্ত বোমায় কেঁপে ঊঠল জাপানের কোবে শহর। ভীত সন্ত্রস্থ মানুষ আশ্রয় নিল এমন এক স্থানে যা কখনও এয়ার রেইড বাঙ্কার হবে বলে কেউ ভাবতেই পারেনি। জায়গাটি ছিল জাপানের কোবে মসজিদ। আল্লাহর অশেষ করুণায় সেদিন জাপানের কোবে শহরের প্রাচীন এই মসজিদ রক্ষা করেছিল শত মানুষের প্রাণ।
জাপানে ইসলামের সূচনা
ঐতিহাসিকদের খেরোর খাতা খুললে দেখা যাবে, সপ্তদশ শতকে ইসলাম প্রথম পা রাখে এশিয়ার এই দ্বীপদেশে। মূলত আরব বণিকরা বাণিজ্যের উদেশ্যে জাপানে পা রেখেছিল। তারপর এখানকার রমণীদের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়। তবে, ১৯ শতকে সহি ভাবে আমাদের পবিত্র ধ্ররম জাপানে প্রতিষ্ঠিত হয়।
তূর্কী অটোমান সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ ১৮৮৯ শতকে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ‘এরতুগাল’ জাহাজ প্রেরণ করেন জাপানে। সেই জাহাজ জাপান থেকে ফেরার পথে সমুদ্রে ডুবে যায়। ৯৬ জন মুসলমান সৈন্য মাত্র জীবিত ছিলেন সেই জাহাজডুবিতে। জাপানের রাজা সেই জাহাজডুবিতে মৃত মুসলমান সৈন্যদের উদ্দেশে সমাধি সৌধ স্থাপন করে। এখনও অবধি জাপান ও তুরস্কের বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট।
১৯৩০ সালে এক বিপুল পরিমাণ তাতার মুসলমান রিফিউজিরা রাশিয়া থেকে জাপানে পা রাখে। কথিত আছে, জাপানে ইসলামের ভিত তারাই তৈরি করে। ১৯৩৮ সালে টোকিয়ো শহরে গড়ে ওঠে টোকিয়ো মসজিদ। যদিও, ঐতিহাসিকদের দাবী, তার বহু আগে ১৯০৫ সালে ওসাকাতে একটি ছোট মসজিদ স্থাপিত হয়েছিল। রাশিয়া ও জাপানের যুদ্ধে যে মুসলমান সৈন্যরা জাপানের পক্ষে অংশগ্রহণ করেছিলেন! তারা নিজেদের উপাসনার জন্য ওসাকাতে এই মসজিদটি তৈরি করেন। যদিও, তৈরি হওয়ার বেশ কিছুদিন পরেই সেটা ধূলিসাৎ হয়।
সুতরাং, নানা আলাপ আলোচনার পর পণ্ডিতরা ঠিক করেছেন, জাপানে ইসলামের সূচনাকালে যে সমস্ত মসজিদ তৈরি হয়েছিল, তার মধ্যে একমাত্র কোবে মসজিদই বর্তমান।
জাপানের কোবে মসজিদ ও রক্ষাকারী খেতাব
উনিশ শতকে জাপানের কোবে অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিল। তবে, ১৯২০-এর পর থেকে এই শহরে ইসলামী প্রভাব বৃদ্ধি পেতে থাকে। অতঃপর ১৯২৮ তাতার ও স্থানীয় মুসলমানরা সিদ্ধান্ত নেয় নিজেদের উপাসনার জন্য মসজিদ তৈরি করবে। সেই মতো ১৯৩৫-এ জাপান সম্রাটের অনুমতি নিয়ে কোবে মসজিদ স্থাপিত হয়। আকার বা আয়তনের দিক থেকে হয়তো কোবে মসজিদ টোকিও মসজিদের থেকে বেশ খানিকটা ছোট, কিন্তু এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।
কোবে মসজিদের গঠন এতই শক্ত যে ১৯৩৪-এ জাপানি নৌসেনা মসজিদটি নিজেদের কেন্দ্র বানানোর জন্য দখল করে। এরপর ১৯৪৫-এর বোমার আক্রমণও সহজে সামলায় এই মসজিদ।
১৯৯৫ সালে জাপানে ভয়াবহ হানশিন ভূমিকম্প ঘটে, সারা জাপানে প্রায় ৬৪৩৪ জন মানুষের মৃত্যু হলেও কোবে মসজিদের গায়ে কিন্তু আঁচড়টিও লাগেনি।
কীভাবে যাওয়া যায় জাপানের কোবে মসজিদ?
জাপানের কিতানো চো অঞ্চলের কোবে শহরের একদম মধ্যস্থলে অবস্থিত এই মসজিদ। কোবে সানোমিয়া স্টেশনের থেকে মাত্র দশ মিনিটের হাঁটা পথ।
মসজিদের বিবরণ :--
চেকোস্লোভাকিয়ার স্থপতি ইয়ান জোসেফ সাগারের নকশায় বানানো এই মসজিদ শুরু থেকেই নিজের মহিমায় আলোকিত। ইয়ান জোসেফ ১৯২৩ সালে জাপানে পা রাখেন। তাঁর নকশা করা এই মসজিদ খুব সরল ইন্দো-ইসলামী স্থাপত্য মেনে তৈরি। জ্যামিতিক ও ইসলামী নকশা কাটা এই মসজিদ মূলত তিনতলা, মসজিদের ছাদে বৃহৎ আকারের গম্বুজ ও দুই পাশে দুইটি মিনার রয়ছে।
মসজিদের ভিতরটি আবার তুর্কী মতে গঠিত। একটি মিহরাব রয়েছে, আর রয়েছে অপূর্ব সাদা পাথরের মেঝে ও দেওয়াল। দেওয়ালে সোনার পাতের কারুকাজ করা। সমগ্র মসজিদটি অপুর্ব সুন্দর বাগান দ্বারা পরিবেষ্টিত।
সবচেয়ে আগে যা চোখ টানে প্রধান উপাসনা গৃহের মস্ত বড় ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি। মেয়েদের জন্য এই মসজিদের দোতলায় আলাদা প্রার্থনা গৃহ রয়েছে।
জাপানের কোবে মসজিদ সারা বছর খোলা। মুসলমান ও অমুসলমান দুই ধরনের মানুষই সেখানে গিয়ে প্রার্থনা করতে পারেন। বিশেষ করে , অমুসলিমদের জন্য ইসলামের পবিত্র ধর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয় এই মসজিদ । প্রতি রমজান মাসে অমুসলীমদেরকে বিনামুল্যে ইফতারী দেয়া হয় এই মসজিদ থেকে! তুরষ্ক, মালয়শিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এর খরচ বহন করে!
১৭০০ শতকে ইসলামের যে ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল, তার ইতিহাস আজও বয়ে নিয়ে চলেছে কোবে শহরের নিরাভরণ এই শান্ত মসজিদ।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Saeed Mohammed Humayun Kabir posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share