অঞ্চলটার নাম তারা-নগর, ওই নদীটা পেরলেই রাধা নগর। বিকেলে এর জল হাঁটুতে নামে। এই নদীতে কুমির থাকে, মাঝে মাঝে হাঁস মুরগি টেনে নিয়ে যায়।
ছোটো বেলার বইয়ের সেই ছড়াটার মতো—
আমাদের ছোটো নদী চলে আঁকে-বাঁকে,
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।।
#সুন্দরবন
আলো ঝলমলে জীবন থেকে বহুদূরে এখনও মানুষ লড়াই করে বাঁচে। নোনা-হাওয়ার দেশের মানুষের এই জীবন-যাপন আমাকে নবজাতকের মতো মুগ্ধ করে তোলে। এই বৈচিত্র্যময় জীবন-যাপন দেখে দু'দন্ড থমকে দাঁড়াই— মানুষ এই ভাবেও বাঁচে কালীদা।
আমরা তখন হেমনগর হয়ে ফিরছি। রায়মঙ্গল পেরিয়েছি কিনা ঠিক ঠাওর করতে পারি না। আমাদের গন্তব্য থেকে বেঁকে, মাঝি একটা জায়গায় নৌক থামালো। মাথার উপর ঝাঁঝা রোদ, দূরের কোনো কিছুর দিকে ভালো করে তাকানো যায় না।
খানিক পরে বহুদূর থেকে কিছু লোকজন উদ্বিগ্নের সাথে ধীরে-ধীরে নৌকার কাছে আসছে। লম্বা বাঁশে একটা জালের মতো, আর সেই ফাঁক-ফাঁক জালের কোলের ভিতর গুটিয়ে আছে এক বৃদ্ধ। প্রথমটায় প্রানহীন দেহ মনে হলেও নৌকায় আনতে বুঝলাম এখনও 'প্রান' আছে।
ওরা ছোটো মোল্লাখালির স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবে।
বাঁশের এই জিনিসটাকে হ্যালনা বলে।
স্থান:সুন্দরবন, পশ্চিমবঙ্গ, (ভ
সন্ধ্যা নামার মুখে
গোসাবা, পশ্চিমবঙ্গ, (ভারত)