30/01/2024
নকশি পিঠার উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলা। জানা গেছে, নরসিংদীর মেঘনা তীরবর্তী একটি গ্রামে চালের গুঁড়া দিয়ে আলপনা রাঙানো হয়। তা দেখে একটি মেয়ে চালের গুঁড়া সিদ্ধ করে সেদ্ধ চাল হাতে খেলে রুটির মতো তালগাছের কাঁটা দিয়ে সুন্দর নকশা তৈরি করে। তার মা, দাদিসহ বাড়ির সকল সদস্যই সেই নকশা দেখে অবাক! গ্রামের সবাই নকশা করা চালের গুঁড়া দেখতে এসেছে। অনেক গবেষণার পর, নকশা রুটি তেলে ভাজা হয় এবং এর স্বাদ উন্নত করতে গুড়ের শরবতে ডুবানো হয়। এই পিঠাটি 'নকশী পিঠা' নামে পরিচিত, যা ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই ডিজাইন করা হয়েছে।
নকশি পিঠাকে অনেকে আন্দেশ পিঠা, কাটা পিঠা বলে। বিশেষ ধরনের কাট দিয়ে হাত দিয়ে ডিজাইন করা হয় বলে একে বলা হয় কাটা পিঠা।
এই পিঠাতে সাধারণত চালের গুঁড়া ব্যবহার করা হয় তবে ময়দাও ব্যবহার করা যেতে পারে। কই বা মন্ড তৈরির জন্য গুঁড়ো সিদ্ধ করা হয়। একটু মোটা রুটি বানিয়ে প্রথমে বিভিন্ন আকারে কেটে নিন। তারপর আপনার নিজস্ব শৈল্পিক বোধ দিয়ে ডিজাইন করতে হবে।
আর এই পিঠা দুবার ভাজতে হবে। এই পিঠা ভাজার একটা বিশেষত্ব আছে। এই পিঠা প্রথমবার বেক করার পর অনেকদিন সংরক্ষণ করা যায়। পরের বার ভাজি খেতে হবে। এ সময় ভেজে গুড় বা চিনির সিরায় ডুবিয়ে রাখতে হবে।
নকশার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পিঠার বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়, যেমন শঙ্খলতা, কাজললতা, চিরল বা চিরনপাতা, হিজলপাতা, সাজনেপাতা, উড়িয়াফুল, বাঁক বা ভাত ফুল, পদ্মদিঘি, সাগরদিঘি, সরপুস, চম্পাবরণ, কন্যামুখ, জামিমুখ, জামুচমুচ ইত্যাদি ।