MSN Travel BD

  • Home
  • MSN Travel BD

MSN Travel BD Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from MSN Travel BD, Travel Service, .

এসকেএস ইন রিসোর্ট গাইবান্ধা
23/12/2020

এসকেএস ইন রিসোর্ট গাইবান্ধা

নব শালবন বিহার -কুমিল্লাপ্রাচীন সভ্যতায় সমৃদ্ধ কুমিল্লা জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনায় নতুন এক সংযোজন কোটবাড়ি এলাকার নব শালব...
29/11/2020

নব শালবন বিহার -কুমিল্লা

প্রাচীন সভ্যতায় সমৃদ্ধ কুমিল্লা জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনায় নতুন এক সংযোজন কোটবাড়ি এলাকার নব শালবন বিহার (Nobo Shalbon Bihar)। প্রায় আড়াই একর জায়গার উপর ১৯৯৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নব শালবন বিহার ও বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট কালচারাল একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হয়। শৈল্পিক এই বৌদ্ধ উপাসনালয় দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম “শান্তি বিহার” হিসেবে পরিচিত। ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের উপহার হিসেবে পাওয়া ধাতব পদার্থে তৈরি প্রায় ৬ টন ওজনের ৩০ ফুট উচ্চতার বৌদ্ধ মূর্তি স্থাপন করা হয় বিহারে।

নব শালবন বিহারে প্রবেশ করলে প্রথমেই সোনালি রঙের বিশাল বৌদ্ধ মূর্তিটি দেখা যায়। দিনের বেলায় সূর্যের আলোয় চকচক করা এই মূর্তি অনেক দূর থেকেই যে কারো নজরে পড়ে। মূর্তির পাশেই রয়েছে রাজকীয় ভাবে অবস্থানরত একই রঙের দুটি সিংহ। কারুকার্য মণ্ডিত এই মন্দিরের চারপাশে রয়েছে ৩ টি বড় ও ১ টি ছোট মটক। এছাড়াও রয়েছে মেডিটেশন সেন্টার, শালবন বিহার, এতিম খানা, লাইব্রেরী, জাদুঘর, সেমিনার ও আবাসিক হোস্টেল।

অনেকেই জানেন না এই জায়গাটি সম্পর্কে।।। কিশোরগঞ্জ  জেলার ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে প্রায় সাড়ে চারশত বছরের পুরনো ...
23/11/2020

অনেকেই জানেন না এই জায়গাটি সম্পর্কে।।। কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে প্রায় সাড়ে চারশত বছরের পুরনো দিল্লির আখড়া (Dhillir Akhra) অন্যতম। কিশোরগঞ্জের মনোরম একটি হাওরাঞ্চল মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নে দিল্লির আখড়ার অবস্থান। নাম দিল্লির আখড়া হলেও বাস্তবে ভারতে দিল্লির সাথে এই আখড়ার আলাদা কোন সম্পর্ক নেই। জানা যায়, দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে আধ্যাত্মিক সাধু নারায়ন গোস্বামী এই আখড়াটি স্থাপন করেন। আখড়ার ভেতরে ধর্মশালা, নাটমন্দির, অতিথিশালা, পাকশালা, বৈষ্ণবদেব থাকার ঘর, সাধক নারায়ন গোস্বামী এবং তাঁর অন্যতম শিষ্য গঙ্গারাম গোস্বামীর সমাধি রয়েছে।

দিল্লির আখড়ার দুপাশে দুইটি পুকুর এবং চারদিকের বিশাল এলাকাজুড়ে প্রায় তিন হাজার হিজল গাছ শোভা ছড়িয়ে আছে। নদীর তীরে ঐতিহাসিক এই আখড়া ও হিজল গাছগুলো মিঠামইন হাওরের সৌন্দর্যে যোগ করেছে বিশেষ বৈচিত্রতা।
কিভাবে যাবেন????
ঢাকে থেকে বাসে আসতে চাইলে মহাখালী থেকে অনন্যা পরিবহণ বা অনন্যা ক্লাসিক এবং গোলাপবাগ (সায়েদাবাদ) থেকে আসতে চাইলে যাতায়াত বা অনন্যা সুপারে সরাসরি কিশোরগঞ্জ আসতে পারেন। বাস ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা। মহাখালী থেকে সময় লাগবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা এবং গোলাপবাগ থেকে সময় লাগবে প্রায় ৪ ঘন্টা। বাস স্ট্যান্ড থেকে লোকাল (১৫টাকা) বা রিজার্ভ ইজিবাইকে (১২০ টাকা) চলে আসুন একরামপুর সিএনজি স্ট্যান্ডে।

একরামপুর থেকে সিএনজি বা অটোরিকশায় চেপে চামটা বন্দর (স্থানীয় নাম চামড়া ঘাট) চলে আসুন। চামড়া বন্দর থেকে লোকাল ও রিজার্ভ নেয়ার জন্য ট্রলার ও নৌকা পাবেন।

একই ভাবে কিশোরগঞ্জ শহরের একরামপুর মোড় থেকে বালিখোলা অথবা মরিচখালি বাজারে এসে ট্রলার বা নৌকা রিজার্ভ নিয়ে দিল্লির আখড়া দেখতে যেতে পারবেন। চামড়া বন্দর, বালিখোলা, মরিচখালি এই তিন স্থান হতে দিল্লির আখড়া যাওয়ার সুযোগ থাকলেও চামটা বন্দর থেকে দিল্লীর আখড়া যাওয়া সবচেয়ে সুবিধাজনক।

মনে রাখা ভাল, শুকনা মৌসুমে হাওর ও নদীতে পানি কম থাকে ফলে হাওরের স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হয়।

নিঝুম দ্বীপ (Nijhum Dwip) নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অবস্থিত বঙ্গপসাগরের ছোট্ট একটি দ্বীপ। প্রায় ১৪,০৫০ একর আয়তনের এই দ্বী...
22/11/2020

নিঝুম দ্বীপ (Nijhum Dwip) নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অবস্থিত বঙ্গপসাগরের ছোট্ট একটি দ্বীপ। প্রায় ১৪,০৫০ একর আয়তনের এই দ্বীপটি কামলার চর, বল্লার চর, চর ওসমান ও চর মুরি নামের চারটি দ্বীপ ও কয়েকটি চরের সমন্বয়ে গঠিত। শীতকালে নিঝুম দ্বীপে সরালি, জিরিয়া, লেনজা, পিয়ং, রাঙ্গামুড়ি, চখাচখি, ভূতিহাঁস, রাজহাঁস, কাদাখোঁচা, বাটান, জিরিয়া, গুলিন্দা, গাংচিল, কাস্তেচরা, পেলিক্যান ইত্যাদি হাজারো অতিথি পাখির আগমন ঘটে। স্থানীয় পাখির মধ্যে চোখে পড়ে সামুদ্রিক ঈগল, বক শঙ্খচিল। এছাড়া দ্বীপে রয়েছে হরিণ, বন্য শূকর, শেয়াল, বানর এবং নানা রকম সাপ।

নিঝুম দ্বীপে হরিণের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। পাখি বা হরিণ দেখতে ভোরে উঠে স্থানীয় গাইডের সাহায্য নিতে পারেন। নিঝুম দ্বীপের মতো দেশের অন্য কোথাও একসাথে এত চিত্রা হরিণ দেখা যায় না। আর পাখি দেখতে চাইলে পার্শ্ববর্তী দ্বীপ কবিরাজের চর ও দমার চর উত্তম জায়গা। নিঝুম দ্বীপে দেখা মিলে প্রায় ৩৫ প্রজাতির বিভিন্ন পাখির।

কখন যাবেন??? শীতকাল অর্থাৎ অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময়। বছরের অন্য সময় মেঘনা নদী ও সাগর বেশ উত্তাল থাকে তাই ওই সময় নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণে সতর্ক থাকা উচিত

পাবনা  জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে সুজানগর উপজেলায় অবস্থিত গাজনার বিল (Gajnar Bil) একটি গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় ...
19/11/2020

পাবনা জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে সুজানগর উপজেলায় অবস্থিত গাজনার বিল (Gajnar Bil) একটি গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান। বিলের প্রায় মাঝ দিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত করে একটি সরু পাকা রাস্তা চলে গেছে। রাস্তার দুইপাশে আছে দিগন্ত বিস্তৃত পানির রাজ্য। বর্ষাকালে গাজনার বিলের এই রাস্তায় পানি যেন উপচে যেতে চায়। অপূর্ব এই বিলকে ঘিরে নানান প্রজাতির পাখি ও স্থানীয় জেলেদের জীবন আবর্তীত হয়। বলা যায় এখানকার প্রকৃতি ও অর্থনীতি অনেকটাই এই গাজনার বিল কেন্দ্রিক।

সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ছোট-বড় ১৬টি বিলের যুক্ত হয়ে প্রায় সাত একর আয়তনের গাজনার বিলের সৃষ্টি। বাদাই স্লুইজ গেট পদ্মা নদী ও গাজনার বিলকে একত্রে যুক্ত করেছে। শুকনো মৌসুমে বিলটি শুকিয়ে গেলে ধান ও পেয়াজের চাষ করা হয়। বিলের তাজা মাছ কেনা কিংবা খেয়া নৌকায় চড়ে বিলের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রকৃতিপ্রেমীদের গাজনার বিলে চলে অবাধ আনাগোনা।

নিউজিল্যান্ড পাড়া খাগড়াছড়ি।।  শহর থেকে ১.৫ কিঃ মিঃ দক্ষিনে পানখাই পাড়ার পাশে নিউজিল্যান্ড পাড়া অবস্থিত। পানখাইয়া পাড়া থে...
14/11/2020

নিউজিল্যান্ড পাড়া খাগড়াছড়ি।। শহর থেকে ১.৫ কিঃ মিঃ দক্ষিনে পানখাই পাড়ার পাশে নিউজিল্যান্ড পাড়া অবস্থিত। পানখাইয়া পাড়া থেকে বেড়িয়ে আপার পেরাছড়া গ্রামের দিকে যাওয়ার রাস্তাটাকে বলে নিউজিল্যান্ড সড়ক। সড়কের দুইপাশে সবুজ ক্ষেত খামার, এটাই খাগড়াছড়ির একমাত্র সমতল ভূমি। সবুজ শস্যক্ষেত আর তার পিছনের পাহাড়ের মিতালি এক অসাধারণ নান্দনিক সৌন্দর্য এখানে ছড়িয়ে আছে। পাহাড়ের কোলঘেষেঁ নতুন আবাসিক এলাকা গড়ে উঠছে। শহরের ভেতরে পাহাড় আর ধানখেতের মিতালি। এলাকার ল্যান্ডস্কেপটা দেখতে নিউজিল্যান্ডের মত। তাই স্থানীয় মানুষ এর নাম দিয়েছে নিউজিল্যান্ড পাড়া। এক্ষেত্রে বলা যায় পানখাইয়া পাড়া আর পেরাছড়ার কিছু অংশ নিয়েই নিউজিল্যান্ড পাড়া (Newzeland Para) গঠিত। যেন অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের এক টুকরো নিউজিল্যান্ড ঠাই নিয়েছে খাগড়াছড়িতে।

এখানকার প্রকৃতিতে গাঢ় সবুজ পাহাড়, কলকলে বয়ে যাওয়া নদী, দূরে ঝিরঝির শব্দের ঝর্ণা, ওপরে নীল আকাশ, মাঝে মাঝে সাদা মেঘ, বর্ষায় বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ, রাতের আকাশে চন্দ্র-তারা ও দিনের আলোয় লাল সূর্য মিলেমিশে একাকার।

দ্যা ট্রোলস টাং, নরওয়ে।। পৃথিবীর বিপদজনক জায়গার মধ্যে একটি।।Trolltunga শব্দের বাংলা অর্থ হলো দানবের জিহবা। কি নাম শুনে অ...
11/11/2020

দ্যা ট্রোলস টাং, নরওয়ে।। পৃথিবীর বিপদজনক জায়গার মধ্যে একটি।।Trolltunga শব্দের বাংলা অর্থ হলো দানবের জিহবা। কি নাম শুনে অবাক লাগছে? প্রাচীন বিশ্বাস থেকেই এই নামের উৎপত্তি। পাথুরে, দূর্গম পাহাড়ি পথ, স্বচ্চ লেক আর বিচিত্র সুন্দরের পসরা সাজিয়ে আছে নরওয়ের ট্রোলস টাং। বলা হয়ে থাকে এই ট্রোলস টাং পৃথিবীর অসহ্য সুন্দর গুলোর একটি মধ্যে অন্যতম। 2,300 ফুট উপরে একটি পাহাড় থেকে অনুভূমিকভাবে একটি টুকরো প্রস্তরখন্ড হ্রদের উপর ঝুলে আছে। যা দেখতে পাহাড়ের গা থেকে বের হওয়া জিহবার মত মনে হয়। আর এটিই ট্রোলস টাং নামে পারিচিত। Hordaland কাউন্টি নরওয়ের Odda পৌরসভা হয়ে ওখানে যেতে হয়। শত বাঁধা থাকললেও সৌন্দর্যপিয়াসীরা আর বসে নেই। আপনি যদি এডভেঞ্চার প্রিয় হয় তবে যেতে পারেন দানবের জিহবা দেখতে।

স্মৃতিময় শীতের শকাল.......... ষড়ঋতুর অপরুপ রুপবৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশ। শীতকাল দেশের ঋতুচক্রের পঞ্চম ঋতু। দরিদ্র দেশ হিসেব...
09/11/2020

স্মৃতিময় শীতের শকাল.......... ষড়ঋতুর অপরুপ রুপবৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশ। শীতকাল দেশের ঋতুচক্রের পঞ্চম ঋতু। দরিদ্র দেশ হিসেবে এই শীত নানা দূর্ভোগ ও সমস্যা নিয়ে আগমন করলেও সংগে নিয়ে আসে বিশাল এক আনন্দ উল্লাসের নানা উপকরন।

কুয়াশা মোড়া শীতের সকাল! চোখ বুজলেই মনের পর্দায় ভেসে ওঠে একটি দৃশ্য। হাড় কনকনে শীতে জবুথবু একটি গ্রামের ভোর। কুয়াশা ঢাকা কিষান বাড়ির উঠোনের একপ্রান্তে গনগনে জলন্ত উনুন। সে আগুনের আঁচে উনুনের ধার ঘেষে বসে আছে বাড়ির ছেলেবুড়ো সকলে। হাসিখুশী কিষানী বৌটির সুনিপুন হাতের পটুতায় ঢাকনা ঢাকা হাড়ির উপরে, একরতি কাপড়ের ভাজে ভাজে উঠছে আতপচালের গুড়ো ঢাকা, নতুন খেঁজুর গুড় আর নারকেল কোরা দেওয়া ছোট বাটি। নামছে গরম ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা হয়ে একেকবার একেকজনের পাতে।

এ ছবি পরম মমতার, স্নেহ ও ভালোবাসার এবং পাবিরাবিক অটুট বাঁধনের এক চিরায়ত গ্রামবাংলার চিরচেনা শীতকালীন ছবি। মোড়ের চা দোকান ঘিরে ভোর হতেই জমতে থাকে জটলা। সবার গায়েই যার যার সাধ্যমত শীতের চাদর, সোয়েটার, কিংবা ছেড়াখোড়া কাঁথাকানি! গল্পে গল্পে একের পর এক খালি হয় চা’য়ের কাপ! জমে ওঠে আড্ডা! চিরাচরিত গ্রাম-বাংলার এই তো শীত ঋতু!

শৈশবে আমার শীতের এক আলাদা অনুভূতি ছিল। কুয়াশায় আচ্ছন্ন শীতের সকাল! মুখ খুললেই ধোঁয়া বের হওয়া দেখে অবাক হয়ে যাওয়া। ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, পুলি, কুলি নানা ধরনের পিঠা। ঘুম ভাঙ্গলেও বিছানা ছেড়ে উঠতে মন না চাওয়া। তুলে রাখা তোরঙ্গের লেপ কাঁথা কম্বলের সে এক দারুন মজা। রোদে দেওয়া ওম। তুলোর ফাঁকে ঢুকে থাকা রোদের গন্ধ। সন্ধ্যাকাশে দিগন্ত জুড়ে সারি বেঁধে উড়ে চলা অতিথি পাখির দল। কিচির-মিচির শব্দ শীতের প্রকৃতিকে করে তুলতো অন্যন্য রুপবতী নারীরুপে।

যদিও নগর জীবনে শীতের আবেদন আলাদা। তবে গ্রামে যেন প্রতি পদক্ষেপে আলাদা করে অনুভব করা যায় শীত ঋতুর তাৎপর্য্য। বাংলার পথে-প্রান্তরে, মাঠেঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে খেজুরগাছের আগায় ঝুলছে ছোট্ট রসের হাড়ি। কোথাও গাছ থেকে রস নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন গাছিরা। আর ফসলের মাঠজুড়ে সোনালি আভায় সকাল সন্ধ্যা জমে হিম হিম কুয়াশা। শীতে জ্বাল দেওয়া গরম রস বা কাঁচা রস দুই এর স্বাদই অতুলনীয়! আর রসে ভেজানো রসের পিঠার তো জুড়িই নেই কোনো।

শুস্ক এ ঋতুতে এ সময়টা শুকিয়ে আসে খাল বিলের পানি। কোথাও হাঁটুজল, কোথাও বা খটখটে চর জাগে। আর তাই গ্রামের দূরন্ত কিশোর-কিশোরীরা মেতে ওঠে অল্প পানিতে মাছ ধরার উৎসবে। সেইসঙ্গে খাবারের খোঁজে খাল-বিল আর মাঠে-ঘাটে ঝাঁকে ঝাঁকে নামে সাদা বকের ঝাঁক। ঝাঁকে ঝাঁকে সাদাফুলের মত বসে থাকা বকের শুভ্রতা সেও এক অপরূপা দৃশ্য। গ্রামও শহরের হাঁট বাজারগুলোতে সব্জীপসারীর ডালায় ডালায় থরে থরে সাজানো শীতের সব্জী ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, শালগম, ওলকপি, গাজর, টমেটো চোখ জুড়ায়, মন ভরায়।

শীতের আরেক স্বর্গীয় সৌন্দর্য্য বিরাজ করে সরিষা ক্ষেতে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে ফুটে থাকা হলুদ সরিষার ফুল যেন বিছিয়ে রাখে হলুদ ফুলেল চাদর। আর সেই ফুল কলিদের উপর উড়ে চলা রঙ্গিন প্রজাপতি আর মৌমাছিদের মেলা মন হরন করে।

মটরশুঁটি আর সবুজ ঘাসের ডগায় ঝুলে থাকে শিশির বিন্দু। সকালের রোদের আলোকচ্ছটার নানা রঙ ছড়ায় তাতে হীরক দ্যুতি। একসময় সেই রঙিন জলমোতি টুপ করে ঝরে পড়ে মাটির কোলে।

পৃথিবীর যেখানেই যাই না কেনো সে সৌন্দর্য্যের তুলনা হয়না বুঝি আর কিছুর সাথেই এই মর্ত্যলোকে! তবে এই অপরুপ শীতের সৌন্দর্য্য অনুভবে ও উপভোগে ভুলে যাওয়া যায়না সেইসব ছিন্নমূল মানুষদের কথা। একটুকরো শীতের কাপড় বা মাথা গোঁজার ঠাই নেই যাদের তাদের জীবনে শীত আনন্দের নয়, অভিশাপের আর তাই যে যার সাধ্যমত কাছের দরিদ্র মানুষটির প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই ও পৃথিবীকে করে তুলি সুন্দর ও মঙ্গলময়।

জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার নান্দাইল গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক দীঘির নাম নান্দাইল দিঘী (Nandail Dighi)। জয়পুরহাট শহর থ...
03/11/2020

জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার নান্দাইল গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক দীঘির নাম নান্দাইল দিঘী (Nandail Dighi)। জয়পুরহাট শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার পূর্বে জেলার সবচেয়ে বড় এই দিঘীটির অবস্থান। প্রায় ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নান্দাইল দিঘী ৫৯.৪ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। প্রচলিত আছে, ১৬১০ সালে মৌর্য্য বংশের সম্রাট নন্দলাল শুকনো মৌসুমে চাষাবাদের সুবিধা এবং খাবার পানির অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক নান্দাইল দিঘী খনন করেন। স্থানীয় জনগণ বিশ্বাস করেন, নান্দাইল দিঘী খনন করতে মাত্র এক রাত সময় লাগে। এক সময়ের উচুঁ নিচু টিলা ও ঘন বন সমৃদ্ধ দীঘির চারপাশে বর্তমানে বসতি গড়ে তোলা হয়েছে।

অনবদ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অধিকারী নান্দাইল দিঘী বর্তমানে পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। আর শীতকালে এখানে প্রচুর অতিথি পাখির আগমন ঘটে। এছাড়া দিঘীর পাড়ে নান্দাইল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে।

প্রায় ছয়শত বছরের প্রাচীন ধানুকা মনসা বাড়ি (Dhanuka Manasha Bari) শরীয়তপুর জেলার প্রবীণ ব্যক্তিবর্গের কাছে ময়ুর ভট্টের ...
01/11/2020

প্রায় ছয়শত বছরের প্রাচীন ধানুকা মনসা বাড়ি (Dhanuka Manasha Bari) শরীয়তপুর জেলার প্রবীণ ব্যক্তিবর্গের কাছে ময়ুর ভট্টের বাড়ি নামে পরিচিত। ধানুকা মনসা বাড়িতে সুলতানী ও মোগল আমলের স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত ৫ টি ইমারত রয়েছে। যার মধ্যে আছে দুর্গা মন্দির, মনসা মন্দির, কালি মন্দির, নহবতখানা এবং আবাসিক ভবন।

তৎকালীন সময়ে মনসা দেবীর পূজো দেয়ার জন্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ময়ূর ভট্টের বাড়ীতে বহু লোকের আগমণ ঘটতো। তখন থেকেই মনসা বাড়ি হিসাবে বাড়িটির নাম চারদিকে প্রচার হতে থাকে। তবে মনসা বাড়ি নামকরণের আরো একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। ময়ূর ভট্ট বাড়ির এক কিশোর পর পর তিন দিন বাগানে ফুল কুড়াতে গিয়ে একটি বিশালাকার সাপ দেখতে পায়। চর্তুথ দিন সাপটি বাড়ির উঠোনে নৃত্য করতে থাকে। সেই রাতে মনসা দেবী ভট্টবাড়ির লোকদের স্বপ্নে দর্শন দিয়ে মনসা মন্দির স্থাপন এবং পূজা আয়োজনের নির্দেশ দেন। আর তখন থেকেই ময়ূর ভট্ট বাড়ি হয়ে যায় মনসা বাড়ি এবং বাড়িটির অবস্থান ধানুকা গ্রামে হওয়ায় মনসা বাড়ির সাথে ধানুকা শব্দটি যুক্ত হয়ে ধানুকা মনসা বাড়ি নামে পরিচিতি লাভ করে।

ধানুকা মনসা বাড়িতে একটি পিতলের মূর্তি রয়েছে। যা এক সময় হারিয়ে যায় এবং বেশকিছু বছর পর কীর্তিনাশা নদী থেকে জেলেরা উদ্ধার করে। বলে রাখা ভাল কীর্তিনাশা হচ্ছে পদ্মা নদীর অন্য নাম। ১৯৭৩ সালে ধানুকার মনসা বাড়ি থেকে ইতিহাস গবেষক মাস্টার জালাল উদ্দিন আহম্মেদের কাঠের বাধাই করা তুলট কাগজে লিখিত পুথি উদ্ধার করা হয়। যা বর্তমানে শরীয়তপুর জেলার বেসরকারি পাবলিক লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত আছে।

লালদিয়া বন ও সমুদ্র সৈকত (Laldiya Forest And Sea Beach) বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণে অবস্থিত। সুন্দরবনের বরগুনা...
30/10/2020

লালদিয়া বন ও সমুদ্র সৈকত (Laldiya Forest And Sea Beach) বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণে অবস্থিত। সুন্দরবনের বরগুনা (Barguna) অংশে অবস্থিতে হরিণঘাটার ভেতর দিয়ে ঘণ্টা দুয়েক পায়ে হেঁটে এগিয়ে গেলে লালদিয়ার বন চোখে পড়ে। লালদিয়া বনের পূর্ব দিকে বিশখালী এবং পশ্চিম দিক দিয়ে বলেশ্বর নদী বয়ে গেছে। দুই নদী এবং সাগরের মোহনায় ঘেরা এ বনের পূর্ব প্রান্তে রয়েছে সমুদ্র সৈকত। আয়তনে ছোট হলেও এ সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য কোন অংশেও কম নয়। লালদিয়া বনের পাখির কলরব, সমুদ্রের বুনো সৌন্দর্য্য, গাংচিল আর লাল কাকড়ার ছুটে চলা ভ্রমণ পিয়াসী মনকে প্রকৃতির সাথে একাত্ম করে দেয়।

লালদিয়া সমুদ্র সৈকতের পাশে একটি শুটকি পল্লী রয়েছে। কার্তিক থেকে ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এখানে শুঁটকি চাষ করা হয়, যা ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। তবে এখানে প্রস্তুতকৃত শুটকির ৯০ ভাগ হাঁস-মুরগির খাদ্যের জন্য ব্যবহৃত হয়।

নোটঃ লালদিয়া থেকে কুয়াকাটার মাত্র ৪৫ মিনিটের পথ। হাতে সময় থাকলে কুয়াকাটাও ঘুরে দেখে আসতে পারেন।

মনপুরা দ্বীপ( Monpura Island ) হচ্ছে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর এলাকার উত্তরদিকে মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি ভ...
27/10/2020

মনপুরা দ্বীপ( Monpura Island ) হচ্ছে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর এলাকার উত্তরদিকে মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলায় কিছুটা অংশ জুড়ে অবস্থিত। সাম্প্রতিককালে এই দ্বীপে জলদস্যুদের দ্বারা আক্রমণ হয়েছে। এই দ্বীপের আয়তন ৩৭৩ বর্গ কিলোমিটার। এই দ্বীপের উপকূলীয় অন্যান্য দ্বীপের মধ্যে ভোলা (যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ) এবং হাতিয়া দ্বীপ উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি দ্বীপগুলোই ঘনবসতিপূর্ণ।

প্রাকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি মনপুরা হচ্ছে ভোলা দ্বীপ থেকে প্রায় ৮০ কিঃ মিঃ দুরত্বে সাগরের বুকে নয়নাভিরাম আরেকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। মনগাজী নামে এখানকার এক লোক একদা বাঘের আক্রমনে নিহত হন। তার নামানুসারে মনপুরা নাম করন করা হয়। বাংলাদেশের বৃহওম দ্বীপ ভোলা জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলা ভূমি রূপালী দ্বীপ মনপুরা। চতুর্দিকে মেঘনা নদীবেষ্টিত সবুজ-শ্যামল ঘেরা মনপুরা। সুবিশাল নদী , চতুর্দিকে বেড়ীবাঁধ, ধানের ক্ষেত, বিশাল ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছের বাগানে সমৃদ্ধ।

বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে মেঘনার মোহনায় ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মনপুরা উপজেলায় লক্ষাধিক লোকের বসবাস। মিয়া জমিরশাহ’র স্মৃতি বিজড়িত মনপুরা দ্বীপ অতি প্রাচীন। একসময় এ দ্বীপে পর্তুগীজদের আস্তানা ছিল। তারই নিদর্শন হিসেবে দেখতে পাওয়া যায় লম্বা লোমওয়ালা কুকুর।

বাংলাদেশের বৃহওম দ্বীপ ভোলা জেলার মুল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা। মেঘনার কোল ঘেসে জেগে ওঠা তিন দিকে মেঘনাআর একদিকে বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ সাজে সজ্জিত লীলাভূমি মনপুরা। ভোলা জেলা সদর থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিন পুর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেষে মেঘনার মোহনায় চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মনপুরা উপজেলা। মনপুরা সদর থেকে দুই কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব পাশে গড়ে উঠেছে মনপুরা ফিশারিজ লিঃ।

জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার মালঞ্চ শিশু ও চক্ষু হাসপাতালের কমপ্লেক্সে কারুকার্য মণ্ডিত দৃষ্টিনন্দন মালঞ্চ মসজিদ (Mal...
23/10/2020

জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার মালঞ্চ শিশু ও চক্ষু হাসপাতালের কমপ্লেক্সে কারুকার্য মণ্ডিত দৃষ্টিনন্দন মালঞ্চ মসজিদ (Maloncho Jame Mosque) অবস্থিত। সাবেক সচিব ও ইউনাইটেড ট্রাস্টের সহযোগিতায় মাজার, মসজিদ, কামিল মাদ্রাসা, মহিলা মাদ্রাসা, হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ইসলামিক মিশনের সমন্বয়ে প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে দৃষ্টিনন্দন এই মালঞ্চ কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হয়েছে। সবুজ গাছ-গাছালীতে ঘেরা এক গম্বুজ বিশিষ্ট মালঞ্চ মসজিদের সামনে একটি স্বচ্ছ পানির দীঘি রয়েছে। নান্দ্যনিক সৌন্দর্যের জন্য বর্তমানে মালঞ্চ কমপ্লেক্সটি জামালপুর জেলার একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে

এশিয়ার সর্ববৃহৎ বটগাছ।। ঝিনাইদ  জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বেথুলি গ্রামের মল্লিকপুরে ৫২টি বিভিন্ন আকারের বটগাছের রুপে প্রায় ...
20/10/2020

এশিয়ার সর্ববৃহৎ বটগাছ।। ঝিনাইদ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বেথুলি গ্রামের মল্লিকপুরে ৫২টি বিভিন্ন আকারের বটগাছের রুপে প্রায় ১১ একর জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক এক বটগাছের অস্তিত্ব। বটগাছের আনুমানিক উচ্চতা ২৫০ থেকে ৩০০ ফুট। বিবিসির জরিপে মল্লিকপুরের বটগাছটি ১৯৮৪ সালে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম বটগাছের (Big Banian Tree in Asia) খ্যাতি অর্জন করে। বটগাছটির ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি নাম রয়েছে, যার মধ্যে সুইতলার বটগাছ, সুইতলা মল্লিকপুরের বটগাছ এবং বেথুলীর বটগাছ নাম অধিক প্রচলিত।

বটগাছটির বয়স সম্পর্কে স্থানীয়দের কাছে সঠিক কোন তথ্য নেই। ধারণা করা হয় প্রায় তিনশ বছর আগে বেথুলি গ্রাম কুমার সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। তৎকালীন সময়ে কুমার সম্প্রদায়ের লোকেদের মধ্যে পাতকুয়া ব্যবহারের প্রচলন ছিল। সেন বংশীয় কুমার পরিবারের কোন এক পাতকুয়ায় একটি বটগাছ জন্ম নেয়। যা থেকে আজকের এই বর্তমান বটগাছের রুপান্তর।

বটগাছের সৌন্দর্য, বটগাছকে ঘিরে চারপাশের শান্ত পরিবেশ, পাখির কলরব আগত দর্শনার্থীদের তৃপ্ত করে। ২০০৯ সাল থেকে সামাজিক বন বিভাগ মল্লিকপুরের এই বটগাছটির রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছে।

দর্শনা দেশের প্রথম রেল স্টেশন।। চুয়াডাঙ্গা  জেলা থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ...
17/10/2020

দর্শনা দেশের প্রথম রেল স্টেশন।। চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পনগরীর নাম দর্শনা (Darshana)। ১৮৬২ সালের ১৫ই নভেম্বর দেশের প্রথম রেললাইনের কাজ শুরু হয় এই দর্শনাতে। সীমান্তবর্তী আন্তর্জাতিক মানের দর্শনা রেলওয়ে ষ্টেশন এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এখান থেকেই মৈত্রী ট্রেন সরাসরি ভারতে যাতায়াত করে।

দর্শনাতে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম চিনিকল কেরু এন্ড কোং অবস্থিত। ৩,৫৭২ একর জায়গার উপর অবস্থিত পুরো কমপ্লেক্সটি চিনি কারখানা, ডিস্টিলারি ওয়াটার, বানিজ্যিক খামার ও জৈব সার কারখানার সমন্বয়ে গঠিত। এই কারখানার প্রধান উৎপাদিত পণ্য চিনি হলেও উপজাত পণ্য থেকে স্পিরিট, হার্ড ড্রিঙ্কস এবং জৈব সার উৎপাদন করা হয়। একটি দোতালা গেস্ট হাউজ সংবলিত উন্নতমানের একটি পিকনিক স্পট হিসেবে বর্তমানে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে কেরু এন্ড কোং।

দর্শনার স্থল ও রেল বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের শত শত নাগরিক প্রতিদিন যাতায়াতসহ নানা ধরণের পণ্য আমদানী-রপ্তানি করে থাকে। দর্শনা জিরো পয়েন্টের কাছে অবস্থিত কাস্টমস চেকপোস্টের স্থায়ী অবকাঠামো বা শুল্ক ষ্টেশন দর্শনার আরেকটি উল্লেখযোগ্য স্থাপনা। এই শুল্ক ষ্টেশন থেকে সরকারী বিপুল অঙ্কের রাজস্ব আদায় হয়। এছাড়া দর্শনা থেকে মাত্র ৩১ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী ঐতিহাসিক মুজিবনগরের অবস্থান।

লাল শাপলার বিল গোপালগঞ্জ।।। গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অসংখ বিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। মুলত বিলগুলোর বেশিরভাগই হচ্ছে এক...
15/10/2020

লাল শাপলার বিল গোপালগঞ্জ।।। গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অসংখ বিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। মুলত বিলগুলোর বেশিরভাগই হচ্ছে এক ফসলি জমি। এই জমিতে শুধুমাত্র বোরো মৌসুমেই ধান চাষ করা হয়। বর্ষাকালে এসব জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়। তখন এসব বিলে প্রাকৃতিকভাবে শোভা ছড়ায় অসংখ্য লাল শাপলা। আর এই বিলগুলোকেই লাল শাপলার বিল (Lal Shapla Bill) বলা হয়।

বর্ষায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার প্রায় ২৫ টি বিল হাজারো লাল শাপলার রঙে রঙিন হয়ে উঠে। তবে ১৯৮৮ সালের আগে এসব বিলে শুধুমাত্র সাদা-সবুজ শাপলা দেখা যেত কিন্তু ১৯৮৮ সালের বন্যার পর থেকে থেকে এই বিলগুলো লাল শাপলায় ভরে উঠে। এ এক অপূর্ব দৃশ্য! যা চোখে না দেখলে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। লাল শাপলার বিল একদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে পর্যটকদের আকর্ষণ করে অন্যদিকে বর্ষাকালে কর্মহীন দরিদ্র মানুষের আয়ের উৎস হয়ে উঠে এই লাল শাপলা।

ধরন্তী হাওর, সরাইল -বি বাড়িয়া।।।হাওরের কথা আসলেই আমাদের মনে সুনামগঞ্জ, সিলেট কিংবা কিশোরগঞ্জের ছবি ভেসে উঠে। কিন্তু ব্রা...
09/10/2020

ধরন্তী হাওর, সরাইল -বি বাড়িয়া।।।
হাওরের কথা আসলেই আমাদের মনে সুনামগঞ্জ, সিলেট কিংবা কিশোরগঞ্জের ছবি ভেসে উঠে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সৌরভ বিলিয়ে থাকা হাওর সম্পর্কে অনেকেরই তেমন জানাশুনা নেই। ধরন্তি হাওর (Dhoronti Haor) তেমনি এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধারণকারী জলাভূমির নাম। নৈসর্গিক ধরন্তি হাওরের পূর্ব দিকে তিতাস নদী এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী সহ ছোট বড় আরও বেশকিছু খাল-বিল রয়েছে।

হাওরের উপর দিয়ে চলে গেছে সরাইল-নাসিরনগর সড়ক। বৈশাখ থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত যখন হাওর অথৈ জলে ভরে থাকে তখন এই সড়কের দুইপাশে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় করে প্রকৃতিকে উপভোগ করেন। হাওরের বুকে অপূর্ব সূর্যাস্থের দৃশ্য দেখে অনেকে আবার ধরন্তিকে মিনি কক্সবাজার নামে অভিহিত করেন। আগত দর্শনার্থীদের হাওরে জলে ঘুরে বেড়ানোর সুবিধার জন্য এখানে ভাড়ায় চালিত ছোট ডিঙ্গি নৌকা ও স্পিডবোটের ব্যবস্থা রয়েছে।

এই মসজিদটি বাংলাদেশের সুন্দরতম মসজিদগুলোর মধ্যে একটি।।নরসিংদীর বেলাবো বাজারে অবস্থিত মসজিদটি।।
04/10/2020

এই মসজিদটি বাংলাদেশের সুন্দরতম মসজিদগুলোর মধ্যে একটি।।নরসিংদীর বেলাবো বাজারে অবস্থিত মসজিদটি।।

30/09/2020

পর্ব ০৪
চলুন দেখে নেই নরসিংদী জেলায় কি কি দর্শনীয় স্থান রয়েছে।।(all Travel place of Narsingdi)

24/09/2020

place: রবী ঠাকুরের কুঠি বাড়ি, শিলাইদহ কুষ্টিয়া।।
সোনার তরী বিখ্যাত গ্রন্থটি এখানে বসেই রচনা করেছেন।

শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠি বাড়ি জাদুঘর, কুষ্টিয়া
শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ি । কুষ্টিয়া শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে কুমারখালি উপজেলার অর্ন্তগত শিলাইদহ ইউনিয়নের খোরেশদপুর কুঠিবাড়ি অবস্হিত ।



রবীন্দ্রনাথের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এ অঞ্চলের জমিদারি পান। পরবর্তিতে ১৮৮৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে জমিদার হয়ে আসেন। এখানে তিনি ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারী পরিচালনা করেন। এ সময় এখানে বসেই তিনি রচনা করেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালী, ইত্যাদি, গীতাঞ্জলী কাব্যের অনুবাদ কাজও শুরু করেন ।

১৯৫৮ সাল থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ব্যবস্হাপনায় শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িটি গৌরবময় স্মৃতিরূপে সংরক্ষিত আছে । ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কুঠিবাড়িটি গুরুত্ব অনুধাবন করে কবির বিভিন্ন শিল্পকর্ম সংগ্রহপূর্বক একে একটি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয় ।



পুরো ভবনটি এখন জাদুঘর হিসেবে দর্শকদের জন্যে উম্মুক্ত । জাদুঘরের নীচ ও দ্বিতীয় তলায় ১৬টি কক্ষেই কবি রবীন্দ্রনাথ, শিল্পী রবীন্দ্রনাথ, জমিদার রবীন্দ্রনাথ, কৃষক বন্ধু রবীন্দ্রনাথ অর্থাৎ নানা বয়সের বিচিত্র ভঙ্গির রবীন্দ্রনাথের ছবি । বাল্যকাল থেকে মৃতু্শয্যার ছবি পর্যন্ত সংরক্ষিত আছে । তাছাড়াও রয়েছে শিল্পকর্ম এবং তাঁর ব্যবহার্য আসবাবপত্র দিয়ে পরিপাটি দিয়ে সাজানো ।

কবি ভবনে ব্যবহার্য জিনিসপত্রগুলোর মধ্যে আরো আছে চঞ্চলা ও চপলা নামের দুটো স্পিডবোট, পল্টুন, ৮বেহারা পালকি, কাঠের চেয়ার, টি টেবিল, সোফাসেট, আরাম চেয়ার, পালংক ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস ।

place: তিস্তা ব্যারেজ,হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট।           Tista Barrage, Hatibandha.           Beautiful Bangladesh
22/09/2020

place: তিস্তা ব্যারেজ,হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট।
Tista Barrage, Hatibandha.
Beautiful Bangladesh

place : রাজবাড়ি, নাটর
20/09/2020

place : রাজবাড়ি, নাটর

১৯৯৩ সালের বিদ্যুৎ বিল...অনেকেরই দেখার সৌভাগ্য হয় নি ২৭ বছর আগের বিদ্যুৎ বিল,,দেখে নিন কেমন ছিল?
19/09/2020

১৯৯৩ সালের বিদ্যুৎ বিল...অনেকেরই দেখার সৌভাগ্য হয় নি ২৭ বছর আগের বিদ্যুৎ বিল,,দেখে নিন কেমন ছিল?

18/09/2020

সৌন্দর্যময় বাংলাদেশ.... :: খনিয়াদিঘি মসজিদ
খনিয়াদিঘি মসজিদ বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য যার অবস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছোট সোনা মসজিদের সন্নিকটে। এটি আনুমানিক ১৫'দশ শতকে নির্মিত হয়েছিলো, যা গৌড়ের প্রাচীন কৃতিগুলোর অন্যতম মনে করা হয়। ধারণা করা হয় ১৪৮০ খ্রিষ্টাব্দে কোন এক রাজবিবি মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি দেখতে প্রায় মালদার চামকাটি মসজিদের মত।। এটি স্থানীয়ভাবে চামচিকা মসজিদ এবং রাজবিবি মসজিদ নামেও পরিচিত।[১]

place: টাঙ্গুয়ার হাওর, সুনামগঞ্জ।।। আমাদের দেশটাও সৌন্দর্যে ভরপুর.....
17/09/2020

place: টাঙ্গুয়ার হাওর, সুনামগঞ্জ।।। আমাদের দেশটাও সৌন্দর্যে ভরপুর.....

15/09/2020

পর্ব : ০৩
চিটাগাং ঘুরতে যেতে চান? দেখে নিন চিটাগাং এর সবগুলো পর্যটন স্পট....কোথায় ঘুরবেন চিটাগাং এক নজরে দেখে নিন।।।।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MSN Travel BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share