Amin's Universe

  • Home
  • Amin's Universe

Amin's Universe Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Amin's Universe, Travel Company, .

জাপানিরা সবচে পছন্দ করে যে ভাত খায় সেটা স্টিকি। মানে ভাতের দানা একটার সাথে আরেকটা লেগে থাকে। আমার ধারণা ছিল স্টিকি ভাত ক...
02/03/2024

জাপানিরা সবচে পছন্দ করে যে ভাত খায় সেটা স্টিকি। মানে ভাতের দানা একটার সাথে আরেকটা লেগে থাকে। আমার ধারণা ছিল স্টিকি ভাত কাঠি দিয়ে সহজে খাওয়া যায় বলেই জাপানিরা এটা এত পছন্দ করে।

আমার সাত বছরের জাপান জীবনের শুরুর দিকে আমি এই ভাত খেতে একদমই পছন্দ করতাম না। ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো জাপানের বাজারে জাপানি কৃষকদের উৎপাদিত এই বিশেষ ভাতের চালের দামই সবচেয়ে বেশি।

বাজার থেকে কয়েকবার বিভিন্ন ধরণের চাল কেনার পর বুঝলাম এই চাল যদি জাপানিরা নিজেরা উৎপাদন না করে আশেপাশের কোন দেশ থেকে আমদানি করতো তাহলে এর দাম বেশ কম পড়তো। আমি কৌতুহলী হয়ে আমার সুপারভাইজার প্রফেসর কামিজিমাকে একবার জিজ্ঞেসই করে ফেললাম

আমিঃ আচ্ছা প্রফেসর, তোমরা এই চাল বিদেশ থেকে আমদানি করো না কেন? আমদানি করলে তো দাম অনেক কম পড়তো!
কামিজিমাঃ তা হয়তো পড়তো!
আমিঃ তাহলে!
কামিজিমাঃ সরকার ইচ্ছে করেই কৃষকদের কাছ থেকে উৎপাদন খরচের অনেক বেশি দামে এই চাল কেনে।
আমিঃ কেন?
কামিজিমাঃ কৃষকদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
আমিঃ মানে?
কামিজিমাঃ কৃষক যদি ভালো দাম না পায় তাহলে কি ওরা আর কৃষিকাজ করবে? পেশা বদলে ফেলবে না!
আমিঃ তাই বলে সরকার এত বেশি দামে চাল কিনবে কৃষকদের কাছ থেকে?
কামিজিমাঃ শোনো, আমরা আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা ভুলিনি। জাপান একটা দ্বীপরাষ্ট্র। ঐরকম একটা যুদ্ধ যদি আবার কখনো লাগে আর শত্রুরা যদি আমাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে! তখন কী হবে ভেবেছ?
আমিঃ বুঝলাম না!
কামিজিমাঃ বাইরে থেকে কোন খাবার জাপানে আসতে পারবে? আমরা কি তখন এই ধরো টয়োটা গাড়ি খাব? কৃষক যদি না বেঁচে থাকে তাহলে ঐসময় আমরা বাঁচব?

আমি অনেকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইলাম কামিজিমার কথা শুনে।

আমরা কী অবলীলায়ই না আমাদের কৃষকদেরকে মেরে ফেলার যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করছি!

সংগৃহীত

13/01/2024

নানু আম্মার রিকশাটার সামনে দাঁড়িয়ে বললো, একটা রাত কোনদিন থাকস না!
আজকে থাইকা যা, সকাল বেলা কাশেমরে বলমু, নামায়া দিয়া আসবো!

আম্মা, সন্ধার মলিন অন্ধকার গায়ে আরো গাঢ় ভাবে জড়িয়ে নিয়ে বললো,
কালকে স্কুল আছে মা। পরীক্ষা চলে। এখন না গেলে ঝামেলা!

আমিও চাচ্ছিলাম আম্মা থাকুক, খালাম্মারা আছে, খালাম্মার ছেলে মেয়ে আছে, পাঁচ ব্যাটারির একটা টর্চ আছে, লৌহজং নদীর ধার ধরে নামা কুয়াশা গায়ে লাগিয়ে বাড়ি ফেরা আছে,
ঝুপ করে নামা সন্ধ্যা আছে! সকালে কি মিষ্ঠি, কি ঠান্ডা, কি অমৃত খেজুরের রস আছে! ফুলটোকা নামের একটা অদ্ভুত খেলা আছে!

আম্মা থাকেনা!
এত শক্ত মানু্ষটা!
একবার বলেছে চলে যাবে, মানে যাবেই!

আম্মা কোন রাতেই তার বাবা মার বাড়িতে থাকতোনা। নয় স্কুল, নয় কাজ, নয়তো তার বাসায় কারো আসবার কথা!
টাঙ্গাইলের এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত, রাতে থেকে আর কি হয় মা, আবার আসবোইতো বলে, তার রাজ্যে ফিরে আসে আম্মা!

নানুর বাড়ি শূন্যে মিলিয়ে গেছে!
নানা, নানু নেই কতদিন!


আম্মার সে রাজ্যও ভেঙেছে।
আহত নক্ষত্রের মতন একেক মহাদেশে ছুটে ছুটে গেছে তার ছয় সন্তান।

কি এক আশ্চর্য ক্ষয়রোগে ধীরে মুছে যায় এই মানব জনম!
কি করুন, কি যে বেদনার স্মৃতি জমে রঙিন পাহাড় হয়ে !

মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙে চমকে উঠি!
আমি কোথায় , কোন সাল, আমার বয়স কত, কিচ্ছু মনে থাকেনা!

মাঝে মাঝে মনে হয়, আম্মা এই বলে উঠবে, ইমু, পড়তে বয়!
মাঝে মাঝে মনে হয়, নানু এসে বলবে, শোন কি হইছে, এইবার নদীতে এক মানুষ পানি আইছে। কত ইলিশ যে ধরা পড়ছে ইলিপুট্টির জালে!

সব মানুষ হারিয়ে গেছে।
কত দুপুর মরে গেলো!

কত বিকাল জুড়ে জমলো ঠান্ডা এপিটাফের দেয়াল,
কেউ ফিরে এলোনা!

09/01/2024

আপনার কি পরিমান ইনকাম এটা জানার কৌতূহল অনেকের। কিন্তু আপনি কি পরিমান কষ্ট করে ইনকাম করেন এটা জানতে চাওয়ার মানুষ একজনকেও পাবেন না!

লুমাযাহ কারা? (সুরা হুমাযাহ)আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বুক ফুলিয়ে বলেন, "আমি উচিৎ  কথা বলতে কাউকে ছাড়ি ন...
08/12/2023

লুমাযাহ কারা? (সুরা হুমাযাহ)
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বুক ফুলিয়ে বলেন, "আমি উচিৎ কথা বলতে কাউকে ছাড়ি না!
আমি উচিৎ কথা মুখের উপর বলে দেই"!
আপনি অনেক স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড!
যা মনে আসে তাই বলেন!
গালাগাল সহ সরাসরি মুখের উপর সব বলে দেন!
সব মহলে ঠোটকাটা স্বভাবের হিসেবে আপনি পরিচিত!
সবাইকে একদম সামনেই ধুয়ে দেন এবং এটা নিয়ে আপনি বেশ গর্বও করেন!

ইসলাম ধর্মে এটাকেই "লুমাযাহ" বলা হয় ।
◾যে ব্যক্তি:-
★ সরাসরি কাউকে লাঞ্চিত ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।
★ কাউকে তাচ্ছিল্য ভরে কোনকিছু নির্দেশ করে (আঙুল,চোখ, মাথা বা ভ্রু দ্বারা) ।
★ কারও অবস্থান বা পদবি নিয়ে তাকে ব্যাঙ্গ করে।
★ কারো বংশের নিন্দা করে বা বংশ নিয়ে কথা বলে।
★ কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলে, অপমান করে।
★ কারও মুখের উপর তার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে।
★ সরাসরি বাজে কথা দিয়ে কাউকে আঘাত করে।
★ কাউকে এমন কোনো কথা বললো যাতে আরেকজন কষ্ট পাবে।
★ অসন্মান করে কথা বললো।

উপরোক্ত ব্যক্তিরাই মূলতঃ "লুমাযাহ" এর অন্তর্ভুক্ত।

আল্লহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এই মানুষদেরকে পরিবর্তন হতে বলেছেন। নয়তো তাদের জন্য অনিবার্য ধ্বংসের সতর্ক বাণী দিয়েছেন।
আল্লাহ তাদের প্রতি কঠোর লানত করেছেন।

নবী (সাঃ) বলেছেন, "যার ভিতরে নম্রতা নেই, সে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত"।

আসুন, আমরা একটু নরম হই, একটু সহনশীল হই, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করি।
মনে রাখবেন- আল্লাহ যাকে নম্রতা দিয়েছেন, তিনি দুনিয়ার সেরা নিয়ামাহ পেয়ে গেছেন।

হয়তো আমিও লুমাজার অন্তর্ভুক্ত, তবে চেষ্টা করছি নিজেকে বাঁচাতে। আল্লাহ তৌফিক দান করুন।

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন।
আমীন🌹
Self reminder.

১৮৫৮ সালেও মানচিত্রে  হিন্দুস্তান-ইন্ডিয়া নামে কোনকিছুর অস্তিত্বই ছিলোনা । আরও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আমাদের এ বাংলাদেশ সম...
08/12/2023

১৮৫৮ সালেও মানচিত্রে হিন্দুস্তান-ইন্ডিয়া নামে কোনকিছুর অস্তিত্বই ছিলোনা । আরও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আমাদের এ বাংলাদেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা ভূখণ্ড ছিল যার ইতিহাস ১০ হাজার বছরের পুরোনো। প্রাচীন ভারতের ৫ হাজার বছরের ইতিহাসেও হিন্দুস্তান বা ইন্ডিয়া নামে কোনকিছুর অস্তিত্ব ছিলনা।

24/11/2023

Your income is written.
Your spouse is written.
Your career is written.
The food you eat is written.
Your death is written.

So please tell me, why are you stressing?
Trust Allah with all these affairs.

Just focus on Deen, work hard, the rest will fall in to place inshallah .

18/11/2023

A teacher gave a balloon to every student, who had to inflate it, write their name on it, and throw it in the hallway. The teacher then mixed all the balloons. The students were then given 5 minutes to find their own balloon. Despite a hectic search, no one found their balloon.

At that point, the teacher told the students to take the first balloon that they found and hand it to the person whose name was written on it. Within 5 minutes, everyone had their own balloon.

The teacher said to the students: "These balloons are like happiness. We will never find it if everyone is looking for their own. But if we care about other people's happiness, we'll find ours too."

May your day be filled with happiness. ❤️

14/11/2023

ডলার রেট বিপর্যয় এবং অন্ধকার ভবিষ্যৎ ।

ডলারের রেট এখন খোলাবাজারে চলে ১৩০ টাকা! যা এক বছর আগেও ছিলো ৮৫/৮৬ টাকা। একজন ফল ব্যবসায়ী যখন বিদেশি ফল গত বছর আনতো ৮৫ টাকায় তখন সে লাভ রাখতো ৫ টাকা, এখন সে ১৩০ টাকা তেও ৫ টাকা লাভ রাখে, কিন্তু মাঝের এই ৪৫ টাকা সে নিজের পকেট থেকে অবশ্যই দেয় না। এটা যায় আমাদের পকেট থেকে। তাই Actual inflation আসলে দেশে অনেক অনেক বেশি।

- ডলারের রেট কেনো বাড়ে?
= নর্মাল আর ১০ টা প্রডাক্টের Demand - Supply এর মত, সাপ্লাই কম আর ডিমান্ড বেশি হওয়া তে ডলারের দাম বাড়তিসে।

- ডলারের সাপ্লাই কম কেনো?
= দেশে ডলার আসে মুলত ৩ ভাবে। রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় আর দেশে যদি কোন বিদেশি প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টরি খোলে বা ব্যবসা খোলে যা FDI (Foreign direct invest) নামে পরিচিত। এছাড়া আমরা অনেক সময় IMF, WORLD BANK থেকে লোন পাই। কিন্তু লোন তো লোন ই শোধ করা লাগে আজ হোক কাল হোক।

রপ্তানি আয়ে সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশ আসলে একটা দর্জি বাড়ি। টেইলার্সে আপনি যেমন কাপড় নিয়ে যান টেইলর আপনার শার্ট প্যান্ট বানায় দেয় বাংলাদেশ ও সেইম। ওয়ালমার্ট থেকে ১০০ ডলারের শার্টের অর্ডার পাইলে শার্টের কাপড়, বোতাম এগুলা আবার বিদেশ থেকে আমদানি করতেই ৬০/৭০ ডলার চলে যায়, ডলার বাকি থাকে শুধু ৩০/৪০ ডলার।

সলিড ডলার হচ্ছে রেমিট্যান্স। কিন্তু দেশে রেমিট্যান্স এখন ম্যাক্সিমাম ই আসে হুন্ডি হয়ে।

- হুন্ডি জিনিস টা কি?
= ধরলাম আজকে বাজারে ১ডলার = ১০০ টাকা
Mr. 'X' একজন দুর্নীতিবাজ পলিটিশিয়ান/সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী / দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা। উনি দুর্নীতি করে ১ কোটি টাকা কামাইসে। এখন এই টাকা টা দেশের কোন ব্যাংকে রাখা রিস্ক কারণ NBR / দুদক এর চোখে পড়তে পারে। উনি দুবাই তে টাকা টা ট্রান্সফার করবেন। ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো ঝামেলা কারণ ব্যাংক অনেক প্রশ্ন করবে। উনি গেলেন দালালের কাছে। দালাল বললো আমি ৯০ টাকা করে আপনাকে ৯০ হাজার ডলার দিবো। Mr. 'X' রাজি যেহেতু এই টা অবৈধ টাকা কিছু টাকা লস গেলে তার সমস্যা নাই। উনি ১ কোটি ক্যাশ টাকা দালাল কে জমা দিলেন। এরপর দুবাই গেলেন ট্যুরিস্ট ভিসায়। যেয়ে দুবাইয়ের দালাল থেকে ৯০ হাজার ডলার বুঝে নিয়ে দুবাই তে একটা বাড়ি কিনে ফেললেন। বাংলাদেশি দালাল লাভ করলো প্রতি ডলারে ১০ টাকা করে।

- দুবাইয়ের দালাল ৯০ হাজার ডলার কোথায় থেকে পেলো?
= দুবাইয়ের দালাল দুবাই তে কর্মরত সকল রেমিট্যান্স পাঠানো বাংলাদেশি দের বললো আমার মাধ্যমে টাকা দেশে পাঠাও। ব্যাংক ১০০ টাকা করে দিচ্ছে আমি ১০৫ টাকা দিবো। এর ফলে শ্রমিক ভাই রা তাদের জমানো ডলার গুলো দালাল কে দিয়ে দিলো। প্রবাসী যে কেউ ই যেখানে টাকা বেশি দিবে ঐ চ্যানেলেই টাকা পাঠাবে, সেটা আপনি আমি হলেও পাঠাতাম। বাংলাদেশী দালাল ১০৫ টাকা করে শ্রমিক ভাই এর ফ্যামিলি কে দিলো। এর পরেও সব কেটে কুটে দালালের লাভ থাকলো ৫ টাকা ডলার প্রতি। এখানে ৩ পক্ষ (দালাল, দুর্নীতিবাজ, প্রবাসী) সব পক্ষ ই খুশি আর ধরা খেলো সরকার আর সাধারণ জনগণ। এই হচ্ছে হুন্ডির মেকানিজম।

- ডলারের ডিমান্ড হাই কেনো এখন?
= দেশে প্রতি নির্বাচনের আগে ডলারের ডিমান্ড হাই থাকবেই, দুর্নীতিবাজ রা ফিউচারে কি হবে এই ভয়ে অবৈধ টাকা বাহিরে পাঠাবেই।

- সলুশন কি?
= সরকার যতই Cash incentive দিক না কেনো আসল সল্যুশন হচ্ছে দেশে দুর্নীতিবাজ ধরতে হবে। এই দুর্নীতিবাজ দের যদি ধরা যায় তাহলে এরা যদি দুর্নীতির টাকা পাঠাতে না পারে তাহলে হুন্ডির ক্যাশ ফ্লো বন্ধ হয়ে যাবে। পুরা চেইন ভেংগে পড়বে। তা না হলে আপনি যতই Cash incentive দেন রেমিট্যান্স এ দালালদের কাছে সব সময়ই অবৈধ টাকা থাকবেই। তখন ওরা ব্যাংকের রেটের চেয়ে ২-৪ টাকা হলেও বেশি দিবেই।

- ভুক্তভোগী কারা?
= আমি আপনি।

- ভার্সিটি টিউশন ফি বাহিরে আগে ১০ লাখ লাগলে এখন লাগবে ১৮- ২০ লাখ।
- আপেল যদি ২২০ টাকায় কিনে থাকেন সামনের বছর ৪০০ টাকায় কিনবেন
- কারো যদি ২০ লাখ টাকা বাজেট থাকে গাড়ি কেনার ঐ টা ৩০ লাখে নিতে হবে
- আমদানি করে আনা প্রতিটি জিনিসের দাম ই হয়ে যাবে ডাবল। কারণ কোন ব্যবসায়ী ই লস দিয়ে ব্যবসা করবে না।

জিনিসপাতির দাম নির্বাচনের পরে আরো বাড়বে, ডলার সম্ভবত ১৫০ টাকা ছাড়ায় যাবে। দেশে যেমন পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল দরকার, দুর্নীতিবাজ দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াও দরকার। কারণ দিনশেষে আমার আপনার স্যালারি থেকেই এই এক্সট্রা টাকা গুলো দিতে হচ্ছে।

14/11/2023

Hi

14/11/2023

বাংলাদেশে বাকি চাকুরীতে প্রমোশন, অন্য কোন অর্জনের সুসংবাদ দেয় ব্যক্তি নিজে। কিন্ত প্রশাসন ও পুলিশের পদোন্নতি কিংবা অর্জনের খবর দেয় গর্বিত বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশি, সহপাঠীরা। এটা দেখতে ভালোই লাগে।

আমি মনযোগ দিয়ে এই " ক্ষমতা" র দৃষ্টি আকর্ষণ মূলক আচরণগুলো খেয়াল করি। তাদের সাইকোলজি বুঝার চেষ্টা করি। আত্মবিশ্বাসহীন, নিজেকে পিছিয়ে পড়া ভাবা মানুষগুলো এই শুভেচ্ছা জানানোর মধ্যে আসলে সবার মধ্যে ধারণা ছড়িয়ে দিতে চায়-- " দেখ, কার সাথে আমার উঠাবসা। কিংবা যার সু সংবাদে তিনি গর্বিত সেই ক্ষমতাবান ব্যক্তি তার কত ঘনিষ্ঠ"। কিন্ত যারা জানে, সরকারী চাকুরীতে পদোন্নতি কিছুটা রুটিন রবং অনেকটাই দলীয় আনুগত্যের পুরষ্কার।এটা গর্ব করার মত নিজের দক্ষতায় বিশাল অর্জন কি? তাছাড়া সরকারী ক্যাডার পোষ্ট আছে ২৬ টি।।মানে প্রশাসন ও পুলিশ বাদেও আরো ২৪ টি তেও প্রমোশন হয় কিন্ত তাদের নিয়ে কেউ " গর্বে গর্বিত" হয়ে তেমন পোষ্ট দেয় না।

সেই তুলনায় বেসরকারী চাকুরীর পদোন্নতি দক্ষতা কেন্দ্রিক ও অর্জন করে নিতে হয়। অন্যদের থেকে আলাদা কিছু দেখাতে না পারলে বেসরকারী চাকুরীতে প্রমোশন পাওয়া কঠিন। কিন্ত সেখানে " ক্ষমতা" প্রয়োগের সুযোগ নাই তাই কেউ সেই নিউজ শেয়ার করে বলে না " গর্বিত"।।

আসলেই গর্বিত "অর্জনে" না, আগের থেকে ক্ষমতা বেড়েছে কিনা সেই মাপকাঠিতে।।
Collected

এজন্যই আমি শিবিরকর্মী অপছন্দ করি। এরা করে একদল কিন্তু কাজ করে অন্যদলের হয়ে 😛😛😛
07/11/2023

এজন্যই আমি শিবিরকর্মী অপছন্দ করি। এরা করে একদল কিন্তু কাজ করে অন্যদলের হয়ে 😛😛😛

27/10/2023

বাঙ্গালী নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানে কি আর আনন্দ করবে, আত্মীয় স্বজনের রাগ ভাঙ্গাতে ভাঙ্গাতেই এরা টায়ার্ড হয়ে যায়।

17/10/2023

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে দাম বেড়ে যাওয়ার পরে ডিমের দাম মাঝখানে শুনছিলাম একটু কমছিল। আজকে শুনলাম আবার বেড়ে গেছে। স্বাভাবিক, কারণ এখন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের খরচের পাশাপাশি ফিলিস্তিন-ইসরাইলের যুদ্ধের খরচও যুক্ত হইছে। সবার খরচই তো বহন করা লাগতেছে।

18/09/2023
Artist Zulfiqar Soleh depicts what every woman has to go through on the streets🙂💔
18/09/2023

Artist Zulfiqar Soleh depicts what every woman has to go through on the streets🙂💔

18/09/2023

জাহান্না'ম একটি অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ জায়গা। যেখানে সকল দল মতের ইসলাম বিদ্বে'ষীরা চিরস্থায়ী বসবাস করবে!

পুরাতন এই ছবিটি মালয়েশিয়ার একটি ট্রেনের বগির সামনের সিটের। একপাশে বাবা-মায়ের কোলে শিশু সন্তান আর অন্য পাশে সন্তানের কোলে...
18/09/2023

পুরাতন এই ছবিটি মালয়েশিয়ার একটি ট্রেনের বগির সামনের সিটের। একপাশে বাবা-মায়ের কোলে শিশু সন্তান আর অন্য পাশে সন্তানের কোলে বৃদ্ধ পিতা। শুধুমাত্র কিছুটা সময়ের ব্যাবধানে সবাই আমরা অসহায় হয়ে যাচ্ছি। এই দৃশ্যে শেখার আছে অনেক কিছু।

14/09/2023

🌟 The 5 Guiding Laws of Life! 🌟

🔮 Exploring these universal principles can bring immense clarity to our journey-

1️⃣ Murphy’s Law - The more you fear something, the more likely it is to occur.💫

2️⃣ Kidlin’s Law - If you write a problem clearly and specifically, you have solved half of it. 🗝️

3️⃣ Gilbert’s Law - When you take on a task, finding the best ways to achieve the desired results is always your responsibility. 🏞️

4️⃣ Wilson’s Law - If you prioritize knowledge and intelligence, money will continue to follow. 📚💡

5️⃣ Falkland’s Law - If you don’t have to make a decision about something, then don’t decide. 🤔❓

১০ মিলিয়ন বছর আগে ১৯৬৮ সাল। তখন আমি মাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স পড়ছি। ফজলুল হক হলের ডাল-ভাত খেয়ে থা...
12/09/2023

১০ মিলিয়ন বছর আগে

১৯৬৮ সাল। তখন আমি মাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স পড়ছি।
ফজলুল হক হলের ডাল-ভাত খেয়ে থাকতাম আর রাজ্জাকের মতো অভিনয় করার চেষ্টা করতাম।

“গুলিস্তানে“ চলছে রাজ্জাক-সুচন্দার সিনেমা আর “মধুমিতা“ তে চলছে রাকেল ওয়েলচের ‘One Million Years B.C.’ কোনটি দেখতে যাবো ?
বৃত্তির টাকায় চলতাম, পকেট সব সময়ই গড়ের মাঠ। তবুও দেখলাম রাকেল ওয়েলচ কে। সে কি অভিনয় ! ছবিটিতে তার মাত্র তিন লাইন সংলাপ ছিল।

শতাব্দী শেষ হয়েছে, এখনো ভুলতে পারিনি।

আজকে জার্মানিতে রাইন নদীর পারে বেড়াতে এসে দেখলাম এই পাথরটি। কোন সালের এটা ?

কাছে গিয়ে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলাম না।

দশ মিলিয়ন বছর আগের।

যারা পাশ দিয়ে যাচ্ছে অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে। কোনো গার্ড নেই, কাঁটাতারের বেড়া নেই।

কেউ নোংরা করছে না, কিছুটা কেটে নিয়ে নিজের ঘরের শো পিসও বানাচ্ছে না।

আমি চিন্তা করলাম , ঢাকায় যদি এটা গুলিস্তানের পাশে থাকতো তাহলে কি হতো ? রাতারাতি কোথায় যে পাড়ি দিতো।

ঢাকায় শুনেছি ডাস্টবিনও চুরি হয়। জনগণ কোত্থেকে যে এই শিক্ষা পাচ্ছে কিছুই বুঝি না। সরকার কতো নিষেধ করছে কোনো কিছুই শুনছে না জনগণ।

সরকার তো অনেক আগেই বলে দিয়েছে, “চুরি করবেন না কারণ সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা পছন্দ করে না“।

Without your Mother, You wouldn’t have continued your path.
11/09/2023

Without your Mother, You wouldn’t have continued your path.

07/09/2023

সুস্থ ধর্মচর্চা একটা সমাজে যে নৈতিকতাবোধ দিতে পারে সেটা ধর্ম ছাড়া তৈরি করা অসম্ভব!

যেমন ধরুন যাকাত একটা ধর্মীয় অনুশাসন যা ধনী কে বাধ্য করে গরিবকে সাহায্য করতে;
এটা কি ধর্ম ছাড়া কখনো সম্ভব?

দিন শেষে যার মা আছে, তার কিছু না থাকলেও একবেলা মাথায় হাত রাখার মানুষ টা আছে। আর যার মা নাই, সে জানে তার দুনিয়াতে সব থাকা...
06/09/2023

দিন শেষে যার মা আছে, তার কিছু না থাকলেও একবেলা মাথায় হাত রাখার মানুষ টা আছে। আর যার মা নাই, সে জানে তার দুনিয়াতে সব থাকার পরেও শুধু জান্নাতটাই নাই। একটা কথা কি জানেন? কোনো কিছু আটকানোর সাধ্য থাকলে, পৃথিবীর সব সন্তান সম্ভবত মায়ের বৃদ্ধ হওয়া আটকে দিতো। পরিপূর্ণ একজন নারী চোখের সামনে পুরো একজীবন সংসারের জন্য খেটে ভেঙেচুরে বয়সের ভারে নুইয়ে পড়ে যাচ্ছে। অসুস্থ হয়ে জরাজীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। কিংবা এ জীবন ছেড়ে চলে যাচ্ছে। অথচ সন্তান হিসেবে এইটুকু পাশে থাকা ছাড়া আর কিচ্ছু করার নেই।

05/09/2023

A Leader must be a Reader 👨‍🏫

যখন কোন ভূখণ্ডে ইসলাম দিয়ে শাসন করা হয় তখন ঐ ভূখণ্ডে আল্লাহ বরকত দিয়ে পরিপূর্ণ করে দেয়।
04/09/2023

যখন কোন ভূখণ্ডে ইসলাম দিয়ে শাসন করা হয় তখন ঐ ভূখণ্ডে আল্লাহ বরকত দিয়ে পরিপূর্ণ করে দেয়।

আয় আয় বন্ধুরা ফিরে আয়,শৈশব-কৈশোরের ঠিকানায়;
03/09/2023

আয় আয় বন্ধুরা ফিরে আয়,
শৈশব-কৈশোরের ঠিকানায়;

ডেঙ্গুর কোন ঔষধ নাইজিনিসটা মাথায় ঢুকিয়ে ফেলুন।মূল চিকিৎসা হচ্ছে শরীরের ফ্লুইড ব্যালেন্স ঠিক রাখা।এইটা আপনি পারবেননা, কোন...
01/09/2023

ডেঙ্গুর কোন ঔষধ নাই
জিনিসটা মাথায় ঢুকিয়ে ফেলুন।
মূল চিকিৎসা হচ্ছে শরীরের ফ্লুইড ব্যালেন্স ঠিক রাখা।
এইটা আপনি পারবেননা, কোন ফার্মেসির দোকানদার, টেকনেশিয়ান, ভন্ড চিকিৎসক, আপনার মহা জ্ঞানী প্রতিবেশী কেউই পারবেন না।

সুতরাং কারো পরামর্শে কিচ্ছু করবেন না। কোন ঔষধ খাওয়াও নিষেধ।

ফ্লুইড খাবেন বেশি করে,
যেমন ডাবের পানি, বাসায় বানানো ফলের রস, লেবুর শরবত ইত্যাদি।

জ্বর এলেই Dengue Ns1 পরীক্ষাটা দ্রুত করে ফেলুন।
জ্বরের পাঁচ দিনের মধ্যেই এই টেস্ট করতে হয়, পাঁচদিন কেটে গেলে এই টেস্ট নেগেটিভ আসে। তখন ডেংগু কনফার্ম করার জন্য অন্য টেস্ট করতে হয়।
তাই জ্বর এলে দেরি না করে সেদিনই NS1 করে ফেলুন)
এবং অবশ্যই হেলাফেলা না করে ডাক্তার দেখান।
পরামর্শ নিন।
ফোনে ইনবক্সের চিকিৎসা না, সিরিয়াস রোগী হোন।
আর নিজের বাসার কোথাও পরিস্কার পানি জমে থাকছে কিনা খেয়াল রাখুন।
প্রতিবেশীদেরকেও সতর্ক করুন।
ছাদে কোথাও পানি জমে থাকছে কিনা খেয়াল করুন।
কারো উপর নির্ভর করে আসলে কোন লাভ নেই।
নিজেদের কাজ নিজেদেরই করতে হবে এখন।

রক্তে প্লাটিলেট বাড়াবেন যেভাবে
(ডেঙ্গুতে মৃত্যুর প্রধান কারন রক্তে প্লাটিলেট কমে যাওয়া)

রক্তে প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা রক্তজমাটে সাহায্য করে। ২০ হাজারের নিচে প্লাটলেটের সংখ্যা নেমে আসলে কোনো প্রকার আঘাত ছাড়াই রক্তক্ষরণ হতে পারে। কোনো কারণে রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার মাধ্যমেই প্লাটিলেটের সংখ্যা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কিছু খাবার আছে যেগুলো প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আসুন জেনে নেই সেসব খাবারের নাম।

পেঁপে এবং পেঁপে পাতা

পেঁপে খুব দ্রুত রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়াতে সক্ষম। মালয়েশিয়ার এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডেঙ্গু জ্বরের কারণে রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে পেঁপে পাতার রস তা দ্রুত বৃদ্ধি করে। রক্ত প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে প্রতিদিন পেঁপে পাতার রস কিংবা পাকা পেঁপের জুস পান করুন।

মিষ্টি কুমড়া এবং কুমড়া বীজ

মিষ্টি কুমড়া রক্তের প্লাটিলেট তৈরি করতে বেশ কার্যকরী। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়াতে আছে ভিটামিন ‘এ’ যা প্লাটিলেট তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই রক্তের প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া এবং এর বীজ খেলে উপকার পাওয়া যায়।

লেবুর রস

লেবুর রসে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। ভিটামিন সি রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও ভিটামিন ‘সি’ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। ফলে প্লাটিলেট ধ্বংস হওয়া থেকেও রক্ষা পায়।

আমলকী

আমলকীতেও আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। এছাড়াও আমলকীতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। ফলে আমলকী খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং প্লাটিলেট ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা পায়।

অ্যালোভেরার রস

অ্যালোভেরা রক্তকে বিশুদ্ধ করে। রক্তের যেকোনো সংক্রমণ দূর করতেও অ্যালোভেরা উপকারী। তাই নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান করলে রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

ডালিম

ডালিম রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর আয়রন রয়েছে যা প্লাটিলেট বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন ১৫০ মিলিলিটার ডালিমের জুস দুই সপ্তাহ পান করুন। ডালিমের রসের ভিটামিন দুর্বলতা দূর করে কাজে শক্তি দেবে।
(Collected)

29/08/2023

A wife needs a lot of Vitamin A: Attention, Affection, Appreciation, Assurance, and Acceptance. 😍😊

22/08/2023

মানুষ মানুষকে প্রয়োজনেই নক দিবে এটাই স্বাভাবিক। আর সে প্রয়োজনের সময় যদি আপনি ভাবেন যে, ও আমাকে প্রয়োজন ছাড়া নক দেয়না এবং সেইজন্য ভাব দেখাবেন, তাহলে আপনি অস্বাভাবিক! একটা কথা মনে রাখবেন তিনি প্রয়োজনে আপনাকেই স্বরণ করেছে অন্য কাউকে না। তার মানে ওনার স্বরণে আপনিই আছেন। পৃথিবীতে কোন কাজ কারো জন্য থেমে থাকেনা। আপনি না করলে সেই কাজ অন্য কেউ করে দিবে এটাই প্রকৃতির সুন্দর নিয়ম। কারণ প্রকৃতি খালি স্থান পছন্দ করেনা। আর কারো প্রয়োজন হতে পারা এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় নেয়ামত। কারণ এটা আল্লাহর প্রিয়দের সুন্নাত।

20/08/2023

লজ্জা লাগছে কেউ সাহায্য চাইলে আমরা ভাংতি খুঁজে পাই না.....

চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার বাজারে একটি হোটেলে বসলাম। লক্ষ্য ছিলো সিংগাড়া খাবো। এই পদার্থটি আমার সহ্য হয় না। খাওয়ার সাথে সাথে এসিডিটি হয়। তবু লোভে পড়ে খাই। মাঝে মাঝে। সিংগাড়া শেষ করেই ঔষধ খাই।

আমি সব সময় হোটেল-রেস্টুরেন্টের এক কোণায় গিয়ে বসি। একটু লুকিয়ে থাকার ইচ্ছে আরকি। আমি অবশ্যই অন্তর্মুখী মানুষ।

গতকাল কোণার টেবিল ফাঁকা না থাকায় ম্যানাজারের খুব কাছের একটি টেবিলে বসলাম। তার সব কথা শুনতে পাচ্ছিলাম।

একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। কাতর কন্ঠে বললেন, "বাবা, খুব ক্ষুধা লেগেছে। কিছু খেতে দিতে পারো?"

ম্যানেজার একটা টেবিল দেখিয়ে বললেন, "ঐ জায়গায় গিয়ে বসেন খালা।" তারপর চিৎকার দিয়ে বললেন, "খালাকে এক প্লেট খিচুড়ি দে।"

আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। ছোট্ট হোটেল। তেমন বেচাকেনা হয় বলেও মনে হলো না।

দুই তিন মিনিটের মধ্যেই আরো একজন বৃদ্ধা ভিক্ষুক ভিক্ষা নিতে এলেন। ম্যানেজার বললেন, "খাওয়া দাওয়া হয়েছে খালা?"

খালাকে নিশ্চুপ দেখে আগের খালার পাশের চেয়ারে বসালেন এবং তাকেও এক প্লেট খিচুড়ি দেওয়া হলো। দুই জন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত বয়োঃবৃদ্ধাকে খেতে দেখে কী যে ভালো লাগছিলো!

এরপর আরো একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। ম্যানাজারের সামনে দাঁড়ালেন। বললেন, "বাবা, ভিক্ষা করতে এসেছিলাম। তেমন ভিক্ষা পাইনি আজ। বাড়ি যাওয়ার ভাড়া নেই। ভাড়াটা দিতে পারো।"

ম্যানাজার বললো, "আমার তেমন বিক্রি হয়নি খালা। আপনি বরং একটু খেয়ে যান। দেখেন কেউ ভাড়াটা দিতে পারে কিনা।"

এতোক্ষণ যে বয়টি খাবার পরিবেশন করছিলো সে বললো, "খালা কয় টাকা ভাড়া লাগে বাড়ি যেতে?"
-১৫ টাকা বাবা।
হোটেল বয়টি পকেট থেকে ২০ টাকার একটা নোট বের করে খালার হাতে দিয়ে বললেন, "নেন, এটা রাখেন। একটু খিচুড়ি খেয়ে বাড়ি যান। আমি খিচুড়ি দিচ্ছি।"

হোটেল ম্যানাজার হাসতে হাসতে বললেন, "শালা যেমন ম্যানাজার, তেমন তার কর্মচারীরা! কেউ মানুষকে ফিরাতে জানে না।"

তারপর বললেন, "শোন, কোন ভিক্ষুক যেন খেতে এসে না ফিরে যায়। সবাইকে খাওয়াবি।"

আমি সব দেখছিলাম। মাথা নিচু করে বসে আছি। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। মনের ভেতর তোলপাড় চলছে।

ম্যানাজারকে এক সময় কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম, "ভাই, আপনার ঐ কর্মচারী ছেলেটি সম্পর্কে আমাকে একটু বলুন তো প্লিজ। কয় টাকা বেতন দেন ওকে।"

- ব্যবসা তো তেমন চলে না ভাই। সারাদিন হোটেল খোলা। রাত নয়টা পর্যন্ত। ওকে ১২০ টাকা দিই।

- বাড়িতে কে কে আছে ওর?

- কেউ নেই তেমন। মা মারা গেছে। বাবা আরেকটি বিয়ে করেছে। ওর নানা-নানি বয়স্ক হয়ে গেছে। কোন কাজ করতে পারে না। এই ছেলেটি কাজ করে নানা-নানিকে খাওয়ায়।

আমার কাছে এবার অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে গেল। সারাজীবন ভালোবাসা, মায়া, স্নেহ বঞ্চিত বলেই, এই ছেলেটার হৃদয় ভালোবাসা আর মায়ায় পরিপূর্ণ।

ছোট্ট ছেলেটিকে কাছে ডাকলাম। বললাম, "লেখাপড়া করেছো?"
- না স্যার।
- ঢাকার দিকে কোন কাজ ম্যানেজ করে দিলে যাবা? একটু বেশি বেতনের?

- নানা-নানি চলতে পারে না। তাদের গোসল করার পানি তুলে দিতে হয়। টয়লেটের, অযুর। খাওয়ার রান্না করতে হয়। আমি এদের রেখে যেতে পারবো না স্যার।

আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ফিরে এসেছি। মনটা কেমন ভার হয়ে আছে। ছেলেটা সারাদিন কাজ করে একশত কুড়ি টাকা পায়। তিন জন মানুষের সংসার। কীভাবে চলে! এর থেকে সে আবার অসহায়দের দান করে!

মন খারাপ হলে আমি আল-কুরআন খুলে বসি। আজও কুরআনুল কারীম খুলতেই সূরা আল-বাকারার একটি আয়াতে চোখ আটকে গেল। "এরা নিজেদের রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে.. "

আমি আয়াতটির তাফসীর পড়া শুরু করলাম। সেখানে লেখা, "মানুষের এমন পরিমাণ দান করা উচিত, যাতে তার নিজের খাবারে টান পড়ে।"

মনের মধ্যে তোলপাড় হচ্ছে। নিজের খাবারে টান পড়া মানে, গোশত খেতাম, দান করার কারণে এখন মাছ খেতে হচ্ছে। দুই প্লেট ভাত খেতাম এখন এক প্লেট খেতে হচ্ছে।

কী অদ্ভুতভাবে আয়াতটি আমার কাছে খুলে যাচ্ছে! তাবুক যুদ্ধের সময় আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ(সাঃ) বললেন, "আজ কে বেশি দান করতে পারো দেখি?"
উসমান (রাঃ) একশত উট দিয়েছিলেন। উমর (রাঃ) তার সম্পদের অর্ধেক দিয়েছিলেন। আবু বকর (রাঃ) দিয়েছিলেন এক মুষ্টি খেজুর বা একটু যব জাতীয় কিছু আর তার বাড়িতে ঐটুকু সম্পদই ছিলো।

রাসূল (সাঃ) যা বলেছিলেন তার সারমর্ম হলো, আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) দানে প্রথম হয়েছে। সে তার সম্পদের শতভাগ দিয়েছে।

আমার চোখে ইসলামের ইতিহাসের সেই সোনালী দিন, আজকের ঐ হোটেল কর্মচারী আর আল-কুরআনের আয়াত "তারা রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে" এই বিষয়গুলো এক অসহ্য ভালোলাগার এবং পরিতাপের বিষয় হয়ে উঠলো। কী করতে পারলাম জীবনে ভাবতে গিয়ে চোখ থেকে টপ টপ করে কয়েক ফোঁটা পানি পড়লো আল-কুরআনের পাতায়। আমি তাড়াতাড়ি কুরআনুল কারীম বন্ধ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আরশে আজীম থেকে আল্লাহ তায়ালাও নিশ্চয় আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। কোন কিছুই তো তার দৃষ্টির আড়ালে নয়।

কোন এক ভাই এর লিখা 💜

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Amin's Universe posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share