Dream to Tour Plan

  • Home
  • Dream to Tour Plan

Dream to Tour Plan Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dream to Tour Plan, Travel Company, .

⭕️ লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ গাইড (Lakshadweep Travel Guide) ⭕️  লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep) – সংস্কৃত ও মালায়ালাম ভাষায় অর্থ ‘হ...
14/01/2024

⭕️ লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ গাইড (Lakshadweep Travel Guide) ⭕️


লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep) – সংস্কৃত ও মালায়ালাম ভাষায় অর্থ ‘হাজার দ্বীপ’। আদতে ১,০০০ না হলেও কেরলের উপকূলে অবস্থিত ৩৬টি দ্বীপের একটি দ্বীপপুঞ্জ হল লাক্ষাদ্বীপ।
লাক্ষাদ্বীপ ভারতের পশ্চিম দিকে কেরালার মালাবার উপকুল থেকে প্রায় ৩২৪ কিলোমিটার দূরত্বে ৩৬ টি ছোট ছোট প্রবাল দ্বীপ নিয়ে অবস্থিত। লাক্ষা, আমিনদিভি ও মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জের সরকারি নাম রাখা হয়েছে লাক্ষাদ্বীপ যার মোট আয়তন ৩২ বর্গকিলোমিটার মাত্র। লাক্ষাদ্বীপ ভারতের সব থেকে ছোটো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যার মধ্যে ২৭ টি দ্বীপ মোটামুটি বড় আকারের। এই দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড়ো দ্বীপ হল মিনিকয় দ্বীপ যার আয়তন ৪.৫০ বর্গ কিমি। এছাড়াও ১২ টি রিং দ্বীপ (এটল), ৩ টি প্রবাল প্রাচীর এবং অসংখ্য প্রবাল টিলা আছে। প্রধান ৩৬ টি দ্বীপের মধ্যে জনবসতি আছে ১০ টি দ্বীপে। বাকী দ্বীপগুলোতে ঈদানীং কিছু হোটেল, রিসর্ট এবং টুরিস্ট ক্যাম্প গড়ে তুলেছে ইন্ডিয়ান ট্যুরিজম কর্পোরেশন এবং প্রাইভেট পর্যটন কোম্পানী।

লাক্ষাদ্বীপের দক্ষিনে স্বাধীন দ্বীপ রাস্ট্র মালদ্বীপ। লাক্ষা দ্বীপের রাজধানীর নাম কাভারাত্তি , একটি মাত্র এয়ার পোর্টের নাম আগাট্টি (আগাট্টি একটি দ্বীপেরও নাম)। আয়তন ৩২ বর্গ মাইল। লোক সংখ্যা-৬১ হাজার। শিক্ষিতের হার শতকরা ৯০ ভাগ! ভাষা-মালায়লাম, হিন্দী এবং ইংরেজী। দৈনন্দিন জীবনের দিক থেকে এখানকার অধিবাসীরা কেরালার সমজাতীয়। চেহারা দেখতে আমাদের বাঙ্গালীদের মতই। এখানকার একটি দ্বীপের নাম মিনিকয় দ্বীপ। মিনিকয়ের ১০০ ভাগ অধিবাসী শিক্ষিত। তাদের ভাষার নাম “মহল”। আরবী ভাষার সাথে মহল ভাষার ৮০% সামঞ্জস্য। মুলত আরবী ভাষা থেকেই হিন্দীর সাথে মিশ্রন ঘটে মহল ভাষার সৃস্টি হয়েছে। মিনিকয় দ্বীপটি যদিও ইন্ডিয়ান অধিভুক্ত, কিন্তু দ্বীপটি মালদ্বীপের খুব নিকটে। দেশী বিদেশী ট্যুরিস্টদের কল্যাণে লাক্ষা দীপপুঞ্জের মোটামুটি সবাই ইংলিশে কথা বলতে পারে। আবহাওয়া নর্মালী ঠান্ডা। তবে মে-সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কিছুটা গরম আবহাওয়া। এই দ্বীপপুঞ্জের কয়েকটি দ্বীপ মুসলিম বসতি প্রধান এলাকা। এখানে অনেক মসজিদ আছে। শুধু মাত্র কাভারাট্টিতেই ৫২ টি মসজিদ আছে। সব চাইতে বড় মসজিদের নাম আজ্জারী মসজিদ। জন সংখ্যা অনুপাতে পৃথিবীর আর কোথাও এত বেশী মসজিদ আছে কিনা জানা নেই।
এখানে কমন রান্নাগুলো সাউথ ইন্ডিয়ানদের মতই। নারিকেলের তেলে রান্না হয়। প্রচুর পরিমান নারিকেল উৎপন্ন হয় বলে এখানে নারিকেল আশ থেকে তৈরীর বেশকিছু শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। এছারাও সুপারী এবং কলা জন্মে প্রাকৃতিক ভাবেই। তবে বর্তমানে কলার চাষ হচ্ছে আধুনিক কৃষি উতপাদন পদ্ধতিতে। এখানে উন্নত মানের প্রচুর কলা উতপন্ন হয়-যা বিদেশে রপ্তানী হয়। কারো বাড়ীতে গেলে অবশ্যই অন্যান্য খাবারের সাথে ডাব জল, ডাবের শাশ এবং কলা খেতে দেবেই। এখানকার বেশীর ভাগ মানুষই পেশা কৃষি ও মাছ শিকার এবং সেই সব পন্য রপ্তানী। সামুদ্রীক মাছ খুব সস্তা। সাধারন হোটেল রেস্তরায় একটা কিং সাইজ রেড লবস্টার (প্রায় ৫০০/৬০০ গ্রাম ওজনের) ১৫০ টাকার ভিতর। অন্যান্য ফলের মধ্যে তরমুজ পাওয়া যায় সারা বছর।

⭕️ কিভাবে যাবেন (How to Reach Lakshadweep) :

লাক্ষাদ্বীপ দুই ভাবে যাওয়া যায় ফ্লাইটে (Flight) ও জাহাজে (Ship), দুটো ক্ষেত্রেই টুর অর্গানাইজ করে স্পোর্টস (Sports) নামক লাক্ষাদ্বীপ গভর্নমেন্টের সংস্থা ও স্পোর্টসের অথরাইজড প্রাইভেট সংস্থা I
ফ্লাইটে আগাত্তি ("Agatti"only airport) নামতে হবে প্রথমে তারপর অন্য দ্বীপে যেতে হয় I যাদের হাতে প্রচুর সময় আছে তারা দল বেধে জাহাজে ভ্রমন করলেই ভারত মহা সাগর, আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরের সেই সঙ্গে লাক্ষা দ্বীপপুঞ্জের প্রকৃত সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন।
আপনারা চাইলে অনলাইনে golakhadweep কোম্পনির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, বুকিং প্রসেস খুব সহজ I

🔺️ For Lakshadweep package booking Contact:-

👉 GoL Travels Pvt Ltd (Govt. Authorised Travel Agency)
Pallichal Rd, Thoppumpadi,Kochi

Website:- www.golakshadweep.com
[email protected]

⭕️ কোথায় থাকবেন (Where to Stay):

লাক্ষাদ্বীপে বহু কটেজ রয়েছে থাকার জন্য। কাভারেত্তি, কালপেনি, কাদমাত , বাঙ্গারাম ইত্যাদি দ্বীপে একাধিক হোমস্টে রয়েছে থাকার জন্য। সঙ্গে সরকারি লজও রয়েছে। আগাট্টিতে সরকারি গেস্ট হাউসের ফোন নম্বর (Agatti Govt. Guest House Contact) – 04894 242933.

⭕️ লাক্ষাদ্বীপে কি কি করবেন (Activities in Lakshadweep):

সবার প্রথম দুচোখ ভরে উপভোগ করুন জায়গাটা(Blue sea), এরপর বিভিন্ন ওয়াটার একটিভিটি করুন স্কুবা, স্নোর্কেলিং, ব্যানানা রাইড, জেটস্কি (Various water activities like Scoova diving, Snorkeling, jetski, banana ride).

⭕️ খরচ কেমন (Package Cost):

প্যাকেজের খরচ সিজন অনুযায়ী ভ্যারি করে 40000 টাকা মাথাপিছু (Package starting around 40000 per head) থেকে শুরু মোটামুটি I এরপর বিভিন্ন রকমের প্যাকেজ নেওয়া যায় I এর মধ্যে প্রতিটা দ্বীপে কিছু কিছু ওয়াটার একটিভিটি সবকিছু ধরা থাকে I

⭕️ যাওয়ার সেরা সময় (Best time to visit):
অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি (October- February).

⭕️ ভাষা (Language):

ইংরেজি ও হিন্দি চলে (English & Hindi) , দ্বীপের মানুষরা বিভিন্ন আলাদা আলাদা ভাষায় কথা বলেন তবে হিন্দি বোঝেন I

⭕️ লাক্ষাদ্বীপের দর্শনীয় স্থান (Places to visit in Lakshadweep):

• বাঙ্গারাম(Bangaram): একটি ছোট অশ্রুবিন্দুর আকৃতির দ্বীপ, যা আগাত্তি এবং কাভারাত্তির একেবারে কাছেই অবস্থিত। এটি লাক্ষাদ্বীপের একমাত্র জনবসতিহীন দ্বীপ এবং এটি ফসফোরেসেন্ট প্লাঙ্কটনের জন্য পরিচিত। যা রাতে প্রবাল বালির তীরে ধুয়ে সৈকতকে নীলাভ করে তোলে।

• আগাত্তি(Agatti): বিশ্বের অন্যতম নৈসর্গিক লেগুনগুলির মধ্যে একটি রয়েছে আগাত্তিতে। লাক্ষাদ্বীপের মধ্যে শুধুমাত্র আগাত্তিতেই এয়ারস্ট্রিপ রয়েছে।

• কাদমত(Kadmat island): কাদমত আট কিমি দীর্ঘ। আর মাত্র ৫৫০ মিটার চওড়া, তাও সবথেকে চওড়া জায়গায়। এটির পশ্চিমে একটি সুন্দর অগভীর লেগুন রয়েছে, যা ওয়াটার স্পোর্টসের জন্য একেবারে আদর্শ।

• মিনিকয়(Minicoy): এটি মূল দ্বীপপুঞ্জ থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থিত। উত্তর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অন্যতম একটি বড় লেগুন আছে।

• কালপেনি(Kalpeni): তিলাক্কাম এবং পিটির দুটি ছোট দ্বীপ এবং উত্তরে চেরিয়াম দ্বীপের সঙ্গে কালপেনি একটি একক দ্বীপ গঠন করে। কালপেনির একটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হল এর পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল বরাবর প্রবাল ধ্বংসাবশেষের একটি বিশাল তীর।

• কাভারাত্তি(Kavaratti): এটি প্রশাসনিক সদর দফতর এবং সর্বাধিক উন্নত দ্বীপ। দ্বীপটি জুড়ে ৫২টি মসজিদ বিস্তৃত, যার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর হল উজরা মসজিদ।

• জাহাজের ধ্বংসাবশেষ (Shipwreck in Minicoy): মিনিকয় লাক্ষাদ্বীপের একমাত্র দ্বীপ যেখানে দ্বীপপ্রাচীরের আট মিটার গভীরতার মধ্যে এসএস হোচস্ট এবং অন্যান্য জাহাজের তিনটি বড় জাহাজের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে বলে মনে করা হয়।

• ওয়াটার স্পোর্টস(Water Sports): বেশিরভাগ পর্যটন প্যাকেজগুলিতে কায়াক, ক্যানো, প্যাডেল বোট, সেল বোট, উইন্ড সার্ফার, স্নোর্কেল এবং অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উত্সাহীরা বড় গেম ফিশিংয়ে লিপ্ত হতে পারেন। অভিজ্ঞ ক্রু সহ স্থানীয় নৌকা ভাড়া করা যেতে পারে।

• ডাইভিং(Diving): কাদমাত ভারতের সবচেয়ে সুন্দর ডাইভিং লোকেশনগুলির মধ্যে একটি I মিনিকয় ডাইভ সেন্টার এবং ডলফিন ডাইভ সেন্টার (কাভারাত্তি) এছাড়াও একটি খুব ভাল ডাইভ বিকল্প।

ধন্যবাদ 🙏
লেখা :- কুন্তল ভৌমিক
ছবি:- সংগৃহীত
©️Bangalir_Safar
#বাঙালির_সফর

দার্জিলিং হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি শহর ও পুরসভা। এই শহরটি হিমালয়ের শিবালিক পর্বতশ্রেণিতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬,৭০...
30/06/2023

দার্জিলিং হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি শহর ও পুরসভা। এই শহরটি হিমালয়ের শিবালিক পর্বতশ্রেণিতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬,৭০০ ফু (২,০৪২.২ মি) উচ্চতায় অবস্থিত। শহরটি চা শিল্প, বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য ও ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের জন্য খ্যাত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের আংশিক স্বায়ত্ত্বশাসিত জেলা দার্জিলিঙের সদর দফতর এই শহরেই অবস্থিত।
উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ব্রিটিশ ভারতের ঔপনিবেশিক প্রশাসন এই এলাকায় একটি স্যানেটোরিয়াম ও একটি সামরিক ডিপো স্থাপন করার পর এই শহরের নথিবদ্ধ ইতিহাসের সূচনা ঘটে। এরপর এই অঞ্চলে প্রচুর চা বাগান গড়ে ওঠে এবং চা উৎপাদকেরা কালো চায়ের সংকর উৎপাদন করতে শুরু করেন এবং নতুন ধরনের গাঁজন প্রক্রিয়ার উদ্ভাবনা করেন। এর ফলে যে বিশেষ দার্জিলিং চায়ের উদ্ভব ঘটে, তা আন্তার্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি লাভ করে এবং বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় কালো চাগুলির মধ্যে অন্যতম আসন গ্রহণ করে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেল এই শহরকে সমতলের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ভারতের যে অল্প কয়েকটি বাষ্পচালিত ইঞ্জিন এখনও কার্যকরী, তার মধ্যে কয়েকটি এই রেলের অন্তর্গত।
দার্জিলিং শহরে ব্রিটিশ-ধাঁচের একাধিক পাবলিক স্কুল রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং কয়েকটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করতে আসে। লেপচা, খাম্পা, গোর্খা, নেওয়ার, শেরপা, ভুটিয়া, বাঙালি ও ভারতের অন্যান্য জাতি ও ভাষাগোষ্ঠীর সমাবেশ দার্জিলিঙের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯৮০-এর দশকে দার্জিলিং এবং পার্শ্ববর্তী জেলার সদর কালিম্পং ছিল গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল।

সংগৃহীত

বৃষ্টিতে ভেজা কলকাতাছবি:  ০৯ অক্টবর, ২০১৯ (বুধবার)
30/06/2023

বৃষ্টিতে ভেজা কলকাতা

ছবি: ০৯ অক্টবর, ২০১৯ (বুধবার)

সিকিম উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য এবং উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র। সিকিমের রাজধানী শহর গ্যাংটক। আয়তনে ভারতের দ্বিতীয় ...
30/06/2023

সিকিম উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য এবং উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র। সিকিমের রাজধানী শহর গ্যাংটক। আয়তনে ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম প্রদেশ । এর উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বত, পূর্বে ভুটান, পশ্চিমে নেপাল এবং দক্ষিণে ভারতের অপর একটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সিকিম বাংলাদেশের নিকটবর্তী ভারতের শিলিগুড়ি করিডোরের কাছাকাছি অবস্থিত। সিকিম ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা কম জনবহুল। পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের একটি অংশ সিকিম, আল্পাইন এবং উপক্রান্তীয় জলবায়ু সহ এর জীব বৈচিত্র্যের জন্য উল্লেখযোগ্য এবং সেইসাথে সিকিমে অবস্থিত কাঞ্চনজঙ্ঘা ভারতের সর্বোচ্চ এবং পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শিখর। সিকিমের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর গ্যাংটক। রাজ্যের প্রায় ৩৫% এলাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যান দ্বারা আচ্ছাদিত।
সিকিম রাজ্যটি ১৭ শতকের নামগিয়াল রাজবংশের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। রাজ্যটি চোগিয়াল নামে পরিচিত একজন বৌদ্ধ পুরোহিত রাজা দ্বারা শাসিত ছিল। ১৮৯০ সালে এটি ব্রিটিশ ভারতের অধীনে একটি জমকালো রাজ্য হয়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালের পরে সিকিম ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের অঙ্গরাজ্য হিসাবে ছিল। হিমালয় অঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সিকিমে সাক্ষরতার হার এবং মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি। ১৯৭৩ সালে চোগিয়ালের প্রাসাদের সামনে রাজতন্ত্র বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়। ১৯৭৫ সালে জনগণ সিকিমীয় রাজতন্ত্রকে দমন করে। ১৯৭৫ সালে গণভোটের পরে সিকিম ভারতবর্ষে ২২ তম রাজ্য হিসেবে যুক্ত হয়।
আধুনিক সিকিম একটি বহুজাতিক এবং বহুভাষী ভারতীয় রাজ্য। সিকিমের ১১ টি সরকারি ভাষা রয়েছে: নেপালি, সিকিমিজ, লেপচা, তামাং, লিম্বু, নেওয়ারি, রায়, গুরুং, মগার, সুনওয়ার এবং ইংরেজি। ইংরেজি ভাষা স্কুলে পড়ানো হয় এবং সরকারী নথিতে ব্যবহৃত হয়। হিন্দুধর্ম এবং বজ্রায়ণ বৌদ্ধ ধর্ম হল সিকিমের প্রধান ধর্ম। সিকিমের অর্থনীতি মূলত কৃষি ও পর্যটনের উপর নির্ভরশীল এবং ২০১৪ সালের হিসাবে ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে এই রাজ্যটির তৃতীয়-ক্ষুদ্রতম জিডিপি ছিল, যদিও এটি বর্তমানে দ্রুত বর্ধমান অবস্থার মধ্যে রয়েছে।
সিকিম ভারতের বৃহত্তম এলাচ উৎপাদক রাজ্য এবং গুয়াতেমালার পর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এলাচ উৎপাদক। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সিকিম, তার কৃষিকে সম্পূর্ণভাবে জৈব পদ্ধতিতে রূপান্তরিত করে প্রথম ভারতীয় রাজ্য হিসাবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। এটি ভারতের সবচেয়ে পরিবেশগতভাবে সচেতন রাজ্য, যার ফলে প্লাস্টিকের জলের বোতল এবং স্টাইরোফোম ইত্যাদি পণ্য এখানে নিষিদ্ধ।

সংগৃহীত

কুতুব মিনার ভারতের নতুন দিল্লিতে অবস্থিত একটি স্তম্ভ বা মিনার, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ইটনির্মিত মিনার। এটি কুতুব কমপ্লেক্সে...
30/06/2023

কুতুব মিনার ভারতের নতুন দিল্লিতে অবস্থিত একটি স্তম্ভ বা মিনার, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ইটনির্মিত মিনার। এটি কুতুব কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত। ভারতের প্রথম মুসলমান শাসক কুতুবুদ্দিন আইবেকের আদেশে ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে কুতুব মিনারের নির্মাণকাজ শুরু হয় তবে ১৩৮৬ খ্রিষ্টাব্দে মিনারের উপরের তলাগুলোর কাজ সম্পূর্ণ করেন ফিরোজ শাহ তুঘলক। কুতুব মিনার ভারতীয়-মুসলিম স্থাপত্যকীর্তির গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন।
এর আশে-পাশে আরও বেশ কিছু প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় স্থাপনা ও ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যা একত্রে কুতুব কমপ্লেক্স হিসেবে পরিচিত। এই কমপ্লেক্সটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে তালিকাবদ্ধ হয়েছে এবং এটি দিল্লির অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। এটি ২০০৬ সালে সর্বোচ্চ পরিদর্শিত সৌধ, পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৩৮.৯৫ লাখ যা তাজমহলের চেয়েও বেশি, যেখানে তাজমহলের পর্যটন সংখ্যা ছিল ২৫.৪ লাখ। প্রখ্যাত সুফি কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।
কুতুব মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা ও অর্থায়ন করা হয়েছিল ঘুরিদের দ্বারা, যারা ভারতে চলে আসেন এবং তাদের সাথে ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ঘুরিদের , ঐতিহাসিকভাবে শানসাবানী নামে পরিচিত, ছিল তাজিক বংশোদ্ভূত একটি গোষ্ঠী যা বর্তমান পশ্চিম আফগানিস্তানের পাহাড়ী অঞ্চল ঘোর প্রদেশ থেকে আগত। একাদশ শতাব্দীর শেষ থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, এই যাযাবর গোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায় একত্রিত হয়, যারা যাযাবর সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলে। এ সময় তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।
পরবতীতে, তারা আধুনিক ভারতে বিস্তৃত হয় এবং দ্রুত দেশের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ঘুরীরা ১১৭৫-৭৬ সালে পশ্চিম পাঞ্জাবের মুলতান ও উচ,বাহাওয়ালপুর , ১১৭৭ সালে পেশোয়ারের আশেপাশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং ১১৮৫-৮৬ সালে সিন্ধু অঞ্চলকে যুক্ত করে। ১১৯৩ সালে, কুতুব আল-দিন আইবেক দিল্লী জয় করেন এবং প্রদেশে একটি ঘূরিদ গভর্নরশিপ প্রয়োগ করেন। ১১৯৩ সালে কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে জামাতের মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। অতীতে, পণ্ডিতরা বিশ্বাস করতেন যে কমপ্লেক্সটি ঘূরিদের নতুন বিষয়গুলির মধ্যে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার পাশাপাশি একটি সামাজিক-ধর্মীয় ব্যবস্থার প্রতি ঘূরিদের আনুগত্যের প্রতীক হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল। এখন নতুন তথ্য এসেছে যে ইসলামে ধর্মান্তরিতকরণ নতুন সংযোজনের শীর্ষ অগ্রাধিকার ছিল না এবং এর পরিবর্তে ঘুরিদ গভর্নররা আলোচনার মাধ্যমে স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ইসলামের সংশ্লেষণ করতে চেয়েছিলেন।
কুতুব মিনারটি ধিল্লিকার দূর্গের কিলা রাই পিথোরার ধ্বংসাবশেষের উপর নির্মিত হয়েছিল। কুতুব মিনার শুরু হয়েছিল কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদের পরে, যেটি ১১৯২ সালের দিকে দিল্লী সালতানাত-এর প্রথম সালতানাত মামলুক সালতানাত-এর প্রথম শাসক কুতুবুদ্দিন আইবেক দ্বারা নির্মাণকার্য শুরু হয়।
সাধারণত মনে করা হয় যে টাওয়ারটির নামকরণ করা হয়েছে কুতুবুদ্দিন আইবকের নামে , যিনি এটি শুরু করেছিলেন। এটাও সম্ভব যে এটি কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীর নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি ১৩ শতকের একজন সুফি সাধক, কারণ শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশ তাঁর ভক্ত ছিলেন।
এটি ক্লোস্টার দ্বারা ঘেরা একটি আয়তক্ষেত্রাকার প্রাঙ্গণ নিয়ে গঠিত, ২৭টি জৈন ও হিন্দু মন্দিরের খোদাই করা স্তম্ভ এবং স্থাপত্যে নির্মিত, যা কুতুব-উদ-দিন আইবক প্রধান পূর্ব প্রবেশদ্বারের শিলালিপিতে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। পরবর্তীতে, একটি উঁচু খিলানযুক্ত পর্দা তৈরি করা হয় এবং তৃতীয় মামুলুক সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ (খ্রিস্টাব্দ ১২১০-৩৫) এবং দ্বিতীয় খিলজি সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি দ্বারা মসজিদটি বড় করা হয়। প্রাঙ্গণের লোহার স্তম্ভটিতে খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর ব্রাহ্মী লিপিতে সংস্কৃতে একটি শিলালিপি রয়েছে, যে অনুসারে স্তম্ভটি চন্দ্র নামক এক পরাক্রমশালী রাজার স্মরণে বিষ্ণুপদ নামে পরিচিত পাহাড়ে বিষ্ণুধ্বজ (দেবতা বিষ্ণুর মান) হিসাবে স্থাপন করা হয়েছিল।
মসজিদ কমপ্লেক্সটি ভারতীয় উপমহাদেশে টিকে থাকা প্রাচীনতমগুলির মধ্যে একটি।
১৫০৫ সালে, একটি ভূমিকম্প দ্বারা কুতুব মিনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়; এটি মেরামত করেছিলেন দ্বিতীয় লোদি সুলতান সিকান্দার লোদি ।
পরবর্তীতে, ১৮০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর একটি বড় ভূমিকম্পে পুনরায় মারাত্মক ক্ষতি হয়। ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর রবার্ট স্মিথ ১৮২৮ সালে টাওয়ারটি সংস্কার করেন এবং পঞ্চম তলায় একটি স্তম্ভযুক্ত কুপোলা স্থাপন করেন। ১৮৪৮ সালে ভারতের গভর্নর জেনারেল দ্য ভিসকাউন্ট হার্ডিঞ্জের নির্দেশে কুপোলাটি নামানো হয়। পরবর্তী সময়ে এটি কুতুব মিনারের পূর্বে স্থল স্তরে পুনঃস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে এটি অবশিষ্ট রয়েছে।
এটি ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় যুক্ত হয়।
[সংগৃহীত]

তাজমহল ভারতের উত্তর প্রদেশে আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি...
30/06/2023

তাজমহল ভারতের উত্তর প্রদেশে আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মুমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে যা সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দে।
তাজমহলকে মুঘল স্থাপত্যশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়, যার নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন ঘটানো হয়েছে। যদিও সাদা মার্বেলের গোম্বুজাকৃতি রাজকীয় সমাধিটিই বেশি সমাদৃত, তাজমহল আসলে সামগ্রিকভাবে একটি জটিল অখণ্ড স্থাপত্য। এটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্বঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল।[৩] তখন একে বলা হয়েছিল 'বিশ্ব ঐতিহ্যের সর্বজনীন প্রশংসিত শ্রেষ্ঠকর্ম।'
তাজমহল বিশ্বের অপূর্ব সুন্দর স্মৃতিসৌধ ও মনোমুগ্ধকর নিদর্শন। ভালোবাসার অবিশ্বাস্য স্মরণীয় ভাস্কর্য। ইসলামিক স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন যা শান্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক।
১৬৩১ খ্রিষ্টাব্দে শাহজাহান, যিনি মুঘল আমলের সমৃদ্ধশালী সম্রাট ছিলেন, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মুমতাজ মহল-এর মৃত্যুতে প্রচণ্ডভাবে শোকাহত হয়ে পড়েন। মুমতাজ মহল তখন তাদের চতুর্দশ কন্যা সন্তান গৌহর বেগমের জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন[৪]।
তাজমহলের নির্মাণ কাজ মুমতাজের মৃত্যুর পর শুরু হয়। মূল সমাধিটি সম্পূর্ণ হয় ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে এবং এর চারদিকের ইমারত এবং বাগান আরও পাঁচ বছর পরে তৈরি হয়।

তাজমহলের মূলে হল তার সাদা মার্বেল পাথরের সমাধি। যা অন্যান্য মুঘল সমাধির মত মূলত পারস্যদেশীয় বৈশিষ্ট্য, যেমন আইওয়ানসহ প্রতিসম ইমারত, একটি ধনুক আকৃতির দরজা, উপরে বড় গম্বুজ রয়েছে। সমাধিটি একটি বর্গাকার বেদিকার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভিত্তি কাঠামোটি বিশাল এবং কয়েক কক্ষবিশিষ্ট। প্রধান কক্ষটিতে মুমতাজ মহল ও শাহজাহানের স্মৃতিফলক বসানো হয়েছে, তাদের কবর রয়েছে এক স্তর নিচে।
ভিত্তিটি আদতে একটি কোণগুলো ভাঙা ঘনক্ষেত্র, প্রতিদিকে প্রায় ৫৫ মিটার (ডানে, মেঝের পরিকল্পনা দেখুন)। লম্বা পাশে একটি বড় পিস্তাক, অথবা বড় ধনুক আকৃতির পথ, আইওয়ানের কাঠামো, সাথে উপরে একই রকমের ধনুক আকৃতির বারান্দা। এই প্রধান ধনুক আকৃতির তোরণ বৃদ্ধি পেয়ে উপরে ইমারতের ছাদের সাথে যুক্ত হয়ে সম্মুখভাগ তৈরি করেছে। তোরণের অপর দিকে, বাড়তি পিস্তাকসমূহ উপরে পিছনের দিকে চলে গেছে, পিস্তাকের এই বৈশিষ্ট্যটি কোণার দিকে জায়গায় একইভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। নকশাটি সম্পূর্ণভাবে প্রতিসম এবং ইমারতের প্রতিটি দিকেই একই রকম। চারটি মিনার রয়েছে, ভিত্তির প্রতিটি কোণায় একটি করে মিনার, ভাঙা কোণার দিকে মুখ করে রয়েছে।
সমাধির উপরের মার্বেল পাথরের গম্বুজই সমাধির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য। এর আকার প্রায় ইমারতের ভিত্তির আকারের সমান, যা প্রায় ৩৫ মিটার। এর উচ্চতা হওয়ার কারণ গম্বুজটি একটি ৭ মিটার উচ্চতার সিলিন্ডার আকৃতির ড্রাম এর উপরে বসানো।
এর আকৃতির কারণে, এই গম্বুজকে কখনো পেয়াজ গম্বুজ অথবা পেয়ারা গম্বুজ বলেও ডাকা হয়। গম্বুজের উপরের দিক সাজানো হয়েছে একটি পদ্মফুল দিয়ে, যা তার উচ্চতাকে আরও দৃষ্টি গোচড় করে। গম্বুজের উপরে একটি পুরনো সম্ভবত তামা বা কাসার দণ্ড রয়েছে যাতে পারস্যদেশীয় ও হিন্দু ঐতিহ্যবাহী অলঙ্করণ রয়েছে।
বড় গম্বুজটির গুরুত্বের কারণ এর চার কোণায় আরও চারটি ছোট গম্বুজ রয়েছে। ছোট গম্বুজগুলোও দেখতে বড় গম্বুজটির মতই। এদের স্তম্ভগুলো সমাধির ভিত্তি থেকে ছাদ পর্যন্ত উঠে গেছে। ছোট গম্বুজগুলোতেও কাসা বা তামার পুরনো দণ্ড আছে।
লম্বা মোচাকার চূড়া বা গুলদাস্তা ভিত্তি দেয়ালের পাশ দিয়ে উপরে উঠেছে এবং গম্বুজের উচ্চতায় দৃষ্টিগোচর হয়।

সংগৃহীত

অসাধারণ কিছু গাড়ী যা রাজস্থানের জয়পুরে দেখে লোভ সামলানো কঠিন
30/06/2023

অসাধারণ কিছু গাড়ী যা রাজস্থানের জয়পুরে দেখে লোভ সামলানো কঠিন

রাজস্থান আয়তনের বিচারে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের বৃহত্তম রাজ্য। শতদ্রু-সিন্ধু নদী উপত্যকা তথা ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর ...
30/06/2023

রাজস্থান আয়তনের বিচারে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের বৃহত্তম রাজ্য। শতদ্রু-সিন্ধু নদী উপত্যকা তথা ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর প্রসারিত থর মরুভূমি এই রাজ্যের অধিকাংশ অংশ জুড়ে রয়েছে। রাজ্যের উত্তর পশ্চিম সীমায় পাকিস্তান রাষ্ট্র, দক্ষিণ-পশ্চিমে গুজরাত রাজ্য, দক্ষিণ-পূর্বে মধ্যপ্রদেশ, উত্তর-পূর্বে উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা এবং উত্তরে পাঞ্জাব রাজ্য অবস্থিত।
প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহে স্থান পেয়েছে সিন্ধু সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ, যা পাওয়া গেছে কালিবঙ্গা তে; রাজ্যের একমাত্র শৈল শহর বা হিল স্টেশন প্রাচীন আরাবল্লির পর্বতশ্রেণীর মাউন্ট আবুতে অবস্থিত দিলওয়ারা মন্দির, যা জৈন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থক্ষেত্র; এবং পূর্ব রাজস্থানে, ভরতপুরের কাছাকাছি কেওলাদেও জাতীয় উদ্যান (একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান), যা পাখিরালয়ের জন্য বিখ্যাত। রাজস্থানে তিনটি জাতীয় বাঘ সংরক্ষণাগার রয়েছে, এগুলি হল সওয়াই মাধোপুরের রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যান, আলওয়ার এর সারিস্কা টাইগার রিজার্ভ এবং কোটার মুকুন্দ্র হিল টাইগার রিজার্ভ।
১৯৪২ সালের ৩০শে মার্চ রাজ্যটি গঠিত হয়েছিল যখন রাজপুতানা - এই অঞ্চলের উপর নির্ভরশীলতার জন্য ব্রিটিশ রাজ এই নাম দিয়েছিল - ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই রাজ্যের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর হল জয়পুর। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে রয়েছে যোধপুর, কোটা, বিকাণীর, আজমের ও উদয়পুর।
রাজস্থান রাজ্যের রাজধানী জয়পুর। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য হল উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ পশ্চিমে বিস্তৃত আরাবল্লী পর্বত ও থর মরুভূমি এবং প্রাচীন নগরী কালিবঙ্গানের নিকট ঘগ্গর নদীর বিলীনস্থল।
বিশ্বের প্রাচীনতম পর্বতমালাগুলির অন্যতম আরাবল্লী পর্বতশ্রেণী এই রাজ্যে অবস্থিত। আরাবল্লীর মাউন্ট আবু রাজস্থানের একমাত্র শৈলশহর। মাউন্ট আবুতেই প্রসিদ্ধ জৈন তীর্থক্ষেত্র দিলওয়াড়া মন্দির অবস্থিত। পূর্ব রাজস্থানে দুটি জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প রয়েছে। এগুলি হল রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যান ও সারিস্কা। এছাড়াও ভরতপুরের কাছে রয়েছে কেওলাদেও জাতীয় উদ্যান, যা অতীতে পক্ষীপর্যটনের জন্য বিখ্যাত ছিল।
স্বাধীনতার পর রাজপুতানা নামে পরিচিত রাজপুত শাসিত দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতে যোগ দেয়। এই রাজ্যগুলিকে একত্রিত করে ১৯৪৯ সালের ৩০শে মার্চ রাজস্থান রাজ্যটি গঠিত হয়। পূর্বতন রাজপুতানা ও বর্তমান রাজস্থান রাজ্যের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য হল এই রাজ্যে ব্রিটিশ ভারতীয় আজমের-মারওয়াড় প্রদেশটিও সংযুক্ত হয়। ভৌগোলিকভাবে রাজপুতানার বাইরে অবস্থিত মধ্যপ্রদেশের সুমেল-তাপ্পা অঞ্চলটিও রাজস্থানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
রাজস্থান ভারতের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। একাধিক ঐতিহাসিক স্থাপনার রাজ্য রাজস্থানের পর্যটন উষ্ণ আতিথেয়তা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত হোটেল ও রিসর্টের জন্য বিখ্যাত। রাজস্থানের প্রধান প্রধান পর্যটন গন্তব্য হল জয়পুর, উদয়পুর, যোধপুর ও জৈসলমের। এই শহরগুলি রেল, সড়ক ও বিমানপথে ভারত ও বহির্ভারতের অন্যান্য শহরের সঙ্গে সুসংযুক্ত।

সংগৃহীত

ইন্ডিয়া গেট, যাকে দিল্লি মেমোরিয়ালও বলা হয়, এটি একটি যুদ্ধের স্মারক এবং এটি ভারতের একটি স্থাপত্যের বিস্ময়ের প্রতীক। ...
23/06/2023

ইন্ডিয়া গেট, যাকে দিল্লি মেমোরিয়ালও বলা হয়, এটি একটি যুদ্ধের স্মারক এবং এটি ভারতের একটি স্থাপত্যের বিস্ময়ের প্রতীক। এটি ব্রিটিশ ভারতের সৈন্যদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে যারা 1914 এবং 1919 সালের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধে মারা গিয়েছিল। এই স্মৃতিস্তম্ভটি প্রায়শই বলিউডের সিনেমা, ডকুমেন্টারি বা সোপ অপেরায় দেখানো হয় যেখানে দিল্লির অবস্থান। ইন্ডিয়া গেট রাজপথ রোড বরাবর লম্বা এবং শহরের সবচেয়ে দর্শনীয় স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে একটি। স্থপতি স্যার এডউইন লুটিয়েন্স 1921 সালে এই আইকনিক সৌন্দর্যের নকশা করেছিলেন। তিনি দিল্লিতে এই 42 মিটার উঁচু দৈত্যাকার স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি করতে বেলেপাথর ব্যবহার করেছিলেন। ইন্ডিয়া গেট দিল্লি দিল্লির নাগরিকদের জন্য সেরা পিকনিক স্পট হিসাবে কাজ করে এবং এটি মিছিল এবং বিক্ষোভের জায়গাও।
ইন্ডিয়া গেট হল 70,000 সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা যারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিল। ইম্পেরিয়াল ওয়ার গ্রেভস কমিশন (আইডব্লিউসিজি) স্যার এডউইন লুটিয়েন্স দ্বারা ডিজাইন করা লম্বা কাঠামোটি তৈরি করেছিলেন। 1921 সালে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী, চেমসফোর্ড, ভাইসরয়, ইম্পেরিয়াল সার্ভিস ট্রুপস এবং কমান্ডার-ইন-চিফের অফিসারদের উপস্থিতিতে ডিউক অফ কনট (রাণী ভিক্টোরিয়ার তৃতীয় পুত্র) এই কাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন এবং উদ্বোধন করেছিলেন। 1931 সালে ভাইসরয় লর্ড আরউইন করেছিলেন। পরবর্তীতে, 1972 সালে একটি নতুন কাঠামো যুক্ত করা হয়েছিল - অমর জওয়ান জ্যোতি - 1971 সালের ভারত-পাক যুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী সৈন্যদের সম্মানে।

[সংগৃহীত লেখা]

ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের উত্তর দিকে অবস্থিত কুইন্স ওয়ে, ডান্সিং ফাউন্টেন, তারপর বিস্তীর্ণ ব্রিগেড প্যারেড ময়দান; দক্ষিণ...
23/06/2023

ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের উত্তর দিকে অবস্থিত কুইন্স ওয়ে, ডান্সিং ফাউন্টেন, তারপর বিস্তীর্ণ ব্রিগেড প্যারেড ময়দান; দক্ষিণে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস রোড এবং তারপর আইপিজিএমইআর এবং এসএসকেএম হাসপাতাল; পূর্বে কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল , এম. পি. বিড়লা তারামণ্ডল, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, এবং রবীন্দ্রসদন; আর পশ্চিমে কলকাতা রেস কোর্স ময়দান। স্মৃতিসোধ ভবনের উত্তর এবং দক্ষিণ দু-দিকেই বিশাল ফটক। উত্তর ফটক থেকে ভবন পর্যন্ত চওড়া রাস্তার দু-দিকে দুই প্রকাণ্ড জলাধার একাধারে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রদর্শনের মনোরম শোভা বর্ধন করে। যে দৃশ্য চাক্ষুষ করে অথবা লেন্সবন্দি করে সব বয়সের প্রেমিকপ্রেমিকা-ই রীতিমতো নস্টালজিক হয়ে যায়! সুরম্য উদ্যান পরিবেষ্টিত বড়ো বড়ো গাছের কাণ্ডের খোপে খোপে অসংখ্য নবীন প্রেমীযুগলের অবস্থানে গোধূলিতে মৌনমুখরতার আবেশ পাওয়া যায় আজো! শ্বেতপাথরে নির্মিত সুবৃহৎ ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নির্মাণকার্য শুরু হয় ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে। সৌধটির উদ্বোধন হয় ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে। সৌধের সর্বোচ্চ গম্বুজে বিউগল-ধারিণী বিজয়দূতীর একটি কালো ব্রোঞ্জমূর্তি রয়েছে। বায়ুপ্রবাহ শক্তিশালী হলে বল-বিয়ারিং যুক্ত একটি পাদপীঠের উপর স্থাপিত মূর্তিটি হাওয়ামোরগের কাজ করে। আই আই ই এস টি-প্রাক্তনী এ সি মিত্র ভিক্টোরিয়ার নির্মাণপ্রকল্পের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার। এক উচ্চ পর্যায়ের পরিবেশ বিজ্ঞানীমহলের অভিমত হল, কলকাতার দূষণের ফলে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের সাদা পাথরে মলিনতার ছোঁয়া লাগছে। এই দূষণ থেকে শতাব্দীপ্রাচীন সৌধকে রক্ষা করাটা খুবই জরুরি; কেননা, ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ কলকাতার গর্বের প্রতীকরূপে বিশ্বের অঙ্গনে প্রতিভাত!

[সংগৃহীত লিখা]

শহর জুড়ে যেন প্রেমের মরসুমআলোতে মাখামাখি আমার এ গ্রীনরুমকখনও নেমে আসে অচেনা প্যারাসুটতোমাকে ভালোবেসে আমার এ চিরকুটকলকাতা...
23/06/2023

শহর জুড়ে যেন প্রেমের মরসুম
আলোতে মাখামাখি আমার এ গ্রীনরুম
কখনও নেমে আসে অচেনা প্যারাসুট
তোমাকে ভালোবেসে আমার এ চিরকুট

কলকাতা, তুমিও হেঁটে দেখো
কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো
কলকাতা, তুমিও হেঁটে দেখো
কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো
যাবে কি না যাবে আমার সাথে

ঘুম ভাঙে এসপ্ল্যানেড
খোলা ভাঙে চীনেবাদাম
চেনা কোনো ঘাসের দাগ
শুয়ে থাকা কি আরাম

শহর জুড়ে যেন প্রেমের মরসুম
আলোতে মাখামাখি আমার এ গ্রীনরুম
কখনও নেমে আসে অচেনা প্যারাসুট
তোমাকে ভালোবেসে আমার এ চিরকুট

কলকাতা, তুমিও হেঁটে দেখো
কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো
কলকাতা, তুমিও হেঁটে দেখো
কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো
যাবে কি না যাবে আমার সাথে

খুঁজে দিতে না পারলে আড়ি
আমার ব্যোমকেশ বক্সীর বাড়ি
তবেই তোমার কথা কলকাতা কলকাতা
সব কিছু মেনে নিতে পারি

কেন এ অসম্ভবে
ডেকে আনো আমাকে
ছুঁয়ে থাকে হাতটাকে
কবিতার ছাদ টাকে
কলকাতা, তুমিও হেঁটে দেখো
কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো
কলকাতা, তুমিও হেঁটে দেখো
কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো
কলকাতা, তুমিও হেটে দেখো
কলকাতা, তুমিও ভেবে দেখো
যাবে কি না যাবে আমার সাথে

কলকাতার প্রথম দিকের কিছু ইংরেজ কোয়ার্টার ডালহৌসি স্কোয়ার নামে পরিচিত একটি এলাকায় অবস্থিত ছিল। এর কাছাকাছি টেরেটি ও লা...
21/06/2023

কলকাতার প্রথম দিকের কিছু ইংরেজ কোয়ার্টার ডালহৌসি স্কোয়ার নামে পরিচিত একটি এলাকায় অবস্থিত ছিল। এর কাছাকাছি টেরেটি ও লালবাজার ছিল ব্রিটিশদের চিরাচরিত কেনাকাটার জায়গা। পরবর্তীতে কাশাইটোলা, ধর্মতলা ও চৌরঙ্গীতে বসতি গড়ে ওঠে। ১৮৫০-এর দশকে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা কলকাতায় আধিপত্য বিস্তার করে ও "স্থানীয়"-দের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবজ্ঞা প্রদর্শন করে এবং বাজারে তাদের সাথে কাঁধে লাগালাগির করার প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে। ১৮৭১ সালে ইংরেজ বাসিন্দাদের ঐক্যবদ্ধ আক্রোশের কারণে কলকাতা পৌরসংস্থার একটি কমিটি এমন একটি বাজারের কথা ভাবতে শুরু করে যা কলকাতার ব্রিটিশ বাসিন্দাদের জন্য রাখা হবে। কমিটির আলোচনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে কলকাতা কর্পোরেশন লিন্ডসে স্ট্রিট কিনেছিল, তারা সেখানে অবস্থিত পুরানো ফেনউইকস বাজারটি ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করে ও ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানির একজন স্থপতি রিচার্ড রোসকেল বেইনকে ভিক্টোরীয় গথীয় বাজার কমপ্লেক্সের নকশা করার জন্য কমিশন দিয়েছিল যা তার জায়গা নেবে। এটি ১৮৭৩ সালে নির্মিত হতে শুরু করে এবং বেইনকে তার কৃতিত্বের জন্য অর্থ দিয়ে সম্মানিত করা হয়। ১,০০০ রুপি পুরস্কার, ১৮৭০ এর দশকে এটি ছিল একটি বড় অঙ্ক। এর নির্মাতা ছিলো ম্যাকিনটোশ বার্ন।

১ জানুয়ারী ১৮৭৪ সালে কিছু ধুমধাম করে বিশাল বাজার তোরণটি ইংরেজ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। কলকাতার প্রথম পৌর বাজারের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সারা ভারত থেকে বিত্তশালী ঔপনিবেশিকরা র‍্যাঙ্কেন অ্যান্ড কোম্পানি, কাথবার্টসন এবং হার্পার এবং বিখ্যাত স্টেশনার এবং বই-বিক্রেতা আরডব্লিউ নিউম্যান বা থ্যাকার স্পিঙ্কের মতো একচেটিয়া খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কেনাকাটা শুরু করেন।

কলকাতা কর্পোরেশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান স্যার স্টুয়ার্ট হগ নিউ মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনার প্রতি দৃঢ় সমর্থন দেখিয়েছিলেন। তাই ২৮ বছর পর, ২ ডিসেম্বর ১৯০৩-এ, বাজারটির আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয় স্যার স্টুয়ার্ট হগ মার্কেট এবং পরে নামটি হগ মার্কেটে সংক্ষিপ্ত করা হয়। ব্রিটিশ যুগে বাঙালি সমাজ একে হগ সাহেবের বাজার নামে অভিহিত করত, যে নামটি এখনও প্রচলিত, ঠিক যেমন স্যার স্টুয়ার্ট হগের একটি চিত্রকর্ম এখনও কলকাতা কর্পোরেশনের প্রতিকৃতি চিত্রশালায় ঝুলছে। কিন্তু প্রাচীনতম অস্থায়ী ডাকনাম নিউ মার্কেট যা সর্বত্র ব্যবহৃত ছিল, তা সবচেয়ে প্রভাবশালী নাম হিসেবে প্রমাণিত হয়।

নিউ মার্কেটের বৃদ্ধি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত শহরের সাথে তাল মিলিয়েছিল। বাজারের উত্তর অংশটি ১৯০৯ সালে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে উঠে আসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ সত্ত্বেও দক্ষিণ প্রান্তে একটি সম্প্রসারণ পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং বাজারের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত ঐতিহাসিক ঘড়ি টাওয়ারটি হাডার্সফিল্ড থেকে পাঠানো হয়েছিল এবং ১৯৩০ সালে স্থাপন করা হয়েছিল। ফুল বিক্রেতারা সামনের প্রবেশপথের কাছে থাকত ও বাজারের পিছনের দিকে তাজা এবং সংরক্ষিত খাবার বিক্রির দোকান স্থাপন করা হয়েছিল। সবজির দোকানের বাইরে মৎস্য আহরণকারী এবং কসাইখানার কসাইরা তাদের ব্যবসা চালাত এবং ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাজারের একেবারে পিছনে সমস্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে পোষা প্রাণী হিসেবে বহিরাগত প্রাণী কেনা যেত।
কলকাতা জুড়ে নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, মার্কিন-শৈলীর শপিং মলের উপস্থিতি সত্ত্বেও দুটি বিধ্বংসী দাবানল এবং নিয়মিত বন্যা থেকে বেঁচে যাওয়া নিউ মার্কেট, শহরের কেনাকাটার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এর ছাদের নিচে ২০০০ টিরও বেশি দোকান পোশাক থেকে শুরু করে চাকাযুক্ত লাগেজ থেকে ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে এমন এক বিশেষ পনির সব কিছু বিক্রি করে যা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এর আপাত জটের সাথে অসাধারণ পণ্যের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য দর কষাকষির ব্যবস্থা রয়েছে। নিউমার্কেট হল পোশাক ও আনুষাঙ্গিক, ফুল, কাঁচা মাংস, মাছ, শাকসবজি ও ফল এবং এমনকি মশলা সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী কেনার জায়গা। এখানে ক্রোকারিজ ও পাত্রের দোকান রয়েছে। এখানে বহিরাগত ফুলের জন্য ব্যবসা করার জন্য একটি ফুল বিভাগ রয়েছে। বিভাগটি লিন্ডসে স্ট্রিটে অবস্থিত যা কলকাতার চৌরঙ্গী সড়কের ঠিক দূরে, বাজারটি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত খোলা থাকে, শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত এবং রবিবার বন্ধ থাকে।

সংগৃহিত

The beauty of
01/03/2023

The beauty of

দার্জিলিং
02/02/2022

দার্জিলিং

https://lm.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fbangla.dhakatribune.com%2Fbangladesh%2F2021%2F10%2F16%2F41508&h=AT1w7pBCP5...
19/10/2021

https://lm.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fbangla.dhakatribune.com%2Fbangladesh%2F2021%2F10%2F16%2F41508&h=AT1w7pBCP59Xf2UPnOCM7jmo6WaVm1M39mTpa0ojaq-fMH51lJbYIq9e-iVZwK0zFwEUN1iRIMvm2ZQdXQ-Ov3saKWyep2gHdESmQK_fueILJ8HWc7D0arxrWpW4mFoWyKT6

ই-পাসপোর্টধারীদের ইমিগ্রেশনের জন্য ভিসা চেকিং-এর লাইনে দাড়াতে হবে না। বরং তারা ইলেকট্রনিক গেট ব্যবহার করে খুব দ্...

The Beauty of Taj
09/09/2021

The Beauty of Taj

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dream to Tour Plan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share