Kyokushin Adventure

17/06/2024

27/05/2024

25/05/2024

Always 🖤

22/05/2024

কোনো এক নিশি রাতে কাকতালীয় ভাবে একটা পরিতেক্ত গুহার খবর পাই, লোকাল নাম হলো *কুদুম গুহা । তারপর যা হবার ঠিক তাই হলো, পাগল হয়ে উঠলাম দেখার জন্য..। কিন্তু সমস্যা হলো যতোজনকে জিজ্ঞেস করলাম তাদের সবার কাছেই জায়গাটা অচেনা ।

অবশেষে কিছু লোকাল কন্ট্রাক্ট কাজে লাগিয়ে একটা খোঁজ পেলাম রহস্যময় সেই গুহার আর সাথে পেলাম ভয়ঙ্কর অশনি সংকেত। গুহাটা যেহেতু পরিতেক্ত এবং মানুষ জন ঢুকে না, তাই এর ভিতরকার অবস্থা তাদের অজানা ছিল, এমনকি ভিতরে গুহাটা কতখানি গভীর তার সম্পর্কেও কোনো ধারণা তাদের ছিলো না। জায়গাটাতে সাপ তো থাকবেই আরো কতকি থাকতে পারে তার কোন ইয়াত্তা নাই ঠিক এমনই কিছু তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমি আমার মন স্থির করে ফেললাম ।

এর পরের ধাপটাও কম রোমাঞ্চকর ছিলো না । জায়গাটা পরিতেক্ত হবার কারণে সেখানটায় ডাকাতের বেপক উপদ্রুপ রয়েছে, তাই কোনো গাড়ি সেখানে যেতে রাজি হচ্ছিল না । আমাদের চার-৪টি গাড়ি ঠিক হবার পরও বাতিল করতে হয়েছে ডাকাতের ভয়ে। কিন্তু শেষ পযন্ত ভাগ্য আমাদের সাথে সহায় হয়েছিল বটে।

যাই হোক অবশেষে কাঙ্খিত জায়গায় গাড়ি থেকে নেমে প্রায় ৩০/ ৪০ মিনিট আঁকা বাঁকা জঙ্গুলে পথ পেরিয়ে মুখোমুখি হলাম এক ভয়ঙ্কর সুন্দরের । কত বছর এখানে মানুষের পা পড়েনি গুহার মুখে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম আর ভিতরে ঢুকার কথা চিন্তা করে একটা গা শিরশির করা অনুভূতি শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে আসছিল ।

যারা আমাদের গাইড করে নিয়ে এসেছিল তারা কল্পনাও করতে পারেনি আমরা সত্যি সত্যি গুহার ভিতর ঢুকে পড়বো । আমাদের এই জল্পনা কল্পনার মাঝেই আমাদের সাথে থাকা ইউলিয়া (রাশিয়ান বংশোদ্ভূত) অজানা সৌন্দর্যের হাতছানিকে উপেক্ষা না করতে পেরে একাই পানি ডিঙিয়ে চলা শুরু করলো । এর পর কি আর দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব ? নেমে পড়লাম আর নেমেই প্রথম ধাক্কা খেলাম গুহাতে জমে থাকা পানি নিয়ে, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমেও পানি ছিলো বরফের মতো ঠান্ডা ।

হাটু পানি দিয়ে স্টার্ট করলাম, যত ঢুকছিলাম পানি বাড়ছিলো আর ভিতর থেকে অগণিত বাদুড়ের ডাক সহ অদ্ভুত সব শব্দ ভেসে আসছিলো ।রোমাঞ্চকর একটা শিরশিরে অনুভূতি নিয়ে সবাই খুব কাছাকাছি হয়ে এগুচ্ছিলাম এবং কোনো রকম ক্ষয় ক্ষতি ছাড়াই অসাধারণ একটা লাইফ টাইম অভিজ্ঞতা হলো বলা যায় !!!

…….
………
…………
(প্রকৃতির স্বার্থে গুহা সম্পর্কে আর ডিটেইল দেয়া সমোচিন মনে করলাম না)

লেখায় : আরিফুর রহমান।

21/05/2024

18/05/2024

10/05/2024

07/05/2024

07/05/2024

এই মানুষটাকে চিনেন?

পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম স্থানের নাম হলো মাউন্ট এভারেস্ট এবং সবচেয়ে গভীরতম স্থান হলো প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা ট্রেন্স। দুইটা যায়গায় যাওয়া প্রথম মানুষ তিনি... !

তিনি ভিক্টর ভাসকেভো... যার পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত এডভেঞ্চারের নেশা।

এক্স মার্কিন নেভিয়ান ভিক্টর পৃথিবীর মহাসমুদ্রের সবচেয়ে গভীরতম ৫ স্থানে অভিযান করেছেন ,যেখানে সলো অভিযান ছিলো দুইটি।

পৃথিবীর ৭ মহাদেশের ৭টি সর্বোচ্চ চুড়ায় পা রেখেছেন তিনি! এমনকি লাস্ট ইয়ারে তিনি মহাকাশ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন!

শুধু তাই নয়, উত্তর মেরু আর দক্ষিন মেরুর শেষ বিন্দুতে স্কি করে এসেছেন তিনি।

এই মানুষটা তার জীবদ্দশায় এমন এমন অভিযান করেছেন যে রিস্ক ফেক্টর বিবেচনা করলে বেচে থাকাটা মহা বিস্ময়! কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে!

টাইটানিক সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরন ৩২ বার ডুবন্ত টাইটানিক দেখতে বার বার অতল সমুদ্রে অভিযান করেছেন! টাইটানিক তো মাত্র ১২০০০ ফুট নিচে , তিনি প্রথম একা মানুষ হিসেবে পৃথিবীর গভীরতম স্থান মারিয়ানা ট্রেন্সের গভীরে সফল অভিযান করেছিলেন! সমুদ্রের ৩৫০০০ হাজার ফুটে নিচে ছোট্ট একটা সামবেরিন নিয়ে ল্যান্ড করিয়েছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম যায়গায়।

যেখানে পানির চাপ ছিলো প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ১৬০০০ পাউন্ডের বেশি! দুর্ঘটনা ঘটলে পানির প্রেসারে চেপ্টা হয়ে মৃত্যু বরন করতে হতো। তবুও এডভেঞ্চার নামক নেশাটা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। সফল ভাবে বেচে ফিরেছিলেন তিনি....

মানুষের এই অদম্য এডভেঞ্চারাস একটিভিটি পৃথিবীর মানচিত্র পাল্টে দিয়েছিলো একসময়। অনেক কিছুই আমরা উপভোগ করছি যা মানুষের মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে অর্জন করতে হয়েছে।

মৃত্যু বরন করা টাইটানের ৫ অভিযাত্রীর জন্য শ্রদ্ধা... ভালোবাসা।

এডভেঞ্চার বেচে থাকুক মানুষের রক্ত কনিকায়....

06/04/2024

প্রসঙ্গ সাজেকের সুইমিংপুল

আজকের লেখায় অনেকে কষ্ট পাবে তার মধ্যে আমার সেই উপজাতী বন্ধুরাও হয়তো কষ্ট একটু বেশিই পাবে।

সাজেক ভ্যালীতে পর্যটন চালু হওয়ার পর থেকে গড়ে উঠেছে শত শত রিসোর্ট এবং এই পর্যটনের স্বার্থে এক সময়ের এই প্রাচীন এবং দূর্গম জনপদ আজ দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, যে পর্যটন কেন্দ্রের কল্যাণে আজ খাগড়াছড়ির হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা সংস্থানে ভালো পরিমান পরিবর্তন এসেছে।

এখন কিছু প্রশ্ন তাদের প্রতি যারা সাজেকের পর্যটন কেন্দ্রের সর্বাধিক বিপক্ষে:-

১ রিসোর্ট এবং রেষ্টুরেন্টগুলোতে কী শুধুমাত্র বাঙালী কর্মচারী আছে?
২ সাজেকের রিসোর্ট রেষ্টুরেন্টগুলো কী সেখানকার হেডম্যান বা অন্যান্য যারা আছে তাদের অগোচরেই হচ্ছে?
৩ সাজেক এ যারা বলছেন স্থানীয়দের জীবন মান উন্নয়ন হয়নি? তারা কেমন জীবন মান উন্নয়ন চান?
৪ সাজেকে যেসব উপজাতীয় জায়গা গুলোতে রিসোর্ট হয়েছে তাদের কাছ থেকে কী জোর পূর্বক জায়গা হনন করা হয়েছে নাকী আর্থিক লেনদেন সমন্বয় করে হয়েছে?

এবার আমি উত্তর দিই এবং সুইংমিংপুল এর প্রসঙ্গে আসতে হলে এখান থেকেই যেতে হবে :-

১ উত্তর :- কখনই নাহ, সাজেক যারা গিয়েছে তারা খেয়াল করলে দেখবে সেখানকার কর্মচারীদের মধ্যে সর্বাধিক পরিমানে উপজাতীয় ভাইরাই বেশি।

২ উত্তর :- হেডম্যান অথবা অন্যান্য যারা আছে তাদের ছাড়াই যদি হতো এসব তাহলে এই নিয়ে হয়তো দাঙ্গা হাঙ্গামা হয়ে যেত, তা নয় কী?

৩ উত্তর :- সেখানকার উপজাতী স্থানীয়দের কেমন জীবন মান উন্নয়ন চান? প্রগতিশীল এবং পাহাড়ের যেসব উপজাতী ভাই বোনেরা আজ দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা তাদের বলছি তাদেরকে কী এমনি এমনি সেই জায়গায় স্থান দেয়া হয়েছে? যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন তাদের কী নাম দেখেই ভর্তি করানো হয়েছে? আমি এটাই বলতে চাচ্ছি পাহাড়ে যারা যুগের পর যুগ জুমচাষ করে আসছে, জুমের উপর জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করছে এটা তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি বলে আমি মনে করি ঠিক যেমনটা সমতলের কৃষক শ্রেণি, সমতলের এমন ও কৃষক আছেন যাদের ছেলেমেয়ে আজ দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা কিন্তু তারা আজো কৃষিকাজ করছেন, ধান চাষ করতেসেন - কারন এটা তাদের রক্তে-রন্ধ্রে মিশে গেসে। জুম চাষী সেই উপজাতীদের বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই আজ জেলা শহরে এসে পড়াশোনা করছে, সাজেকের স্থানীয় পর্যটনে চাকরি করতেসে,উপার্জন করতেসে। তাহলে এখানে জীবন মান উন্নয়ন হলো নাহ কই? সমতলের সেই প্রগতিশীল কপালে কালো রুটি পরা সেইসব মানুষদের কখনো দেখলাম নাহ সাজেক এ একটা হসপিটাল একটা গভীর নলকূপের কথা বলতে, তারা শুধু দাঙ্গা - হাঙ্গামাই চায়।

৪ উত্তর :- সাজেকের প্রতিটা রিসোর্ট এর জায়গায় হয় উপজাতীয়দের শেয়ার আছে অথবা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভাড়া নেয়া। তাহলে তাদের উচ্ছেদ করা হলোই বা কই?

এবার আসি সুইমিংপুলে।

সাজেক এ এতবছর ধরে যখন পর্যটন কেন্দ্র চালু আছে, সেখানের পানির যোগান কোত্থেকে আসে সবাই জানে, কিন্তু প্রশ্নটা এখানে এতবছর ধরে কেউ কেন একবারো একটা গভীর নলকূপ এর দাবী তুললো নাহ? সুইমিংপুল নির্মাণের পর ই কেনো এই পানি সংকট ধরা পরলো?
কেন পানি-সরবারাহ কর্তৃপক্ষ ব্যার্থ এটা নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলছেন নাহ?

পর্যটন যখন উন্নয়ন হচ্ছে তখন কেন পানির প্রশ্নে অটুট আপনি? আপনি কী এর আগে থেকে কখনো জানতে চাননি সেখানকার স্থানীয় জনগণ কী পরিমান কষ্ট করে পাহাড়ের নিচ থেকে পানি সংগ্রহ করে? আপনার কী দুইটা কথা বলার ইচ্ছা হয়নি যে সাজেকের এত উন্নয়ন হচ্ছে কেন একটি গভীর নলকূপ স্থাপন হচ্ছেনা যেখানে পানির এত চাহিদা?

আমার মনে হয়না আপনার ইচ্ছা হয়নাই, কারন আপনি পানির চাহিদা পূরনে উৎসাহী নাহ আপনি পর্যটন বিরোধী,আপনি দেশের বাইরের পর্যটনের ছবি দিয়ে ফেসবুকে ভাব মারাবেন যে:- আহ আমাদের দেশে যদি এমন হতো। কিন্তু দেশে যখন উন্নয়ন হবে তখন ই আপনার বিবেকে নাড়া দিবে।

আমি পর্যটন বিরোধী নাহ, আমি উপজাতী ভাই বোনদের পুনর্বাসন বিরোধী ও নাহ, আমি কোনোকিছুরই বিরোধী নাহ।

আমি চাই সাজেকে গভীর নলকূপ অথবা সার্বিক ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেম উন্নয়ন হোক। সাজেকের স্থানীয় জনগণের জন্যে চিকিৎসা সেবা অথবা স্বাস্থ সম্পর্কিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন হোক। 💪

কপিকৃত

27/03/2024

রাতের অন্ধকার কতটা ভয়ঙ্কর,তা সেই পাখিকে জিজ্ঞাসা করো, যার কোনো ঘর নেই।

08/10/2023

Move within, but don’t move the way fear makes you move.

Move the way love makes you move.

Move the way joy makes you move...

21/09/2023

Ladies and gentlemen you are cordially invited to the MAS OYAMA CENTENNIAL KYOKUSHIN KUMITE CHALLENGE, a prestigious event dedicated to honoring the Legendary Legacy of Mas Oyama.

Date: 22nd September 2023
Time: 10:00am to 6:00pm
Location: Sultana Kamal Mohila Complex
Road no-11, Dhanmondi, Dhaka.

Join us as we pay tribute to the martial arts icon, Mas Oyama, and celebrate his enduring influence on the world of Kyokushin Karate. This event promises thrilling martial arts demonstrations, intense kumite competitions, and an atmosphere filled with the spirit of determination and discipline that defined Mas Oyama's teachings.

We are honored to have you as our guest, and your presence will make this celebration truly special.

We look forward to welcoming you to the MAS OYAMA CENTENNIAL KYOKUSHIN KUMITE CHALLENGE and sharing this momentous tribute to one of the greatest martial artists of all time.

Sincerely
Sensei Arifur Rahman
Branch Chief
IKO Bangladesh

18/09/2023

We all want to show off. The rich man in his expensive car, the girl who makes herself more beautiful, the boy who tries to be very smart – they all want to show that they have something. It is a strange world, is it not? You see, a lily or a rose never pretends, and its beauty is that it is what it is.

13/08/2023

মারা যাবার প্রায় ২৪ ঘন্টা পর মৃত রাফিকে নিয়ে আলীকদমের আমতলী ঘাটে পৌছেছে সেনাবাহিনী, তার টিমে থাকা ট্যুরিস্ট, পাড়ার লোকজন, গাইড আর তার বউ Borsha Islam। একেবারে সদ্য বিয়ে করা ট্রাভেলার দম্পতি। রাফি শারিরীক ভাবে মরে গেলেও বর্ষাকে মানসিকভাবে মেরে ফেলেছে৷ ভালবেসে বিয়ে করা মানুষটাকে পরে আঘাত পেতে দেখেছে, সারা রাত চিকিৎসা না পেয়ে মরতে দেখেছে, তারপর সারাদিন হেটে হেটে এসেছে সেই খেমচং থেকে দুসরী হয়ে আমতলী ঘাট। যারা এই পথে হেটেছে তারাই জানে মেনিয়াং পাড়া থেকে ঝিরিতে নামার পথ কতটা খাড়া।

রাফির কি ভাগ্য, একজন ট্রাভেলার মরার পর তাকে বয়ে আনার জন্য ইউজ হয়েছে স্লিপিং ব্যাগ আর হ্যামক। বেচে থাকলে এই দুইটা আমাদের উপকারে আজ রাফি যাবার পর দেখাইয়া গেল স্লিপিং ব্যাগ আর হ্যামক দিয়ে নিথর দেহ ও বয়ে আনা যায়৷

Kyokushin Adventure এর পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানাই।

13/08/2023

বিডি ট্রাভেল লাভার গ্রুপের এডমিন রাফি আলীকদমের সাইংপ্রা ঝর্ণা থেকে পরে মাথায় আঘাত পায় গতকাল বিকাল ৩টায়। খেমচং পাড়া থেকে মানুষ গিয়ে পাড়ায় নিয়ে আসে রাত ৯ টার দিকে৷ সাইংপ্রা হচ্ছে রুংরাং কির্সতং ট্রেইলের খুবই দূর্গম একটা ঝর্ণা ট্রেইল৷ এডভেঞ্চারাস ট্রিপে এই বৃষ্টিতে গিয়ে টিমের সেফটি এনশিউর করতে গিয়ে নিজেই আহত হয়েছে৷ জানি না আসলে সেখানে কি হয়েছে, কিভাবে পরে গিয়েছে কিন্তু এতটুকু জানি আমরা খুব ভাল মনের একজন এডমিন হারিয়েছি। গতকাল রাত থেকেই নাকি তার পালস ছিল না৷ তার বউ বর্ষাও তার সাথে ছিল ট্রিপে৷

রাফির রূহের মাগফেরাত কামনা করি৷ পাহাড়ে কেউ হারিয়ে যাক এটা কখনোই কাম্য নয়৷

03/07/2023

প্রকৃতির সবকিছুর মধ্যেই কোনো না কোনো আশ্চর্যজনক কিছু লুকিয়ে আছে, এজন্যই হয়তো প্রকৃতির কাছে গেলে নিরাশ হতে হয় না।।
গিয়েছিলাম টাঙ্গুয়ার হাওর, সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায়।।

01/06/2023

শিক্ষণীয় ঘটনা ۔۔۔

একবার এক পর্যটক মেক্সিকোয় গেলেন; জেলেদের মাছের খুব প্রশংসা করলেন। তারপর বললেন,
“আচ্ছা, মাছ ধরতে আপনাদের কত সময় লাগে?”
“বেশিক্ষণ না” জেলেদের এক কথার উত্তর।

“তাহলে আপনারা আরও বেশি সময় দিয়ে আরও বেশি মাছ ধরেন না কেন?” লোকটা প্রশ্ন করেন। জেলেরা বলেন, "আমরা যে মাছে ধরি তাতে আমাদের প্রয়োজন মিটে যায়"।

“তাহলে মাছ ধরার পর বাকি সময়টা আপনারা কী করেন?” লোকটা জিজ্ঞাসা করে। জেলেরা জবাব দেয়,
“আমরা ঘুমায়, মাছ ধরি, বাচ্চাদের সাথে খেলা করি, বৌয়ের সাথে খাই, সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেই, মজা করি, হাসি, গলা ছেড়ে গান গাই…”। পর্যটক তাদেরকে থামিয়ে বলেন,
“আমি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছি। আমি আপনাদেরকে বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করতে পারি। আপনাদেরকে আরও বেশি সময় দিয়ে মাছ ধরতে হবে, বাড়তি মাছগুলো বিক্রি করে মাছ ধরার বড় নৌকা কিনতে হবে। ”

“তারপর?” জেলেদের প্রশ্ন।
“আপনারা বড় নৌকার সাহায্যে বেশি মাছ ধরবেন, বেশি আয় করবেন। সেটা দিয়ে আরও বড় দুটা, তিনটা বা আরও বেশি নৌকা কিনবেন। একসময় মাছ ধরার নৌবহর বানিয়ে ফেলবেন। তখন মধ্যসত্ত্বভোগী ব্যবসায়ীদের কাছে মাছ বিক্রি না করে, সরাসরি মাছ প্রসেসিং ফ্যাক্টরির সাথে বেচাকেনা করবেন। এক সময় নিজেরাই মাছ প্রসেসিং ফ্যাক্টরি খুলে বসবেন। তারপর অনেক ধনী হয়ে গ্রাম ছেড়ে মেক্সিকোর রাজধানী, আমেরিকার লসএঞ্জেলেস বা নিউ ইয়র্কে চলে যাবেন। সেখান থেকে আপনারা মেগা প্রজেক্ট চালু করবেন। ”

“এসব করতে কত সময় লাগবে?” জেলেদের প্রশ্ন।
“কুড়ি/পঁচিশ বছর তো লাগবেই।” জবাব দেয় পর্যটক।
“তারপর” জেলেরা প্রশ্ন করে।
লোকটা হেসে জবাব দেয়, “ব্যবসায় যখন আরও বড় হবে তখন আপনারা শেয়ার বাজারে যাবেন, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করবেন।”
“মিলিয়র ডলার! ধরুন পেলাম মিলিয়ন ডলার। কিন্তু, তারপর?” জেলেরা সবিস্ময়ে প্রশ্ন করে। পর্যটক তখন জবাব দেন,
“আপনারা তখন অবসরে যাবেন। শান্ত গ্রামে ফিরে এসে সমুদ্রের ধারে ঘুমাবেন, বাচ্চাদের সাথে খেলা করবেন, বৌয়ের সাথে খাবার খাবেন, সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবেন, মজা করবেন…,”। তখন জেলেরা বলেন,
“সেই কাজটাই তো আমরা এখন করছি। তাহলে এই বিশ/পঁচিশ বছরের এই কষ্টের জীবনের মানে কী?”

09/02/2023

মাঝরাতে দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে গেলে
বাতাসে কথা রেখে আমি আপনাকে বলি;
খুব বাজে স্বপ্ন দেখেছি, ঘুম ভেঙ্গে গেছে,
আমার ভয় করছে খুব,
আপনি একটু কথা বলবেন?

অথচ এই আকুতি শোনার মতো
একজন 'আপনি' কোথাও নেই
কেননা আপনি নিজেই গভীর ঘুমে তলিয়ে!

তারচেয়ে আমি বরং
তন্দ্রাহীন নিরঙ্কুশ সত্তার সামনে দাঁড়াই,
তারপর বলি; আমি আপনার ঠিক
ততটাই কাছে যেতে চাই
যতটা কাছাকাছি হলে ভাবনা ব্যতিরেকেই
সব ব্যথা বলে দেওয়া যায়।

18/01/2023

ছবি গুলো দেখলে
ভিতরে কেমন যেন মুচড়ে উঠে 😭😭

08/01/2023

আমাদের রোমান্টিক জুটির দুবাই সফর

06/01/2023

খিউকুশিন বাংলাদেশের সন্মানিত পরামর্শক আমাদের বড়ো ভাই, মামুন ভাই গিয়েছেন জরডার্নের মনোমুগ্ধ-কর কিছু জায়গায়। লেখা আর ছবি গুলো ভাই এর পোস্ট থেকে নেয়া।

তাং ৫-০১-২০২৩ জর্ডান

Wadi Rum/ ওয়াদিরামঃ

Wadi Rum কে valley of Moon- ও বলা হয়ে থাকে। মরুভূমি সাথে বালুরপাথর (Sand Stone) ও গ্রানাইড পাথরের পাহাড়ের এক প্রাকৃতিক নৈসর্গিক জায়গা হলো এই উপত্যকা। প্রায় ৮০০ বর্গ কি.মি. এলাকা জুড়ে এ উপত্যকার অবস্থান। এখানে পাথরের পাহাড়ের গুহায় আমিদ যুগের (প্রস্তর যুগের) মানুষের অবস্থানের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বর্তমানে এটি জর্ডানের অন্যতম টুরিস্ট আর্কষন কেন্দ্র। দিনে ভ্রমন ছাড়াও রাতেও এখানে তাবুতে টুরিষ্টরা অবস্থান করে এই উপত্যকার সৌন্দর্য উপভোগ করে। চন্দ্র মাসের ১২-১৮ এ কয়েকদিন সবচেয়ে বেশী টুরিস্ট এখানে রাত্রি যাপন করে, চাঁদের আলোতে এ উপত্যকা নাকি ভয়ংকর সুন্দর এক রূপ ধারন করে। ছবির মাধ্যমে এ স্থানের সৌন্দর্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়, স্থানটি ছবির চেয়েও সুন্দর যা শুধু উপভোগ করা যায়।

এখানে হলিউডের সাইন্স ফ্রিকশন মুভি The Martian শুটিং করা হয়েছিলো (২০১৫ সন)। সে ছবিতে এ অন্চলটিকে দেখানো হয়েছে মঙ্গল গ্রহের কোন এক স্থান, যেখানে ছবির নায়ক Matt Damon কোন এক অভিযানে ২০৩৫ সনে মঙ্গল গ্রহে হারিয়ে গেছে। তার হারিয়ে যাওয়া, বেঁচে থাকা ও উদ্ধার নিয়ে তৈরী হয়েছিলো ছবিটি।

বর্তমানে এ অন্চলটি UNESCO World Heritage Site হিসাবে ২০১১ সন থেকে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা আছে।

রাতের ছবি গুলো সব পেট্রা জনপদের-

Petra by Night … (রাতের পেট্রা):

জর্ডান সরকার বর্তমানের রাতের পেট্রাকে হাজার হাজার মোমবাতি দিয়ে সাজিয়ে রাখে পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য। আর ভরা পূর্নিমা সাথে মোমের আলোতে পাথরের পাহাড়ে ঘেরা ৩০০০ বছরের পুরাতন শহর ঘুরে দেখা- এ যেনো এক মায়াবী সুন্দর।

বি.দ্র. পেট্রা জনপদের প্রতিটি ছবি রাত ৮.৩০ থেকে ১০.৩০ এর মধ্যে তোলা। ভরা পূর্নিমায় সাথে ক্যামরার নাইট মুডের (Night Mood) এর কারনে কিছু ছবি দেখলে মনে হতে পারে দিনের আলোতে তোলা।

01/01/2023

লিখবো না আর—
কোনো কবিতা কিংবা গল্পের শেষে
এতো মাস, এতো তারিখ, দুই হাজার বাইশ ।
কী অনিবার্য এ সত্য!
কী নিখুঁত উপন্যস্ত সময়ের ব্যাকরণ!

31/12/2022

অতীতের ভুল গুলো শুধ্রে অনন্তের পথে হেঁটে যাবার প্রত্যয়ে আমরা।। শুভ হোক পথচলা।।

29/12/2022

মানুষের মূর্খতা আর অদূরদর্শীতার অন্যতম এক প্রমাণ আতিতলান হ্রদ। হাজার হাজার বছর ধরে মায়ান সভ্যতার লোকেদের কাছে অতি পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়ে আসা মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে সৃষ্টি হওয়া এই অপূর্ব আগ্নেয় হ্রদটি অনেকের কাছেই বিশ্বের সুন্দরতম হ্রদ বলে বিবেচিত হত, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন লেখক অল্ডাস হাক্সলি।

কিন্তু আগ্নেয়গিরি ঘেরা, মায়ান গ্রাম, সুনীল জল কিছুই মনঃপুত হল না তৎকালীন মূর্খ সরকারের, ১৯৫৫ সালে তারা আর কাজ না পেয়ে প্যান আমেরিকান এয়ার কোম্পানির পরামর্শ / সিদ্ধান্ত মোতাবেক 'ব্ল্যাক ব্যাস' নামে এক মাছ ছেড়ে দিল এই হ্রদে! উদ্দেশ্য ছিল এই চমৎকার জলে ব্যাস মাছেরা দ্রুত বড় হবে এবং তা শত শত মাছ শিকারিদের আকর্ষণ করবে, এবং এভাবে পর্যটন বাড়বে এই হ্রদে!

হায়রে বুদ্ধি, সেই মাছ এই হ্রদের ৭০% প্রজাতির মাছ খেয়ে বিলুপ্ত করে ফেলল, এবং আতিতলান-ডুবুরি নামে যে অপূর্ব পাখি ( Atitlan Grebe) যা সারা পৃথিবীতে শুধু এই হ্রদেই পাওয়া যেত , ( Endemic) সেটির খাবার গুগলি, কাঁকড়াদের প্রথম সাবাড় করল রাক্ষুসে মাছের দল, তারপর কিছু কিছু পাখির ছানাও খেয়ে ফেলল, এবং এই মাছ ছাড়ার ৩০ বছরের মধ্যেই অসাধারণ এই পাখি সম্পূর্ণ রূপে বিলুপ্ত হয়ে যায়!

জনাব মানুষ, কিছু ভাবে কিছু করেই নিসর্গে পরিবর্তন এনে পর্যটক বাড়াতে হয় না, এতে আখেরে অপূরণীয় ক্ষতিই হয়, প্রথম নিসর্গের তারপর স্থানীয় জনগণের, তারপর সারা পৃথিবীর।

লেখক@Onu Tareq
ছবি ঃ সংগ্রিহিত।।।

20/12/2022

https://youtu.be/b0Gznp7ZwcA

Sorry দীপান্বিতা 🥀 [ Slow Reverb ] Sorry dipannita | Love Song | Lofi rani

03/12/2022

একটু বেশি শান্তির, তাই না 🖤🖤 ??

29/11/2022

আজকাল কেউ আর অপেক্ষা করে না।
আজকাল কেউ আর অপেক্ষা করতে চায় না।
সবারই কী দারুণ এক ব্যস্ততা!

এখন আর কেউ কারো পায়ের চিহ্নে
পা রাখবে বলে আগলে রাখে না পথ।
কেউ ভাবে না ; পাশাপাশি হেঁটে যাওয়া পথ ধরে
আবার খানিক গল্প হোক।