03/10/2020
পুরান ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গোলাপী প্রাসাদ যা একসময়ের বাগানবাড়ি কিন্তু বর্তমান সময়ে যা আহসান মঞ্জিল। এখানে এখন তুমুল দর্শনার্থীদের ভিড়। মুঘল আমলের কৃতি গুলো খুব কাছ থেকে দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন প্রাচীন এই প্রাসাদ থেকে। প্রসাদের ঠিক দক্ষিণদিকে রয়েছে বুড়িগঙ্গা নদী। গেট দিয়ে প্রবেশ করে রাস্তার পার্শ্বে দেখবেন ফুলের বাগান। লাল-নীল-বেগুনি রঙের ফুলের সমারোহ দেখে মুগ্ধ হবেন। মঞ্জিলের সামনে বিশাল সবুজ মাঠ। মঞ্জিল থেকে বড় একটা সিড়ি নেমে এসেছে মাঝে।
প্রকৃতি ছেড়ে এবার প্রাসাদের দিকে যাওয়া যাক। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে তখনকার জামালপুর পরগনার (বর্তমান ফরিদপুর-বরিশাল) জমিদার শেখ ইনায়েতউল্লাহ রংমহল প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর মৃত্যুর পর জমিদারের ছেলে শেখ মতিউল্লাহ এটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করেন। ১৮৩৫ সালের দিকে বেগমবাজারে বসবাসকারী নবাব আবদুল গনির বাবা খাজা আলীমুল্লাহ এটা কিনে নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। ১৮৭২ সালে নবাব আবদুল গনি নতুন করে নির্মাণ করে তার ছেলে খাজা আহসানউল্লাহর নামে ভবনের নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল (Ahsan Manzil)।
কিভাবে যাওয়া যায়?
ঢাকার যে কোনো স্থান থেকে গুলিস্তান এসে নর্থ সাউথ রোড ধরে কিছুদূর গেলেই পড়বে নয়াবাজার মোড়। এখান থেকে বাবুবাজার দিকে যেতে থাকবেন। বাবুবাজার ব্রিজের বামপাশে নিচ দিয়ে গেলে পড়বে আরেকটি মোড়। এর বামপাশে গেলেই ইসলামপুর। এখানে এসে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দেবে আহসান মঞ্জিল যাওয়ার রাস্তা।
অথবা আপনাকে প্রথমে পুরান ঢাকার সদরঘাট যেতে হবে। সেখান থেকে হেঁটে অথবা রিকশায় করে আপনি চলে যেতে পারবেন আহসান মঞ্জিল।