Tsua

Tsua Discover the beauty around you

পুরান ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গোলাপী প্রাসাদ যা একসময়ের বাগানবাড়ি কিন্তু বর্তমান সময়ে যা আহসান মঞ্জিল। এখানে...
03/10/2020

পুরান ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গোলাপী প্রাসাদ যা একসময়ের বাগানবাড়ি কিন্তু বর্তমান সময়ে যা আহসান মঞ্জিল। এখানে এখন তুমুল দর্শনার্থীদের ভিড়। মুঘল আমলের কৃতি গুলো খুব কাছ থেকে দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন প্রাচীন এই প্রাসাদ থেকে। প্রসাদের ঠিক দক্ষিণদিকে রয়েছে বুড়িগঙ্গা নদী। গেট দিয়ে প্রবেশ করে রাস্তার পার্শ্বে দেখবেন ফুলের বাগান। লাল-নীল-বেগুনি রঙের ফুলের সমারোহ দেখে মুগ্ধ হবেন। মঞ্জিলের সামনে বিশাল সবুজ মাঠ। মঞ্জিল থেকে বড় একটা সিড়ি নেমে এসেছে মাঝে।
প্রকৃতি ছেড়ে এবার প্রাসাদের দিকে যাওয়া যাক। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে তখনকার জামালপুর পরগনার (বর্তমান ফরিদপুর-বরিশাল) জমিদার শেখ ইনায়েতউল্লাহ রংমহল প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর মৃত্যুর পর জমিদারের ছেলে শেখ মতিউল্লাহ এটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করেন। ১৮৩৫ সালের দিকে বেগমবাজারে বসবাসকারী নবাব আবদুল গনির বাবা খাজা আলীমুল্লাহ এটা কিনে নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। ১৮৭২ সালে নবাব আবদুল গনি নতুন করে নির্মাণ করে তার ছেলে খাজা আহসানউল্লাহর নামে ভবনের নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল (Ahsan Manzil)।

কিভাবে যাওয়া যায়?
ঢাকার যে কোনো স্থান থেকে গুলিস্তান এসে নর্থ সাউথ রোড ধরে কিছুদূর গেলেই পড়বে নয়াবাজার মোড়। এখান থেকে বাবুবাজার দিকে যেতে থাকবেন। বাবুবাজার ব্রিজের বামপাশে নিচ দিয়ে গেলে পড়বে আরেকটি মোড়। এর বামপাশে গেলেই ইসলামপুর। এখানে এসে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দেবে আহসান মঞ্জিল যাওয়ার রাস্তা।
অথবা আপনাকে প্রথমে পুরান ঢাকার সদরঘাট যেতে হবে। সেখান থেকে হেঁটে অথবা রিকশায় করে আপনি চলে যেতে পারবেন আহসান মঞ্জিল।

মহাস্থানগড় প্রাচীন পুন্ড্রনগরী এর বর্তমান নাম যা বগুড়া জিলার শিবগঞ্জ থানার অন্তর্গত। এই খানে ৪ হাজার বছরের পুরানো স্থা...
03/10/2020

মহাস্থানগড় প্রাচীন পুন্ড্রনগরী এর বর্তমান নাম যা বগুড়া জিলার শিবগঞ্জ থানার অন্তর্গত। এই খানে ৪ হাজার বছরের পুরানো স্থাপনা আছে। শক্তিশালী মাউর‌্যা, গুপ্ত এবং অন্যান্য রাজারা তাদের প্রাদেশিক রাজধানী হিসাবে মহাস্থানগড় ব্যবহার করতেন। পাল রাজাদের মূল রাজধানী হিসাবে পুন্ড্রনগর ব্যবহৃত হয়েছে। এই বিশাল শহরের ধংসস্তুপ করতোয়া নদীর পশ্চিমপ্রান্তে অবস্থিত যা সুধু বগুড়া নয় বরং গোটা বাংলাদেশের অতীত ঐতিহ্য ধারন করে।
বরেন্দ্র অঞ্চল ( বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, মালদাহ ) ছিল পুন্ড্রদের আসল বাসস্থান। ১৯৩১ সালে মহাস্থানকে প্রাচীন পুন্ড্রনগরী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। গুপ্ত রাজাদের পতন এর পর রাজা শশাংক একটি শক্তিশালী রাজ্য পত্তন করেন।শশাংকের মৃত্যুর পর বিখ্যাত চীনা ভ্রমনকারী ওয়ান চুন ৬৯৩ সালে বৌদ্ধ স্থাপনা ভ্রমন এর জন্যে পুন্ড্রনগর এ আসেন। তিনি সম্রাট অশক এর তৈরী অনেক বৌদ্ধ মন্দির এবং আশ্রম দেখেন। তার বর্ননা মতে, পুন্ড্র নগরী ছিল একটি সমৃদ্ধ নগরী এবং এর আয়তন ছিল ছয় মাইল এর মত। এই জনপথ ছিল অনেকটা এথেন্স, ব্যবলিওন, মিশর এর মত। পুন্ড্রনগরী মহাস্থানগড় (Mahasthangarh) হয়ে ওঠে বাংলাদেশের সমৃদ্ধশালী মুসলিম শাসনামলে।
১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে “বুচানন হামিল্টন” সর্বপ্রথম পুন্ড্রনগরের ধংসাবসেস আবিস্কার করেন।

কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে খুব সহজেই সড়ক পথে বগুড়া যাওয়া যায়। বগুড়া শহর থেকে সিএনজি, টেম্পো, রিকশা করে মহাস্থানগড় যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে যে সব বাস বগুড়া যায় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ
১। টি আর ট্রাভেলসঃ সকাল ৭টা থেকে শুরু করে রাত ১১:৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রতি ৩০ মিনিট পরপর এটি বগুড়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফোনঃ গাবতলি-০১১৯১-৪৯৪৮৬৫, মহাখালি-০১১৯১-৪৯৪৮৬৬
২। শ্যামলী পরিবহনঃ সকাল ৬টা থেকে শুরু করে রাত ১:০০ টা পর্যন্ত প্রতি ১ ঘণ্টা পরপর এটি বগুড়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফোনঃ আসাদ গেইট-০২-৯১২৩৪৭১, কলাবাগান-০১৭১১১৩০৮৬২, সায়েদাবাদ-০১৭১২৫৯৬৯৪০
৩। এস আর ট্রাভেলসঃ সকাল ৭:৩০ মিনিট থেকে শুরু করে রাত ১১:৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রতি ৩০ মিনিট পরপর এটি বগুড়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফোনঃ গাবতলি-০২-৮০১১২২৬, উত্তরা-০১৫৫২৩১৫৩১৮

ময়মনসিংহ শহরের এক উল্লেখযোগ্য স্থাপনা আলেকজান্ডার ক্যাসেল বা আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল। এই স্থাপনাটি শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস...
03/10/2020

ময়মনসিংহ শহরের এক উল্লেখযোগ্য স্থাপনা আলেকজান্ডার ক্যাসেল বা আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল। এই স্থাপনাটি শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত। আলেকজান্ডার ক্যাসেল ময়মনসিংহ শহরের পুরোনো একটি স্থাপনা। মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য ১৮৭৯ সালে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা ব্যয় করে ততকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলেকজান্ডারের সম্পত্তি রক্ষার্থে এ প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন। প্রাসাদটিতে লোহার ব্যবহার বেশি করা হয়েছিল বলে এলাকাবাসী এটিকে ‘লোহার কুঠি’ নাম দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভবনটিতে অনেক বরেণ্য ব্যক্তির পদধূলি পড়েছে। ১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ময়মনসিংহ সফরের সময়ে আলেকজান্ডার ক্যাসেলে কিছুদিন ছিলেন। এ ছাড়া এখানে আরো এসেছিলেন লর্ড কার্জন, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ, কামাল পাশা প্রমুখ।
আলেকজান্ডার ক্যাসেলটি (Alexander Castle) বর্তমানে শিক্ষক প্রশিক্ষন কেন্দ্রের পাঠাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ (Mymensingh) যেতে সময় লাগে তিন ঘণ্টার মত। বাসের ভাড়া পড়বে ১২০-১৩০ টাকার মধ্যে। ঢাকার মহাখালী থেকে অনেক বাস ছাড়ে ময়মনসিংহ এর উদ্দেশ্যে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, ময়মনসিংহ হয়ে বাস যাতায়াত করে। রেলপথে রাজধানী ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মোট ৭টি মেইল ট্রেন ময়মনসিংহ আসে। এছাড়া প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩টি লোকাল ট্রেন ময়মনসিংহে আসে। ময়মনসিংহ নেমে অটো রিক্সা বা অটো করে সোজা চলে যেতে পারেন আলেকজান্ডার ক্যাসেল এ, ভাড়া পড়বে ২০-৩০ টাকা

ঢোলসমুদ্র দীঘিটি ঝিনাইদহের একটি আকর্ষণীয় বিনোদন স্থান। প্রায় ৫২ বিঘা জমির উপর অবস্থিত এ দীঘি ঝিনাইদহের সর্ববৃহৎ দীঘি। শহ...
03/10/2020

ঢোলসমুদ্র দীঘিটি ঝিনাইদহের একটি আকর্ষণীয় বিনোদন স্থান। প্রায় ৫২ বিঘা জমির উপর অবস্থিত এ দীঘি ঝিনাইদহের সর্ববৃহৎ দীঘি। শহর থেকে ৪ কি.মি. পশ্চিমে অবস্থিত। দীঘিটি শতাব্দী পরিক্রমায় পানীয় জলের অফুরন্ত আধার হিসেবে কাজ করেছে এবং একজন পরাক্রমশালী রাজার রাজকীয় স্থাপনা সমূহের একটি স্মৃতি হিসেবে আজও টিকে আছে। ইতিহাসে আছে, ঝিনাইদহে রাজা মুকুট রায় নামে এক প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন। রাজা মুকুট রায়ের অনেক সৈন্য সামন্ত ছিল। কথিত আছে তিনি ১৬ হল্কা হাতি, ২০ হল্কা অশ্ব ও ২,২০০ কোড়দার না নিয়ে বের হতেন না। রাস্তা নির্মাণ ও জলাশয় খনন করতে করতে তিনি অগ্রসর হতেন। ঝিনাইদহে তাঁর এমনি একটি অমর কীর্তি ঐতিহ্যবাহী পাগলা কানাই ইউনিয়নের ঢোল সমুদ্র দীঘি (Dhol Somudro Dighi)।

কিভাবে যাবেন:
ঢাকার গাবতলী থেকে ঝিনাইদহ যাবার জন্যে বেশ কিছু বাস আছে – রয়েল, JR, সোনার তরী, চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স,এসবি ( ননএসি ৪৫০, এসি ৬০০)।
আরাপপুর থেকে অটো বা ইজি বাইক নিয়ে সরাসরি ঢোল সমুদ্র দিঘী যাওয়া যায়। ভাড়া পড়বে ১৫-২০ টাকা।

মহারাজা শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর অপূর্ব সৃষ্টি শশী লজ। যা ময়মনসিংহের রাজবাড়ী নামেও সমাধিক পরিচিত। শশী লজ (Shoshi Lodge)...
03/10/2020

মহারাজা শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর অপূর্ব সৃষ্টি শশী লজ। যা ময়মনসিংহের রাজবাড়ী নামেও সমাধিক পরিচিত। শশী লজ (Shoshi Lodge) এর মূল ফটক থেকে ভিতরে ঢোকার সময় সম্মুখ চত্ত্বরে মার্বেল পাথরের তৈরি গ্রীক দেবী ভেনাস যেন দু হাতে স্বাগত জানানোর জন্য দাঁড়িয়ে আছে। ৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই রাজবাড়ীর আদি প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী। দুই তলা বিশিস্ট এই ভবনটি তার পুত্র শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর নামে নামকরন করা হয় শশী লজ। বিখ্যাত এই ভবনটি ১৮৯৭ সালে গ্রেট ইন্ডিয়ান ভূমিকম্পের ফলে পুরা বিধ্বস্ত হয়ে যায়। একই স্থানে তার দত্তক পুত্র মহারাজা শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী ১৯০৫ সালে নতুন করে শশীলজ নির্মান শুরু করেন। ১৯১১ সালে শশী লজের সৌন্দর্যবর্ধনে তিনি সম্পন্ন করেন আরও কিছু সংস্কারকাজ। বর্তমানে শশীলজ ভবনটি ময়মনসিংহ মহিলা টির্চাস ট্রেনিং কলেজ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। শশীলজ এর সেই আগের শ্রী না থাকলেও ধরে রেখেছে এর আগের ঐতিহ্য।
১৮টি বিশাল বিশাল ঘর নিয়ে শশী লজ। বারান্দা ও করিডোর নিয়ে ভবনটি ৫০,০০০ বর্গ ফুটের কম হবে না। পুরো ভবনের ফ্লোর মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত। ছাদে উঠার জন্য একটি কারুকাজ খচিত লোহার প্যাঁচানো সিঁড়ি আছে। পুরো ভবনে রানিং ওয়াটারের লাইন টানা আছে। ভবনের ভেতরে আধুনিক টয়লেটও আছে। ভবনটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এর অনেক কিছুই এখনও নষ্ট হয়নি।

কিভাবে যাবেন:
সড়ক ও রেলপথ দুই মাধ্যমেই ভ্রমণে যেতে পারেন ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে। ঢাকার মহাখালী থেকে লোকাল ও গেটলক দুই ধরনের বাস ছাড়ে। বাস থেকে নামবেন মাসাকান্দা বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে অটোতে বা রিকশায় চলে যেতে পারবেন শশীলজ। এছাড়া ময়মনসিংহ শহরের বড় বাজারে অবস্থিত এই শশীলজে শহরের যে কোন প্রান্ত থেকেই রিক্সা/অটো নিয়ে যাওয়া যায়। স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দিবে এক কালের বিখ্যাত এই ভবনটি।
ঢাকা থেকে ট্রেনে ময়মনসিংহ ভ্রমণ করতে চাইলে তিস্তা এক্সপ্রেস (সকাল ৭ঃ৩০), মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস (দুপুর ২ঃ২০), যমুনা এক্সপ্রেস (বিকেল ৪ঃ৪০), ব্রহ্মপুত্র (সন্ধ্যা ৬ঃ০০) এবং হাওর এক্সপ্রেস (রাত ১১ঃ৫০) এইসব ট্রেনের যে কোনটায় আপনার সময় ও পছন্দমত ট্রেনে সরাসরি ময়মনসিংহ যেতে পারবেন। শ্রেণীভেদে ভাড়া ১২০ থেকে ৩৬০ টাকা। যেতে সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। রেলস্টেশন থেকে ২০-২৫ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়েই শশী লজ যেতে পারবেন।

৫০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী সাহেব বিবি মসজিদ (Shah Bibi Mosque) যা চট্টগ্রাম এর রাউজান উপজেলায় অবস্থিত। এই মসজিদের অবস্থা...
03/10/2020

৫০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী সাহেব বিবি মসজিদ (Shah Bibi Mosque) যা চট্টগ্রাম এর রাউজান উপজেলায় অবস্থিত। এই মসজিদের অবস্থান রাউজান উপজেলার ৯ নং ওয়ার্ড এর হাড়ি মিয়া চৌধুরী বাড়িতে। প্রায় ৫০০ বছর পূর্বে মোগল আমলে বিদেশী কারিগর দিয়ে চুন সুরকির গাঁথুনিতে নির্মাণ করা হয় এই স্থাপত্য। এটি ৮ টি পিলার,৩ টি দরজা, ২ টি জানালা ও ১ টি গম্বুজ বিশিষ্ট। এতে প্রবেশের জন্য ৪ ফুট উঁচু করে মসজিদ গেইট নির্মাণ করা হয়েছে। জানা যায়, জমিদার আমির মোহাম্মদ চৌধুরীর পত্নী ও চট্টগ্রামের আলোচিত প্রসিদ্ধ মালকা বানুর মাতা সাহেব বিবি এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা।
মসজিদের পাশে রয়েছে ফুলবাগান সম্বলিত কবরস্থান যেখানে শায়িত আছেন এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম সাহেব বিবি। এছাড়াও, এর পাশে আছে সাহেব বিবি দীঘি যাকে শাহী পুকুরও বলা হয়। এই মসজিদ কবরস্থান সহ ৩০ শতক জায়গার উপর নির্মিত। এটি ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় মসজিদ, দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মুসল্লীও এখানে এসে নামাজ আদায় করেন। কালের সাক্ষী এই মসজিদ দেখার জন্য পর্যটকরাও এখানে পাড়ি জমান। স্থানীয় সূত্রে, প্রায় ২ বছর পূর্বে মোতোয়াল্লী ইলিয়াস মিয়া চৌ. এর তত্ত্বাবধানে এটির সংস্কার কাজ করে টাইলস ব্যবহার করে এর রুপগত পরিবর্তন করা হয় এবং কারুকার্যের মাধ্যমে এর শৈল্পিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করানো হয়। সাহেব বিবি দীঘির দক্ষিণ পাশে মৈস্যা বিবি মসজিদ নামে আরো একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ আছে।

কিভাবে যাবেন:
চট্টগ্রামের মুরাদপুর হতে রাউজানের বাসে উঠে রাউজান এর জলিলনগর নামতে হবে। জলিলনগর থেকে হারিশ খান পাড়া রোড় দিয়ে লোকাল সিএনজি করে যেতে পারেন এই মসজিদে।

সৌন্দর্যের দিক থেকে প্রথম সারিতে থাকা একটি অনিন্দ্য সুন্দর আর মনোরম রিসোর্ট – সাইরু হিল রিসোর্ট। বান্দরবান শহর হতে প্রায়...
02/10/2020

সৌন্দর্যের দিক থেকে প্রথম সারিতে থাকা একটি অনিন্দ্য সুন্দর আর মনোরম রিসোর্ট – সাইরু হিল রিসোর্ট। বান্দরবান শহর হতে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এটি। সাইরু রিসোর্ট সম্ভবত বান্দরবানের সবচেয়ে এক্সপেন্সিভ রিসোর্ট। তবে অসম্ভব রকম সুন্দর একটা জায়গা সাইরু। এটি দেখে মনপ্রাণ জুড়োবে বেরসিক মানুষেরও। পাহাড়, নদী, আকাশ, মেঘ আর নান্দনিক ভঙ্গিমায় সাজানো গোছানো এই রিসোর্টটি একইসঙ্গে চোখ আর মনের প্রশান্তি এনে দেয়। কোনও এক প্রেমপিয়াসী পাহাড়ি কন্যার নাম থেকেই নাকি এই রিসোর্ট (Sairu Hill Resort) এর নামকরণ। এই রিসোর্টে প্রতিটি মুহূর্ত করে তোলে অনন্য উপভোগ্য।

কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে বান্দরবানের বাসে সরাসরি বান্দরবান বাসস্ট্যান্ড। বান্দরবান থেকে চিম্বুক পাহাড়ে যাওয়ার পথে সাইরু হিল রিসোর্ট। তাই বাসস্ট্যান্ড থেকে চান্দের গাড়ি কিংবা সিএনজি করে যাওয়া যেতে পারে।

CONTRACT:
ঢাকা অফিস এর ফোন নাম্বার +8801531-411111, +8801531-422222
বান্দরবান অফিসের ফোন নাম্বার – +8801531-433333
ম্যানেজার এর ফোন নাম্বার – +8801531-477777

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত (Cox’s Bazar Sea Beach), বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র যা কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। বিশ্বের সব...
02/10/2020

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত (Cox’s Bazar Sea Beach), বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র যা কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। বিশ্বের সব থেকে বড় সমুদ্র সৈকতের জন্যে এটি সারা বিশ্বের কাছে সমাদৃত যা কক্সবাজার শহর থেকে বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত। সারি সারি ঝাউবন, পাহাড়, ঝর্ণা, বালুর নরম বিছানা এবং বিশাল সমুদ্র সৈকত। বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশি আর শোঁ শোঁ গর্জনের মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের আরেক নাম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সাথে দেখে নিতে পারেন – বাংলাদেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন, সোনাদিয়া দ্বীপ, পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী, লাইট হাউজের দ্বীপ কুতুবদিয়া, ডুলহাজারা সাফারি পার্ক, মাতার বাড়ি, শাহপরীর দ্বীপ। এছাড়াও কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাগরের পাড় ঘেঁষে বানানো মেরিন ড্রাইভ আপনার কক্সবাজার ভ্রমণকে করবে আরও বেশী আনন্দময়।

কক্সবাজার যাওয়ার উপায় এবং ভাড়া:
রাজধানী ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি গাড়ী চলে। এছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রংপুর ইত্যাদি শহর থেকে কক্সবাজার সরাসরি বাস সার্ভিস আছে। ঢাকার ফকিরাপুল, আরামবাগ, মতিঝিলসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সরাসরি কক্সবাজারের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে নন এসি গাড়ী আছে অনেকগুলো। শ্যামলী, টিআর, হানিফ, ইউনিক, এস আলম, সৈাদিয়া, ইত্যাদি। ভাড়া পড়বে ৮০০-১০০০ টাকা। যদি এসি বাসে যেতে চান সেক্ষেত্রে আছে গ্রীন লাইন, সৈাদিয়া, দেশ ট্রাভেলস, টিআর, সোহাগ ইত্যাদি। ভাড়া পড়বে ১৬০০ (ইকোনমি ক্লাস) – থেকে ২০০০ টাকা (বিজনেস ক্লাস)। সময় লাগতে পারে ১২-১৪ ঘন্টার মত। এছাড়া সেন্টমার্টিন পরিবহনের এসি বাস আছে যা চলে সরাসরি টেকনাফ পর্যন্ত। নন এসির ক্ষেত্রে ইউনিক এবং শ্যামলীর সার্ভিস বেশ ভালো এবং এসির ক্ষেত্রে দেশ এবং টিআর ট্রাভেলস ও দেশ ট্রাভেলস সার্ভিস ভালো।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার
চট্টগ্রাম থেকে প্রতি ঘন্টায় কক্সবাজারের গাড়ী পাওয়া যায় বহদ্দার হাট থেকে। অধিকাংশ গাড়ী লোকাল। ভালো সার্ভিস দেয় এস আলম ও সৈাদিয়া, ছাড়ে গরীবুল্লাহ শাহ মাজার, দামপাড়া থেকে। লোকাল বাস সমুহ ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা আর ডিরেক্ট বাস গুলো ৩৫০-৪০০ টাকা।
বিমানে কক্সবাজার
এছাড়া বিমানেও যেতে পারবেন। রিটার্ণ ভাড়া ৮,০০০ থেকে শুরু করে ১২,০০০ টাকা। ওয়ান ওয়ের ভাড়া ৫০০০ থেকে শুরু। ইউএস বাংলা, নোভো এয়ার, বাংলাদেশ বিমান যায় কক্সবাজার।

রাঙামাটি শহরের সেনানিবাস এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের পাশে গড়ে উঠা আরণ্যক রিসোর্টটি (Aronnok Holiday Resort) অপরূপ সুন্দর ছায...
02/10/2020

রাঙামাটি
শহরের সেনানিবাস এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের পাশে গড়ে উঠা আরণ্যক রিসোর্টটি (Aronnok Holiday Resort) অপরূপ সুন্দর ছায়া ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা সম্পূর্ণরূপে এই রিসোর্টটি পরিচালিত হচ্ছে। অপূর্ব সুন্দর কাপ্তাই হ্রদ ঘেরা এ রিসোর্টের ছিমছাম পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। মন ভুলানো এ রিসোর্টের প্রধান আকর্ষণ এর পরিবেশ ও কাপ্তাই লেকের নীল জলে প্যাডেল বোটে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ানো।‌
যেকোন দিন পুরো পরিবার নিয়ে ঘুরে আসার জন্য এই রিসোর্টটি। কাপ্তাই লেকের অসাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশে দারুণ কিছু সময় কাটবে আপনার এখানে। আর যদি সেটা কোন পুর্নিমার রাত হয় তবে তো কথাই নেই। দিনের বেলায় যেমন সুন্দর তেমনি দুর্দান্ত তার রাতের পরিবেশও। এই রিসোর্ট সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকায় নিরাপত্তা নিয়েও কোন সমস্যায় পরতে হয় না। লেকভিউর সাথে আছে সুইমিং পুলের সুবিধা, বোট রাইড। এর দুর্দান্ত নির্মাণশৈলী আপনার নজর কাড়বে অনায়াসেই। ছোট‌দের জন্য আরণ্যক রি‌সো‌র্টে রয়েছে বিভিন্ন রকমের খেলার রাইড। শুধু ঘুরে বেড়া‌নোই নয় আরণ্যক রি‌সো‌র্টে থাকা খাওয়ারও সকল ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রবেশ মূল্য:
আরাণ্যক রিসোর্টের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা

যাওয়ার উপায়:
ঢাকার ফকিরাপুল মোড় ও সায়দাবাদে রাঙামাটি গামী অসংখ্য এসি ও নন-এসি বাস রয়েছে। এই বাসগুলো সাধারণত সকাল ৮টা থেকে ৯টা এবং রাত ৮টা ৩০মিনিট থেকে রাত ১১টার মধ্যে রাঙামাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তাদের মধ্যে রয়েছে হানিফ, শ্যামলী, এস আলম, ইউনিক, সৌদিয়া ইত্যাদি। এসকল বাসে ভাড়া পড়বে ৬০০-৯০০ টাকার মধ্যে। এসব বাসে চেপে যেতে হবে রাঙামাটি শহর। এরপর সেখান থেকে আপনাকে পৌঁছতে হবে আরণ্যক রিসোর্টে।
চট্রগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটি টাউন এ প্রবেশ করার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে রাঙ্গামাটি ক্যান্টনমেন্ট নেমে যেতে হবে আপনাকে এবং নেমে আর্মিদের জিজ্ঞেস করলে ওরাই দেখেই দেবে কোন পথ দিয়ে যেতে হবে। মূলত ক্যান্টনমেন্ট ভিতর দিয়ে যেতে হয়। মেইন রোড থেকে পায়ে হেঁটে গেলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগবে রিসোর্ট পোঁছাতে। হাঁটতে ইচ্ছে না হলে অপেক্ষা করলে সিএনজি অটো পেয়ে যেতে পারেন।

লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি (Lakutia Zamindar Bari) বরিশাল জেলা সদরের কাশিপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রায় ৪০০ বছরের পুরানো এই জম...
02/10/2020

লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি (Lakutia Zamindar Bari) বরিশাল জেলা সদরের কাশিপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রায় ৪০০ বছরের পুরানো এই জমিদার বাড়িটি। বরিশাল শহর থেকে আট কিলোমিটার উত্তরে লাকুটিয়া বাজার। এরপর ইট বিছানো হাঁটাপথ। কিছু দূর যাওয়ার পর মিলবে জমিদারদের অনেক মন্দির আর সমাধিসৌধ। রাস্তার ডান পাশে। এগুলোর বেশির ভাগই আটচালা দেউলরীতিতে তৈরি। শিখররীতির মন্দিরও। পাঁচটা মন্দির এখনো বলতে গেলে অক্ষতই আছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি এখন পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। অথচ এই বাড়িটিকে ঘিরে রয়েছে প্রায় চার শ’ বছরের পুরনো ইতিহাস।
খোসালচন্দ্র রায় লিখিত ‘‘বাকেরগঞ্জের ইতিহাস গ্রন্থ’’ থেকে জানা গেছে, রূপচন্দ্র রায় ছিলেন এই জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর পৌত্র রাজচন্দ্র রায়ের সময়ে এর প্রতিপত্তি বাড়ে। তিনিই মূল জমিদার বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। তাঁর বসানো হাটকেই সবাই বলে বাবুরহাট। তিনি প্রজাদরদি ছিলেন। লাকুটিয়া থেকে বরিশাল অবধি রাস্তা তাঁর আমলেই তৈরি হয়েছিল। বেশ ঘটা করে তিনি রাস উৎসব করতেন। তাঁর দুই পুত্র রাখালচন্দ্র রায় ও প্যারীলাল রায় ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী ছিলেন।

যাওয়ার উপায়:
বরিশাল শহরের নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছুটা সামনে এগিয়ে গেলে শ্মশান মোড়। এখান থেকে লাকুটিয়া বাবুরহাটে যাওয়ার অটোরিক্সা, টেম্পো মিলবে। অটো কিংবা টেম্পুতে লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি যেতে ১৫-২৫ টাকা ভাড়া লাগবে।
বরিশাল কিভাবে যাবেন
বাসে বা সড়ক পথেঃ
সড়কপথে ঢাকা থেকে বরিশাল আপনি ৬ থেকে ৮ ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন। প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে বেশকিছু বাস বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বেশীরভাগ বাস পাটুরিয়া ঘাট অতিক্রম করে বরিশালে যায় আবার কিছু কিছু বাস মাওয়া ঘাট অতিক্রম করে বরিশালে যায়। ঢাকা থেকে আগত বাসগুলো বরিশালের নতুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে থেমে থাকে।
ঢাকা থেকে বরিশালে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে আছেঃ
শাকুরা পরিবহন, ফোনঃ ০১১৯০৬৫৮৭৭২, ০১৭২৯৫৫৬৬৭৭
ঈগল পরিবহন, ফোনঃ ০২-৯০০৬৭০০
হানিফ পরিবহন, ফোনঃ ০১৭১৩০৪৯৫৫৯

গন্তব্য যদি হয় খানিকটা দূরে, আর হাতে যদি থাকে সারা দিনের সময়, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন নারায়ণগঞ্জের জিন্দা পার্ক (Zinda Par...
29/09/2020

গন্তব্য যদি হয় খানিকটা দূরে, আর হাতে যদি থাকে সারা দিনের সময়, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন নারায়ণগঞ্জের জিন্দা পার্ক (Zinda Park) থেকে। ঢাকাতে সময় কাটানোর মতো অনেক পার্ক আছে,তবে নোংরামি ও অশ্লীলতার কারনে পার্কগুলোতে যেতে এখন মানুষের ভয় করে৷ ঢাকার যানযট, কোলাহল থেকে কিছুক্ষনের জন্য মুক্তি পেতে হলে ঘুড়ে আসা উচিত জিন্দা পার্ক থেকে৷ অসাধারন স্থাপত্যশৈলীর ব্যাবহার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পার্কটিতে৷ পার্কটি কোন সরকারি উদ্যাগের ফসল নয়। আবার কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নির্মাণও নয়। পার্কটি তৈরী হয়েছে এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং তাদের প্রাণান্ত অংশগ্রহনের মাধ্যমে। এলাকার ৫০০০ সদস্য নিয়ে “অগ্রপথিক পল্লী সমিতি” ১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করে। এ দীর্ঘ ৩৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম আর ত্যাগের ফসল এই পার্কটি। এ রকম মহাউদ্দেশ্য, এত লোকের সক্রিয় অংশগ্রহন এবং ত্যাগ স্বীকারের উদাহারণ খুব কমই দেখা যায়। অপস ক্যাবিনেট, অপস সংসদ এবং অপস কমিশন নামে পার্কটিতে ৩টি পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে। বর্তমানে জিন্দা গ্রামটিকে একটি আদর্শ গ্রাম ও বলা হয়৷
জিন্দা পার্ক এর অবস্থান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। প্রায় ১০০ বিঘা জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠা জিন্দা পার্কে রয়েছে একটি কমিউনিটি স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিক, নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী বিশিষ্ট একটি লাইব্রেরি, মসজিদ, ঈদগাহ, কবরস্থান, রয়েছে একটি রেস্তোরা। ২৫০ প্রজাতির ১০ হাজারের বেশী গাছ-গাছালী আছে পার্কটিতে। গাছের এই সমারোহ এর পরিবেশকে করেছে শান্তিময় সবুজ, কলকাকলীতে মুখর করেছে অসংখ্য পাখীরা। শীতল আবেশ এনেছে ৫ টি সুবিশাল লেক। তাই গরম যতই হোক পার্কের পরিবেশ আপনাকে দেবে শান্তির ছোঁয়া।

জিন্দা পার্ক যাওয়ার উপায়:
ঢাকা থেকে জিন্দা পার্ক এর দূরত্ব ৩৭ কিঃ মিঃ। ঢাকার যেখানেই থাকুন না কেন প্রথমেই চলে যান কুড়িল বিশ্বরোড। কুড়িলের বিআরটিসি বাস কাউন্টার থেকে কাঞ্চন ব্রিজের টিকিট কেটে নামতে হবে কাঞ্চন ব্রিজ। এ পর্যন্ত ভাড়া পড়বে ২৫ টাকা। কাঞ্চন ব্রিজ থেকে জিন্দা পার্ক বাইপাসে যেতে লেগুনা বা অটোতো গুনতে হবে ২০-৩০ টাকা। বাইপাসে নেমে ডিরেকশন অনুযায়ী হেটেই পৌছাতে পারবেন পার্কের গেট পর্যন্ত। তবে রিক্সায় গেলে ভাড়া পড়বে ৮০-১০০ টাকা। রিক্সা করে সরাসরি পার্কের গেটে চলে যেতে পারবেন।
ফেরার সময় একইভাবে অটো বা রিক্সায় কাঞ্চন ব্রীজ চলে আস্তে হবে। সেখান থেকে বিআরটিসি বাসে কুড়িল বিশ্বরোড। কাঞ্চন ব্রিজ থেকে ১৫ মিনিট পর পর বাস পাবেন।
এছাড়া কুড়িল বিশ্বরোড থেকে সিএনজি নিয়েও সরাসরি পার্কে যাওয়া যায়, ভাড়া ৪০০ টাকা।

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগর কন্যা কুয়াকটা (Kuakata Sea Beach) যা পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত। কুয়াকাটা দক্ষিণ এশিয়ায় একটি...
29/09/2020

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগর কন্যা কুয়াকটা (Kuakata Sea Beach) যা পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত। কুয়াকাটা দক্ষিণ এশিয়ায় একটি মাত্র সমুদ্র সৈকত যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়। সমুদ্রের পেট চিরে সূর্য উদয় হওয়া এবং সমুদ্রের বক্ষে সূর্যকে হারিয়া যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা নিঃসন্দেহে দারুন ব্যপার।
কুয়াকাটা বেরী বাঁধ পেরিয়ে সমুদ্র সৈকতের দিকে যেতেই বাম দিকে ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে মিউজিয়াম স্থাপন করা হয়েছে। এরপরই কয়েক গজ দক্ষিণে “ফার্মস এন্ড ফার্মস” এর রয়েছে বিশাল নারিকেল বাগানসহ ফল ও ফুলের বাগান। এ বাগানের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট, এ পিকনিক স্পট পরিদর্শনের পরেই রয়েছে কাংখিত ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিশাল সমুদ্র সৈকত। এ সৈকতের পূর্ব দিকে এগুলোই প্রথমে দেখা যাবে নারিকেল বাগান, সুন্দর আকৃতির ঝাউ বাগান। বন বিভাগের উদ্দ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির ঝাউগাছ লাগিয়ে সমুদ্র সৈকতের শোভা বর্ধন করা হয়েছে। এ নারিকেল ও ঝাউবাগানের মধ্যেও রয়েছে পিকনিক স্পট যেখানে পর্যটকরা দল বেঁধে বনভোজনের অনাবিল আনন্দে নিজেদের একাকার করে তোলে। তার থেকে একটুই পূর্ব দিকে আগালেই চর-গঙ্গামতির লেক, সেখান থেকে একটু ভিতরে দিকে এগুলেই সৎসঙ্গের শ্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম ও মিশ্রীপাড়া বিশাল বৌদ্ধ বিহার। সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম দিকে লেম্বুপাড়ায় প্রতি বছর আশ্বিন থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত জেলেরা প্রাকৃতির উপায়ে গড়ে তুলে শুটকী পল্লী। এ শুটকী পল্লীতে সাগরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রাকৃতিক উপায়ে শুটকীতে রূপান্তরিত করে সারা দেশে সরবরাহ করে।

কুয়াকাটা যাওয়ার উপায়:
ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার, বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি বাস এখন সরাসরি কুয়াকাটা যায়। ঢাকা থেকে সরাসরি দ্রুতি পরিবহন, সাকুরা পরিবহনসহ একাধিক পরিবহনের গাড়ীতে গাবতলী কিংবা সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে কুয়াকাটায় যেতে পারবেন। আপনি এসব বাসে গেলে আপনাকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ২০০ মিটার দূরে নামিয়ে দিবে। ভাড়া ৫০০-৫৫০। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা বাসে যেতে মোট সময় লাগে প্রায় ১২/১৩ ঘন্টা। খুলনা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে সকাল ৭ টায় একটি বিআরটিসি বাস ছাড়ে। খুলনা থেকে যেতে সময় লাগে প্রায় ৭/৮ ঘন্টা। আর উত্তরবঙ্গ থেকে আসতে চাইলে সৈয়দপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত রূপসা অথবা সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেনে করে আসতে পারবেন। রাত্রের টেনে আসলে সকাল ৭ টার বিআরটিসি বাসে করে কুয়াকাটা যেতে পারবেন।
ঢাকা সদরঘাট থেকে বিলাস বহুল ডাবল ডেকার এম.ভি পারাবত, এম.ভি সৈকত, এম.ভি সুন্দরবন, এম.ভি সম্পদ, এম.ভি প্রিন্স অব বরিশাল, এম.ভি পাতারহাট, এম.ভি উপকূল লঞ্চের কেবীনে উঠে সকালের মধ্যে পটুয়াখালী কিংবা কলাপাড়া নেমে রেন্ট-এ-কার যোগে/কুয়াকাটার বাসযোগে কুয়াকাটা পৌঁছাতে পারেন। ঢাকা থেকে উল্লেখিত রুট সমূহের লঞ্চগুলো বিকাল ৫ থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করে থাকে। লঞ্চে সিঙ্গেল কেবিন ভাড়া ১০০০ টাকা এবং ডাবল কেবিনের ভাড়া ১৮০০ টাকা।

ঢাকা বিভাগের মুন্সিগঞ্জ জেলার পদ্মা নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে নয়নাভিরাম ও অপরূপ সুন্দর একটি রিসোর্ট যার নাম পদ্মা রিসোর্ট (...
29/09/2020

ঢাকা বিভাগের মুন্সিগঞ্জ জেলার পদ্মা নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে নয়নাভিরাম ও অপরূপ সুন্দর একটি রিসোর্ট যার নাম পদ্মা রিসোর্ট (Padma Resort)। যারা কর্ম চঞ্চল শহরের গন্ডি পেড়িয়ে প্রকৃতি আর নদীর সান্নিধ্য পেতে চান তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান। যান্ত্রিক জীবনের ধরাবাঁধা নিয়ম, কোলাহল, শব্দ ও বায়ু দূষণ এবং সর্বোপরি নগর জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝে সপ্তাহ শেষে একটুরো নির্মল প্রশান্তির এনে দিতে পারে পদ্মা নদীর মাঝখানের জেগে উঠা চরে গড়ে উঠা এই পদ্মা রিসোর্ট। পরিবার নিয়ে অথবা বন্ধুদের সাথে জম্পেশ আড্ডায় পদ্মা রিসোর্ট হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ জায়গা। ঢাকা থেকে পদ্মা রিসোর্টের দূরত্ব মাত্র ৫০ কিমি.। সাথে গাড়ি থাকলে যেতে সময় লাগবে প্রায় ২ ঘন্টা। পদ্মা রিসোর্টটি গড়ে উঠেছে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার লৌহজং থানার পাশে পদ্মা নদীর বুকে।

কি আছে পদ্মা রিসোর্টে?
আউটডোরে – বাইরে আছে লেভিশ বিচ চেয়ার যেখানে হেলান দিয়ে আপনি উপভোগ করতে পারবেন নদীর পারের নয়নাভিরাম সন্দর্য। এছাড়াও আছে ঘোড়া, এই ঘোড়ায় চরেও ঘুরে বেরাতে পারবেন আপনি।
রেস্টুরেন্ট – রিসোর্টের ভিতরে বেশ অনেকখানি জায়গা নিয়ে আছে সুসজ্জিত রেস্টোরেন্ট। এখানে ১২০ জনের মতো বসার জায়গা আছে।
রিভার ক্রুজের ব্যবস্থা – যারা নৌকা ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তাঁদের জন্য আছে বিভিন্ন রকম ছোট বড় নৌকার ব্যবস্থা। এখানে আছে রাবার বোট যাতে অনায়াসে ২-৬ জন বসতে পারবে। স্পিড বোটের ব্যবস্থাও আছে এখানে। আর এক ধরনের নৌকা হচ্ছে কান্ট্রি বোট, একটু বড় হয় এই নৌকাটা, এখানে একসাথে ২০-২৫ জন উঠতে পারবে। আর যারা নদীতে মাছ ধরার শখ রাখেন তারা ফিশিং বোটেও চড়তে পারেন। সব বোটেই লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা আছে।
খেলাধুলা – এখানে আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের সাথে মেতে উঠতে পারেন বিভিন্ন খেলায়- ফুটবল, বিচ ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, ঘুড়ি উড়ানো, ফ্রিজবি, এমনকি দেশীয় খেলা হাডুডুও চাইলে খেলতে পারবেন।

বুকিং করার উপায়:
সরকারী ছুটির দিনে যাবার আগে অবশ্যই আগেই কটেজ বুক করে যেতে হবে। আগে থেকে বুক করতে হলে পদ্মা রিসোর্টের ঢাকা অফিসে আপনাকে বুকিং মানি দিয়ে বুক করতে হবে।
যোগাযোগ করতে চাইলে
এস এম নজরুল ইসলাম
জেনারেল ম্যানেজার
মোবাইলঃ ০১৭১২-১৭০৩৩০, ০১৭৫২-৯৮৭৬৮৮
টেলিফোনঃ ৮৭৫২৬১৭

বাঁশখালী (Banshkhali) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী একটি উপজেলা। পশ্চিমে নীল জলের বিস্তৃত সম...
29/09/2020

বাঁশখালী (Banshkhali) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী একটি উপজেলা। পশ্চিমে নীল জলের বিস্তৃত সমুদ্র সৈকত, পূর্বে চা-বাগান, অভয়ারণ্য, ইকোপার্ক সমৃদ্ধ সবুজে সৃজিত হয়েছে নন্দনকানন। প্রকৃতি ৩৯২ বর্গ কিলোমিটারের বাঁশখালীকে সাজিয়েছে যত্ন করে। চা-বাগানে অবারিত সবুজের হাতছানি, প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট স্বচ্চ জলের দীর্ঘ পাহাড়ী হ্রদে অজস্র পাখির বিচরণ, সমুদ্রের বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখার মিশেল অনুভূতির একই সাথে নিতে পারেন শুধু বাঁশখালীতেই!
শহর থেকে কাছেই, প্রকৃতির রুপ সৌন্দর্য এখানে নিজেকে সাজিয়েছে মনের মত করে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার একর জায়াগা জুড়ে থরে থরে সাজানো বৈলগাও চা-বাগান শত বছরের ঐতিহ্যের অংশ। ক্লোন চায়ের জন্যে এই বাগানে উৎপাদিত চায়ের কদর দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী। বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া জুড়ে অবস্থিত এই চা-বাগানের সৌন্দর্য পিয়াসী মাত্রই মুগ্ধ করে। বৈচিত্র্যময় পাহাড়ী টিলা গুলো দূর থেকে দেখলে মনে হবে ‘সবুজ টুপি’ পড়ে আছে।
৩ লক্ষ ২৫ হাজার কেজি পাতা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে চলা এই চা-বাগানে চা-পাতা প্রক্রিয়াজাত করণ করার দৃশ্যটিও অনুমতি নেয়া সাপেক্ষে দেখতে পারেন ভ্রমনকারীরা। সিটি গ্রুপের ব্যাবস্থাপনায় পরিচালিত এই বিস্তৃত চা বাগানটির সবুজের গালিচা পয়সা উসুল একটি দিন উপহার দিতে পারে নিমেষেই। সকালটি চা বাগানের সবুজাভ আথিতিয়তা নিয়ে বিস্মিত হয়ে আসতে পারেন বাঁশখালীর উপকূল জুড়ে ৩৫ কিলোমিটার বিস্তৃত একটানা সমুদ্র সৈকতটি অবলোকন করে।

যাওয়ার উপায়:
ঢাকা থেকে যেকোন পথে চট্টগ্রাম হয়ে বাঁশখালী যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে বাঁশখালী স্পেশাল সার্ভিস ও ক্লোজ ডোর সার্ভিস নামে দুটি বাস ছাড়ে প্রতি ২০ মিনিট পর পর। মাত্র ৬০-৮০ টাকা ভাড়ায় বাঁশখালী ঘন্টা দেড়েকের দুরত্বে। মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে নিতে পারেন সারাদিনের চুক্তিতে। তারা আপনাকে সব গুলো স্পট একদিনেই ঘুরিয়ে আনতে পারে।

রাঙামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট ও বনভোজন কেন্দ্রটি ঢাকা শহরের খুব কাছে গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত। নাম রাঙ্গামাটি বলে অনে...
25/09/2020

রাঙামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট ও বনভোজন কেন্দ্রটি ঢাকা শহরের খুব কাছে গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত। নাম রাঙ্গামাটি বলে অনেকেই প্রথমে ভেবে থাকেন রাঙ্গামাটি? সেতো অনেক দূর! আসলে রাঙ্গামাটি জেলার নামের সাথে মিল রেখে এই অবকাশ কেন্দ্রের নামকরন করা হয়েছে রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট। এখানে আছে বনভোজন কেন্দ্র, লেকে মাছ ধরা ও বেড়ানোর ব্যবস্থা এবং কটেজে অবকাশ যাপনের ব্যবস্থা। চারপাশ শালগাছে ঘেরা। এখানে আছে একটি মুক্তমঞ্চ। আছে লেকে নৌ-ভ্রমণের ব্যবস্থা, আছে সুইমিং পুলে শরীর ভিজানোর সুযোগ। পিকনিক স্পট আছে। অন্য সব খাবারের সঙ্গে তন্দুরি আর কাবাবও পাবেন। কটেজ আছে সাতটি, দোতলা ভবন আছে আরো আটটি। সব কক্ষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
রাঙামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্টটি (Rangamati Waterfront Resort) মুলত পারিবারিক ও কর্পোরেট পিকনিকের জন্য বিশেষ ভাবে প্রস্তুত করা। কামিনি, যামিনি, বিজ ফিল্ড ও এমফি থিয়েটার নামে ৪টি পিকনিক স্পট রয়েছে এখানে। প্রত্যেকটি স্পটে রয়েছে আদালা আলাদা খেলার মাঠ ও রান্না জায়গা। পুরো রিসোর্টের চার পাশে রয়েছে ঘন সবুজ অরন্য, নিরিবিলি পরিবেশ, শিশুদের খেলার জায়গা।

কিভাবে যাবেন:
ঢাকার মহাখালী বা ফার্মগেট থেকে বাসে করে যাবেন চন্দ্রায়। তারপর চন্দ্রায় থেকে টেম্পো বা রিকশা করে টাঙ্গাইল রোড ধরে যেতে হবে রাঙমাটি-ওয়াটার-ফ্রন্টে।
যোগাযোগ
বুকিংঅফিসঃ ফ্ল্যাট # ৬০২, কনকর্ড টাওয়ার, ১১৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, বাংলামটর, ঢাকা। ফোন – ০১৮১১৪১৪০৭৪, ০১৮১১৪১৪০৮০, ০২-৯৩৪১০৮৬

খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ৯ কি.মি., পর্যটন মোটেল থেকে ৭ কি.মি. এবং আলুটিলা থেকে ২ কি.মি. দূরে মাটিরাঙ্গা উপজেলাতে রিসাং ঝর্...
25/09/2020

খাগড়াছড়ি
জেলা সদর থেকে ৯ কি.মি., পর্যটন মোটেল থেকে ৭ কি.মি. এবং আলুটিলা থেকে ২ কি.মি. দূরে মাটিরাঙ্গা উপজেলাতে রিসাং ঝর্ণা অবস্থিত। মূল রাস্তা থেকে উত্তরে গেলেই ঝর্ণার কলকল ধ্বনি শুনতে পাবেন। এখানে পাশাপাশি দুটি ঝর্ণা রয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য একটি ঝর্ণায় যেতে পাকা সিঁড়ি দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তাই সহজে এই ঝর্ণায় যাওয়া যায়। প্রথমটি থেকে আরও ২০০ গজ ভেতরে আরও একটি ঝর্ণা। জেলা শহর থেকে ঝর্ণা স্থলের দুরত্ব সাকুল্যে ১১ কি: মি: প্রায়। নিজস্ব পরিবহন নিয়ে আপনি অনায়াসেই চলে যেতে পারেন একেবারে ঝর্ণার পাদদেশে। সামান্য পায়ে হাঁটা পথ যাত্রার আকর্ষণকে আরো বাড়িয়ে দেবে। উঁচু পাহাড়ের গা ঘেঁষে পায়ে হেঁটে যেতে যেতে যে কারো দৃষ্টি আটকে যাবে পাহাড়ী সবুজ আর জীবনধারায়। হাজার ফুট নীচের উপত্যকায় দৃষ্টি পড়লে কোন অপূর্ব মুগ্ধতায় যে কেউ শিউরে উঠবেন।

কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে শান্তি, শ্যামলী, হানিফ ও অন্যান্য পরিবহনের বাসে খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন। ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা। এছাড়াও বিআরটিসি (BRTC) ও সেন্টমার্টিন পরিবহনের এসি বাস (AC Bus) খাগড়াছড়ি যায়। শান্তি পরিবহনের বাস সরাসরি দীঘিনালা পর্যন্ত যায়।
সেন্টমার্টিন পরিবহন (Saint Martin Paribahan) – আরামবাগঃ ০১৭৬২৬৯১৩৪১ , ০১৭৬২৬৯১৩৪০ । খাগড়াছড়িঃ ০১৭৬২৬৯১৩৫৮ ।
শ্যামলী পরিবহন – আরামবাগঃ ০২-৭১৯৪২৯১ । কল্যাণপুরঃ ৯০০৩৩৩১ , ৮০৩৪২৭৫ । আসাদগেটঃ ৮১২৪৮৮১ , ৯১২৪৫৪ । দামপাড়া (চট্টগ্রাম) ০১৭১১৩৭১৪০৫ , ০১৭১১৩৭৭২৪৯ ।

সন্দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি দ্বীপ। এটি মেঘনা নদীর মোহনায় ...
24/09/2020

সন্দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি দ্বীপ। এটি মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রাচীন একটি দ্বীপ। এখানে প্রায় ৪০০,০০০ জনসংখ্যা রয়েছে। সমগ্র দ্বীপ ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫-১৫ কিলোমিটার প্রশস্ত।
দ্বীপের প্রত্যেকটি জায়গা দেখার মতন। ফসল ভরা মাঠ সবুজ প্রকৃতি, হাট, বাজার সব কিছু। দ্বীপের উত্তর থেকে দক্ষিনের সব প্রান্ত ঘুরে দেখতে পারেন অনায়াসে। দ্বীপের উত্তরে তাজমহলের আদলে নির্মিত শত বছরের পুরনো মরিয়ম বিবি সাহেবানী মসজিদ। মসজিদ সংলগ্ন বড় দিঘী, মাজার। দ্বীপের দক্ষিনের ঐতিহ্যবাহী শুকনা দিঘী। এছাড়া রয়েছে অসংখ্য মসজিদ, স্কুল, মাদ্রাসা, বড় বড় খেলার মাঠ। ভাগ্য ভালো থাকলে দেখেতে পারবেন পুরনো বাউল জারী সারি গানের আসর।

কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে স্টীমারে যেতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে যেতে হবে সদরঘাট। সপ্তাহে তিন দিন এই সার্ভিস থাকে সকাল ৯ টায় সদরঘাট ছেড়ে যায় সন্দ্বীপের উদ্দেশ্যে।
অথবা দেশের যে কোন প্রান্ত হতে চট্টগ্রামগামী বাসে করে চলে যান সীতাকুণ্ডের কুমিরা স্টিমার ঘাট। ভাড়া বিভিন্ন জায়গা হতে বিভিন্ন। ঢাকা হতে নন-এসি চেয়ার কোচের ভাড়া ৫০০ টাকার মধ্যে, সুপারভাইজারকে বলে রাখবেন, কুমিরা স্টিমার ঘাটে নামিয়ে দিতে। বাস আপনাকে যেখানে নামাবে সেখান থেকে জনপ্রতি ১০-২০ টাকা ভাড়ায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা করে চলে যাবেন স্টিমার ঘাটে। এই ঘাটের নাম কুমিরা-গুপ্তছরা ঘাট। এই প্রান্তে কুমিরা, সন্দ্বীপের প্রান্তে গুপ্তছরা। কুমিরা থেকে সন্দ্বীপ যাওয়ার ভাড়া জনপ্রতি স্পীডবোটে ৩০০-৩৫০ টাকা, ট্রলারে ১৫০ টাকা আর সী-ট্রাকে ১২০ টাকা। ট্রলার জোয়ার আসলে পড়ে ছাড়ে, আর সী-ট্রাক বেলা বারোটার দিকে। তাই সবচেয়ে ভালো অপশন স্পীডবোট। তাই সেখানে পৌঁছেই কাউণ্টারে গিয়ে নাম লিখিয়ে সিরিয়াল নিয়ে নিবেন। সন্দ্বীপ (Sandwip) পৌঁছে গুপ্তছরা ঘাট থেকে এনাম নাহার (মূল শহর) পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা, সরাসরি পশ্চিমপাড় ঘাট চলে গেলে ভাড়া ২৫০-৩০০ টাকার মধ্যে থাকবে।

বাংলাদেশে যে কয়টি জমিদার বাড়ি সমৃদ্ধ এবং ইতিহাসের সাথে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে তাদের মধ্যে করটিয়া জমিদার বাড়ি...
24/09/2020

বাংলাদেশে যে কয়টি জমিদার বাড়ি সমৃদ্ধ এবং ইতিহাসের সাথে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে তাদের মধ্যে করটিয়া জমিদার বাড়ি অন্যতম। টাঙ্গাইল জেলায় বেশ কয়েকটি জমিদার বাড়ি রয়েছে। কিন্তু সবগুলোকে ছাপিয়ে ইতিহাস আর ঐতিহ্যে করটিয়া জমিদার বাড়ি আলাদা স্থান করে নিয়েছে।
টাঙ্গাইল শহর হতে ১০ কি.মি. দূরে পুটিয়ার তীর ঘেঁষে আতিয়ারচাঁদ খ্যাত জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর জমিদার বাড়ি। প্রাকৃতিক এবং নিরিবিলি পরিবেশের এই জমিদার বাড়িটি প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ০.৫ কিলোমিটার প্রস্থ বিশিষ্ট প্রাচীরঘেরা যেখানে রয়েছে লোহার ঘর, রোকেয়া মহল, রাণীর পুকুরঘাট, ছোট তরফ দাউদ মহল এবং বাড়িসংলগ্ন মোগল স্থাপত্যের আদলে গড়া মসজিদ একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য। মোগল ও চৈনিক স্থাপত্যের মিশেলে নির্মিত জমিদার বাড়িটি প্রথম দর্শনেই আপনার মন কেড়ে নেবে। সীমানা প্রাচীরের ভেতরে অবস্থিত মোগল স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন রোকেয়া মহল, যা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মর্যাদা পাওয়ার দাবি রাখে। অথচ এটি আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকার মহাখালী থেকে বেশ কয়েকটি পরিবহনের বাস টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সেগুলোতে চড়ে আপনি করটিয়া বাইপাস এর কাছে নেমে গিয়ে একটি রিকশা নিয়ে চলে যান করটিয়াা জমিদার বাড়ি। বাস ভাড়া ১৫০-১৭০ টাকা, আর রিকশা ভাড়াটা ১৫-২০ টাকা পরবে। একদিনের ট্যুরে গেলে এই জমিদার বাড়ী ছাড়াও চলে যেতে পারেন ঐতিহ্যবাহী আতিয়া মসজিদ দেখতে, একই পথে রয়েছে দেলদুয়ার জমিদার বাড়ী। দেখে আসতে পারেন মওলানা ভাসানীর সমাধি এবং জাদুঘর, সাথে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি।

পানাম নগর (Panam City) পৃথিবীর ১০০টি ধ্বংসপ্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি যা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এ অবস্থিত। পানাম বাংলা...
24/09/2020

পানাম নগর (Panam City) পৃথিবীর ১০০টি ধ্বংসপ্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি যা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এ অবস্থিত। পানাম বাংলার প্রাচীনতম শহর। এক সময় ধনী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বসবাস ছিল এখানে। ছিল মসলিনের জমজমাট ব্যবসা। প্রাচীন সেই নগরীর তেমন কিছু আর অবশিষ্ট নেই। এখন আছে শুধু ঘুরে দেখার মতো ঐতিহাসিক পুরনো বাড়িগুলো। World Monument Fund ২০০৬ সালে পানাম নগরকে বিশ্বের ধ্বংসপ্রায় ১০০টি ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায় প্রকাশ করে। ঈসা খাঁ এর আমলের বাংলার রাজধানী পানাম নগর। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর -প্রাচীন সোনারগাঁর এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিলো সবচেয়ে আকর্ষণীয়। এখানে কয়েক শতাব্দী পুরনো অনেক ভবন রয়েছে, যা বাংলার বার ভূইয়াঁদের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত। ঢাকার খুব কাছেই ২৭ কি.মি দক্ষিণ-পূর্বে নারায়নগঞ্জ এর খুব কাছে সোনারগাঁতে অবস্থিত এই নগর। সোনারগাঁর ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই নগরী গড়ে ওঠে। ঐতিহাসিকভাবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। জানা যায়, ১৪০০ শতাব্দীতে এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় যেখানে পৃথিবীর নামি-দামি শিক্ষকরা পড়াতে আসতেন। এখানে একটি ভৃত্য বাজার ছিল বলে জানা যায়।

পানাম সিটি যাওয়ার উপায়:
ঢাকা হতে পানাম নগর এর মোট দূরত্ব ২৭ কি.মি যা সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন জাদুঘর হতে ০.৫ কি.মি. উত্তরে অবস্থিত। যে কেউ প্রাইভেটকার অথবা মাইক্রোবাস নিয়ে সরাসরি পানাম নগর যেতে পারবেন। আর যদি বাসে যেতে চান তাহলে গুলিস্তান থেকে বাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় এসে নামতে হবে। সেখান থেকে রিকশা/অটোরিক্সাযোগে পানাম সিটি যেতে হবে। মোগড়াপারা বাসষ্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২কি:মি: অভ্যন্তরে পানাম নগরী। সুতরাং যে কেউ বাস, মিনিবাস বেবিট্যক্সি, মোটর সাইকেলসহ যেকোনো ধরনের বাহনেই সেখানে যেতে পারেন।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tsua posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Tsua:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share