Pother Ghuri Page

  • Home
  • Pother Ghuri Page

Pother Ghuri Page It's not a agency, it's friendly tour group. I recommend to all of my traveler friends join with us t

এক শান্ত ভালোবাসার নাম রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট!!!!রাতারগুল বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট (Ratargul Swamp Forest)। ...
08/07/2023

এক শান্ত ভালোবাসার নাম রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট!!!!

রাতারগুল বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট (Ratargul Swamp Forest)। এটি সিলেট জেলা শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। রাতারগুল বনটি প্রায় ৩০,৩২৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এই বিস্তৃর্ণ এলাকার ৫০৪ একর জায়গায় রয়েছে বন আর বাকি জায়গা ছোট বড় জলাশয়ে পূর্ণ। তবে বর্ষায় পুরো এলাকাটিকেই দেখতে একই রকম মনে হয়। রাতারগুল ‘সিলেটের সুন্দরবন’ নামে খ্যাত। রাতারগুল জলাবন বছরে চার থেকে পাঁচ মাস পানির নিচে তলিয়ে থাকে। তখন জলে ডুবে থাকা বনের গাছগুলো দেখতে সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা এসে ভিড় জমায়। অনেক পর্যটক রাতারগুলকে ‘বাংলাদেশের আমাজন’ হিসাবে অভিহিত করেন। বর্ষায় গাছের ডালে দেখা মিলে নানান প্রজাতির পাখি, আবার তখন কিছু বন্যপ্রাণীও আশ্রয় নেয় গাছের ডালে। এছাড়া শীতকালে রাতারগুলের জলাশয়ে বসে হাজারো অতিথি পাখির মেলা। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর (বর্ষার শেষের দিকে) পর্যন্ত রাতারগুল ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

রাতারগুল একটি প্রাকৃতিক বন, স্থানীয় বন বিভাগ এখানে হিজল, বরুণ, করচ সহ বেশ কিছু গাছ রোপণ করেন। এছাড়াও এখানে চোখে পড়ে কদম, জালিবেত, অর্জুনসহ প্রায় ২৫ প্রজাতির জলসহিষ্ণু গাছপালা। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বন বিভাগ রাতারগুল বনের ৫০৪ একর জায়গাকে বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে।

যেভাবে যাবেনঃ

ঢাকার গাবতলী, ফকিরাপুল এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে সিলেটগামী বাসগুলো ছেড়ে যায়৷ গ্রীন লাইন, সৌদিয়া, এস আলম, শ্যামলি, এনা প্রভৃতি পরিবহনের এসি বাসের জনপ্রতি টিকেটের মূল্য বাস ভেদে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। আর নন-এসি বাসের জনপ্রতি টিকেটের মূল্য ৪৭০ থেকে ৬০০ টাকা।

ঢাকা থেকে ট্রেনে করে সিলেট যেতে কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশান হতে উপবন, জয়ন্তিকা, পারাবত অথবা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনকে বেছে নিতে পারেন আপনার ভ্রমণ সঙ্গী হিসাবে।

চট্টগ্রাম থেকেও ট্রেনে সিলেট যেতে পারবেন, পাহাড়িকা এবং উদয়ন এক্সপ্রেস নামের দুটি ট্রেন সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে।

সিলেট থেকে রাতারগুল যাওয়ার উপায়ঃ
সিলেট থেকে দুই ভাবে রাতারগুল আসা যায়। সিলেট শহরের পাশের খাদিম চা বাগান ও খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানের ভেতরের রাস্তা দিয়ে খুব অল্প সময়ে রাতারগুল পৌঁছানো যায়। এই পথে সিএনজি অটোরিকশা কিংবা জিপ নিয়ে শ্রীঙ্গি ব্রিজ যেতে হয়। সিলেট থেকে সকালে রাতারগুল গিয়ে বিকেলের মধ্যেই ফিরে আসা যায়। তাই সারাদিনের জন্য সিএনজি কিংবা অটোরিকশার ভাড়া ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাগবে। সারাদিন সিএনজি ভাড়া নিলে প্রায় একই ভাড়ায় বিছনাকান্দিও ঘুরে আসতে পারবেন। যদি সিলেটের আম্বরখানা থেকে লোকাল সিএনজি চড়ে যেতে চান তবে শ্রীঙ্গি ব্রিজ পর্যন্ত আসতে জনপ্রতি ১০০ টাকা ভাড়া লাগবে। সিএনজি রিজার্ভ করতে অবশ্যই দামাদামি করে নিন। শ্রীঙ্গি ব্রিজ থেকে রাতারগুল জঙ্গলে ঢুকার জন্য জেলেদের ছোট ছোট নৌকা পাবেন। একটি ছোট নৌকায় ৪-৫ জন চড়া যায়। এমন একটি নৌকার ভাড়া ৮৫০ টাকা। রাতারগুলে লাইফ জ্যাকেট, ছাতা এবং মাঝির হ্যাট ইত্যাদি ভাড়া পাওয়া যায়।

রাতারগুল যাওয়ার দ্বিতীয় পথে সিলেট হতে জাফলং গামী গাড়িতে গিয়ে সারিঘাট নামতে হবে। সিলেট থেকে সারিঘাট আসার লোকাল ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সারিঘাট হতে সিএনজিতে করে গোয়াইনঘাট বাজারে এসে নৌকা দিয়ে রাতারগুল যেতে হবে। তবে এ পথে সময় বেশি লাগে।

এছাড়া সিলেটের বন্দর বাজার পয়েন্ট থেকে সিএনজি যোগে সাহেব বাজার হয়ে মটরঘাট পৌঁছে ডিঙ্গি নৌকা ভাড়া করে রাতারগুল জলাবনে চলে যেতে পারবেন।

মনে রাখা জরুরী, যে পথেই রাতারগুল আসেন না কেন বনের ভেতরে ঢুকতে গেলে জেলেদের ছোট নৌকা ভাড়া নিতে হবে। একটি নৌকায় সর্বোচ্চ ৪-৫ জন বসা যায়।

কোথায় থাকবেনঃ

লালা বাজার এলাকায় ও দরগা রোডে কম ভাড়ায় অনেক মানসম্মত আবাসিক হোটেল ও রেস্ট হাউস আছে৷ যেখানে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিভিন্ন ধরণের রুম পাবেন। এছাড়া হোটেল হিল টাউন, গুলশান, দরগা গেইট, সুরমা,কায়কোবাদ ইত্যাদি হোটেলে আপনার প্রয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী থাকতে পারবেন।

ভালো সার্ভিসের আবাসিক হোটেলের মধ্যে আছে হোটেল হলি গেইট, হলি ইন, লা ভিস্তা হোটেল, পানসি ইন, হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল, ব্রিটানিয়া হোটেল, ইত্যাদি। এসব হোটেলে থাকতে খরচ হবে ২,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত। লাক্সারী হোটেল ও রিসোর্টের মধ্যে আছে নিরভানা ইন, হোটেল নূরজাহান গ্র্যান্ড, রোজ ভিউ হোটেল, নাজিমগর রিসোর্ট, গ্র্যান্ড প্যালেস সহ আরও কিছু হোটেল। প্রতি রাতের জন্যে খরচ হবে ৮,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত।

রাতারগুল ভ্রমণে সাবধানতাঃ

বর্ষায় বন ডুবে যাওয়ার পর সাপ সাধারণত বিভিন্ন গাছের ডালে আশ্রয় নেয়, এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এছাড়া এখানে জোঁকের উপদ্রবও আছে। যদি সাঁতার জানা না থাকে তবে লাইফ জ্যাকেট সাথে রাখুন। প্রয়োজনে ছাতা ও রেইনকোট নিয়ে নিন।

পরিশেষে, যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবো না। আমাদের সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই।

হ্যাপি ট্রাভেলিং।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম ‘মিয়াজাকি'। আন্তর্জাতিক বাজারে এই আমের দাম প্রতি কেজি প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ভারতের পশ্চিম...
13/06/2023

বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম ‘মিয়াজাকি'। আন্তর্জাতিক বাজারে এই আমের দাম প্রতি কেজি প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে তিন দিনের আম উৎসবে এই আম প্রদর্শিত হচ্ছে। দর্শনার্থীদের মধ্যে এই আম বেশ সাড়া ফেলেছে।

শিলিগুড়িতে সপ্তমবারের মতো এই আম উৎসব হচ্ছে। ৯ জুন শুরু হওয়া এই উৎসবের আয়োজক অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম। সহায়তায় রয়েছে মডেলা কেয়ারটেকার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল। উৎসবে দুই শতাধিক জাতের বেশি আম প্রদর্শিত হচ্ছে।
সোর্স: প্রথম আলো।

10/05/2023

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

লাউয়াছড়ার জঙ্গল কাব্যঘড়ির কাঁটায় সকাল আটটা। রওনা দিয়েছি সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্র বন্দর বাজার থেকে। স্নিগ্ধ সকালে মহাসড়ক ...
21/01/2021

লাউয়াছড়ার জঙ্গল কাব্য

ঘড়ির কাঁটায় সকাল আটটা। রওনা দিয়েছি সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্র বন্দর বাজার থেকে। স্নিগ্ধ সকালে মহাসড়ক পেরিয়ে চলছি এগিয়ে। গন্তব্য মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থান হলেও উদ্যানটি শ্রীমঙ্গল থেকে কাছে।

আমার ভ্রমণসঙ্গী আনন্দ, পৃথু, পিকু, অনিক, সপ্তক। আর গন্তব্যে পৌঁছানোর দায়িত্বে আছে ফরহাদ। দয়ামির বাজার, গোয়ালা বাজার পেরিয়ে এগিয়ে চলছি। ঘণ্টা দু-একের মধ্যে আমরা এসে পৌঁছালাম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রবেশদ্বারে। টিকিট কেটে প্রবেশ করলাম ভেতর পানে পদব্রজে। প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দেখা পেলাম আকাশছোঁয়া সব গাছের সারি। গাছের ফাঁকে ফাঁকে চলছে সূর্য দেবের লুকোচুরি খেলা।

আমরা চলছি এগিয়ে, পথে পাখিদের কিচিরমিচির অন্য রকম অনুভূতির সৃষ্টি করল। উঁচু-নিচু টিলাজুড়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের গঠন। পাহাড়ি টিলার মধ্য দিয়ে এ বনে চলার পথ। উদ্যানের ভেতর দিয়েই বয়ে গেছে বেশ কয়েকটি পাহাড়ি ছড়া। আমরা দেখা পেলাম তেমনি একটি ছড়ার। আমরা এগিয়ে যেতে লাগলাম, কিছু দূর চলার পরে দেখা পেলাম ঢাকা-সিলেট রেলপথ। এরপরই মূলত জঙ্গলের শুরু। আমরা রেলপথের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম। দেখা পেলাম অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজসহ কিছু বিখ্যাত চলচ্চিত্রের শুটিং স্পট।

আমরা মূল সড়ক ছেড়ে জঙ্গলের ভেতরে প্রবেশ করলাম। সাইরেনের মতো এক ধরনের শব্দ কানে আসছিল। আমাদের কনিষ্ঠ ভ্রমণসঙ্গী সপ্তক জানতে চাইল, এটি কিসের শব্দ। আমি বললাম, এটি এ বনে থাকা ঝিঁঝি পোকার ডাক। উদ্যানে বেড়ানোর তিনটি পথ দেখতে পেলাম আমরা। উদ্যানের ভেতরে একটি খাসিয়াপল্লি আছে। প্রথম পথটির শুরু রেললাইন পেরিয়ে হাতের বাঁ দিক থেকে। পথের শুরুতে উঁচু গাছগুলোতে দেখা মিলতে পারে কুলু বানরের। নানা রকম গাছগাছালির ভেতর দিয়ে তৈরি করা এ পথে চলতে চলতে জঙ্গলের নির্জনতায় শিহরিত হবেন যে কেউ। নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে চলতে এই পথ শেষ হবে ঠিক শুরুর স্থানে। আর এক ঘণ্টার পথ হেঁটে একটু ভেতরে গেলে শুরুতেই চোখে পড়বে বিশাল গন্ধ রুই, ঝাওয়া, জগডুমুর, কাঁঠালিচাঁপা, লেহা প্রভৃতি গাছ।

পথের পাশে থাকা ডুমুরগাছের ফল খেতে আসে উল্লুক, বানর ও হনুমান ছাড়াও বনের বাসিন্দা আরও অনেক বন্য প্রাণী। ঘুরতে ঘুরতে আমরা একসময় পৌঁছে গেলাম খাসিয়াদের বসতি মাগুরছড়া পুঞ্জি। এ পুঞ্জির বাসিন্দারা মূলত পান চাষ করে থাকে। ১৯৫০ সালের দিকে বন বিভাগ এ পুঞ্জি তৈরি করে। এসব আমরা জানতে পারলাম পার্কের মধ্যে থাকা তথ্যকেন্দ্র থেকে। পথেই দেখা মিলল বিশাল বাঁশবাগান। এখানে নানা ধরনের বানরের খেলা দেখে মজা পাবে যেকোনো পর্যটক। পথের শেষে দেখতে পেলাম বনের অন্যতম আকর্ষণ উল্লুক পরিবারের। এরা বনের সবচেয়ে উঁচু গাছগুলোতে দলবদ্ধভাবে বাস করে।

এই বন এতই ঘন যে মাটিতে সূর্যের আলো পড়ে না বললেই চলে। প্রকৃতির সব সৌন্দর্য উপভোগ করে আমরা ফিরলাম আগের পথেই।

কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে যেতে ট্রেন হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। ঢাকা থেকে ট্রেনে করে শ্রীমঙ্গল যেতে কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন হতে উপবন, জয়ন্তিকা, পারাবত অথবা কালনী এক্সপ্রেসকে বেছে নিতে পারেন। শ্রেণিভেদে জনপ্রতি ট্রেন ভাড়া ২৬৫ থেকে ১০০০ টাকা। ট্রেনে যেতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। বাসে ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যেতে ফকিরাপুল অথবা সায়েদাবাদ থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়ায় নন-এসি বাস পাওয়া যায়। বাসে যেতে সময় লাগে চার ঘণ্টার মতো।

শ্রীমঙ্গল পৌঁছে সেখান থেকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী কোনো গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন লাউয়াছড়া উদ্যানে। ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, জিপ, মাইক্রোবাস যেকোনো কিছুতেই যাওয়া যায়। যাওয়া-আসা ও সেখানে ঘুরে বেড়ানোর সময়সহ রিজার্ভ নিলে সিএনজি ৪০০-৫০০ টাকা নেবে। আর আপনি চাইলে দিনে এসে দিনেই ফিরে যেতে পারবেন লাউয়াছড়া উদ্যানে থেকে। আর থাকতে চাইলে শ্রীমঙ্গল শহরে গিয়ে থাকতে হবে।

লেখাসুমন্ত গুপ্ত
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২১, ০৬: ৫৭
prothomalo

19/01/2021

Lost World...

বেঁচে গেল মানব জাতি, পৃথিবীর পাশ ঘেঁষে বেরল বিরাট গ্রহাণুকান ঘেঁষে না হলেও পাশ ঘেঁষে তো বটেই। কেটে গেল ফাঁড়া। পৃথিবীর পা...
29/04/2020

বেঁচে গেল মানব জাতি, পৃথিবীর পাশ ঘেঁষে বেরল বিরাট গ্রহাণু

কান ঘেঁষে না হলেও পাশ ঘেঁষে তো বটেই। কেটে গেল ফাঁড়া। পৃথিবীর পাশ কেটে বেরিয়ে গেল প্রায় ২ কিলোমিটার চওড়া গ্রহাণু। বুধবার ভোরে একবার পৃথিবীকে ‘হাই’ জানিয়ে চলে গেল এই গ্রহাণুটি।

পৃথিবী থেকে প্রায় ৩.৯ মিলিয়ন মাইল দূর দিয়ে ছুটে যায় গ্রহাণুটি। তবে এর কোনও প্রভাব পড়েনি পৃথিবীর ওপর। ঘটনার সময় মহাকাশের দিকে চোখ রেখেছিল নাসার বিজ্ঞানীরা।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যদি এটি পৃথিবীর সঙ্গে কোনভাবে ধাক্কা খেত তাহলে পৃথিবীতে ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়তে পারতো। কিন্তু সেরকম কোনো কিছু ঘটেনি।

সম্প্রতি মহাকাশবিদদের হাতে উঠে ছবি। একটি অবজারভেটরি থেকে সেই ইমেজ প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, প্রায় ২ কিলোমিটার চওড়া এই গ্রহাণু মাউন্ট এভারেস্টের অর্ধেক।

অনেক গবেষকরা জানাচ্ছেন, আগামী ২০৭৯ অবধি এবার নিশ্চিত হতে পারেন বিশ্ববাসী। কারণ ২০৭৯ সালের এই এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছে আর ফিরবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

করোনা আবহে এই গ্রহাণু ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা চড়েছিল। কারণ, গ্রহাণুটি আসছে মাস্ক পরে। মাস্ক পরা এখনও বাধ্যতামূলক। সারা পৃথিবীর মানুষ এখন মাস্ক পরার অভ্যাস করে ফেলেছেন। এই অবস্থায় নাকি পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে একটা আস্ত গ্রহাণু, যার নাকি মুখে বাঁধা মাস্ক।

মহাকাশ মহাকাশবিদরা জানিয়েছেন এই গ্রহাণুটির ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য এমনই যাতে দেখে মনে হচ্ছে এটিকে ফেস মাস্ক পড়ানো হয়েছে। আসলে এই গ্রহাণুটি পর্বতের মত চড়াই-উৎরাই তে ভরা। আর সেই জন্যই এমন চেহারা তৈরি হয়েছে।

27/04/2020

বান্দরবানের থান‌চি‌ বাজারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ‌সোমবার (২৭ এ‌প্রিল) ভোর ৫টায় এই আগুন লা‌গে। এ সময় বাজা‌রের তিন শতা‌ধিক দোকান এবং আশপাশের ক‌য়েক‌টি বসতবা‌ড়ি পু‌ড়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, ভোরে হঠাৎ ক‌রে বাজা‌রে আগুন জ্ব‌লে উ‌ঠে। আগুন দ্রুত ছ‌ড়ি‌য়ে পড়ে পু‌রো বাজারে। এতে থান‌চি বাজা‌রের মু‌দি দোকান, ক‌ম্পিউটা‌রের দোকানসহ তিন শতা‌ধিক দোকান এবং আশপা‌শের ক‌য়েক‌টি বসতবা‌ড়ি পু‌ড়ে যায়। প‌রে পু‌লিশ, সেনাবা‌হিনী, বান্দরবানের ফায়ার সা‌র্ভিস ও স্থানীয়রা মি‌লে আগুন নিয়ন্ত্র‌ণে আ‌নে। থান‌চি স্কু‌লের সাম‌নের এক‌টি দোকা‌নের পেছ‌নের অংশ থে‌কে আগু‌নের সূত্রপাত বলে ধারণা কর‌ছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সাংবা‌দিক ও ক‌ম্পিউটার দো‌কা‌নের মা‌লিক অনুপম মারমা ব‌লেন, 'ভোরে মস‌জি‌দের মাইক থে‌কে আগু‌নের খবর জান‌তে পা‌রি। প‌রে ছু‌টে গিয়ে দে‌খি আমার দোকান পু‌ড়ে গে‌ছে। এ‌তে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষ‌তি হ‌য়ে‌ছে।' তি‌নি আ‌রও ব‌লেন, 'বাজা‌রের তিন শতা‌ধিক দোকান পু‌ড়ে‌ছে এবং ক্ষ‌তির প‌রিমাণ ১০ কো‌টি টাকারও বে‌শি।'

এ‌বিষ‌য়ে বান্দরবান ফায়ার সা‌র্ভি‌সের সহকারী প‌রিচালক মো. কামাল ‌হো‌সেন ব‌লেন, 'খবর পে‌য়ে ভোর সা‌ড়ে ৫টায় আগুন নেভা‌নোর জন্য ফায়ার সা‌র্ভিস পাঠা‌নো হ‌য়। ত‌বে প্রাথ‌মিকভা‌বে অগ্নিক‌াণ্ডের কারণ, কয়‌টি ‌দোকান ও বসতবা‌ড়ি পু‌ড়ে‌ছে এবং ক্ষ‌তির প‌রিমাণ কী সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।'

করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর রোগ ধেয়ে আসছে মানুষের দিকে
15/04/2020

করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর রোগ ধেয়ে আসছে মানুষের দিকে

Subscribe ATN News for Exclusive News & Entertainment (IT'S FREE): https://www.youtube.com/atnnewsltd?sub_confirmation=1 "ATN News" is the first 24-hour news...

Thanks for being with usআমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদPlease SUBSCRIBE
28/03/2020

Thanks for being with us
আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
Please SUBSCRIBE

It's not a agency it's friendly tour group. I recommend to all of my traveler friends join with us to make more fun. Please Subscribe https://www.youtube.com...

MASHRAFE COMMENTS l please SUBSCRIBE YOUTUBE/POTHER GHURIThanks
24/03/2020

MASHRAFE COMMENTS l please SUBSCRIBE
YOUTUBE/POTHER GHURI
Thanks

MASHRAFE COMMENTS CORONA https://youtu.be/Xqhvfen-kgk It's not a agency it's friendly tour group, I recommend to all of my traveler friends Please ...

Stream Of Water Passing Through Rock Formations In A ForestIt's not a agency it's friendly tour group, I recommend to al...
13/03/2020

Stream Of Water Passing Through Rock Formations In A Forest

It's not a agency it's friendly tour group, I recommend to all of my traveler friends
Please SUBSCRIBE Pother Ghuri Youtube Channel.
Join page/ Pother Ghuri Page
Thanks
https://youtu.be/T79UfuxC0EM
Page👍🚩👍

It's not a agency it's friendly tour group, I recommend to all of my traveler friends Please SUBSCRIBE Pother Ghuri Youtube Channel. Join page/ Poth...

25/02/2020

একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সহ পশ্চিমবঙ্গ তথা সমস্ত বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮) বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক, জব্বার, শফিউল, সালাম, বরকত সহ অনেকেই। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।

তাপমাত্রা নামবে ৪ ডিগ্রিতে, আসছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহরবিবার থেকে তিন দিনের শৈত্যপ্রবাহের কথা থাকলেও সকাল থেকে সূর্যের দেখা ...
30/12/2019

তাপমাত্রা নামবে ৪ ডিগ্রিতে, আসছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ
রবিবার থেকে তিন দিনের শৈত্যপ্রবাহের কথা থাকলেও সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। সঙ্গে বেড়েছে তাপমাত্রাও। তবে দেশের ৪৩টি অঞ্চলের মধ্যে ১৮টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

ওদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জানুয়ারির শুরুতেই একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা নামতে পারে ৬ থেকে ৪ ডিগ্রিতে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শীতের তীব্রতা জানুয়ারির দিকে আরো বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রিতেও নামতে পারে। হতে পারে আরেকটা শৈত্যপ্রবাহ।

এদিকে, ২ থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে আবারও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ফলে তাপমাত্রা কমে ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

রবিবার আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘তাপমাত্রা আবার বেড়ে যাবে। তবে ২ থেকে ৩ জানুয়ারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলেও হালকা হতে পারে। তখন আবার তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে।’

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, রবিবার দেশের ৪৩টি অঞ্চলের মধ্যে ১৮টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৫টি অঞ্চলে মাঝারি ধরনের (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) এবং ১৩টি অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি) বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ আগামী ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি, শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ডিমলায় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি ও রাজারহাটে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, বগুড়ায় ১০ ডিগ্রি, বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, তাড়াশে ১০ ডিগ্রি, রংপুরে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, কুমারখালীতে ১০ ডিগ্রি, টাঙ্গাইলে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং নেত্রকোনায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

এছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

Copyright: kalerkantho online

বিজয় দিবস উদযাপন...16 DECEMBER, 2019
19/12/2019

বিজয় দিবস উদযাপন...16 DECEMBER, 2019

জাদুঘরে বিচিত্র সাইকেলদ্বিচক্রযানের বর্তমান ধারাটি মাউন্টেন, হাইব্রিড, ট্রায়াথন, বিএমএক্স কিংবা ট্রেকসহ নানা আধুনিক মডেল...
08/11/2019

জাদুঘরে বিচিত্র সাইকেল

দ্বিচক্রযানের বর্তমান ধারাটি মাউন্টেন, হাইব্রিড, ট্রায়াথন, বিএমএক্স কিংবা ট্রেকসহ নানা আধুনিক মডেলের। এসব নামের ভিড়ে কল্পনাও করা যাবে না একসময় মাটিতে পা ফেলে দৌড়ে দৌড়ে চালাতে হতো সাইকেল। তখন সাইকেল ছিল কাঠের। চেইন, ব্রেক কিংবা গিয়ার—কিছুই ছিল না। যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইকেল জাদুঘরে সংরক্ষিত আদি সাইকেলগুলো দেখে তাই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইকেল জাদুঘরটি ওয়েল রাজ্যের ল্যানড্রিনডোড ওয়েলস এলাকায়। এই জাদুঘরের যেদিকেই চোখ যায়, কেবল নানা ঢঙের বাইসাইকেল। কোনোটি কাঠের, কোনোটি লোহার, কোনোটির এক চাকা বিশাল তো আরেক চাকা ছোট্ট। আছে তিন চাকার কিংবা একাধিক আসনের বাইসাইকেল। সবমিলে ২৬০টির বেশি সাইকেল আছে এই জাদুঘরে। প্রদর্শনী দেখে আন্দাজ করা যায় কতটা পথ মাড়িয়ে বর্তমান রূপে আবির্ভূত হয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশবান্ধব বাহন হিসেবে সমাদৃত এই দ্বিচক্রযান।
সবচেয়ে পুরোনো সংগ্রহ

সাইকেলের জন্মকথা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যের ওপর ভরসা করা কঠিন। এই জাদুঘরের তথ্য অনুযায়ী, মানুষ সব সময় দ্রুত চলার উপায় খুঁজেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮০০ শতকের শুরুর দিকে এসে একটি দ্বিচক্রযান ব্যাপক পরিচিতি পায়। সামনে–পেছনে কাঠের দুই চাকা। ওপরে বসার পাটাতন। মাটিতে পা ফেলে অনেকটা দৌড়ের মতো করে এই সাইকেল চালাতে হতো। এর ইংরেজি নাম ছিল ‘হোবি হর্স’। ১৮১৭ সালে জার্মানির কার্ল ভন দ্রাইস এটি আবিষ্কার করেন। সাইকেলে সমান্তরাল দুটি চাকা এবং স্টিয়ারিং দিয়ে ভারসাম্য রক্ষার এটিই প্রথম সূচনা।

সবচেয়ে পুরোনো সংগ্রহ

সাইকেলের জন্মকথা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যের ওপর ভরসা করা কঠিন। এই জাদুঘরের তথ্য অনুযায়ী, মানুষ সব সময় দ্রুত চলার উপায় খুঁজেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮০০ শতকের শুরুর দিকে এসে একটি দ্বিচক্রযান ব্যাপক পরিচিতি পায়। সামনে–পেছনে কাঠের দুই চাকা। ওপরে বসার পাটাতন। মাটিতে পা ফেলে অনেকটা দৌড়ের মতো করে এই সাইকেল চালাতে হতো। এর ইংরেজি নাম ছিল ‘হোবি হর্স’। ১৮১৭ সালে জার্মানির কার্ল ভন দ্রাইস এটি আবিষ্কার করেন। সাইকেলে সমান্তরাল দুটি চাকা এবং স্টিয়ারিং দিয়ে ভারসাম্য রক্ষার এটিই প্রথম সূচনা।

সংগ্রহে বিবর্তনের গল্প

হোবি হর্সের পর ১৮৬০ সালের আগ পর্যন্ত এই দ্বিচক্রযানে কারিগরিগত খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। ১৯৬০–এর দশকে হোবি হর্সের সামনের চাকায় ক্রাঙ্ক এবং প্যাডেল যুক্ত করা হয়। এটি আরোহীকে মাটি থেকে পা তুলে প্যাডেলে রাখার কিছুটা আরাম করে দেয়। ‘ভেলোসিপেড’ নামে পরিচিত ছিল এটি।

১৮৭০–এর দশকে সাইকেলে প্রথমবারের মতো ধাতব রিংয়ের চাকা যুক্ত হয়। ‘দ্য অর্ডিনারি’ বা ‘পেনি ফারথিং’ নামে পরিচিত এই সাইকেলের সামনের চাকা পেছনের চাকার তুলনায় অনেক ছোট। বড় আকারের পেছনের চাকায় যুক্ত হয় ক্রাঙ্ক এবং পাডেল।

এই দ্বিচক্রযানের বর্তমান বিকাশ ঘটে ১৮৮০–এর দশকে। ‘দ্য সেফটি বাইক’ নামে পরিচিত ওই সাইকেল ছিল লোহার ফ্রেমে বাঁধাই করা। পেছনের চাকায় যুক্ত হয় চেন। আর ক্রাঙ্ক এবং প্যাডেল দুই চাকার মাঝামাঝি। পায়ের চাপে ইচ্ছামাফিক এগিয়ে চলা এই বাইকের আবির্ভাব মানুষের নিত্য যাতায়াতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। এমনকি ইউরোপে পুলিশের দায়িত্ব পালনে সাইকেল হয়ে উঠে অন্যতম বাহন।

এরপর সময় যত গেছে, এই দ্বিচক্রযান হয়েছে আরও নান্দনিক ও আরামদায়ক। হয়েছে নানা আকার ও প্রকারের। উদ্দেশ্যভেদে হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন। যেমন রেসিং সাইকেল, বিচ সাইকেল ইত্যাদি।

আরও যত সাইকেল

এই জাদুঘরে আরও শত রকমের সাইকেলের দেখা মেলে। যেমন ‘সোসিয়েবল সাইকেল’। বাংলায় বলা যায় সামাজিক সাইকেল। দুজন আরোহী পাশাপাশি বসে এটি চালাতে পারেন। ঊনবিংশ শতকে ইউরোপের যুবক-যুবতীদের কাছে এই সাইকেল ছিল বেশ জনপ্রিয়। টেনডেম সাইকেলে লম্বা ফ্রেমে যুক্ত দুই চাকা। আছে সারিবদ্ধ একাধিক আসন। আসনভেদে দশজন পর্যন্তে এতে চড়তে পারেন। ‘রিকামবেন্ট’ সাইকেল আরোহী হেলান দিয়ে আয়েশ করে চালাতে পারেন। আর ‘ট্রাইসাইকেল’ হলো অনেকটা পেছনের আসন ও হুডিবিহীন রিকশার মতো। আর ভাঁজ করে বহনের উপযোগী ‘ফোল্ডিং সাইকেল’ তো আছেই।

জাদুঘর সম্পর্কে

১৮৭০ সালে দক্ষিণ ওয়েলসের এক কৃষকের ঘরে জন্ম নেওয়া টম নরটনের সাইকেলের প্রতি তীব্র আকর্ষণ ছিল। একসময় সাইকেল বিক্রির কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। খুলে বসেন সাইকেলের দোকান। পুরো দস্তুর ব্যবসায়ী বনে যাওয়া টম ল্যানড্রিনডোড ওয়েলস এলাকায় গড়ে তোলেন বিশাল শোরুম। নাম দেন ‘অটোমোবাইল প্যালেস’। টম নরটন পৃথিবী থেকে বিদায় নেন ১৯৫৫ সালে। কিন্তু তাঁর গড়া সেই অটোমোবাইল প্যালেসই এখন যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইকেল জাদুঘর।

১৯৯৭ সালে সাইকেল জাদুঘর হিসেবে এটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। তখনো যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইকেল জাদুঘর হিসেবে স্বীকৃত ছিল লিঙ্কনে অবস্থিত একটি জাদুঘর। ১৯৯৮ সালে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে লিঙ্কনের সাইকেলগুলো স্থান পায় প্রায় ১২০ বছরের পুরোনো অটোমোবাইল প্যালেসে। সেই থেকে এটিই দেশটির জাতীয় জাদুঘর হিসেবে স্বীকৃত।

12/10/2019
12/10/2019
বক্সা পাহাড়ে ব্যর্থ অভিযানইচ্ছা ছিল বক্সা পাহাড়ের চূড়ায় ২ হাজার ৭০০ ফুট উঁচুতে বক্সা ফোর্ট ঘুরে আসব। ব্রিটিশ আমলে স্বদেশ...
06/10/2019

বক্সা পাহাড়ে ব্যর্থ অভিযান

ইচ্ছা ছিল বক্সা পাহাড়ের চূড়ায় ২ হাজার ৭০০ ফুট উঁচুতে বক্সা ফোর্ট ঘুরে আসব। ব্রিটিশ আমলে স্বদেশি বিপ্লবীদের আর স্বাধীন ভারতে কমিউনিস্ট নেতাদের গ্রেপ্তার করে ওই দুর্গে রাখা হয়েছিল বলে শোনা যায়। ভারতের উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার শহর থেকে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। ডুয়ার্সের দুর্দান্ত সৌন্দর্যকে পাশ কাটিয়ে দ্রুত ধাবমান মোটরবাইকে বক্সা পাহাড়ের দিকে ছুটে চলেছি আমরা দুজন। দুপাশ দিয়ে শাঁই শাঁই করে সরে যাচ্ছে চা–বাগান, তোরসা-ডিমা-নোনাই-কালকূট-ঘড়ঘড়িয়া-বালা নামের পাহাড়ি নদী, গভীর বন আর গভীর বনের বিচ্ছিন্ন জনপদ। সবুজ মায়ায় সেপ্টেম্বরের চিটচিটে গরমেও আমার চোখ জুড়িয়ে বরফ।

আলিপুরদুয়ার থেকে ২২ কি ২৩ কিলোমিটার দূরে বক্সা বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের গভীর বন। এই বন ছাড়িয়ে বক্সা পাহাড়। গভীর বনের মধ্য দিয়ে মসৃণ পাকা রাস্তা। ঘন বনের কোথায় হাতি আর কোথায় লেপার্ড ওত পেতে আছে, সেটা জানার উপায় নেই। বর্ষার পরপরই বন এত ঘন আর জটিল হয়েছে যে পাকা রাস্তা ছেড়ে ভেতরে ঢোকা প্রায় অসম্ভব। প্রজনন ঋতু বলে সেপ্টেম্বর মাস বনে ‘অফ সিজন’। পায়ে চলার সব সরু পথ বন্ধ। তাই হাতি আর লেপার্ডের আক্রমণের ভয় তুচ্ছ করে নির্জন দুপুরে বনের নৈঃশব্দ্য ভেদ করে ঝিঁঝি আর নাম না–জানা পাখিদের ডাক শুনতে শুনতে মসৃণ পাকা রাস্তা ধরে বাইকে চেপে চলেছি বক্সা পাহাড়ের দিকে।

বক্সা বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প আর বক্সা পাহাড় দেখার জন্য ‘রাজাভাতখাওয়া’ নামে একটি জায়গায় থেমে টিকিট কাটতে হয়। আমরাও কাটলাম। জনশ্রুতি আছে, ১৮০০ সালের দিকে কোচবিহারের রাজা বর্তমানের রাজাভাতখাওয়া অঞ্চল থেকে ভুটানের রাজাকে বিতাড়ন করে ভাত খাবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। কিছুদিন পরে ভুটানের রাজা এ অঞ্চল ত্যাগ করে কোচবিহার রাজের বন্ধুত্ব গ্রহণ করলে জঙ্গলঘেরা জনপদটিতে ভোজনের আয়োজন করা হয়। তখন থেকে জায়গাটির নাম রাজাভাতখাওয়া।

ভরদুপুরে ঝিঁঝির ডাক ঘুঘুর বিষণ্ন ডাকের চেয়েও নির্জন অনুভূতি দেয়। কখনো কখনো বনের ভেতর নির্জন রাস্তায় গা ছমছম করে ওঠে—ভূতের ভয়ে নয়, নীরবতায়। নৈঃশব্দ্য আর গাম্ভীর্য স্মরণ করিয়ে দেয়, অরণ্যের বিশালতা আর নিস্তব্ধতা অনুভব না করলে বনবিবির গুরুত্ব বোঝা সম্ভব নয়। প্রগাঢ় বনের অসীম শব্দহীনতায়, আলোছায়ার ভেলকিবাজিতে যারা বাঘের সামনে পড়েনি, তাদের কাছে দক্ষিণ রায় অথবা গাজী–কালু হাসির পাত্র ছাড়া কিচ্ছু নয়। গভীর বনের সীমাহীন নির্জনতায় হাঁসুয়া হাতে বন বিভাগের দু–একজন মানুষকে মাঝেমধ্যে দেখে আমাদের ভ্রম ভাঙে—আমরা শব্দ করে নিশ্বাস ফেলি। তারপর এগিয়ে চলি বক্সা পাহাড়ের দিকে মস্তিষ্কের গাঢ়তম প্রদেশে গভীর অরণ্যের দৃশ্যপট ধারণ করতে করতে।

হঠাৎ বন খানিক হালকা হতে শুরু করে। চোখের ওয়াইড লেন্সে ধরা পড়ে সেগুনগাছের বিক্ষিপ্ত উপস্থিতি, সুপারিগাছের সারি আর ছোট ছোট লজের মাথার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা আমার দেখা প্রথম কালচে সবুজ পাহাড় বক্সা!

বক্সা পাহাড়ে যেতে সমতলের ঘন বন যেখানে গিয়ে মাথা ঠেকিয়েছে আর পাহাড় যেখান থেকে ঋজু হয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, সেই ভূমিসন্ধির নাম সান্তালাবাড়ি। ছবির মতো সুন্দর গ্রাম। বন বিভাগের অফিস, নেপালিদের বাড়িঘর, রাস্তার দুদিকে দোকানপাট আর দর্শনার্থী—এই মিলিয়ে সান্তালাবাড়ি। বোঝা গেল, নেপালিদের বাড়িগুলোতে হোমস্টের ব্যবস্থা রয়েছে। বাড়ি পছন্দ করে নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময়ে থাকা যায় এখানে।

সান্তালাবাড়ি পৌঁছালে শুরু হলো খ্যাঁকশিয়ালের বিয়ে হওয়া বৃষ্টি। আমরা দুজন একটি নেপালি দোকানে ঢুকে খেলাম সুস্বাদু নেপালি মোমো। টুকটাক কথা হলো দোকানের মালকিনের সঙ্গে। বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে মাথা ঝাঁকালেন তিনি। বুঝলাম, এখানে আমিই একমাত্র বাংলাদেশি নই। ছোট দোকান। লোকজনের ভিড় তেমন নেই। তাই বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় বসে থাকতেও সমস্যা নেই। নেপালি শিশুরা ভারি সুন্দর দেখতে। দোকানে বসে বসে আমি আর সুমন্ত টুকটাক কথার ফাঁকে নেপালি শিশুদের দেখছি। বৃষ্টি থেমে প্রখর রোদ উঠলে আমরাও উঠে পড়লাম।

পাহাড়ের ওপর দিয়ে বক্সা থেকে ল্যাপচাখা যাওয়ার পরিকল্পনা আমাদের। বিশুদ্ধ অক্সিজেনে ভরপুর ফুসফুস নিয়ে ধীরেসুস্থে পাহাড়ে ওঠা শুরু হলো বয়স্ক আর এক পা খোঁড়া বাদামি রঙের একটি মাদি কুকুরকে সঙ্গী করে। এই পথে যারাই যায়, গ্রামের কুকুরগুলো নাকি তাদের সঙ্গী হয় যুধিষ্ঠিরের স্বর্গযাত্রার মতো!

পাথর ছড়ানো পাহাড়ি রাস্তা খুব খাড়া নয়। মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে উঠছি, সেটা শরীর জানান দিচ্ছে। হাঁটুর ওপর পুরো শরীরের ভর দ্বিগুণ হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। ঘন বনের নেশা আর বক্সা পাহাড়ের হাতছানি তখন আমাদের চোখেমুখে। রাস্তার বাঁ দিকে গভীর খাদের শেষ প্রান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে নদী—প্রবহমান জলধারার শব্দ সেটাই জানান দিচ্ছে। আমার চারদিকে দাঁড়িয়ে থাকা সেগুন, দেবদারুসহ কতশত নাম না—জানা প্রাচীন বৃক্ষ ঘোষণা করছে এই বনের প্রাচীনতা। এসব প্রাচীন গাছ আর নদী যদি জনপদের প্রাচীন গল্প শোনাতে পারত, পৃথিবীর ইতিহাস হয়তো নতুন করে লিখতে হতো আবার। মধ্যদুপুরে বনে তারস্বরে ডেকে চলেছে ঝিঁঝি, ঘুঘু, আরও নাম না জানা পাখি আর পতঙ্গেরা। গুমোট ঘন বনের বীভৎস গরমে দরদর করে ঘামছি আমরা দুজন। আর এগোনো যাচ্ছে না। তেষ্টায় বুকের ছাতি ফেটে যাচ্ছে, ঘামের পরিমাণ দেখে মনে হচ্ছে শরীর জলশূন্য হয়ে যাবে এক্ষুনি। অগত্যা থামতে হলো। পড়ে থাকা একটি পুরোনো গাছের গুঁড়িতে হেলান দিয়ে দুই ঢোঁক জল পানের পর মনে হলো, বেঁচে আছি এখনো। প্রচণ্ড গরমে আর এগোনোর সাহস হলো না—গাছের গোড়ায় হেলান দিয়ে প্রাচীন গাছেদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হলো অপলক। এখানে প্রতিটি গাছগুলো গন্ধ আলাদা, পাহাড়ি বনের সৌরভ আলাদা, দূর থেকে অনুচ্চ শব্দে শোনা পাহাড়ি নদীর ধ্বনি আলাদা, ঘন সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে দেখা আকাশের রংও আলাদা। অরণ্যের প্রগাঢ় নিস্তব্ধতায় প্রতিটি গন্ধ-ধ্বনি-সৌরভ-রংকে পৃথক করা যায় সহজে। সেই সৌরভ আর গন্ধ গায়ে মেখে অনুচ্চ পাহাড় থেকে সমতলে নেমে আসি আমি আর সুমন্ত। এভাবে আমার প্রথম অভিযানের অপমৃত্যু ঘটে!

খামাখা সময় নষ্ট না করে বাইক ছুটে চলে জয়ন্তী নদীর তীরে। পাহাড়ে বান ডাকলে মুহূর্তে সর্বনাশী হয়ে ওঠে পাহাড়ি-পাথুরে হাঁটুজলের নদী জয়ন্তী। তীরে দাঁড়িয়ে দেখা হলো দূরের কালচে জয়ন্তী পাহাড়। জানলাম, ওই পাহাড়ের পরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশ ভুটান।

সূর্য ডোবার আগে লেপার্ড আর হাতির ভয়ে দ্রুত ফিরতি পথ ধরা গেল। সুমন্ত জানাল, গাঢ় সবুজের প্রেক্ষাপটে লাল হেলমেট দেখে কয়েক দিন আগে একটি লেপার্ড গাছ থেকে টুক করে লাফ দিয়ে এক মোটরবাইক–আরোহীর মাথাটাই কেটে নিয়ে গেছে বনের ভেতরের এই একমাত্র রাস্তায়!

যেভাবে যাবেন

বাংলাদেশ থেকে ভারতের উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স যাওয়ার সবচেয়ে সহজ যাত্রাপথ হলো পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারতের ফুলবাড়ী বর্ডার পার হয়ে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে ট্রেনে বা বাসে আলিপুরদুয়ার অথবা কোচবিহার শহর। সেখান থেকে বক্সা বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প ও বক্সা পাহাড়। অথবা বুড়িমারী সীমান্ত দিয়েও ডুয়ার্স যাওয়া যায় সহজে। তা ছাড়া কলকাতা থেকে ট্রেনে আলিপুরদুয়ার। সেখান থেকে বক্সা পাহাড়। বক্সা পাহাড় ও বন ভ্রমণের আদর্শ সময় শীতকাল। প্রাণীর প্রজনন মৌসুমের কারণে এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস এখানে ভ্রমণ বন্ধ থাকে।

রজত কান্তি রায়
copyright: prothomalo online

মহামায়ায় কী যে মায়াচৌদ্দগ্রামে বিরতির পর কিছুটা তন্দ্রা লেগেছিল। হঠাৎ বাসের গাইড ডাকলেন, বারইয়ার হাট...। মুহূর্তেই তন্দ্...
29/09/2019

মহামায়ায় কী যে মায়া

চৌদ্দগ্রামে বিরতির পর কিছুটা তন্দ্রা লেগেছিল। হঠাৎ বাসের গাইড ডাকলেন, বারইয়ার হাট...। মুহূর্তেই তন্দ্রা পালিয়ে গেল। চলে এলাম তো, আর কিছুক্ষণ পরেই তো গন্তব্য আমাদের। মিরসরাইয়ের ঠাকুরদীঘি বাজারের আগেই নেমে গেলাম। হাতের বাঁ দিকে কিছুদূর এগিয়ে বুঝলাম কতটা বিস্ময় অপেক্ষা করেছিল আমাদের জন্য। চার ঘণ্টা ভ্রমণের ক্লান্তি সবটাই নিমেষে হাওয়া!

মাত্র এক দিনের পরিকল্পনা। হুম, এক দিনই যথেষ্ট, যদি আপনি শুধু মহামায়া ইকোপার্ক এবং প্রাকৃতিক হ্রদ ভ্রমণের চিন্তা করেন। শুধু এই একটি জায়গা ঘুরে বেড়ানোই যথেষ্ট, পয়সা উশুল হবেই।

জোর দিয়ে পয়সা উশুল কেন বলছি, তা শুনুন। বলাটা যুক্তিসংগত। মহামায়া ইকোপার্কের গেটে যাওয়া যায় যেকোনো যানবাহন নিয়ে। নির্ধারিত অর্থ দিয়ে নিরাপদে নিজস্ব গাড়ি রাখারও ব্যবস্থা আছে এখানে। বর্তমান টিকিট মূল্য করসহ ১১ টাকা ৫০ পয়সা। লেকের কাছাকাছি যেতে হাঁটতে হবে সামান্য পথ। সে পথেও যথেষ্ট মায়া, দুই পাশে সারি সারি গাছ। কোথাও ফসলি জমি। এ মৌসুমে অর্থাৎ শরৎকালে গেলে মনে হবে সবুজ কার্পেট রেখে দেওয়া জমিতে। চোখজুড়ানো চারদিক!

টিকিট কেটে ঢুকে গেলাম ইকোপার্কে। দুই পাশে গাছ আর মাঝে পিচঢালা রাস্তায় কিছু পথে হেঁটে সামান্য ওপরে উঠতে হবে। অর্থাৎ ঢালু থেকে একটু ওপরের দিকে। তারপরেই মহামায়ার লেক বা হ্রদ। রীতিমতো চোখধাঁধানো। স্বচ্ছ জলরাশি, ফাঁকে ফাঁকে সবুজ পাহাড়। আবার উল্টো করে বললেও ভুল হবে না মোটেও, চারদিকে সবুজে মোড়ানো পাহাড়, তার ভাঁজে ভাঁজে স্বচ্ছ জলের প্রণয়। দেখে মনে হবে একেবারেই সুপরিকল্পিত কোনো মায়াভরা নিসর্গ। নিসর্গ আঁকায় সিদ্ধহস্ত কোনো শিল্পী খুব যত্ন করে সময় নিয়ে এঁকেছেন একটি ছবি। যে ছবির কোনো খুঁত নেই। আছে সবুজের নেতৃত্বে নানা রঙের সম্মিলন।

এটি রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক বা হ্রদ। লেকের কিনারে নানা আকৃতির নৌকা। নির্ধারিত মূল্য আছে বটে, তবে সেসব খুব একটা মানা হয় বলে মনে হয়নি। দামাদামি করে উঠতে হবে। আর ওঠার আগে নিশ্চিত হতে হবে লাইফ জ্যাকেট আছে কি না। ১১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের স্বচ্ছ এ লেকের চারদিকে সারি সারি পাহাড়ের ভাঁজ। পৃথক দ্বীপের মতো পাহাড় লেকের মাঝেও, সেই খণ্ড খণ্ড দ্বীপ পাহাড় যেন একেকটি দ্বীপ। যত গভীরে যাবেন মহামায়ার মায়া টানতে থাকে, টানতে থাকে। একসময় মিলবে অপূর্ব কিছু জলপ্রপাত। পাহাড়ের শরীর থেকে লেকে পানি পড়ার অপূর্ব সংগীত শ্রবণ ইন্দ্রিয়কে অন্য রকম মায়া দেবে।

হাতে সময় কম কিংবা লেক পাড়ি দিতে ইচ্ছা করছে না? সমস্যা নেই। এ পাড়েও মনভরে ঘুরে বেড়ানোর যথেষ্ট জায়গা আছে। প্রকৃতির বুকে হারিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট জায়গা আছে। চাইলে মিশে যেতে পারবেন অরণ্যের নির্জনতায়।

তো চলে যান হাতের বাঁ পাশে। যত গভীরে যাবেন, তত নির্জনতা। তত সবুজ, তত সৌন্দর্য। যত দূর দেখা যায়, ঘন গাছের সারি, কোথাও কোথাও ঘন পাতায় আড়ালে দেখা যাবে লেকের স্বচ্ছ জল। জঙ্গল অথচ ঠিক জঙ্গলের মতো নয়। বেশ খানিকটা পথে পিচঢালা রাস্তা। এদিক-ওদিক বসার ব্যবস্থা, দৃষ্টিনন্দন ছাতার টেবিল, ইটের চেয়ার। যেখানে যাবেন, মনে হবে একটু বসি। ছবি তুলি। আর এই মৌসুমে কাশফুলের বাড়তি যোগ তো আছেই।

অদ্ভুত এক নির্জনতা এখানে। অবশ্য মাঝেমধ্যে চট্টগ্রামগামী কিংবা চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের ঝিকঝিকে সব নির্জনতা ভাঙে বটে। তাতে মোটেও বিরক্ত লাগে না। সবুজের বুকে ছুটে চলা ট্রেনের ছান্দিক আওয়াজও অন্য রকম ভালো লাগে।

দেখা মিলল কয়েকজন পেশাদার কিশোর আলোকচিত্রীর। তাদের একজন রাশেদুজ্জামান নিশ্চিত করল, এখানে কোনো হিংস্র জন্তুজানোয়ার তারা দেখেনি। শুধু কানে আসবে নানা পাখির ডাক। স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রাকৃতিক লেক হলেও একটা সময়ে এ লেকের সরকারি কোনো ব্যবস্থাপনা ছিল না। এমনিতে গ্রামের গভীরে একটি মায়া ভরা গ্রাম ছিল। ২০১০ সালে মহামায়া পর্যটনকেন্দ্রটি তৈরি করে সরকার। দায়িত্বরত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, লেকটিকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে কটেজ নির্মাণ করার পাশাপাশি এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ের মধ্যে কেবল কার, পাহাড়ে পাহাড়ে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার তৈরি শুরু করেছে বন বিভাগ। গড়ে উঠেছে উন্নত মানের খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ।

ঢাকা থেকে মহামায়ায় যেভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে যেতে হলে কমলাপুর, আরামবাগ বা সায়েদাবাদ থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে টিকিট কাটুন। নামতে পারেন বারইয়ারহাট, মিরসরাই বা বড়তাকিয়া স্টেশনে। অবশ্যই বাসের ড্রাইভার এবং গাইডকে আগেই বলে রাখবেন। এবং অব্যশই ফেনী পার হওয়ার পর প্রস্তুতি রাখবেন। বারইয়ারহাট, মিরসরাই বা বড়তাকিয়া যেখানেই নামেন না কেন সিএনজি অটোরিকশা বা অন্য কোনো বাহনে ঠাকুরদীঘি বাজারে এসে পূর্ব দিকের রাস্তা দিয়ে মহামায়ায় প্রবেশ করতে হবে। নিজস্ব যানবাহন নিলে একেবারেই মহামায়ার গেটে নামতে পারবেন। গাড়ি ভেদে নির্ধারিত ফি দিয়ে টিকিট কেটে নিশ্চিন্তে ঢুকে যাবেন ভেতরে।

চট্টগ্রাম থেকে আসতে চাইলে বারইয়ারহাট বা ফেনীগামী যেকোনো বাসে উঠলেই হবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই মিরসরাই বা বড়তাকিয়া স্টেশনে নেমে যেতে হবে। বাইরে বেশ কিছু খাবারের দোকান পাবেন। পাশাপাশি তিনটি রেস্তোরাঁ আছে।

মিরসরাই এলাকায় পরিবার–পরিজন নিয়ে থাকার ভালো মানের হোটেলের খোঁজ পাওয়া যায়নি। চাইলে চট্টগ্রাম শহরেই থেকে মহামায়ার মায়া উপভোগ করতে পারেন। মিরসরাই অঞ্চলে এক দিনে ভ্রমণের আরও কয়েকটি নয়নাভিরাম পর্যটনকেন্দ্র আছে। সেসবের গল্প না হয় আরেক দিন হোক।

মুনলাই শুরুতে পুরোপুরি বিষয়টা বোঝা যায়নি। ভাতঘুম থেকে সন্ধ্যায় উঠে কাঠের বারান্দায় একটা চেয়ারে বসে পাখির কিচিরমিচির, তক্...
21/09/2019

মুনলাই

শুরুতে পুরোপুরি বিষয়টা বোঝা যায়নি। ভাতঘুম থেকে সন্ধ্যায় উঠে কাঠের বারান্দায় একটা চেয়ারে বসে পাখির কিচিরমিচির, তক্ষকের টক টক শুনে আনমনা লাগছে, তখন এলেন লাল নুন বম। ‘আপনারা ঢাকা থেকে এসেছেন? এটা আমার বাড়ি।’ তাঁর এ কথায় ‘কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজম’ বিষয়টা অনেকখানি খোলাসা হলো।

পাহাড়ি সেই বাড়ি আমাদের তিনজনের সে রাতের ঠিকানা। রুমা বাজার থেকে তিন কিলোমিটার চড়াই-উতরাই পথ পেরিয়ে ২ সেপ্টেম্বর বিকেলে পৌঁছেছিলাম মুনলাই পাড়ায়। বগা লেক আর কেওক্রাডং যাওয়ার পথে এটি একটি বম পাড়া। বম সম্প্রদায়ের ৫৪টি পরিবারের বসবাস এখানে।

বান্দরবানের পাহাড়ে পাহাড়ে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর যে বসতি বা পাড়া চোখে পড়ে, মুনলাই পাড়া সেগুলো থেকে ব্যতিক্রম। পাহাড়ি রাস্তার দুই ধারে নানা রকম রঙিন ফুলের গাছ, ঝকঝকে ছোট ছোট বাড়ি, যেগুলো স্বাভাবিকভাবেই মাচার ওপর। কয়েকটি ঘর রঙিন টিনে ছাওয়া। মেঝেগুলো কাঠের।

লাল নুন বমের কথায় আবার ফিরে যাই। সৌরবিদ্যুতের বাতি জ্বলছে কি না, ছোট ছোট টেবিল ফ্যান ঘুরছে কি না জিজ্ঞেস করলেন। ‘জানালাগুলো আটকে দেবেন, মশা আসতে পারবে না। কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলবেন।’ লাল নুন বমের কথায় মনে হলো যেন কুটুমবাড়ি বেড়াতে এসেছি। আমাদের জন্য লম্বাটে যে ঘর, তার সামনের ছোট ঘরেই থাকেন লাল নুন আর তাঁর স্ত্রী। তাঁদের তিন ছেলে অন্যত্র থাকেন কাজ আর পড়াশোনার সূত্রে।

কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজমের ধারণাটাই এমন। ঢাকাতে তা জানিয়েছিলেন গাজীপুরের রিসোর্ট বেসক্যাম্প বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক। বেসক্যাম্পের একটি উদ্যোগ ‘মুনলাই কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজম’। বলেছিলেন, ‘বমদের এই পাড়াতে আপনি তাঁদের বাড়িতে থাকবেন। তাঁদের জীবনযাপন বুঝতে পারবেন। তবে থাকার ব্যাপারটা হবে আরামদায়ক।’ অভিজ্ঞতাও তা বলল। কাঠের মেঝের ওপর পাঁচটি বিছানা পাতা। পাশেই স্নানঘর, সেটায় আধুনিক ব্যবস্থা, কিন্তু আমেজটা পাহাড়ি। থাকার জন্য পর্যটক যে ভাড়াটা দেবেন দিনের হিসাবে, তার ভাগ পাবেন বাড়ির বাড়ির মালিক। অন্যান্য আয়ের অংশও পান স্থানীয়রা। এ উদ্যোগে প্রশাসনিক সহায়তা করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।

মুনলাই কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজম শুরু হয়েছে বছর দুয়েক আগে। এখন পর্যন্ত দুটি বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা। ২০-২৫ জন পর্যটক থাকতে পারেন এখন। আবার তাঁবু টানিয়ে ৪০ জনের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। এর পাশাপাশি ট্রেকিং, ৫৫০ ফুট দীর্ঘ জিপলাইন, নদী ও খালে কায়াকিং, এ গাছ থেকে ও গাছে চড়ার খেলাও (ট্রি টপ অ্যাকটিভিটি) খেলা যাবে।

গাড়িতে করে বিকেল চারটার দিকে মুনলাই পাড়া পৌঁছেছিলাম আমরা। সেদিন ছিল টিপটিপে বৃষ্টি। রুমা বাজার থেকে আমাদের নিয়ে যান সৌভিক বড়ুয়া। লাল নুন বমের বাড়িতে বাক্সপেটরা রাখতেই খিদের কথা মনে পড়ল। রাস্তার ওপারে একটু হেঁটে কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজমের অফিস কাম খাবার ঘরে গেলাম। বারান্দায় কাঠের বেঞ্চ পাতা, তার সামনেই দিগন্তজোড়া পাহাড় আর মেঘ। নিচে যেন অতল সবুজ।

খাবার পাতে সে বেলা পড়ল ভাত, মাছ, সবজি, সালাদ, বাঁশে রান্না মুরগির পদ। সঙ্গে আচার। রান্না দেশি, তবে পরিবেশনে আধুনিক কায়দা। এখানকার শেফ শাহীন হোসেনের রান্নার প্রশংসা করতেই হলো। শাহীন জানালেন, অতিথি চাইলে এখানকার স্থানীয়দের রান্না করা পাহাড়ি খাবারও পরিবেশন করা হয়।

বান্দরবানের আকাশ সবচেয়ে স্বচ্ছ মনে হয় সব সময়। এবারও তা বুঝতে পারলাম। মেঘের আনাগোনার মধ্যেও মনে হলো অনেক স্বচ্ছ আকাশ। রাতে অসংখ্য তারা সেখানে! যান্ত্রিকতা নেই কোনো দিকে, দিনের সবুজ রাতে আরও গাঢ়, রাতজাগা পাখি, পোকামাকড়ের আওয়াজ, তক্ষকের ডাক আর মাথার ওপর তারাভরা আকাশ। এই জীবনে এর থেকে আর বেশি যেন পাওয়ার নেই।

ওদিকে বারবিকিউ আর ক্যাম্পফায়ারের আয়োজন করেছেন শাহীন আর সৌভিক। আগুনের পাশে বম যুবক থমাস এডিসন বম গিটার ধরেছেন। একটা পরিচিত গানের পর তাঁকে বলা হলো বম ভাষার গান গাইতে। গাইলেন তিনি। ক্যাম্পফায়ারের আগুন নিভে আসছে, বারবিকিউ শেষ পর্যায়ে। তার একটু পরই রাতের খাবার।

আবারও পাহাড়ে মৃদুমন্দ বাতাসে হাঁটাহাঁটি, তারা চেনার চেষ্টা, সহজ জীবনের স্বাদ। একেবারে ভোের আমাদের বাকি দুজন, সজীব মিয়া ও মনন মাহমুদ গেলেন বগা লেক আর কেওক্রাডংয়ের সড়ক ধরে আরও উঁচুতে। সূর্যোদয় দেখতে। ফিরে এসে দিলেন সেই দৃশ্যের বর্ণনা। মেঘ ছিল যদিও, সোনালি সূর্যের আভায় মুগ্ধতা তাঁদের ফিরিয়ে দেয়নি। ফেরার পথে সেই দূর পাহাড় থেকে তাঁরা দেখলেন মুনলাই পাড়ার অন্যরূপ।

সাতসকালেই দেখলাম, হাফ প্যান্ট আর শার্ট পরে মাথার বেল্টে টুকরি ঝুলিয়ে লাল নুন বম রওনা হলেন তাঁর ফলবাগানে। পাহাড়ের গায়ে তাঁর ফলবাগান। আগের সন্ধ্যায় অসময়ের আপেল কুল খাইয়েছেন। বললেন, ‘এক দিন আগে মন্ত্রী সাহেব (পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং) এসেছিলেন রুমা বাজারে, তাঁকে আমার বাগানের অসময়ের তরমুজ খেতে দিয়েছিলাম, তিনি খুবই খুশি হয়েছিলেন।’ লাল নুন বেতের ঝুড়িও তৈরি করেন, গিলা নিয়ে যান ঢাকায় বিভিন্ন সময়। তাঁর স্ত্রীকে দেখলাম দিনের বেলায় কোমরতাঁতে কাপড় বুনতে। উলের শালও তৈরি করেন। এই পাড়ায় তৈরি এসব কাপড় বিক্রি করে মুনলাই কমিউনিটি ট্যুরিজম। সে অর্থ দিয়ে সেখানে শিশুদের একটা স্কুল চালায় তারা।

সময় শেষ হয় দ্রুতই। আবার নেমে চলা নিচে—নগরে, কাজে। সহজ থেকে জটিল জীবনযাপনের দিকে। তবু মাঝেমধ্যে মনের লাগি মুনলাই পাড়ার মতো জায়গা এক, দুই বা তিন দিনের জন্য টানে বৈকি।

যেভাবে যাবেন

নিজের গাড়ি, ভাড়া গাড়ি বা বাসে ঢাকা থেকে বান্দরবান। বান্দরবান থেকে বাস যায় রুমা বাজার পর্যন্ত, ভাড়া ১১০ টাকা। এ ছাড়া চান্দের গাড়ি (ফোর–হুইল ড্রাইভ) ভাড়া (১২ জনের জন্য ৩,৫০০ টাকা) করেও যাওয়া যাবে। দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার, সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। রুমা বাজারের আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গ্যারিসনে প্রথম দফা নাম লিখিয়ে নিতে হবে। রুমা বাজারের আর্মি ক্যাম্পে আরেক দফা নাম লিখিয়ে অনুমতি নিতে হবে (কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজমের মাধ্যমে গেলে আগে থেকেই তারা অনুমতির প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়)। সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসাপোর্ট বা জন্মনিবন্ধন সনদ রাখতে হবে। রুমা বাজার থেকে বগা লেক ও কেওক্রাডং সড়কে তিন কিলোমিটার পর মুনলাই পাড়া। এটুকু পথে পাহাড়ে বেশ চড়াই–উতরাই রয়েছে। রুমা বাজার থেকে চান্দের গাড়ি ভাড়া করে ১৭ কিলোমিটার দূরের বগা লেক যেতে পারবেন, ভাড়া ২৭০০ টাকা। কেওক্রাডং গাড়ি যাবে না। তবে বাইক যায় রুমা বাজার থেকে, ভাড়া ২৫০০ টাকা।

পল্লব মোহাইমেন

Coypright: prothomalo online

Address


Website

http://www.potherghuri.bd.com/, http://www.potherghuri.bd.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Pother Ghuri Page posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Pother Ghuri Page:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share

Pother GHURI

It's not a agency it's friendly tour group. I recommend to all of my traveler friends join with us to make more fun....watch Video Please SUBSCRIBE...YOUTUBE/POTHERGHURI