10/12/2022
যে ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ এমন একটি বিষয়ে লিপ্ত হয়েছে তবে সে জানত না যে, এর ফলে কী আরোপ হতে যাচ্ছে?
প্রশ্ন: যে ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ এমন একটি কর্মে লিপ্ত হয়েছে; তবে সে জানত না যে, এই নিষিদ্ধ কর্ম করার কারণে তার উপরে কী ধরণের কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে?
উত্তর : আলহামদু লিল্লাহ। এখানে আমরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে, অনেক হজ্জ ও উমরা পালনেচ্ছু ব্যক্তি এ ইবাদতের বিধি-বিধান জানেন না। এর ফলে তারা ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ বিষয়াবলীতে লিপ্ত হন কিংবা ইবাদতটি অনাকাঙ্ক্ষিত পদ্ধতিতে আদায় করেন। আপনি দেখবেন যে, তাদের কেউ একজন অনেক অর্থ খরচ করেছে; বিশেষতঃ সে যদি দূরবর্তী কোন দেশ থেকে এসে থাকে; এরপর সে তার সওয়াবটা নষ্ট করে দেয় কিংবা সওয়াবে ঘাটতি করে; তার উপর অপরিহার্য বিধিবিধান না জানার কারণে।
তাই এ যে ব্যক্তি হজ্জ-উমরা আদায় করতে চায় তার উপর ওয়াজিব হল আমলটা শুরু করার আগেই এর বিধিবিধান শিখে নেয়া। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “প্রত্যেক মুসলিমের উপর ইলম অর্জন করা ফরয”।[সুনানে ইবনে মাজাহ ও অন্যান্য; আলবানী তার ‘তাখরিজু মুশকিলাতুল ফাকর’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন] ইমাম আহমাদ বলেন: হাদিসের মর্ম হল— যে ইলম তার প্রয়োজন; যেমন ওযু, নামায, যাকাত (যদি সে সম্পদশালী হয়), হজ্জ ইত্যাদি; সে ইলম অর্জন করা তার জন্য আবশ্যকীয়।[ইবনে আব্দুল বার রচিত ‘জামেউ বায়ানিল ইলম’ (১/৫২)]
হাসান বিন শাক্বিক বলেন: আমি আব্দুল্লাহ্ ইবনুল মুবারককে জিজ্ঞেস করেছি: মানুষের ওপর কোন ইলম শিক্ষা করা ওয়াজিব? তিনি বলেন: কোন ব্যক্তি ইলম ছাড়া কোন আমল পালন করার প্রতি অগ্রসর হবে না। জিজ্ঞেস করে শিখে নিবে। এতটুকু ইলম শেখা মানুষের উপর ওয়াজিব।[বাগদাদীর রচিত ‘আল-ফাক্বীহ ওয়াল মুতাকাফ্কিহ’ (পৃষ্ঠা-৪৫)]