Feni Travel Ranger

  • Home
  • Feni Travel Ranger

Feni Travel Ranger ভ্রমনচারী ۔۔দুনিয়া দেখার স্বপ্নে আমর?

শুধুমাত্র ফেনী জেলার ইফতারের সময় সূচি
25/03/2023

শুধুমাত্র ফেনী জেলার ইফতারের সময় সূচি

সাজেক-বাঘাইহাট সড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা রোধের জন্য প্রতিদিন দুইটি নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি গমনাগমনের ব্যবস্থা র...
09/01/2023

সাজেক-বাঘাইহাট সড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা রোধের জন্য প্রতিদিন দুইটি নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি গমনাগমনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেটি “এসকর্ট টাইম” নামে বহুল প্রচলিত। সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায় মাঝেমাঝে এই সময়ের রদবদল করা হয়। নতুন সময়সূচী অনুসারে ১০ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রি: তারিখ হতে উভয় দিকের গমনাগমনের সময় সকাল ১০:০০ ঘটিকা ও বিকাল ২:০০ ঘটিকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আসা-যাওয়ার সময় সাজেক ভ্রমণকারী সম্মানিত পর্যটকদের বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্প (খাগড়াছড়ি শহর থেকে এক ঘন্টার রাস্তা) ও সাজেকের এন্ট্রি পয়েন্টে এই দুইটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপস্থিত থাকার পরামর্শ দেয়া গেল।

29/12/2022
28/12/2022
06/10/2022

কক্সবাজারে সাধ্যের মধ্যে তারকা মানের হোটেল Grace Cox Smart Hotel এ ছুটি কাটানোর A To Z.. সৌজন্যে : Feni Travel Ranger ...

★সাজেক ট্যুরের ইতিবৃত্ত★(ঢাকা – খাগড়াছড়ি – সাজেক ট্যুরের বিস্তারিত রিভিউ)আমরা ছিলাম ১২ জন, ৩ দিন ৪ রাতের ট্যুর। আগেই বলে...
06/09/2022

★সাজেক ট্যুরের ইতিবৃত্ত★

(ঢাকা – খাগড়াছড়ি – সাজেক ট্যুরের বিস্তারিত রিভিউ)

আমরা ছিলাম ১২ জন, ৩ দিন ৪ রাতের ট্যুর। আগেই বলে রাখি, সাজেক যেতে চাইলে ১২ জনই পারফেক্ট, ১৪/১৫ জন বা ৮/১০ হলে খরচ বাড়বে। সাজেক ট্যুরের কিছু আছে বড় এমাউন্টের ফিক্সড কস্ট (খরচ), চান্দের গাড়ি/জিপ ভাড়া তার মধ্যে একটা। জিপের ভাড়া ফিক্সড, চাই ২ জন হোক বা ১২ জন হোক। ভাড়ার ব্যাপারে পরে বলতেছি। ট্যুরের A to Z ই ফোকাস করার চেষ্টা করবো।

গত বুধবার রাতে (১৮-০৯-২০১৮) Saint Martin Paribahan এ রাত ১১ টায় আমরা বাসে উঠি খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে। বাসের টিকিট আমরা ৪ দিন আগেই কেটে রাখছিলাম।
উল্লেখ্য, টিকিট আগে থেকে কেটে না রাখলে যাওয়ার দিন ইন্সট্যান্ট টিকিট পাওয়ার পসিবিলিটি কম, তাই ৪/৫ দিন আগেই টিকিট কনফার্ম করা উচিত।
আর একটা বিষয়, যাওয়ার আগেই আসার টিকিট বুকিং করার ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে, আমরা যাওয়ার টিকিটের সাথে আসার টিকিট ও কনফার্ম করে রাখছিলাম।

১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ঠিক ১১ টায় কলাবাগান থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। চট্রগ্রামের মিরসরাই পার হয়েই শুরু হয় পাহাড়ি রাস্তা, হরর মুভির জঙ্গলের মত ভয়ানক সুন্দর রাস্তা বললে কম হবে না (সারারাত জেগে ছিলাম বলে এটা মিস করিনি)। 😁

বাস খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছায় সকাল ৬ টা নাগাদ। বাস আমাদেরকে শাপলা চত্বরে নামায়, যেখানে চান্দের গাড়ির কাউন্টার। আর ওটাই লাস্ট স্টপেজ। আর যদি বাস শাপলা চত্ত্বর না যায় তবে ওদের কাউন্টারের সামনে নামাবে, ওখান থেকে হেটে শাপলা চত্ত্বর যেতে হবে, মাত্র ৩/৪ মিনিট এর রাস্তা।
বাস থেকে নেমেই চান্দের গাড়ির কাউন্টারে চলে যাই আমরা। ২ রাত সাজেক + আলুটিলা গুহা + রিচাং ঝড়না + ঝুলন্ত ব্রিজ + তারেং এর প্যাকেজের জন্য চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে নিই।
চান্দের গাড়ি রিজার্ভের প্যাকেজের চার্ট কমেন্টে দিয়ে দিচ্ছি।

রিজার্ভ কনফার্ম করে পাশে হোটেলে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে আবারো গাড়ির কাউন্টারে চলে আসি ৮ টার দিকে। আমাদের নিয়ে রিজার্ভ করা চান্দের গাড়ি রওনা হয় ৮.১৫ এ।

খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ৭৫ কিলোমিটার। মাঝে ৩ জায়গায় বিজিবি চেকপোস্টে এন্ট্রি করতে হয়। যাওয়ার পথে বাঘাইছড়ি নামক জায়গায় যেয়ে সব গাড়ি/সিএনজি কে বাধ্যতামূলক ভাবে দাঁড়াতে হয়, সকাল ১০.৩০ এর মধ্যে যত জিপ বা সিএনজি বাঘাইছড়ি পৌঁছাবে সেসব গাড়িগুলোকে নিরাপত্তা জনিত কারণে সামনে ও পিছনে প্রটেকশন দিয়ে পুলিশ বা আর্মি সাজেক পর্যন্ত পৌঁছায় দেয়।

আমরা বাঘাইছড়ি পৌঁছায় ১০ টারও আগে। বাকি সময়টা ওখানে খাওয়া দাওয়া আর গল্পের মধ্যেই পার করি। ১০.৩০ এ আর্মি প্রটেকশনে আবারো যাত্রা শুরু, ঠিক ১২.১৫ এ আমরা পৌঁছে যায় বহুল আকাঙ্ক্ষিত মেঘের দেশ সাজেক ভ্যালি। 😘😘

সাজেক ভ্যালি যাওয়ার পাহাড়ি উঁচু নিচু রাস্তা সম্পর্কে যাই বলি না কেনো কম হয়ে যাবে, যে যায়নি সে বুঝবে না, চোখে দেখা আর মুখে শুনা বা লেখা পড়ে বুঝা কখনোই সমান না; এজন্যই আমার সমুদ্র থেকে পাহাড় বেশি ভাল লাগে। 💕
যাগ্গে সেসব কথা, আগে থেকেই কটেজ বুকিং করা ছিল আমাদের ২ রাতের জন্য। সোজা কটেজে যেয়ে দুপুরের খাবারের জন্য পাহাড়ি অঞ্চলের বিখ্যাত ব্যাম্বু চিকেন অর্ডার করে ফ্রেশ হই সবাই। ২ টা নাগাদ লাঞ্চ করে ঘুম কিছু সময়।

৪.৩০টা নাগাদ উঠেই কাওসার ভাইকে(চান্দের গাড়ির ড্রাইভার) কল করে গাড়ি কটেজের সামনে নিয়ে আসতে বলি।
এবার আমাদের গন্তব্য হ্যালিপ্যাড। নামটা আসলেই অদ্ভুত, উঁচু একটা জায়গা যেখানে হেলিকপ্টার নামে, তাই ওটার নাম হ্যালিপ্যাড। সাজেকে ২ টা হ্যালিপ্যাড দেখেছি আমরা, আরো আছে কিনা জানিনা। কটেজ থেকে হ্যালিপ্যাড খুব বেশি দূরে না।
হ্যালিপ্যাড থেকে সূর্যাস্ত দেখাই ছিল আমাদের টার্গেট।

হ্যালিপ্যাডে যেয়ে নতুন এক জিনিসের অভিজ্ঞতা নিই আমরা; আর তা হচ্ছে ব্যাম্বু টি মানে বাঁশের চা, মূলত তেঁতুল দিয়ে তৈরি চা সাইজ করা ছোট বাঁশে পরিবেশন করা হয় বলেই ওটাকে ব্যাম্বু টি বলে। রেটিং দিতে গেলে ১০ এ ৯ দিতে পারবো না; ১০ ই দিতে হবে। ✍
চা পান করতে করতে সূর্যাস্ত দেখা মূহুর্তগুলো এখনো চোখের সামনে ভাসে। একপাশে সূর্যাস্ত অন্য পাশে ভারতের সুউচ্চ পাহাড় আর ধীরে ধীরে জমতে শুরু করা মেঘ। 💝

ওখানে ৭ টা পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে আমরা ব্যাক করি, কটেজে এসে ডিনার করি ৯ টায় তারপর রাতের সাজেক দেখতে বের হই।
রাতের বেলায়ও অপরূপ সাজে সজ্জিত থাকে সাজেক। রাতের সাজেক আর দিনের সাজেক সম্পূর্ণই আলাদা। কেন জানিনা রাতের সাজেকটাই আমার কাছে বেস্ট লাগে।
রাতে আড্ডা দিয়ে ঘুমাইতে ঘুমাইতে রাত ২ টা। পরের দিন অর্থ্যাৎ শুক্রবারে আমাদের মিশন কংলাক পাহাড় আর সাজেকের ঝরণা।

ভোরে এ্যালার্ম কেটে উঠে দেখি এ এক নতুন সকাল, সারা পাহাড় সাদা মেঘে আবৃত আর আমাদের কটেজ মেঘের থেকেও উপরে। 😍
এ দৃশ্য দেখার জন্যই মূলত ট্যুরিস্টরা সাজেকে যায়, সার্থক তারা যারা নিজ চোখ জুড়িয়েছে এই মেঘ ঢাকা পাহাড় দেখে। ☺☺
কপাল ভাল থাকলে নিজ হাতে স্পর্শও করতে পারবেন সাজেকের এই মেঘমালা। এজন্যই সাজেককে বলা হয় মেঘের দেশ আর বান্দরবানকে পাহাড়ের দেশ।
ভারতের মেঘঢাকা পাহাড় ভেদ করে আকাশ রক্তিম করা সূর্যোদয় আমার দেখা কুয়াকাটার চাইতেও বেষ্ট সূর্যোদয়। মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করতে ভুলিনি মূহুর্তটুকু। (ছবিতে)

এখন আমাদের মিশন কংলাক পাহাড়। কংলাক পাহাড় সাজেকের সবথেকে উঁচু পাহাড়ের চূড়া। কংলাকে যাওয়ার জন্য যত আগে আগে রওনা হওয়া যায় ততই ভাল, তাতে পাহাড় ট্রেকিংয়ের কষ্ট কম হয়। আমাদের রওনা হতে অবশ্য ৭ টা বেজে গেছিল।

নাস্তা সেরে কাওসার ভাইকে কল দিয়ে কটেজের সামনে থেকে গাড়িতে উঠে পড়ি, যতদূর পর্যন্ত গাড়ি যেতে পারে ততদূর পর্যন্ত যেয়ে তারপর হাঁটা পথ। হেঁটে ২০ মিনিট নাগাদ আমরা পৌঁছে যায় কংলাকের চূড়ায়।
এখান থেকে রাঙামাটির সব পাহাড় ছোট লাগে, মনে হয় সারা রাঙামাটি একনজরে দেখার জন্য এটাই পারফেক্ট জায়গা। ওই চূড়ায়ও স্হানীয় আদিবাসীদের দোকানের দেখা মেলে। চলে ভরপুর নাস্তা আর মনোরম সবুজ পাহাড় দেখার প্রতিযোগীতা।

৪০ মিনিট পর্যন্ত সেখানে থেকে আবারো পাহাড় বেয়ে নেমে ফেরত আসি ওখানে;যেখান থেকে হাঁটা শুরু করেছিলাম, অর্থ্যাৎ চান্দের গাড়ি রাখা ছিল যেখানে। গাড়িতে উঠে আবারো কটেজে চলে আসি প্রয়োজনীয় কাপড় চোপড় আর তোয়ালে নেয়ার জন্য, কারণ এবারের যাত্রা সাজেকের গুপ্ত ঝরণা(নাম উদ্ধার করতে পারিনি) যা অনেক ট্যুরিস্ট জানেও না বা জানলেও যাওয়ার সাহস বা সময় পায়না।

প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়ে আবারো গাড়িতে চেপে বসি, কিছুদূর যেয়েই গাড়ি যাওয়ার রাস্তা শেষ, এবার হাঁটতে হবে আমাদের, মূলত পাহাড় থেকে তলদেশে নামতে হবে গাছগাছালি আর জঙ্গলের মাঝের ছোট সরু পথ দিয়ে। সাকিব নামের স্হানীয় এক বাচ্চাকে গাইড হিসাবে নিয়ে পাহাড় বেয়ে নামতে শুরু করি, প্রথম প্রথম সবার মধ্যে খুব উদ্দীপনা থাকলেও কিছুদূর যাওয়ার পর একটা ভাবনা সবার মন খারাপ করে দিতে থাকে; এই নিচুতে তো নামতেছি কিন্তু উঠার সময় কি হবে!!

বার বার সাকিবকে (গাইড) জিজ্ঞেস করতেছি সবাই, আর কতদূর??
হঠ্যাৎ ঝরণার পানি পাথরে পতিত হওয়ার শব্দ কানে আসা মাত্র সবার জানার কৌতুহল মিটে যায় আর সবার মাঝে তৈরি হয় অজানাকে জানার এক আগ্রহ।

পৌঁছে যায় ঠান্ডা ফ্রেশ পানির সুউচ্চ ওয়াটারফলে।😚 দেখেই মন জুড়ে যায়, কোথায় সেই পাহাড় ট্রেকিং এর কষ্ট!! কিচ্ছু মনে নেই। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওয়াটারফল মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের সাথে তুলনা করলে আমি এই ঝর্ণাকেই এগিয়ে রাখবো। 💗💗

ঝর্ণার পানিতে ভিজে গোসল করার মজা আর বর্ণনা করলাম না, এগুলো সবাই লেখে, এগুলো উপভোগ করতে হয়। শুধু এতটুকুই বলবো হ্যাঁ, এটাই বাংলাদেশ!!

প্রায় মিনিট ৫০ ঝর্ণায় গোসল করে ওখান থেকে ব্যাক করি, যদিও সবার কথা এমনই ছিল- এখান থেকে যেতে ইচ্ছা করছে না, যদি আরো সময় এখানে থাকতে পারতাম কতই না ভাল হতো! 🤗

সাকিবকে নিয়ে আবারো পাহাড় ট্রেকিং, চূড়ায় উঠতে হবে এবার। কষ্ট বেশি হবে জেনেও কারো কোনো আফসোস বা অভিযোগ নেই, ঝর্ণা দেখার আর ঝর্ণার পানি গায়ে মাখার আনন্দ আমাদের সব কষ্টকে গোপন করে রেখেছিল।

অনেক কষ্টে উপরে উঠে এসেই রাস্তার পাশের প্রথম রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়ি সবাই, উদ্দেশ্য ঠান্ডা পানি আর কোল ড্রিংকস। সবচেয়ে বড় বোকামি ছিল আমাদের সাথে পর্যাপ্ত পানি না নিয়ে যাওয়া।

কিছু সময় ওখানে রেস্ট নিয়ে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা কাওসার ভাইকে নিয়ে সোজা কটেজে। আবারো ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করে ক্লান্ত শরীরকে সুস্থ করতে ঘুম।

বিকালে আর বের হইনি কেউ,কটেজের আশে পাশেই সময় কাটিয়ে একেবারে সন্ধ্যায় বের হই; উদ্দেশ্য হ্যালিপ্যাডে সময় কাটিয়ে রাতে রিসোর্ট রুন্ময় এ বার বি কিউ (BBQ) করে আমাদের রিসোর্টে ফেরত আসা।
বারবিকিউ এর জন্য আগেই কটেজে বা হোটেলে বুকিং দিয়ে রাখতে হয়, ওদের বলে নিজেরাই বারবিকিউ করা যায়। 🐓

তারা ভরা আকাশ, অন্ধকার রাত, মেঘ ঢাকা পাহাড় আর আগুনে প্রজ্জ্বলিত মাংস। সে অন্য রকম এক অনুভূতি!!! 😗

কটেজে ফিরতে ফিরতে রাত ১২ টা।
সকালে নাস্তা করে কটেজের বিল পেইড করে রেডি হয়ে নিই সবাই। কারণ এবার খাগড়াছড়ি ফেরত যাবার পালা।
সকাল ১০.৩০ এ সব চান্দের গাড়ি আর্মির প্রটেকশনে আবারো একত্রে ব্যাক করে খাগড়াছড়ি।
দুপুর নাগাদ খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছায় আমরা, ওখানের এক হোটেলে এক রুম বুকিং করি রাত ৮ টা পর্যন্ত সময়ের জন্য। রুমে ব্যাগ রেখে সবাই ফ্রেশ হয়ে বের হই লাঞ্চের জন্য।
লাঞ্চ শেষ করেই আবারো কাওসার ভায়ের গাড়িতে; এবারের গন্তব্য আলুটিলা গুহা, তারেং, ঝুলন্ত ব্রিজ আর রিচাং ঝর্ণা।

আলুটিলা গুহায় প্রথমে যাই আমরা, প্রতিজন ২০ টাকা আর গাড়ির জন্য ৫০ টাকা টিকিটে ঢুকে পড়ি আলুটিলা এরিয়াতে।
অসাধারণ জায়গা!!
যারা দার্জিলিং গেছেন তাদের কাছে পরিবেশটা পরিচিত মনে হবে।😊
খাগড়াছড়ি শহরটা একনজরে দেখা যায় এই আলুটিলা এরিয়া থেকে। আগে মশাল নিয়ে গুহায় যাওয়ার অনুমতি থাকলেও এখন সেটা নিষেধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
কি আর করা!
মোবাইলের টর্চ আর ফ্লাসের ভরসায় প্রবেশ করি গুহায়। চারিদিকে অন্ধকার, নিস্তব্ধ আর খালি পায়ের নিচে ঠান্ডা পানির প্রবাহ, সবমিলে এক অন্যরকম অনুভূতি!
একা একা প্রবেশ করলে ভয় পাইতে হবে নিশ্চিত। গুহার বাহিরের মুখটা অনেকখানি হরর মুভির পাহাড় পর্বতের মধ্যকার কোনো গুহার প্রবেশ দ্বারের মতো ভয়ংকরই বলা চলে।

গুহা থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণ নাস্তা আর বিশ্রাম, আকাশে মেঘ ছিল, বৃষ্টি আসি আসি অবস্থা তাই রিচাং ঝরণা (গাড়ি থেকে নেমে ১.৫ কিলো হাঁটতে হয়) যাওয়া ক্যানসিল করে সোজা চলে যায় তারেং এ। মূলত সাজেকে যেটাকে হ্যালিপ্যাড বলে সেটাই এখানে তারেং নামে পরিচিত। হেলিকপ্টার নামতে পারে আর মূলত পাহাড়ের অনেক উঁচুতে হওয়ায় দূরের সব পাহাড়ের চূড়া আর ছোট নদীটা দেখা যায়। শত কষ্টে জর্জরিত মনকে শান্ত করার মতো একটা পরিবেশ এই তারেং, তাই ট্যুরিষ্টরা এটাকে বাদ দিতে পারে না।

ওখানে মিনিট ২০ থেকে ৫.৩০ এ গাড়িতে উঠি, এবারের গন্তব্য ঝুলন্ত ব্রিজ।

ঝুলন্ত ব্রিজের কথা বললেই রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রিজের কথা মাথায় আসে আমাদের। তবে খাগড়াছড়ির এ ঝুলন্ত ব্রিজ যে কোনো অংশেই কম না তা নিজ চোখে না দেখলে বোঝা যাবেনা। আমরা ভেবেছিলাম এটা শুধু একটা ব্রিজই হবে কিন্ত মূলত এটা খাগড়াছড়ির একটা হর্টিকালচার পার্ক।
ঝুলন্ত ব্রিজ ছাড়াও এখানে আছে বোট রাইডসহ প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য যা সহজেই মনকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম। কিন্ত পরিতাপের বিষয়, সন্ধ্যা হয়ে গেছিল তাই আমরা বেশি সময় থাকতে পারিনি ওখানে, তবে যারা যাবেন তাদের কাছে নিবেদন যে, নিজেরা অবশ্যই বোট রাইড করবেন আর পুরোটা ঘুরে দেখবেন।

ওখান থেকে বের হয়ে সোজা হোটেলে চলে আসি, তারপর ফ্রেশ হয়ে একবারেই ডিনার আর বাসে উঠার উদ্দেশ্যে হোটেল ছেড়ে রওনা হই বাহিরে।

সামনের এক রেস্টুরেন্টে ডিনার করে সোজা Saint Martin Paribahan এর কাউন্টারে আর তারপর রাত ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা এবং সকাল ৬ টায় ঢাকায়।

#কিছু_কথাঃ

★ সাজেক যাওয়ার জন্য খাগড়াছড়ি নামলেও হয় আবার দীঘিনালা নামলেও হয়। সব বাস খাগড়াছড়ি শহরে যায় আর দীঘিনালা যায় শুধু ‘শান্তি পরিবহন’। দীঘিনালা থেকে সাজেকের দুরত্ব কম হলেও আমার মতে খাগড়াছড়িতে নামা ভালো। বাস চয়েজের ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে।

★ চান্দের গাড়ি বা জীপ আগে থেকেও বুকিং করে রাখা যায় ওদের কাউন্টারের নাম্বারে ফোন করে। আবার ওখানে যেয়েও সরাসরি রিজার্ভ নেয়া যায়। দিন, রাত আর প্লেস হিসাবে জীপের রেট ফিক্সড করা। চান্দের গাড়ির ড্রাইভার, হেলপারের থাকা খাওয়ার ব্যবস্হা ওদের নিজেদের।

★ কটেজ অবশ্যই আগে থেকে রিজার্ভ করে নিতে হবে। সাজেকের বেস্ট কটেজের ব্যাপারে সবাই মেঘপুঞ্জি, মেঘমালা, অবকাশ এগুলোকে আগে রাখে। যতখানি সম্ভব খোঁজ খবর নিয়ে কটেজ বুকিং দেয়া উচিত। কটেজের ভাড়া ২০০০-৪০০০ পর্যন্ত প্রতি রুম প্রতি রাত, ৪ জন থাকা যায় এক রুমে।

★ খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার সময় পাহাড়ের বেস্ট ভিউ পাওয়া যায় চান্দের গাড়ির উপরে/ছাদে বসে। না বসলে আসলেই অনেক কিছু মিস হবে। (বাঘাইছড়ির পর থেকে আর জীপের উপরে বসা যাবে না কারণ সাথে আর্মির গাড়িও থাকবে)

★ কংলাক পাহাড়ে উঠার সময় ছোট বাঁশ সাথে নিতে পারেন তাতে পাহাড় ট্রেকিং এ সুবিধা হয় ইভেন ওটা ঝরণায় যাওয়ার সময়ও কাজে লাগবে। কংলাকে উঠার পথেই বাঁশ কিনতে পাওয়া যায়।

★ ঝরণায় যাওয়ার সময় আসলে গাইড লাগে না, একটু খোঁজ খবর নিয়ে নিজেরাই যাওয়া যায়। তবে সাথে বাচ্চা বা বয়স্ক কেউ থাকলে অবশ্যই ঝরণাই যেতে নিষেধ করবো।

★ ঝরণায় যাওয়ার সময় ট্রেকিং করা শক্ত গ্রীপের জুতা পড়ে যাওয়া ভাল আর সাথে বাধ্যতামূলক ভাবে পানির পট রাখতে হবে সবাইকে। পলিথিনও নিয়ে যাবেন।

★ যে কটেজেই থাকেন না কেনো কটেজ রুন্ময়ে অবশ্যই অবশ্যই ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা ডিনার করবেন। আমাদের দেখা সাজেকের সব থেকে স্টান্ডার্ড খাবার ওদের। যদিও খরচ কিছুটা বেশি। আমরা আগে জানলে সব মিলই ওখানে খাইতাম। মূলত ওটা সেনাবাহিনীদের কিন্তু সবার জন্য উন্মুক্ত। সাজেক লিখে সার্চ দিলে সুন্দর মনোরম কটেজের যে ছবিটা প্রথমে শো করে ওটাই কটেজ রুন্ময়, চাইলে ওখানেও থাকতে পারেন। খরচ কিছুটা বেশি হবে তবে ব্রেকফাস্ট ফ্রি। BCS ক্যাডারদের জন্য হ্যান্ডসাম ডিসকাউন্ট আছে ওখানে। আর সাজেকের সব কটেজের মিল রেট একই, এটা ওদের সমিতি থেকে ফিক্সড করা, তবে রুন্ময় ব্যতিক্রম।

★ সাজেক থেকে ব্যাক করে রিচাং ঝর্ণা সহ আলুটিলা গুহা, তারেং, ঝুলন্ত ব্রিজ এগুলোই যাইতে চাইলে অবশ্যই তাড়াতাড়ি বের হতে হবে, অন্যথায় সবকিছু দেখে শেষ করতে পারবেন না।

★ সাজেক/খাগড়াছড়ি/হর্টিকালচার পার্কে আদিবাসীদের তৈরি কাপড় সহ অনেক দ্রব্য পাওয়া যায়। ঢাকার চাইতে প্রাইস তুলনামূলক অনেক কম। চাইলে কিনে আনতে পারেন।

★ পাহাড়ি মুরগীর ব্যাম্বু চিকেন আর ব্যাম্বু টি অবশ্যই খাবেন 😁

★ পাহাড়ি জুম চাষের ফল খেতে মিস করবেন না।

★ আমাদের পার পারসন খরচ হইছিল ৫৫০০-৫৭০০ টাকার মত। তবে চাইলেই এর কমেও পারবেন।
আসলে খরচটা কতজন যাবো, কতদিন থাকবে, কোথায় থাকবো, কোথায় কোথায় ঘুরবে এগুলোর উপর নির্ভর করে বলে বিস্তারিত কিছু আর লিখলাম না।

বিখ্যাত হাজীর বিরিয়ানির সিক্রেট রেসিপি এসেন্স ۔۔۔
21/08/2022

বিখ্যাত হাজীর বিরিয়ানির সিক্রেট রেসিপি এসেন্স ۔۔۔

ফুলগাজী থানাধীন ফুলগাজী সদর এবং দরবারপুর ইউনিয়নে  দৌলতপুর ও উত্তর বরইয়া এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙে জনপদে পানি প্রবেশ করছে।  ...
20/06/2022

ফুলগাজী থানাধীন ফুলগাজী সদর এবং দরবারপুর ইউনিয়নে দৌলতপুর ও উত্তর বরইয়া এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙে জনপদে পানি প্রবেশ করছে। আপনাদের যে কোন প্রয়োজনে জেলা পুলিশ আপনাদের পাশেই আছে। এই বিষয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটা হটলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে ফুলগাজী থানা ডিউটি অফিসার নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
মোবাইলঃ 01320113085

31/01/2022

এশিয়ান হাইওয়ের উৎপত্তির স্থল দুপাশে দুই দেশ ۔۔۔!!!

30/01/2022

করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই, কিভাবে তারা ঘরে বসে চিকিৎসা নিবেন কিংবা সেবা গ্রহণ করবেন জেনে নিন ।

Feni Travel Ranger ফেনী ট্রাভেল রেঞ্জার খুব শিগ্রই সাজেক ভ্রমণে যাচ্ছে ۔۔আপনি যেতে চাইলে যোগাযোগ করুন ইনবক্স করুন .. (অ্...
14/01/2022

Feni Travel Ranger
ফেনী ট্রাভেল রেঞ্জার খুব শিগ্রই সাজেক ভ্রমণে যাচ্ছে ۔۔আপনি যেতে চাইলে যোগাযোগ করুন ইনবক্স করুন .. (অ্যাডমিন )

সিএনজি সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী
05/11/2021

সিএনজি সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী

সিএনজি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ۔۔۔!! হাইরোডগুলোতে সিএনজি বন্ধ করলে দুর্ঘটনা কমে যাবে ۔۔۔۔۔۔۔ বাস্তব প্রমান দেখুন ۔۔জনস্ব...

নীলাদ্রি লেক।  ট্যােকেরঘাট, তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ।
16/10/2021

নীলাদ্রি লেক।

ট্যােকেরঘাট, তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ।

বর্ষায় রোমাঞ্চকর সিলেট ভ্রমণ ۔۔বিস্তারিত :https://youtu.be/ZgBMIowMCkQ
10/10/2021

বর্ষায় রোমাঞ্চকর সিলেট ভ্রমণ ۔۔
বিস্তারিত :
https://youtu.be/ZgBMIowMCkQ

এই বর্ষায় রোমাঞ্চকর সিলেট ভ্রমণ ۔۔۔আমরা ঢাকা থেকে পারাবত এক্সপ্রেসের এসিএস কেবিনে ( পুরো কেবিন ভাড়া ৪২০০ টাকা) করে ...

সাজেক কখন যাবেন?প্রতিবছরই আমরা এই প্রশ্নটিই সবচেয়ে বেশি পেয়ে থাকি. যে - সাজেক যাওয়ার আদর্শ সময় কখন ? কখন গেলে বেশি ম...
28/09/2021

সাজেক কখন যাবেন?

প্রতিবছরই আমরা এই প্রশ্নটিই সবচেয়ে বেশি পেয়ে থাকি. যে -
সাজেক যাওয়ার আদর্শ সময় কখন ? কখন গেলে বেশি মেঘ পাওয়া যাবে শীতকাল, বর্ষাকাল নাকি গ্রীষ্মকাল?

#গ্রীষ্মকাল :
প্রথমেই বলে দেই যে গ্রীষ্মকাল কখনোই সাজেক ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত নয়. সাজেক আমাদের দেশের পাহাড়ের উপর একটি অঞ্চল যেখানে গ্রীষ্মকালে মারাত্মক গরম থাকে এবং সাজেকে ১/২ টি রিসোর্ট ছাড়া কোন রিসোর্টে এসি নেই.
তাই গরমকালে গিয়ে সাজেকে বিরূপ অভিজ্ঞতা না নেওয়াই ভালো.
তাই বলা যায় ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে জুন মাসের শুরু পর্যন্ত না যাওয়াই ভালো.

#বর্ষাকাল:
বর্ষাকাল থেকে মূলত সাজেকের ওয়েদার শুরু হয়. অনেকে ভাবেন বর্ষাকালে সাজেকে যেতে হয় না. অনেকে আবার বর্ষাকাল কে Sajek valley যাওয়ার আদর্শ সময় মনে করেন . বর্ষাকালে সাজেকে মেঘ থাকে চারিদিকে ভরপুর. যখন বৃষ্টি হয় তার কিছুক্ষণ পরে মেঘ এতই আনাগোনা করে যে চারপাশে কোন রিসোর্ট দেখা যায় না এমনকি সামনের মানুষ কেউ দেখা যায় না .বৃষ্টি চলে গিয়ে যখন রোদ্র আসে তখন দূর-দূরান্তের ইন্ডিয়ার পাহাড় পর্যন্ত দেখা যায়. রাত্রেবেলা মৃদু ঠান্ডা থাকে. আর যখন বৃষ্টি হয় তখন খুব অমায়িক একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়. যারা বৃষ্টি পছন্দ করেন তারা সেই আবহাওয়া খুব উপভোগ করেন. এই সময়ে মেঘগুলো সব সময় আপনার চারপাশে ঘোরাঘুরি করতে থাকে এবং উড়তে থাকে
কখনো এক জায়গায় স্থির হয়ে মেঘের কোন মেঘের কোন চাদরের সৃষ্টি করে না. তবে এই সময়ে খাগড়াছড়ির ঝর্ণা গুলোতে অনেক পানি থাকে. যেমন হাজাছড়া এবং রিসাং ঝর্ণা.
উল্লেখ্য বর্ষাকালে বৃষ্টি না থাকলে দিনের বেলায় প্রচন্ড গরম অনুভূত হয়. জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে অক্টোবরের শুরু পর্যন্ত এই আবহাওয়া পাওয়া যায়.

#শীতকাল:
শীতকাল কে বলা হয়ে থাকে সাজেকে যাওয়ার একদম উৎকৃষ্ট সময়. এই সময়ে দিনের বেলা মৃদু ঠান্ডা অনুভূত হয় এবং রাত্রেবেলা প্রচন্ড ঠান্ডা উপভোগ করা যায়. ফেসবুকে সাজেকের ছবিগুলোতে যেখানে মেঘের একটা চাদরের মতো দেখা যায় তার বেশিরভাগই শীতকালের ছবি. শীতকালের ভোরবেলায় সাজেকের অবস্থা এরকম হয়. ভোরবেলা থেকে শুরু করে রাত্র পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সাজেকের রূপ বিভিন্ন আকার ধারণ করে যা কি না ট্রাভেলারদের মাঝে খুবই জনপ্রিয় একটি বিষয়.
উল্লেখ্য, অক্টোবরের শেষ থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত এই আবহাওয়া পাওয়া যায়.

Content: Resort Hotel Offer, Help & Review

ঢাকার কোথায় যেতে কোন বাসে উঠবেন! ধন্যবাদ যিনি এই কাজটি করেছেন! Feni Travel Ranger
20/09/2021

ঢাকার কোথায় যেতে কোন বাসে উঠবেন! ধন্যবাদ যিনি এই কাজটি করেছেন! Feni Travel Ranger

খৈয়াছড়া ঝর্না মিরসরাই চট্রগ্রাম ۔۔۔۔
06/08/2021

খৈয়াছড়া ঝর্না মিরসরাই চট্রগ্রাম ۔۔۔۔

05/08/2021

খইয়াছডা ঝর্ণা ۔মিরসরাই ۔চট্টগ্রাম ۔۔কি ভাবে যাবেন বিস্তারিত নিচের লিংকে ۔۔https://youtu.be/OSX2-MP0HEY

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Feni Travel Ranger posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Feni Travel Ranger:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share