16/06/2012
নির্ভেজাল সুখ ও সুখবর বলতে কিছু নেই। একটি সুসংবাদের পাশে আরেকটি দুঃসংবাদ প্রায় পিঠাপিঠি লেগে আছে। বাংলাদেশে এই সত্যটি ভয়াবহভাবে নির্মম। বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি যখন এগিয়ে চলেছে, বাজেটে প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে আশা জাগানো হচ্ছে, তখনই সরকার ও বিরোধী দল রাজপথে অহেতুক কাজিয়ায় লিপ্ত। একদিকে বাংলাদেশের মেয়েরা এভারেস্ট জয়ের বিরল গৌরব অর্জন করছেন, অন্যদিকে বিচারপ্রার্থী নারী প্রকাশ্যে পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। টাকার অবমূল্যায়নের সুযোগে পোশাকশিল্পের মালিকেরা যখন বাড়তি মুনাফা করছেন, তখন এই শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমে যাচ্ছে। মালিকেরা শ্রমিকদের বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম মজুরিও দিতে রাজি নন। যে কারণে কয়েক দিন ধরে আশুলিয়া অশান্ত।
বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, বিশ্বশান্তি সূচকে (জিপিআই) বাংলাদেশের অবস্থান ভারত ও পাকিস্তানের অনেক ওপরে। ২০১১ সালে ১৫৮ দেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এই সূচক করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হলো আইসল্যান্ড। এরপর দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে যথাক্রমে ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের অবস্থান ৯১। ভারত ও পাকিস্তান যথাক্রমে ১৪২ ও ১৪৯। নেপাল বাংলাদেশ থেকে খানিকটা এগিয়ে আছে।
এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুখবর। আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারতাম যদি রাজনীতিটা একটু সুস্থ হতো। নেতা-নেত্রীরা দেশকে দলের চেয়ে বড় মনে করতেন। সরকারের দাবি, দেশের যত দুর্গতি, তার জন্য বিরোধী দল দায়ী। আবার বিরোধী দল ভাবে, সরকার দেশটাকে প্রায় শেষ করে দিয়েছে। দেশটা রক্ষা করতে আবার তাদের ক্ষমতায় আসতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক মূল সমস্যা নয়। সমস্যা হলো ক্ষমতায় থাকা না-থাকা এবং ক্ষমতায় আসা না-আসা।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ
এবার দুঃসংবাদের কথা বলি। বেলজিয়ামভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে ব্যাক টু ফিউচার নামে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রত্যাশায় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জনগণ বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছিল। কিন্তু দলটি বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের অপব্যবহার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের গতানুগতিক ধারায় ফিরে যায় এবং দেশের সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে। এ কারণে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা বাতিল হয়ে যায়। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও সরকার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক সমঝোতা না হলে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দেশটির রাজপথে সহিংস বিক্ষোভ অব্যাহত থাকতে পারে।’
ক্রাইসিস গ্রুপের এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা সিডনি জোনস বলেন, ‘সমঝোতার সামান্য সুযোগ এখনো রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বিরোধী দলের কাছাকাছি পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের রাজনীতি আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।’
প্রথমেই বিদেশি সংস্থা ও গণমাধ্যমের বিশ্লেষণগুলো সম্পর্কে দু-একটি কথা বলতে চাই। এর কোনোটি পড়লে মনে হবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কারণেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বিখ্যাত ইকোনমিস্ট পত্রিকা তো বলেই ফেলল, বাংলাদেশের ধ্বংস ঠেকাতে এখনই দিল্লির হস্তক্ষেপ করা উচিত। আবার কোনো নিউইয়র্ক টাইমস বা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পড়লে মনে হবে, বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে।
আমাদের ধারণা, দুই পক্ষের বক্তব্যেই অতিশয়োক্তি আছে। কেউ সত্য খোঁজে না, মিত্র ও শত্রু খোঁজে।
ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে যে ২০০৮ সালের নির্বাচনকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তা কি বিএনপি মেনে নিয়েছে? শুরু থেকেই তারা মুখস্থ বলে আসছে, ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনরা আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্র করে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। ক্রাইসিস গ্রুপ সব সমস্যার মূলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের যে দোহাই দিয়েছে, তাও সর্বৈব সত্য নয়। ১৯৯৬-২০০১ কিংবা ২০০১-২০০৬ মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল থাকা সত্ত্বেও রাজনীতি সুস্থ পথে এগোয়নি। তত্ত্বাবধায়ক বাতিল না হলে বিরোধী দল অন্য কোনো অজুহাত খাড়া করত, সরকারও অন্য কোনো খড়্গ ব্যবহার করত বিরোধী দলের বিরুদ্ধে।
ক্রাইসিস গ্রুপের এশিয়া বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক পল কিং জজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার সুযোগ একেবারেই বিলীন হয়ে যায়নি। এ জন্য রাষ্ট্রনায়কোচিত পদক্ষেপ নিতে হবে। কে নেবেন—শেখ হাসিনা না খালেদা জিয়া? তাঁরা কেউ কাউকে বিশ্বাস করেন না। ক্ষমতায় বিশ্বাস করেন। নির্বাচনে জয়ী হলে ‘ঐতিহাসিক রায়’ আর হেরে গেলে ‘ষড়যন্ত্র’।
কয়েক দিন আগে প্রথম আলো অফিসে এসেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। তিনি সাংবাদিক ও লেখক-বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রবল আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাঁর ভাষায়, ‘জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম দেশ বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেক বেশি। আর সে কারণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এগিয়ে যাক।’ তিনি বাংলাদেশকে একটি বিনয়ী ও উদার গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেন। ক্ষমতা বদলের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বিদেশি দূতদের ভাষাও বদলে যায়। তাঁর পূর্বসূরি একাধিক মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ যে একটি গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, তাও স্বীকার করেননি। তাঁরা বরাবর ‘উদার মুসলিম দেশ’ বলে শাসকদের পিঠ চাপড়িয়েছেন ।
আলাপ প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে গুরুত্ব দিচ্ছে—এমন অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। বাংলাদেশ একটি বিশাল দেশ। এর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বিষয়কে মাথায় রাখে না। আমি কখনোই কোনো কারণে দিল্লিতে ফোন দিই না। আমি যোগাযোগ করি ওয়াশিংটনের সঙ্গে।’ বাংলাদেশের একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী ভাবেন, বাংলাদেশের সব সমস্যার মূলে দিল্লি। আরেক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী মনে করেন, সব সমস্যার মূলে ইসলামাবাদ। এই দুই ধারার চিন্তার বৈকল্য থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
১৭৫ আসনে আওয়ামী লীগ
জাতীয় সংসদের প্রায় ১৭৫টি (কোনো কোনো পত্রিকা লিখেছে ১৭০) আসনে আওয়ামী লীগের অবস্থান ভালো বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা। গত সোমবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রথম আলোর খবরে বলা হয়, ‘দলীয় সূত্র এবং সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার জরিপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন আওয়ামী লীগের যে আসন রয়েছে, তার মধ্যে ৩০টির অবস্থা খুবই খারাপ, বাকি ৩০টি আসনে অর্ধেক সম্ভাবনা আছে। আর বাকি আসনগুলোর অবস্থা ভালো। নির্বাচনের দেড় বছর বাকি। এ অবস্থার কম-বেশি পরিবর্তন হতে পারে।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০ আসন পেয়েছিল। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দলীয় সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলের সাংসদদের আগ্নেয়াস্ত্র না দেখিয়ে নিজ নিজ এলাকায় জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘শুধু উন্নয়ন করলে ভোট পাওয়া যাবে না, জনগণের কাছে যেতে হবে। তাদের সঙ্গে ভালো করে কথা বলতে হবে। সাংসদদের আচরণ পরিবর্তন করতে হবে। দুর্ব্যবহার করে, পিস্তল উঁচিয়ে ভোট পাওয়া যাবে না। আঙুল উঁচিয়ে কথা বলবেন না, কর্মীদের পিস্তল দেখাবেন, পুলিশ দিয়ে জেলে পাঠাবেন না।’
সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফের সতর্কীকরণ বক্তব্য থেকে আমরা কী বার্তা পাই। এক. আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমে গেছে। দুই. এখন নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ১৭০-১৭৫টি আসন পেতে পারে। তিন. আওয়ামী লীগের সাংসদেরা জনগণ বা ভোটারদের প্রতি পিস্তল উঁচিয়ে থাকেন, আঙুল উঁচিয়ে কথা বলেন। চার, তাঁরা পুলিশ দিয়ে কর্মীদের জেলে পাঠানোর ব্যবস্থাও করেন।
এখন এই আঙুল উঁচানো বা পিস্তল তাক করার উৎস কী? ক্ষমতা? ক্ষমতা না থাকলে আবার তাঁরা জনগণের কাছে হাতজোড় করে ভোট চাইবেন। এখন বিএনপির নেতারা যে এত বিনয়ী ও ভদ্র, ক্ষমতায় থাকতে তাঁরাও কম দেখাননি।
এবার প্রধানমন্ত্রীর হিসাব-নিকাশ সম্পর্কে দু-একটি কথা বলতে চাই। এখন নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১৭৫ আসনে জয়ী হবে বলে তিনি আশা করছেন। ৩০০ আসনের মধ্যে ১৭৫ মোটেই ফেলনা নয়। অনেক দেশে দশকের পর দশক সংগ্রাম করেও বিজয়ী দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে ২৫টি বেশি আসন পায় না। ভারতে ইউপিএ সরকারের লেজে গোবরে অবস্থা। আর বাংলাদেশে বিজয়ী দল ছাপ্পড় ফাইড়া ভোট পায়। জনগণ ভোট দেয়। কিন্তু তারা সেই ভোটের মর্যাদা কখনো রেখেছে বলে প্রমাণ নেই।
আমরা এও মনে করি, বিরোধী দল বিএনপি এমন কিছু করেনি, যাতে তাদের ধুলায় মেশানো ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তারা একজন বিতর্কিত নেতাকেও দল থেকে বাদ দেয়নি। তারা এখনো সেই জঙ্গি ও লুণ্ঠনকারীদের নামে জিন্দাবাদ দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের গত নির্বাচনে জয়ের পেছনে আরেকটি কারণ ছিল বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন না দেওয়া। যদিও গত সাড়ে তিন বছরে অনেক সাংসদ-মন্ত্রীই নিজেদের বিতর্কিত করে ফেলেছেন। শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে তাঁদের বাদ দিতে পারবে কি?
আরেকটি কথা। এখন নির্বাচনের দেড় বছর বাকি। এই দেড় বছরে যে সাংসদেরা জনগণের প্রতি পিস্তল উঁচাবেন না, মিথ্যা মামলা দিয়ে কর্মীদের জেলে পাঠাবেন না, তার নিশ্চয়তা কী? আর দেড় বছরে বিদ্যুৎ-পরিস্থিতির উন্নতি হবে, জিনিসপত্রের দাম কমবে, সেই গ্যারান্টিও নেই। বরং অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, যেকোনো সরকার মেয়াদের প্রথমার্ধেই কিছু ভালো কাজ করে, ভালো দৃষ্টান্ত দেখায়। আর শেষ দিকে দলীয় কর্মী, নেতা ও ক্যাডারদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়।
আওয়ামী লীগ আগামী দেড় বছরে ১৭০ আসন ধরে রাখতে সচেষ্ট থাকবে, না বিগত আওয়ামী লীগের মতো ৬০টিতে অথবা বিএনপির মতো ৩০টিতে ঠেকে যাবে—সেই সিদ্ধান্ত নেতৃত্বকেই নিতে হবে। তবে শেষ কথা হলো, নির্বাচন নিয়ে সরকার যত জবরদস্তি করবে, তার আসন সংখ্যা তত কমতে থাকবে। সে জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রয়োজন হবে না। গত দুই দশকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যদি সত্যিকার কোনো পরিবর্তন হয়ে থাকে সেটি হলো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের প্রত্যাখ্যান। নাকচ করে দেওয়া।
২৩০ থেকে ১৭৫-এ নামতে সাড়ে তিন বছর সময় লেগেছে। এখন ১৭৫ থেকে শুধু ৭৫-এর ফারাক খুব বেশি নয়। জনগণের রায়ই শেষ কথা।
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।