23/09/2023
সাঞ্চেল অভয়ারণ্যের ঘেরাটোপে লুকিয়ে থাকা একটা ছোট জনপদ এই চটকপুর - পাহাড়ের গায়ে, কিছুটা নিরিবিলি, খুব সুন্দর সূর্যোদয় - সূর্যাস্ত আর কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে পাওয়ার লোভেই এখানে যাওয়া। খাতায় - কলমে কিছুটা অফবিট হলেও বহু ট্যুরিস্টের সমাগম দেখেছিলাম এবং তাদের মধ্যে কিছু মানুষের আচরণ দেখে বেশ উদ্বেগও জেগেছিল মনে। এনজেপি থেকে সোজা চটকপুরেই এসেছিলাম, যে হোমস্টেতে ছিলাম তাদের সাথেই কথা বলে গাড়ির ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম, তাই বছরের শুরুতে গাড়ি ভাড়া খানিকটা বেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পুরনো রেটেই পেয়েছিলাম। পরিচিত হিলকার্ট রোড ধরে ঘুম, সোনাডা তারপর ছোট্ট স্টেশন টুং পেড়িয়ে হঠাৎ একটা সবজির দোকানের পাশের অবিশ্বাস্য রকম সরু এবং খাড়া একটা গলির চড়াই পথ ধরলো আমাদের গাড়ি। এই শীর্ণকায় গলি দিয়ে কোনো গাড়ি যে যেতে পারে তা বিশ্বাসই করা যায় না। পাড়ার ভেতরের রাস্তার মতন রাস্তা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ যাওয়ার পর একসময় পরিবেশটা বদলালো, এবার আর ঘর-বাড়ির দেখা নেই বরং আধা জঙ্গুলে রাস্তায় চলেছি। বোঝাই যাচ্ছিল যে সাঞ্চেল অভয়ারণ্যের ঘেরাটোপে ঢুকে পড়েছি এবার। একসময় চেকপোস্টের সামনে এসে থামলাম। এখানে I.D দেখিয়ে, গাড়ির চার্জ আর চটকপুরে থাকার চার্জ মিটিয়ে, চারপাশটা একটু ঘুরে দেখে চড়ে বসলাম গাড়িতে, চারিদিক কুয়াশাচ্ছন্ন। চেকপোস্টের পর থেকে আস্তে আস্তে প্রবেশ করলাম অভয়ারণ্যের আরো গভীরে, রাস্তা খুব খারাপ তবে গাড়িতে করে ফালুট ঘুরে আসার পর এই রাস্তা আর অতটা বেগ দেয় নি, উপরন্তু গাড়িটার কন্ডিশনও ভালো ছিল। …...
সাঞ্চেল অভয়ারণ্যের ঘেরাটোপে লুকিয়ে থাকা একটা ছোট জনপদ এই চটকপুর – পাহাড়ের গায়ে, কিছুটা নিরিবিলি, খুব সুন্দর সূর্.....