16/11/2018
Inbound Destination for Bangladeshis
শাপলার গ্রাম সাতলা
তুমি সুতোয় বেঁধেছ শাপলার ফুল, নাকি তোমার মন-
গানের এমন মিষ্টি রোমান্টিক কথার মতো শাপলা ফুলের সৌন্দর্য দিয়ে যদি মনের মানুষটি মুগ্ধ করতে চান অবশ্যই একবার হলেও ঘুরে আসা উচিত বরিশালের উজিরপুরে। সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানকার সাতলা গ্রামে শাপলা সৌন্দর্যের রীতিমতো বাজার বসায় প্রকৃতি। যার রূপে পাগল হবেন না এমন মানুষ কমই আছেন। আর শীত আসি আসি করলে শাপলা রাজকে কুর্নিশ করতে বিলে আসে অসংখ্য অতিথি পাখি। তাইতো সময় পেলেই দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এখন এসে ভিড় করে সাতলা বিলের শাপলার রাজত্ব দেখতে।
বরিশাল সদর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরবর্তী গ্রাম সাতলা। উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের প্রতিটা বিল এখন স্থানীয়দের কাছে শাপলার বিল নামে পরিচিত। এমনকি, সাতলা গ্রামও ‘শাপলা সাতলা’ নামে পরিচিত পেয়েছে।
সাতলার রূপ কথা: এখানকার বিলগুলোর পানিতে ফুটে থাকা লাল শাপলা যেন সূর্যের আভাকেও হার মানিয়ে দেয়। শুধু লাল নয়, সাদা ও বেগুনিসহ তিন রঙের শাপলা ফোটে বিলে। তবে লাল শাপলার আধিক্যই বেশি। এখানে প্রায় ১০ হাজার একর জলাভূমিতে শাপলার চাষ হয়। শাপলা চাষ ও বিপনণের সাথে ৭০ শতাংশ স্থানীয় অধিবাসীরা জড়িত। সাম্প্রতিক কালে শাপলা দেখতে সাতলায় দর্শনার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে। বিল জুড়ে লাল, সাদা, বেগুনী রঙ শাপলা চোখের পলক তাদের পড়েই না। তাই সময় করে একবার হলেও পরিবার-পরিজন বা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন শাপলার গ্রাম সাতলায়।
কখন যাবেন:
সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বিলগুলোতে শাপলা থাকে। তবে আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে গেলেই সাতলার পূর্ণ রূপ দেখতে পাওয়া যায়। মনে রাখতে হবে, বিলে শাপলা দেখতে খুব ভোরে যেতে হবে। কেননা বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফুটন্ত শাপলা বুজে যায়। তাই সবচে ভালো হয় রাতে গ্রামে থেকে ভোর বেলায় বিলে শাপলা দেখতে যাওয়া।
কিভাবে যাবেন:
সড়ক পথে ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে সময় লাগে ৬/৮ ঘণ্টা। ঢাকার গাবতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে বরিশালগামী বাস যায়। এছাড়া ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশাল অভিমুখে করতে পারেন বিখ্যাত লঞ্চ ভ্রমণ। এতে এই রুটের নদীপথের সৌন্দর্যটারও দেখা মিলবে মুফতে। বরিশাল থেকে বাসে শিকারপুর এসে অটোরিক্সা ভাড়া করে উত্তর সাতলা পৌঁছাতে পারবেন।
রাত্রিযাপন:
সাতলায় রাতে থাকতে চাইলে স্থানীয় অধিবাসীদের আতিথেয়তা গ্রহণ করতে পারেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ অতিথিপরায়ণ। অথবা ফিরে আসতে হবে বরিশাল শহরে। সেখানে সাধ্যের মধ্যে সব ধরনের হোটেল আছে।
লেখক: মাহমুদ শাকিল