Susang Durgapur is 182 km from Dhaka, a real natural beauty of forest river & hills area where the Garos and other tribal live. You can also enjoy boating in the river. Wild Elephant some times comes from forest. But going to Susang Durgapur is a real troublesome for the tourists due to the location and communication problem in this area. It is advisable only to go there in winter season. Susang H
ills southern continuation of Garo Hills of western Meghalaya (India) which extends from Kuri beel in the west to the Bhugi river in the east occupying the northern border of greater Mymensingh district. Being the foothills of Garo Hills, Susang Hills are represented by elongated, domal hillocks and tilas separated by valleys formed by the rivers and streams originating from Garo Hills. Only the southern fringes of the highly elevated shillong massif consisting of Garo Hills, Khasi Hills and Jaintia Hills form a narrow strip of hills and hillocks in Bangladesh territory. The great Dauki fault with a throw of about 18 km has dissected these foothills from the Meghalaya plateau. Someshwari is the major river originating from Garo Hills that flows along Bijoypur and Durgapur and finally joins the kangsa in the south. Structurally, the area forms the southern flank of an anticlinal fold with sub-latitudinal axial trend (NW-SE) in the Garo Hills. They are represented by block faulted sediments of Plio-Pleistocene age and slopes southwards plunging below the Recent piedmont plain. In the Susang Hills of Bangladesh only Dupi Tila and Dihing sequences are exposed. Kaolinitic white clay deposits of Bijoypur (Netrokona district) occur in Dupi Tila Formation in lenses alternating with sandstones. Susang Hills are covered with thick wild vegetation with bamboo thickets and Garjan, Shal and Teak trees. Garo and Hajong tribal people reside in these hills. Here, the highest elevation is 42m MSL (mean sea level) while the valleys are about 13m MSL. In Sylhet, such hillocks are widely known as Tilas. Along the border belt of Sunamganj district, similar low hillocks exist in Takerghat area. They are represented by Palaeogene sediments of Tura Sandstones and Sylhet Limestone formations with maximum elevation of 22m. Further east along the border belt of Sylhet district a series of hills stretch from Jaflong to the border with Cachar, India, in the east. Tourist Place
দূর্গাপুরের বিজয়পুর পাহাড়ে চিনামাটির নৈসর্গিক দৃশ্য
সংক্ষিপ্ত বিবরণ : দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের আড়াপাড়া ও মাইজপাড়া মৌজায় বিজয়পুরের সাদা মাটি অবস্থিত। বাংলাদেশের মধ্যে প্রকৃতির সম্পদ হিসেবে সাদা মাটির অন্যতম বৃহৎ খনিজ অঞ্চল এটি। ছোট বড় টিলা-পাহাড় ও সমতল ভূমি জুড়ে প্রায় ১৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০০ মিটার প্রস্থ এই খনিজ অঞ্চল। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ১৯৫৭ সালে এই অঞ্চলে সাদামাটির পরিমাণ ধরা হয় ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন, যা বাংলাদেশের ৩ শত বৎসরের চাহিদা পুরণ করতে পারে।
পটভূমি ও ইতিহাস: চিনা মাটির প্রাচীন ইতিহাস না জানা গেলেও ১৯৫৭ সাল থেকে এ মাটি উত্তোলনের কাজ শুরু হয়। ১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম কোহিনুর এলুমিনিয়াম ওয়ার্কস নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই সাদামাটি উত্তোলনের কাজ শুরু করে। পরে ১৯৭৩ সালে বিসিআইসি সাদামাটি উত্তোলনে যোগ দেয়। বর্তমানে ৯টি কোম্পানী এই সাদামাটি উত্তোলনের কাজ করছে। প্রায় ৩০০ জন শ্রমিক এই মাটি উত্তোলনের সাথে জড়িত। বিভিন্ন রংয়ের মাটি, পানি ও প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য মনকে বিমোহিত করে। সাদা, গোলাপী, হলুদ, বেগুনি, খয়েরী, নিলাভ বিভিন্ন রংয়ের মাটির পাহাড় চোখকে জুড়িয়ে দেয়। সাদামাটি এলাকা জুড়ে আদিবাসীদের বসতি।
যোগাযোগ ব্যবস্থা : সোমেশ্বরী নদী পাড়হয়ে রিক্সা বা হোন্ডায় অর্ধ কাচা-পাকা রাস্তা দিয়ে বিজয়পুরের সাদামাটি অঞ্চলে যাওয়া যায়।
সতর্কীকরণ : সরাসরি যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় ভারী লাগেজ সংগে না নেয়াই ভাল।
#============================================================= #
রানীখং মিশন, বিজয়পুর
সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তরে কাল্লাগড়া ইউনিয়নের উত্তর পূর্ব সীমান্তে সোমেশ্বরী নদীর কোল ঘেঁষেই পুরো মিশনটি একটি উচু পাহাড়ে অবস্থিত। ১৯১০ সালে এ রাণীখং মিশনটি স্থাপিত হয়। ইহা খ্রীষ্টিয় ক্যাথলিক ধর্মপল্লী। ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের একটি উপাসনালয়। সুরম্য একটি গীর্জাসহ একটি দাতব্য চিকিৎসালয়, দুইটি স্কুল ও একটি পোষ্ট অফিস আছে। ইহা ছাড়া মিশনের ভিতরে শান্তিনিকেতন নামে একটি বিশ্রামাগার আছে, যেখান থেকে প্রকৃতিকে আরো নিবিড়ভাবে উপভোগ করা যায়।
পটভূমি ও ইতিহাসঃ রাণীখং নামকরণ নিয়ে কিংবদন্তী আছে যে, এ অঞ্চলে ‘‘খং-রাণী’’ নামে এক রাক্ষস বাস করত। গারো আদিবাসীরা এই রাক্ষসটিকে হত্যা করে এ অঞ্চলে শান্তি এনেছিল। যার ফলে এই অঞ্চলের নাম হয়েছিল রাণীখং। রানীখং নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত বলে এ মিশনটির নাম রানীখং মিশন। প্রকৃতির অপরুপ লীলাভূমি রাণীখং মিশন। পাহাড় চুড়ায় গড়ে উঠা মিশনটির পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা পাহাড়ী নদী ‘সোমেশ্বরী’। মিশনটির সম্মুখে বিস্তির্ণ সাদা সিলিকা বালি। ছোট বড় সারি সারি টিলা-পাহাড় মিশে গেছে দিগন্ত জুড়ে। পা বাড়ালেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। এখান থেকেই উপভোগ করা যায় পাহাড় আর মেঘের লুকোচুরি খেলা আর নীলিমায় ভেসে যাওয়া বনবিহার।
যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ নৌকাযোগে সরাসরি রাণীখং মিশনে পৌঁছানো যায়। এছাড়া রিক্সা বা মোটর সাইকেলে অর্ধ-কাচা ও অর্ধ-পাকা রাস্তা দিয়ে রাণীখং পৌছা যায়।
সতর্কীকরণঃ উচু পাহাড়ে মিশন অবস্থিত হেটে উঠতে হয়।
@=============================================================@
রাণীমাতা রাশমনি স্মৃতি সৌধ
সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ উপজেলা পরিষদ হতে ছয় কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেড়াতলী গ্রামে চৌ-রাস্তা মোড়ে রাশমণি স্মৃতি সৌধ অবস্থিত। রাশমনি হাজং ছিলেন টংক ও কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী।
পটভূমি ও ইতিহাসঃ রাশমনি হাজং ছিলেন টংক ও কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী। তিনি ১৮৯৮ সালে ধোবাউড়া উপজেলায় বেদীকুড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জমিদার ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কৃষক ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। ১৯৪৬ সালে ৩১শে জানুয়ারী কুমদিনী হাজংকে বাচাতে গিয়ে মুখোমুখি সংগ্রামে ব্রিটিশ বাহিনীর গুলিতে বহেরাতলী গ্রামে তার সহযোদ্ধা সুরেন্দ্র হাজংসহ শহীদ হন। রাশমনি ও সুরেন্দ্র হাজং টংক আন্দোলনের প্রথম শহীদ। রাশমনির দায়ের আঘাতে দুজন ব্রিটিশ পুলিশ নিহত হয়। এই বীর যোদ্ধার স্মরণে হাজংলতা রাশমনি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছেন। প্রতিবছর ৩১শে জানুয়ারী রাশমনি দিবস ও টংক শহীদ দিবস পালন করা হয়।
যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ ঢাকা থেকে বাস যোগে ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ ভায়া শ্যামগঞ্জ দুর্গাপুর অথবা ঢাকা থেকে বাসযোগে নেত্রকোণা, নেত্রকোণা থেকে দুর্গাপুর। সোমেশ্বরী নদী পাড় হয়ে রিক্সা বা হোন্ডায় অর্ধ কাচা-পাকা রাস্তা দিয়ে বহেড়াতলী রাশিমণি স্মৃতি সৌধে যাওয়া যায়।
ভ্রমণের সময়সূচীঃ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সপ্তাহের সকল দিবসে।
আবাসন ব্যবস্থাঃ উপজেলা সদরে বিভিন্ন হোটেল রয়েছে। এছাড়াও ওয়াইএমসিএ ও ওয়াইডব্লিউসি প্রতিষ্ঠানের গেষ্ট হাউজ আছে।
{%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%%}
বিরিশিরি কালচারাল একাডেমী।
বিরিশিরি কালচারাল একাডেমী সংক্ষিপ্ত বিবরণ: দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি কালচারাল একাডেমীতে একটি সুপরিসর দ্বিতল ভবন ও একটি রেষ্ট হাউস রয়েছে। এ একাডেমীতে উপজাতীয় সংস্কৃতি চর্চা করা হয়। এখানে প্রতি বছর উপজাতীয়দের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ অন্যান্য অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর জনসমাগম হয়।
পটভূমি ও ইতিহাস: বিরিশিরি কালচারাল একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহু প্রাচীন ও মনোগ্রাহী। এ সকল জনগোষ্ঠী আদিকাল হতেই স্থানীয় সহযোগিতা নিয়ে তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে চর্চার মাধ্যমে লালন ও সংরক্ষণ করে আসছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্টপূর্ণ আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০’ কার্যকর করা হয়। উক্ত আইন অনুসারে বর্তমানে বিরিশিরি কালচারাল একাডেমী পরিচালিত হচ্ছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে বাস যোগে ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ ভায়া শ্যামগঞ্জ দুর্গাপুর অথবা ঢাকা থেকে বাসযোগে নেত্রকোণা, নেত্রকোণা থেকে দুর্গাপুর।
ভ্রমণের সময়সূচী: সপ্তাহের রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার অফিস সময়ে যাদুঘর খোলা থাকে। এছাড়া এলাকার সৌন্দর্য সারাদিন উপভোগ করা যাবে।
আবাসন ব্যবস্থা: বিরিশিরি কালচারাল একাডেমীর নিজস্ব রেস্ট হাউজ ও জেলা পরিষদ ডাক বাংলো আছে।
$******************************************>