18/06/2023
তারিখটা ৯ ফেব্রুয়ারী ১৯৭২। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাটোর সফর করেন।
সে সফরে বঙ্গবন্ধু ভারত বর্ষের রাজার দ্বারা নির্মিত (পরবর্তীতে বাংলাদেশের সম্পদ) এই রাজপ্রাসাদে ঘুরতে আসেন।
এসেই আশেপাশের নানান রকম গাছ দেখেন। যেই গাছগুলো সচরাচর বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। সেই রাজা পৃথীবির নানান দেশ থেকে সংগ্রহ করে তার প্রাসাদের বাগানে হরেক রকম গাছ লাগায়।
যার মধ্যে এখনো নাটোরের এই প্রাসাদে এমন কিছু গাছ আছে যেগুলো বাংলাদেশের আর কোথাও নেই।
যাই হোক মূল কথায় ফিরে আসি। বঙ্গবন্ধু বৃক্ষপ্রেমী ছিল সেটা খুব কম মানুষেরই অজানা। বঙ্গবন্ধু নানান দেশ থেকে সংগ্রহ করে নানান গাছ সেখানে দেখলেও হৈমন্তি গাছ তার চোখে পরেনি।
তাই তৎক্ষনাৎ সিদ্ধান্ত নেয় এখানে একটি হৈমন্তি গাছ লাগাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। শুরু হয়ে গেল চারার খোঁজ। দীর্ঘ সময় পর একটি হৈমন্তির চারা পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে এই জায়গায় গাছটি রোপন করে।
দীর্ঘ ৫১ বছর ধরে সগৌরবে গাছটি দাঁড়িয়ে আছে নাটরের এই জমিদার বাড়ির বাগানে। যদিও সময়ের সাথে সাথে গাছটি মারা যাচ্ছে। তবে, এটিকে বাচিয়ে রাখতে সরকার জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লাগানো হৈমন্তি গাছটি দেখার। সে সাথে চোখ বন্ধ করে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি গাছটির জন্মের ইতিহাস। যদি গাছ কথা বলতে পারতো তাহলে হয়তো গৌরবের সাথে বলতো এই তুই কি জানিস আমার জন্ম হয়েছে এই দেশের মহানায়ক, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে। এখানে আমাকে প্রকৃতিকে বাচিয়ে রাখার দায়িত্ব দিয়ে গেছে। যেটি ৫১ বছর ধরে আমি পালন করে আসছি।