Traveling Thoughts with Akbor

  • Home
  • Traveling Thoughts with Akbor

Traveling Thoughts with Akbor Embark on a journey of mind and soul with Akbor.

Let's navigate the landscapes of thought together, seeking wisdom and inspiration in every corner of our travels ��

ভারত_ভ্রমণ২০২৪, পর্ব -৪১৭/০৪/২০২৪ (গ্যাংটক, সিক্কিম)বেশ ক্লান্তি নিয়ে রাতের ঘুমের পর সকালে উঠেই ফ্রেশ হয়ে গ্যাংটক এ নাস্...
12/05/2024

ভারত_ভ্রমণ২০২৪, পর্ব -৪

১৭/০৪/২০২৪ (গ্যাংটক, সিক্কিম)
বেশ ক্লান্তি নিয়ে রাতের ঘুমের পর সকালে উঠেই ফ্রেশ হয়ে গ্যাংটক এ নাস্তা করে নিলাম। আজকেই সিক্কিম থেকে এক্সিট নিবো তাই দ্রুত বের হতে হবে।
হোটেল এ চেক আউট করে চলে গেলাম শিলিগুড়ি ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে- ১৯/০৪/২৪ সিক্কিম এ লোকসভা নির্বাচন হওয়ায় প্রায় সব জীপ নির্বাচনের কাজে রিজার্ভ এ থাকায় স্ট্যান্ডে কোনো জীপ পেলাম না যে শিলিগুড়ি যাবে। শেয়ার জীপ না পেয়ে বাস এ টিকেট নিলাম (বাসের টিকেট পেতেও বেগ পেতে হয়েছে),

বিকাল নাগাদ পৌঁছে গেলাম নিউ জলপাইগুড়ি তে। প্ল্যান ছিলো আগামীকাল'ই দেশে ঢুকবো চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডার দিয়ে, কিন্তু শিলিগুড়ি-সিক্কিম অঞ্চলে নির্বাচন থাকায় ৩দিন ট্যুরিস্ট ইমিগ্রেশন বন্ধ ছিলো।
তাই সন্ধ্যায় বসে ভাবতে লাগলাম কি করা যায় {তখনও জানা ছিলো না যে সামনে আরো কতোটা পথ পাড়ি দিবো}

বছর খানেক আগে থেকে যখন ভাবতাম ভারত যাবো তখন দর্শনীয় স্খান বলতে চিনতাম'ই তাজ মহল, তাই তাজহল দেখতে আগ্রার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো সিদ্ধান্ত নিলাম, যদিও অনেক দূরের পথ পৌঁছাতে পায় ২৩-২৬ ঘন্টা সময় লাগবে, ঠিক তখনই মাথায় এলো আরেকটা ভাবনা - আমি যদি এই ২৪ ঘন্টার পথ কে দুই ভাগ করতে পারি অর্থাৎ শুধু রাতের সময়টা জার্নি করে পরের দিন কোনো একটা শহরে নেমে রাতে আবার যাত্রা করবো।
যেই ভাবা সেই কাজ- বাসের টিকেট নিলাম বিহারের রাজধানী 'পাটনা' যাওয়ার জন্য। স্লিপার কোচ এ উঠেই দিলাম ঘুম।

১৮/০৪/২০২৪ (বিহারের রাজধানী 'পাটনা')
সারা রাত জার্নির পর গঙ্গা নদীর তীরে এসে পৌঁছোলাম, প্রায় সকাল ১০টা নাগাদ পাটনায় নামলাম। তখনও জানি না এ শহরে কি দেখবো - কোথায় ঘুরবো। প্রথমে অনলাইনে দেখে নিলাম ট্রেন কখন পাবো আমার পরবর্তী গন্তব্যের জন্য, দুপুরের পরেই ট্রেন ছিলো, তাই হাতে সময় খুবই কম। তাই চলে গেলাম পাটনা রেলওয়ে জংশন এ, টিকেট কাটতে বিড়ম্বনা পোহাতে হলো। শেষ-মেশ টিকেট কেটে একটু স্বস্তি পেলাম। ৩ ঘন্টা পরেই ট্রেন, ফোনের চার্জও শেষের দিকে।
কাছাকাছি পাটনার কয়েকটি রাষ্ট্রীয় কার্যালয় আছে,ভাবলাম সেগুলোই দেখে আসি।
প্রথমে গিয়েছি পাটনা হার্ডিং পার্কে একটু হাটাহাটি করে সেখান থেকে চলে গেলাম 'পাটনা দেবী মন্দির' এর সামনে দিয়ে 'পাটনা জিপিও' তে পাশের 'পাটনা সড়ক ভবন', 'পাটনা নির্বাচন ভবন' এগুলোতে সময় ব্যায় করে চলে গেলাম 'পাটনা রেলওয়ে জংশন' এ- বিশাল-এ জংশন বিশাল কর্মযজ্ঞ, যাত্রীতে ঠাসা- ব্যস্ত, লোকারন্য জংশন। ষ্টেশনে বসে মোবাইর চার্জ করে নিলাম একটু বিশ্রামও হলো। ট্রেন আসার সময় হলো, প্ল্যাটফর্মে গিয়ে অপেক্ষা করলাম, আমার ট্রেন ছিলো 'কোটা এক্সপ্রেস', আসতেই চড়ে বসলাম, এসি বার্থ কামরা হওয়ায় কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় নি। আরাম করে বসে পড়লাম আমার সিটে, পাশেই চার্জিং পোর্ট ফোন চার্জও করে নেওয়া যাবে। পৌঁছাবো আগামীকাল ভোরে 'আগ্রা'। ট্রেনেই খাবার অর্ডার করে নিলাম, পরে খাবার খেয়ে আশ পাশের গ্রাম ও প্রকৃতি দেখতে দেখতে ট্রেণ ছুটছেই। এভাবেই বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা নামলো, দেখতে দেখতে রাত। প্রথমবারের মতো ট্রেণ এ বিছানা পেতে ঘুমানোর পালা। পরদিন ভোর ০৩:৩০ নাগাদ আগ্রা পৌঁছাবে এ ট্রেন, তাই ফোনে এলার্ম সেট করেই ঘুমিয়ে পড়লাম।

চলবে__

ভারত_ভ্রমণ২০২৪, পর্ব -৩১৫/০৪/২০২৪ (লাচুং, নর্থ সিক্কিম)সকালে ঘুম থেকে উঠেই জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখি কাঞ্চণজংঘা দেখ...
05/05/2024

ভারত_ভ্রমণ২০২৪, পর্ব -৩

১৫/০৪/২০২৪ (লাচুং, নর্থ সিক্কিম)
সকালে ঘুম থেকে উঠেই জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখি কাঞ্চণজংঘা দেখা যাচ্ছে - ঐ দূর পাহাড়ের চূড়ায় বরফ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো, সে এক অন্যরকম দৃশ্য।
বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে তৈরি হলাম লাচুং যাওয়ার জন্য (রাতেই কাপজ-পত্র মজা দিয়ে রেখেছিলাম পারমিট নেওয়ার জন্য), বাজরাং ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে জীপ এ করে যাত্রা শুরু করলাম ১ রাত ২ দিনের প্যাকেজে।
যাত্রা পথে নেমে ছিলাম সেভেন সিস্টার ওয়াটার ফল্সস এ তারপর নাগা ওয়াটার ফল্স। পাহাড়ী আকাঁ-বাঁকা, উঁচু-নিচু পথ ধরে সামনে এগিয়ে প্রায় ৮ ঘন্টা যাত্রার পর সন্ধ্যায় পৌঁছোলাম লাচুং এ, আজ রাতটা লাচুং এই থাকবো।

১৬/০৪/২০২৪ (জিরো পয়েন্ট, নর্থ সিক্কিম)
ভোর ৩:৩০ নাগাদ ঘুম ভেঙ্গে গেলো, ৪:৪০ এর দিকে হোটেল থেকে বের হওয়ার ট্রাই করলাম বাট এতো ভোরে মেইন ডোর বন্ধ ছিলো। আমার রুম ছিলো হোটেলের নিচ তলায়, জানালায় কোনো গ্রিল ছিলো না, অতপর বাহিরের ভোরের দৃশ্য মিস না করতে জানালা দিয়েই রুম থেকে বের হলাম। এতো ভোরে বাহিরে আমি ছাড়া এর কেউ'ই নেই পাশেই হিমালয় পর্বতমালা, ঠান্ডা হাওয়া বইছে। দু'একটা স্থানীয় বাড়ীতে আলো জ্বলছে তাছাড়া বাকি সবই বন্ধ।
রাস্তা ধরে বাহিরে হাটলাম ভোরের এই ভিউটা এতটাই অসাধারণ ছিলো যে চাইছিলাম ভোর না কাটুক, সকাল না হোক। রাস্তার পাশে জলধারা, অদূরেই হিমালয় পর্বত, উঁচু-নিচু রাস্তা এই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করা সম্ভব না। (এই পুরো ভ্রমণে আমার কাছে সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য ছিলো এই ভোরের সময়ের হিমালয়+ হিমালয় থেকে নেমে আসা পাথুরে জলধারা দৃশ্যটি)।
০৭ টা নাগাদ হোটেলে ফিরলাম, তখন বাকিরা সবে ঘুম থেকে উঠলো। নাস্তা সেরে জীপ নিয়ে রওনা হলাম যুমথাং এর উদ্দেশ্যে। পথে দারুন সব দৃশ্য উপভোগ করতে করতে সকাল ৯ টা নাগাদ পৌঁছে গেলাম যুমথাং ভ্যালি তে। প্রথম বারের মতো বরফের রাজ্যে পা রাখলাম, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
মহান আল্লাহর অসাধারণ সৃষ্টি, চোখ জুড়ানো সৌন্দর্যয।
কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আবার যাত্রা শুরু করলাম জিরো পয়েন্টের উদ্দেশ্য। অল্প সময়ের মধ্যেই বরফের রাস্তায় চলার পর পৌঁছে গেলাম জিরো পয়েন্ট। চারিদিকে বরফ উঁচু নিচু বরফের পাহাড়, সাদার সৌন্দর্যের সম্ভার। অনেকটা সময় বরফে খেলা করলাম, হাঁটলাম সৌন্দর্য অবলোকন করলাম।
এটি ছিলো ভয়ঙ্কর সুন্দর। ভয়ঙ্কর এই কারণে যে: এটি ছিলো সমুদ্র পৃষ্ট থেকে প্রায় ১৫,০০০ ফিট উপরে যার দরুন অক্সিজেন সঙ্কট ছিলো সেখানে, আশপাশের অনেকেই শ্বাস নিতে না পেরে হাসপাস করছিলো। অনেকেই সাথে করে ৫০০মিলি এর অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে গিয়েছিলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝড়ো হাওয়া শুরু হলো, তখন শ্বাসের সমস্যা আরো বেড়ে গেলো, আমাদের টিমেরও কয়েকজনের সমস্যা হচ্ছিলো তাই আমরা দ্রুত জীপ নিয়ে ফিরে যাওয়ার জন্য রওনা হলাম (আলহামদুলিল্লাহ আমি সুস্থ্য এবং স্বাভাবিক ছিলাম, তবে হ্যাঁ অক্সিজেন সল্পতাটা টের পাচ্ছিলাম) । যাওয়ার পথে যেই অসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে গিয়েছিলাম তা মুহূর্তেই বদলে গেলো ঝড়ো হাওয়া, কুয়াশা আর তুষার কণায় ঢেকে গেলো চারপাশ। সামনের রাস্তাও দেখা যাচ্ছিলো না। খুব সাবধানে ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আর আমাদের বলছে যে যেহেতু এখানে আবহাওয়ার এই অবস্থা তার মানে নিচে (গ্যাংটকের দিকে) প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে, তাই আমাদের কে দ্রুত ফিরতে হবে। কারণ: অনেক স্খানে পাহাড়ী রাস্তা এবং ব্রীজ নির্মানের কাজ চলছে - কোথাও যদি পাহাড় কিংবা পাথর ধস হয় তাহলে লম্বা সময়ের জন্য আটকা পড়তে হবে।
অতপর লাচুং এ পৌঁছে দুপুরের খাবার খেয়ে সামনের লম্বা পাহাড়ী পথ পাড়ি দিয়ে আমার পাহাড়ের নিচের দিবে নামতে শুরু করলাম যতই নিচে যাচ্ছি ততই বৃষ্টির তীব্রতা দেখছি (ড্রাইভার এর কথাই ঠিক ঠাক মিলছে)। শেষ-মেশ সেই বিপদজনক পাহাড়ী রাস্তা (পাহাড় ধসের সম্ভাব্য স্থান) পার হয়ে সামনে এগিয়ে গেলাম, মূষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে আমাদের গাড়িও এগিয়ে চলেছে পাহাড়ী পথে। অবশেষে লম্বা একটা ধকল শেষে সন্ধ্যার পর গ্যাংটক এ পৌঁছোলাম। আমি সরাসরি রাতের খাবার সেরে হোটেলে ফিরলাম। এই লম্বা জার্নির পর এবার বিশ্রাম নেওয়ার পালা। বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘুমে আচ্ছন্ন হলাম।

চলবে__

ভারত_ভ্রমণ২০২৪, পর্ব -২দীর্ঘ চার মাস ভারতীয় ভিসার জন্য অপেক্ষার পর ২০২৪ এর ঈদ উল ফিতরের আগেই ভিসা হাতে পেলাম।একে তো অনেক...
04/05/2024

ভারত_ভ্রমণ২০২৪, পর্ব -২

দীর্ঘ চার মাস ভারতীয় ভিসার জন্য অপেক্ষার পর ২০২৪ এর ঈদ উল ফিতরের আগেই ভিসা হাতে পেলাম।
একে তো অনেক দিনের অপেক্ষা তার উপর ঈদ, কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই ঈদেই রওনা হলাম ভারতের উদ্দেশ্যে (ইতোপূর্বে দেশে একাকী অনেক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থাকায় পরিকল্পনা ছাড়াই বেরিয়ে পড়ি )।

১১/০৪/২০২৪ (ঢাকা)
ঈদ উল ফিতরের দিন রাতেই ঢাকা থেকে বাসে করে যাত্রা শুরু করি গন্তব্য চুয়াডাঙ্গার দর্শনা। (যদিও আমার ভিসায় চ্যাংড়াবান্ধা পোর্ট ছিলো, কোলকাতা যাওয়ার আগ্রহ থাকায় দর্শনা বর্ডার দিয়েই প্রবেশ করলাম)

১২/০৪/২০২৪ (পশ্চিম বঙ্গ)
ভোরে দর্শনা পৌঁছোলাম, দিনের আলো ফোটার পর ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজ শেষ করে ভারতের গেদে বর্ডারে প্রবেশ করলাম সেখানে সব কাজ করে গেদে ষ্টেশন থেকেই টাকা কে রুপি'তে কনভার্ট করে নিলাম (কারণ বর্ডারেই রুপি রেট ভালো পাওয়া যায়)। তারপর গেদে থেকে লোকান ট্রেন এ ৩ ঘন্টা যাত্রা করে পৌঁছে গেলাম কোলকাতার শিয়ালদহ ষ্টেশনে। পরবর্তী গন্তব্য ছিলো শিলিগুড়ি। আগাম পরিকল্পনা না থাকায় অগ্রিম ট্রেন এর টিকেট করা হয়নি। ষ্টেশন থেকে কোনো টিকেট পেলাম না। কোলকাতার ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে শ্যামলী স্লিপার এর টিকেট করে নিলাম সন্ধ্যার জন্য। সারাদিন নিউ মার্কেট, মার্কিউস স্ট্রিট ও এর আশপাশে সময় কাটিয়ে সন্ধ্যায় বাসে উঠলাম। সামনে লম্বা একটা পথ পাড়ি দিতে হবে।

১৩/০৪/২০২৪ (গ্যাংটক, সিক্কিম)
দীর্ঘ ১২ ঘন্টা জার্নি শেষে শিলিগুড়িতে নামলাম। পরের গন্তব্য সিক্কিম এর গ্যাংটক। শেয়ার জীপ এর জন্য স্ট্যান্ডে গিয়ে শুনি মেইন রোড বন্ধ থাকায় গাড়ি বিকল্প পথ দিয়ে যাবে সময় এবং খরচ দুটোই দ্বিগুণ। অগত্যা চড়ে বসলাম জীপ এ। ৩-৪ ঘন্টার পথ পাক্কা ৮ ঘন্টা জার্নি করে পাহাড়ী উঁচু-নিচু পথ ধরে দার্জিলিং এর কোল ঘেষে চা বাগান আর পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে সন্ধ্যার আগেই পৌঁছে গেলাম গ্যাংটক। (পথে র্যাংপো চেকপোস্টে বাংলাদেশীদেরকে পাসপোর্ট + ভিসা + নিজের এক কপি ছবি জমা দিয়ে আলাদা একটি পারমিট নিতে হয় এবং পাসপোর্টে এন্ট্রি সিল নিতে হয়)। গ্যাংটক এ বাংলাদেশী একটা টীমের সাথে এড হয়ে হোটেল নিয়ে বিশ্রাম নিলাম। রাতে বের হয়ে গ্যাংটক শহরের সৌন্দর্য অবলোকন করছিলাম, হঠাৎ ই নামলো ঝুম বৃষ্টি। গ্যাংটক এর আবহাওয়া পুরাই আকষ্মিক, এই ঠান্ডা তো এই বৃষ্টি, এই রোদ তো এই ঠান্ডা হাওয়া । শহরটা দারুন গুছানো, যেমন পরিষ্কার-পরিছন্ন, পরিপাটি তেমনি পরিকল্পিত নগরায়ন। পাহাড়েও যে এমন অসাধারণ শহর গড়ে তোলা সম্ভব তা এ শহরকে না দেখলে বুঝতেই পারতাম না। রাত কেটে গেলো বৃষ্টি আর শীতল হাওয়ায়।

১৪/০৪/২০২৪ (গ্যাংটক, সিক্কিম)
আজ যাওয়ার কথা ছিলো যুমথাং ভ্যালি এর দিকে। বাধলো আরেক বিপত্তি সিক্কিম এ নির্বাচন ১৯ এপ্রিল, তাই নির্বাচনী প্রচারণা এবং নানান কাজে বেশিরভাগ জীপ রিজার্ভ করা ছিলো। আজকে কোনো প্যাকেজ ই পেলাম না। তাই আজ আর যাওয়া হবে না যুমথাং ভ্যালি এর দিকে। তাই আজ গ্যাংটক শহরের আশপাশ টা দেখার সুযোগ হলো প্রথমেই রোপওয়ে (জীপ কার) এ চড়ে উপর থেকে এই সাজানো শহরটাকে দেখলাম, এ এক দারুন অভিজ্ঞতা। তারপর গিয়েছিলাম বাকথাং ঝর্ণায়। সেখান থেকে গুংযম মনেস্ট্রি, এখান থেকে পুরো শহরটা ভালো ভাবে দেখা যায়, খুবই সুন্দর একটি স্থান, এখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে পাশের তিশা ভিউ পয়েন্টে গেলাম। তারপর সন্ধ্যায় ফিরে গেলাম গ্যাংটক শহরে। পরদিনের জন্য যুমথাং ভ্যালিং প্যাকেজ ঠিক করে নিলাম। রাতটা শহরের অলি-গলি ঘুরে সময় কাটালাম। রাতে ভালো ঘুম হলো ।

চলবে --

ভারত_ভ্রমণ২০২৪, পর্ব- ১২০১৭ থেকে একা ভ্রমণ করা শুরু করি। পর্যায়ক্রমে দেশের নানান প্রান্তে এবং দর্শনীয় স্খানে ভ্রমণ করার ...
03/05/2024

ভারত_ভ্রমণ২০২৪, পর্ব- ১

২০১৭ থেকে একা ভ্রমণ করা শুরু করি। পর্যায়ক্রমে দেশের নানান প্রান্তে এবং দর্শনীয় স্খানে ভ্রমণ করার সুযোগ হয়েছে। যখন এসএসসি শেষ করি তখন থেকেই মনে লালন করছিলাম - কবে দেশের বাহিরে একটা ট্যুর দিতে পারবো। তখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু।
কয়েক বছরের মধ্যেই পাসপোর্ট করে নিলাম। তারও প্রায় দুই বছর পর অর্থাৎ এই ২০২৪ এ এসে দেশের বাহিরে ভ্রমণের ইচ্ছা পূরণ হলো।

দেশের বাহিরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী বেশিরভাগ ভ্রমণ পিপাসুদের প্রথম পছন্দ হচ্ছে 'ভারত' , এর প্রধান কারণ হলো যাতায়াত সুবিধা এবং খরচ কম।

গত নভেম্বর ২০২৩ এ ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করি, দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর এপ্রিল ২০২৪ এ ভারতীয় ভিসা পাই (যদিও একটু দ্বিধায় ছিলাম ভিসা পাবো কি-না)।

আমার ভারতীয় ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার, চট্টগ্রাম হওয়ায় সময় বেশি লেগেছিলো। এই দীর্ঘ ০৪ মাস অপেক্ষার মধ্যে আশা ছেড়ে দিয়ে ভ্রমণের জন্য কোনো পরিকল্পনাই করা হয়ে উঠে নি। শেষ মেষ এপ্রিল ২০২৪ এর প্রথম সপ্তাহে ভিসা হাতে পেয়েই ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিই ।

(আগে নিজের দেশ ভ্রমণ করুন, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করুন)।

চলবে --

#ভারত_ভ্রমণ২০২৪

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Traveling Thoughts with Akbor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Travel Agency?

Share