10/11/2018
মিসর সভ্যতার ইতিহাস ১ম পর্ব
যখন থেকে মানুষ তাদের ক্রিয়াকলাপ সংরক্ষণ শুরুকরে তখন থেকেই মূলত মানব সভ্যতার ইতিহাস পাওয়া সম্ভব । আর এ দিকদিয়ে মিসর থেকে পুরনো মানব সভ্যতার ইতিহাস পৃথিবীর অন্য কোথাও নাই ।
মিসরের প্রতিটি অঞ্চলে ই ছড়িয়ে আছে হাজার বছরের মানব সভ্যতার ইতিহাস । এ পর্যন্ত যা আবিষ্কৃত হয়েছে তা থেকে জানা যায় । প্রায় 5000 বছর আগে মিশর ছিল সম্পূর্ণরূপে পৃথক দুটি রাজ্য, উঁচু অঞ্চল মিসর এবং নিচু অঞ্চল মিসর ।
প্রায় 3200 খ্রিস্টপূর্বাব্দে রাজা নারমের মেনাস Narmer (Menes) প্রথম বারের মত মিশরকে একত্রিত করেন , এর পরে তৃতীয় রাজবংশের জোসার, সাক্কারায় স্তম্ভ পিরামিড নির্মাণ করেন এবং পরে চতুর্থ রাজবংশ খফুর (চেওপ), খাফে (চেফেন) এবং মেনকারের (মেসারিন) তিনটি পিরামিড এবং গিজাতে স্প্রিনস মুরতি তৈরি করেন। এ সব রাজবংশের রাজত্য়ের শেষের দিকে শাসন ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে । প্রদেশিক গভর্নরগন মিসরের বিভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন , রাজবংশের শাসন বিলুপ্ত হয়ে যায় । পরবর্তীতে বিশৃঙ্খলা, খরা,ও মহামারিতে মিসর দীর্ঘ সময়ের জন্য অন্ধকার যুগে প্রবেশ করে ।
প্রায় 100 বছর সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল ছিল মিসর , দুই ভাগে বিভক্ত উচ্চ মিশরের রাজা এবং লোয়ার মিশরের রাজা। অবশেষে রাজা আমেনহাওতেব 11 তম রাজবংশের রাজা মিসরকে আবার একত্রিত করেন, নতুন রাজ্য গড়েন মিডিল কিংডম ।
কিন্তু এ মিডিল কিংডম 11 তম এবং 1২ তম রাজবংশের মাধ্যমে প্রায় ৩৫০ বছর ধরে চলে যার শেষ রাজা ছিলেন Sobekneferu তাঁর মৃত্যুর পর মিসরে আবার বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
আর এভাবে অনেক সময় অতিবাহিত হয় মিসর দুইভাগে বিভক্ত থাকে তখনকার শাসকরা মিসরীয় ছিলনা তাঁরা নিজেরা নিজেদের রাজ্যকে শক্তিশালী করতে থাকে একে অন্যের উপর প্রধান্য বিস্তারের জন্য , যার দরুন মিসরি সৈন্যবাহিনী অনেক শক্তিশালী হয় এবং মিসরের সিমানা বহুদুর বিস্তৃত হয় ।
মিশর এখন একটি শক্তিশালী সাম্রাজ্য, প্রায় সব প্রতিবেশীরাই ভয় পায় নেতৃস্থানীয় মিশরীয় কিংরা এখন ওয়ারিয়র কিং । এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রা হল , হিটসেপসট, থুতমোজ, রামসেস ২ এবং রামসেস তৃতীয়।