Unofficial: Bogra Local Guides

Unofficial: Bogra Local Guides বগুড়ার ঐতিহাসিক স্থান, স্থাপনা, শিল্প

উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র আমাদের এই বগুড়া জিলা। এটি যেমন আমাদের প্রানের শহর তেমনি ইতিহাসেরো শহর।

বাংলার জন্মের আগ থেকেই এটি বিশ্বনন্দিত নগরী, এর আদি নাম পুন্ড্রনগর। ৫২০ বছরেরো বেশি বয়স নিয়ে এখনো আমাদের নগর। আমাদের সামনে এখন আগত আমাদের জিলার ২০০ বছরের পূর্তি একে কেন্দ্র করে আমরাই পারি কিছু একটা করতে!!!


আসুন বিশ্বদরবারে আমরা আমাদের ইতিহাস তুলে ধরি আর প্রমান করি আমারাও কোন অংশে কম নই।

"‌মৃৎ এর সৃষ্ট মানব সকল,‌মাটিতেই তাদের আবাসন।‌মৃৎ দিয়েই তারা পূর্ণ করে,‌নিজেদের সকল প্রয়োজন।"মৃৎ শিল্পের কারিগরদেরকে আমর...
30/08/2023

"‌মৃৎ এর সৃষ্ট মানব সকল,
‌মাটিতেই তাদের আবাসন।
‌মৃৎ দিয়েই তারা পূর্ণ করে,
‌নিজেদের সকল প্রয়োজন।"

মৃৎ শিল্পের কারিগরদেরকে আমরা কুমার বলে জানি। তাদের কাজ মাটির হলেও তারা যে ধাচে তাদের কাজগুলো করে থাকে তা দেখে আমরা অনেক আশ্চার্যনিত হই। নরম কাঁদা মাটিকে তারা নিজেদের ইচ্ছে মতন আকার দিয়ে নানান রকম জিনিষ তৈরি করেন আর সেগুলো বিক্রি করেই তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

সৈয়দ আহম্মদ কলেজ বগুড়া জেলা সদর থেকে প্রায় ১৭-১৮ কিলোমিটার উত্তরে গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর এলাকায় অবস্থিত। প্রায় ১৫ একর...
01/02/2022

সৈয়দ আহম্মদ কলেজ বগুড়া জেলা সদর থেকে প্রায় ১৭-১৮ কিলোমিটার উত্তরে গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর এলাকায় অবস্থিত। প্রায় ১৫ একর (৪৪ বিঘা) জমি জুড়ে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজ।

বর্তমানে কলেজটিতে ১৫টি বিষয়ে অনার্স ও ৭টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। এ ছাড়াও আরও ২টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু প্রক্রিয়াধীন। কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, বিএম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি ও ডিগ্রী কোর্স চালু রয়েছে।

কলেজটিতে প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। ছাত্র-ছাত্রী পরিবহনে ২২টি বাস ও ২টি মাইক্রোবাস রয়েছে। ছায়াঘেরা মনোরম পরিবেশ ও রাজনীতি মুক্ত এ কলেজটি উত্তরবঙ্গের বেসরকারি কলেজগুলোর মধ্যে অন্যতম। কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা ২টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং স্কোরে কলেজটি রাজশাহী বিভাগে পরপর তিনবার ৫ম স্থানে রয়েছে। এ ছাড়াও কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (সিইডিপি) প্রকল্পে এ গ্রেডের কলেজে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যেই কলেজটি মডেল কলেজের তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও বর্তমানে উপদেষ্টা আলহাজ্ব নজবুল হক জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুদানে প্রথমে কলেজটি প্রতিষ্ঠার শুভ সূচনা করা হয়েছিল। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলেই কলেজটি সরকারি করা হলে গ্রাম-গঞ্জের খেটে খাওয়া অভাবী মানুষদের সন্তানেরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে।

এ বিষয়ে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুজ্জামান জানান, বর্তমান সরকার শিক্ষা সহায়ক সরকার। রাজশাহী বিভাগের সর্ববৃহৎ সংশ্লিষ্ট কলেজটি সরকারিকরণ করা হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। এতে করে সরকারের ক্ষতি না হয়ে বরং লাভই হবে।

বগুড়া জেলার অন্তর্গত শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথা থেকে প্রায় ৪ কিঃমিঃ দক্ষিণে বনানী মোড়ে বগুড়া পুলিশ লাইন্স ও জাহাঙ্গীর...
29/01/2022

বগুড়া জেলার অন্তর্গত শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথা থেকে প্রায় ৪ কিঃমিঃ দক্ষিণে বনানী মোড়ে বগুড়া পুলিশ লাইন্স ও জাহাঙ্গীরবাদ সেনানিবাসের ও বগুড়া পর্যটন মোটেল নিকটবর্তী ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত করতোয়া নদীর তীরে শহরের কোলাহলমুক্ত এক মনোরম ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ অবস্থিত।

এতদাঞ্চলে উচ্চ শিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মোকাবেলা করার জন্য জনগণের তরফ থেকে বগুড়ায় একটি উন্নতমানের ডিগ্রী কলেজ স্থাপনের যে প্রশ্ন ওঠে তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের পহেলা জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ।
এই কলেজের দক্ষিণে সুলতানগন্ঞ্জ হাটে পূণ্যভূমি মহাস্থানে শায়িত পীরে কামেল হযরত শাহ্ সুলতান মাহমুদ বলখী মাহী সওয়ার সাহেবের পবিত্র একটি খানকা থাকায় তার পবিত্র স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনে কলেজটির এ নামকরণ করা হয়।

সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১লা নভেম্বর জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে এ কলেজে ৭টি বিষয়ে মাস্টার্স, ১৪টি বিষয়ে অনার্স সহ উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রী পাস কোর্স চালু রয়েছে। কলেজে মোট ২০টি বিষয়ে ক্যাডারভুক্ত ৬৩ জনের অধিক সংখ্যক অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠু সুন্দরভাবে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করছেন।

★বৈরাগীর ভিটা★বৈরাগীর ভিটা বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজশাহীতে অবস্থিত একটি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি করতোয়া নদীর ব...
25/12/2017

★বৈরাগীর ভিটা★

বৈরাগীর ভিটা বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজশাহীতে
অবস্থিত একটি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি করতোয়া নদীর বাঁকে মহাস্থান দুর্গনগরীর দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। ১৯২৮-২৯ সালে খনন করা বৈরাগীর ভিটায় দুটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশ-ফ্রান্স যৌথ উদ্যোগে পুনরায় খনন কাজ পরিচালনা করে আসছে।
এই স্থানটি একটি পুরাতন রাজাবাড়ি ছিল বলে ধারণা করা হয়। অনুমান করা হয় রাজা কর্তৃক মুনি, ঋষি বা বৈরাগীর সেবা করা হত বলে স্থানটি নাম বৈরাগীর ভিটা নামে পরিচিত।

মহাস্থানগড় দুর্গ নগরীর প্রাচীরের দক্ষিণে অবস্থিত বৈরাগীর ভিটায় প্রত্নতাত্ত্বিক খনন চালিয়ে পাল আমলের প্রাথমিক ও শেষ যুগের দুটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে। মন্দির দুটির উত্তরে উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে আরও কিছু স্থাপত্যকর্ম পাওয়া যায়। প্রাথমিক পাল যুগের মন্দিরটির ভিত্তি প্রাচীর উত্তর দিকে ২৯.৮৭ মিটার ও পূর্ব দিকে ১২.৮ মিটার। প্রাচীরটি মোল্ডেড ব্যান্ড দ্বারা অলঙ্কৃত। এর দক্ষিণ দিকে অপর মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরটিকে উত্তর থেকে দক্ষিনে প্রবাহমান একটি নালা বিভক্ত করেছে। নালাটির একটি অংশ ইট দিয়ে নির্মিত ও আরেকটি অংশ প্রাথমিক গুপ্ত আমলের কালো কষ্টি পাথর দিয়ে নির্মিত।

দ্বিতীয় পাল যুগের মন্দিরটি আগেরটি অপেক্ষা বৃহত্তর এবং আয়তাকৃতির (৩৩.৮৩ মি × ১৩.৩৭ মি)। ধ্বংসাবশেষ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার জন্য এর স্থাপত্যশৈলী স্পষ্ট নয়। মন্দিরের পূর্ব দিকে একটি মঞ্চের ধ্বংসাবশেষ আবিস্কৃত হয়, যাতে ২৩টি কামরার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এছাড়া এই স্থানে লুকিয়ে থাকা গভীর গর্তে পাল যুগের কাঠামো ও তার পূর্ববর্তী গুপ্ত যুগের ধ্বংসাবশেষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ২০১৪ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন করে ২১০০ বছর আগের তিনটি পাতকুয়া আবিস্কার করা হয়।

এ প্রত্নস্থলে আবিস্কৃত অন্যান্য প্রত্নবস্তুর মধ্যে মাছ ধরার জালে ব্যবহারের জন্য তৈরি পোড়া মাটির বল, মাটির বদনা, ভাঙা পাত্রের অংশবিশেষ, গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহার্য কিছু সামগ্রী, ফুলাংকিত ও পিরামিড আকারের নকশা করা ইট উল্লেখযোগ্য।

মোহাইমিনুল ইসলাম প্রিন্স
মডারেটর
"বগুড়া লোকাল গাইডস"
01718189158

Member registration form.

14/12/2017

আপডেট : ১৭ জুন, ২০১৭ ১৪:৩৬
অ্যাপলকে হারিয়ে আবারও বিশ্বসেরা ব্র্যান্ড গুগল

বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডের তালিকায় এবারও প্রথম হয়েছে গুগল। এ তালিকায় বেশ কয়েক বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার করছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। গতবারের মতো এবারও ব্র্যান্ড র‌্যাংকিংয়ের প্রথম স্থানটি দখল করেছে গুগল।
ব্র্যান্ডস গ্লোবাল র‌্যাংকিং ২০১৭ অনুসারে গুগল দ্বিতীয়বারের মতো অ্যাপলকে হারিয়ে শীর্ষ স্থানে নাম লিখিয়েছে। গুগলের জন্য অবশ্য তা মোটেই সহজ ছিল না। কারণ ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টানা ছয় বছর ধরে অ্যাপলের দখলে ছিল শীর্ষস্থান।
অ্যাপলের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালে, প্রথম স্থান থেকে চলে আসে দ্বিতীয় স্থানে। আর এ বছরও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকতে হচ্ছে অ্যাপলকে।
এ বিষয়ে পর্যালোচনা চালিয়েছে কান্টার মিলওয়ার্ড ব্রাউন নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তাদের মতে, গতবারের তুলনায় ৩ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে অ্যাপলের ব্র্যান্ড মূল্য ২৩ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার। অপরদিকে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রথম স্থানে থাকা গুগলের ব্র্যান্ড মূল্য ২৪ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার।
অ্যাপলের এই অবস্থার কারণ কি অ্যাপল পণ্যের প্রতি গ্রাহকের আগ্রহ কমে যাওয়া? অপরদিকে কেনই-বা গুগলের প্রতি আগ্রহ হঠাৎ করে বেড়ে গেল? অ্যাপলের ক্ষেত্রে প্রশ্নের জবাব দেওয়াটা কঠিন হতে পারে। তবে চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি প্রযুক্তি এবং ভবিষ্যতে ঘরে ব্যবহারের উন্নত প্রযুক্তি হয়তো গুগলকে এগিয়ে রেখেছে।
(সংগ্রহিত)

08/12/2017

সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার আমাদের বগুড়ার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যাপীঠ সরকারি আজিজুল হক কলেজ উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যানিকেতন। এটির অাচার্য স্যার অাঃ হামিদ এটি ১৯৩৯ সালে নির্মিত এখানে ৫০০০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করে। 

স্যার আজিজুল হক ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুরে জন্মগ্রহন করেন। শান্তিপুর মুসলিম ইংরেজি হাইস্কুল থেকে তিনি ১৯০৭ সালে প্রবেশিকা কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০১ সালে এফ.এ ও ১৯১১ সালে ডিস্টিংশনসহ বি.এ এবং কলিকাতা ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯১৪ সালে বি.এল ডিগ্রী অর্জন করেন।

স্যার অাজিজুল হক বঙ্গীয় ব্যাবস্হাপক সভার সদস্য (১৯২৬,১৯২৯ ও ১৯৩৭) ও স্পিকার (১৯৩৭-১৯৪২), কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (১৯৩৮-১৯৪২) এবং বাংলা সরকারের শিক্ষামন্ত্রী (১৯৩৪) ছিলেন স্যার আজিজুল হক কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন এই কলেজ অধিভুক্তি লাভ করায় বগুড়াবাসী তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এই কলেজের নামকরন করেন আজিজুল হক কলেজ।

তিনি ১৯২৬ সালে খান বাহাদুর, ১৯৩৭ সালে সার্টিফায়িড এ্যাসোসিয়েশন অব এগজিকিউটিভ এবং ১৯৩৯ সালে নাইট উপাধি পান। ১৯৪২ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডি,লিট উপাধি প্রদান করেন।

স্যার আজিজুল হকের দেওয়ালে অঙ্কিত ছবি আমাদের কলেজ চত্বরে রয়েছে যা ২০১৪ সালে স্হাপিত হয়। অত্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাস এটির উদ্ধোধন করেন।

মোহাইমিনুল ইসলাম প্রিন্স
মডারেটর
"বগুড়া লোকাল গাইডস"

30/11/2017

★★★যোগীর ভবন মন্দির★★★

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় অবস্থিত একটি মন্দির। এটি প্রায় ৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয়েছিলো বলে ধারনা করা হয়।

কাহালু উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিঃমিঃ উত্তরে পাইকড় ইউনিয়নে এটি অবস্থিত। এর অবস্থান মহাস্থানগড় এর ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।
জনশ্রুতি আছে এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যোগী ও সাধু-সন্নাসীদের যাতায়াত ছিল বলে এ স্থানটির নামকরণ ‘‘যোগীর ভবন’’ রাখা হয়েছিল।

জায়গাটি প্রায় আশি একর ভূমি জুড়ে বিস্তৃত। এর সমগ্র ভবনসমূহের এলাকা প্রাচীর বেষ্টিত এবং একটি বিভাজক দেওয়াল দ্বারা দুভাগে বিভক্ত। এখানে একটি আশ্রম, ০৪ টি মন্দির, কানচ কূপ, একটি ইঁদারা, ধর্মটঙ্গী এবং অগ্নিকুন্ড ঘর রয়েছে। চারটি মন্দিরের নাম হচ্ছে সর্বমঙ্গলা, দুর্গা, কালভৈরবী এবং গোরক্ষনাথ। এর মাঝে সর্বমঙ্গলা মন্দিরটি নকশাকৃত ইট ও পোড়ামাটির ফলক দ্বারা ব্যাপকভাবে অলঙ্কৃত। যোগীর ভবনের আশ্রম ও মন্দির নির্মানের তেমন কোন নির্দিস্ট তথ্য পাওয়া যায় না। তবে এখানকার বিভিন্ন দেয়ালের গায়ে লেখা থেকে অনুমান করা যায় যে এটি ৮৮৪ সালের দিকে নির্মিত হয়েছিল। জনশ্রুতি আছে বাংলার কিংবদন্তী নায়িকা বেহুলার মৃত স্বামী লক্ষীন্দর এখানকার কানচ কূপের পানির মাধ্যমে জীবন ফিরে পেয়েছিল। এর বাস্তব ইতিহাস না পাওয়া গেলেও অনেকেই এটি বিশ্বাস করেন।

মোহাইমিনুল ইসলাম প্রিন্স
মডারেটর
"বগুড়া লোকাল গাইডস"
01718189158

30/11/2017

★বগুড়া সদর উপজেলার পটভূমি ও ভৌগলিক অবস্থান★

বগুড়া বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি জেলা। ২০১৬ সালে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষনাকৃত এ জেলাটি রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত। বগুড়াকে উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার বলা হয়। ইহা শিল্পের শহর নামেও পরিচিত। এখানে ছোট এবং মাঝারি ধরনের শিল্প কারখানা রয়েছে। বগুড়া জেলায় প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস রয়েছে।

৮৮.৫০ ডিগ্রী পূর্ব থেকে ৮৮.৯৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এবং ২৪.৩২ ডিগ্রী উত্তর থেকে ২৫.০৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে বগুড়া সদর উপজেলা অবস্থিত। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে প্রবেশদার এক ঐতিহ্যবাহি প্রাচীন জনপদ বগুড়া। প্রাচীন পুন্ড্র রাজ্যের রাজধানী পুন্ড্রবর্ধন হচ্ছে বগুড়া। বগুড়া এর উত্তরে-শিবগঞ্জ, দক্ষিণে-শাজাহানপুর, পূর্ব-গাবতলি এবং পশ্চিমে- কাহালু উপজেলা।

উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত বগুড়া সদর উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বিশ্বরোড নামক প্রশস্ত সড়ক। বাংলাদেশের একমাত্র ফাউন্ড্রি শিল্পখ্যাত বগুড়া সদর উপজেলা। ফাউন্ড্রি শিল্পের পাশাপাশি বর্জ্য তুলা, ঝুট কাপড়, সাবান, বেডসীট মশারী কাপড়, জুট মিলস, পেপার মিলস, ফিড মিলস, সিমেন্ট কারখানা, পোল্ট্রিশিল্প সহ এগ্রো বেসড্ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ সব শিল্প প্রতিষ্ঠান হতে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন হয়। যা অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ভারত, নেপাল, মালোয়েশিয়া, কানাডা সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তান্তি বাজারে প্রবেশ করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

এ উপজেলায় মহাসড়কের দু’পাশে অবস্থান করছে প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত বগুড়া সদর উপজেলার গ্রামগুলো। উপজেলাটি খাদ্য শস্য ও শাকসবজি উৎপাদনের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত। এ জনপদের জনসাধারণের বহুদিনের আশা-আকাংখার প্রতিক শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, শহীদ চাঁন্দু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম, জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী, এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ অন্যতম নারী সংগঠন পরবর্তীতে এনজিও হিসাবে পরিচিত ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) এর সদর দপ্তর এ উপজেলার মধ্যে অবস্থিত।

এছাড়া, গোকুল ইউনিয়নে মেধ নামক স্থানে ঐতিহাসিক বেহুলা - লক্ষিনদরের বাসর ঘর, চাঁদমুহা, হরিপুর-সাহার বিল এলাকায় চাঁদ সওদাগরের বসতবাড়ি, নামুজা ইউনিয়নের চিংগাসপুরে পদ্মাদেবীর বাড়ি, লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের রায়-মাঝিড়ায় কালু গাজীর কোর্ট এবং নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদিঘী এবতেদায়ী মাদ্রাসা সংলগ্ন, সাপের ওঝাঁ ধনান্তরীর বাড়ি অবস্থিত। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন, নবাববাড়ি যা বর্তমানে প্যালেস মিউজিয়াম ও কারুপল্লী নামে বহুল পরিচিত। ঐতিহাসিক আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ ও বগুড়ার উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি যা ১৮৫৪ সালে স্থাপিত হয়েছে। উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি সংলগ্ন স্থানে বৃটেনের রাজ পরিবারের সদস্য এ্যাডওয়ার্ড সপ্তম জজ এর একটি প্রাচীন ভাস্কর্য রয়েছে।
বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদৎ বরণকারি দেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট ৭জন বীরশ্রেষ্ট সম্মানের অধিকারী স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনা উলেখ্যযোগ্য।

উত্তরবঙ্গে সর্বপ্রথম আমত্মর্জাতিক মানের চার তারকা হোটেল নাজ গার্ডেন এবং শিশুদের চিত্তবিনোদনের স্থান ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক সদর উপজেলাতেই অবস্থিত। এ উপজেলায় পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী জনাব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী চৌধূরী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক রোমেনা আফাজ, এম.আর আকতার মুকুল, বি.এম ইলিয়াস, ভাষা সৈনিক গাজীউল হক, পল্লী কবি রোস্তম আলী কর্ণপুরী, কণ্ঠশিল্পি আঞ্জুমান আরা জম্ম গ্রহণ করেছেন।

সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন বগড়াগণ ১২৭৯ থেকে ১২৮২ পর্যন্ত এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তার নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছে বগড়া বা বগুড়া।

মোহাইমিনুল ইসলাম প্রিন্স
মডারেটর
"বগুড়া লোকাল গাইডস"

23/08/2017

★★বাঙ্গালী নদী★★

বগুড়া জেলা দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোর মধ্যে বাঙ্গালী সম্ভবত সবচেয়ে দীর্ঘ এবং করতোয়া ও আত্রাই নদীর পূর্ব পার্শ্বে এর অবস্থান। এটি নীলফামারী জেলার কতিপয় ক্ষুদ্র প্রকৃতির খাল/জলাশয় থেকে বের হয়ে সৈয়দপুর থানার নিম্নভূমি অতিক্রম করে সাধারণ নদীখাতরূপে রংপুর জেলার পূর্ব দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দপুর থানার কাটাখালী স্রোতধারাটি বাঙ্গালী নামে দক্ষিণ পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকে। গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানা থেকে দুটি জল স্রোতধারা বগুড়া জেলার সোনাতলা থানাস্থ বিসুর পাড়া ও বিশ্বনাথপুর মৌজাদ্বয় দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে যথাক্রমে কামারপাড়া, রংবার পাড়া, নামাজখালি, শিকারপাড়া পর্যন্ত এসে২ ভাগে বিভক্ত হয় এবং একটি শাখা পশ্চিম দিকের শিকারপাড়া, হলদিয়াবাগ মৌজা ঘুরে পুনরায় মূল ধারার সংগে মিশে যায় এবং মূল শাখাটি নামাজখালি অতিক্রমপূর্বক সারিয়াকান্দি থানাস্থ সাতবেকী ঘুরে আবার সোনাতলা থানার হলদিয়াবাগে মিলিত হয়ে মিলিত ধারা পুনরায় সারিয়াকান্দি থানার শ্যামপুর হয়ে আবার সোনাতলা থানার সারজানপাড়া ও বয়রা হয়ে পুনরায় সারিয়াকান্দি থানার খামারবালালি, বারুরবাড়ি ও নারচি পর্যন্ত অগ্রসর হয়।

এখানে ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে ১টি শাখা পশ্চিমে ফুলবাড়ি হয়ে গাবতলী থানার দুর্গাহাটা ইউনিয়নস্থ দুর্গাহাটা সিলন্দাবাড়ি এবং ২য়টি ফুলবাড়ি মৌজার পূর্ব প্রান্ত দিয়ে গাবতলী থানার বালিয়াদিঘি ইউনিয়নের বালিয়াদিঘি, কালাইহাটা এবং ৩য় বা মূল শাখাটি দক্ষিণে ধুনট থানার গোসাইবাড়ি, পাইকপাড়া, ছাগলধারা, দেবডাঙা, বড়াইডান্ডি, ডোমকান্দি, দক্ষিণ বাশহাটা, ভেলাবাড়ি হয়ে আবার সারিয়াকান্দি থানার দক্ষিণে জোড়গাছা হয়ে ধুনট থানার দুই দিক দিয়ে প্রবেশ করে।

১টি শাখা নিমগাছি ইউনিয়স্থ ধামাচামা মৌজা হয়ে এক বাঁক নিয়ে মাঝমাড়ি, শিয়ালি, চিকাশি ইউনিয়নস্থ চিকাশী, পারলক্ষীপুর, কালেরপাড়া ইউনিয়নের কদাই, লক্ষীপুর, আনারপুর, ধুনট ইউনিয়নের ধুনট, হয়ে কাজীপুর থানায় প্রবেশ করে। অপরদিকে ২য় শাখাটি ধুনট থানার নিমগাছি ইউনিয়নস্থ ধামগাছার পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দুটি বড় ধরনের বাঁক নেয় এবং কিছুদূর অগ্রসর হয়ে একটি অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ সৃষ্টি করে এবং নিমগাছি অতিক্রম করে বগুড়া থানায় প্রবেশ করে এবং এলাঙ্গী ইউনিয়নের বিলচাপরি হয়ে শেরপুর থানার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঘোরদৌড়ে ঢুকে বেশ অাঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়ে খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর তেবাড়িয়া, ধুনট, শেরপুর সড়ক ছেদ পূর্বক বথুয়াবাড়িতে হলহলিয়ার সঙ্গে মিশে যায়।

এটি একটি আঁকাবাঁকা প্রকৃতির নদী, বর্ষাকালে পানিতে পরিপূর্ণ থাকে এবং তখন নৌকা অনায়াসে চলাফেরা করে থাকে। এ নদী পথ পরিক্রমা প্রায় ৫০/৬০ মাইল এবং এর তীরে অনেক প্রাচীন জনপদ গড়ে উঠেছে।

মডারেটর
"বগুড়া লোকাল গাইডস"

★শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ★শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ। এটি বগুড়া শহরে অব...
19/08/2017

★শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ★

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ
বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ। এটি বগুড়া শহরে অবস্থিত। এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ‍্যালয়ের অধিভুক্ত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১৯৯২ সালে স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাডেমিক কর্মকর্তা ১০৬ জন এবং শিক্ষার্থী ৯০০ জন।

*ইতিহাস*

এই কলেজ ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুর দিকে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে এর অস্থায়ী ক্যাম্পাস ছিল। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ৩১ আগস্ট সিলিমপুরে কলেজটির স্থায়ী ক্যাম্পাস এর যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান এর নামে এই কলেজটির নামকরণ করা হয়েছে। শুরুতে কলেজটি আসন সংখ্যা ৫০ টি থাকলেও ২০০৫ সাল থেকে তা ১৫০ এ উন্নীত হয়।

*অবস্থান*

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। এর ঠিক সামনেই উত্তরবঙ্গের একমাত্র চার তারকা হোটেল নাজ গার্ডেন অবস্থিত।

মডারেটর
"বগুড়া লোকাল গাইডস"

17/08/2017
09/08/2017

★করতোয়া নদী★

করতোয়া নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা এবং বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। নদীটির বাংলাদেশ অংশের দৈর্ঘ্য ১৮৭ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৩৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক করতোয়া নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ১৩।

*প্রবাহিত অঞ্চল সমূহ*
রংপুর বিভাগ, জলপাইগুড়ি বিভাগ জেলা সমূহ পঞ্চগড় জেলা, দিনাজপুর জেলা মোহনা আত্রাই নদীদৈর্ঘ্য ১৮৭ কিলোমিটার (১১৬ মাইল)।

*বর্তমান প্রবাহ*

করতোয়া নদী বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় উৎপত্তি লাভ করেছে।অতঃপর এই নদীর জলধারা বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলার ভোজনপুর ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং দিনাজপুর সদর উপজেলার সরকারপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে আত্রাই নদীতে পতিত হয়েছে।

*নদীর ইতিহাস*

করতোয়া নদী প্রধানত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অন্তর্গত একটি ছোট নদী যা একসময় একটি বড় ও পবিত্র নদী ছিল। এর একটি গতিপথ, বর্তমানে যেটির নাম করতোয়া নিম্ন নদী, বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় দিয়ে (যা পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত ও প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন
নগরীর রাজধানী) প্রবাহমান। করতোয়া মাহাত্ম্য এর অতীত ঐতিহ্যের প্রমাণ করে। মহাভারতে বলা আছে যে, তিনদিন উপবাসের পর করতোয়া নদীতে ভ্রমণ করা অশ্বমেধা (ঘোড়া বলিদান) এর সমান পূণ্যের সমান। আরেকটি প্রাচীন শহর শ্রাবস্তী, খুব সম্ভবত মহাস্থানগড়ের উত্তরে করতোয়ার পাড়ে অবস্থিত ছিল। অবশ্য শ্রাবস্তীর সম্ভাব্য অবস্থান নিয়ে বিতর্ক আছে।

*নামকরণ*

নদীর নামটি দুটি বাংলা শব্দ কর বা হাত এবং তোয়া বা পানির সমন্বয়ে গঠিত। এই নামটি হিন্দু কিংবদন্তির প্রতিফলন করে, যার মতে এই নদীটি পার্বতীকে বিয়ে করার সময় শিবের হাতে ঢালা পানি থেকে তৈরি হয়েছিল।

*নদীর গতিপথের পরিবর্তন*

বাংলা ও এর নিকটবর্তী এলাকার নদীপথের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। উপযুক্ত প্রমাণাদি না থাকলেও সূদুর অতীতেও এমন পরিবর্তন ঘটেছে। করতোয়া নদীর পরিবর্তন বহুবছর ধরে সংঘটিত হয়েছে।

ডানপাশের মানচিত্রটি উত্তর বঙ্গের প্রধান নদী ও এর নিকটবর্তী স্থানসমূহকে প্রদর্শন করে। অপ্রদর্শিত অসংখ্য শাখা ও প্রশাখা প্রধান নদীতে এসে মিশেছে এবং প্রধান নদীর গতিপথের পরিবর্তন এনেছে। নদী-পদ্ধতির নানা পরিবর্তন ক্রমশ সংঘটিত হয়। এছাড়াও অনেক নদীর শাখাগুলো স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন নামে পরিচিত, যা নদী পদ্ধতিটিকে আরো জটিল করে তোলে।

টেকটোনিক অসহনশীলতার কারণে করতোয়া নদী চারটি আলাদা ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। উত্তরের অংশটি যার নাম দিনাজপুর-করতোয়া হল আত্রাই নদীর প্রধান উত্স। এটির উত্পন্ন হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বৈকণ্ঠপুরের একটি জলাধার থেকে এবং মাটির নিচের স্ট্রিম থেকেও পানি গ্রহণ করে। খানসামা উপজেলাতে এটি নাম বদলে আত্রাই হয়ে যায়। দ্বিতীয় শাখার ক্ষেত্রে, দিনাজপুর-করতোয়া খানসামার উত্তরে রংপুর-করতোয়ার সাথে মিশে যায়, অবশ্য এই গতিপথে বর্তমানে খুব সামান্য পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয়। রংপুর-করতোয়ার উপরের অংশ জলপাইগুড়ি জেলায় উত্পন্ন হয়েছে এবং এটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত দিওনাই-যমুনেশ্বরী নামে পরিচিত। তৃতীয় শাখা, যমুনেশ্বরী-করতোয়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বের দিকে প্রবাহিত হয় এবং প্রধান গতিপথটি কাটাখালি হয়ে বাঙালি নদীতে গিয়ে পড়ে। প্রাক্তন নদীর একটি অংশ শিবগঞ্জ উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং এর বেশির ভাগ অংশ বর্তমানে প্রায় সারাবছর শুষ্ক থাকে। এটি কার্যকরভাবে রংপুর-করতোয়াকে বগুড়া-করতোয়া থেকে পৃথক করে, এবং বগুড়ার দক্ষিণ দিকে থেকে প্রবাহিত হয়ে বাঙালির সাথে মিশে ফুলঝুর নদী নামে হুরাসাগরে গিয়ে পড়ে। চতুর্থ অংশ পাবনা-করতোয়া হান্দিয়াল নিকটবর্তী একটি মৃত নদীগর্ভ। অন্যান্য অনেক চ্যানেলও পুরাতন করতোয়ার অংশ হিসেবে বিবেচিত।

প্রাচীনকালে তিস্তা জলপাইগুড়ির দক্ষিণ থেকে তিনটি গতিপথে প্রবাহিত হত, যার পূর্বে করতোয়া, পশ্চিমে পূণর্ভবা এবং কেন্দ্রে আত্রাই। এই তিনটি গতিপথ খুব সম্ভবত নদীটির নাম গঠন করে “ত্রিরস্তা” যা পরবর্তীকালে সংক্ষিপ্ত ও পরিবর্তিত হয়ে তিস্তা নাম ধারণ করে। তিনটি নদীর মধ্যে পুণর্ভবা মহানন্দার সাথে মিলিত হয়। আত্রাই একটি বৃহত্‌ পানিপরিবেষ্টিত অঞ্চল চলন বিলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে করতোয়ার সাথে মিলিত হয় এবং জাফরগঞ্জের নিকটে পদ্মার সাথে মিলিত হয়। ১৭৮৭ সালের ধ্বংসাত্মক বন্যার পর তিস্তা এর পুরনো গতিপথ বর্জন করে ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়।

সিয়ার-আল-মুতাক্কিরিন এ লিপিবদ্ধ হয় যে, করতোয়া গঙ্গার তিনগুণ ছিল যখন বখতিয়ার খিলজি ১১১৫ সালে বাংলার উত্তরাঞ্চল দখল করেন। ভেন ডেন ব্রুকের ১৬৬০ সালে তৈরি বাংলার মানচিত্র অনুসারে করতোয়াকে একটি বৃহত্‌ গতিপথ হিসেবে দেখানো হয়।রেনেল ১৭৬৪ ও ১৭৭৭ সালের মধ্যে একটি জরিপ চালান ও বাংলার প্রাচীনতম মানচিত্রগুলোর একটি তৈরি করেন। এই মানচিত্রগুলোতে তিস্তা উত্তর বাংলার বেশ কিছু শাখা পুণর্ভবা, আত্রাই, করতোয়া ইত্যাদির ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই সকল শাখাগুলো মহানন্দার নিম্নপ্রান্তে সম্মিলিত হয়, যা বর্তমানে বাংলার সর্বপশ্চিমের একটি নদী এবং হুরসাগর নাম নিয়ে চূড়ান্তে গঙ্গায় বর্তমান গোয়ালন্দের কাছে পতিত হয়। হুরসাগর নদীটি এখনো বড়ালের সাথে, যা গঙ্গা, আত্রাই, যমুনা বা যমুনেশ্বরীর পরিত্যক্ত একটি শাখা, একত্রিত হয়ে বর্তমানে গঙ্গার পরিবর্তে প্রধান যমুনায় পতিত হয়। এ স্থানটি গোয়ালন্দতে পদ্মার সাথে যমুনার মিলনের কয়েক মাইল উপরে অবস্থিত।

মডারেটর
"বগুড়া লোকাল গাইডস"

★বাংলাদেশে বগুড়া জেলার অবস্থান★বগুড়া জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। বাংলাদে...
27/07/2017

★বাংলাদেশে বগুড়া জেলার অবস্থান★

বগুড়া জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের
রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে এক ঐতিহ্যবাহি প্রাচীন জনপদ বগুড়া। প্রাচীন পুন্ড্র রাজ্যের রাজধানী পুন্ড্রবর্ধন হচ্ছে বগুড়া।

*আয়তন*

মোট ২৮৯৮.২৫ কিমি২ (১১১৯.০২ বর্গমাইল) জনসংখ্যা (২০১১) মোট ৩৫,৩৯,২৯৪ ঘনত্ব ১২০০ কিমি২ (৩২০০/বর্গমাইল)
স্বাক্ষরতার হার মোট ৪৯.৪৬%

*ভৌগোলিক সীমানা*

৮৮.৫০ ডিগ্রী পূর্ব থেকে ৮৮.৯৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এবং ২৪.৩২ ডিগ্রী উত্তর থেকে ২৫.০৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে বগুড়া সদর উপজেলা অবস্থিত। বগুড়া জেলার উত্তরে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলা, দক্ষিণে সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলা, পূর্বে জামালপুর জেলা ও যমুনা নদী এবং পশ্চিমে নওগাঁ জেলা অবস্থিত।

*প্রশাসনিক এলাকাসমূহ*

বগুড়া জেলা ১৮২১ সালে জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জেলায় মোট উপজেলার সংখ্যা মোট ১২ টি। পৌর সভার সংখ্যা ১২ টি, ইউনিয়ন রয়েছে মোট ১০৮ টি। এছাড়া জেলায় ২,৬৯৫ টি গ্রাম, ১,৭৫৯ টি মৌজা রয়েছে। বগুড়া জেলার উপজেলা গুলি হল -

(১) বগুড়া সদর উপজেলা
(২) শাজাহানপুর উপজেলা
(৩) সোনাতলা উপজেলা
(৪) ধুনট উপজেলা
(৫) দুপচাঁচিয়া উপজেলা
(৬) গাবতলী উপজেলা
(৭) কাহালু উপজেলা
(৮) নন্দীগ্রাম উপজেলা
(৯) সারিয়াকান্দি উপজেলা
(১০) শেরপুর উপজেলা
(১১) শিবগঞ্জ উপজেলা
(১২) আদমদিঘী উপজেলা

*জনসংখ্যা উপাত্ত*

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জেলার মোট জনসংখ্যা ৩৫,৩৯,২৯৪ জন। এর মধ্যে ১৭,৭৮,৫২৯ জন পুরুষ এবং ১৭,৬০,৭৬৫ জন নারী।
জেলার সাক্ষরতার হার ৪৯.৪৬%।

*যোগাযোগ ব্যবস্থা*

বগুড়াকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয়। মূলত ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ জেলায় যেতে বগুড়াকে অতিক্রম করতে হয় বলেই এরকম বলা হয়ে থাকে। বগুড়ার যোগাযোগ ব্যাবস্থা খুবই উন্নত মানের। ট্রেন এবং বাস উভয় ব্যবস্থায় ঢাকা থেকে আসা যায়। জেলায় মোট রাস্তার পরিমাণ ৬,০৪১ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা রাস্তা রয়েছে ২,৩১০ কিলোমিটার এবং কাচা রাস্তা রয়েছে ৩,৭৩১ কিলোমিটার। এছাড়াও জেলার উপর দিয়ে ৯০ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে।

*সড়ক পথ*

ঢাকা পঞ্চগড় হাইওয়েটি বগুড়া জেলার একেবারে মধ্যভাগ দিয়ে শেরপুর, শাহজাহানপুর, বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা দিয়ে চলে গেছে। ভারী এবং দূর পাল্লার যানবাহন চলাচলের জন্য মূল সড়কের পাশাপাশি রয়েছে প্রশস্ত দুটি বাইপাস সড়ক। প্রথমটি পুরাতন বাইপাস নামে পরিচিত শহরের পশ্চিম দিকে মাটিডালি থেকে শুরু হয়ে বারপুর, চারমাথা, ১ নং রেলগেট, ফুলতলা হয়ে বনানীতে গিয়ে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয়টি নতুন বাইপাস নামে পরিচিত যা ২০০০ সালের পরবর্তীকালে নির্মিত হয়। দ্বিতীয় বাইপাসটি মাটিডালি থেকে শুরু হয়ে শহরের পূর্ব পাশদিয়ে জয়বাংলা বাজার, সাবগ্রাম হয়ে বনানীতে গিয়ে মুল সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে। এছাড়া নাটোর, পাবনা, রাজশাহী সহ দক্ষিণ বঙ্গের জেলা গুলোর সাথে যোগাযোগের জন্য একটি আলাদা মহাসড়ক রয়েছে যা নন্দীগ্রাম উপজেলার মধ্যদিয়ে নাটোরের সাথে সংযুক্ত। নওগা জেলার সাথে যোগাযোগের জন্য চারমাথা থেকে আরেকটি সংযোগ সড়ক কাহালু, দুপচাঁচিয়া, সান্তাহারের মধ্য দিয়ে নওগাঁয় গিয়ে শেষ হয়েছে। এছাড়া বগুড়া জয়পুরহাট জেলাকে সংযুক্ত করার জন্য রয়েছে আলাদা সড়ক ব্যবস্থা।

*রেল পথ*

বগুড়া জেলার সর্ব পশ্চিমে রয়েছে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন। বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইন নাটোর থেকে জয়পুরহাট পর্যন্ত সান্তাহাররের উপর দিয়ে চলে গেছে। এছাড়া সান্তাহার থেকে একটি মিটারগেজ লাইন আদমদিঘী, তালোড়া, কাহালু, বগুড়া শহরের মধ্যদিয়ে রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটকে সংযুক্ত করেছে।

*আকাশ পথ*

বগুড়ার একমাত্র বিমানবন্দরটি কাহালু উপজেলার এরুলিয়া নামক স্থানে অবস্থিত। তবে বিমান বন্দরটি সাধারণ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়।

মডারেটর
"বগুড়া লোকাল গাইডস"

সতীকন্যা সাহেবানীর মাজার=======================কাহালু উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের অর্ন্তগত দেওগ্রাম বাজারের সামান্য পূর্ব...
15/07/2017

সতীকন্যা সাহেবানীর মাজার
=======================
কাহালু উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের অর্ন্তগত দেওগ্রাম বাজারের সামান্য পূর্বে ফকিরপাড়া গ্রামে অবস্থিত সতীকন্যা বিবি সাহেবানী শাহজাদীর মাজার।

জনশ্রুতিতে জানা যে, অপরূপা সুন্দরী বিবি সাহেবানীর পিতা জহির উদ্দীন ছিলেন একজন ধার্মিক ব্যক্তি। বিবি সাহেবানী তার পিতার ন্যায় সৎ চারিত্রিক গুনের অধিকারী ছিলেন। তার রূপ ও গুনে মুগ্ধ হয়ে এলাকার রাজা জমিদারগণ বিয়েরপ্রস্তাব পাঠালে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করায় দেশের উত্তর এলাকার এক প্রতাপশালী জমিদার তাকে অপহরণের চেষ্টা করেন।

তিনি তার সম্ভ্রম রক্ষার্থে মহান প্রভূর নিকট করেন হে প্রভূ আমি আর পৃথিবীতে থাকতে চাইনা মাটির নিচে যেতে চাই। প্রভূ তার প্রার্থনা সাথে সাথে মঞ্জুর করলে সেখানকার মাটি ফাঁকা হয়ে যায়বিবি সাহেবানী দ্রুতগতিতে মাটির মধ্যে প্রবেশ করেন এবং মাটি আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।

এ ঘটনার পর হতে বিবি সাহেবানী সেখানে চির নিন্দ্রায় শায়িত আছেন। বিবি সাহেবানীর এ কাহিনীর কোন দালিলিক প্রমান নেই, তবে ঘটনাটি শায়েস্তা খাঁর (হিজরী ৭৩৩, বাংলা ৭১৯ ইংরেজী ১৩১২) শাসন আমলে ঘটেছিল বলে এলাকাবাসীর অনুমান।

কিভাবে যাওয়া যায়: বগুড়া সাতমাথা হতে সিএনজি বা বাসযোগে দেওগ্রাম বাজার

অবস্থান: দূর্গাপুর ইউনিয়নের দেওগ্রাম বাজার

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নাটোর থেকে অাসা পর্যটন প্রেমী বন্ধুদের সাথে বগুড়ার বেশ কিছু বিনোদন স্পট- পৌর পার্ক, শহিদ খো...
27/06/2017

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নাটোর থেকে অাসা পর্যটন প্রেমী বন্ধুদের সাথে বগুড়ার বেশ কিছু বিনোদন স্পট- পৌর পার্ক, শহিদ খোকন পার্ক, কারুপল্লি মিউজিয়াম ও উত্তরবঙ্গের প্রাচীন নিদর্শন সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী "মহস্থানগড়" ভ্রমন শেষে আড্ডা মাস্তি খাইদাই এর ফাকে ফাকে ফ্রেম বন্দি করা কিছু মূহুর্ত।

বন্ধুরা,
মিজানুর রহমান
মেহেদি হাসান মিঠু
রফিকুল ইসলাম রকি
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
আব্দুলাহ্ আল মামুন সৈকত

তোমাদের অনেক ধন্যবাদ হঠাৎ করে অামাদের বগুড়াতে ঘুরতে অাসার জন্য এবং আবারো অামন্ত্রন রইল।

অন্যান্য বন্ধুদেরকে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী, ঐতিহ্যের প্রাচীন নগরী, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার, উত্তরবঙ্গের প্রানকেন্দ্র, শিল্প খাতে সমৃদ্ধির শহর "বগুড়া" জেলায় ঘুরতে অাসার জন্য স্বাগতম জানাচ্ছি।

মোহাইমিনুল ইসলাম প্রিন্স
মডারেটর
"বগুড়া লোকাল গাইডস"
01718189158

"বগুড়া লোকাল গাইডস" এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই "ঈদ মোবারক"।
25/06/2017

"বগুড়া লোকাল গাইডস" এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই "ঈদ মোবারক"।

10/06/2017

★বগুড়া নামকরণের ইতিহাস ও ঐতিহ্য★

উত্তরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত পুণ্ড্রনগর খ্যাত বগুড়ার নামকরণের ইতিহাস নিয়ে নানান কাহিনী প্রচলিত রয়েছে । বঙ্গদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের স্থানিক নাম ছিল 'বগ্ড়ী'। সেটা রাজা বল্লাল সেনের আমল। সেই আমলে বঙ্গদেশকে পাঁচ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। বঙ্গ, বরেন্দ্র, মিথিলা, বাঢ় ও বগ্ড়ী। শেষোক্ত 'বগ্ড়ী' অংশে নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী 'বাগিদ'দের সংখ্যা গুরুত্ব ও অধিক শক্তিমত্তা ছিল। এই বাগদি শব্দটিই অপভ্রংশ 'বগ্ড়ী' রূপ ধারণ করতে পারে। কালে রূপান্তরিত এই 'বগ্ড়ী'ই 'বগুড়া' উচ্চারণে স্থির হয়েছে বলে একটি ধারণা রয়েছে। তবে এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারণ বগুড়ার অবস্থান বঙ্গদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে নয়।

বগুড়ার প্রাচীন নাম বরেন্দ্রভূমি ও পৌণ্ড্রবর্ধন। আজকের রাজশাহীও এই অঞ্চলভুক্ত ছিল। অঞ্চলটি ৯ থেকে ১২ শতক সেন রাজাদের দ্বারা শাসিত হয়। পরে ১৩শ শতকের শুরুতে তা মুসলিম শাসকদের অধীনে আসে। ১৩শ শতকের শুরুতে এই এলাকা মুসলিম শাসকদের হাতে যায়। তারপরও সেন বংশের নৃপতিরা সামন্তপ্রধান হিসাবে প্রায় ১০০ বছর শাসনকার্য চালায়। এরপর অচ্যুত সেনের আচরণে রাগান্বিত হয়ে গৌড়ের বাহাদুর শাহ (?-১৫৩৭) সেনদের বিতাড়িত করেন।

এদিকে ১৭৬৫ সালে মোঘল সম্রাটের নিকট হতে ব্রিটিশ ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার (এই অঞ্চল) দিওয়ানি গ্রহণ করে। হযরত সুলতান বলখী মহিউদ্দিন মাহীসওয়ার এই এলাকায় ধর্ম প্রচার করেন।

করতোয়া নদীর তীরে ইংরেজরা ১৮২১ সালে বগুড়া জেলার পত্তন ঘটিয়েছিল, এই জনশ্রুতি এবং অনুমান দ্বিধামুক্ত না হলেও উপাত্তটি একেবারে আমলের বাইরে রাখা যায় না। মূলত এই অনুমানের ২৮ বছর পরে, ১৮৫৯ সালে বগুড়া জেলা গঠিত হয়। যদিও ১৮২১ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা বগুড়া শহরের গোড়পত্তন ঘটেছিল।

দিল্লীর সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবন (১২৬৫-৮৭) এর সেনানায়ক। এই সেনানায়কই বাংলাকে দেখাশোনার জন্য সুলতান গিয়াস উদ্দিন কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে এসেই তুঘরিল খাঁ বিদ্রোহ করেন এবং নিজেকে বাংলার শাসক ঘোষণা করেন। গিয়াস উদ্দিন তখন তার কনিষ্ঠ পুত্র বগ্রা খাঁ-কে দিয়ে ঐ বিদ্রোহ দমনার্থে অভিযান পরিচালনা করেন। বগ্রা খাঁ সফলভাবে অভিযান পরিচালনা করে তুঘরিলকে পরাজিত ও হত্যা করেন। এই অভিযানে বিজয় অর্জনের পর সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবন লক্ষণাবতী, বাংলা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার শাসনাধিপতি সরূপে বিজেতা শাহজাদা বগ্রা খাঁকে নিযুক্ত করেন। এই বগ্রা খাঁ-র মূল নাম ছিল নাসির উদ্দিন মাহমুদ শাহ (?-১৪১১)। ইনি ছিলেন বড় প্রমোদন্মত্ত, জলসাপ্রিয় এবং পানাসক্ত। পিতা গিয়াস উদ্দিন বলবন শাহ শাসনকার্যে নিযুক্তি দিয়ে পুত্রকে সত্যনামা ও শপথ পাঠ করান যে, বাংলার সমগ্র অঞ্চলে বলয় বিস্তারের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি নাচ-গানের জলসায় যাবেন না। এই সময় আলোচ্য বগ্রা খাঁ-র নামানুসাওে প্রাচীন পুণ্ড্রনগরের পাশে একটি শহর গড়ে তোলা হয়। ষোড়শ শতাব্দীর ৪ এর দশকে করতোয়া নদীর তীরে গড়ে তোলা এই শহরেরই নাম বগুড়া।

মোঘল আমলে পূর্বে কিছুকাল এবং সুলতানি আমলের পর, এই করতোয়াবর্তী শহরের বিস্তার-প্রসার স্তিমিত হয়ে পড়ে। উক্ত জমিদারদের সময়ে নতুন করে পুনরায় নগররূপে তা উদ্ভাসিত হতে থাকে। ব্রিটিশ আমলে মহকুমা এবং ১৮২১ সালে এই মহকুমাকে 'বগুড়া জেলা' হিসাবে ঘোষণা দেয়া হয়। উল্লেখ করা প্রয়োজন, পূর্ব পাকিস্তানের শেষ দিকেও বগুড়ার বানান 'বগ্রা' লেখা হতো। বলা যায় পাকিস্তানের শেষে এসে 'বগ্রা' 'বগুড়া' হয়ে যায়। লক্ষণীয়, 'বগুড়া'র ইংরেজি বানান এখনও অবিকল 'বগ্রা'ই (Bogra) রয়ে গেছে।

বগ্রা খাঁ কেবল প্রমোদবিলাসী এবং ভোজনবিলাসীই ছিলেন না, তার চারিত্র্য বিস্ময় আরও আছে। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে দিল্লীতে। ফলে দিল্লীর প্রতি বেশি মায়া থাকাটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু যৌবনে বাংলায় এসে তিনি অধিক মায়ায় পড়ে যান এই অঞ্চলের। পিতা দিল্লীর সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবন আপন জীবনাসান আসন্ন অনুধাবন করে পুত্র বগ্রা খাঁকে দিল্লীর সিংহাসনে বসতে অনুরোধ এবং আহ্বান করেন। বগ্রা খাঁ তখন দিল্লী গিয়ে পিতার অনুরোধ বিনীতভাবে প্রত্যাখান করে বাংলায় ফিরে আসেন। গিয়াস উদ্দিন বলবনের মৃত্যুর পর বগ্রা খাঁ তার ১৭ বছর বয়সের পুত্র কায়কোবাদকে (১২৭০-১২৯০) দিল্লীর সিংহাসনে বসিয়ে দেন। অর্থাত্ পুত্র দিল্লী বা কেন্দ্রের শাসনকর্তা, আর পিতা তারই অধীনে বাংলার শাসনকর্তা। কিন্তু পুত্র কায়কোবাদ পিতার ন্যায় আমোদাসক্ত জলসাপ্রিয় হয়ে নিজেকে আনন্দব্যসনে ভাসিয়ে দেন। পিতা উপদেশ পাঠালেন তাকে। কোন কাজ হলো না। উজিরদের কুমন্ত্রণায় শেষে দিল্লী ও বাংলার মধ্যে, অর্থাৎ পিতা-পুত্রের মধ্যে যুদ্ধ আসন্ন হয়। এদিকে পুত্র হলেন কেন্দ্র দিল্লীর শাসক, ওদিকে অধীনস্ত বাংলার শাসক হলেন পিতা।

প্রাসাদষড়যন্ত্র বাধিয়ে দিতে উজিররা কোনরূপ কুণ্ঠাবোধ করলেন না। পিতা বগ্রা খাঁ হাতিবাহিনী নিয়ে দিল্লীর দিকে অগ্রসর হলেন। তারা পৌঁছলেন অযোদ্ধার সুরোয নদীর তীরে। বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে পুত্র কায়কোবাদও এগিয়ে এলেন। মাঝে সুরোয নদী। যুদ্ধ আসন্ন, চলতে থাকলো দুই অধিপতি পিতা ও পুত্রের দূতমারফত চিঠি চালাচালি। কুচক্রী উজিররা উস্কে দিলেন পুত্রকে। হোক পিতা, তবুও অধীনস্ত বাংলার অধিপতি হিসাবে পিতাকে মাটিচুম্বন করে পুত্রের প্রতি মাথা নত করেই তার সাথে সাক্ষাৎ করতে হবে। সব শর্ত মেনেই পিতা রাজি হলেন পুত্রের সাথে দেখা করতে। পিতা মাথা নত করেই গিয়ে দাঁড়ালেন পুত্রের সামনে। পুত্র কায়কোবাদের ক্রোধ নিভে গেল পিতার সন্মান চেতনার কাছে। তিনি সিংহাসন থেকে নেমে দৌড়ে গিয়ে পিতাকে আলিঙ্গন করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। পিতাও কাঁদতে লাগলেন। অবসান হলো পিতা-পুত্রের যুদ্ধসম্ভাবনার। একসঙ্গে তারা বসলেন সিংহাসনে। দিল্লী ও বাংলার প্রশাসনিক মর্যাদা হলো সমান-সমান। এই সমান মর্যাদা ও তার পূর্ববর্তী সময় মিলিয়ে বগ্রা খাঁ দীর্ঘ ৪০ বছর বাংলা শাসন করেন।

মোহাইমিনুল ইসলাম প্রিন্স
মডারেটর
"বগুড়া লোকাল গাইডস"

Address

Bogura
5800

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Unofficial: Bogra Local Guides posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share