23/03/2020
উহান থেকে ৩৬০ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন শেষে তারা সবাই যার যার গন্তব্যে ফিরে গেছে। কোন প্রকারের ঝামেলা বা গন্ডগোল ছাড়া।
তারপর ইতালি, জার্মানি, মিডল ইস্ট থেকে আসতে শুরু করল। তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়ার কথা উঠতেই বাঁধল বিপত্তি। কেউ সিস্টেমকে ** করে দিল, কেউ তালা ভেঙে বিক্ষোভ করল, কেউ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেল। আবার একজন তো হোম কোয়ারেন্টাইনের নাম করে বিয়েই করে ফেলল। অথচ ইনফেক্টেড প্যাশেন্টগুলো কিন্তু এদের মধ্য থেকেই বেরিয়েছে।
তফাত করতে পারেন??
পার্থক্যটা ধরতে পারেন??
এদেশ থেকে চীনে কারা যায়?? কি করতে যায়?? বেশিরভাগই Graduation, PhD, Post-Doc করতে যায়। অর্থাৎ চীনে যারা যায় সবাই উচ্চশিক্ষিত। তারা ক্রাইসিস বোঝে। দেশ-দশের ভালো বোঝে। এমন না যে তারা কোয়ারেন্টাইনে খুব সুখে থেকেছে। তারা সব ভোগান্তি হজম করেছে শুধুমাত্র নিজের ও দেশবাসীর ভালোর কথা চিন্তা করে।
এবার দ্বিতীয় দলের দিকে তাকান। এরা কারা?? এরা বেশিরভাগই ওয়ার্কার ভিসা নিয়ে বাইরে যায়। সবাই অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত। আপনার কাছে তারা রেমিট্যান্স যোদ্ধা হতে পারে। কিন্তু ভাই, এই লোকগুলোর গোয়ার্তুমির কারণে দেশে যদি একটা মহামারি হয়েই যায়, তবে কি রেমিট্যান্স ধুয়ে ধুয়ে পানি খাবেন?? ঠিক কত বিলিয়ন রেমিট্যান্স হলে আপনি করোনার গণসংক্রমণ রোধ করতে পারবেন??
এলাকায় প্রবাসী থাকলে খেয়াল করবেন, এদের কেউ কেউ কিরকম একটা আলগা ভাব নিয়ে ঘুরে!! তাছাড়া উপরের ঘটনাগুলো অবজার্ভ করলে স্পষ্টই বোঝা যায়, এয়ারপোর্টে উনারা ঠিক কী কারণে হয়রানির শিকার হয়।
শিক্ষার গুরুত্ব বোঝতে পারেন এখন?? আমাদের নৈতিক ও সামাজিক শিক্ষায় যে বিশাল একটা ঘাটতি রয়ে গেছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।