20/09/2024
ডুয়ার্স ভ্রমণ প্রথম পর্ব
----------------------------
ডুয়ার্স শব্দের অর্থ দরজা বা প্রবেশদ্বার। এটি পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশের পশ্চিমবঙ্গ ও অসম নিয়ে গঠিত। ডুয়ার্স দ্বারা ভুটান ও ভারতের মধ্যে যোগাযোগ সম্পন্ন হয়। এই অঞ্চল ভুটান তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার।
হিমালয়ের পাদদেশ তথা সমভূমি ও পর্বত অঞ্চলের মিলনস্থানে ডুয়ার্স এর অবস্থান। ডুয়ার্সকে সংকোশ নদী দুই ভাগে ভাগ করেছে। এই নদীর পূর্বের অংশকে বলা হয় পূর্ব ডুয়ার্স বা অসম ডুয়ার্স এবং পশ্চিমের অংশকে বলে পশ্চিম ডুয়ার্স বা পশ্চিমবঙ্গ ডুয়ার্স। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার এবং অসমের ধুবড়ি, কোকড়াঝাড়, বরপেটা, গোয়ালপাড়া ও বঙাইগাঁও জেলা নিয়ে ডুয়ার্স অঞ্চল গঠিত।
প্রকৃতির সৌন্দর্য তো আছেই, তাছাড়াও সেখানে রয়েছে চাপরামারি, গজলডোবা, বক্সা টাইগার রিসার্ভ, বক্সা ফর্ট, গরুমারা জাতীয় উদ্যান, চেলসা, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান, রাজাভাতখাওয়া, বিন্দু, হাসিমারা, গোঁরবাতান, ঝালংয়ের মতো সুন্দর জায়গা।
এখানে অবস্থান বর্ণনা না করে পরিবেশ বর্ণনা করা ভালো। ডুয়ার্সের প্রাকৃতিক রূপ বারবার জায়গা করে নেয় সাহিত্যে।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, সুনিল গঙ্গোপাধ্যায় এর মতো সাহিত্যিকের বিভিন্ন লেখায় ডুয়ার্সের সৌন্দর্যের যে বর্ণনা বাঙালি পাঠক পেয়েছে, তাতে ডুয়ার্সে একবার ঘুরে আসার ইচ্ছা একজন প্রকৃতি প্রেমিকের না জেগে পারে না।
অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য ডুয়ার্স অন্যতম বেড়াতে যাওয়ার ঠিকানা। ছোটোবড় পাহাড়ে ঘেরা পাহাড়ি রাস্তা এঁকেবেঁকে মিশেছে দূরের পাহাড়ে। আঁধার আলোয় মিলে পরিবেশ। কুশায়ার কারণে স্পষ্ট করে সবকিছু দেখা যায় না। তার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে শাল, সেগুন গাছ। এখানে-ওখানে দু-একটা ঘরবাড়ি। সবকিছু মিলিয়ে ডুয়ার্সের পরিবেশ নিঝুম, নিরিবিলি।
চারদিকে সবুজে ঢাকা পাহাড়। ঠান্ডা মনোরম পরিবেশ। প্রকৃতির এমন রূপ দেখে মুগ্ধ হবেন। আমিও অনেকের মতো মুগ্ধ হয়েছি।
যাত্রা প্রসাদ ওয়াচ টাওয়ারঃ
এই জঙ্গলের একটি প্রিয় হাতি তার নাম ছিল যাত্রা প্রসাদ। সে মারা যাওয়ার পর এখানে তার স্মৃতিতে যাত্রা প্রসাদ ওয়াচ টাওয়ার তৈরি হয়। এখানে জীপ সাফারি হয়। একটি জীপে ৬ জন করে নেবে মুল্য গাইড সমেত ২৭৮০/-।
মেদলা ওয়াচ টাওয়ারঃ
বনবিভাগের গাড়ি যেখানে নামিয়ে দিল, সেখান থেকে বৃষ্টিভেজা পথ ধরে, মোষে টানা রঙিন আচ্ছাদন দেওয়া গাড়িতে পৌঁছতে হয় মেদলা নজরমিনার পর্যন্ত। ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে নজরমিনারের এক্কেবারে উপরিতলে পৌঁছলে, চোখের সীমানায় ঘন সবুজের বুনোট। একপাশে বিস্তীর্ণ বালুচর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক ক্ষয়াটে নদী। দূরে জঙ্গলে কিছু বাইসনের ঘোরাঘুরি।
# # # #ক্রমশ # # # #