16/11/2019
সাজেক ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা
রাঙ্গামাটি জেলার সর্ব-উত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত সাজেক ভ্যালি। দেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন এটি। সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম এবং পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা। সব ঋতুতে সাজেক যাওয়া যায়। তবে বর্ষা, শীত ও হেমন্তকালে সাজেকের রূপ যেন শতগুণ বেড়ে যায়। পাহাড়ের কোলে মেঘের খেলা চলে সারাদিন। হাজার ফুট উঁচুতে উঠে যখন মেঘের মাঝে হারিয়ে যাবেন, মনে হবে অন্য এক পৃথিবী। সাজেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের কোনো তুলনা হয় না। হারিয়ে যাবেন অন্য রকম এক প্রশান্তিতে।
সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সাজেক উন্নয়ন ফোরাম। এতে শীতকালে গাড়ি এন্ট্রির সময়সূচি, নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের ব্রিফিং করার সময় এবং সাজেক থেকে ফেরার সময় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া যাত্রাকালীন সময়ে পর্যটক ও চালকদের প্রতি আলাদা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১৫ নভেম্বর থেকে নিয়মগুলো কার্যকর হবে।
খাগড়াছড়ি বা দিঘীনালা থেকে খোলা জীপে করে সাজেক যেতে হবে। যা চান্দের গাড়ি নামেই পরিচিত। দু’দিনের জন্য ৭০০০-৯০০০ টাকা গুনতে হবে। চান্দের গাড়িতে আসন সংখ্যা ১২টি। খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালার দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। দীঘিনালায় একটি সেনানিবাস রয়েছে। এরপর বাকি রাস্তাটুকু আপনাকে যেতে হবে সামরিক বাহিনীর এসকোর্টে। পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনী এই পদক্ষেপ নিয়েছে। শীতকালে দীঘিনালা থেকে সেনাবাহিনীর এসকোর্ট শুরু হবে সকাল ৯ টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে। তাই ওই সময়ের আগেই আপনাকে পৌঁছে যেতে হবে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালায়। সকালের এসকোর্ট মিস করলে অপেক্ষা করতে হবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
দীঘিনালা থেকে প্রথমে যেতে বাগাইহাট, তারপর মাচালং হাট হয়ে সরাসরি পৌঁছে যাবেন সাজেক। খাগড়াছড়ি শহর থেকে সাজেক যেতে সময় লাগবে প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তাধরে চলা এই ছোট জার্নিটি সাজেক ট্যুরের অন্যতম আকর্ষণ। চারদিকে শুধু পাহাড় আর হরিতের সমারোহ আপনাকে ভুলিয়ে দেবে পথের ক্লান্তি। সাজেক থেকে দিঘীনালার উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন সকাল ১০টা ও বিকেল ৩টায়।
সাজেক উন্নয়ন ফোরামের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সড়কের পাশে বসবাসকারী বাচ্চাদের চলন্ত গাড়ি থেকে চকলেট ছুড়ে ফেলবেন না। তবে গাড়ি থামিয়ে চকলেট বা অন্য কোনো কিছু দেয়া যেতে পারে।