Safar Songi

Safar Songi চলার পথ হক আরো সহজ ও আনন্দময়....

15/12/2020
পশ্চিম কুন্দেরপাড়া পুরাতন জামে মসজিদ।স্থানঃ গোবিন্দগঞ্জ থেকে নকাইহাট রোডে। ( গাইবান্ধা)
22/11/2019

পশ্চিম কুন্দেরপাড়া পুরাতন জামে মসজিদ।
স্থানঃ গোবিন্দগঞ্জ থেকে নকাইহাট রোডে। ( গাইবান্ধা)

22/11/2019

#⃣ যে দেশে নেই কারাগার ☺️
যে দেশে পর্বতমালার ঢালঘেঁষে মেঘের কোল ছোঁয়। ছবির চেয়ে সুন্দর খুবই ছোট্ট একটি দেশ। দেশটির বয়স প্রায় এক হাজার বছর হলেও যুদ্ধ-বিগ্রহে জড়ানোর কোনো রক্তাক্ত ইতিহাস নেই। তাই দেশটিকে অপরাধমুক্ত বলা চলে। এ দেশে কোনো কারাগার নেই। একান্ত প্রয়োজন হলে, ফ্রান্স কিংবা স্পেনের জেলখানা ব্যবহার করা হয়।
ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমে ফ্রান্স এবং স্পেনের সীমান্তে পিরিনিজ পর্বতমালার ঢালঘেঁষে গড়ে ওঠা দেশটির নাম আন্দরা। পুরো নাম প্রিন্সিপালিটি অব আন্দরা। আন্দোরার অর্থনীতি প্রায় পুরোটাই পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর এখানে ঘুরতে আসেন এক কোটি পর্যটক।
অনেকে মনে করেন যে, ‘আন্দরা’ আরবি ‘আল-দুরা’ থেকে উদ্ভূত হতে পারে, যার অর্থ ‘মুক্তা’। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০২৩ মিটার (৩৩৫৬ ফুট) উঁচুতে ইউরোপের সর্বোচ্চ শহর আন্দরা-লা-ভেইয়া হচ্ছে আন্দরার রাজধানী।
এ বছর মে মাসের ১৬ তারিখ থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন ৪০ বছর বয়স্ক জ্যাভিয়ে এসপো জামোরো।
২০০৪ সালে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান করে নেয় আন্দোরার স্বর্গসদৃশ ল্যান্ডস্কেপ।
দেশটি আয়তনে মাত্র ৪৬৮ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ আমাদের বাংলাদেশ আন্দরার চেয়ে ৩০৮ গুণ বড়। এ দেশটির সবচেয়ে দীর্ঘ রাস্তাটি মাত্র ৪০ কিলোমিটার। আর জনসংখ্যা ৭৩ হাজারের একটু কম। প্রতি বছর এক কোটি পর্যটক এ দেশে ঘুরতে আসেন।
২৯৪২ মিটার (৯৬৫২ ফুট) উচ্চ কোমা পেদ্রোসা আন্দরার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। অতিরিক্ত উচ্চতার কারণে দেশের উপত্যকাগুলোতে বছরের বেশ কয়েক মাস ধরে পুরোপুরি তুষারপাত হয়। পর্বতমালা আর উপত্যকা বেয়ে নেমে এসেছে ছোট ছোট বহু ঝরনাধারা।
বর্তমানে আন্দরা হচ্ছে- পৃথিবীতে একমাত্র সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ, যে দেশে একই সঙ্গে দুজন রাষ্ট্রপ্রধান। একজন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আর অন্যজন হচ্ছেন স্পেনের উর্গেল অঞ্চলের বিশপ।
১৯৯৩ সালের আগে পর্যন্ত এ দেশে সামন্ততান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বলবৎ ছিল। ১৪ মার্চ ১৯৯৩ সালে আন্দরার সংবিধান রচনা ও স্বাক্ষরিত হয়।
সেই থেকে দেশটি আইনের শাসনের অধীনে একটি গণতান্ত্রিক সামাজিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং সে বছরই জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।

22/11/2019

#⃣নিকলী হাওর
চারদিকে বিস্তৃত জলরাশি। কিছুদূর পর পর পানিতে দ্বীপের মতো ভেসে বেড়ানো গ্রাম। দূর দিগন্তে দেখা মেলে মাছ ধরা নৌকায় জেলেদের ব্যস্ততা আর রাতারগুলের মতো ছোট ছোট জলাবন। এসব নিয়েই নিকলী হাওর ছড়ায় তার প্রাকৃতিক রূপ।
বর্ষা এলেই বাড়ে এর জৌলুস। লিখেছেন- শাকীর এহসানুল্লাহ
হাওরে কেন যাবেন
শহুরে জ্যাম, ব্যস্ততা, অফিস, সংসার- এমন সবকিছুর ভিড়ে আপনার মাথা যখন প্রায় হ্যাং, তখন এমন একটা জায়গা আপনাকে দেবে পেছনের সবকিছু ভুলে নতুন করে ফ্রেশ হওয়ার সুযোগ। বিশাল জলের ওপর ভাসতে ভাসতে নীল রঙা আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে নিজের দেহ-মন সবই হালকা করে নিতে পারবেন।
যেহেতু প্রসিদ্ধ পর্যটন জায়গাগুলোতে সবসময়ই পর্যটকদের ভিড় থাকে, তাই এমন অপ্রসিদ্ধ কিছু স্থানে আপনি নিজের মতো করে ঘুরে আসতে পারেন অনায়াসে। সাধারণ পর্যটন প্লেসের মতো কোনো ঝামেলা নেই। পানিতে ভাসতে ভাসতে হাওরের ভিতরের দিকে গেলে একপর্যায়ে যখন কোনো গ্রাম দেখা যাবে না, তখন হাওরকে আপনার শান্ত একটা সাগরের মতোও মনে হতে পারে। আবার ঘুরতে ঘুরতে চোখে পড়বে পানির ওপর ভাসমান অসম্ভব সুন্দর ছোট ছোট সবুজ গ্রাম। নৌকা থামিয়ে গ্রামটি একটু ঘুরে আসতে পারেন।
অবাক হবেন মানুষের কাছে গিয়ে কথা বললে। আপনার কাছে মনে হবে পানির সঙ্গে বসবাস করতে করতে মানুষের স্বভাব-চরিত্রও পানির মতো হয়ে গেছে। বিভিন্ন গ্রামের বাজার থেকে হালকা নাস্তা কিনে নিতে পারেন। খোলা আকাশের নিচে এলোমেলো বাতাসে নৌকার ছাদে খেতে বসলে আপনি পেতে পারেন অভুত এক খাওয়ার আনন্দ।
হাতের কাছে আরেক রাতারগুল
হাওরে ঘুরতে ঘুরতে চলে যাবেন ছাতিরচরে
পানির নিচে ডুবন্ত এক সবুজ বন। লেয়ারে লেয়ারে সাজানো সুবজ গাছ। গাছের বুক বরাবর পানিতে ভাসতে থাকবেন আপনি। হুট করে দেখে আপনার কাছে মনে হতে পারে এটা আরেক রাতারগুল। নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে নৌকায় সরাসরি ছাতিরচর যেতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। নৌকায় ৩ ঘণ্টা ঘুরলে মোটামুটি অনেকটা জায়গা ঘুরে আসতে পারবেন।
নৌকা ভাড়া
সাধারণত এক ঘণ্টার জন্য ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা নেয়। আবার কয়েক ঘণ্টার জন্য নিতে পারেন প্রতি ঘণ্টায় ৫০০ টাকার মতো করে। অবশ্যই ভাড়া দামাদামি করে নিবেন। এতে আরও কমতে পারে। নৌকাগুলো বেশ বড়সড়ও হয়। ১৫-২০ জন পর্যন্ত অনায়াসে নাচানাচি করে ঘুরে আসতে পারবেন। নৌকার সাইজ অনুযায়ী ভাড়া খুব একটা কমবেশি হয় না।
নিকলীতে খাবারের ব্যবস্থা
মূলত নিকলীতে ভালো মানের খুব বেশি খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। তবে বাজারে বেশ কয়েকটা রেস্তোরাঁ আছে। মোটামুটি মানের তাজা মাছের রান্না দিয়ে খেতে ভালোই লাগবে। এছাড়াও বেড়িবাঁধে ঢোকার সময়ই একটা রেস্তোরাঁ পড়ে; সেই রেস্তোরাঁয় নদীর তাজা মাছের আঞ্চলিক স্বাদের খাবার খেয়ে নিতে পারেন।
রাত কাটাতে পারেন নৌকায়
ভরপুর কোনো পূর্ণিমা রাতের গাঢ় নীল আকাশের নিচে নৌকার ছাদে কাটিয়ে দিতে পারেন পুরো একটি রাত। ওখানে রাতে থাকাটা মোটামুটি নিরাপদ। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে। তবে পুরোপুরি নিরাপত্তার জন্য নিকলী থানায় ইনফর্ম করে নিতে হবে। তাহলে চিন্তামুক্ত ও আরামদায়ক একটি রাত কাটাতে পারবেন আপনি। রাতে অবশ্যই বেড়িবাঁধের কাছাকাছি কোনো স্থানে অবস্থান করতে হবে। যদিও নিকলীতে ডাঙায় থাকার কোনো সুব্যবস্থা নেই, তবে ইমার্জেন্সি থাকার প্রয়োজন হলে নিকলী থানা পুলিশের আওতায় একটি ডাকবাংলো আছে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সেখানে ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। এটাও যদি না হয়, তাহলে তো হাতের কাছে কিশোরগঞ্জ শহর আছেই।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে যদি ভোরে রওনা করে রাতের মধ্যে চলে আসতে চান, তাহলে সবচেয়ে সুন্দর পন্থা হচ্ছে পুলেরঘাট দিয়ে যাওয়া। নিকলী হাওর সবচেয়ে বেশি কাছে হয় কিশোরগঞ্জের পুলেরঘাট থেকে। যেতে পারবেন ঢাকার সায়েদাবাদের পাশে গোলাপবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে ‘অনন্যা সুপার’ ও ‘যাতায়াত’ বাসে সোজা পুলেরঘাট। ভাড়া ২২০ টাকা। সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা। পুলেরঘাট থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে ১ ঘণ্টায় নিকলী বেড়িবাঁধ। সিএনজিতে জনপ্রতি ভাড়া ৮০ টাকা।
গোলাপবাগ থেকে একদম ভোর থেকেই বাস পাবেন। তবে ভালো থাকা-খাওয়ার চিন্তা করলে আপনাকে কিশোরগঞ্জ শহরেই যেতে হবে। নিকলী থেকে কিশোরগঞ্জ শহরে যেতে সিএনজিতে ঘণ্টাখানেক লাগে। আর যদি মনে করেন, কিশোরগঞ্জ শহর ও শহরের আশপাশে আরও কিছু ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন যেমন ইশা খাঁর বাড়ি, চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির, ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ, ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ইত্যাদি ঘুরে আসবেন। তবে আপনি ঢাকা থেকে সরাসরি কিশোরগঞ্জ শহরে চলে যেতে পারেন। কিশোরগঞ্জ শহর থেকেই আবার যেতে পারবেন নিকলী হাওরে। রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশ থেকে সিএনজি অটোরিকশা যায় নিকলীর দিকে। মাথাপিছু ৮০ টাকা ভাড়ায় মাত্র ১ ঘণ্টায় আপনি নিকলী হাওর বেড়িবাঁধে পৌঁছতে পারবেন।
অথবা শহর থেকে চলে যেতে পারেন শহরের খুব কাছেই চামড়াবন্দরে। সেখান থেকেও নৌকা ভাড়া করে ঘুরতে পারেন হাওরের আরেক পাশ। শহরের একরামপুর রেলক্রসিং থেকে চামড়াবন্দরে যাওয়ার সিএনজি অটোরিকশা বা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পাওয়া যায়। সিএনজিতে সময় লাগবে আধা ঘণ্টারও কম। ভাড়া মাথাপিছু ৪০-৫০ টাকা।
কিশোরগঞ্জ হয়ে যেতে চাইলে
গোলাপবাগ বাসস্ট্যান্ড বা মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে ভোর থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের বাস পাওয়া যায়।
মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া কিশোরগঞ্জের বাসগুলো একটু ছোট টাইপের। অথবা ট্রেনে যেতে পারেন। কিশোরগঞ্জে যাওয়ার সবচেয়ে আরামদায়ক জার্নি হচ্ছে ট্রেন। সারা দিনে তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা-কিশোরগঞ্জ আসা-যাওয়া করে।
ট্রেনের সময়সূচি
ঢাকা-কিশোরগঞ্জ
সকাল ৮টায় এগারসিন্দুর প্রভাতী
সকাল ১০টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস
সন্ধ্যা ৬টায় এগারসিন্দুর গোধূলী
কিশোরগঞ্জ-ঢাকা
সকাল সাড়ে ৬টায় এগারসিন্দুর প্রভাতী
দুপুর সাড়ে ১২টায় এগারসিন্দুর গোধূলী
বিকাল সাড়ে ৩টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস
ট্রেনের ভাড়া
শোভন ১২০ টাকা
শোভন চেয়ার ১৫০ টাকা
প্রথম শ্রেণি চেয়ার ১৮৫ টাকা
ট্রেনে যেতে সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।

 #⃣ রতনমণি লোকনাথ টাউন হল' শ্রীহট্টে সুরমা নদীর তীরে সুরম্য আসাম প্যাটার্নের বাংলো টাইপের টিনশেড্ 'রতনমণি লোকনাথ টাউন হল...
22/11/2019

#⃣ রতনমণি লোকনাথ টাউন হল'

শ্রীহট্টে সুরমা নদীর তীরে সুরম্য আসাম প্যাটার্নের বাংলো টাইপের টিনশেড্ 'রতনমণি লোকনাথ টাউন হল' প্রতিষ্ঠা করেন শহরের নয়াসড়ক খাজাঞ্চীবাড়ীর প্রজাহিতৈষী জামাতা জমিদার নগেন্দ্রনাথ চৌধুরী । ১৮৯৭ সালের ১২ই জুন শ্রীহট্টের প্রলয়ঙ্কারী 'ডাউকি ফল্ট' ভূমিকম্পে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায় । পূর্বপুরুষ 'রতনমণি শর্ম্মা' ও 'লোকনাথ শর্ম্মা'র স্মৃতি রক্ষার্থে, শ্রীহট্টের নয়াসড়ক খাজাঞ্চী পরিবারের জমিদার শ্রী বৈকুন্ঠনাথ শর্ম্মা ও তার স্ত্রী শ্রীমতী বিনোদিনী শর্ম্মার নির্দেশে তাদের একমাত্র জামাতা নগেন্দ্রনাথ চৌধুরী ১৯০০ সালে নির্মাণ করেন 'রতনমণি লোকনাথ টাউন হল'। হলটির সামনে ছিলো সুরম্য ফুলবাগান ।
অনেকেই হয়তো জানেন, শ্রীহট্টের শিক্ষা বিস্তারে এক আলোকবর্তিকা খ্রিস্টান ধর্মযাজক রেভারেন্ড প্রাইস । পাদ্রী প্রাইস সাহেব শ্রীহট্টে শিক্ষা বিস্তারের হাল না ধরলে, শ্রীহট্টের অবস্থা আজ কোন পর্যায়ে যেতো তা না বলাই সমীচীন । ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে 'নবাব তালাব' অর্থাৎ বর্তমান লালদীঘির পাড়ে শ্রীহট্টের জ্ঞানপিপাসুদের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য রেভারেন্ড প্রাইজ গড়ে তুলেন এক পাঠাগার, শ্রীহট্টে এটাই ছিলো প্রথম গণপাঠাগার । ১৮৯৭ সালের ১২ই জুন 'ডাউকি ফল্ট' ভূমিকম্পে সবকিছু বিধ্বস্ত হলে প্রাইজ সাহেবের পাঠাগারটি ১৯০০ সালে নির্মাণ সমাপ্তির মুহুর্তেই রতনমণি লোকনাথ টাউন হল'এ স্থানান্তরিত হয় ।
এখানে শ্রীহট্টের কিছু আইনজীবীদের সমন্বয়ে সপ্তাহে দু'দিন আইন বিষয়ে পাঠদান হতো । যার নামে শ্রীহট্টের মদনমোহন কলেজ, সেই মদনমোহন দাস এখানে কিছুদিন আইনের পাঠ নিয়েছিলেন । যদিও মদনমোহন দাস ছিলেন শ্রীহট্ট জিলা কালেক্টরেট'এ রাজস্ব শাখার একজন কর্মচারী । অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে শ্রীহট্টের লামাবাজারের মদনমোহন কলেজ তিন বছরের জন্য স্থানান্তরিত হয়েছিলো এই ভবনে ।
১৯০৫ সালে ১৬ই সেপ্টেম্বর এই হল'এ শ্রীহট্টের প্রথম স্বদেশী আন্দোলনের সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
১৯১৯ সালের ৫ই নভেম্বর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রীহট্ট পরিভ্রমণকালে ৬ই নভেম্বর এই রতনমণি লোকনাথ টাউন হলেই গুরুদেবকে নাগরিক সংবর্ধনা জানানো হয় । সভাস্থলের আশেপাশে পাঁচ হাজারেরও বেশী লোকের জনসমাগম হয়েছিল । সভার প্রারম্ভেই স্থানীয় সংগীতশিল্পী যতীন্দ্রমোহন দেব চৌধুরী, আইনকৌশলী অম্বিকাচরণ রচিত একটি কবি-প্রশস্তিমূলক গান গেয়ে শোনান, অতপরঃ শ্রীহট্টের বিখ্যাত বেহালাবাদক যামিনীকান্ত রায় দস্তিদার বেহালা বাজিয়ে কবির চিত্তবিনোদন করেন । কুলাউড়া ভাটেরা নিবাসী উমেশচন্দ্র দেব এর স্বরচিত রবীন্দ্রস্তুতি প্রশংসা কুড়িয়েছিল । সভায় কবিগুরুর আগমনে শ্রীহট্টবাসী কতটুকু আনন্দিত হয়েছে তা জানিয়ে উর্দুতে দশ মিনিট স্বাগত বক্তব্য দেন আসামের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী খানবাহাদুর সৈয়দ আবদুল মজিদ সি.আই.ই. (কাপ্তান মিয়া)। আইনকৌশলী সৈয়দ আবদুল মজিদ যদিও খুব ভালো ইংরেজি ও উর্দু জানতেন তথাপি বিশুদ্ধ বাংলাতে ভাষণ দিতে পটু ছিলেন না, তাই তিনি উর্দুতে ভাষণ দেন । অভিনন্দনপত্র পাঠ করেন নগেন্দ্রচন্দ্র দত্ত । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অভিনন্দনের প্রতিউত্তরে বক্তৃতা প্রদান করেন যা পরবর্তীতে ১৩২৬ বঙ্গাব্দ 'প্রবাসী' পত্রিকার পৌষ সংখ্যায় 'বাঙালির সাধনা' শিরোনামে প্রকাশিত হয় । গুরুদেব বলেছিলেন, 'আমি এটা অনুভব করি যে, ভারতে বাঙালির একটি বিশেষ সাধনা আছে । নব্য বঙ্গের আরম্ভকাল থেকেই তার একটি অপরূপ নব্যতা দেখা দিয়েছে । এই নুতন বাঙলার সকল মহাপুরুষই নুতনকে অভ্যর্থনা করে নিতে ভয় পান নি । এই নুতন আশার, এই নুতন প্রাণের প্রবল সঞ্চার এদেশের সাহিত্য, সমাজ, শিক্ষা-দীক্ষায় প্রবেশ করেছে'।
১৯২০ সালের সেপ্টেম্বরে এই হল'এ সুরমা উপত্যকার রাষ্ট্রীয় সমিতির অধিবেশনে অসহযোগ প্রস্তাব গৃহীত হলে মৌলানা আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে বিপিনচন্দ্র পাল, মৌলানা আকরাম খাঁ ও সুন্দরীমোহন দাসের উপস্থিতিতে সরকারি স্কুল কলেজের নাম দেয়া হয় 'গোলামখানা' । দলে দলে ছাত্ররা ব্রিটিশের স্কুল-কলেজ ত্যাগ করে । ১৯২৭ সালে রতনমণি লোকনাথ টাউন হল'এ অনুষ্ঠিত 'সুরমা উপত্যকা ছাত্র ফেডারেশন সম্মিলনী’তে যোগদান করেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম, জ্ঞানতাপস ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ ও শের এ বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক । ১৯২৮ সালে এখানে সুরমা উপত্যকা রাজনৈতিক যুব সম্মেলন হয়, উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত বাগ্মী বিপিনচন্দ্র পাল, ডাক্তার সুন্দরীমোহন দাস, আসাম কংগ্রেস নেতা বসন্তকুমার দাস প্রমুখ ।
শ্রীহট্টে ঘরোয়া সভার এটাই ছিলো একমাত্র উল্যেখযোগ্য স্থান । কিছুকাল পরে এই ভবনটির উত্তরপাশে ১৯৩৬ সালের ২০শে জানুয়ারী 'ইন্দেশ্বর টি এন্ড ট্রেডিং কোম্পানী' তাদের অন্যতম পরিচালক সারদাচরণ শ্যাম'এর স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মাণ করে 'সারদা মেমোরিয়াল হল' । উল্লেখ্য যে, এবছরই যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল 'কীন্ ব্রিজ'।
পরবর্তীতে এই টাউন হলের নিয়ন্ত্রণ সিলেট পৌরসভার অধীনে চলে যায়, পৌর কর্তৃপক্ষ এখানে একটি গণপাঠাগার স্থাপন করেন । পাঠক সমাবেশে 'পৌর পাঠাগার' নামে এর দিনগুলো চলছিলো বেশ । বর্তমানে ডিজিটাল উন্নয়নের যাঁতাকলে এই টিনশেড্ ভবনের স্থানে নির্মিত হয়েছে বহুতল ভবন । পাশের সারদা স্মৃতি ভবনে সড়িয়ে পৌর পাঠাগারের নাম দেয়া হয়েছে 'পীর হাবিবুর রহমান পাঠাগার' । ছিলো লোকনাথ রতনমণি টাউন হল, এখন সেটি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিবহন পুল, ও স্যুয়ারেজ সেকশন হিসেবে ব্যবহৃত ।
কালের অতলগর্ভে হারিয়ে গেলো নগেন্দ্রনাথ চৌধুরী'র শতবর্ষপ্রাচীণ রতনমণি লোকনাথ টাউন হল ।

22/11/2019

#⃣চলুন ঘুরে আসি ৯০০ বছরের পুরনো মুসলিম গ্রাম

ইথিওপিয়া উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র । এর সরকারি নাম ইথিওপীয় সরকারী গণপ্রজাতন্ত্র। উঁচু পর্বত আর ঊষর মরুভূমির এই রুক্ষ দেশটিতে ৭০টিরও বেশি জাতিগত ও ভাষাগত গোষ্ঠীর মানুষের বাস।
বিংশ শতাব্দী পর্যন্তও দেশটি আবিসিনিয়া নামে পরিচিত ছিল। ইথিওপিয়া আফ্রিকার প্রাচীনতম স্বাধীন রাষ্ট্র। প্রথম শতাব্দীতে এখানে আকসুম নামের একটি শক্তিশালী খ্রিস্টান সাম্রাজ্যের পত্তন হয়। ১৬শ শতকের পরে ইথিওপিয়া অনেকগুলি ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। ১৮৮০ -র দশকে
রাজা ২য় মেনেলিক -এর অধীনে এগুলি পুনরায় একত্রিত হয়। ১৯৫০-এর দশক থেকে ইরিত্রিয়া ইথিওপিয়ার একটি অংশ ছিল, কিন্তু ১৯৯৩ সালে এটি বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করে।
ইথিওপিয়ার উত্তর-পূর্বে ইরিত্রিয়া এবং
জিবুতি , পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে
সোমালিয়া , দক্ষিণ-পশ্চিমে কেনিয়া এবং পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে সুদান । দেশটি নয়টি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত। প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে প্রধান জাতিগত গোষ্ঠী বাস করে। আদ্দিস আবাবা ইথিওপিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম
ইথিওপিয়ার প্রাচীন নাম, আবিসিনিয়া
হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর নির্দেশে হযরত উসমান বিন আফফান (রাঃ) মুসলমানদের একটি দলকে নিয়ে সর্বপ্রথম আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন।আবিসিনিয়ার ততকালীন খ্রিষ্টান রাজা নাজ্জাসি, তিনি মুসলিমদের এই দলকে সাদরে গ্রহণ করেন,এবং সেখানে তাদের স্বাধীনভাবে ইসলাম পালন করতে দেন,পরবর্তী সময়ে নাজ্জাসি ইসলাম গ্রহণ করেন।
ইসলামের প্রথম মোয়াজ্জিন হযরত বিলাল ইবনে রবাহ (রাঃ) আবিসিনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
আমি যা মনে করি তারাই পিউর ঈমান নিয়ে এখনো পাহাড়ে পর্বতে ঠিকে আছে,তারা দাজ্জালি ফিতনা থেকে অনেকটাই নিরাপদ।

 #ওয়ান্ডারল্যান্ড, স্বামীবাগএই পার্কটি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সায়েদাবাদ রেলক্রসিং এর পাশে এই পার্কটি অবস্থিত। পরিধি ৩০...
29/10/2019

#ওয়ান্ডারল্যান্ড, স্বামীবাগ
এই পার্কটি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সায়েদাবাদ রেলক্রসিং এর পাশে এই পার্কটি অবস্থিত। পরিধি ৩০০ গজ/২২০ গজ। এই পার্কটি ব্যাক্তিমালিকানাধীন। প্রতিদিন সকাল ১০.০০ টা থেকে রাত ৮.৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। পথ শিশুদের জন্য বিশেষ সুযোগ রয়েছে আলোচনা সাপেক্ষে।
#⃣ যেসব রাইড রয়েছে
এই পার্কে সর্বমোট ১৩টি রাইড রয়েছে। এদের নাম – ট্রেন, ভয়েজার বোর্ড, প্যারাটুপার, টুইস্টার, সুপার চেয়ার, ফ্লাওয়ার ক্যাপ, মিটি ট্রেন, মিনি ক্যাব, বেবি কার, মেরি গো, ওয়ান্ডার হুইল, বাইনস চপার, থ্রি-হর্স প্রভৃতি। এই পার্কে ওয়াটার রাইড নেই।
#⃣ টিকেট কাউন্টার ও প্রবেশ মূল্য
সায়েদাবাদ পার্কে সর্বমোট ৪টি টিকেট কাউন্টার রয়েছে। কাউন্টারগুলো মেইট গেইটের দুই পাশে অবস্থিত। এখানে বয়স ভিত্তিক টিকেটের কোন বিভক্তি নেই। এছাড়া এখানে অগ্রীম বা অনলাইনে টিকেট সংগ্রহের কোন সুবিধা নেই। পার্কের প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা (জন প্রতি) এবং সকল প্রকার রাইডের মূল্য ২০ টাকা করে। কর্পোরেটদের জন্য আলাদা কোন প্যাকেজ নেই। স্কুল ছাত্রদের জন্য প্যাকেজ আলোচনা সাপেক্ষে। প্যাকেজ এর জন্য পার্কের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
#⃣ ফুড কর্ণার
এই পার্কটিতে ৩টি ফুড কর্ণার রয়েছে। এগুলো প্রধান গেইট থেকে ৫০ গজ সামনে। এখানে প্রাপ্ত খাদ্যগুলোর মধ্যে – বার্গার ৪০ টাকা, নুডুলস ৬০ টাকা, চটপটি ও ফুচকা ২০/২৫ টাকা, কোন আইসক্রিম ৩৫ টাকা, চকবার ২৫ টাকা, ফিস কাপ/ফান কাপ ৩০ টাকা। স্পিড (ড্রিংকস) ৩৫ টাকা, মোজো (ক্যান) ৩৫ টাকা।
#⃣ বিশেষ ব্যবস্থা
এই পার্কটিতে শুধুমাত্র ছাত্রদের জন্য আলোচনা সাপেক্ষে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া পথ শিশুদের জন্যও আলোচনা সাপেক্ষে বিশেষ সুযোগ রয়েছে।
#⃣ বিবিধ
পার্কে প্রবেশের সময় নিজ নিজ মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং কোন গাছের ফুল ও পাতা নষ্ট না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। খাবার ও অন্য কোন ভারী জিনিস সঙ্গে না নেওয়ার জন্য বলা হয়। এছাড়া অন্য সব কিছু নেওয়ার অনুমতি রয়েছে। যেমন – মোবাইল ফোন, ক্যামেরা প্রভৃতি। প্রধান গেটের পাশে ২ – ৪ টি গাড়ি পার্কিং করা যায়। অগ্নি নির্বাপন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া পার্কটিতে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রধান গেইটের বাম পাশে নারীদের জন্য ২টি টয়লেট এবং পুরুষদের জন্য ২টি টয়লেট রয়েছে।

🕋 পৃথিবীর বড় পর্যটক স্থান মক্কা মদিনা মানুষের জীবনে বড় একটি আনন্দময় সময় হলো দূরে কথাও সফর করা, আর এমন ইচ্ছা পূরণ করত...
24/10/2019

🕋 পৃথিবীর বড় পর্যটক স্থান মক্কা মদিনা

মানুষের জীবনে বড় একটি আনন্দময় সময় হলো দূরে কথাও সফর করা, আর এমন ইচ্ছা পূরণ করতে লাগে মোটা আন্কের টাকা,
মুসলিম জহানের ফরজ একটি ইবাদত এর মধ্যে অন্যতম হলো হজ্ব যা পালন করতে হয় পর্যাপ্ত অর্থ প্রাপ্ত লাভের মাধ্যমে, যা কিনা হলেই চলে যায় দূর কথাও। পৃথিবীর সব চেয়ে জনপ্রিয় পর্যটক স্থান মক্কা যেখানে প্রতি বছর সফর করে থাকেন ৮৩-৮৪ লক্ষ মানুষ। যেখানে রয়েছে পৃথিবীর পুরাতন ঐতিহাসিক স্থাপনা। আল্লাহ সবাইকে যাওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন।
আর আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করুন—‘হে আল্লাহ! আমার হজকে সহজ করো, কবুল করো’—দেখবেন, আপনার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। হজের দীর্ঘ সফরে ধৈর্য হারাবেন না। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মানসিকতা রাখবেন, তাহলে অল্পতেই বিচলিত হবেন না।
হজে যাওয়ার আগে
পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট সংগ্রহ ও তারিখ নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করতে ভুলবেন না। নিয়ম মেনে ম্যানিনজাইটিস টিকা বা অন্যান্য ভ্যাকসিন দিয়ে নিন। হজের নিয়ম জানার জন্য একাধিক বই পড়তে পারেন। ‘প্রথম আলো হজ গাইড’ চাইলে সংগ্রহ করতে পারেন। অথবা যাঁরা পড়তে পারেন না, তাঁরা অন্য হাজিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে পারেন। হজের কোনো বিষয়ে বিভিন্নতা দেখলে ঝগড়া করবেন না। আপনি যে আলেমের ইলম ও তাকওয়ার ওপর আস্থা রাখেন, তার সমাধান অনুযায়ী আমল করবেন, তবে সে মতে আমল করার জন্য অন্য কাউকে বাধ্য করবেন না। পরিচিত অথবা এলাকার দলনেতার (গ্রুপ লিডার) সঙ্গে আলাপ করতে পারেন।
মানসিক প্রস্তুতি জরুরি
হজ করতে যাচ্ছেন—যাত্রার শুরুতে নিজেকে এমনভাবে মানসিকভাবে তৈরি করে নিন, যেন দেহ-মনে কোনো কষ্ট না থাকে। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে হজ হলো দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত এবং শ্রমসাধ্য ব্যাপার।
মালপত্র হালকা রাখুন, কারণ নিজের মালপত্র নিজেকেই বহন করতে হবে। সঙ্গীদের সম্মান করুন, তাঁদের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকৃত ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। দলের (গ্রুপের) দুর্বল বয়স্কদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। সৌদি আরবে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ কাবা শরিফে জামাতে আদায় করার চেষ্টা করবেন। যাত্রার শুরুতে ভালো সফরসঙ্গী খুঁজে নেবেন, যাতে নামাজ পড়তে ও চলাফেরায় একে অন্যের সাহায্য নিতে পারেন।
আপনি হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাচ্ছেন; সেখানকার মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলে, রাস্তাঘাট অচেনা। হজযাত্রীদের সেবা করার জন্য সৌদি আরব ও বাংলাদেশ সরকার নানা রকম ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
প্রয়োজনীয় মালপত্র
হজের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র সংগ্রহ করা দরকার। যেমন: ১. বিমানের টিকিট, ডলার কেনা, ২. পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, টাকা রাখার জন্য গলায় ঝোলানো ছোট ব্যাগ, ৩. পুরুষের জন্য ইহরামের কাপড় কমপক্ষে দুই সেট (প্রতি সেটে শরীরের নিচের অংশে পরার জন্য আড়াই হাত বহরের আড়াই গজ এক টুকরা কাপড় আর গায়ের চাদরের জন্য একই বহরের তিন গজ এক টুকরা কাপড়। ইহরামের কাপড় সাদা, সুতি হলে ভালো হয়) আর নারীদের জন্য সেলাইযুক্ত স্বাভাবিক পোশাকই ইহরামের কাপড় ৪. নরম ফিতাওয়ালা স্যান্ডেল, ৫. ইহরাম পরার কাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হলে কটিবন্ধনী (বেল্ট), ৬. গামছা, তোয়ালে, ৭. লুঙ্গি, গেঞ্জি, পায়জামা, পাঞ্জাবি (আপনি যে পোশাক পরবেন), ৮. সাবান, পেস্ট, ব্রাশ, মিসওয়াক, ৯. নখ কাটার যন্ত্র, সুই-সুতা, ১০. থালা, বাটি, গ্লাস, ১১. হজের বই, কোরআন শরিফ, ধর্মীয় পুস্তক, ১২. কাগজ-কলম, ১৩. শীতের কাপড় (মদিনায় ঠান্ডা পড়ে), ১৪. প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, চশমা ব্যবহার করলে অতিরিক্ত একটি চশমা (ভিড় বা অন্য কোনো কারণে ভেঙে গেলে ব্যবহারের জন্য), ১৫. বাংলাদেশি টাকা (দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার জন্য), ১৬. নারীদের জন্য বোরকা, ১৭. যত দিন বিদেশে থাকবেন, সেই অনুযায়ী নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রসহ ওষুধ নেবেন, ১৮. মোবাইল সেট (সৌদি আরবে ব্যবহার করা যায়, তেমন সিম কিনে নিতে হবে) ১৯. মালপত্র নেওয়ার জন্য ব্যাগ অথবা স্যুটকেস (তালা-চাবিসহ) নিতে হবে। ব্যাগের ওপর ইংরেজিতে নিজের নাম-ঠিকানা, ফোন নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর লিখতে হবে। এর বাইরে আরও কিছু প্রয়োজনীয় মনে হলে তা নিয়ম মেনে সঙ্গে নিতে হবে। ।
ঢাকার আশকোনায় অবস্থিত হাজ ক্যাম্পে টিকা দেওয়া, হজের প্রশিক্ষণ, বৈদেশিক মুদ্রা কেনাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস পাওয়া যায়।
ঢাকার হাজ ক্যাম্প
বিমানে যাত্রার আগে হাজ ক্যাম্পে যত দিন অবস্থান করবেন, আপনার মালপত্র খেয়াল রাখবেন।
* কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন নেওয়া বাকি থাকলে অবশ্যই তা নিয়ে নিন। প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে নিন।
ব্যাগেজ নিয়মকানুন
বিমানে উড্ডয়নকালে হাত ব্যাগে ছুরি, কাঁচি, দড়ি নেওয়া যাবে না। বিমান কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা অনুযায়ী বিমানে কোনো হজযাত্রী সর্বোচ্চ ৩০ কেজির বেশি মালামাল বহন করতে পারবেন না। নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত কোনো ওষুধ নিতে পারবেন না। চাল, ডাল, শুঁটকি, গুড় ইত্যাদিসহ পচনশীল খাদ্যদ্রব্য যেমন: রান্না করা খাবার, তরিতরকারি, ফলমূল, পান, সুপারি ইত্যাদি সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়া যাবে না ।
জরুরি কাগজপত্র
১০ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি, স্ট্যাম্প আকারের ৬ কপি ছবি, পাসপোর্টের ২-৩ পাতার সত্যায়িত ফটোকপি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, টিকা কার্ড। নারী হজযাত্রীর ক্ষেত্রে শরিয়তসম্মত মাহরামের সঙ্গে সম্পর্কের সনদ, ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ। প্রত্যেক হজযাত্রীর ৭ সংখ্যার একটি পরিচিতি নম্বর থাকে। এর প্রথম ৪ সংখ্যা এজেন্সির নম্বর আর শেষ ৩ সংখ্যা হজযাত্রীর পরিচিতি নম্বর। এই নম্বরটি জানা থাকলে হজযাত্রী ও তাঁর আত্মীয়স্বজন ওয়েবসাইটে ওই হাজির তথ্য পেতে পারেন সহজে। বাড়তি সতর্কতার জন্য নিজের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, হজ এজেন্সির নাম এবং সৌদি আরবে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির প্রতিনিধির মোবাইল নম্বরসহ ঠিকানা ইংরেজিতে লিখে রাখুন। সৌদি আরবে অবস্থানকালে বাসস্থানের বাইরে গেলে হজযাত্রীকে পরিচয়পত্র, মোয়াল্লেম কার্ড ও হোটেলের কার্ড অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে ।
ইহরাম
আপনার গন্তব্য ঢাকা থেকে মক্কায়, নাকি মদিনায়—তা জেনে নিন। যদি মদিনায় হয়, তাহলে এখন ইহরাম বাঁধা নয়; যখন মদিনা থেকে মক্কায় যাবেন, তখন ইহরাম বাঁধতে হবে। বেশির ভাগ হজযাত্রী আগে মক্কায় যান। যদি মক্কা যেতে হয়, তাহলে ঢাকা থেকে বিমানে ওঠার আগে ইহরাম বাঁধা ভালো। কারণ, জেদ্দা পৌঁছানোর আগেই ‘মিকাত’ বা ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট স্থান। বিমানে যদিও ইহরাম বাঁধার কথা বলা হয়, কিন্তু ওই সময় অনেকে ঘুমিয়ে থাকেন; আর বিমানে পোশাক পরিবর্তন করাটাও দৃষ্টিকটু। বিনা ইহরামে মিকাত পার হলে এ জন্য দম বা কাফফারা দিতে হবে। তদুপরি গুনাহ হবে। ইহরাম গ্রহণের পর সাংসারিক কাজকর্ম নিষেধ—যেমন সহবাস করা যাবে না, পুরুষদের জন্য কোনো সেলাই করা জামা, পায়জামা ইত্যাদি পরা বৈধ নয়, কথা ও কাজে কাউকে কষ্ট দেওয়া যাবে না, নখ, চুল, দাড়ি-গোঁফ ও শরীরের একটি পশমও কাটা বা ছেঁড়া যাবে না, কোনো ধরনের সুগন্ধি লাগানো যাবে না, কোনো ধরনের শিকার করা যাবে না, ক্ষতিকারক সকল প্রাণী মারা যাবে। ক্ষতি করে না এমন কোনো প্রাণী মারা যাবে না।
ঢাকা বিমানবন্দর
উড্ডয়নের সময় অনুযায়ী বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে লাগেজে যে মালপত্র দেবেন, তা ঠিকমতো বাঁধা হয়েছে কি না, দেখে নেবেন। বিমানের কাউন্টারে মালপত্র রেখে এর টোকেন দিলে তা যত্ন করে রাখবেন। কারণ, জেদ্দা বিমানবন্দরে ওই টোকেন দেখালে সেই ব্যাগ আপনাকে ফেরত দেবে। ইমিগ্রেশন, চেকিংয়ের পর নিজ মালপত্র যত্নে রাখুন।
* বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র, বিমানের টিকিট, টিকা দেওয়ার কার্ড, অন্য কাগজপত্র, টাকা, বিমানে পড়ার জন্য ধর্মীয় বই ইত্যাদি গলায় ঝোলানোর ব্যাগে যত্নে রাখুন। সময়মতো বিমানে উঠে নির্ধারিত আসনে বসুন।
জেদ্দা বিমানবন্দর
বিমান থেকে নামার পর দেখবেন, একটি হলঘরে বসার ব্যবস্থা করা আছে। অবতরণ কার্ড, হেলথ কার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদি কাগজপত্র বের করুন। এই হলঘরের পাশেই ইমিগ্রেশন কাউন্টার। ইমিগ্রেশন পুলিশ ভিসা দেখে (ছবি ও আঙুলের ছাপ নিয়ে) পাসপোর্টের নির্দিষ্ট পাতায় সিল দেবেন। বিমানের বেল্টে মালামাল খুঁজে নিরাপত্তা-তল্লাশির জন্য মালামাল দিন। তারপর মোয়াল্লেমের কাউন্টার। সৌদি আরবে বিমানবন্দরে নামার পর থেকে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে হাজিদের মক্কা-মদিনায় পৌঁছানো, মক্কা-মদিনায় আবাসন, মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতে থাকা-খাওয়া, যাতায়াতসহ সবকিছুর ব্যবস্থা যাঁরা করেন, তাঁদের বলা হয় মোয়াল্লেম। সৌদি আরবের নাগরিকেরাই হতে পারেন মোয়াল্লেম। প্রত্যেক মোয়াল্লেমের নির্দিষ্ট নম্বর আছে। মোয়াল্লেমের কাউন্টার থেকে মিলিয়ে নেবেন তার অধীন কোন কোন হাজি সৌদি আরবে এসে পৌঁছেছেন।
* লাল-সবুজ পতাকা অনুসরণ করে ‘বাংলাদেশ প্লাজায়’ পৌঁছাবেন। হজ টার্মিনাল শুধু হজযাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। শুধু হজের সময় (জিলকদ, জিলহজ ও মহররম মাসে) এটি চালু থাকে। বছরের বাকি সময় বন্ধ থাকে। বিমানবন্দর টার্মিনালের চারদিক খোলা। ঐতিহ্যবাহী তাঁবুর নকশায় করা ছাদ। এই হজ টার্মিনালের স্থপতি কিন্তু বাংলাদেশি। নাম ফজলুর রহমান খান, যিনি এফ আর খান নামে পরিচিত।
হজ টার্মিনাল
হজ টার্মিনালের ‘বাংলাদেশ প্লাজায়’ গিয়ে অপেক্ষা করুন। অপেক্ষা দীর্ঘ হতে পারে, ধৈর্য হারাবেন না। সেখানে অজু করা, নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। বসার জন্য চেয়ারও রয়েছে। প্রতি ৪৫ জনের জন্য একটি বাসের ব্যবস্থা। মোয়াল্লেমের গাড়ি আপনাকে জেদ্দা থেকে মক্কায় যে বাড়িতে থাকবেন, সেখানে নামিয়ে দেবে। মোয়াল্লেমের নম্বর (আরবিতে লেখা) কবজি বেল্ট দেওয়া হবে আপনাকে, তা হাতে পরে নেবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র (যাতে পিলগ্রিম নম্বর, নাম, ট্রাভেল এজেন্টের নাম ইত্যাদি থাকবে) গলায় ঝোলাবেন।
জেদ্দা থেকে মক্কায় পৌঁছাতে দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। চলার পথে তালবিয়া পড়ুন (লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক...)।
একনজরে হজের কার্যক্রম
মক্কায় পৌঁছানোর পর
মক্কায় পৌঁছে আপনার থাকার জায়গায় মালপত্র রেখে ক্লান্ত থাকলে বিশ্রাম করুন। আর যদি নামাজের ওয়াক্ত হয়, নামাজ আদায় করুন। বিশ্রাম শেষে দলবদ্ধভাবে ওমরাহর নিয়ত করে থাকলে ওমরাহ পালন করুন।
* মসজিদুল হারামে (কাবা শরিফ) অনেক প্রবেশপথ আছে। সব কটি দেখতে একই রকম। কিন্তু প্রতিটি প্রবেশপথে আরবি ও ইংরেজিতে ১, ২, ৩ নম্বর ও প্রবেশপথের নাম আছে, যেমন ‘বাদশা আবদুল আজিজ প্রবেশপথ’। আপনি আগে থেকে ঠিক করবেন, কোন প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকবেন বা বের হবেন। সফরসঙ্গীকেও স্থান চিনিয়ে দিন। তিনি যদি হারিয়ে যান, তাহলে নির্দিষ্ট নম্বরের গেটের সামনে থাকবেন। এতে ভেতরে ভিড়ে হারিয়ে গেলেও নির্দিষ্ট স্থানে এসে সঙ্গীকে খুঁজে পাবেন।
* কাবা শরিফে জুতা-স্যান্ডেল রাখার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকবেন, নির্দিষ্ট স্থানে জুতা রাখার জায়গায় রাখুন। যেখানে-সেখানে জুতা রাখলে পরে খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রতিটি জুতা রাখার র্যাকেও নম্বর দেওয়া আছে। এই নম্বর মনে রাখুন। চাইলে জুতা বহন করার ব্যাগ সঙ্গে রাখতে পারেন।
* কাবা ঘরের চারটি কোণের আলাদা নাম আছে: হাজরে আসওয়াদ, রকনে ইরাকি, রকনে শামি ও রকনে ইয়ামেনি। হাজরে আসওয়াদ বরাবর কোণ থেকে শুরু হয়ে কাবাঘরের পরবর্তী কোণ রকনে ইরাকি (দুই কোণের মাঝামাঝি স্থান মিজাবে রহমত ও হাতিম)। তারপর যথাক্রমে রকনে শামি ও রকনে ইয়ামেনি। এটা ঘুরে আবার হাজরে আসওয়াদ বরাবর এলে তাওয়াফের এক চক্কর পূর্ণ হয়। এভাবে একে একে সাত চক্কর দিতে হয়।
* ওমরাহর নিয়মকানুন আগে জেনে নেবেন। এসব কাজ ধারাবাহিকভাবে করতে হবে, যেমন: সাতবার তওয়াফ করা, নামাজ আদায় করা, জমজমের পানি পান করা, সাঈ করা (সাফা-মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানো—যদিও মসৃণ পথ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত), মাথা ন্যাড়া অথবা চুল ছোট করা। ওয়াক্তের নামাজের সময় হলে, যতটুকু হয়েছে ওই সময় নামাজ পড়ে আবার বাকিটুকু শেষ করা।
ওমরাহ
হিল (কাবা শরিফের সীমানার বাইরে মিকাতের ভেতরের স্থান) থেকে অথবা মিকাত থেকে ইহরাম বেঁধে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া সাঈ করা এবং মাথার চুল ফেলে দেওয়া বা ছোট করাকে ওমরাহ বলে।
* হজ তিন প্রকার—তামাত্তু, কিরান ও ইফরাদ। হজের মাসসমূহে (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) ওমরাহর নিয়তে ইহরাম করে, ওমরাহ পালন করে, পরে হজের নিয়ত করে হজ পালন করাকে হজে তামাত্তু বলে।
* হজের মাসসমূহে একই সঙ্গে হজ ও ওমরাহ পালনের নিয়তে ইহরাম করে ওমরাহ ও হজ করাকে হজে কিরান বলে। আর শুধু হজ পালনের উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধে হজ সম্পাদনকে হজে ইফরাদ বলে।
আরও কিছু পরামর্শ
* সৌদি আরবে অবস্থানকালে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। সিগন্যাল পড়লে রাস্তা পার হতে হবে। রাস্তা পার হওয়ার সময় অবশ্যই ডানে-বাঁয়ে দেখেশুনে সাবধানে পার হতে হবে। কখনো দৌড়ে রাস্তা পারাপার হবেন না।
* কাবা শরিফ ও মসজিদে নবিবর ভেতরে কিছুদূর পরপর পবিত্র কোরআন মজিদ রাখা আছে। আর পাশে জমজম পানি (স্বাভাবিক ও ঠান্ডা) খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
* কোনো ধরনের অসুস্থতা কিংবা দুর্ঘটনায় পড়লে বাংলাদেশ হজ মিশনের মেডিকেল সদস্যের (চিকিৎসক) সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
* হজযাত্রীদের তথ্য, হারানো হজযাত্রীদের খুঁজে পাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশ হজ মিশনে অবস্থিত আইটি হেল্প ডেস্ক সাহায্য করে।
* মিনার ম্যাপ থাকলে হারানোর ভয় নেই। মিনার কিছু অবস্থান চিনে নিজের মতো করে আয়ত্তে আনলে এখানে চলাচল করা সহজ হয়। যেমন জামারা (শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপের স্থান), মসজিদে খায়েফ, মিনায় তিনটি ব্রিজ—কিং খালেদ ব্রিজ ১৫ নম্বর, বাদশাহ আবদুল্লাহ ব্রিজ ২৫ নম্বর, বাদশাহ ফয়সাল ব্রিজ ৩৫ নম্বর। হাঁটার পথ (টিনশেড নামে পরিচিত)। এখানে সাতটি জোন রয়েছে। মিনার বড় রাস্তাগুলোর ভিন্ন ভিন্ন নাম ও নম্বর রয়েছে।
* রাস্তার নাম ও নম্বর জানা থাকলে মিনায় চলাচল সহজ হয়। পথ হারানোর সুযোগ কম থাকে। বড় রাস্তাগুলো হলো: কিং ফয়সাল রোড ৫০ নম্বর রাস্তা, আলজাওহারাত রোড ৫৬ নম্বর রাস্তা, সুক্কল আরব রোড ৬২ নম্বর রাস্তা, কিং ফাহাদ রোড ৬৮ নম্বর রাস্তা। মিনায় রেলস্টেশন ৩টি। মুজদালিফায় রেলস্টেশন ৩টি। এ ছাড়া রয়েছে সুড়ঙ্গপথ, টানেল, পায়ে চলার রাস্তা, হাসপাতাল, মসজিদ, পোস্ট অফিস, মিনার বাদশাহ বাড়ি, রয়েল গেস্টহাউস (রাজকীয় অতিথি ভবন) মোয়াচ্ছাসা কার্যালয়।
* ছাপানো অথবা ইন্টারনেটে মক্কা, মদিনা, মিনা, আরাফাতের মানচিত্র পাওয়া যায়। সম্ভব হলে মানচিত্র দেখুন তাহলে ওখানকার রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন।
* হাজিদের একটি অংশ নিজে মুস্তাহালাকায় (পশুর হাট ও জবাই করার স্থান) গিয়ে কোরবানি দেয়। অন্য অংশ ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) মাধ্যমে কোরবানি দেয়। আইডিবির কুপন কিনে কোরবানি দেওয়া সৌদি সরকারের স্বীকৃত ব্যবস্থা ।
* মনে রাখবেন, মসজিদে নবিব ও মসজিদুল হারামের সীমানার মধ্যে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
* হাঁচি কিংবা কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই মুখ ঢেকে নিতে হবে। শরীরের কোনো স্থান কেটে গেলে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করুন।
* কোনো কোনো হজযাত্রী হেঁটে হজের আমলগুলো করে থাকেন। যেমন মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় আট কিলোমিটার। আরাফাত থেকে মুজদালিফার দূরত্ব প্রায় নয় কিলোমিটার। মুজদালিফা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। এসব স্থানবিশেষে হেঁটে যেতে এক থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
* মাহরাম (যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা করা জায়েজ। যেমন স্বামী, বাবা, আপন ভাই, আপন চাচা-মামা, ছেলে ইত্যাদি) ছাড়া নারী হজযাত্রী এককভাবে হজে গমনের যোগ্য বিবেচিত হন না; নারী হজযাত্রীকে মাহরামের সঙ্গে একত্রে টাকা জমা দিতে হয়।
* মক্কায় বাসার দূরত্ব নির্ধারিত হয় কাবা শরিফ থেকে। আর মদিনায় মসজিদে নবিব থেকে। বাসস্থান কত দূর, তার ওপর নির্ভর করে হজের ব্যয়ের টাকা। অর্থাৎ কাবা শরিফ থেকে বাসার দূরত্ব কম হলে খরচ বেড়ে যাবে। যত বেশি দূরত্ব হবে, খরচও তত কম হবে।
* হজের সময় হজযাত্রীদের যেন কোনো রকম কষ্ট না হয়, আপনার ট্রাভেল এজেন্সি আপনাকে যথাযথ সুবিধাদি (দেশ থেকে আপনাকে থাকা, খাওয়াসহ অন্য যেসব সুবিধার কথা বলেছিল) না দিলে আপনি মক্কা ও মদিনার বাংলাদেশ হজ মিশনকে জানাতে পারেন। এতেও আপনি সন্তুষ্ট না থাকলে সৌদির ওয়াজারাতুল হজ (হজ মন্ত্রণালয়) বরাবর লিখিত অভিযোগ করতে পারেন।
* মদিনা থেকে যদি মক্কায় আসেন, তাহলে ইহরামের কাপড় সঙ্গে নিতে হবে।
* মিনায় মোয়াল্লেম নম্বর বা তাঁবু নম্বর জানা না থাকলে যে কেউ হারিয়ে যেতে পারেন। মোয়াল্লেম অফিস থেকে তাঁবুর নম্বরসহ কার্ড দেওয়া হয়। তা যত্নে রাখতে হবে। বাইরে বের হওয়ার সময়ও কার্ডটি সঙ্গে রাখুন। সমস্যা এড়ানোর জন্য যে তাঁবুতে অবস্থান করবেন, সেই তাঁবু চিহ্নিত করে নিন।
* মিনায় জামারা থেকে আপনার তাঁবুর অবস্থান, তাঁবু থেকে মসজিদুল হারামে যাওয়া-আসার পথ সম্পর্কে ধারণা নিন। ভিড় এড়াতে কেউ কেউ হেঁটে সুড়ঙ্গ (টানেলের) পথ দিয়ে মসজিদুল হারামে পৌঁছান। হাঁটার পথ চিনতে স্থানীয় (কোনো বাংলাদেশিকে বললে দেখিয়ে দেবেন) বা গুগল ম্যাপের সহায়তা নিতে পারেন।
* অনেকে ট্যাবলেট বা আইফোন নিয়ে যান। রাস্তাঘাট, অবস্থান ইত্যাদি জানতে হজ ও পিলগ্রিম অ্যাপসের সহায়তা নিতে পারেন।
* আরাফাতের ময়দানে অনেক প্রতিষ্ঠান বিনা মূল্যে খাবার, জুস, ফল ইত্যাদি দিয়ে থাকে। ওই সব খাবার আনতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়তে হয়। তাই এ ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে।
* মুজদালিফায় রাতে থাকার জন্য প্লাস্টিকের পাটি ব্যবহার করতে পারেন। মক্কাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাটি কিনতে পাওয়া যায়।
* মিনায় চুল কাটার লোক পাওয়া যায়। নিজেরা নিজেদের চুল কাটবেন না, এতে মাথা কেটে যেতে পারে।
* মিনায় কোনো সমস্যা হলে বাংলাদেশ হজ মিশনের তাঁবুতে যোগাযোগ করবেন।
* হজযাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড়ে পথ হারানোর আশঙ্কা থাকে। তবে এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এ ব্যাপারে হজযাত্রীদের সচেতন থাকতে হবে। অনেক বাংলাদেশি হজযাত্রী হারিয়ে যাওয়ার কারণে হজের আহকাম বা নিয়মকানুন ঠিকমতো পালন করতে পারেন না।
* মক্কা-মদিনায় প্রচুর বাংলাদেশি হোটেল আছে। মক্কার হোটেলগুলোর নাম ঢাকা, এশিয়া, চট্টগ্রাম, জমজম ইত্যাদি। এসব হোটেলে ভাত, মাছ, মাংস, সবজি, ডাল—সব ধরনের বাঙালি খাবার পাওয়া যায়। হোটেল থেকে পার্সেলে একজনের খাবার কিনলে বাড়িতে বসে অনায়াসে দুজন খেতে পারেন।
* মক্কা-মদিনায় প্রচুর ফলমূল ও ফলের রস পাওয়া যায়। এগুলো কিনে খেতে পারেন।
* মক্কা-মদিনায় অনেক বাংলাদেশি কাজ করেন, তাই ভাষাগত কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কেনাকাটার সময় দরদাম করে কিনবেন।
* হজের সময় প্রচুর হাঁটাচলা করতে হয়, পকেটে টাকা থাকলেও যানবাহন পাওয়া যায় না।
* মক্কায় ঐতিহাসিক স্থান হেরা গুহা, সওর পর্বত, মিনায় আল-খায়েফ মসজিদ, নামিরা মসজিদ, আরাফাতের ময়দান, মুজদালিফা, জামারা (শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর ছোড়ার স্থান) জান্নাতুল মা’আলা (কবরস্থান), মসজিদে জিন, মক্কা জাদুঘর, গিলাফ তৈরির কারখানা, লাইব্রেির। মদিনায় মসজিদে নববি, জান্নাতুল বাকি (কবরস্থান), ওহুদ পাহাড়, খন্দক, মসজিদে কুবা, মসজিদে কেবলাইতাইন, মসজিদে জুমআ, মসজিদে গামামাহ, মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বাদশাহ ফাহাদ কোরআন শরিফ প্রিন্টিং কমপ্লেক্স ঘুরে আসতে পারেন।
হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা। এর পারিভাষিক অর্থ আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে শরিয়তের নিয়মানুসারে নির্দিষ্ট সময়ে কাবা শরিফ ও সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে নির্দিষ্ট কাজ করা। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ হলো পবিত্র হজ।
একনজরে হজের কার্যক্রম
১ ইহরাম বাঁধা ২ ৭-৮ জিলহজ মিনায় অবস্থান ৩ ৯ জিলহজ সূর্যোদয়ের পরে মিনা থেকে আরাফাতে অবস্থান এবং সূর্যাস্তের পরে মুজদালিফায় যাওয়া
৪ ৯ জিলহজ মুজদালিফায় রাতযাপন ৫ ১০ জিলহজ মিনায় বড় জামারাকে (শয়তান) কঙ্কর মারা, কোরবানি করা, মাথার চুল ফেলে দেওয়া ৬ ১২ জিলহজের মধ্যে তাওয়াফ জিয়ারত, সাঈ করা ৭ ১১, ১২ জিলহজ মিনায় জামারাকে (শয়তান) কঙ্কর মারা ৮ বিদায়ী তাওয়াফ
সূত্র: হজ মন্ত্রণালয়, সৌদি আরব
টিকা দেওয়া
হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সিভিল সার্জনের কার্যালয় এবং যেসব জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আছে, সেখান থেকে করতে পারবেন।
মাধ্যম
এজেন্সি বা যে মাধ্যমে হজের টাকা জমা দিয়েছেন, তা জমা হয়েছে কি না, যাচাই করুন। www.hajj.gov.bd ওয়েবসাইটে নিজের নাম-ঠিকানা ঠিক আছে কি না দেখুন।
প্রয়োজনীয় মালপত্র
হজের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র সংগ্রহ করা এখন থেকেই শুরু করুন। আপনার মালপত্র হালকা রাখুন। কারণ, আপনাকেই তা বহন করতে হবে।
নিয়মকানুন
হজের নিয়মকানুন জানতে প্রয়োজনীয় বইপুস্তক পড়ুন।
প্রথম আলো হজ গাইড সংগ্রহ করতে পারবেন হজ ক্যাম্প অথবা প্রথম আলো কার্যালয় থেকে।
তালবিয়া
‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল্মুলক, লা শারিকা লাকা।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Safar Songi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Safar Songi:

Videos

Share

Category