30/08/2020
--যারা ই পাসপোর্ট করতে আগ্রহী এই পোষ্ট তাদের জন্য।--
"ই-পাসপোর্ট করার জন্য বিস্তারিত সকল তথ্যাদি"
⬛আবেদন
★অনলাইন আবেদনঃ ই-পাসপোর্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। কোন তথ্য বা বানান যেন ভুল না হয় সেদিকে অবশ্যই নজর রাখবেন। ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট লিংক- https://epassport.gov.bd/
°অনলাইনেই জমা দেওয়ার তারিখ পেয়ে যাবেন (এনরোলমেন্ট)।
★অফলাইন আবেদনঃ আপনি চাইলে অফলাইনেও আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে PDF ফর্ম ডাউনলোড করে PDF Editor এর মাধ্যমে কম্পিউটারে সরাসরি পূরণ করতে হবে। হাতে লেখা ফর্ম গ্রহণযোগ্য নয়। PDF ফর্ম ডাউনলোড লিংক- https://epassport.gov.bd/instructions/application-form
(অফলাইন সেবা এখনো চালু হয়নি; তবে খুব শীঘ্রই চালু হবে)
☑পরামর্শঃ অনলাইনেই সব কিছু করবেন। এতে আপনার ঝামেলা কম হবে এবং অনেক সময় বেঁচে যাবে।
⬛ফি পরিশোধ
★অনলাইন পরিশোধঃ সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে MasterCard, Visa, Q-Cash, bkash, DBBL Nexus গ্রহণযোগ্য।
°আবেদন সম্পূর্ণ করার পর অনলাইন পেমেন্ট অপশনটা শুধুমাত্র একবার আসবে। সুতরাং সকল প্রস্তুতি আগেই নিয়ে রাখতে হবে।
°অনলাইনে পেমেন্ট করার জন্য আপনার ব্রাউজারের পপ-আপ ব্লকার অক্ষম করতে হবে ।
★অফলাইন পরিশোধঃ
যার অনলাইনে পরিশোধ করতে পারবেন না তাদের জন্য অফলাইনে তথা ব্যাংকের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করার ব্যবস্থা রয়েছে। সোনালী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং ঢাকা ব্যাংকে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন।
°ব্যাংক ফি পরিশোধ করার সময় পাসপোর্ট আবেদনপত্র সাথে রাখতে হবে।
°পেমেন্ট স্লিপ অবশ্যই বুঝে নিয়ে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
★মেয়াদ ও পৃষ্ঠা অনুযায়ী পাসপোর্ট ফি (ভ্যাট সহ):
*৪৮ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট-
➡২১ দিনের মধ্যে নিয়মিত বিতরণ: ৪০২৫ টাকা।
➡১০ দিনের মধ্যে জরুরী বিতরণ: ৬৩২৫ টাকা।
➡২ দিনের মধ্যে অতীব জরুরী বিতরণ: ৮৬২৫ টাকা।
*৪৮ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট-
➡২১ দিনের মধ্যে নিয়মিত বিতরণ: ৫৭৫০ টাকা।
➡১০ দিনের মধ্যে জরুরী বিতরণ: ৮০৫০ টাকা।
➡২ দিনের মধ্যে অতীব জরুরী বিতরণ: ১০,৩৫০ টাকা।
*৬৪ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট
➡২১ দিনের মধ্যে নিয়মিত বিতরণ: ৬৩২৫ টাকা।
➡১০ দিনের মধ্যে জরুরী বিতরণ: ৮৬২৫ টাকা।
➡২ দিনের মধ্যে অতীব জরুরী বিতরণ: ১২০৭৫ টাকা।
*৬৪ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট
➡২১ দিনের মধ্যে নিয়মিত বিতরণ: ৮০৫০ টাকা।
➡১০ দিনের মধ্যে জরুরী বিতরণ: ১০৩৫০ টাকা।
➡২ দিনের মধ্যে অতীব জরুরী বিতরণ: ১৩৮০০ টাকা।
⬛পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রমঃ
বর্তমান ঠিকানা বা দেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিস বা দূতাবাসে আবেদন করতে হবে। আগারগাঁও অফিসে ৪০১ নাম্বার রুমে অনলাইন আবেদন পত্র জমা দিবেন।
★ঢাকা বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অধীনস্থ থানা-
°আগারগাঁও অফিসঃ শেরে-বাংলা নগর, মিরপুর, পল্লবী, শাহ আলী, কাফরুল, ভাষানটেক, ঢাকা ক্যান্টমেন্ট, বনানী, গুলশান, শাহজাহানপুর, রামপুরা, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শাহবাগ, রমনা, পল্টন, মতিঝিল, ঢাকা রেলওয়ে, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গী চর, লালবাগ, চকবাজার, বংশাল, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা, দারুসসালাম, সাভার, ধামরাই।
°উত্তরা পাসপোর্ট অফিসঃ উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, তুরাগ, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, ভাটারা, বাড্ডা, আশুলিয়া।
°যাত্রাবাড়ী পাসপোর্ট অফিসঃ যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মুগদা, শ্যামপুর, সূত্রাপুর, কদমতলী, কোতোয়ালী, গেন্ডারিয়া, ওয়ারী, নওয়াবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা, দোহার।
★আবেদনের জন্য যা যা সাথে নিতে হবেঃ
০১। আবেদন ফর্ম।
০২। জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড কপি।
০৩। এপয়েন্টমেন্ট ডেট ইমেইল কপি।
০৪। ফি পরিশোধের স্লিপ।
০৫। জব আইডি বা স্টুডেন্ট আইডি কপি।
০৬। বর্তমান ঠিকানার বিদ্যুৎ বিলের কপি।
০৭। পুরাতন পাসপোর্ট কপি (যদি থাকে)।
০৮। স্মার্ট ফোন (মেইল দেখানোর জন্য)।
০৯। ১৮ বছরের নীচে আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ও পিতা মাতার এন আই ডি কপি।
১০। ০৬ বছরের নীচে আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজ ও 3R সাইজ ছবি।
১১। ১৫ বছরের নীচে আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পিতা-মাতা অথবা বৈধ অভিভাবকের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
°এ ছাড়া যা যা প্রয়োজন মনে করবেন সাথে নিয়ে যাবেন।
°সব কিছুর মূল কপি অবশ্যই সাথে রাখবেন। দেখাতে হতে পারে।
★পাসপোর্ট অফিসের কাজঃ
১। কাগজপত্র ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই।
২। পাসপোর্ট ফি পরিশোধ যাচাই।
৩। আবেদনকারীর ফটো তোলা।
৪। আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশের ছবি গ্রহণ।
°ছবি তোলার ক্ষেত্রে যা গ্রহণযোগ্য না-
সাদা এবং হালকা রঙের সকল পোশাক, টুপি, ক্যাপ, হিজাব (মুখমণ্ডল পূর্ণাঙ্গ পদর্শন করতে হবে), কপালে টিপ সহ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়।
°সব কাজ শেষ হলে ডেলিভারি স্লিপ বুঝে নিন এবং সতর্কতার সাথে তা সংরক্ষণ করুন। পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় ডেলিভারি স্লিপ প্রর্দশন বাধ্যতামূলক।
⬛ঠিকানা ভেরিফিকেশনঃ
আবেদনের ৭/৮ দিনের মধ্যে থানার মাধ্যমে আপনার ঠিকানা ভেরিফাই করা হবে। যাদের বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা আলাদা তাদের আলাদা আলাদা ভেরিফিকেশন হবে।
★ভেরিফিকেশনের সময় যা যা প্রয়োজন হবে-
১। জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ (কপি+মুল)
২। জব আইডি বা স্টুডেন্ট আইডি (কপি+মুল)
৩। বিদ্যুৎ বিল (কপি+মূল)
৪। এসএসসি/এইচএসসি সার্টিফিকেটের (কপি+মূল)
৫। পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের কপি।
৬। নাগরিক সনদপত্র
৭। বাড়ী/জমির দলিলের কপি (যদি থাকে)।
°পুলিশ যে সকল কাগজপত্র দেখতে চায় সেগুলো দেখাতে হবে।
⬛ই-পাসপোর্ট সংগ্রহঃ
আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলে মোবাইলে "এস এম এস" পাবেন। নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী পাসপোর্ট অফিসে স্ব শরীরে যেতে হবে (ফিঙ্গার ফ্রিন্ট পরীক্ষা করা হবে)। সাথে যা যা নিতে হবে-
১। ডেলিভারী স্লিপ।
২। সর্বশেষ পুরানো পাসপোর্ট (যদি থাকে)।
★বিশেষ ক্ষেত্রে উপযুক্ত বাহকের কাছে পাসপোর্ট প্রদান করা হতে পারে। তার জন্য যেসকল প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে হবে-
১। ১১ বছরের কম বয়সী সন্তানের পিতামাতা অথবা বৈধ অভিভাবক নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র, আবেদনকৃত পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ ও পূর্বের পাসপোর্ট (যদি থাকে) প্রদর্শন করে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন ।
২।অসুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ক্ষমতা হস্তান্তর পত্র, আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে) এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র, পুরাতন পাসপোর্ট (যদি থাকে) প্রদর্শন করে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
°ডেলিভারি স্লিপ হারিয়ে গেলে নিকটস্থ থানায় জিডি করে তার কপি দিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
☑পরামর্শঃ ডেলিভারি স্লিপ পাওয়ার সাথে সাথে মোবাইলে ছবি তুলে রাখুন।
⬛তথ্য পরিবর্তনঃ
স্থায়ী ঠিকানা, বৈবাহিক অবস্থা, পেশা বা অন্যান্য তথ্যাদি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত তথ্য সংশ্লিষ্ট যাবতীয় সকল প্রমাণাদি/কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।
°পাসপোর্ট সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য কল করুন এই নাম্বারে- 01733393399 (ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর)