Tours Mania

Tours Mania Our Ambition- Our main idea to gather all traveling fans in one place and exchange experience and di
(1)

18/09/2023

শহুরে ব্যস্ততার মাঝে  সবুজ পাহাড় আর স্বচ্ছ পানির সৌন্দর্য  উপভোগ করতে চলো যাই রাঙ্গামাটি।🎯০১ রাত ০১ দিনের রিলেক্স ট্যুর ...
08/08/2022

শহুরে ব্যস্ততার মাঝে সবুজ পাহাড় আর স্বচ্ছ
পানির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চলো যাই রাঙ্গামাটি।
🎯০১ রাত ০১ দিনের রিলেক্স ট্যুর প্যাকেজ। ১৭ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট
🎲ট্যুর প্ল্যান-
১৭ তারিখ রাতে রাঙ্গামাটির উদ্দেশে যাত্রা
১ম দিন ১৮ তারিখ
🏠হোটেলে চেক ইন করে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা।
এরপর ফ্রেশ বোট নিয়ে চলে যাবো।
🛕রাজ বন বিহার
🏠রাজ বাড়ি
⛵লেক ভ্রমনে।
ভ্রমনে যা যা দেখবো-
🌊শুভ লং বড় ঝর্ণা
🌊ছোট ঝর্ণা
👘ট্রেডিশনাল ড্রেস মার্কেট
🏠(চাং পাং রেস্টুরেন্ট) যে কোন একটি রেস্টুরেন্ট লাঞ্চ।
লাঞ্চ শেষে শহর থেকে সিএনজি দিয়ে-
🎢ঝুলন্ত ব্রিজ
🎪পলোয়েল পার্ক
পলোয়েল পার্কে বিকেল এবং সন্ধাটা কাটিয়ে বিকেলটা কাটিয়ে সন্ধায় ব্যাক করবো শহরে।
🍜খাবার
🍲সকালের নাস্তা
🍲দুপুরের লাঞ্চ(সাদা ভাত,ব্যাম্বো চিকেন, মিক্স সবজি,ঘন ডাল)
🍲ডিনার- ( চিংড়ি+ভাত+মিক্স সবজি+ঘন ডাল+সালাদ+ড্রিংক্স)
২য় দিন
🍲সকালের নাস্তা করে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা।
প্যাকেজে যা যা থাকছে।
🏡নির্জন নিরিবিলি পরিবেশে হোটেলেএক দিন এক রাত থাকার ব্যাবস্থা।
⛵এক দিনের জন্য টুরিস্ট বোট।
🍜১ম দিনের সকাল,দুপুর এবং রাতের খাবার এবং দ্বীতিয় দিনের সকালের নাস্তা খাবার।
👨‍✈️ ট্যুর গাইড।
👨‍👩‍👧‍👦 ১০ জনের প্যাকেজ মূল্য- জন প্রতি ৪,৯৫০/
❤️ কাপল প্যাকেজ- ১০,০০০/(জন প্রতি ৫০০০/)
💁‍♂️বুকিং এর শেষ সময় ১৪ আগস্ট। আরো বিস্তারিত জানতে-
📲০১৭৬৫৬১১১৩৫
📲০১৭৬৫৬১১১৩৫ বুকিং কনফার্ম করতে (১০০০/- বিকাশ পেমেন্ট)
📢প্যাকেজ যা অন্তর্ভুক্ত নয়- নিজস্ব কেনাকাটা,নিজস্ব খাওয়াদাওয়া।
🎟️সকল স্পটের এন্ট্রি টিকেট।

26/01/2021

যারা প্রথাগত ট্যুরিস্ট না, এডভেঞ্চার প্রিয় তাদের জন্য এমন একটা রুটের সন্ধ্যান দেয়া যেতে পারে, যে রুট ফলো করলে নৌপথ...

মেঘ ছোয়ার ম্যানিয়াক আয়োজনে ট্যুরস ম্যানিয়ার সাথে সাজেকে....... মেঘের ঘর রিসোর্টে। অসাধারণ একটা রিসোর্ট, যার বারান্দায় উক...
01/01/2021

মেঘ ছোয়ার ম্যানিয়াক আয়োজনে ট্যুরস ম্যানিয়ার সাথে সাজেকে....... মেঘের ঘর রিসোর্টে। অসাধারণ একটা রিসোর্ট, যার বারান্দায় উকি দেয় তুলো মেঘ, পুরো সাজেক ভিউ চোখের সামনে ভেসে থাকে।
এটা ট্যুরস ম্যানিয়া -এর একটা অফিসিয়াল ইভেন্ট। আমরা যাচ্ছি সংগী হতে চাইলে এবং
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন:
📲01765611135
📲01675700192
📲01921093523
📲01314766106

প্ল্যানিংঃ
ভ্রমন তারিখঃ ২১ জানুয়ারী রাত ১১টা,
ফিরে আসছিঃ ২৪ জানুয়ারী সকালে ইনশাল্লাহ।
মেম্বার - ২০ জন।

খরচঃ ৫৫০০ টাকা জন প্রতি। (নন এসি বাস)
রুম শেয়ারিংঃ ৪ জন মিলে ১ রুম
#কাপল হলে ৬৫০০ টাকা জন প্রতি। (নন এসি বাস)
#কেউ এসি বাস নিতে চাইলে আগেই জানাতে হবে, এবং জনপ্রতি ১০০০ টাকা বাড়তি দিতে হবে।
বুকিং ডেডলাইনঃ ১০ই জানুয়ারী ২০২১
বুকিং মানিঃ ২০০০ টাকা। ( বিকাশ করলে ২০৪০ টাকা দিতে হবে )
#ছেলেদের জন্য আলাদা রুম আর মেয়েদের জন্য আলাদা থাকার ব্যাবস্থা করা হবে।

যাত্রার বিবরণঃ
২১জানুয়ারী রাতে – ঢাকার ফকিরাপুল/ সায়দাবাদ বাস কাউন্টার থেকে রাতের নন-এসি বাসে যাত্রা শুরু।
পরদিন সকালের নাস্তা সেরেই সাজেক এর উদ্দেশ্যে যাত্রা (আর্মি এসকর্ট সকাল ১০-১০:৩০টা)। সাজেকে পৌঁছে দুপুরে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করব। এরপর আমরা সাজেকের আশে পাশে ঘুরব। হেলিপ্যাড থেকে সূর্যাস্ত উপভোগ করব।
পরদিন - খুব ভোরে কংলাক পাড়ায় যাব। তারপর এসে নাস্তা করব। সকাল ১০:৩০-১১ টায় আর্মি এসকর্টে করে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা। দুপুরে শহরে এসে লাঞ্চ করে আমরা যাব বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক গুহা আলুটিলা দেখতে। তারপর রাতে সিস্টেম হোটেলে ডিনার করবো। রাতের বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিব।
ভোরে ঢাকায় পৌঁছাব ইনশাল্লাহ।
ঘুরবোঃ
১. সাজেক (রুইলুই পাড়া,কংলাক পাড়া)
২. আলুটিলা গুহা
৩. হাজাছড়া ঝরনা
৪. রিসাং ঝরনা
৫. তারেং
৬. ঝুলন্ত ব্রিজ ( সময় সাপেক্ষে )
পরিবহনঃ
ঢাকা - খাগড়াছড়ি ঢাকা নন এসি বাস
খাগড়াছড়ি¬-সাজেক-খাগড়াছড়ি : চাঁন্দের গাড়ি
★ট্যুরস ম্যানিয়া বহন করবেঃ
#ঢাকা-সাজেক-ঢাকা সমস্ত পরিবহন খরচ
# ২২ তারিখ সকাল থেকে ২৩তারিখ রাত পর্যন্ত প্রতিদিন তিন বেলা করে খাওয়া-দাওয়া।
# স্পেশাল বার্বি-কিউ চিকেন ডিনার (একরাত)
#ট্যুরের সকল এন্ট্রি ফি।
#ট্যুরস ম্যানিয়ার টি-শার্ট।
এর বাইরের কোন খরচ ট্যুরস ম্যানিয়া বহন করবে না।
★ট্যুরস ম্যানিয়া বহন করবে না:
# ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি আসা-যাওয়ার পথে বাসের যাত্রা বিরততে খাবার।
# যে কোন বাক্তিগত খরচ।
# ঔষধ।
প্রয়োজনে সংগে রাখবেনঃ
#শীতের পর্যাপ্ত কাপড়
#যেকোন ধরনের ব্যক্তিগত খাবার (ওষুধ, ব্যক্তিগত পানি, স্ন্যাঙ্কস ইত্যাদি)
#মোবাইলের জন্য ব্যাকআপ চার্জার
#টুথপেষ্ট+ সাবান+শ্যম্পু
#কেডস/ সেন্ডেল
# মশা থেকে বাচতে অডমস

নির্দেশাবলীঃ
# ১০ই জানুয়ারী এর মধ্যে ২০৪০ টাকা অগ্রীম দিয়ে নিজ নিজ আসন কনফার্ম করতে হবে। কারণ আমাদের বাস, চান্দের গাড়ী বুকিং দিতে হবে। বাকি টাকা ট্যুরের দিন পেমেন্ট করতে হবে।
# টাকা পাঠানোর নিয়মঃ আগ্রহীরা ২০৪০/= টাকা (01 921093523,01765611135 ) পার্সোনাল নম্বরে বিকাশ করে আপনার যাত্রা কনফার্ম করতে পারবেন। bKash করেই সাথে সাথে ঐ নম্বরে ফোন করে নিজের নাম এবং Transaction Id জানাবার পরেই আপনার আসন কনফার্ম হবে। অথবা ব্যাংক একাউন্টে ও বুকিং মানি দিতে পারেন
# শেয়ারিং করে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে।
# কোন প্রকার মাদক বহন করা যাবে না।
#আদিবাসীদের সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করা যাবে না, অনুমতি ছাড়া তাদের কোন ছবি তোলা যাবে না।সবার প্রতি সবার যাথাযথ সন্মান দেখাতে হবে।
#ট্যুরের সব জায়গা সেনাবাহিনীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তাই কোন ভয় বা চিন্তা ছাড়াই নিশ্চিন্তে থাকতে ও ঘুরতে পারবেন।
# দল ছাড়া কোন ভাবে কোথাও যাওয়া যাবে না। যেখানেই যাবেন টিম লিডারকে বলে যাবেন।
# কোন প্রকার মাদক সেবন করা যাবে না।
#প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে ।
#প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বাস নস্ট হয়ে গেলে, স্পটে কোন ধরনের অনুমতি না পেলে, এক্সট্রা কোন খরচ হলে যা ট্যুরে লিখা নেই এমন ধরনের কিছু ঘটলে অবশ্যই অতিরিক্ত যে টাকাটা আসবে সেটা গ্রুপ এডমিন জানিয়ে দিবে এবং তা পরিশোধ করতে হবে।
#বুকিং মানি টোটালি অফেরতযযোগ্য। কারন আপনার বুকিং মানির উপরই বাসের টিকিট, হোটেল রিসর্ট, লোকাল ট্রান্সপোর্ট, গাইড সব কিছু এডভান্স করা হয়।
#কেউ যদি না যেতে পারেন সেক্ষেত্রে তার রিপ্লেসমেন্ট তাকেই মেনেজ করতে হবে। গ্রুপ থেকে অবশ্যই চেষ্টা করা হবে তার রিপ্লেসমেন্টের, যদি মেনেজ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আর এক্সট্রা পেমেন্ট করতে হবে না।
#যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা খারাপ আবহাওয়ার জন্য ট্যুর কেন্সেল হয় সেক্ষেত্রে ট্যুরের বুকিং মানি থেকে যা যা খরচ বা রিটার্ন হবে সেটা ফেরত দিয়ে দেয়া হবে।
#আর কেউ যেতে না পারলে অবশ্যই বাকি যে টাকা আসে সেটা গ্রুপ এডমিন জানিয়ে দিবে এবং তা পরিশোধ করতে হবে।


ধন্যবাদ
ট্যুরস ম্যানিয়া See Less

25/12/2020
ভালোলাগা বাংলাদেশ ভালোবাসা বাংলাদেশ........
15/12/2020

ভালোলাগা বাংলাদেশ
ভালোবাসা বাংলাদেশ........

Wishing you and your family joy, happiness, and peace during this challenging time.Eid Mubarak....
31/07/2020

Wishing you and your family joy, happiness, and peace during this challenging time.
Eid Mubarak....

পাহাড় সব সময়েই জাদুকরী ও বিচিত্র রহস্যময়তায় পূর্ণ। আর মানুষ রহস্যের পেছনেই ছুটে চলতে বেশি আগ্রহী। তাই মানুষের মন আর বসে ...
29/05/2020

পাহাড় সব সময়েই জাদুকরী ও বিচিত্র রহস্যময়তায় পূর্ণ। আর মানুষ রহস্যের পেছনেই ছুটে চলতে বেশি আগ্রহী। তাই মানুষের মন আর বসে থাকে না। পৃথিবীর সব থেকে দুর্গম স্থান পর্বত। সেই পর্বতে শ্বেত-শুভ্র বরফ শীতল পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু যে বিন্দু তাহলো এভারেস্টের চূড়া। যাকে স্থানীয় মানুষ ঈশ্বর হিসেবে পূজা করে। আর এই ঈশ্বর সমতুল্য পর্বত আরোহণের নেশাও মানুষের মধ্যে থেমে রইলো না। পর্বতের প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই অজানাকে জানতে এগিয়ে চললো। যার ফলস্বরূপ মানুষ ২৯ মে পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থানে পদচিহ্ন ফেলে।

সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি:

প্রথমে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হত। ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের সার্ভেয়র জেনারেল অ্যান্ড্রু স্কট ওয়াহ হিমালয়ের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত সওয়াজপুর স্টেশন থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন। কিন্তু তিনি কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে ২৩০ কিলোমিটার বা ১৪০ মাইল দূরত্বে আরো একটি শৃঙ্গ লক্ষ্য করেন। প্রায় একই সময় জন আর্মস্ট্রং নামে তার এক কর্মচারীও আরো পশ্চিম থেকে এই চূড়াটি লক্ষ্য করেন এবং একে peak-b হিসেবে অভিহিত করেন। ওয়াহ পরবর্তীতে মন্তব্য করেন যে, যদিও পর্যবেক্ষণ হতে বোঝা যাচ্ছিলো যে peak-b কাঞ্চনজঙ্ঘা অপেক্ষা উচ্চতর, তা সত্ত্বেও প্রমাণের জন্য আরো নিকটতর স্থান থেকে পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন ছিলো। ১৮৫২ খ্রিষ্টাব্দে দেরাদুন শহরে অবস্থিত সদর-দফতরে বাঙালি গণিতবিদ ও পর্যবেক্ষক রাধানাথ শিকদার নিকলসনের মাপ-জোক থেকে ত্রিকোণমিতিক গণনা করে সর্বপ্রথম নির্ণয় করেন যে, এই শৃঙ্গ বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এছাড়াও এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, এই শৃঙ্গের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৩৯.২ মিটার বা ২৯ হাজার ফুট হওয়ায় এই শৃঙ্গ সম্ভবত বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। পরে ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে একটি ভারতীয় জরিপে এই শৃঙ্গের উচ্চতা নির্ণয় করা হয় ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার বা ২৯ হাজার ২৯ ফুট, যা ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে একটি চীনা জরিপ দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

নামকরণ:

যদিও প্রথম দিকে পিক-১৫ নামে পরিচিত ছিলো পরে গবেষকদল পর্বতশৃঙ্গগুলোর নামকরণ স্থানীয় নামে রাখতে ইচ্ছুক ছিল, কিন্তু বিদেশিদের জন্যে তিব্বত ও নেপাল উন্মুক্ত না থাকায় তার স্থানীয় নামের অনুসন্ধান বাধাগ্রস্ত হয়। কিন্তু এই পর্বতের বেশ কয়েকটি স্থানীয় নাম ছিল, যেমন দার্জিলিং অঞ্চলে প্রচলিত দেওধুঙ্গা বা পবিত্র পর্বত, তিব্বতে প্রচলিত চোমোলাংমা, নেপালে সাগরমাথা। সার্ভেয়র জেনারেল জর্জ এভারেস্টের নামে এই শৃঙ্গের নামকরণের সুপারিশ করেন। যদিও জর্জ স্বয়ং তাঁর নিজের নাম ব্যবহারের বিরোধী ছিলেন এবং তিনি রয়্যাল জিওগ্রাফিকাল সোসাইটিকে জানান যে, এভারেস্ট নামটি হিন্দিতে লেখা যায় না ও ভারতীয়রা উচ্চারণ করতে পারেন না। এরপরেও বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম তাঁর নামানুসারে রাখা হয় মাউন্ট এভারেস্ট।

প্রথম অভিযানসমূহ:

১৮৫৫ সালে আলপাইন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন টমাস ডেন্ট তার বই ‘Above The Snow Line’ এ মন্তব্য করেন যে, এভারেস্ট পর্বতে আরোহণ করা সম্ভব। ব্রিটিশ পর্বতারোহীরা সর্বপ্রথম এই পর্বতশৃঙ্গ আরোহণের চেষ্টা শুরু করেন। নেপালে এই সময় বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় ব্রিটিশরা তিব্বতের দিক থেকে এই পর্বতের উত্তর শৈলশিরা ধরে বেশ কয়েকবার আরোহণের চেষ্টা করেন। ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে ব্রিটিশরা তিব্বতের দিক থেকে ৭ হাজার মিটার বা ২২ হাজার ৯৭০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ওঠেন। এরপর ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের অভিযানে এই পথে জর্জ ফিনচ প্রথমবারের মত অক্সিজেন ব্যবহার করে পর্বতারোহণ করেন। তিনি ৮ হাজার ৩২০ মিটার বা ২৭ হাজার ৩০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উঠে মানব ইতিহাসের নতুন কীর্তি স্থাপন করেন। যা ছিল সর্বপ্রথম কোনো মানুষের এই উঁচুতে আরোহণ।

ম্যালোরি এবং কর্নেল ফেলিক্সও দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ অভিযান করেন। এই অভিযান থেকে নেমে আসার সময় তুষারধসে সাতজন মালবাহকের মৃত্যু হয়। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দের অভিযান এভারেস্ট আরোহণের ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় অভিযান। ম্যালোরি এবং ব্রুসের প্রাথমিক প্রচেষ্টা স্থগিত করতে হয় আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে। পরবর্তী প্রচেষ্টা চালান নর্টন এবং সমারভিল, তারা অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়াই অভিযানে নামেন এবং নর্টন ৮ হাজার ৫৫৮ মিটার বা ২৮ হাজার৭৭ ফুট আরোহণ করেন। ১৯২৪ সালের ৮ জুন জর্জ ম্যালোরি ও এন্ড্রু আরভিন উত্তর গিরিখাদ দিয়ে এভারেস্ট চূড়া বিজয়ের মিশন শুরু করেন। এই অভিযান থেকে তাদের আর ফিরে আসা হয়নি।

১৯৯৯ ম্যালোরি ও আরভিন রিসার্চ এক্সপেডিশন নর্থ ফেসের নিচে, ক্যাম্প-৬ এর পশ্চিমে একটি তুষার গহ্বর থেকে ম্যালোরির মৃতদেহ উদ্ধার করে। তারা দু’জন এভারেস্ট চূড়ায় ১৯৫৩ সালে হিলারি ও তেনজিংয়ের স্বীকৃত সর্বপ্রথম বিজয়ের আগে আরোহণ করতে পেরেছিলেন কি না তা নিয়ে পর্বতারোহী সমাজে বহু বিতর্ক রয়েছে। ১৯৫২ সালে এডওয়ার্ড উইস-ডুনান্টের নেতৃত্বাধীন একটি সুইস অভিযাত্রী দল নেপাল দিয়ে এভারেস্টে আরোহণ অভিযানের চেষ্টা করার অনুমতি লাভ করে।

দলটি খুম্বু আইসফলের মধ্যদিয়ে একটি রুট প্রতিষ্ঠা করে এবং দক্ষিণ গিরিখাদের ৭ হাজার ৯৮৬ মিটার বা ২৬ হাজার ২০১ ফুট আরোহণ করে। রেমন্ড ল্যাম্বার্ট এবং শেরপা তেনজিং নোরগে দক্ষিণ-পূর্ব রিজের ৮ হাজার ৫৯৫ মিটার বা ২৮ হাজার ১৯৯ ফুট ওপরে ওঠেন, যা ছিল উচ্চতা আরোহণে মানুষের নতুন রেকর্ড। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে ২৯ জুন এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে নেপালের দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব শৈলশিরা ধরে প্রথম এই শৃঙ্গ জয় করেন।

এই জয় নিয়েও একটু কথা আছে। যে কথাটি তেনজিং নোরগে তার ‘বায়োগ্রাফি অব তেনজিং’ এ বলেছেন। কথাটি হলো, ‘আমি অবশ্যই হিলারির আগে চূড়ায় পৌঁছেছি। সেটা হতে পারে এক গজ, এক ফুট কিংবা এক ইঞ্চি।’ কে আগে বা কে পরে সেটা এখন মুখ্য নয়। এভারেস্ট জয় হয়েছে সেটাই মুখ্য। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মে চীনা পর্বতারোহী ওয়াং ফুঝোউ, গোনপো এবং চু ইয়িনহুয়া উত্তর শৈলশিরা ধরে প্রথম শৃঙ্গ জয় করেন।

যত রেকর্ড:

১৯৭৮ সালের ৮ মে অস্ট্রিয়ার পিটার হেবলার এবং ইতালির রেইনহোল্ড মেসনার প্রথম অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট এর চূড়ায় সফলভাবে অরোহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৬ মে প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করার কৃতিত্ব লাভ করেন জাপানের জুনকো তাবেই। প্রথম প্রতিবন্ধী হিসেবে ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টম হুইটেকার এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন। একটি কৃত্রিম পা নিয়েও তিনি এভারেস্ট জয় করে বিশ্ববাসীকে চমকে দেন। সবচেয়ে কম বয়সে জর্ডান রুমেরু (১৩), সবচেয়ে বেশি বার এভারেস্ট আরোহণ করে আপা শেরপা ও ফুরবা তাসি। তারা দু’জনেই ২১ বার করে আরোহণ করে এবং সবচেয়ে কম সময়ে বেসক্যাম্প থেকে আরোহণ করে পেম্বা দর্জি। তিনি সময় নেন মাত্র ৮ ঘণ্টা।

পর্বতারোহণে বাংলাদেশ:

সমুদ্রসমতলের মানুষও এভারেস্টের চূড়া আরোহণ করেছে। বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা তুলে ধরেছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায়। এমএ মুহিত, নিশাত মজুমদার, ওয়াসফিয়া নাজরিন ও সজল খালেদ এভারেস্টের চূড়ায় বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে। সজল খালেদ আরোহণ শেষে নেমে আসার পথে না ফেরার দেশে চলে যান।

কেন এভারেস্ট শৃঙ্গ আরোহণ করতে চান? এমন প্রশ্নে মহান পর্বতারোহী জর্জ ম্যালোরির বিখ্যাত উত্তর দিয়ে শেষ করছি। তিনি বলেছিলেন, ‘কেননা এটা সেখানে রয়েছে।’

(Collected)

আমরা সবচেয়ে মারাত্মক সময়টায় প্রবেশ করেছি....এখন আরো বেশি সাবধান হতে হবে।প্লিজ সবাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করি.....
29/03/2020

আমরা সবচেয়ে মারাত্মক সময়টায় প্রবেশ করেছি....
এখন আরো বেশি সাবধান হতে হবে।
প্লিজ সবাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করি.....

☁️🌳বাকি আছে অল্প সময়!!! বাকি আছে অল্প সময়!!! প্রকৃতির স্বর্গ রাজ্য সজেক ঘুরে আসতে এখনই বুকিং দিন।☁️🌳মেঘ ছোয়ার ম্যানিয়াক ...
16/10/2019

☁️🌳বাকি আছে অল্প সময়!!! বাকি আছে অল্প সময়!!!
প্রকৃতির স্বর্গ রাজ্য সজেক ঘুরে আসতে এখনই বুকিং দিন।☁️🌳
মেঘ ছোয়ার ম্যানিয়াক আয়োজনে ট্যুরস ম্যানিয়ার সাথে সাজেকে....... মেঘের ঘর রিসোর্টে। অসাধারণ একটা রিসোর্ট, যার বারান্দায় উকি দেয় তুলো মেঘ, পুরো সাজেক ভিউ চোখের সামনে ভেসে থাকে।
এটা ট্যুরস ম্যানিয়া -এর একটা অফিসিয়াল ইভেন্ট। আমরা যাচ্ছি সংগী হতে চাইলে এবং
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন:
📲01707564167
📲01765611135
📲01316809383
📲01687682689

প্ল্যানিংঃ

ভ্রমন তারিখঃ ৭ই নভেম্বর রাত ১১টা, ফিরে আসছিঃ ১০ই নভেম্বর সকালে ইনশাল্লাহ।

মেম্বার - ২০ জন।

খরচঃ ৫২০০ টাকা জন প্রতি। (নন এসি বাস)
রুম শেয়ারিংঃ ৪ জন মিলে ১ রুম
# কাপল হলে ৬৫০০ টাকা জন প্রতি। (নন এসি বাস)
# কেউ এসি বাস নিতে চাইলে আগেই জানাতে হবে, এবং জনপ্রতি ১০০০ টাকা বাড়তি দিতে হবে।

বুকিং ডেডলাইনঃ ৩রা নভেম্বর ২০১৯

বুকিং মানিঃ ২০০০ টাকা। ( বিকাশ করলে ২০৪০ টাকা দিতে হবে )
# ছেলেদের জন্য আলাদা রুম আর মেয়েদের জন্য আলাদা থাকার ব্যাবস্থা করা হবে।

যাত্রার বিবরণঃ
৭ই নভেম্বর রাতে – ঢাকার ফকিরাপুল/ সায়দাবাদ বাস কাউন্টার থেকে রাতের নন-এসি বাসে যাত্রা শুরু।
পরদিন সকালের নাস্তা সেরেই সাজেক এর উদ্দেশ্যে যাত্রা (আর্মি এসকর্ট সকাল ১০-১০:৩০টা)। সাজেকে পৌঁছে দুপুরে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করব। এরপর আমরা সাজেকের আশে পাশে ঘুরব। হেলিপ্যাড থেকে সূর্যাস্ত উপভোগ করব।
পরদিন - খুব ভোরে কংলাক পাড়ায় যাব। তারপর এসে নাস্তা করব। সকাল ১০:৩০-১১ টায় আর্মি এসকর্টে করে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা। দুপুরে শহরে এসে লাঞ্চ করে আমরা যাব বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক গুহা আলুটিলা দেখতে। তারপর রাতে সিস্টেম হোটেলে ডিনার করবো। রাতের বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিব।
ভোরে ঢাকায় পৌঁছাব ইনশাল্লাহ।

ঘুরবোঃ
১. সাজেক (রুইলুই পাড়া,কংলাক পাড়া)
২. আলুটিলা গুহা
৩. হাজাছড়া ঝরনা
৪. রিসাং ঝরনা
৫. তারেং
৬. ঝুলন্ত ব্রিজ ( সময় সাপেক্ষে )

পরিবহনঃ

ঢাকা - খাগড়াছড়ি ঢাকা নন এসি বাস
খাগড়াছড়ি¬-সাজেক-খাগড়াছড়ি : চাঁন্দের গাড়ি

★ট্যুরস ম্যানিয়া বহন করবেঃ
# ঢাকা-সাজেক-ঢাকা সমস্ত পরিবহন খরচ
# ৮ তারিখ সকাল থেকে ৯ তারিখ রাত পর্যন্ত প্রতিদিন তিন বেলা করে খাওয়া-দাওয়া।
# স্পেশাল বার্বি-কিউ চিকেন ডিনার (একরাত)
# ট্যুরের সকল এন্ট্রি ফি।
# ট্যুরস ম্যানিয়ার টি-শার্ট।
এর বাইরের কোন খরচ ট্যুরস ম্যানিয়া বহন করবে না।

★ট্যুরস ম্যানিয়া বহন করবে না:

# ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি আসা-যাওয়ার পথে বাসের যাত্রা বিরততে খাবার।
# যে কোন বাক্তিগত খরচ।
# ঔষধ।

প্রয়োজনে সংগে রাখবেনঃ
# যেকোনো ধরনের ব্যক্তিগত খাবার (ওষুধ, ব্যক্তিগত পানি, স্ন্যাঙ্কস ইত্যাদি)
# মবাইলের জন্য ব্যাকআপ চার্জার
# টুথপেস্ট+ সাবান+শ্যম্পু
# কেডস/ সেন্ডেল
# রবি সিম
# মশা থেকে বাচতে অডমস

নির্দেশাবলীঃ
# ৩রা নভেম্বর এর মধ্যে ২০৪০ টাকা অগ্রীম দিয়ে নিজ নিজ আসন কনফার্ম করতে হবে। কারণ আমাদের বাস, চান্দের গাড়ী বুকিং দিতে হবে। বাকি টাকা ট্যুরের দিন পেমেন্ট করতে হবে।
# টাকা পাঠানোর নিয়মঃ আগ্রহীরা দ্রুত ২০৪০/= টাকা (রাসেল- 01707564167,01765611135 ) পার্সোনাল নম্বরে বিকাশ করে আপনার যাত্রা কনফার্ম করতে পারবেন। bKash করেই সাথে সাথে ঐ নম্বরে ফোন করে নিজের নাম এবং Transaction Id জানাবার পরেই আপনার আসন কনফার্ম হবে। অথবা সামনা-সামনিও দেখা করে টাকা দিতে পারেন।
# শেয়ারিং করে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে।
# কোন প্রকার ড্রিঙ্কস করা যাবে না।
# আদিবাসীদের সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করা যাবে না, অনুমতি ছাড়া তাদের কোন ছবি তোলা যাবে না।সবার প্রতি সবার যাথাযথ সন্মান দেখাতে হবে।
# ট্যুরের সব জায়গা সেনাবাহিনীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তাই কোন ভয় বা চিন্তা ছাড়াই নিশ্চিন্তে থাকতে ও ঘুরতে পারবেন।
# দল ছাড়া কোন ভাবে কোথাও যাওয়া যাবে না। যেখানেই যাবেন টিম লিডারকে বলে যাবেন।
# কোন প্রকার মাদক সেবন বা সাথে বহন করা যাবে না।
# প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে ।
# প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বাস নস্ট হয়ে গেলে, স্পটে কোন ধরনের অনুমতি না পেলে, এক্সট্রা কোন খরচ হলে যা ট্যুরে লিখা নেই এমন ধরনের কিছু ঘটলে অবশ্যই অতিরিক্ত যে টাকাটা আসবে সেটা গ্রুপ এডমিন জানিয়ে দিবে এবং তা পরিশোধ করতে হবে।

# বুকিং মানি টোটালি অফেরতযযোগ্য। কারন আপনার বুকিং মানির উপরই বাসের টিকিট, হোটেল রিসর্ট, লোকাল ট্রান্সপোর্ট, গাইড সব কিছু এডভান্স করা হয়।
# কেউ যদি না যেতে পারেন সেক্ষেত্রে তার রিপ্লেসমেন্ট তাকেই মেনেজ করতে হবে। গ্রুপ থেকে অবশ্যই চেষ্টা করা হবে তার রিপ্লেসমেন্টের, যদি মেনেজ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আর এক্সট্রা পেমেন্ট করতে হবে না।
# যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা খারাপ আবহাওয়ার জন্য ট্যুর কেন্সেল হয় সেক্ষেত্রে ট্যুরের বুকিং মানি থেকে যা যা খরচ বা রিটার্ন হবে সেটা ফেরত দিয়ে দেয়া হবে।
# আর কেউ যেতে না পারলে অবশ্যই বাকি যে টাকা আসে সেটা গ্রুপ এডমিন জানিয়ে দিবে এবং তা পরিশোধ করতে হবে।

ধন্যবাদ
ট্যুরস ম্যানিয়া

Tours Mania Sylhet Tour
11/10/2019

Tours Mania Sylhet Tour

🎋🌴কচিখালী-সমুদ্র-সৈকত-সুন্দরবন🎋🌴পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ছায়ায় বেষ্টিত। জল এবং ড...
18/09/2019

🎋🌴কচিখালী-সমুদ্র-সৈকত-সুন্দরবন🎋🌴

পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ছায়ায় বেষ্টিত। জল এবং ডাঙ্গার নানা জীব বৈচিত্র্যের সমাহার এই স্থানকে করে তুলেছে আরো বেশি আকর্ষণীয় এবং মনোরম। সুন্দরবনের একেক পয়েন্টে একেক রকম সৌন্দর্য দেখতে পাওয়া যায়। এখানকার একটি উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দর্শনীয় স্থান কচিখালী সমুদ্র সৈকত।

সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে এবং কটকা নদীর পূর্ব তীর বেষ্টিত অপরূপ স্থান কচিখালী সমুদ্র সৈকত। সমুদ্রের লবণাক্ত জল এসে এখানে নদীর সাথে মিশে গেছে। দেখতে পাবেন সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য। কচিখালীতে সমুদ্র সৈকতের পাশপাশি আছে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও পর্যটন কেন্দ্র। নির্জন এই প্রাকৃতিক পরিবেশে নানা রকম জীব জন্তুর দেখা পাওয়া যায়। পাখপাখালির অবিরাম কিচির মিচির সারাক্ষণই আপনার সঙ্গী হবে। দেখা পাবেন শুশুক, কুমির, শুকর, বানর, বন মোরগ, অজগর সাপ সহ নানা জাতের বন্য প্রাণীর। মায়াবী হরিণ পর্যটকদের জন্য এখানে অন্যতম আকর্ষণ। মাঝেমধ্যে বাঘ ও দেখতে পাওয়া যায়। তাই সতর্ক থাকতে হবে সব সময়। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি অবিরাম উড়ে যায় আকাশে। এছাড়া আছে নানা জাতের কাঁকড়া।

একদিকে সুন্দর বনের পশুর, সুন্দরী, কেওড়া, বাইন, আমুর সহ নানা বৃক্ষের সমারোহ আর অন্যদিকে জল জীবন। গাছে-গাছে ফুটে থাকে বাহারি জাতের ফুল ফল। সুন্দরবন ভ্রমণ তাই পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় এবং এডভেঞ্চারাসও। সব কিছু মিলিয়ে এটি পর্যটকদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতার সঞ্চার করে থাকে।

কচিখালী মংলা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মংলা থেকে লঞ্চে যেতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। যাতায়াত ভাড়া বেশি হওয়ায় এখানে গ্রুপ বেঁধে যাওয়াই ভালো। প্যাকেজ ট্যুরে এখানে যেতে খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

এখানে থাকতে চাইলে বন বিভাগের রেস্ট হাউজে থাকতে পারেন। পাশেই আছে বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য ও পর্যটন স্থল।

গভীর বনাঞ্চল এবং নির্জন জায়গা হওয়ায় এই স্থানে নিরাপত্তা বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। বন বিভাগের দেখানো নির্দিষ্ট রুট ছেড়ে অন্য পথে যাতায়াত করবেন না।

💠💠টেকনাফ-ভ্রমণ-কুদুম-গুহা💠💠টেকনাফ সমুদ্র সৈকতসহ রয়েছে অনেক অপূর্ব সব স্থান। এসকল জায়গার মধ্যে অন্যতম একটি স্থান হল কুদুম...
12/09/2019

💠💠টেকনাফ-ভ্রমণ-কুদুম-গুহা💠💠
টেকনাফ সমুদ্র সৈকতসহ রয়েছে অনেক অপূর্ব সব স্থান। এসকল জায়গার মধ্যে অন্যতম একটি স্থান হল কুদুম গুহা। প্রাকৃতিক এই গুহাটি এডভেঞ্চার প্রিয়দের জন্য দারুণ একটি ভ্রমণ স্থান। যারা টেকনাফ ভ্রমণে রোমাঞ্চের স্বাদ নিতে চান তারা অবশ্যই এই গুহাটি ঘুরে আসবেন।
কক্সবাজার শহর থেকে ৮৮ কিলোমিটার দক্ষিণে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় মুছনী গ্রামে অবস্থিত গেম রিজার্ভ এর ভেতরে এই কুদুম গুহার অবস্থান। এটি বাংলাদেশের একমাত্র বালু-মাটির গুহা। মনোরম পাহাড়ঘেরা পরিবেশ ,পাখির ডাক আর বন্যপ্রাণীর আনাগোনাময় এই গুহাটি দারুণ একটি আকর্ষণীয় জায়গা। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক হাজার ফুট উপরে অবস্থিত। স্থানীয়রা এটিকে বলে কুদুং। দুর্গম পাহাড় অতিক্রম করে আপনাকে এই গুহায় যেতে হবে। কুদুম গুহায় হেঁটে যাওয়ার সময় পাখির ডাক মনোরম পাহার ঘেরা গাছপালা ও বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী দেখতে পাবেন।
কুদুম গুহা যাওয়ার রাস্তার পাশে রয়েছে আদিবাসীদের বসবাস। এখানকার এই পথ আপনাকে শিহরিত করবে। এই গুহার ভেতরে প্রবেশ করেই আপনার মনে হবে হয়তো আদিম যুগে চলে এসেছেন। বাঁদুরের হাঁক ডাক আর উড়া উড়িতে দারুণ এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি পাবেন। এই গুহা অসংখ্য বাদুড়দের আশ্রয়স্থল। তাই এটিকে বাদুড় গুহাও বলে। কুদুমগুহায় দুই প্রজাতির বাদুড় ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির শামুক, মাকড়সাসহ জলচর জোঁকসহ নানা প্রাণীদের বাস। এই গুহার ভেতরে হিম শীতল জল কোথাও কোমর আবার কোথাও গলা সমান। গুহার দেয়ালের গা বেয়ে চুইয়ে চুইয়ে অনবরত পানি ঝরে। এর যত ভিতর প্রবেশ করবেন পানির গভীরতা তত বাড়তে থাকবে। শুকনো মৌসুমে এর ভিতর কোমর সমান পানি থাকে। তবে বর্ষার সময় প্রায় গলা পরিমাণ পানি হয়। এখানকার পানি বেশ ঠাণ্ডা আর স্বচ্ছ। এই স্বচ্ছ মিষ্টি পানিতে রয়েছে বড় বড় টাকি জাতীয় মাছ,কৈ,কাকলি,তিন চোখা,ডানকিনে কালো রঙের চিংড়ি,নানা রকমের ব্যাঙ,গুগলি আর শামুক ইত্যাদি।
৫০০ ফুট দীর্ঘ এই গুহার ভিতর এতটাই অন্ধকারচ্ছান্ন যে জোরালো আলো ছাড়া এর ভিতরে কিছুই দেখা যায় না। গা ছমছম করা আঁধারে চামচিকার কিচিরমিচির ডাকে গা ছমছমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। যখন তখন এই বাদুর আর চামচিকা শরীরের ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাই আপনাকে সাথে হেডলাইট ও আত্মরক্ষামূলক লাঠি অবশ্যই নিতে হবে৷ গুহায় যাওয়ার সময় অবশ্যই ফরেস্ট গাইড অথবা ইকো গাইডকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে সরাসরি টেকনাফ যাওয়া যায় সড়কপথে। এ পথে চলাচলকারী এসি বাস হল সেন্টমার্টিন সার্ভিস। এছাড়া শ্যামলী পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহন, ইউনিক সার্ভিস, হানিফ এন্টারপ্রাইজের নন-এসি বাস চলে এই পথে।
কক্সবাজার থেকে বাস ও মাইক্রোবাসে টেকনাফ যাওয়া যায়। বাস ভাড়া পড়বে ৮০ থেকে ১২০ টাকা। আর মাইক্রোবাসে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। কক্সবাজার থেকে টেকনাফের বাস ছাড়ে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে আর মাইক্রোবাস ছাড়ে শহরের কলাতলী এবং টেকনাফ বাইপাস মোড় থেকে।
টেকনাফের হোয়াইখিয়ং বাজার থেকে শাপলাপুর অভিমুখে ৪ কিলোমিটার যাবার পর বাম দিকে পাহাড়ি ঝিরিপথ ধরে আরও ২ কিলোমিটার অগ্রসর হলে এই গুহায় পৌঁছে যাবেন। গুহার ভেতরে যাবার আগে অবশ্যই দায়িত্বপ্রাপ্ত বন বিভাগের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে অনুমতি নিবেন এবং সঙ্গে করে গাইড নিয়ে নেবেন।
যেখানে থাকবেন:
টেকনাফে থাকার জন্য আছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল। এই মোটেল টেকনাফ শহরের প্রায় আট কিলোমিটার আগে। ঢাকার পর্যটন কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় থেকে এই মোটেল বুকিং করতে পারবেন। তবে যদি টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের একেবারে কাছাকাছি থাকতে চান তাহলে আছে সেন্ট্রাল রিসোর্ট।
এছাড়া এখানে সাগরকন্যা, মেঘ বালিকা ও নীলাচল নামে তিনটি কটেজ আছে। প্রতিটি কটেজে আছে দুটি করে রুম। ঢাকা থেকেও এই রিসোর্টে আগাম বুকিং দিতে পারবেন।

⛰⛰রাজার-পাহাড়-শেরপুর⛰⛰সুউচ্চ গারো পাহাড়, ঢেউ খেলানো সবুজের সমারোহ, ছোট নদী ঢেউফা, ভোগাই সঙ্গে গারো, হাজং, কোচ সম্প্রদায়ে...
11/09/2019

⛰⛰রাজার-পাহাড়-শেরপুর⛰⛰

সুউচ্চ গারো পাহাড়, ঢেউ খেলানো সবুজের সমারোহ, ছোট নদী ঢেউফা, ভোগাই সঙ্গে গারো, হাজং, কোচ সম্প্রদায়ের আদিবাসীর নিয়ে সৌন্দর্যের যেন দোকান খুলেছে জেলা শেরপুর। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী প্রান্তিক এই জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় টিলা, শাল গজারীর বন, পাহাড়ের নিচে বিস্তৃত সবুজ প্রান্তর। আর এইসব পাহাড় ও টিলার সমারোহে অ্যাডভেঞ্চার পিয়াসী অভিযাত্রী ও পর্যটকদের কাছে অন্যতম বড় আকর্ষণ রাজার পাহাড়। গারো পাহাড়ে যতগুলো পাহাড় রয়েছে তার মধ্যে রাজার পাহাড়ের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি। এ পাহাড়ের বৈশিষ্ট সিলেট বা বান্দরবানের পাহাড়ের মতো না হলেও, সবুজের ঐশ্বর্যে সে কারও চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
অবস্থান: শেরপুর জেলার শ্রীবরদী পৌর শহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে কর্নঝোরা বাজার সংলগ্ন এলাকায় রাজার পাহাড়ের অবস্থান। শহুরে পর্যটকদের কাছে এখনো এই পাহাড় খুব পরিচিত না হলেও, স্থানীয়েদের কাছে এটি জনপ্রিয় বিনোদন স্পট। বছরে প্রায় সব সময়ই শতশত মানুষ রাজার পাহাড়ের নির্মল পরিবেশে বেড়াতে আসেন।
জনশ্রুতি: কিংবদন্তি রয়েছে, প্রাচীনকালে এখানে এক স্বাধীন রাজ্য ছিল। যার রাজা ছিলেন অত্যন্ত প্রতাপশালী। পরে তার নামানুসারেই এ পাহাড়ের নাম হয় রাজার পাহাড়। এছাড়া রাজার পাহাড়ের বিভিন্ন কোনায় দেখা মেলে আম, কাঁঠাল, লিচু ও কলার বাগানের। স্থানীয়রা বলেন, অনেক আগে পাগলা দারোগা নামে জনৈক ব্যক্তি রাজার পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। তার ছেলে মেয়েরা এখনো ওই অঞ্চলে রয়েছে। তারাই এ পাহাড়ের কোনায় গড়ে তোলেন বিভিন্ন ফলের বাগান। পরে স্থানীয় আদিবাসীরাও এসব ফলের বাগান করা শুরু করে।
রূপকথা: আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রাজার পাহাড়ের আকার দেখলেই বোঝা যায়, গারো পাহাড়শ্রেণির মধ্যে সে আসলেই এক রাজা। এর চূড়ায় রয়েছে শতাধিক হেক্টরের সবুজে ছাওয়া সমতল ভূমি। এখানে উঠে এলে দূরের আকাশকেও কাছে মনে হয়। এর চূড়ার বিশাল সমতল ভূমিতে যেতে সরু পথ আর অদ্ভুত নির্জনতা যে কাউকে মুগ্ধ করবেই। আর ওই পথে যেতে যেতে যখন কানে আসবে বুনো পাখির ডাক, তখন মনে হবে আসলেই এ এক অন্য রাজার দেশে চলে এসেছেন। এমনি এ পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দেখা যায় আশপাশের কর্ণঝোড়া, মালাকোচা, দিঘলাকোনা, হারিয়াকোনা, চান্দাপাড়া, বাবেলাকোনাসহ ভারতের সীমান্ত এলাকা।
পাহাড়ের নিচ দিয়েই কুলকুল শব্দে বয়ে চলেছে ঢেউফা নদী। বর্ষাকালে ঢেউফা নদী জোয়ারে কানায় কানায় ভরে উঠে। কিন্তু শীতে হয় শীর্ণকায়া। তবে খরস্রোতা এই পাহাড়ি নদীর পানি কখনই কমে না। এর বুকের বিশাল বালুচর দেখলে মনে হবে যেন পাহাড়ের কূলঘেষা এক বিকল্প সমুদ্র সৈকত।
পাহাড়ের পাশেই রয়েছে আদিবাসী জনপদ বাবেলাকোনা। অসংখ্য উচু টিলায় ঘেরা অন্যবদ্য এই গ্রাম প্রকৃতির উজাড় করা সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাবেলাকোনায় গারো , হাজং ও কোচ অধ্যুষিত আদিবাসীদের সংস্কৃতির ভিন্নমাত্রায় রয়েছে বিচিত্র জীবনধারা। এ জনপদ যেন বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের চলমান জীবন সংগ্রামের এক বিরল দৃষ্টান্ত। আদিবাসীদের সংস্কৃতি, সংরক্ষণ ও চর্চার কেন্দ্র হিসেবে রয়েছে বাবেলাকেনা কালচারাল একাডেমি, জাদুঘর, লাইব্রেরি, গবেষণা বিভাগ ও মিলনায়তন । এখান থেকে আদিবাসীদের সম্পর্কে জানা যাবে অনেক কিছুই।
কীভাবে যাবেন:
রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে শেরপুরে যাতায়াতই সবচেয়ে উত্তম। এছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইল-জামালপুর হয়েও সড়ক পথে যাওয়া যাবে শেরপুরে। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাসে কিংবা যে কোনো যানবাহনে করে আসা যায় শেরপুর শহরে। এখান থেকে মাত্র ৩৪ কিলোমিটার দূরে শ্রীবরদীর কর্ণঝোরা বাজার। সেখান থেকে বাস, টেম্পুসহ অটোরিক্সা নিয়ে চলে যাওয়া যাবে রাজার পাহাড় থেকে বাবেলাকোনায়।
রাত্রিযাপন:
রাজার পাহাড় থেকে সবচেয়ে সুবিধাজনক হল বন বিভাগের ডাক বাংলো, তাছাড়াও যে কেউ থাকতে পারেন লাউয়াচাপড়ার পিকনিক স্পটের কাছে উন্নতমানের ‘বনফুল’ রিসোর্টে তবে খরচ হবে ৩০০০-৫০০০/-, শ্রীবরদী উপজেলার ডাকবাংলোতে থাকতে পারেন কম খরচে। যদিও এর জন্য আগে স্থানীয় ইউএনওর অনুমতি লাগবে জেলা সদরে রয়েছে জেলা পরিষদ এবং এলজিইডির রেস্ট হাউজ এবং জেলা ডাক বাংলো। এছাড়া জেলা শহরে হোটেল সম্পদ,হোটেল কায়সার ইন ছাড়াও আরো কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে।যেখানে নিশ্চিন্তে রাত্রিযাপন করা যাবে।
সতর্কতা:
সীমান্ত এলাকা হওয়ায় রাজার পাহাড়ে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে চলাফেরা করতে হবে। অযাচিতভাবে কারো সঙ্গে ঝামেলায় জড়াবেন না। সঙ্গে এমন কিছু বহন করবেন না যা আইন বিরুদ্ধ। বাবলাকোনায় গেলে স্থানীয় আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। এছাড়া পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন।
দেখার আছে আরও কিছু:
গজনি অবকাশ যাপন কেন্দ্র, মধুটিলা ইকোপার্ক, নাকুগাঁও স্থলবন্দর, নয়াবাড়ি টিলা, পানিহাতার তারানি পাহাড়, সুতানাল দীঘি

🌊🌊ভ্রমণে-বিরিশিরি🌊🌊নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বিরিশিরি। যদি ভাবছেন...
08/09/2019

🌊🌊ভ্রমণে-বিরিশিরি🌊🌊
নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বিরিশিরি। যদি ভাবছেন ছুটির দিনগুলোতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়, তাহলে চলে যেতে পারেন অপার সৌন্দর্যমন্ডিত বিরিশিরিতে। বিরিশিরির মূল আকর্ষণ বিজয়পুরের চীনামাটির পাহাড়, যার বুক চিরে জেগে উঠেছে নীলচে-সবুজ পানির হ্রদ। সাদামাটি পানির এই রঙটাকে যেন আরো বেশি গাঢ় করে দিয়েছে। সবুজ নীলের মিশেলে এই অপূর্ব রঙের হ্রদ আপনাকে বিমোহিত করবে আর আপনার কর্মব্যস্ত জীবনের সমস্ত অবসাদ ও ক্লান্তি দূর করে দেবে। শ্বেত শুভ্র চীনামাটির পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে বয়ে গেছে অপরূপ নীলের উৎস সোমেশ্বরী নদী। যা বর্তমানে কয়লা খনি হিসেবে পরিচিত। এই নদীর নীল জলে সাদা চীনামাটির পাহাড়ের প্রতিবিম্ব যেন স্বর্গীয় সৌন্দর্যের প্রতীক।
বৈচিত্রময় সাংস্কৃতিক আবহাওয়া, কংশ-টেপা-সোমেশ্বরীর কাশবন আর দূরে আকাশে হেলান দিয়ে গম্ভীর গারো পাহাড়ের ধ্যানমগ্ন প্রতিচ্ছবি সৌন্দর্যপিপাসুদের মন কেড়ে নেয়। বর্ষায় সোমেশ্বরীর তীরবর্তী বিরিশিরির সৌন্দর্য বেড়ে যায় অনেক গুন। পাহাড় থেকে নেমে আসা উত্তাল ঢলের রুদ্ররূপ বর্ষায় বিরিশিরি ঘুরতে আসা পর্যটকদের দেখায় তার বন্য সৌন্দর্য। বিরিশিরিতে রয়েছে পাহাড়ি কালচারাল একাডেমী। এখানকার আদিবাসীদের শতকরা ৬০ ভাগই গারো, হাজং ইত্যাদি নৃ-গোষ্ঠীর। এখানে আছে টঙ্ক বিপ্লবের কয়েকটি স্মৃতিস্তম্ভ।
দুর্গাপুর বাস স্ট্যান্ড এর পাশেই অবস্থিত পাহাড়ি কালচারাল একাডেমী। শান্ত-স্নিগ্ধ, সবুজে ঢাকা ছিমছাম পরিবেশ। এখানে কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রায় সবাই পাহাড়ি-গারো, হাজং। এ অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনযাত্রার নানা নিদর্শন সংরক্ষিত আছে এখানে । প্রায় সারা বছরই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এখানে। খুব সহজেই এখানে থেকে পরিচিত হতে পারবেন এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গুলোর সংস্কৃতির সাথে।
দূর্গাপুর থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তর সীমান্তে পাহাড়ের চূড়ায় রানীখং গির্জা অবস্থিত। এই পাহাড়ের চূড়া থেকে বিরিশিরির সৌন্দর্য যেন অন্য মাত্রা পায়।
বিরিশিরি ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই কমলা রানী দীঘি। এই কমলা রানী দিঘি সাগর দীঘি নামেও পরিচিত। দীঘিটি পুরোপুরি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এর দক্ষিণ-পশ্চিম পাড় এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছে।
একসময় দূর্গাপুর ছিল সুসং রাজ্যের রাজধানী। সোমেশ্বরী পাঠকের বংশধররা এ বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। এ জমিদার বাড়িটি চারটি অংশে বিভক্ত। বড় বাড়ি, মেজো বাড়ি, আবু বাড়ি ও দুই আনি বাড়ি।
দূর্গাপুর থেকে সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে রিকশায় যেতে হয় রানিখং গ্রামে। এখানে আছে জোসেফের গির্জা। গির্জাটা বেশ সাজানো-গোছানো, নীরব আর খুব সুন্দর। গির্জাটিতে প্রবেশ করলেই আপনার মন প্রশান্তিতে ভরে উঠবে।
১৯৪৬-১৯৫০ সালে মনি সিংহের নেতৃত্বে পরিচালিত টঙ্ক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিসৌধ। সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে কিছু দূর এগুতেই এম.কে.সি.এম হাই স্কুলের পাশেই চোখে পড়বে এ স্মৃতিসৌধটি। প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বর মনি সিংহের মৃত্যু দিবসে এখানে মনি মেলা নামে সাত দিনের লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়।
দূর্গাপুর বাজার থেকে বিজয়পুর পাহাড়ে যাওয়ার পথে কামারখালী বাজারের পাশে অবস্থিত রাশমণি স্মৃতিসৌধ। রাশমণি স্মৃতিসৌধ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বিজয়পুরে অবস্থিত বিরিশিরির সেই মূল আকর্ষণ চীনামাটির পাহাড়।

যেভাবে যাবেন
ঢাকার মহাখালী বাস স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি দূর্গাপুর যাওয়ার বিভিন্ন বাস ছাড়ে। এ বাসগুলো দিয়ে ৫-৭ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন বিরিশিরিতে। সেখানে নৌকায় ছোট নদী পার হতে হয়। ওপার থেকে রিকশা, টেম্পু, বাস বা মোটর সাইকেলে দূর্গাপুর যাওয়া যায়। এখানকার রাস্তা খুব একটা ভাল না হওয়ায় মোটর সাইকেলই সবচেয়ে সুবিধাজনক।
এছাড়াও কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন রাতে নেত্রকোনার উদ্দেশে ট্রেন ছাড়ে। ট্রেনে নেত্রকোনা পৌঁছে সেখান থেকেও বিরিশিরি যেতে পারবেন।

♊️♊️হবিগঞ্জ-তেলিয়াপাড়া-স্মৃত♊️♊️বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে স্থাপ...
05/09/2019

♊️♊️হবিগঞ্জ-তেলিয়াপাড়া-স্মৃত♊️♊️
বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে স্থাপিত হয় স্মৃতিসৌধ। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকা ও তেলিয়াপাড়া রেলস্টেশন থেকে ২ কিলোমিটার অভ্যন্তরে এই স্মৃতিসৌধটির অবস্থান। বুলেট আকৃতির নান্দনিক সৌধটির যেমন রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব, তেমনি এর চারপাশে রয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। যা এই জায়গাটিকে করেছে অনন্য এক পর্যটন আকর্ষণ। ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ৩নং সেক্টর কমান্ডার মেজর কেএম শফিউল্লাহ্ তার হেড কোয়ার্টার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্থাপন করেন। ধীরে ধীরে তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে থেকে মুক্তিবাহিনী একটি একটি বড় প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তোলা হয়। এই শিবির থেকেই তারা আশপাশের অঞ্চলে অভিযান পরিকল্পনা ও পরিচালনা করা হতো। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে ২১ শে জুনের পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণ শুরু করলে, তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্থাপিত সেক্টর হেডকোয়ার্টার তুলে নেয়া হয়। স্বাধীনতার পরে ১৯৭৫ সালে এই সৌধটি নির্মাণ করা হয় হয়।

স্মৃতিসৌধের মূল প্রবেশপথের দুই পাশে ফলকে দেখতে পাবেন লেখা কবি শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি কবিতার পঙক্তিমালা। দক্ষিণ দিকে লাগানো ফলক জানালো এ স্থানটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের এই বাংলোটি ছিল ১৯৭১ এ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন মুক্তিবাহিনীর আনুষ্ঠানিক প্রথম সদর দপ্তর। স্মৃতি ফলকের ৩৩ জনের নামের তালিকায় রয়েছে রাজনৈতিক নেতা সাবেক সেনা ও সরকারি কর্মকর্তা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নাম। এর মধ্যে রয়েছে প্রথম সেনা প্রধান কর্নেল আতাউল গণি ওসমানী, হবিগঞ্জেরই কৃতি সন্তান মুক্তিযুদ্ধে সহ-সেনা প্রধান কর্নেল এমএ রব, মেজর কেএম সফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, হবিগঞ্জের আরেক কৃতি সন্তান মেজর সি আর দত্তের নাম। বেদির পূর্ব পাশে লাগানো ফলকে লেখা রয়েছে ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মরণে নির্মিত এ স্মৃতিসৌধটি উদ্বোধন করেন মেজর জেনারেল এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম, সেনা প্রধান ৩ নম্বর সেক্টর কমান্ডার, সন ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ।
স্মৃতিসৌধের পূর্বপাশে রয়েছে বিখ্যাত সেই ডাক বাংলো। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই তেলিয়াপাড়া চা বাগান ম্যানেজার বাংলোটিকে ৩ নম্বর সেক্টর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। স্মৃতি সৌধের কাছেই রয়েছে নয়নাভিরাম পাহাড়ি হ্রদ। সবুজ শাপলা ও বাগানের অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য সহজেই আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এর চারদিকে চা বাগান। মাঝে হ্রদ। আবার হ্রদর মাঝখানে রয়েছে একটি দ্বীপ, মানে একটি টিলা। এর মধ্যেও দৃষ্টিনন্দন ঢেউ খেলানো চা বাগান। চা বাগান হবার কারণে পুরো এলাকা জুড়ে কেবল সবুজ আর সবুজ। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ আর ঐতিহাসিক গুরুত্বের সম্মিলন জায়গাটিকে ভ্রমণপিপাসু মানুষদের কাছে করে তুলেছে অতি আকর্ষণীয় । অনেকেই এখানে আসেন পিকনিক আয়োজনের জন্য। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ও অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মেলবন্ধনের তেলিয়াপাড়া তাই সব মিলিয়ে অনন্য এক স্থান।

Address

Dhaka
1212

Telephone

01765611135

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tours Mania posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share


Other Tourist Information Centers in Dhaka

Show All

You may also like