Bangladesh Travel Writers Association - BDTWA

Bangladesh Travel Writers Association - BDTWA Bnagladesh Travel Writers Association (BDTWA) is a travel writers organazations we are working trave

বিস্ময় নগরী আলেকজান্দ্রিয়া====================================সৈয়দ আখতারুজ্জামানকার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ ট্রাভেল রা...
26/09/2023

বিস্ময় নগরী আলেকজান্দ্রিয়া
====================================
সৈয়দ আখতারুজ্জামান
কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়েশন
====================================
উত্তরের ইউরোপ থেকে হু হু করে বয়ে আসছে ঠান্ডা বাতাস। আকাশ গাঢ় নীল। একট টুকরো মেঘও নেই কোথাও। সামনে আদিগন্ত সাগর। যতদূর চোখ যায় নীল জলরাশি। আমরা কয়েকজন বঙ্গসন্তান হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে আছি ভুমধ্যসাগরের পাড়ে, মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে। এখন অক্টোবর মাস। জুলাই-আগষ্টের তালপাকা-গরম শেষে বাতাসে শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের সামনে অর্ধবৃত্তাকার, ঘোড়ার খুড়ের মতো, বেঁকে যাওয়া এক অভূতপূর্ব বালুকা বেলা। এখন দুপুর প্রায়। একটু পরেই বিকেল হবে, জলে সোনারঙ ছড়াবে, সূর্য অস্ত যাবে। ভূমধ্যসাগরের এই নীল জল আর সৈকতে আছড়ে পড়া ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ দেখে সকলের কাছে আর দশটা সাগর সৈকতের মতোই সাধারণ মনে হতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ জানবে যে, হাজার বছর ধরে কত কত কিংবদন্তি মানুষ এই সাগরের জল পাড়ি দিয়েই একদিন পা রেখেছিলেন এই সৈকতে, যে সৈকতের পাড়ে এই যে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। একদিন ম্যাসাডোনিয়া থেকে আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট, রোম থেকে জুলিয়াস সিজার, মার্ক এন্থনিরা এই সৈকতে এসে নেমেছিলেন, শাসন করেছেন মিশর। আলেকজান্দ্রিয়ার সমুদ্র সৈকত ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ হলেও এই কোস্টলাইনের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ হাজার কিলোমিটার। স্পর্শ করেছে লিবিয়া, লেবানন, তুরস্ক, সিরিয়া, স্পেন, ইতালি, গ্রীসসহ ৩ মহাদেশের মোট ২২টি দেশ। খ্রীষ্টপূর্ব ৩৩১ সালে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট এই শহরের গোড়াপত্তন করেন। বিস্ময়ে পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। শেষ পর্যন্ত এসে পৌঁছলাম এই প্রাচীন ঐতিহাসিক কত শত নজিরবিহীন ঘটনা আর আবিস্কারের সাক্ষী এই ছোট্ট শহরটিতে। আকারে ঢাকা শহরের তিন ভাগের দুই ভাগ। আজকে সকালেই আমরা ১৮ জনের এক পর্যটক দল রাজধানী কায়রো থেকে ২১৮ কিলোমিটার উত্তরে মিশরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেকজান্দ্রিয়ায় এসে পৌঁছেছি।
যেহেতু আমাদের হাতে সময় কম। আর আলেকজান্দ্রিয়ার মতো এত ঘটনাবহুল একটি শহর যার অলিতে গলিতে মহাসড়কে কত কিছু দর্শনীয় ছড়িয়ে আছে যা এত অল্প সময়ে দেখে শেষ করা মুশকিল। তাই আমরা দ্রুত বেরিয়ে পড়ি। শুরুতেই চললাম আলেকজান্দ্রিয়ার রোমান থিয়েটার দেখতে। এম্ফিথিয়েটার। শহরের কেন্দ্রে ‘কম এল দিক্কা’ এলাকায় এটি একটি পুরাতাত্ত্বিক সাইট হিসেবে সংরক্ষিত। এম্ফিথিয়েটারটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল। কেউ জানাতো না রোমান থিয়েটারটি কোথায় হারিয়ে গেল। ১৯৬০ সালে একটি বিল্ডিংএর খনন কাজ চলাকালে এক নির্মান শ্রমিকের কোদালের তলায় এর একটি পিলার ঘটাং করে আওয়াজ করে। পরে খনন করলে এম্ফিথিয়েটারটি আবিস্কার হয়। ‘কম এল দিক্কা’ আরবি শব্দ যার মানে হলো বেঞ্চির পাহাড়। যেহেতু স্টেডিয়ামের মতো ধাপে ধাপে বসার ব্যবস্থা তাই এমন নাম। একসময় এখানে মিউজিক্যাল পারফরমেন্স হতো। এটি ছিল আলেকজান্দ্রিয়ার সবচেয়ে জমজমাট স্থানের একটি এবং আলেকজান্দ্রিয়ার অন্যতম আইকন। ধারণা করা হয় মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি ৭শ’ থেকে ৮শ’ আসন ক্ষমতা সম্পন্ন এই থিয়েটারটি কোন এক যুদ্ধে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।
গাইডের কাছে আবদার করি, সেরাপিউম অফ আলেকজান্দ্রিয়া দেখতে চাই। সেটা তো কাছেই হওয়ার কথা। সেরাপিউম অফ আলেকজান্দ্রিয়া ছিল তখনকার সময়ে গ্রীক কলোনির সবচেয়ে বড় গ্রীক মন্দির। প্রথম টলেমির নাতি তৃতীয় টলেমি ইউয়েরগেটস এটা বানিয়েছিল। বিশাল সেই মন্দিরের সাথে আছে এক লাইব্রেরি। গাইড বললো, সংস্কার কাজ চলায় সেরাপিউমের একটা বড় অংশ এখন বন্ধ আছে, আর লাইব্রেরির অস্তিত্ব এখন আর নেই। আর এই সেরাপিউমের উপরেই শত্রুদের সবেচয়ে বেশি আক্রমন হয়েছে। ৩৯১ সালে রোমান সৈন্যদের আক্রমণে মন্দিরটি ধ্বংস হয়। এরপর এখানে একটি মনাস্ট্রি বানানো হয়। দুইশ বছর পর সেটাও ধ্বংস হয়। তারপর একটি চার্চ বানানো হয়। চারশ বছর পর দশম শতাব্দীতে সেটিও ধ্বংস হয়। এখন এখানে পরে রয়েছ সেই ধ্বংসের স্মৃতি। আমরা যাওয়ার পথে দেখলাম চারপাশে উন্নয়ন কাজ চলছে।
এবার আমাদের গন্তব্য, কাটাকম্ব অফ কম আল শোকাফা। পথে যেতে যেতে ভাবছিলাম, সারা জগত জুড়েই এই ভাঙা আর গড়ার খেলা। যুগে যুগে মানুষই মানুষের সৃষ্টিকে ধ্বংস করেছে। ক্ষমতা আর ধন সম্পদের লোভে একের পর এক সভ্যতার বিস্ময়কর নিদর্শনগুলো নিশ্চিহ্ন করেছে।
‘কম আল দিক্কা’র মতো ‘কম আল শোকাফা’ও একটি স্থানের নাম। পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর নামের বাংলা করলে দাঁড়ায় অমুক স্থানের অমুক নিদর্শন। সে হিসাবে বলতে হবে ‘কম আল শোকাফা’র কাটাকম্ব। কাটাকম্ব মূলত একটি খাড়া কবরস্থান। প্রথমে শুনে বেশ অবাক লেগেছিল। আমরা প্রথমে এন্ট্রি টিকেট কেটে সারিবদ্ধ হয়ে হাঁটতে হাঁটতে একটা বিশাল আকারের কুয়ার মধ্যে প্যাঁচানো সিড়ি দিয়ে নিচের দিকে নামতে থাকি। পুরনো ধূলি ধূসরিত প্রাচীন কূপের দেয়াল ঘেঁষে আতি সরু সিড়ি দিয়ে নামাতে নামতে এক সময় মনেহচ্ছিল পাতালপুরীতে নামছি। একদম নিচে নামার পর একটা হল ঘর দেখতে পাই। আর তার দেয়াল জুড়ে অনেক রোমান ও মিশরীয় নকশা, পেইন্টিং, কারুকার্য আর চারকোনা অনেকগুলো বড় আকারের গর্ত। গাইড জানালেন, এই গর্তগুলোর মধ্যেই রাখা হতো মৃত দেহ। হল ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে রোমান যুদ্ধপোষাক পরা দেবতা আনুবিস ও সোবেক। মাটির এতটা নিচে এই আলো আঁধারের ভৌতিক আবহে গা ছমছম করতে থাকে। গাইড আরো জানালেন, এটি দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শতাব্দীতে কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার হয়। তারপর কালের গর্ভে হারিয়ে যায় এই কাটাকম্ব। ১৯০০ সালে একটি গাধা হঠাত একটি ছোট গর্তের মধ্যে পড়ে গেলে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে এই কূপ আবিস্কৃত হয় এবং পুরাতত্ত্ববিদরা খনন করে এই কবরস্থান আবিস্কার করেন। তিন স্তর বিশিষ্ট এই কবরস্থানের একটি স্তরে ছিল মৃতের স্বজনদের বসার বেঞ্চ যেখানে বসে মৃত সৎকারের কার্যক্রম দেখতেন তারা। অনুমান করি, মৃত্যুর পর প্রতাপশালী রাজা ছাড়া অন্যান্য রাজা-রানীদের কপালে পিরামিড জুটতো না। আর সাধারণ মিশরীয়দের কথা তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু মৃত্যু পরবর্তী জীবনের উপর বিশ্বাস ছিল সকল মিশরীয়দেরই সমান। তাই পিরামিডের কবর না হলেও কাটাকম্বের কবরস্থানেও প্রায়ই একই রকম ব্যবস্থার নমুনা দেখা যায়। মৃতের সাথে তার প্রিয় জিনিসপত্র দিয়ে দেয়া, দেবতাদের মূর্তির উপস্থিতি ইত্যাদি।
আমাদের এর পরের গন্তব্য ভূমধ্যসাগরের পাড়ে ফারোস দ্বীপে দাঁড়িয় থাকা কাইতবে দুর্গ। তখন দ্বীপ ছিল কিন্তু এখন স্থল পথের সাথে মিশে একই ভূখন্ড হয়ে গেছে। এখানেই ছিল প্রাচীন সপ্তমাশ্চর্যের সেই বিখ্যাত আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর। আমরা ভাবতে থাকি বাতিঘর গেলো কোথায়? জানি মূল বাতিঘরটি বহু আগেই ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে কিন্তু আশা করেছিলাম এত বিখ্যাত মনুমেন্টটির আদলে অন্তত কিছু একটা থাকবে। কিন্তু নি:সঙ্গ কাইতবে দুর্গ আর সাগরের বন্দর-পাড়ে কাকডাকা মাছের নৌকার ভিড় ছাড়া আর কিছু নেই। রাজা প্রথম টলেমি এই বাতিঘরের নির্মান কাজ শুরু করলেও শেষ করে যেতে পারেন নি। খ্রীষ্টপূর্ব ২৭৯ সালে এই কাজ শেষ করেন দ্বিতীয় টলেমি। এখন এই কাইতবে দুর্গ একটি মেরিটাইম মিউজিয়াম পেটের মধ্যে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, বাতিঘরটি কেবলই স্মৃতি। বাতিঘরটি কেন সপ্তমাশ্চর্যের অন্যতম ছিল সেটা বোঝার চেষ্টা করছিলাম। কী এমন বিশেষত্ব ছিল এই বাতিঘরের। বাতিঘরটির উচ্চতা ছিল ৩৮৭ ফুট। অনুমান করার চেষ্টা করি ৩৮৭ ফুট মানে প্রায় ৪০ তলা বিল্ডিং এর সমান। তার মানে কত বিশাল ছিল এর উচ্চতা! আর গোড়ার দিকটা দৈর্ঘ্যে প্রস্থে ১০০ ফিট করে। এত বড় আকারের বাতিঘরে আজকের দুনিয়াতের নজরে পড়েনা। রাজা প্রথম টলেমি দুনিয়াকে তার শক্তির মহিমা বোঝানোর জন্য এই বাতিঘর বানান, ফলে এই প্রকান্ড আকারের পেছনে কি কারণ থাকতে পারে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। কিন্তু অদৃষ্টের এমনই পরিনাম প্রথম টলেমি এই বাতিঘর দেখে যেতে পারলেন না। আমি শুধু কল্পনায় দেখতে পাই, যখন পৃথিবীতে সমুদ্রই হয়ে উঠেছিল বিশ্বজয়ের অন্যতম প্রধান পথ তখন এই বাতিঘর কত পথহারা নাবিককে পথ দেখিয়েছে! ভাবি, সারা বিশ্বের সবচেয়ে যা আশ্চর্যজনক তার তিন তিনটা বস্তুই এই দেশে আর দুইটা এই শহরেই! একটু আগে যে কাটাকম্ব দেখে আসলাম ওটাও কিন্তু মধ্যযুগের সপ্তমাশ্চর্যের একটি।
কাইতবে দুর্গ দেখে আমরা ছুটতে থাকি আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরির দিকে। বিকেল হয়েছে। একটু পরেই সূর্য অস্ত যাবে। এই লাইব্রেরি না দেখতে পারলে আলেকজান্দ্রিয়া ভ্রমণ বৃথা। এই লাইব্রেরিতে পড়েছেন জ্যামিতির জনক ইউক্লিড। এই লাইব্রেরিতে রাখা ছিল এরিষ্টটল, প্লেটো আর পিথাগোরাসের মতো বিশ্বখ্যাত দার্শনিক আর গণিতবিদদের মূল লেখা। আরো কত কী! বলে শেষ করা যাবে না। আমরা দস্তুর মতো ছুটতে থাকি। ঘড়িতে চারটার বেশি বাজে। এই লাইব্রেরির একটি অংশে কড়া নিরাপত্তায় রাখা আছে কিছু প্রাচীন পুঁথি বা স্ক্রল। সেই অংশটা আরো আগে বন্ধ হয়ে যায়। আমরা লাইব্রেরিতে ঢুকেই একটি গাইডেড ট্যুর নিয়ে নেই। নইলে এত বিশাল লাইব্রেরি এত অল্প সময়ে ঘুরে দেখা কোনভাবেই সম্ভব না। তাছাড়া লাইব্রেবির ইতিহাসটুকুওতো জানতে চাই। শুরুতেই প্রাচীন পুঁথির অংশটা আমরা আগে দেখে নেই। ধারণা করি, কয়েকশ পুঁথি রাখা আছে এখানে, যা মূলত প্যাপিরাস কাগজের উপর লেখা। কিন্তু ইতিহাসবিদরা ধারণা করেন এই লাইব্রেরিতে কয়েক লক্ষ বই ও স্ক্রল ছিল। সব বই রাখার মতো ধারণক্ষমতাও ছিল না এই লাইব্রেরির। ফলে রাজা টলেমি সেরাপিউমে আরো একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন। সেরাপিউমের সেই ক্ক্ষে প্রায় ৪০ হাজার স্ক্রল ছিল বলে জানা যায়। এই লা্‌ইব্রেরিটি পুড়ে যাওয়া সারা বিশ্বের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। কে আগুনে পুড়িয়েছে এ নিয়েও আছে বিতর্ক। কেউ বলেন আরবরা পুড়িয়ে দিয়েছে। কেউ বলেন, এর জন্য পক্ষান্তরে জুলিয়াস সিজারই দায়ী। জুলিয়াস সিজার যখন বন্দরের নৌবহরে আগুন দেয়ার জন্য তার সৈন্যদের নির্দেশ দেন তখন সতর্কতার অভাবে আগুনের লেলিহান শিখা বন্দরের লাগোয়া লাইব্রেরিটিকেও পুড়িয়ে দেয়। কেউ বলেন, না সিজারের সেই আগুনে মূল লাইব্রেরি অক্ষতই ছিল। বিতর্কের শেষ না হলেও অমূল্য লাইব্রেরিটি শেষ রক্ষা হয়নি। জানা যায়, রাজা দ্বতীয় টলেমির ছেলে তৃতীয় টলেমি এই স্ক্রল বা বই সংগ্রহ করতে এতটাই আগ্রহী ছিলেন যে বন্দরে আসা সকল জাহাজ তল্লাশি করে যদি কোন পুঁথি বা বই পাওয়া যেত তাহলে সেটা চলে যেত আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিতে। সেখানে এই পুঁথির দ্রুত অনুলিপি তৈরি করার পর আসলটি রেখে দিয়ে নকলটি ফেরত দিয়ে দেয়া হতো। এভাবে সারা দুনিয়ার জ্ঞানের সংগ্রহশালা হয়ে উঠেছিল এই লাইব্ররি। মনে পড়ে খুবই উৎফুল্ল অনুভব করি, এই লাইব্রেরির চিফ লাইব্রেরিয়ান ছিলেন সেই বিখ্যাত এরাটোস্থেনিস, যিনি স্রেফ একটি কাঠির ছায়া দিয়ে পৃথিবীর পরিধি নির্ভুলভাবে মেপেছিলেন সেই হাজার বছর আগে। তখনকারদিনের গ্রীক, রোমান আর মিশরীয় মনিষীদের প্রতিভা আজো বিস্ময় জাগায়। আর আলেকজান্দ্রিয়া ছিল সেই সব জ্ঞানপিপাসুদের মিলনকেন্দ্র।
সব কিছু ঘুরে দেখার পর বোকার মতো গাইডকে জিজ্ঞেস করি, তুমি কি আমাদের দেখাত পারো ইউক্লিড কোথায় বসে পড়তেন বা এরাটোস্থেনিস কোথায় বসতেন? গাইড বিমর্ষমুখে জানায় আসল আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরি পুড়ে গেছে এবং পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে যার অবস্থান ছিল এই নবনির্মিত লাইব্রেরির কাছেই। আসলে আমার মনজগতে আমি সেই দুই হাজার বছর আগের লাইব্রেরিতেই ঘুরছিলাম যেন। স্কুলে পড়া চরিত্রগুলোকে যেন দেখতে পাচ্ছিলাম চোখের সামনে।
হোটেলে ফিরে এসেও ঘোর কাটলো না। ডিনার করে আবার বের হই রাতের আলেকজান্দ্রিয়া দেখতে। আবার কবে আসবো এই শহরে কে জানে! আদৌ কি আসা হবে আর! ঘোর লাগা মানুষের মতো হাঁটতে থাকি পথ ধরে। এই সেই পথ, হয়ত এই পথেই জুলিয়াস জিসার, ক্লিওপেট্রা, ইউক্লিডরা হেঁটেছেন, ঘোড়ায় চড়ে ধূলো উড়িয়ে ছুটে গেছেন। কত কত যুদ্ধ হয়েছে, কত কত মানুষের রক্তে ভেসেছে এই পথ, কত আগুনের পোড়া ছাইয়ে মেঘাচ্ছন্ন হয়েছে এই আলেকজান্দ্রিয়ার আকাশ। গভীর রাতে ভূমধ্যসাগরের পাড়ে এক কফিশপে বসে এক কাপ কফি খাই। আলেকজান্দ্রিয়ার কফির জগত জোড়া খ্যাতি। এই মধ্যরাতেও সাগর পাড়ের রাস্তা পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। কে বলে আলেকজান্দ্রিয়া ঘুমায়। নক্ষত্রের মতো তাকে ঘিরে পৃথিবীর সব ভ্রমণ পিপাসু গ্রহেরা প্রদক্ষিণ করতেই থাকে, তবু তাদের বিস্ময়ের ঘোর কাটে না।

*** সমাপ্ত ***

মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়শেন-এর সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানাই। সকল শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই বিন...
16/12/2022

মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়শেন-এর সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানাই। সকল শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

Meet a Bangladeshi student at the conference in sapporo, Japan.
09/10/2022

Meet a Bangladeshi student at the conference in sapporo, Japan.

At the conference ,Japan.
09/10/2022

At the conference ,Japan.

https://bangla.thedailystar.net/life-living/travel/news-398131
27/09/2022

https://bangla.thedailystar.net/life-living/travel/news-398131

রামনাথ বিশ্বাস ছিলেন অসম সাহসী ভূ-পর্যটক, বিপ্লবী ও মানবদরদি। পৃথিবী ঘুরে দেখার বাসনা তার মনে টগবগিয়ে ফুটতো। শত প....

ট্রাভেল কার্নিভাল - জুলাই  ২০২২========================৫ম বারের মত বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়োশনের উদ্যোগে ছোট্ট প...
21/07/2022

ট্রাভেল কার্নিভাল - জুলাই ২০২২

========================

৫ম বারের মত বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়োশনের উদ্যোগে ছোট্ট পরিসরে আয়োজন হতে চলেছে " ট্রাভেল কার্নিভাল - জুলাই - ২০২২

তারিখ: ২৯ জুলাই , শুক্রবার

সময়: বিকাল ৪টা - রাত ৮টা

ফেইথ ওভারসিজ লিমিটেড
স্থান: বাসা- ১৪, রোড নং: ৯, সেক্টর: ৪, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।
(বাংলাদেশ ক্লাবের ঠিক সামনে)

মাত্র ৪ ঘন্টার এই কার্নিভালের প্রধান আকর্ষণ থাকছেন ভ্রমণ লেখকরাই। সীমিত আসনের আগ্রহী ভ্রমণপ্রেমী মানুষের সান্নিধ্যে এই আয়োজন ছোট্ট পরিসরেই যাত্রা শুরু করবে। বিস্তারিত নীচে তুলে ধরা হলো।

ভ্রমণ বই আলোচনা: সময়কাল এক ঘন্টা

==============================

১. এই পর্বে ৪ জন লেখক তাদের স্বরচিত ভ্রমণ বই নিয়ে আলোচনা করবেন। লেখকের অভিজ্ঞতা, বই সংক্রান্ত পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এবং উপস্থিত শ্রোতা/পাঠকদের প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে।

২. প্রতি লেখক ২৫ মিনিট করে টাইম-স্লট পাবেন।

৩. বই আলোচনা পর্ব শেষে লেখকের বই বিক্রি, অটোগ্রাফ সংগ্রহ এবং ফটোসেশন থাকবে।

৪. লেখক রেজিষ্ট্রেশন ফি, লেখক : ৫১০ টাকা।
* অতিথি : ৩০০ টাকা।
বি: দ্র: রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহন করা যাবে না।
বিকাশ নম্বর : 01941578463

ভ্রমণ ফটোগ্রাফি প্রেজেন্টেশন: সময় কাল ৩০ মিনিট

======================================

ট্রাভেল কার্ণিভালকে আরো উপভোগ্য করে তোলার জন্য একজন খ্যাতনামা ভ্রমণ আলোকচিত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যিনি তার বাছাইকৃত আলোকচিত্র স্লাইড শো করবেন। এই পর্বে আমরা অতিথি আলোকচিত্রী অভিজ্ঞতা, আলোকচিত্র সন্মদ্ধে পরামর্শ এবং উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে। একই সাথে থাকবে আমন্ত্রিত আলোকচিত্রীর বই, পোস্টকার্ড ইত্যাদি (যদি থাকে) ক্রয়ের সুযোগ।

ভ্রমণ বইয়ের লেখক-প্রকাশক মত-বিনিময়: সময় কাল ৩০ মিনিট

==============================================

লেখক মানেই যে বই প্রকাশ করেছেন, এমন কিন্তু নয়। আমাদের এসোসিয়েশনের অনেক সম্মানিত সদস্য আছেন যারা অনেকেই লিখেছেন এবং লিখছেন কিন্তু ভ্রমণ-বই এখনও প্রকাশ করেন নি। প্রত্যেক লেখকের জন্যেই একটি সার্থক বইয়ের প্রকাশ যেন আরাধ্য স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের দুয়ার খুলে দিতে এই কার্ণিভালে আমরা একজন করে ভ্রমণ বইয়ের প্রকাশককে আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগ নিয়েছি। লেখক-প্রকাশক মত-বিনিময়ের এই পর্বে লেখকদের প্রত্যাশার পাশাপাশি প্রকাশদের চাহিদা প্রসঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি পাণ্ডুলিপি জমা দেয়ার সুযোগ থাকবে।

ভ্রমণ দেশ উপস্থাপনা: সময় কাল এক ঘন্টা

=================================

এই পর্বে ভ্রমণ দৃষ্টিকোন থেকে প্রতি পর্বে একটি করে দেশ উপস্থাপন করা হবে। উদ্বোধনী কার্নিভালের জন্য ভ্রমণ দেশ হিসেবে বাহরাইন নিয়ে উপস্থাপনা করবেন, জনাব আশরাফুজ্জামান উজ্জল (প্রেসিডেন্ট - বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়েশন)।
* চা-কফি ও জলখাবার সহযোগে সম্মিলিত গল্প-স্বল্প আর আড্ডা: ঘন্টা খানেক

সমাপনী: ঘোষণা এবং পরবর্তী কার্ণিভালের তারিখ ঘোষণা

কার্নিভালে অংশ গ্রহণের নিয়মাবলী:

============================

- আসন সংখ্যা সীমিত বিধায় রেজিষ্ট্রেশনের ভিত্তিতে কার্নিভালে অংশ নিতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন ফি -
* লেখক : ৫১০ টাকা।
* অতিথি : ৩০০ টাকা।
বিকাশ নম্বর : 01941578463

আসন সংখ্যা মাত্র ১৫/১৬টি। ফলে যারা যোগদানে আগ্রহী তারা দ্রুত বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করে আপনাদের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।

- সম্মানিত সদস্যবৃন্দ সব সময় অগ্রাধিকার পাবেন। তাই যাদের বই আছে এবং বই-আলোচনা পর্বে অংশ নিতে চান তারা দ্রুত রেজিষ্ট্রেশন করুন।

কার্নিভাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কমেন্টে লিখুন, মেসেজ করুন, কিংবা সরাসরি ফোন করুন কার্নিভাল সমন্বয় বিভাগের +8801552823282 এই নম্বরে।

রেজিস্ট্রেশনের সর্বশেষ তারিখ ২৭ জুলাই।

যাঁরা নতুন সদস্য হতে আগ্রহী তাঁরা অনুগ্রহ করে এনআইডি/পাসপোর্টের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে আসতে পারেন।

যে ভাষা দিয়েছে বিশ্বের বুকে স্থান,যে ভাষায় কথা বলেলক্ষ কোটি  প্রাণ,যে ভাষায় রচিত হয় হাজার লক্ষ সাহিত্য,সেই ভাষার বলে গর্...
20/02/2022

যে ভাষা দিয়েছে
বিশ্বের বুকে স্থান,
যে ভাষায় কথা বলে
লক্ষ কোটি প্রাণ,
যে ভাষায় রচিত হয়
হাজার লক্ষ সাহিত্য,
সেই ভাষার বলে
গর্বিত আমাদের ব্যক্তিত্ব,
শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করছি
সেসব শহীদদের প্রতি,
৫২ এর ভাষা আন্দোলনে যারা
রেখেছিলেন বাংলা ভাষার গতি,
যে ভাষায় ধারণ করি
লক্ষ্য কোটি আশা,
পরম যত্নে থাক,
সকলের প্রিয় সেই বাংলা ভাষা...

30/11/2021

গুগল এর সাহায্য না নিয়ে বলুন, Mawsynram স্থানটি কোন দেশের কোন রাজ্যে অবস্থিত?

26/10/2021
ট্রাভেল কার্নিভাল - অক্টোবর  ২০২১তারিখ:  ২৯ অক্টোবর  , শুক্রবার========================পৃথিবী থমকে আছে যেন। করোনা-মহামার...
05/10/2021

ট্রাভেল কার্নিভাল - অক্টোবর ২০২১
তারিখ: ২৯ অক্টোবর , শুক্রবার
========================
পৃথিবী থমকে আছে যেন। করোনা-মহামারী ঢেউয়ের মতো থেকে থেকে আছড়ে পড়ছে। তবুও সময় বয়ে চলছে । এরই মধ্যে পরিস্থিতি-বুঝে একপা দুপা করে এগিয়ে চলার প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে মানুষ। আমরাও সীমিত পরিসরে উদ্যোগ নিচ্ছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আস্তে আস্তে এগিয়ে চলার। তারই প্রাথমিক পর্বে বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়োশনের উদ্যোগে ছোট্ট পরিসরে আয়োজন হতে চলেছে " ট্রাভেল কার্নিভাল - অক্টোবর - ২০২১"
তারিখ: ২৯ অক্টোবর , শুক্রবার
সময়: বিকাল ৪টা - রাত ৮টা
স্থান: বাসা- ১৪, রোড নং: ৯, সেক্টর: ৪, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।
মাত্র ৪ ঘন্টার এই কার্নিভালের প্রধান আকর্ষণ থাকছেন ভ্রমণ লেখকরাই। সীমিত আসনের আগ্রহী ভ্রমণপ্রেমী মানুষের সান্নিধ্যে এই আয়োজন ছোট্ট পরিসরেই যাত্রা শুরু করবে। বিস্তারিত নীচে তুলে ধরা হলো।
ভ্রমণ বই আলোচনা: সময়কাল এক ঘন্টা
==============================
১. এই পর্বে ৪ জন লেখক তাদের স্বরচিত ভ্রমণ বই নিয়ে আলোচনা করবেন। লেখকের অভিজ্ঞতা, বই সংক্রান্ত পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এবং উপস্থিত শ্রোতা/পাঠকদের প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে।
২. প্রতি লেখক ২৫ মিনিট করে টাইম-স্লট পাবেন।
৩. বই আলোচনা পর্ব শেষে লেখকের বই বিক্রি, অটোগ্রাফ সংগ্রহ এবং ফটোসেশন থাকবে।
৪. লেখক রেজিষ্ট্রেশন ফি, লেখক : ৫০০ টাকা।
* অতিথি : ৩০০ টাকা।
বি: দ্র: রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া উক্ত অনুষ্টানে অংশগ্রহন করা যাবে না।
বিকাশ নম্বর : 01941578463
নগদ নম্বর : 01552823282
ভ্রমণ ফটোগ্রাফি প্রেজেন্টেশন: সময় কাল ৩০ মিনিট
======================================
ট্রাভেল কার্ণিভালকে আরো উপভোগ্য করে তোলার জন্য একজন খ্যাতনামা ভ্রমণ আলোকচিত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যিনি তার বাছাইকৃত আলোকচিত্র স্লাইড শো করবেন। এই পর্বে আমরা অতিথি আলোকচিত্রী অভিজ্ঞতা, আলোকচিত্র সন্মদ্ধে পরামর্শ এবং উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে। একই সাথে থাকবে আমন্ত্রিত আলোকচিত্রীর বই, পোস্টকার্ড ইত্যাদি (যদি থাকে) ক্রয়ের সুযোগ।
ভ্রমণ বইয়ের লেখক-প্রকাশক মত-বিনিময়: সময় কাল ৩০ মিনিট
==============================================
লেখক মানেই যে বই প্রকাশ করেছেন, এমন কিন্তু নয়। আমাদের এসোসিয়েশনের অনেক সম্মানিত সদস্য আছেন যারা অনেকেই লিখেছেন এবং লিখছেন কিন্তু ভ্রমণ-বই এখনও প্রকাশ করেন নি। প্রত্যেক লেখকের জন্যেই একটি সার্থক বইয়ের প্রকাশ যেন আরাধ্য স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের দুয়ার খুলে দিতে এই কার্ণিভালে আমরা একজন করে ভ্রমণ বইয়ের প্রকাশককে আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগ নিয়েছি। লেখক-প্রকাশক মত-বিনিময়ের এই পর্বে লেখকদের প্রত্যাশার পাশাপাশি প্রকাশদের চাহিদা প্রসঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি পাণ্ডুলিপি জমা দেয়ার সুযোগ থাকবে।
ভ্রমণ দেশ উপস্থাপনা: সময় কাল এক ঘন্টা
=================================
এই পর্বে ভ্রমণ দৃষ্টিকোন থেকে প্রতি পর্বে একটি করে দেশ উপস্থাপন করা হবে। উদ্বোধনী কার্ণিভালের জন্য ভ্রমণ দেশ হিসেবে মিশর নিয়ে উপস্থাপনা করবেন, জনাব আশরাফুজ্জামান উজ্জল (প্রেসিডেন্ট - বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়েশন)।
* চা-কফি ও জলখাবার সহযোগে সম্মিলিত গল্প-স্বল্প আর আড্ডা: ঘন্টা খানেক
সমাপনী: ঘোষণা এবং পরবর্তী কার্ণিভালের তারিখ ঘোষণা
কার্ণিভালে অংশ গ্রহণের নিয়মাবলী:
============================
- আসন সংখ্যা সীমিত বিধায় রেজিষ্ট্রেশনের ভিত্তিতে কার্ণিভালে অংশ নিতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন ফি -
* লেখক : ৫০০ টাকা।
* অতিথি : ৩০০ টাকা।
বিকাশ নম্বর : 01941578463
নগদ নম্বর : 01552823282
আসন সংখ্যা মাত্র ২৫ টি। ফলে যারা যোগদানে আগ্রহী তারা দ্রুত বিকাশ কিংবা নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করে আপনাদের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
- সম্মানিত সদস্যবৃন্দ সব সময় অগ্রাধিকার পাবেন। তাই যাদের বই আছে এবং বই-আলোচনা পর্বে অংশ নিতে চান তারা দ্রুত রেজিষ্ট্রেশন করুন।
কার্ণিভাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কমেন্টে লিখুন, মেসেজ করুন, কিংবা সরাসরি ফোন করুন কার্ণিভাল সমন্বয় বিভাগের +8801552823282 এই নম্বরে।

কালিম্পংশান্ত সুন্দর ও ঠান্ডা পরিবেশের ছোট্ট একটি শহর কালিমপং। দার্জিলিং এর কিছু দুরেই অবস্থান।  শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ...
26/09/2021

কালিম্পং

শান্ত সুন্দর ও ঠান্ডা পরিবেশের ছোট্ট একটি শহর কালিমপং। দার্জিলিং এর কিছু দুরেই অবস্থান। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এ বাস বা জিপে করে সহজেই যাওয়া যায়। সময় লাগে ৩ ঘন্টার মতন

কাঞ্চনজঙ্ঘা কালিমপং-এ এক মহৎ প্রেক্ষাপট নিবেদন করে। ঋতুর সঙ্গে সঙ্গে এটি সুন্দর অর্কিড, বিভিন্ন ফুলের বর্ণময় শৃঙ্খলে ভরে ওঠে। আঁকাবাঁকা নদী প্রান্তের উপর বসে কিছুক্ষণ আত্মদর্শন করুন। অথবা আপনি যদি কোন হৃদয় স্পন্দিত সন্তুষ্টি চান, তবে তিস্তা নদীতে ভেলায় চড়ে ভ্রমণ বা নেওড়া জাতীয় উদ্যানে ভ্রমণ করতে পারেন।

কালিমপং-এ ভ্রমণ, আপনাকে মহিমান্বিত হিমালয়ের কোলে একটি সরল শান্ত ও মনোরম পাহাড় পশ্চাদপসরণে আপনাকে নিয়ে যাবে। এই স্থানটির নামের উৎপত্তির পিছনে অনেক পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, এই নাম ভূটানী শব্দ থেকে অভিব্যক্ত হয়েছে, যার অর্থ হল ‘রাজার মন্ত্রীদের শক্তিশালী অধিষ্ঠান’। স্থানীয় ভাষায়, এই নামের অর্থ হল ‘কালো উদ্দীপনা’। লেপচা মতানুযায়ী কালিমপং-এর অর্থ হল ‘শৈলশ্রণী যেখানে আমরা খেলি’। এটি কথিত আছে যে এখানকার স্থানীয় আদিবাসীরা যখন কৃষিতে জড়িত থাকে না, তখন তারা ক্রীড়া ক্ষেত্রের আয়োজন করে-তারপর থেকে এই নামকরণ হয়।

মহৎ কাঞ্চনজঙ্ঘা, কালিমপং-এ ভ্রমণার্থী হিসাবে আপনাকে স্বাগত জানায়। হিমালয়ের পাদদেশে আবৃত সবুজ শৈলশিরা বোধশক্তিতে এক আকর্ষণীয় প্রভাব বিস্তার করে। সরল, শান্ত ও মনোরম তিস্তা ও রঙ্গিৎ-এর প্রবাহমানতার এক বিরল সৌন্দর্য এই অঞ্চলকে ঋণী করে তুলেছে।

কালিমপং-এ পৌঁছানোর উপায়

৪১০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কালিমপং একটি প্রশান্ত পাহাড়ের পশ্চাদপসরণ। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশে, সিকিম রাজ্যের সংলগ্নে এটি অবস্থিত। সবুজ বৃক্ষের উৎকলিত প্রসারণ ও অগণ্য প্রজাতির অর্কিড চোখকে মুগ্ধ করে তোলে।

ভ্রমণের সেরা জায়গাগুলো

গৌরিপুর হাউস:

বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদচিহ্ন ধারন করা আছে গৌরিপুর হাউসে। চিত্রাভানু এটির স্থানীয় নাম। মংপু যাওয়া আসার পখে রবিন্দ্রনাথ প্রায় এখানে অবকাশ যাপন করতেন। পাহাড়ি শান্ত পরিবেশ অবস্থিত বাড়িটি খুবই অস্বধারণ।

ডেলো পার্ক :

প্রকৃতির নিদারুন পরিবেশে পাহাড়ের এক অপরূপ সৌন্দর্যবর্ণিত জায়গায় এর অবস্থান। সুন্দর পরিপাটি করে পাথড়ের আস্তরনে বেস্টিত করা ডেলো পার্কের মূল ভবনটি। সামনে খোলা মাঠ ও চারপাশে ছোট বড় অনেক বেঞ্চ, চমৎকার ও বাহারি রঙ্গের ফুলগাছের সমারোহ পার্কের ভেতরের পরিবেশকে আরো মনোমুগ্ধ করে তুলেছে। একপাশে আছে কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পয়েন্ট। দুর পাহাড়ের সবুজ ঘেষে যেন মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে স্বেত শুভ্র আরেকটি পাহাড়, হ্যা এটাই সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা। সেখান থেকেই নিচের দিকে তাকালে দেখা যাবে, পাহাড়ের ফাকে ফাকে ছোট ছোট বিভিন্ন রঙ্গের বাড়ি ঘর, মনে হবে যেন প্রশান্তি এক টুকরো অংশ এখানেই। পার্কে চাইলে গ্রুপেও আসা যায়, ক্যাম্পিং অথবা কোন পিকনিকের আয়োজনে এখানে করা যাবে।

হনুমান মন্দির

ডেলো পার্ক থেকে একটু নিচে নেমে এলেই মিলবে হনুমান মন্দির আরেকটা ছোট্ট পাহাড়ের চূড়ায় মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে গণেশ প্রতিমা। দূর থেকে অনেক সুন্দর লাগে। রাস্তা থেকে কিছু উপরে উঠতে হবে সিঁড়ি বেয়ে, খুব পরিষ্কার সাজানো মন্দির।
হনুমান মন্দির থেকে বের হলেই চোঁখে পরকে ছোট্ট একটা মনেস্ট্রী, চমৎকার রঙ্গিন মনেস্ট্রীতে ফটোগ্রাফী বেশ দারুন হয়।
এবার আবার বেক করবো কালিম্পং শহরের দিকে।

ক্যাকটাস গার্ডেন:

শহর থেকে খানিকটা দূর যেতে হবে ক্যাকটাস গার্ডেনের উদ্দেশ্য। ছোট্ট জনবসতির ভেতর দিয়ে পৌছালাম ক্যাকটাস গার্ডেনে। সাজানো পরিপাটি বড় বড় ৫ / ৬ টা ঘরে সাজানো ক্যাকটাসগুলো। অদ্ভুদ আকারের এই গাছগুলো দেখে মনে গেল কিছু মুভির কথা, যেসব মুভিতে মানুষখেকো গাছে এবং ভৌতিক কিছু গাছের বর্ণনা দেখানো আছে, সেই ধরনের গাছগুলো এখানে। অনেক গাছগুলোই প্রায় আমার থেকেও অনেক বড়। আবার কিছু কিছু ক্যাকটাসের অসাধারনে রঙ্গ বেরঙ্গের ফুল সত্যি মুগ্ধ করে ফেলেছে। এই গার্ডেটনটি এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্যাকটাস গার্ডেন বলা হয়।
গার্ডেনে ক্যাকটাস ছাড়াও আরো বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। গার্ডেটের একপান্তে রয়েছে ভিউ পয়েন্ট, এখান থেকে দেখা যায় সবুজ পাহাড়ের ববুকে ভেসে আছে পুরো কালিম্পং শহর।

মনেস্ট্রি ভ্রমণ

কালিম্পং থেকে ডেলো পার্ক যেতেই সাকা মনেস্ট্রি চোঁখে পরবে.. চমৎকার সুন্দর এই মনেট্রি মুলত একটা স্কুল। বৌদ্দ ধর্মের বাচ্চাদের স্কুল এটা। এবং সেখানকার নমকরা একটা বৌদ্দ স্কুল।
এখানে গেলে দেখতে পারবেন, স্কুলের বিভিন্ন কার্যকলাপ। বাচ্চাদের সকালে প্যারেট করানো, বিভিন্ন বিষয়ে পড়ানোর ধরন।

জনপ্রিয় আরেক মনেট্রি হল দূরপিন.

কারিম্পং এ অনেকগুলো মনেস্ট্রি আছে, তারমধ্যে দূরপিন মনেস্ট্রি। পাহাড়ের চূড়ায় মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে ৪ তলা এই মনেট্রিটি। বাহারি রঙ্গে এবং দারুন সব সৌন্দর্যবর্ধন ছোট বৃক্ষে সাজানো এই মনেট্রি। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে ২৫-৩০ টি স্মৃতিস্তম্ভ রেয়েছে। পার্কের মত সজ্জিত পুরো মনেস্ট্রিটি। প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী বেড়াতে আসেন এখানে। পাশেই আছে সুবিশাল মাঠ। স্থানীয় কালচারাল অনুষ্ঠান এবং স্কুলের যাবতীয় খেলাধুলা পরিচালনার কর্যক্রম হয় এই মাঠটিতে। মনেট্রির আরেক পাশে রয়েছে দূরপিন ভিউ পয়েন্ট। যেখান থেকে পুরো কালিম্পং এর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
দূরপিন দেখা শেষ কালিম্পং এর দিকে ফিরে আসার সময় দেখা মিলবে কালিম্পং আর্মি ক্যান্টনমেন্ট। বেশ চমৎকার দৃষ্টিনন্দন এড়িয়া। তবে সেখানে ছবি বা ভিডিও ধারনের নিষেধ আছে। শুধু ঘুরে দেখতে পারবেন। আরেকটু এগিয়ে দেখা মিলবে, সবুজ অরণ্যঘেরা পাহাড়ে মাঝে এক নিদারুন সৌন্দর্যমন্ডিত আর্মি গলফ মাঠ। পাহাড়ি ঢালের সাথে তাল মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে মাঠটি। মাঠের অপর প্রান্তেই রয়েছে মরগান হাউস। ব্রিটিশ সাশনামলে তৈরিকৃত এই ভবনটিতে বর্তমানে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ আছে। এটি অনেক পুরানো একটি বাংলো।

লোলেগ্রাম :

ছোট্ট শান্ত একটি গ্রাম গল লোলেগ্রাম। সবুজ পাহাড়ি প্রকৃতি লোলেগ্রামকে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছে। কালিম্পং ও লাভা থেকে পাইনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে লোলেগ্রাম যেতে এক থেকে দের ঘন্টা লাগে।

কালিম্পং এ আরো অনেক কিছু আছে দেখার মতন,

লেপচা মিউজিয়াম

টসোঙ্গা আশ্রম

রিশপ রিম্বিক

ম্যাক ফারলেন চার্চ

রোমান ক্যাথলিক চার্চ

তিস্তা বাজার

কালিম্পং আর্ট এন্ড ক্রাফ্ট সেন্টার

বাকিটা না হয় আরেকদিন বলবো..

©KAZI Sharif
www.kazisharif.com

ট্রাভেল কার্নিভাল - জুন ২০২১========================পৃথিবী থমকে আছে যেন। করোনা-মহামারী ঢেউয়ের মতো থেকে থেকে আছড়ে পড়ছে। ত...
14/06/2021

ট্রাভেল কার্নিভাল - জুন ২০২১
========================
পৃথিবী থমকে আছে যেন। করোনা-মহামারী ঢেউয়ের মতো থেকে থেকে আছড়ে পড়ছে। তবুও সময় বয়ে চলছে । এরই মধ্যে পরিস্থিতি-বুঝে একপা দু'পা করে এগিয়ে চলার প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে মানুষ। আমরাও সীমিত পরিসরে উদ্যোগ নিচ্ছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আস্তে আস্তে এগিয়ে চলার। তারই প্রাথমিক পর্বে বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়োশনের উদ্যোগে ছোট্ট পরিসরে আয়োজন হতে চলেছে "ট্রাভেল কার্নিভাল - জুন- ২০২১"

তারিখ: ২৫ জুন, শুক্রবার
সময়: বিকাল ৪টা - রাত ৮টা
স্থান: বাসা-১৪, রোড: ০৯, সেক্টর: ০৪, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।


মাত্র ৪ ঘন্টার এই কার্নিভালের প্রধান আকর্ষণ থাকছেন ভ্রমণ লেখকরাই। সীমিত আসনে আগ্রহী ভ্রমণপ্রেমী মানুষের সান্নিধ্যে এই আয়োজন ছোট্ট পরিসরেই যাত্রা শুরু করবে। বিস্তারিত নীচে তুলে ধরা হলো।

ভ্রমণ-বই আলোচনা: সময়কাল এক ঘন্টা
==============================
১. এই পর্বে ৪ জন লেখক তাদের স্বরচিত ভ্রমণ-বই নিয়ে আলোচনা করবেন। লেখকের অভিজ্ঞতা, বই সংক্রান্ত পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এবং সাথে থাকবে উপস্থিত শ্রোতা/পাঠকদের প্রশ্নোত্তর পর্ব।
২. প্রতি লেখক ১৫ মিনিট করে টাইম-স্লট পাবেন।
৩. বই আলোচনা পর্ব শেষে লেখকের বই বিক্রি, অটোগ্রাফ সংগ্রহ এবং ফটোসেশন থাকবে।
৪. লেখক রেজিষ্ট্রেশন ফি: এসোসিয়েশনের সদস্য লেখক: ২০০ টাকা, অতিথি লেখক: ৩০০ টাকা

ভ্রমণ আলোকচিত্র উপস্থাপনা: সময় কাল ৩০ মিনিট
======================================
ট্রাভেল কার্নিভালকে আরো উপভোগ্য করে তোলার জন্য একজন খ্যাতনামা ভ্রমণ আলোকচিত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যিনি তার বাছাইকৃত আলোকচিত্র স্লাইড শো করবেন। এই পর্বে আমরা অতিথি আলোকচিত্রীর অভিজ্ঞতা, আলোকচিত্র সম্বন্ধে পরামর্শ এবং উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে। একই সাথে থাকবে আমন্ত্রিত আলোকচিত্রীর বই, পোস্টকার্ড ইত্যাদি (যদি থাকে) ক্রয়ের সুযোগ।

ভ্রমণ বইয়ের লেখক-প্রকাশক মত-বিনিময়: সময় কাল ৩০ মিনিট
==============================================
লেখক মানেই যে বই প্রকাশ করেছেন, এমন কিন্তু নয়। বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়েশনের অনেক সম্মানিত সদস্য আছেন যারা অনেকেই লিখেছেন এবং লিখছেন কিন্তু ভ্রমণ-বই এখনও প্রকাশ করেন নি। প্রত্যেক লেখকের জন্যেই একটি সার্থক বইয়ের প্রকাশ যেন আরাধ্য স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের দুয়ার খুলে দিতে এই কার্ণিভালে আমরা একজন ভ্রমণবই-প্রকাশককে আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগ নিয়েছি। লেখক-প্রকাশক মত-বিনিময়ের এই পর্বে লেখকদের প্রত্যাশা এবং প্রকাশকদের চাহিদা প্রসঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি পাণ্ডুলিপি জমা দেয়ারও সুযোগ থাকবে।

ভ্রমণ দেশ উপস্থাপনা: সময় কাল এক ঘন্টা
=================================
এই পর্বে ভ্রমণ দৃষ্টিকোণ থেকে একটি দেশের উপর আদ্যোপান্ত উপস্থাপন করা হবে। উদ্বোধনী কার্ণিভালে এবারের পর্বে যে দেশটি নির্বাচন করা হয়েছে তার নাম - নেপাল। এই দেশটিতে ভ্রমণের সাতকাহন নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন অভিজ্ঞ পর্যটক-লেখক প্যানেল । ভ্রমণ প্রস্তুতি, ভ্রমণ আকর্ষন, ভ্রমণ খবচ থেকে শুরু করে কিভাবে ভ্রমণ করা যেতে পারে, কিভাবে ভিসার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে থাকবে আকর্ষণীয় আলোচনা পর্ব।

আর সব শেষে চা-কফি ও জলখাবার সহযোগে সম্মিলিত গল্প-স্বল্প আর আড্ডা চলবে আরো ঘন্টা খানেক। অন্তহীন প্রত্যাশা সে, যদিও সীমিত আসনের উপস্থিতি কিন্তু ফেসবুক লাইভে সারা পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে অগণিত দর্শক সংযুক্ত থাকবেন এবং এই ছোট্ট আয়োজনকে স্মরনীয় করে তুলবেন।

সমাপনী এবং পরবর্তী কার্নিভালের তারিখ ঘোষণা

কার্নিভালে অংশগ্রহণের নিয়মাবলী:
============================
১. আসন সংখ্যা সীমিত বিধায় রেজিষ্ট্রেশনের ভিত্তিতে কার্নিভালে অংশ নিতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন ফি - সদস্য: ১০০ টাকা, অতিথি: ২০০ টাকা। আসন সংখ্যা মাত্র ২০টি। ফলে যারা যোগদানে আগ্রহী তারা দ্রুত বিকাশ কিংবা নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করে আপনাদের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।

বিকাশ নম্বর (পার্সোনাল): 01941578463
নগদ নম্বর (পার্সোনাল): 01552823282

রেজিষ্ট্রেশনের পেমেন্ট করে অবশ্যই মেসেজের মাধ্যমে নিশ্চিত হবেন।
২. সম্মানিত সদস্যবৃন্দ সব সময় অগ্রাধিকার পাবেন। তাই যাদের বই আছে এবং বই-আলোচনা পর্বে অংশ নিতে চান তারা দ্রুত রেজিষ্ট্রেশন করুন। আসন সংখ্যা মাত্র ৪ জন। সময়সীমা জনপ্রতি ১৫ মিনিট।
৩. কার্নিভালে থাকছে একটি ছোট্ট বিক্রয় কেন্দ্র। কার্নিভালে উপস্থিত না থেকেও আপনি আপনার ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রকাশনা (বই, ম্যাগাজিন, পোস্টকার্ড ইত্যাদি) বিক্রির উদ্দেশ্যে এখানে পাঠাতে পারেন।
৪. টাভেল কার্নিভাল জুন ২০২১ -কে সফল করে তুলতে এই পোস্টটি শেয়ার করুন। সংবাদটি ছড়িয়ে দিন।

যোগাযোগ:
=====================
কার্নিভাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কমেন্টে লিখুন, মেসেজ করুন, কিংবা সরাসরি ফোন করুন কার্নিভাল সমন্বয় বিভাগের 01941578463 অথবা 01552823282 এই নম্বরে।

আয়োজনে:
================
বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়েশন
বাসা-১৪, রোড: ০৯, সেক্টর: ০৪, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।

https://www.youtube.com/watch?v=_a5zHhPnbKM
26/01/2021

https://www.youtube.com/watch?v=_a5zHhPnbKM

১৯৯৭ সাল। মাত্র ৯৫০ ডলার পকেটে নিয়ে নিজের শখের সাইকেলটাকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বিশ্বভ্রমণের স্বপ্ন নিয়ে। ১০ মাস...

25/01/2021
25/01/2021
25/01/2021

Address

Uttara Sector 11
Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bangladesh Travel Writers Association - BDTWA posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bangladesh Travel Writers Association - BDTWA:

Share


Other Tourist Information Centers in Dhaka

Show All