15/03/2024
ক্যাম্পাসে পূজা হবে, মাহফিল হবে না।
সংখ্যালঘুদের কথা চিন্তা করে খাবারের দোকান খোলা থাকবে কিন্তু সাহরিতে গরুর মাংস থাকবে না।
এদিকে খোলামেলা পোশাক পরে আসতে পারলেও পর্দা করে আসা যাবে না।
সারাবছর অমুক তমুক দিবসের ছুটি দেয়া গেলেও রোজার মাসে ক্লাস বন্ধ রাখা যাবে না।
ক্যাম্পাসে সবার সামনে প্রেম করলেও বিয়ে করে ফেললে ক্লাসে জানানো যাবে না।
ধর্ম প্রচার করা সাংবিধানিক অধিকার হলেও ক্যাম্পাসে দাওয়াতি কাজ করা যাবে না।
সালাতের সময় ক্লাস, পরীক্ষা নেয়া হলেও আপত্তি করা যাবে না।
কনসার্ট হারাম হলেও মুসলমান ঘরের সন্তান কনসার্টের জন্য টাকা দিতে হবে।
ফ্রিমিক্সিং থেকে বেঁচে থাকতে চাইলেও গ্রুপ করে ছেলেমেয়েকে একত্রে রাখা হবে।
শিক্ষককে বাবার মতো বলে মেয়েদের পার্সোনাল স্পেসে জায়গা করে দেয়া আবশ্যক করা হবে।
দাড়ি রাখলে আলাদা করে মার্কিং করে রাখা হবে।
পাঞ্জাবি-টুপি পরে ক্লাসে গেলে এটা মাদ্রাসা নাকি ভার্সিটি সেই পার্থক্য মনে করানো হবে।
এরপরেও আমরা ভার্সিটিতে গিয়ে নাকি দ্বীনের (!) বুঝ পাই। ক্যাম্পাসে দ্বীন পালন করতে পারি ভেবে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি।
অনুমতি নিয়ে দ্বীন পালন করতে পেরে আত্মতৃপ্তিতে ভুগে হীনমন্য মানসিকতা নিয়ে জীবনের বাকি সময় কাটিয়ে দিই৷
ক্যাম্পাসের মসজিদে তাবলীগের কার্যক্রম আমাদেরকে যতটা আনন্দ দেয়, ক্যাম্পাসের বাকি কাজগুলো কি আমাদেরকে একইভাবে লজ্জিত করে না? ইন্সটিটিউটের পরিচয়ে গর্বিত হতে আমাদের লজ্জা লাগে না?