30/11/2023
বিসমিল্লাহি আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আল্লাহর মেহমানদের খেদমতে আজকে লিখতে চেষ্টা করব, ইহরামের সুন্নাত,ওয়াজিব, মাকরুহ,মুস্তাহাব,ও নিষিদ্ধ কাজ সম্পর্কে
ইহরামের ওয়াজিবসমূহঃ
(১) মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। মক্কার অধিবাসী বা মক্কায় অবস্থানকারী হলে উমরার জন্য হারাম শরীফের সীমার বাইরে থেকে ইহরাম বাঁধা। তবে তাদের জন্য তানঈম নামক স্থান থেকে ইহরাম বাঁধা উত্তম। আর হজ্জের জন্য হারাম শরীফ বা নিজ ঘর থেকে ইহরাম বাঁধতে পারেন।
(২) ইহরামের অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকা।
ইহরামের সুন্নাতসমূহ:
(১) হজ্জের জন্য হজ্জের মাসে অর্থাৎ শাওয়াল, যিলকদ ও যিলহজ্জের ভিতর ইহরাম বাঁধা (২) গোসল বা ওযু করা (৩) সেলাইবিহীন চাদর ও লুঙ্গী পরিধান করা (৪) দু'রাকাআত নফল নামায আদায় করা (৫) উচ্চস্বরে তিনবার তালবিয়া পাঠ করা (পুরুষের জন্য)। মহিলাগণ নীরবে তালবিয়া পড়বেন (৬) ইহরামের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করা।
ইহরামের মুস্তাহাবসমূহ:
(১) শরীরের ময়লা দূর করা (২) নখ কাটা (৩) বগল পরিষ্কার করা (৪) নাভীর নীচে পরিষ্কার করা (৫) ইহরামের নিয়্যতে গোসল করা (৬) সাদা রংগের নতুন লুঙ্গী বা চাদর ব্যবহার করা (৭) চপ্পল পরা, চপ্পল এমন হওয়া উচিত যাতে পায়ের তিন-চতুর্থাংশ উন্মুক্ত থাকে (৮) মুখে ইহরামের নিয়্যত করা (৯) নামায পড়ে বসা অবস্থায় নিয়্যত করা।
ইহরামের কাপড়:
একটি সেলাই ছাড়া চাদর ও একটি সেলাই ছাড়া লুঙ্গি।
মীকাত বা ইহরাম বাঁধার স্থান:
মীকাত পার হওয়ার পূর্বেই ইহরাম বাঁধতে হয়। বাংলাদেশীদের জন্য মীকাত হল ইয়ালামলাম। যাঁরা বিমানযোগে হজ্জযাত্রা করেন তাঁরা ঢাকা হযরত শাহজালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমানে ওঠার পূর্বেই ইহরাম বেঁধে নেবেন। যাঁরা সামুদ্রিক জাহাজযোগে বাংলাদেশ থেকে হজ্জযাত্রা করেন তাঁরা জিদ্দা পৌঁছেও ইহরাম বাঁধতে পারেন। তবে যাঁরা উমরা বা হজ্জ ছাড়া অন্য উদ্দেশ্যে জিদ্দা যাচ্ছেন তাঁদের জন্য বিমান বন্দর থেকে ইহরাম বাঁধার প্রয়োজন নেই। কাজ শেষে সেখান থেকে তারা উমরা বা হজ্জের সময়ে ইহরাম বেঁধে মক্কা শরীফে যাবেন।উভয়ে মিলে এতটা হতে হবে যেন শরীর ঢেকে যায় বা একটি কাপড় এতটুকু হতে হবে যেন শরীর ঢেকে যায়। ইহরামের লেবাস সাদা এবং নতুন হওয়া ভাল।
ইহরামের কাপড় ২ সেট হলেই ভালো।
ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজসমূহঃ
ইহরাম বাঁধার পর নিম্নলিখিত কাজগুলো হারাম :
* কোন প্রকার আতর ও সুগন্ধি ব্যবহার করা, সুগন্ধি তেল ও সুগন্ধি সাবান ব্যবহার করা।
* পুরুষের জন্য আচকান, জামা, পায়জামা, গেঞ্জি ইত্যাদি ধরনের সেলাইকরা পোষাক পরিধান করা, পায়ের মধ্যবর্তী উঁচুহাড় ঢাকা পড়ে এমন জুতা পরা, মাথা এবং মুখমণ্ডল আচ্ছাদিত করা নিষিদ্ধ।
* মহিলাদের ইহরাম ও হজ্জ পুরুষদের মতই। পার্থক্য হলো এই যে, মহিলাগণ সেলাইকরা কাপড়ই পরিধান করবেন। তাদেরকে মাথা ঢেকে রাখতে হবে। শুধু মুখমণ্ডল খোলা রাখতে হবে। কিন্তু অপরিচিত ও অনাত্মীয় পুরুষদের সামনে বোরকা দ্বারা এমনভাবে পর্দা করতে হবে যে, তা যেন চেহারাকে স্পর্শ না করে। মহিলাদের জন্য মোজা ও অলংকার পরিধান করা জায়েয আছে। হায়েয ও নিফাসের অবস্থায় ইহরাম বাঁধা জায়েয, তবে এ অবস্থায় ইহরামের জন্য নামায পড়বেন না।
* শরীরের লোম বা চুল কর্তন করা, নখ কাটা, স্ত্রী সংগম, আলিংগন ও চুমু খাওয়া, শৃংগার জাতীয় কথা বলা, শিকার করা বা শিকার করতে কাউকে সাহায্য করা, উকুন, পোকা-মাকড়, কীট- পতংগ ইত্যাদি মারা, অশ্লীল কথাবার্তা বলা, ঝগড়া-বিবাদ করা ইত্যাদি হারাম।
ইহরাম অবস্থায় মাকরুহ কাজ সমুহ:-
শরীর থেকে ময়লা দূর করা, মাথা অথবা দাড়ি এবং দেহকে সাবান ইত্যাদি দ্বারা ধৌত করা, মাথার চুল অথবা দাড়ি চিরুনি দ্বারা আচড়ানো, চুল দাড়ি ও উকুন পড়ে যেতে পারে এমন ভাবে চুলকানো, চাদর ও লুঙ্গি গিরা দেওয়া, সুগন্ধি স্পর্শ করা অথবা ঘ্রান লওয়া, বালিশের উপর মুখ রেখে উপুর হয়ে শোয়া,
আলহামদুলিল্লাহ
মোঃ আকরাম হোসেন (নির্বাহী পরিচালক)
"ফরজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরিজম"
"গ্লোবাল ভিশন ট্রাভেলস"
হজ্জ লাইসেন্স নং ০৭৮৬
+8801719385843