20/05/2023
মনযোগ দিয়ে পড়ুন অথবা টাইমলাইনে শেয়ার করে রেখে দিন :
আপনি যদি আমেরিকা যেতে আগ্রহী হোন
বা আমেরিকা যদি আপনার স্বপ্নের দেশ হয়ে থাকে তাহলে এই লেখাটি কেবলই আপনার জন্য।
আমরা সাধারণত আমেরিকান ভিসার কথা শুনলেই ভয় পেয়ে যাই, ভয় পেয়ে আর চেষ্টাই করি না। অথচ বাস্তবতা হলো , অন্যান্য দেশের ভিসার তুলনায় আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা পাওয়া টা অনেক সহজ। ভয় পাওয়ার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আপনাকে সঠিক উপায়ে চেষ্টা করতে হবে, তাহলেই আপনার ভিসা পাওয়ার সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ।
কি কি করলে আপনি খুব সহজেই আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পেতে পারেন এ ব্যাপারে একটি স্বচ্ছ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা সাধারণতো ৫ বছরের মাল্টিপোল ভিসা এবং এই ভিসাটি মূলতো ২ টা জিনিস এর উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে।
১. DS -160 ফর্ম অর্থাৎ এপ্লিকেশন ফর্ম এর উপর।
২. ছোট একটি ইন্টারভিউ এর উপর।
আপনাকে অবশ্যই আমেরিকা যাওয়ার যৌক্তিক কারন দেখাতে হবে। আপনি যদি ইন্টারভিউ এর সময় ভিসা অফিসারদের বুঝাতে পারেন,আপনার আমেরিকা যাওয়ার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ আছে এবং আপনি আমেরিকায় যাবেন এবং ফিরে আসবেন, তাহলেই আপনার ভিসা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
কিছু কিছু কান্ট্রি ভিজিট করা থাকলে সেটা নিঃস্বন্দেহে ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটা সহায়ক ভূমিকা পালন করে কিন্তু এর মানে এই নয় যে ভিজিট করা থাকলেই আপনি আমেরিকার ভিসা পেয়ে যাবেন । আপনাকে সঠিক পলিসি টা জানতে হবে। আমেরিকার ভিসা সাদা পাসপোর্টেও হয়ে থাকে।
বেশির ভাগ মানুষের ধারণা এই ভিসা করতে অনেক কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় বা অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়, এই ধারণাটিও সঠিক না, অন্যান্য দেশের মতো এটি ডকুমেন্ট বেইসড ভিসা না, এটি সম্পূর্ণ ইন্টারভিউ এর উপর নির্ভর করে ভিসা হয়ে থাকে। অনেকেই প্রশ্ন করেন, ভাই ডকুমেন্ট না দেখলে উনারা কি ভাবে বুঝবে আমি আমেরিকা যাওয়ার যোগ্য বা আমেরিকা গিয়ে আমি ফেরত আসবো? এটা বিচার করবে প্রথমতো আপনার এপ্লিকেশন ফর্ম অর্থাৎ DS 160 ফর্ম দেখে, তারপর আপনার সাথে ইন্টারভিউ এর সময় কথা বলে।
ইন্টারভিউ বাংলাদেশে সাধারণতো দুই ভাষায় হয়ে থাকে, বাংলা এবং ইংরেজী। আপনি চাইলে বাংলাতেও ইন্টারভিউ দিতে পারবেন।
ইন্টারভিউ সাধারণতো ২ থেকে ১০ মিনিটের হয়ে থাকে।
আপনি আমেরিকা যাওয়ার যোগ্য সেটা এম্বাসিকে কি করে বুঝাবেন? সেটা বুঝাবেন আপনার এপ্লিকেশন ফর্ম এর মাধ্যমে অর্থাৎ Ds-160 এর ফর্ম এর মাধ্যমে। আমেরিকান এম্বাসির একটি অনলাইন ফর্ম আছে যার নাম DS-160 ফর্ম। এই এপ্লিকেশন ফর্ম অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ফর্ম এর উপর আপনার ভিসা অনেকাংশ নির্ভর করে। তাই অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা ফর্মটি পূরণ করা উচিত। মূলত এই ফর্মটি আপনার ভিসা পাওয়ার পূর্ব শর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়। আপনি বলতে পারেন ৭০% চান্স নির্ভর করে এই DS-160 ফর্ম এর উপর, বাকি ৩০% নির্ভর করে আপনার ইন্টারভিউ এর উপর।
এই দুইটির সঠিক সফল কম্বিনেশন ই আপনার ভিসা পাওয়া চান্স নিশ্চিত করবে ইনশাআল্লাহ।
DS-160 ফর্ম এর তথ্য এবং আপনার ইন্টারভিউ এর তথ্য এই দুই এর মধ্যে চমৎকার একটা মিল থাকতে হবে। অদক্ষ লোক দ্বারা ভিসা ফর্ম পূরণ করলে আপনার ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
আবার অনেকেই মনে করেন আমেরিকার ভিসা কন্ট্রাক্ট এ করা যায়। আমেরিকার ভিসা কন্টাক্ট এ হয় না, ভুলেও এই কন্টাক্ট এ যাবেন না, কারণ আমেরিকা এম্বাসির সাথে কারও লিংক বা লবিং থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। কেউ যদি বলে থাকে আমেরিকা এম্বাসির সাথে লিংক আছে, তার মানে তিনি আপনাকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরী করুন, সঠিক গাইড লাইন ফলো করুন, সঠিক তথ্য দিয়ে
DS -160 ফর্ম ফিলাপ করুন, ইন্টারভিউ এর জন্য প্রস্তুতি নিন ইনশাআল্লাহ আপনার ভিসা কেউ আটকাতে পারবে না।
আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যেটা ম্যাক্সিমাম ক্লায়েন্ট করে থাকেন সেটা হলো ভাই আমেরিকা যেতে কতো টাকা লাগে?
আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার ফী ১৬০ ডলার যা বাংলাদেশ এর টাকায় কনভার্ট করলে আসে ১৭,২৮০ টাকার মতো। এটাই আমেরিকান টুরিস্ট ভিসার মূল খরচ। এই টাকা শুধুমাত্র EBL অর্থাৎ ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এ জমা দিতে হয়। এই টাকা জমা দিয়ে ইন্টারভিউ এর ডেট নিতে হয়। বাকি চার্জ একেক এজেন্সী একেক রকম নিয়ে থাকেন। যারা এ বিষয়ে স্পেশালিস্ট , তাঁদের ভিসা হওয়ার পার্সেন্টেজ ও অনেক বেশি। তাই আমাদের পরামর্শ হলো এজেন্সী সিলেক্ট করার আগে খোঁজ খবর নিয়ে,ভালো ভাবে যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিন। দরকার হলে ১০টা এজেন্সী ঘুরে সিদ্ধান্ত নিন, একটা কথা মনে রাখবেন, যে ডাক্তার সকল রোগের ট্রিটমেন্ট করে সে ডাক্তার কিন্তু খুব বেশি একটা ভালো হয় না, তাই যেসব এজেন্সী সব দেশের ভিসা নিয়ে কাজ করে থাকেন তার কাছে না গিয়ে, যে এজেন্সী শুধুমাত্র আমেরিকা নিয়ে কাজ করে তাদের কাছেই কাজ করানোটাই উত্তম।
অনেকেই আমাদের ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করে থাকেন ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ব্যাংক সলভেনসি লাগবে কি না? এসব ডকুমেন্ট আপনি ইন্টারভিউ এর সময় নিয়ে যেতে পারেন, ইন্টারভিউ অফিসার এসব ডকুমেন্ট দেখতেও পারে নাও দেখতে পারে।
পরিশেষে ৩ টি কথা মাথায় রাখবেন, আপনার ভিসা তখন ই হবে যখন আপনি -
১. DS -160 সঠিক ও চমৎকার ভাবে পূরণ করবেন।
২. ইন্টারভিউ এর সময় আপনার আমেরিকা যাওয়ার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারবেন।
৩. আপনার আমেরিকা থেকে ফেরত আসার যথেষ্ট ভালো কারণ দেখাতে পারবেন।
আমরা আপনাকে যে সকল সেবা দিয়ে থাকবোঃ
১. আপনার DS-160 ফর্ম সঠিক ও চমৎকার ভাবে পূরণ করে দিবো।
২. আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ট্রেনিং দিয়ে পুরোপুরি তৈরী করবো।
৩. ইন্টারভিউ এর জন্য যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা আমরা গুছিয়ে দিবো।
আপনি কি ড্রেস পড়ে যাবেন, কিভাবে যাবেন, কি পেপার নিয়ে যাবেন, এই ব্যাপারে আপনাকে সঠিক গাইড লাইন দিবো।
তাহলে আমাদের অফিস এ আসার সময় আপনি কি কি নিয়ে আসবেন?
১. পাসপোর্ট এর রঙিন কপি
২.দুইটা ফোন নাম্বার
৩. একটা ইমেইল আইডি।
আপনি ঢাকার বাহিরে থেকে কাজ করতে চাইলে আমাদের হোয়াটস্যাপ নাম্বারে এই ৩ টা জিনিস দিলেই আমরা আপনার সাথে কাজ শুরু করতে পারবো।
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশ ছাড়াও প্রবাসের যেসব দেশ থেকে আমাদের সাথে কাজ করতে পারেন সেসব দেশের তালিকা গুলো হলোঃ
১. সৌদি আরব
২. সিঙ্গাপুর
৩. মালয়েশিয়া
৪. কাতার
৫. বাহরাইন
৬. ওমান
৭. ভারত
৮. পাকিস্তান
আপনার যদি কোন আত্মীয় এসব কান্ট্রি তে থেকে থাকে তবে পোস্ট টি শেয়ার করে তাঁদের দিতে পারেন।
আমরা আমেরিকার যেসব ভিসা প্রসেসিং করে থাকিঃ
১. ভিজিট ভিসা (B1/B2)
২. মেডিকেল ভিসা (B2)
৩. বিজনেস ভিসা (B1)
এছাড়াও পূর্ববর্তী আমেরিকার ভিসা রি-নিউ করাতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আমাদের ফোন নাম্বারঃ
+8801325075325 (whatsapp)
+8801325075326 (imo)
খুব দ্রুত রেসপন্স পেতে সরাসরি ফোন করুন
অথবা whatsapp এ বা imo তে knock করুন।
Email : [email protected]
আমাদের অফিসের ঠিকানা: ইউ.এস. এ. ভিসা প্রসেসিং ফার্ম
৭২ মহাখালী , রূপায়ন সেন্টার, ৩য় তলা , ঢাকা 1212 |