ঋতু বৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশ। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত এই ষড়ঋতু নিয়ে গঠিত বাংলার রূপ বৈচিত্র।একেক ঋতুতে বাংলাদেশের আবহাওয়া একেক রকম ধারণ করে। আবহাওয়ার সাথে সাথে মানুষের মনের ও শরীরের অনুভূতির পরিবর্তন হয়। শীতের মৌসুমে শুষ্ক পরিবেশে গরমের উপলব্ধি মানুষকে একটি অন্যরকম চিন্তার জগতে নিয়ে যায়। তাইতো মানুষ তার মনের কাক্ষিত নতুন কিছু দেখার বা স্পর্শ পাবার আশায় দিগি¦দিক ঘুড়ে বেড়ায়। মনের অজান
্তেই সে হারিয়ে যেতে চায় এমন জায়গায় যেখানে নেই নিত্য দিনের মতো কর্মব্যস্ততা। পূর্বে দেশটির নাম ছিল যথাক্রমে বঙ্গ-দ্রাবিড় ,বাঙ্গালা, পূর্ব বাংলা এবং পূর্ব পাকিস্তান । ভৌগোলিক উপনাম হিসেবে যার পরিচিতি আছে নদীমাতৃক দেশ, ভাটির দেশ ,সোনালি আঁশের দেশ ।ভাত এবং মাছ এই দেশের মানুষের প্রধান খাবার ।তাই মাছে-ভাতে বাঙ্গালি হিসেবে পরিচিত এই দেশের মানুষ। ইলিশ মাছ জাতিয় মাছ এবং খুবই সুস্বাদু একটি মাছ যা কৃত্রিম উপায়ে চাষ করা এখনো সম্ভব হয়নি।অন্যান্য মাছের মধ্যে আছে পুটি, শোল ,বোয়াল ,টাকি, কৈ ,শিং,বাইম। যার মধ্যে শোল মাছের বুনা এবং বোয়াল মাছের ঝোল অত্যান্ত সুস্বাদু। ফলের মধ্যে আছে আম, জাম, কাঁঠাল ,লিচু,আতা, কলা, তরমুজ, বাঙ্গি,কামরাঙ্গা, জাম্বুরা ইত্যাদি। তার মধ্যে কাঁঠাল এই দেশের জাতিয় ফল এবং খুবই সুস্বাদু। পদ্মা, মেঘনা ,যমুনা প্রভৃতি এই দেশের প্রধান প্রধান নদী হলেও তিতাস ,কর্ণফুলি,বুড়িগঙ্গা,ধলেশ্বরি,বালি, শীতলক্ষ্যা, কালিগঙ্গা, করতোয়া এরকম হাজারো নদী রয়েছে এই দেশে।বাংলাদেশের জেলা সমূহ অথবা গুরুত্বপূর্ন স্থান সম্পর্কে যেকোনো তথ্যের জন্য আমরা www.parjatanbd.com ওয়েব পোর্টালটি ভিজট করতে পারি বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো সময়। দিগন্তে ভ্রমণ-DigantaVromon ফেসবুক পেজও হতে পারে আমাদের জন্য ভ্রমণ সহায়ক পেজ। এ দেশের মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলা ভাষার জন্য এদেশের মানুষ তাদের জীবন দিয়েছিলেন ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । তাইতো ২১ ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বে। যা ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত একটি আন্তর্জাতিক দিবস। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম, সোনালী কাবিন এর কবি আল মাহমুদ, পল্লী কবি জসিম উদ্দিন,বাংলা সনেটের প্রবর্তক মাইকেল মদূসুধন দত্ত সহ আরো শত শত কবি জন্মেছিলেন এই বাংলায়। পৃথিবী সবচেয়ে দীর্ঘতম সমূদ্র সৈকত কক্সবাজার সমূদ্র সৈকত সাথে রয়েছে সারি সারি ঝাউবন ,বালুর নরম বিছানা, সমুদ্রের নীল জলরাশির গর্জন। ছুটিতে ঘুরে আসার জন্য কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এর কোনো তুলনা হয় না । কুতুবদিয়া, মহেশখালী, হিমছড়ি, ইনানী বিচ,সেন্টমার্টিন কক্সবাজারকে করেছে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন।সেন্টমার্টিন দ্বীপটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ যা দেশের সর্ব দক্ষিণে এবং কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূওে অবস্থিত। মোট ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এদ্বীপটি স্থানীয় ভাষায় নারকেল জিঞ্জিরা নামে পরিচিত। দ্বীপটি তার প্রাকৃতিক সৈান্দর্য্যরে কারনে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যে কেউ সেখানে একবার গেলে দ্বিতীয়বার যাওয়ার আগ্রহ প্রথমবারের চেয়ে বেড়ে যাবে। মহাস্থানগড়,জাফলং,সুসাং দুর্গাপুর, রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বাস¯থান হিসেবে পরিচিত ম্যাসগ্রোভ বন সুন্দরবন সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ন স্থান রয়েছে এদেশে। আয়তনে ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার বা ৫৬,৯৭৬ বর্গমাইলের দেশ বাংলাদেশ।আয়তনের দিক দিয়ে বিশ্বে যার অবস্থান ৯০ তম।১৯৭১ সালে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই দেশের সাত কোটি মানুষের কাছে একজন অবিসংবাদিত নেতা ।তিনিই ছিলেন এই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপ্রতি ।যার ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত হয়েছে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে। জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তাজউদ্দিন আহমেদ,ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কারারুজ্জামান এদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ন চার ব্যক্তি। ৬৪টি জেলা ৮টি বিভাগ ও ১২টি সিটি কর্পোরেশন নিয়ে গঠিত বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো । জাতিয় সংসদ গঠিত হয় ৩০০টি আসনে জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে এবং ৫০টি মহিলা আসন সংরক্ষিত আছে সংবিধানের মাধ্যমে। মোট ৩৫০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে ৫ বছর পরপর গঠিত হয় জাতীয় সংসদ।