23/12/2024
পলিদ্বীপ-পদ্মায় কুয়াশা উৎসব !😍
শীত শুধুই একটি ঋতু নয়,শীত একটি ফেস্টিভাল ! একটি উৎসব।
এই শীতে কুয়াশা উৎসব করতে জলের গান হাউজবোট এখন পদ্মা নদীর 💃🏼মাওয়া ঘাটে।
পদ্মা নদীতে ভেসে বেড়ায় বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিখ্যাত উপন্যাস পদ্মা নদীর মাঝি- এই নদীর তীরের মানুষের জীবনকে কেন্দ্র করেই লেখা। পদ্মার নৈসর্গিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নানাভাবে প্রভাবিত করেছে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আবু ইসহাক রচিত "পদ্মার পলিদ্বীপ" উপন্যাসটির পদ্মার পাড়ের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা।
এই নদী বর্ষায় যতটা উত্তাল শীতে ততটাই কোমল...এই কোমলতাকে উপভোগ করতে আমাদের থাকছে নানা আয়োজন...
আপনি চাইলেই এখন ঢাকা থেকে মাত্র ৩০ মিনিট দূরত্বে পাবেন হাউজবোটে করে পদ্মা নদী ভ্রমনের সুযোগ।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে সকালে গিয়ে সন্ধ্যায় ফিরতে পারেন কিংবা এক রাত পদ্মায় ভেসে ভেসে শীতের কুয়াশা উৎসব করতে পারেন।
নির্জন চরে ক্যাম্পফায়ার করে হতে পারে একটা গানের আসর।
পদ্মা নদী ভ্রমন সহ, পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য, সোনাই চর, ভাগ্যকুল বাজার, মেঘুলা নদীর পাড় , মধুর চর, দোহার ডাকবাংলো সহ পদ্মার পাড়ের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা।
জেলেদের কাছ থেকে কেনা ইলিশের স্বাদ কিংবা কোন নির্জন চরে মাছ,মুরগী কিংবা হাঁসের বারবিকিউ আপনাকে দেবে অদ্ভুত এক তৃপ্তি। এছাড়াও বিক্রমপুরের বিখ্যাত ঘোল 🥛সহ ঐতিহ্যবাহী খাবার।
দুপুরে কোন চরে নেমে গোসলের আগে করতে পারেন ফুটবল,ক্রিকেট কিংবা কাবাডি খেলা। সন্ধ্যায় একমগ ধোঁয়াউঠা গুড়ের চায়ের সাথে সূর্যাস্ত আপনাকে দেবে এক প্রশান্তি।
পদ্মা বিলাসের সাথে উপভোগ করবেন সাদা বালির চরে ক্যাম্পফায়ার, বিচ ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, এবং বরশি (ছিপ) দিয়ে নদীতে মাছ ধরার অভিজ্ঞতা।
👉আমাদের প্যাকেজে থাকছে_
সকালের নাস্তাঃ শীতের পিঠা🥟/ বিক্রমপুরের ঐতিহ্যবাহী খুদের ভাত/ খিচুড়ি, ভর্তা,বেগুন ভাজা, আঁচার, গুড়ের চা।
দুপুরের খাবারঃ সাদা ভাত, পদ্মার ইলিশ ভাঁজা,হাঁস/ মুরগী, ছোট মাছ, ভর্তা, সবজি, পায়েস ডাল, বিক্রমপুরের বিখ্যাত ঘোল ও মিষ্টান্ন ।
বিকেলের নাস্তাঃ বিক্রমপুরের ঐতিহ্যবাহী শীতের পিঠা/ নুডুলস, গুড়ের চা।
এছাড়াও আনলিমিটেড চা এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা।
নাইটস্টে করা গেস্টদের জন্য ডিনারে থাকছে বালু চরে ক্যাম্পফায়ার ও বার্বিকিউ ।
আমাদের জলের গান হাউজবোটে এটাচ ওয়াশরুম, এটাচ বারান্দা সহ বিশাল রুম আপনাকে দেবে একটু লাক্সারি অভিজ্ঞতা। এছাড়া বিশাল রুফটপ গার্ডেন রেস্টুরেন্ট তো থাকছেই। প্রায় ২৮ টি লাইফ জ্যাকেট ৪ টি বয়া, ফায়ারফাইটিং ইকুইপমেন্ট এবং ফার্স্ট এইড বক্স সহ প্রপার সেইফটি ইকুইপমেন্ট । আমাদের দক্ষ গাইড, স্টাফ, এবং রন্ধন শিল্পী আপনার যাত্রাকে করবে তৃপ্তি, আনন্দময় এবং নিশ্চিন্তের।
জলের গান হাউজবোটের বৈশিষ্ট:
* ৯০ফিট দৈর্ঘ্য ও ২১ ফিট প্রস্থ কাঠের তৈরি ইকো ফ্লেভারড ডিলাক্স হাউজ বোট।
* ইন্টেরিয়র ডিজাইন করা ০৭টি সুসজ্জিত বিশাল লক ডোর কেবিন, প্রতিটি রুমের সাথেই এটাচড ওয়াশরুম (হাই কমোড),পার্সোনাল দোলনা সহ এটাচ বারান্দা।
* প্রতিটি রুমেই কিং সাইজ বেড (৭/৬ ফিট) লাইট, ফ্যান, ড্রেসিং টেবিল, মোবাইল চার্জের ব্যবস্থা।
* সবচেয়ে দীর্ঘ (২২৫ স্কয়ার ফিট) এবং আকর্ষনীয় লবি।
* আধুনিক ওয়াশরুম ফিচারস।
* ৩ ফিট প্রশস্থ এবং ৭ ফিট উচ্চতার করিডোর যেখান দিয়ে সবাই সহজেই চলাফেরা করতে পারবেন।
* রুফ টপ গার্ডেন এবং ডাইনিং সাথে আড্ডা দেয়ার জন্য ছাদেই পাবেন আরামদায়ক খাটিয়া।
* বিদ্যুৎ সুবিধা।
* ইনডোর গেইম সামগ্রী : প্লেইং কার্ড, উনো, লুডু,দাবা, ক্যারাম বোর্ড প্রভৃতি
* প্রার্থনার জন্য জায়নামাজ।
* আধুনিক কিচেন রুম
এছাড়াও রয়েছে ব্যাক আপ জেনারেটর ও ইঞ্জিন ।
👉ডে লং প্যাকেজ -
একরুমে ২ জন ৪৫০০ টাকা জন প্রতি
একরুমে ৩ জন ৪০০০ টাকা জন প্রতি
একরুমে ৪ জন ৩৫০০ টাকা জন প্রতি
👉১ দিন ১ রাত প্যাকেজ -
এক রুমে ২ জন ৬০০০ টাকা জন প্রতি
একরুমে ৩ জন ৫৫০০ টাকা জন প্রতি
👉সর্বনিম্ন ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জনের টিম ফুল বোট বুকিং করতে পারেন।
তাহলে আর দেরি কেন? এখনই বুকিং করে পলিদ্বীপ-পদ্মায় কুয়াশা উৎসবে মেতে উঠুন। শীতের দিনে পদ্মার জলে হারিয়ে যান!
এমন কুয়াশা মাখা শীতের সকালে হারিয়ে যান পদ্মার বুকে পদ্মা নদীর মাঝির গল্পে, হিমশীতল আনন্দে বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্
স্থান: মাওয়া-শিমুলিয়া ঘাট ( পুরাণঘাট )
( আমাদের নিয়মিত ইভেন্টের পাশাপাশি থাকছে কর্পোরেট বা গ্রুপ বুকিংয়ে বিশেষ সুবিধা )