IDC Hajj kafela - আইডিসি হজ কাফেলা

IDC Hajj kafela - আইডিসি হজ কাফেলা Join IDC Hajj Kafela for an unforgettable pilgrimage experience. Trusted, guided, and spiritual.
(2)

20/03/2024

যারা মদীনা হয়ে উমরায় আসবেন,একাকী,তাদের জন্য লেখাটা জরুরী।
আমি আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।

মদীনা এয়ারপোর্টে নামলাম,যেহেতু লাগেজ নাই,ফ্রেশ হয়ে নামাজের ঘরে গিয়ে ফোনটা চার্জ দিলাম।

তারপর ফ্রেশ হয়ে বের হলাম,পাশেই এইচটিসি,মোবাইলি সিমের কাউন্টার।

নামার পর অনেকেই একাকী দৌড়ে আসবে ভিসার কপি চাইবে,তারপর ফ্রী ফ্রী বলে সিম দিতে চাইবে, ভুলেও সেই সিম নিবেন না।

যদি উমরা ভিসায় আসেন,ওজারার অনেজ লোক আছে তারা ভিসা দেখে ফ্রী ফ্রী বলে কোম্পানির বাসে উঠিয়ে দিতে চাইবে,ভুলেও সেইদিকে যাবেন না,গেলে পরবর্তীতে ২০০-৩০০রিয়াল জরিমানা গুনতে হবে।

মক্কা মদীনায় ফ্রী বইলা কিছু নাই,এক সাবিল এর খাবার ছাড়া,তাও বিশাল লাইনে দাঁড়াইয়া পরিশ্রম কইরা নিতে হয় অথবা জিজ্ঞেস করবে উমরা নাকি জিয়ারাহ,আপনি বলতে পারেন,জিয়ারাহ।

আমার যেহেতু বিজনেস ভিসা তাই আর দেখাতে হয়নি। মোবাইলি সিমের কাউন্টার থেইকা সিম নিলাম। সিম নিয়ে বের হয়ে গাড়ী খুঁজতেছি,ভাড়া চায় ৭০-৮০রিয়াল কইরা।

৩০রিয়াল পর্যন্ত দরদাম করছি,শেয়ারে কিন্তু ৫০রিয়ালের নিচে আসবেনা।
এরই মধ্যে Abdullah Siraji ভাই কল দিলেন,কথায় কথায় জানালেন,মদীনা এয়ারপোর্ট থেইকা সরকারী বাস আছে,১১.৫০ রিয়াল নিবে।

ডান পাশে গিয়ে সেটা খুঁজে বের করলাম,দেখলাম আরও কয়েকজন সেই বাসের অপেক্ষায়।

আলহামদুলিল্লাহ ৫মিনিট পর বাস আসলো,টিকেট কেটে উঠে পরলাম।
খুব অল্প সময়েই মসজিদে নববীর কাছে,৩২৯-৩৩০নাম্বার গেট বরাবর,আগে যেখানে বাঙ্গালী পাড়া ছিলো,ওখানে নামিয়ে দিলো। কেউ এয়ারপোর্টে গেলেও এখান থেইকা উঠতে পারবেন।

যারা একাকী আসবেন তারা অনেকেই ভাবে একাকী আসলে মনে হয় খরচ অনেক কম,এজেন্সি গলাকাটা ব্যবসা করে।
কিন্তু একাকী আসার পর বুঝা যায় খরচ আরও ডাবল।
এক ভাই শুধু টিকেট ভিসা করে আসছে তার জেদ্দা থেইকা মক্কা তারপর,মক্কা থেইকা মদীনা,তারপর জিয়ারাহ,মদীনা থেইকা মদীনা এয়ারপোর্ট ৩০০-৪০০রিয়াল খরচ হইয়া গেছে।

অথচ আপনি এজেন্সির সাথে আসলে এই খরচটা বেঁচে যেতো।
গত রমজানে এক ভাই আমার থেইকা ভিসা টিকেট নিলো,বললো ভাই মক্কা মদীনায় কি আরাম করতে যামু??

মসজিদে ঘুমামু,আর সারাক্ষণ এবাদত করমু,খাইলে খাইলাম,না খাইলে নাই।
কইলাম ঠিকাছে যান।
তখন আমিও মক্কায়,হঠাৎ উনি দেখা করতে চাইলেন।
দেখা করার পর দেখলাম উনার চোখ লাল।
বললো ভাই যেভাবেই হোক,একটা সিট অথবা একটা কমদামে রুম ম্যানেজ কইরা দেন।
কইলাম ভাই কি কন??
হারামেইতো থাকতে পারেন,এখানে থাকবেন আর এবাদত করবেন।
কয় ভাই ঠিকমতো ঘুম গোসল না হইলে কি এবাদত করা যায়??
আজ দুইদিন যাবৎ ঘুমাইতে পারিনা,দেখেন না,কেমন চোখ লাল হইয়া গেছে,কোথাও একটু শুইলে একটু পর পুলিশ আইসা উঠাইয়া দেয় 😪😪
ভাই অসুস্থ হইয়া যাইতাছি দেখেনতো আমার টিকেটটা একটু আগাইয়া দেয়া যায় কিনা,চইলা যামু।
অনেক সুফি দেখি এরা দেশে কত বেহুদা টাকা খরচ করে কিন্তু এখানে আসার সময় সুফিগিরি দেখায় মসজিদে থাকমু এই করমু সেই করমু।
আবেগ আর বাস্তবতা এক না,একটা সময় পর ঠিকই বুঝে আসে তখন ঠিকই বেশী টাকা দিয়া হোটেল নেয়া লাগে।
যাই হোক যারাই আসবেন যে কোন এজেন্সি কিংবা ৩-৪জন একত্রিত হয়ে আসবেন,একাকী আসলে খরচও বেশী,ঝামেলাও বেশী।

আইডিসি ফাউন্ডেশন (IDC Foundation)  থেকে একজন অসুস্থ মায়ের জন্য ৫,০০০ টাকা  ডোনেশন দেয়া হলো, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ এই মা...
15/03/2024

আইডিসি ফাউন্ডেশন (IDC Foundation) থেকে একজন অসুস্থ মায়ের জন্য ৫,০০০ টাকা ডোনেশন দেয়া হলো, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ এই মাকে দ্রুত সুস্থ করে বাকি জীবন সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দান করুন এবং এই দান কে কবুল করুন।

এই দানের উছিলায় আল্লাহ তায়ালা আমাদের জীবিত মা বাবাকে সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দান করুন এবং মৃত মা বাবাকে জান্নাতবাসী করুন, আমিন।

যেহেতু আইডিসি ফাউন্ডেশন পরিচালনা করছি গত ২-৩ বছর যাবত, তাই বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে ইফতারের অনেক রিকোয়েস্ট আছে, যারা আমাদের ইফতারের কার্যক্রমে শরিক হতে চান দ্রুত যোগাযোগ করবেন।

অনেকেই আছেন সময় পান না, কিন্তু বিভিন্ন গরিব/এতিম ছাত্রদেরকে ইফতার করাতে চান, তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

কয়দিন আগে একজন অসহায় মহিলার জন্য ঘরের আবেদন করেছিলাম, টোটাল ওখানে 20 হাজার টাকার মতো কমিটমেন্ট আসছে, ওই ঘর করতে আমাদের কমপক্ষে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার প্রয়োজন, যারা ওই ঘরের জন্য শরিক হতে চান, তারাও আমার সাথে যোগাযোগ করুন, ওই ঘরের ভিডিও আমার প্রোফাইলে এবং ফাউন্ডেশনের পেইজেও বিস্তারিত দেওয়া আছে। ফাউন্ডেশনের বিস্তারিত জানতে কমেন্টে দেয়া লিংক ভিজিট করুন।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইজ্জত, তাকওয়া এবং সচ্ছলতার জীবন দান করুন, উভয় জাহানে কামিয়াব করুন, মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত ও নুসরাত করুন, আল্লাহুম্মা আমিন।

25/02/2024

ইয়া আল্লাহ! শবে বরাত উপলক্ষে সারা বিশ্বের মুসলমান যত ভালো দোয়া করেছে এবং করবে, সব ভালো দোয়া তুমি আমাদের জন্য কবুল করো, আমিন।

যারা রমজানের ১ম ১৫ দিন আল্লাহর ঘর দেখতে চান, যোগাযোগ করুন।
17/02/2024

যারা রমজানের ১ম ১৫ দিন আল্লাহর ঘর দেখতে চান, যোগাযোগ করুন।

16/02/2024

বায়তুল্লায় রমজানের বাইরে ১লক্ষ গুণ সওয়াব আর রমজানে সেটা সর্বনিম্ন ৭০গুন সওয়াব হয়ে যায়! মানে ১ওয়াক্ত নামাজে ৭০লক্ষ গুন সওয়াব!চিন্তা করুন সারা বিশ্বে প্রায় ২০০ কোটি মুসলমান! এর মধ্যে ১০% লোকও যদি মক্কা মদিনায় আসে তাহলে ২০লাখ মুসলমান এখানে যাতায়াত করে। আবার স্থানীয় সৌদি মুসলমানরা তো আছেই। তাই এত চাপের কারনে মক্কা মদিনায় হোটেলের দাম হয়ে যায় আকাশচুম্বী। এবছর হোটেলের মূল্য বিগত সব বছর থেকে বেশি। মক্কা মদিনায় রমজানে হোটেল ভাড়া হয় ১-২০ রমজান এক রেট এবং লাস্ট ১০দিন আরেক রেট।

৭০০মিটারের মধ্যে একটু ভালো কোয়ালিটি হোটেল ভাড়া হয়ে যায় নরমাল যেকোনো সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি। অর্থাৎ ২০০+ এর হোটেল ভাড়া হয়ে যায় ৬০০/৭০০ রিয়াল পার ডে। আবার লাস্ট ১০দিন ভেঙে ভালো কোনো হোটেল ভাড়া হয়না! লাস্ট ১০দিন ফুল নিতে হবে। যার ভাড়া এবছর ১৪০০০-১৭০০০ রিয়াল প্রতি রুম ১০দিনের জন্য। অর্থাৎ শুধু হোটেল খরচ বৃদ্ধি পায় প্রায় তিনগুণ।

আবার টিকেটের দাম এবার বিগত সব বছর থেকে রেকর্ড ভেঙেছে। নরমাল বাজেট ক্যারিয়ার যেটা ১৫/২০ দিন আগেও সেল হয়েছে ৬০-৬৫ হাজার সেটা এখন ৮০হাজার+!!

এখানেও ১৫/২০ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাহলে হোটেল এবং টিকেট বাবদ প্রায় ৫০,০০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ ১৩৫,০০০ টাকার সেম প্যাকেজ রমজান মাসে ১৮০,০০০+টাকা।

১৫০,০০০ টাকার প্যাকেজে যারা নিচ্ছে তারা ভালো কোয়ালিটি হোটেল প্রোভাইড করতে পারবেনা। মক্কায় দার টাইপের হোটেল এবং মদিনায় মারকাজিয়া থেকে বাইরে নরমাল হোটেলে রাখতে হবে।

অতএব ৭০গুন সওয়াব অর্জন করার জন্য প্রতিযোগিতা তৈরি হয়ে যায়। যার দরুন খরচও প্রচুর বৃদ্ধি পায়! অনেককেই ৫/৬ দিন আগেও ৭৫ হাজারে টিকেট সেধেছি, বেশি বলে নেয়নি আজ তারাই ৮০+ দিয়ে টিকেট কনফার্ম করতেছে! এমনকি আমার নিজের জন্য টিকেট কনফার্ম করলাম প্রায় ৮৪০০০ করে!!

আসলে টাকা যাদের আছে তাদের রমজানের ফজিলতের চিন্তা করে রমজানে ওমরাহ করা উত্তম। শেষ দশক কেউ এতেকাফ করলে সে লাইলাতুল কদর পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
হাজার মাসের চাইতে উত্তম আবার বায়তুল্লাহ লক্ষ গুন এবং রমজানের জন্য ৭০গুন!! ইখলাসের সহিত সফর শেষ করতে পারলে তার আমলনামা অনেক সমৃদ্ধ অবস্থায় উঠে যাবে!

আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার নিজ ঘরে কবুল করুন।

15/02/2024

আমরা যদি জানতাম - স্বয়ং আল্লাহ প্রতি রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং আমাদেরকে তিনি ডাকেন তাঁর নিকটবর্তী হবার জন‍্য। আমরা যদি জানতাম যখন সলাতে সিজদা দেই - তখন আল্লাহ আমাদের খুব কাছে থাকেন। আমরা জানি কি - যখন আমরা আল্লাহর দিকে এক বিঘত এগিয়ে যাই, আল্লাহ আমাদের দিকে এক হাত এগিয়ে আসেন। আমরা যদি রবের দিকে হেটে অগ্রসর হই, আল্লাহ আমাদের দিকে দৌড়িয়ে এগিয়ে আসেন। আমরা তাঁকে মনে মনে স্মরণ করলে তিনিও আমাদেরকে মনে মনে স্মরণ করেন।

এর চাইতে শ্রেষ্ঠ ˹কাছে আসার˺ ও ˹কাছে থাকার˺ ওয়াদা আর কে দিতে পারে! নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত‍্য।

15/02/2024
14/02/2024

যারা ওমরাহয় যাবেন তারা বিষয়টা খেয়াল করবেন:

লাস্ট সফরে যখন আমরা জেদ্দা এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন শেষ করে লাগেজ নিয়ে বের হই তখন মোবাইল কোম্পানিগুলো এসে খুব জোড়াজুড়ি করতে থাকে আমার থেকে সিম নিন বলে। আবার কিছু বোঝার আগেই আপনার বাসের কথা বলে ফিংগার নেওয়া শুরু করে দিবে। আমার বড় প্যাকেজ লাগে এজন্য ফিংগার দিয়ে সিম নিয়ে নেই সবসময়। এদিকে বাস দেখানোর নাম করে বেশিরভাগ যাত্রীদের থেকে ডাবল ফিংগার নেওয়া হয়ে গেছে অনেকের। আমি তো শুনে অবাক! রাগারাগি করলাম আপনারা কেন ফিংগার দিলেন। ফ্রী ফ্রী উচ্চারণ করতে থাকে অনেক ছেলে মেয়েরা এসে,আর আমরা বাঙালীরা ফ্রীর কথা শুনলে হুড়মুড় করে পড়ে যাই সেটা নিতে! ফ্রী সিম নেওয়ার পরে মক্কায় পৌছানোর পরে এই সিমে না পারে লোড করতে না পারে কথা বলতে! সেও বিপদে পড়ে!

ডাবল ফিংগার যারা দিয়েছিল তারা যখন মক্কায় পৌঁছে তখন সিম নিতে গিয়ে পড়ে বিপদে, কারন একটা লোক ২টা সিম নিতে পারে ফিংগার এবং ভিসা কপি দিয়ে যা এয়ারপোর্টে দেওয়ার কারনে এখানে আর সিম নেওয়ার অপশন থাকে না।

যারা ট্রান্সপোর্ট ছাড়া শুধু ভিসা নেন তারাও যখন এয়ারপোর্টে থেকে ইমিগ্রেশন শেষ করে লাগেজ নিয়ে বের হয়, তখন বাইরে বের হয়ে ভিসা কপি দেখে ওজরাতুল হজ্জের লোকজন বলে আপনার জন্য ফ্রী গাড়ি আছে। তখন যাত্রী আনন্দের সহিত গাড়ি ব্যবহার করে মক্কায় পৌঁছে যায়। এদিকে মাস খানিক পরেই ওজরাতুল হজ্জের অফিস থেকে সেই যাত্রীর নামে সুন্দর ভাউচার করে বিল পাঠিয়ে দেয়। গতকালও আমাদের তিনটা জরিমানার ভাউচার আসছে।

তাই হাজীদের জন্য পরামর্শ হলো আপনারা যারা এরকম সফরে যাবেন তারা মুয়াল্লিম সাহেবের পরামর্শ ছাড়া কিছু করবেন না। ফ্রী দেখলেই দৌড়াবেন না!!

12/02/2024

একজন হাফেজ সাহেব দরকার, দুই ভাই কে সপ্তাহে ৫ দিন ১ ঘন্টা করে আরবি ও কোরআনে হাকিম পড়াতে হবে। লোকেশনঃ দারুন্নাজাত মাদ্রাসার কাছে।

উমরাহ যাওয়ার জন্য আমার ব্যক্তিগত কিছু টিপস। যা কাজে লাগতে পারে ইনশাআল্লাহ! এইগুলো বিষয় যারা গ্রুপ ছাড়া নিজেরা যেতে চান,...
11/02/2024

উমরাহ যাওয়ার জন্য আমার ব্যক্তিগত কিছু টিপস। যা কাজে লাগতে পারে ইনশাআল্লাহ! এইগুলো বিষয় যারা গ্রুপ ছাড়া নিজেরা যেতে চান, বিশেষ করে তাদের জন্য এবং কিছু বিষয় সবার ক্ষেত্রেই কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ!

১. কোনো বিশ্বস্ত এজেন্সি থেকে শুধু টিকিট আর ভিসা করতে হবে।বাংলাদেশ থেকে বিমান বাংলাদেশ আর সৌদি এ্যারাবিয়া তে ডিরেক্ট যাওয়া যায়। এখনো পর্যন্ত আর কোনো এয়ারলাইন্স ডিরেক্ট যায়না। বাকি সব ট্রানজিট। বাচ্চা থাকলে ট্রানজিট ফ্লাইট এ্যাভয়েড করবেন। সেক্ষেত্রে যারা ডিরেক্ট ফ্লাইটে যেতে চান, সৌদি এয়ারলাইন্স বেস্ট আমার কাছে।

নোট - বাসা থেকে বের হওয়ার সময়, পাসপোর্ট ভিসা চেক করে একসাথে পরিবারের একজনের কাছে রাখুন। বোর্ডিং পাসের সময়, জানালার পাশে বসার, বা পাখা বরাবর বসতে না চাইলে,আরকিছু রিকোয়ারমেন্টস থাকলে তখনি জানাবেন।বেবি স্ট্রলার ট্যাগ লাগানোর পরও বিমান পর্যন্ত নিতে পারবেন। ( যদিও কিছু বিমানে ভেতরেও নেয়া যায়, জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন আগেই)।বেবি টিকিটের সাথে বেবি স্ট্রলার একদম ফ্রি নেয়া যায়।

২. জেদ্দা পৌছানোর পর,( সৌদির এয়ারলাইনসের আলাদা বিমানবন্দর), এয়ারপোর্টে খুব সহজেই ইমিগ্রিশনের কাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ! তারা খুবই হেল্পফুল। এরপর এয়ারপোর্টের ভেতর থেকেই পাসপোর্ট দিয়ে টুরিস্ট সিম কিনবেন( অবশ্যই এমবি সহ)।, এবং এয়ারপোর্টের ভেতরেই ট্যাক্সি সেবা আছে। সেখান থেকে সহজেই মক্কা বা মদীনা যেখানে আগে যেতে চান সেখানের যেকোনো সাইজের গাড়ি ভাড়া নিতে পারবেন।

৩. হোটেল বুকিং টিকিট করার পরপর-ই করে ফেলুন, বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যেমন, booking.com/agoda. Booking এর সময় খেয়াল রাখবেন, Pay at hotel option ( Free cancellation). কারন প্রিপেমেন্ট হলে কোনো কারণে যেতে পারলে বা ২/১ দিন এদিক সেদিক হলে কার্ড থেকে টাকা কেটে নিবে।যেকোনো ডেবিট কার্ড দিয়েও করা যায়।ব্যাংক/কার্ডে টাকা থাকা লাগেনা।তখন আপনি হোটেলে গিয়ে পেমেন্ট করবেন। যেই অপশন বলেছি। এছাড়াও পরিচিত কোনো মাধ্যম থাকলে ঐখানে থাকা কারো মাধ্যমেও বুক করতে পারবেন। ওখানে বাঙ্গালি অনেকেই বুকিং এর বিজনেস করেন। বিশ্বস্ত হতে হবে। ধোকাবাজ সব জায়গায় আছে।সতর্ক থাকবেন।

নোট - সৌদি বেশিভাগ হোটেলে চেক ইন টাইম শুরু হয় ঐ দেশের সময়ের বিকাল ৩/৪/৫ টায়। চেকআউট সকাল ১১/১২ টা। আর হোটেল যদি হারামের কাছে থাকে তাহলে তো ভাল, দূরে হলে শিওর হবেন যে হোটেলের শাটেল সার্ভিস (হারামে যাওয়ার জন্য হোটেলের নিজস্ব গাড়ি) আছে কিনা, থাকলে কখন কখন। তাহলে ট্যাক্সিভাড়া বেঁচে যাবে।

৪. জেদ্দা বা মক্কা মদীনা থেকে ট্রেনে যাওয়া আসা করা যায়, সেটা আরামদায়ক, এটার জন্য আগে থেকে টিকিট করতে হয়, অনলাইনেও কাটা যায়, এরজন্য HHR Train (সৌদি এ্যাপ) ডাউনলোড করুন।বা চাইলে ট্রেনস্টেশনে গিয়েও কাটা যায়। ২/১ আগে গিয়ে কাটতে পারলে ভাল।কখনো রাশ বেশি থাকলে ইনস্টান্ট পাওয়া যায়না।

৫. মোস্ট ইম্পরট্যান্ট হলো nusuk এ্যাপ ডাউনলোড করা। কারণ এই এ্যাপ ছাড়া এখন রিয়াজুল জান্নাহতে যেতে পারবেন না।এই এ্যাপ এর মাধ্যমে ভিসা, পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে একাউন্ট খুলে রিয়াজুল জান্নাহতে যাওয়ার জন্য তারিখ দিয়ে ট্রাই করতে হয়।এখন মহিলাদের জন্য পারমিশন খুব কম পাওয়া যায়। একটু পর পর অল্প কিছু টাইমস্লটে পারমিশন দেয়, এজন্য একটু পর পর চেক করতে হয়।(অনেক সময় পাওয়াও যায়না সেটা খুব কষ্টের)। উমরাহ করতে কিছুর দরকার হয়না এখন আলহামদুলিল্লাহ!

৬. সৌদিতে মক্কা মদীনায় বিভিন্ন জায়গায় জিয়ারাহর জন্য/ঘোরার জন্য ট্যাক্সি ভাড়া করতে পারেন, ওখানে ট্যাক্সি Available সবসময়।মিটারে গেলে ভাল না গেলে, দামাদামি করবেন।ওখানে প্রচুর বাংলাদেশী ড্রাইভার ভাই আছেন।

৭.উমরাহ করার জন্য এশার পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত বেস্ট সময়। রাত ১/২ টা তে বেশি ভাল।যাদের তাওয়াফ করতে সমস্যা, তারা হুইলচেয়ারে দ্বিতীয় তলায় করতে পারবেন। তবে বিশেষ কারণ না থাকলে ক্বাবার ফ্লোরের মতো শান্তি অন্য জিনিস।সাই করার জন্যও নতুন বিল্ডিং এ ইলেক্ট্রিক স্বচলিত বাহন আছে অসুস্থ মানুষের জন্য। না চিনলে ওখানে থাকা সিকিউরিটিতে থাকা ভাই/বোনদের জিজ্ঞেস করে নিবেন। এর জন্য কিছু রিয়াল এক্সট্রা খরচ হবে।

৮. তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে ডিহাইড্রেশন এড়াতে প্রচুর পানি/জুস খাবেন। খেজুর খেলে অনেক এনার্জি পাবেন।উমরাহ পালনের পর অন্য যেকোনো সময় দীর্ঘসময় ক্বাবার সামনে থাকতে চাইলে খেজুর সাথে রাখতে পারেন। আর ভেতরে জমজম পানির অনেক পয়েন্ট, এতে পানির পিপাসা জমজমের পানি দিয়ে পূরণ করুন। একদম বিনামূল্যে।

৯. হোটেল হারাম থেকে দূরে হলে জামাতে নামাজ পড়তে চাইলে ১ ঘন্টা আগেই আসবেন। জামাতের সময় অনেকটা দূর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এবং জামাতের আগে আগে ভীড়ের কারণে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করা যায়না।বাইরে পড়তে হয়।পুরুষদের জন্য ইহরামের কাপড় ছাড়া অন্য পোষাকে ক্বাবার ফ্লোরে যাওয়া যায়না।ভেতরে নামাজ পড়তে চাইলেও ইহরামের কাপড় বাধ্যতামূলক। মহিলাদের জন্য সমস্যা নেই।

১০. খাবারের ক্ষেত্রে সবরকম খাবার পাওয়া যায় ওখানে।দাম তুলনামূলক কম।বাংলা খাবার ছাড়া খেতে না পারলে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টগুলো বা হারামের আশেপাশের কিছু গলিতে বাংলাদেশী খাবার পাবেন। আর হোটেলে খাবার নিতে ওখানে কিছু এ্যাপ আছে বাংলাদেশী ফুডপান্ডা/পাঠাও এর মতো। যেমন HungerStation - هنقرستيشن . এটা ডাউনলোড করে রাখতে পারেন। সৌদির টুরিস্ট সিম এর নাম্বার দিয়ে একাউন্ট খুলবেন।

১১. হারামের বাইরে সরকারী বেশকিছু টয়লেট/বাথরুম আছে। সেখানে প্রচুর ভীড় থাকে।আর ভেজা থাকে, হারাম থেকে বের হলে মক্কা টাওয়ার বা ক্লক টাওয়ারের শপিং মলের টয়লেট অজুখানা ইউজ করতে পারেন। তুলনামূলক অনেক পরিষ্কার আর শুকনা থাকে।

১২. জিয়ারাহর স্থানগুলো সম্পর্কে জানা না থাকলে গুগল করতে পারেন। কোথায়, কি সব সহ ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন।

এবার আসি কি কি সঙ্গে নিবেন…

যেকয়দিন থাকবেন, সেই অনুপাতে কাপড় নিবেন। ওখানে লন্ড্রীতে অনেক খরচ। আর ধুয়ে ধুয়ে শুকাতে বেশ ঝামেলা। ময়লা কাপড়ের জন্য আলাদা হালকা ওজনের ব্যাগ রাখবেন।বোরখা/ইহরামের কাপড় অবশ্যই কমপক্ষে দুই সেট রাখবেন। ময়লা বা নাপাক কিছু লাগলে যাতে অপশন থাকে।কিছু মেডিসিন নিবেন, যেমন, প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন।বেবি থাকলে ঠান্ডা লাগলে বেসিক যেই মেডিসিন গুলো লাগে সেটা নিবেন।আমাদের দেশের মেডিসিনগুলো ওখানে পাওয়া যায়না।

মহিলাদের জন্য ইহরাম বাধা অবস্থায় মুখে কাপড় লাগানো যায়না। এর মানে এই না যে, মুখ খুলে রাখতে হবে। পর্দা করা ফরজ। এরজন্য বিশেষ ক্যাপ নিকাব পাওয়া যায়। বাইতুল মোকার্ররাম মার্কেটে যেসব পাওয়া যায় ঐগুলিতে ফেইস হালকা দেখা যায়।তাই বানিয়ে নিতে পারলে ভাল, না হয় অনলাইনের কোনো পেজ থেকে নিতে পারেন।বেশকিছু অনলাইন পেইজে পাওয়া যায়।

উমরাহর শেষ ধাপ চুল কাটা। মহিলাদের জন্য সাথে কেচি রাখলে খুব ভাল। নিজে বা পরিবারের যে কেউ আগা সমান করে কেটে দিতে পারবে। নোট- কেচি দেশ থেকে নেয়ার সময় অবশ্যই হ্যান্ড ক্যারী করবেন না। এটা নিষেধ।

বাচ্চার নির্দিষ্ট খাবার থাকলে যেটা রান্না করতে হয় এমন হলে মিনি সাইজের ইলেক্ট্রিক কুকার নিয়ে যেতে পারেন। হোটেলে রান্না করতে পারবেন। এরজন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হলো অবশ্যই মাল্টিপ্লগ/থ্রীপ্লগ দেশ থেকেই নিয়ে যাবেন। ওখানে হোটেল গুলোর পয়েন্ট আমাদের দেশের মতো নয়। বাচ্চার জন্য মাস্ট বেবি স্ট্রলার নিবেন।অনেক হাটাহাটি করতে হয়, বাচ্চা কোলে নিয়ে সামলানো প্রায় অসম্ভবের মতো কষ্ট। এটা লাগবেই।সহজে ফোল্ডেবল, এবং হালকা হলে ভাল।

দেশে আসার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন ওভারওয়েট না হয়। ওজন বেশি হলে এয়ারপোর্টে ফেলে দিতে হবে বা অনেক টাকা খরচ করে আনতে হবে।যাওয়ার সময় ওভারওয়েট একদম ছাড় দেয়না। তাই যত কম জিনিস দেশ থেকে নেয়া যায়। যাতে ফেরার সময় যথেষ্ট স্পেস থাকে।

জমজম পানি একটি পাসপোর্টে একটি ফ্রি আনা যায়। বেশি আনতে চাইলে, এয়ারপোর্ট থেকে বক্সসহ কিনে, লাগেজে আনা যাবে ইনশাআল্লাহ! (আমি এনেছি কয়েকবার সমস্যা হয়নি)। সেক্ষেত্রে ওজন যেন বেশি না হয় খেয়াল করবেন। এবং অবশ্যই বোর্ডিং এ পাসপোর্টের সাথে যেই পানি পাবেন (সেটাও কিনতে হয়), ঐটাতে ব্ল্যাক মারকার বা কিছু দিয়ে নিশানা দিবেন, যাতে দেশে যখন লাগেজ, পানি কালেক্ট করবেন তখন সহজেই চোখে পড়ে।অনেকে অন্যের পানি নিয়ে চলে যায়। কারন ছোট করে পানির বক্সে পাসপোর্ট নাম্বার লেখা থাকে। অনেকে পানি পায়না এই কারণে (আমি নিজেও একবার একটা বোতল পাইনি)।

আর হারামে যেহেতু বেশিরভাগ সময় থাকা হয় তাই একটা ব্যাকপ্যাক খুব জরুরী। সেখানে জুতা, ফোন, টাকা, খেজুর,দরকারী জিনিসপত্র নিতে পারবেন। হাতে আলাদে বড় ব্যাগ হলে ক্যারি করতে কষ্টদায়ক এবং অনেকসময় নিতেও দেয়না। গ্রুপ ছাড়া গেলে নিজের মতো করে নিজের সময় বুঝে যেকোনো কিছু করা যায়।

অবশ্যই ছোট একটা উমরাহ পালনের নিয়মকানুনের বই সাথে রাখবেন।যেখানে প্রয়োজনীয় মাসাআলা ও সব নিয়মকানুন, কখন কি করবেন সব জানতে পারবেন।

(Reposted)

11/02/2024

রমজানের ওমরাহ মানে হজ্জের সমান সওয়াব, তাও নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে হজ্জ করার সমতূল্য!!

এমনিতেই মক্কায় ১লক্ষ গুন সওয়াব, আর সেটা যদি রমজানে হয় তাহলে তো আরও ৭০ গুন সওয়াব বৃদ্ধি পেয়ে যায়। আমলনামা বৃদ্ধি করার উত্তম জায়গা রামাদানে উমরাহ পালন করা।

Package- 1,85,000 টাকা।

রমজানের ৪দিন আগে মদিনা যাওয়া, মদিনায় ১ম রমজানসহ ৫দিন কাটিয়ে চলে যাবো মক্কা, মক্কায় ৯টা রমজান কাটিয়ে বাংলাদেশ। ১৪দিনের সফর হবে ইনশাআল্লাহ।

☑এয়ারলাইন্স: সৌদি এয়ারলাইনস ডিরেক্ট
☑লাগেজ: ৪৬কেজি, হাতে ৭কেজি।
☑সম্ভাব্য যাত্রা মার্চ ৫-১০তারিখ
☑খাবার রমজানে সাহরী এবং রমজানের আগে লাঞ্চ এবং ডিনার ( ইফতার হারামের দস্তরখানে হবে এবং তারাবীর নামাজের জন্য আগ রাতের খাবার খেতে কেউ হোটেলে আসেনা সাধারণত)
☑হোটেল ৩০০-৮০০ মিটারের মধ্যে.
☑মদিনায় মসজিদে নববীতে রিয়াজুল জান্নায় নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা।
☑মক্কা এবং মদিনায় নিকটবর্তী ঐতিহাসিক স্থানে জিয়ারার ব্যবস্থা।
☑তায়েফ এবং বদর গ্রুপের সাথে অল্প খরচে যাওয়ার ব্যবস্থা।
☑লোহিত সাগর যেতে চাইলেও ব্যবস্থা করা।
☑পুরো সফরে আলেম গাইড এর তত্বাবধানে থেকে সফর শেষ করার সুবিধা।

বিশ্বস্ততার জন্য আপনারা আমাদের অফিস ভিজিট করে প্যাকেজ কনফার্ম করুন।

📍এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্যাকেজ ও কাস্টমাইজড সুবিধা। বিস্তারিত জানতে নক করুন।

wa.me/+8801716988953

Whatsapp:
01716-988953
📈Office Address: HaziRoad, Sarulia, Demra, Dhaka.
📉Saudi Arabia Office Available.

বায়তুল্লাহ এবং মসজিদে নববী জিয়ারতের অন্যতম উপকারিতা হল যতদিন অবস্থান করা যায় ততদিন সারাক্ষন পবিত্র জমজমের পানি খাওয়া যায়...
10/02/2024

বায়তুল্লাহ এবং মসজিদে নববী জিয়ারতের অন্যতম উপকারিতা হল যতদিন অবস্থান করা যায় ততদিন সারাক্ষন পবিত্র জমজমের পানি খাওয়া যায়।এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ মেহমানদারি।

উমরায় আসলে শুধু লাভ আর লাভ। বায়তুল্লাহ তাওয়াফ, ওমরা হজ পালন, হাজরে আসয়াদ চুমু খেতে পারা, রাসুলের এলাকায় অবস্থান, বায়তুল্লায় জামাতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ১ রাকাতে ১ লক্ষ রাকাত নামাজের নেকি লাভ, সারাক্ষন জমজমের পানি খাওয়া, শেষ রাতে বায়তুল্লায় ইবাদাতের সুযোগ, দোয়া কবুলের অন্যতম জায়গা গুলতে যেতে পারা, এমন এমন সব স্থানে যাওয়ার সুযোগ যেখানে রাসুল (স) আর সাহাবীরা হেটেছেন, নামাজ আদায় করেছেন।

এখানে আসলে মনে হয় কেন আগে আসিনি? কেন প্রতিবছর আসিনা?

আল্লাহ আমাদের সবাইকে আল্লাহর ঘর এবং রাসুলের রওজা মোবারক জিয়ারতের তউফিক দান করুন। আমীন।

আমার বড় ছেলে " মুয়াজ আব্দুল্লাহ " মাত্র বয়স ৮, আমার জন্য চা বানিয়ে এনেছে, মাঝে মাঝে সে আমাকে বানিয়ে খাওয়ায়, যখন ত...
10/02/2024

আমার বড় ছেলে " মুয়াজ আব্দুল্লাহ " মাত্র বয়স ৮,

আমার জন্য চা বানিয়ে এনেছে, মাঝে মাঝে সে আমাকে বানিয়ে খাওয়ায়, যখন তার আম্মু ব্যস্ত থাকে।

হে! আরশের মালিক!

আমাদের স্ত্রী সন্তানদেরকে এবং আমাদেরকে চক্ষু শীতলকারী নেক সন্তান বানান, আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানান, আল্লাহুম্মা আমীন।

09/02/2024

যারা বয়স্ক বাবা মাকে উমরাহতে পাঠাতে চান, তাদের প্রতি আমার করজোরে অনুরোধ হলো, অবশ্যই সাথে কমবয়স্ক কাউকে পাঠাবেন। একজন বয়ষ্ক মানুষ মুলত ছোট শিশুর মত। অনেক কিছু বুঝেন না, রাস্তাঘাট চিনেন না। তারা হাটতে চলতে পারে, শক্ত সামর্থ, তারপরও একা পাঠানোর ডিসিশন না নেয়ার অনুরোধ করবো। মুআল্লিম বা গাইডের উপর ভরসা করে পাঠিয়ে দেন অনেকেই, কিন্তু একজন মুআল্লিমের কাঁধে ১০০/১৫০ মানুষের দায়িত্ব থাকে। একজনকে কতক্ষন দেখে রাখা সম্ভব?

দ্বিতীয়ত, বয়ষ্ক কেউ গেলে অবশ্যই ফ্যামিলি রুম নিবেন। প্রয়োজনে এটার জন্য অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করুন, কিন্তু শেয়ারিং রুমে বয়ষ্কদের রাখবেন না। বয়ষ্ক মানুষেরা টয়লেট চেপে রাখতে পারেন না। এক রুমে তিন/চার জন অন্য ফ্যামিলির লোক থাকলে, ওয়াশরুম ইউস করতে তাদের প্রবলেম হয়। বেশি ঠান্ডাতে তাদের কষ্ট হয়। অন্যান্যরা এসি বাড়িয়ে দিলে তাদের ঠান্ডা লেগে যায়। চক্ষুলজ্জার কারনে হয়তো তখন বলতে পারেন না, কিন্তু তাদের কষ্ট হয় খুব।

আমরা অনেকেই বাবা মার আগ্রহের কথা চিন্তা করে তাদের উমরাহতে পাঠিয়ে তো দেই, কিন্তু তাদের অনেকেই খুব বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরত আসেন। এবার প্লেনে এক মুরুব্বীর সাথে দেখা। উনি বলেই ফেললেন, আর কোন দিন আসমু না। এত কষ্ট জানলে কি আর আইতাম?

এরকম কথার প্রথম দায়টা কার? ভেবে দেখবেন আশা করি।

06/02/2024

সাহাবীদের মোহরানা ছিলো বৈচিত্র্যময়। কোনো কোনো সাহাবীর মোহরানা এক টাকাও ছিলো না, আবার কোনো কোনো সাহাবীর মোহরানা কোটি টাকার বেশি ছিলো!
স্বামীর ইসলাম গ্রহণ ছিলো রুমাইসা বিনতে মিলহান রাদিয়াল্লাহু আনহুর মোহরানা। একজন সাহাবীর মোহরানা ছিলো তাঁর মুখস্থ কুরআন স্ত্রীকে শুনানো।
অন্যদিকে মোহরানা, অনেক সাহাবী স্ত্রীকে উচ্চ মোহরানা দেন। যেমন: উমর ইবনুল খাত্তাব, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা।
উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর মেয়ে উম্মে কুলসুম রাহিমাহাল্লাহকে বিয়ে করেন, তখন তাঁকে ৪০,০০০ দিরহাম দেন।
সাহাবীদের মধ্যে অন্যতম ধনী ছিলেন আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি তাঁর স্ত্রীকে মোহরানা বাবদ ৩০,০০০ দিরহাম দেন।
চল্লিশ হাজার এবং ত্রিশ হাজার দিরহাম মানে যথাক্রমে ৩৩৩৩ ও ২৫০০ দিনার। আরো সহজে বললে, তখন ১ দিনার দিয়ে একটি ভেড়া কেনা যেতো। বর্তমানে একটি ভেড়ার দাম ন্যূনতম ১০,০০০ টাকা হলে তাদের মোহরানা দাঁড়ায়- আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহুর প্রায় আড়াই কোটি টাকা, উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর প্রায় তিন কোটি ত্রিশ লক্ষ টাকা।
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বেশিরভাগ স্ত্রীর মোহরানা ছিলো ৪২ দিনার; অন্তত ৪ লক্ষ টাকা।
তবে, উম্মে হাবিবা রাদিয়াল্লাহু আনহার মোহরানা সবচেয়ে বেশি ছিলো ৪০০ দিনার; যা নাজ্জাশী নবিজীর পক্ষে উপহার হিশেবে দিয়েছিলেন। তখনকার অর্থের ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী হিশেব করে অন্তত ৪০ লক্ষ টাকা হয়।
সাহাবীদের যুগে মোহরানা নির্ধারণ আর আমাদের যুগের মোহরানা নির্ধারণের অন্যতম পার্থক্য হলো অবস্থা বিবেচনা। সাহাবীদের যুগে পাত্রের অবস্থা মূল্যায়ন করা হতো, পাত্র কী দিতে পারবে সেটাকে প্রাধান্য দেয়া হতো।
আর আমাদের যুগে পাত্রের সামর্থ্য না দেখে শুধু শুধু কাগজে-কলমে ৫ লক্ষ, ১০ লক্ষ লেখা হয়। নিজের এতো টাকা একসাথে পাত্র জীবনে দেখেনি এমনও হয়!
যার কারণে, মোহরানার হিশাব কাবিননামায়ই থাকে, সেটা আদায় হয় না। অথচ পাত্রের সামর্থ্য বিবেচনা করলে এমনটা হতো না। ‘বেশি মোহরানা’ এটাকে সামাজিকভাবে প্রেস্টিজের বিষয় বানানো হয়েছে। যার কারণে এটা বিয়ের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে।
অথচ উচিত ছিলো, যে ৫০,০০০ টাকা মোহরানা দেবার সামর্থ্য রাখে, তার জন্য ৫০,০০০ ধরা, যে ১ কোটি টাকা দেবার সামর্থ্য রাখে, তার জন্য ১ কোটি নির্ধারণ করা।
আরিফুল ইসলাম

06/02/2024

ছোট ছোট পরামর্শ 💕

#১. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, কা'বার সামনে দাঁড়ানোর আগে নিজেকে কাবা ঘরের মেহমান হিসাবে যোগ্য করে তুলুন। ফরজ বিধান পালনে যত্নশীল হোন।

# ২.প্রতিটি বিষয়ে আল্লাহ তায়া’লার কাছে সাহায্য চাওয়ার অভ্যাস করুন।

# ৩.হজ্জে যাওয়ার আগে বিভিন্ন তালিমে অংশ গ্রহন করুন। ইউটিউবে ভালো ভালো শায়েখদের তালিম শুনুন।

# ৪.হাটাহাটি এবং শরীর চর্চার অভ্যাস করুন।

# ৫.রসুলল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং হযরত ইব্রাহীম (আ:)এর জীবন নিয়ে সিরাত পড়ুন।

# ৬.মসজিদের আদব,রসুলল্লাহ’র রওজামোবারক এর আদব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন। আমাদের দেশের বেশির ভাগ নারীই এই ব্যাপারে অজ্ঞ।যেহেতু,আমাদের দেশের নারীদের মসজিদে যাওয়া আসা নেই বললেই চলে!

# ৭.জুমার নামাজ এবং জানাজার নামাজ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন। মক্কা মদিনায় প্রায় প্রতি ওয়াক্তের নামাজের পরেই জানাজার নামাজ হয়।দয়া করে এই নামাজ পড়া বাদ দিবেন না! এই নামাজ নারী, পুরুষ সবাই পড়তে পারে।আরও বিস্তারিত জানতে কোন আলেমের কাছ থেকে মাসায়েল জেনে নিবেন।

#৮. হজ্জে যাওয়ার আগে দোয়ার লিস্ট করুন। আপনার বাসায় এযাবৎ কালে কাজ করা প্রত্যেকটা খাদেমা থেকে শুরু বন্ধু, আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী ইত্যাদি।সবার নাম লিখে নিন।নিজের লাভের জন্যই অন্যের জন্য দোয়া করুন।

# ৯.সাধ্যের মধ্যে সব সময় অন্যের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন।হতে পারে রোদের মধ্যে কাউকে ছাতার নিচে সংগী করে ! হতে পারে,আপনার হাতের কাছে জমজমের পানিটা এগিয়ে দিয়ে!

# ১০.প্রতিটি আজানের জবাব দিবেন। আজানের জবাব দিলে,ঐ জামাতের প্রত্যেকটা মুসল্লীর নামাজের সওয়াব আপনার আমল নামায় যুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ।

# ১১.আমরা যারা ইন্দো এশিয়া প্রিন্ট এর কুরআন পড়ে অভ্যস্ত, তাদের জন্য উসমানী/মাদানী প্রিন্ট এর কুরআন পড়া কষ্টকর হয়। তাই কুরআন পড়ার পরিকল্পনা থাকলে,কুরআন সাথে নিয়ে যাওয়া ভালো। অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে বহন করতে হবে ইনশাআল্লাহ। সবচেয়ে ভালো হয়, হজ্জে যাওয়ার আগে ঐ প্রিন্ট এর কুরআন পড়ার অভ্যাস করা।

#১২.সব সময় ছাতা,পাখা,সানগ্লাস,টিস্যু, পানি, শুকনো খাবার, পাতলা জায়নামাজ সাথে রাখবেন।

# ১৩.মিনা, মুজদালিফা, আরাফা এর বাথরুম ব্যবহারে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করবেন।এই জায়গা গুলোর বাথরুমে পবিত্র হওয়ার জন্য এক টুকরো পাইপ(আমাদের দেশের বেসিনের পাইপ এর মতো )দেয়া থাকে। আর এই পাইপটা সবার অসর্তকতার কারণে দেখা যায় নাপাক পানিতেই পড়ে থাকে!এরজন্য ডান হাতে পাতলা প্লাস্টিকের গ্লাভস ব্যবহার করে এই পাইপ ধরে, ব্যবহার করা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। আর পানি ছাড়ার সময় খুব সাবধানে পানির পাইপের প্রেশার চেক করে নিবেন।

# ১৪.মিনায় যাওয়ার আগে, ব্যাগ গুছানোর সময় খুব খেয়াল করে গোছাবেন। মিনা,আরাফায় গ্লাস,প্লেট লাগে না। সাথে অবশ্যই লবণ, কাচামরিচ,কিছু শুকনো খাবার রাখবেন।

# ১৫.৩য় দিন জামারায় পাথর নিক্ষেপের শেষ সময় খেয়াল রাখবেন।কারন,সঠিক সময়ের মধ্যে জামারার এলাকা ত্যাগ করতে হবে।তা না হলে, ৪র্থ দিন আবার পাথর নিক্ষেপ করা লাগবে।

# ১৬. আরাফায় সারাদিনই দোয়া করায় মশগুল থাকবেন। আসরের পরেই দেখা যায় এজেন্সি গুলা হাজীদের গাড়িতে ওঠার জন্য তাগাদা দিতে থাকে! গাড়িতে উঠেও দোয়া করায় ব্যস্ত থাকবেন। মাগরিবের আগে যেন আরাফার সীমানা ত্যাগ করা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

# ১৭.মাগরিবের ওয়াক্ত হয়ে গেলেই আরাফার ময়দান ত্যাগ করার চেষ্টা করবেন। এজেন্সি থেকে গাড়ির ব্যবস্থা না করলে,আশেপাশের ফ্লাইওভার থেকে গাড়ি ভাড়া করে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। গাড়ির ব্যবস্থা না হলে হেটেই যাবেন। (একজন দ্বীনি ভাইয়ের পরামর্শ।)

# ১৮.সব সময় হুইলচেয়ার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন ।

# ১৯.হারাম শরীফ সব সময়ই পরিস্কার করা হয়। তারপরও মাঝে মাঝে দেখা যায়,অনেক খেজুরের বিচি পড়ে থাকে। চোখের সামনে কোন ময়লা দেখা গেলে, সওয়াব এর নিয়তে তা পরিস্কার করে ময়লার বাস্কেটে ফেলে দিন।

# ২০.যারা চশমা ছাড়া দেখতে সমস্যা, তারা পাওয়ার দিয়ে সানগ্লাস বানিয়ে নিতে পারেন। চশমায় ফিতা লাগিয়ে ব্যবহার করা ভালো। ২/৩ টা চশমা সাথে নিবেন।

# ২১.যারা নিকাব করে পর্দা করেন। তারা ইহরাম অবস্থায় মুখের সাথে কাপড় বেধে লাগাবেন না।কিন্তু, হজ্জ ক্যাপ ব্যবহার করবেন ইনশাআল্লাহ। পর্দা করা ফরজ, হজ্জ করাও ফরজ। একটা ফরজ করতে যেয়ে, আরেকটা ফরজ ছেড়ে দিয়েন না...

# ২২.মিকাত সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। তায়েফ কিনবা জেদ্দা যেখানেই বেড়াতে যান! মিকাত পার হলে মক্কায় ফিরে ওমরাহ করবেন।

# ২৩.এজেন্সি সাথে সব বিষয়ে ভালো করে আলাপ করে নিবেন। কোন হোটেলে রাখবে?সেই হোটেলের নাম ঠিকানা জেনে নিবেন। আজকাল অনেক হজ্জের গ্রুপ আছে। গ্রুপে হোটেলের নাম দিলে,অনেকেই সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন।

# ২৪.আলহামদুলিল্লাহ! আমার হাসবেন্ড ৫ টা রেজার নিয়ে গিয়েছিল।তার নিজের এবং রুমমেটদের চুল ন্যাড়া করে দেয়ার জন্য.....হাজীদের সেবা করে সওয়াবের নিয়তে, এই কাজ করতে পারেন।

# ২৫.পকেট লাগানো কম ঘেরের বোরখা পড়ুন।ভিড়ের মধ্যে বেশি ঘেরের বোরখায় পারা লেগে বিপদ ঘটতে পারে। পায়জামাতেও পকেট লাগাতে পারেন। অনেক উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।

# ২৬.ভালো মানের জুতা ব্যবহার করবেন। আমার কাছে এপেক্স কোম্পানির স্প্রিন্ট এর কেডস এবং জুতা(স্যান্ডেল টাইপ) দুটোই খুব ভালো লেগেছে।

# ২৭.ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি যুক্ত কোন কিছু ব্যবহার করা যায় না। এই অবস্থায় পা ব্যাথা হলেও, বাম (মলম) জাতীয় কিছু ব্যবহার করবেন না।

# ২৮.সর্বশেষ পরামর্শ হচ্ছে, যারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার ঘরের মেহমান হবেন। ফিরে এসেও সেই ঘরের মেহমান হওয়ার, সেই যোগ্যতা ধরে রাখবেন। জীবনের সকল গুনাহের জন্য যেমন ক্ষমা প্রার্থনা করে আসবেন !তেমনই ভাবে বাকি জীবনের গুনাহ থেকে বেচে থাকার ওয়াদা করে আসবেন ইনশাআল্লাহ।যে চোখ দিয়ে ঐ ঘর দেখবেন, সেই চোখ দিয়ে আর কোন হারাম জিনিস দেখবেন না! যে কান দিয়ে এতো মধুর মধুর তিলাওয়াত শুনে আসবেন, সেই কানে আর কোন দিন কোন গান বাজনা শুনবেন না! প্লিজ...

(আমি উম্মে জারিফ, জাবির। যারাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার র ঘরের মেহমান হিসাবে যাবেন। সকলের কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইল। আল্লাহ তায়া’লা যেন আমাকে বারবার তার ঘরের মেহমান হিসাবে কবুল করেন।আমার সন্তানদের নেককার আলেম হিসেবে কবুল করেন।আমার সন্তানদের দ্বীনের খেদমতে কবুল করে নেন।) 🙏

অসহায় মুসাফির 💕হজ্জের সফর ২০২৩...

06/02/2024
06/02/2024
06/02/2024

নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ না করে সফল হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন, তার সাথে সাথে সব সময় আল্লাহর কাছে দোয়া এবং ইস্তেগফার করতে থাকুন।

06/02/2024

ছোট একটি মোনাজাত
মোনাজাতে সবাই অংশ গ্রহণ করবেন। ইন-শা-আল্লাহ 🤍🤍

সবাই পড়ুন...

ইয়া রহমান, ইয়া রহিম, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম,"ইয়া গাফফার" ইয়া সাত্তার, "ইয়া জব্বার "ইয়া ওয়াদুদ" ইয়া আজিজু "ইয়া আজিম "ইয়া হান্নানু "ইয়া মান্নানু, হে আমার রব,"হে আমার সৃষ্টি কর্তা।

আপনার পবিত্র নামগুলোর উছিলায়, আপনার তাওহীদের সাক্ষী " লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু" এর উছিলায়, আপনার বন্ধু ও হাবীব হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর উম্মত হিসেবে আমাদের সকলের মনের নেক ইচ্ছা গুলো পূরণ করে দেন।
অভাব,ঋণ দূর করে দিন।
আমার মতো যারা যারা বিপদে আছে তাদের সকল কে আপনি বিপদ থেকে মুক্ত করে দিন।
আমাদের মানসিক কষ্ট দুঃখ দূর করে দিন।আমাদের রিযিকে বরকত দান করুন।বাবা মা পরিবারের সকলকে নেক হায়াত দান করুন।

সকলে বলুন আমিন। 🤲🤲

04/02/2024

১. যে ব্যাক্তি হালাল রিজকের উপর স্থির ও সন্তুষ্ট থাকে, তার রিজিক সারা দুনিয়া থেকে কালেক্ট করে তার সামনে ইজি ভাবে উপস্থাপন করা হয়।
হারামে নিযুক্ত ব্যাক্তির রিজিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়, সে অস্থিরভাবে দিক-বেদিক ছুটে ছুটে তা সংগ্রহ করে থাকে, এমনকি এভাবে তার মৃত্যুও চলে আসে।

২. সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি আল্লাহর আনুগত্য ও সন্তুষ্টি মধ্যে; মন্ত্রীত্ব বা পদ ও পজিশনে নয়, টাকাপয়সা বা সম্পদের মধ্যেও নয়।
যেমন, ক্ষমতা থাকা সত্বেও ফেরাউন ধংস হয়ে গেছে, আর সারা দুনিয়ার বাদশাহি করেও হযরত সোলাইমান (আ:) সাফল্য পেয়ে গেছেন।
হামান মন্ত্রী পদে থেকেও ধ্বংস হয়ে গেছে, অথচ হযরত ইউসুফ (আ:) মন্ত্রী পদে থেকেও সফল হয়ে গেছেন।
ক্বারুন বিশাল সম্পদের মালিক হয়েও মাটিতে ডেবে গেছে, আর হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা:) বিশাল ধনী হয়েও সাফল্য পেয়ে গেছেন।

৩. আল্লাহ যখন কারো ব্যাপারে জান্নাতের সিদ্ধান্ত নেন, তখন তার দুনিয়ার জীবন 'হায়াতে তাইয়্যেবাহ' দিয়ে বরকতময় করে দেন। আর আল্লাহ যখন কারো ব্যাপারে জাহান্নামের সিদ্ধান্ত নেন, তাকে শত শত ঝামেলা ও অস্থিরতা দিয়ে তার দুনিয়া বরবাদ করে দেন।

৪. দানা না ঢেলে 'খালি চাক্কি' ঘোরালে যেমন তার থেকে কোনো কিছু বের হয় না, বীজ বপন না করে শুধু বার বার হাল চাষ করেও যেমন কোনো ফসল পাওয়া যায় না; তেমনিভাবে ইলম অর্জন ছাড়া একই কাজ বার বার করেও কোনো ফায়দা পাওয়া যায় না।

৫. জান্নাতী মানুষের দুইটি বৈশিষ্ট্য -
ক. আল্লাহর ভয়ে অন্তর নরম থাকা,
খ. সুন্দর চরিত্র, ভালো আচরণ করা।

৬. 'ইলম' জাহিলিয়াত (মূর্খতা) দূর করে, আর 'আল্লাহর যিকির' গাফলত (অলসতা) দূর করে।
মানুষের আচরণ ও আমলগুলো তার ইলম অনুযায়ী হয়। সহীহ ইলম অর্জন করলে সুন্দর আচরণ ও ভালো আমল বের হবে। তাই প্রতিনিয়ত সঠিক ইলম অর্জন করা চাই। আলিমদেরকে অন্তর থেকে মোহব্বত করা চাই।

৭. ইলমের চাহিদা কি?
ইলমের অন্যতম চাহিদা হলো, নিজেকে অর্জিত ইলমের তাবে' করা অর্থাৎ অনুসারী করা।
নবীকেও এই হুকুম দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- فاتبع ما أوحي إليك অর্থাৎ, হে নবী, আপনার কাছে ওয়াহীর মাধ্যমে যে ইলম দেওয়া হয়েছে, আপনি তার অনুসরণ করুন।

Abdul Bari
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

03/02/2024

ঝামেলা বিহীন ও উত্তম ভাবে হজ / ওমরা করতে চাচ্ছেন?

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!

হজ ও ওমরার ৩০+ যায়গায় দোয়া কবুল হয়! আইডিসির সাথে ঝামেলা বিহীন ও উত্তম ভাবে হজ / ওমরা করতে চাচ্ছেন? আগ্রহীগণ যোগাযোগ করুন: 01609 820 094 / 01716 988 953 ( WhatsApp/Imo ) / 01737 196 111 অথবা পেইজে মেসেজ দিন।

Q1: আইডিসি হজ / ওমরা কাফেলায় কি কি সেবা থাকছে?
A1: হজ ও ওমরাহ্ ভিসা, রিটার্ন টিকেট, মক্কা ও মদীনায় হোটেলে ২/৩/৪ জনের জন্য এক রুম + খাবার, মক্কা-মদীনা-জেদ্দা ট্রান্সপোর্ট, মক্কা ও মদীনার দোয়া কবুলের স্থান সমুহ জিয়ারাহ, সফরে সার্বক্ষণিক গাইড।

Q2: আইডিসি হজ কাফেলার নেক্সট সফর কবে?
A2: ওমরা ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ এবং ১০ই মার্চ।

এই ছাড়া আপনার সুবিধা মত ডেট পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। +88 01609 820 094 অথবা 01716 988 953 (WhatsApp/Imo) +88 01737 196 111

Q3: আইডিসি হজ / ওমরা কাফেলার ঠিকানা কোথায়?
A3: ঠিকানাঃ হাজিরোড, সারুলিয়া, ডেমরা, ঢাকা - ১৩৬১
যোগাযোগ: +88 01609 820 094 অথবা 01716 988 953 (WhatsApp/Imo) +88 01737 196 111

কে কে আমার সাথে এই ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চে ওমরা করতে চান? অথবা হারাম শরিফে সামনের রমজান মাসে, ইফতার, সাহরি, তারবিহ, কিয়া...
02/02/2024

কে কে আমার সাথে এই ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চে ওমরা করতে চান? অথবা হারাম শরিফে সামনের রমজান মাসে, ইফতার, সাহরি, তারবিহ, কিয়ামুল লাইল এবং ইতিকাফ করতে চান? দ্রুত যোগাযোগ করুন। 01716-988953

হজ ও ওমরাহ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই দুইটি ইবাদতের সওয়াব ও ফজিলত অপরিসীম। বিভিন্ন হাদিসে হজ-ওমরার ব্যাপারে বিপুল সওয়াবের কথ...
31/01/2024

হজ ও ওমরাহ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই দুইটি ইবাদতের সওয়াব ও ফজিলত অপরিসীম। বিভিন্ন হাদিসে হজ-ওমরার ব্যাপারে বিপুল সওয়াবের কথা এসেছে। হজের সময় নির্ধারিত হলেও ওমরাহ বছরের যেকোনো সময় আদায় করা যায় এবং হজের তুলনায় ওমরাহ সহজ আমল।

যে কোনো ধরনের বিপদ-আপদ, অসুখের সম্মুখীন হওয়া বা মৃত্যুর ডাক এসে যাওয়া তো অস্বাভাবিক নয়। তাই হজ্ব ফরয হওয়ার পর বিলম্ব করলে পরে, সামর্থ্য হারিয়ে ফেললে বা মৃত্যুবরণ করলে আল্লাহ তাআলার নিকট অপরাধী হিসেবেই তাকে হাজির হতে হবে নাউজুবিল্লাহ !

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
অর্থাৎমানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।-সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭

ইবনেআব্বাস(রা)বর্ণনা করেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
من أراد الحج فليتعجل، فإنه قد يمرض المريض وتضل الضالة وتعرض الحاجة.
যে ব্যক্তি হজ্ব করার ইচ্ছে করে, সে যেন তাড়াতাড়ি তা আদায় করে নেয়। কারণ যেকোনো সময় সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বা বাহনের ব্যবস্থাও না থাকতে পারে অথবা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৮৩৩;

আল্লাহ তা’লা আমাদের সকলকে সঠিক সময়ে হজ্জ পালন করার তৌফিক দান করুন – আমিন।

হজ্জ সম্পর্কিত যে কোনো তথ্য জানতে আমাদের পেইজে ইনবক্স করুন।

IDC Hajj kafela - আইডিসি হজ কাফেলা

Address

Haji Road, Sarulia, DSCC, Demra
Dhaka
1361

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when IDC Hajj kafela - আইডিসি হজ কাফেলা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to IDC Hajj kafela - আইডিসি হজ কাফেলা:

Videos

Share

Category