16/09/2023
সুন্দরবন ভ্রমণ মাত্র 9990 টাকায় ঢাকা থেকে ৪রাত ৩দিন ২৮,২৯ ও ৩০শে সেপ্টেম্বরের সরকারী ছুটিতে দেশের সবচেয়ে ফ্যামেলী ফ্রেন্ডলী ট্যুর অর্গানাইজার পদ্মা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর সাথে।
🌀🌀ভ্রমণ তারিখঃ ২৭শে সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় মতিঝিল আমাদের অফিসের সামনে থেকে রওনা দিবো খুলনার উদ্দেশ্যে।
ফেরার তারিখঃ ৩০শে সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা খুলনা থেকে।
৩০শে সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় ঢাকায় থাকবো।
🌀🌀প্যাকেজ মুল্যঃ
============
জনপ্রতিঃ ৯৯৯০ টাকা (টুইন বেড,থ্রি বেড,ফোর বেড)
কাপল জনপ্রতিঃ ১০৯৯০ টাকা (কমন বাথ+কাপল বেড)
কাপল জনপ্রতিঃ ১১৯৯০ টাকা (এটাচ বাথ+কাপল বেড)
🧑🤝🧑 শিশু পলিসিঃ
০-৩ বছর ফ্রি এবং ৩ বছরের উর্দ্ধে আলোচনা সাপেক্ষে।
✅✅নারী ও শিশুবান্ধব ট্যুর গ্রুপ(প্রত্যেক ট্যুরেই মেয়ে এবং ছেলে গাইড থাকে), কোন প্রকার হিডেন চার্জ নেই এবং কোন প্রকার ডিসকাউন্ট ও নেই।
🌀🌀যে কোন তথ্য জানতে এবং বুকিং দিতে কল দিন/যোগাযোগ করুনঃ
-------------------------------------------------------------------------
বুকিং মানি ৫৫০০ টাকা।সরাসরি অফিসে এসেও বুকিং করা যাবে।
অফিস: মৌসুমী ওমর টাওয়ার, নাগর মহল রোড, কেরানীগঞ্জ ঢাকা।
সকল ট্যুর আপডেট,বিস্তারিত এবং সবার মতামত জানতে জয়েন করুন আমাদের গ্রুপে গ্রুপ লিংক কমেন্টে।
যা যা দেখবোঃ
=========
🛑▪হাড়বাড়িয়া
🛑▪জামতলা সী-বীচ
🛑▪কটকা (অফিস পাড়,টাওয়ার)
🛑▪কচিখালি
🛑▪ডিমের চর
🛑▪করমজল
🌀🌀 প্যাকেজে যা যা থাকছেঃ
===================
✅ ঢাকা-খুলনা-ঢাকা চেয়ারকোচ বাস টিকিট।
✅ জাহাজের ক্যাবিনে ২রাত ৩দিন থাকা।
✅ ৩দিনে মোট ৮বেলা খাবার এবং ৫বেলা
স্ন্যাক্স।
✅ বন বিভাগের পার্মিশন ফি
✅ সকল প্রকার এন্ট্রি ফি
✅ বার বি কিউ নাইট
✅ ১৬ ঘন্টা চা/কফির ব্যবস্থা,
✅ বনের ভিতরে ক্যানেলে
ঘোরার জন্য ট্রলার।
✅ ৪ জন ট্যুর গাইড,
✅ ১জন ফরেষ্ট আর্মস গার্ড।
✅ সাউন্ড সিস্টেম ।
✅ সি-বিচ বল খেলা/খেলাধুলার ব্যবস্থা।
✅ মেয়েদের জন্য আলাদা রুম
✅ মেয়েদের জন্য মেয়ে গাইড
✅ ফটোগ্রাফী
✅ দক্ষ গাইড সার্ভিস।
অর্থাৎ ট্যুরের সকল খরচই প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত।আমাদের কোন প্রকার হিডেন চার্জ নেই।
🔸প্যাকেজে যা যা থাকছে নাঃ
=> বাসের যাত্রা বিরতিতে কোন খাবার খরচ।
🌀🌀 ট্যুর বিবরণঃ
==========
✅ ০০ দিনঃ
২৭শে সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় আমরা কেরানীগঞ্জ থেকে রওনা দিবো খুলনার উদ্দেশ্যে।
✅ ১ম দিনঃ
২৮শে সেপ্টেম্বর সকাল ৭:০০ খুলনা ঘাট থেকে আমরা শীপে করে রওনা দিবো। সকালের নাস্তা শেষে রুপসা এবং পশুর নদী ধরে খুলনা শিপইয়ার্ড,রুপসা ব্রিজ,রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং মংলা বন্দর পাশে রেখে আমাদের শীপ চলবে হাড়বাড়িয়ার উদ্দেশ্যে।
দুপুরের খাবার খেয়ে নামবো "হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রে । আগে পিছে গান ম্যান রেখে সারিবদ্ধ ভাবে যাবো নির্ধারিত ফুট ট্রেইল ধরে। মিষ্টি পানির পুকুর পার হয়ে ঢুকবো গভীর বনে৷ দু,পাশে থাকবে ঘন শ্বাসমূল যুক্ত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ। সুন্দরী, গোলপাতা,গেওয়া গাছ এই বনে বেশী। প্রচুর হরিণ এবং বাঘের পায়েরছাপ দেখতে পারবো এখানে এবং নিশ্চুপ থাকলে হরিণের পাল দেখা যাবে। কাকড়ার পাল ছুটে লুকাবে আপনার চলার শব্দে।প্রায় ১ মাইল ট্রেইল ঘুরে পুকুরের উপর নির্মিত কাঠের রেষ্ট হাউজে বিশ্রাম নিয়ে শীপে ফিরে আসবো। শীপে ফিরে বিকালের নাস্তা খাবো।
শীপ চলবে সাগরের মোহনায় অবস্থিত "কটকা অভয়ারণ্যে।আনন্দ,গল্প,আড্ডা শেষে শিপের কেবিনেই হবে রাত্রি যাপন।
✅ ২য় দিনঃ
২৯শে সেপ্টেম্বর খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে দেশী নৌকায় ক্যানেল ক্রুজিং এবং চুপ থেকে বনের নিস্তব্ধতা উপভোগ করবো৷ সেখান থেকে টাইগার ট্রি'র ঝোপ,হরিণের বিচরণের মাঠ এবং গভীর বন পেরিয়ে আড়াই কিলো দূরের জামতলা সী বিচে পৌছাবো। উপভোগ করবো বাংলাদেশর দুই গর্ব "সুন্দরবন" এবং 'বঙ্গপোসাগর " এর মিলন স্থান।
জামতলা সি বীচ থেকে ফিরে এসে ছোট নৌকাতে করেই আমরা চলে যাবো কটকা অফিস পাড়।বানরের সাথে খুনসুটি করতে করতে আমরা পৌছে যাবো হরিনের পালের কাছে। খুব কাছ থেকে হরিণের পাল দেখা যাবে এই জায়গাতে।কটকার মনোমুগ্ধকর বিচ দেখবো এখান থেকেই।
এরপর ফিরবো শীপে৷
শিপে বসে লাঞ্চ করতে করতে কচিখালির উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো, কচিখালির সরু ক্যানলে ঘুরবো আড্ডা দিবো কচিখালি বিচে।সন্ধাটা কাটাবো আমরা মনোমুগ্ধকর ডিমের চর।হাতে সময় থাকলে এখানে আয়োজন হবে প্রীতি ফুটল ম্যাচের।এই বীচে থাকবো সন্ধার পর পর্যন্ত।
ডিমের চর ঘুরাঘুরি করে শীপে চলে আসব।
শীপ চলবে করমজলের উদ্দেশ্যে।রাতে শুরু হবে আমাদের বার বি কিউ পার্টি আনন্দ,হৈ-হুল্লোর এবং ছোট্র পরিসরে গানের আসর।
✅ ৩য় দিনঃ
৩০শে সেপ্টেম্বর করমজলে নোনা পানির বাংলাদেশের একমাত্র কুমির প্রজনন কেন্দ্র। ছোট বড় কুমির,বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির কচ্ছপ,বানরের পালের বাদরামি এবং হরিণকে হাত থেকে ঘাস খাইয়ে শীপে ফিরে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো।
৫টা-৫ঃ৩০ এর মধ্যে পৌছে যাবো খুলনা।
সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে ১০টার মধ্যেই ঢাকা থাকবো।
#নিরাপত্তা: 🐅
নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের কোন আপোষ নেই। আপনাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকবে বাংলাদেশ বনবিভাগের দুই জন সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী । আবহাওয়া এবং অন্য যে কোন প্রয়োজনে VSF এর মাধ্যমে ফরেস্ট, কোষ্ট গার্ড এবং নৌ-বাহিনীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন।
🌀🌀 খাবার মেনুঃ
==========
✔১ম দিন:
🔹 সকাল: পরাটা,সব্জি,ডিম,হালুয়া, মধু,চা
🔹বেলা ১১ টা- পেয়ারা মাখা, চা।
🔹দুপুরে: সাদা ভাত, গ্রিন ভেজিটেবল, পারশে মাছ, মুরগির কারী, ডাল ,সালাদ,রসগোল্লা
🔹সন্ধা:৬:০০ পাকুরা , চা।
🔹রাত্রে: এগ ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, চাকা চিংড়ি , চাইনিজ ভেজিটেবল, সালাদ,সফট ড্রিংক্স।
✔২য় দিন:
🔹সকালে ৫:৩০- বিস্কুট, চা।
🔹জঙ্গল সাফারিতে আপেল ,পানি।
🔹সকাল ৯ টা: ভুনা খিচুরি, বেগুন ভাজী, ডিমের কারি, আচার, সালাদ,চা।
🔹বেলা ১১ টা- কেক,চা
🔹দুপুরে: সাদাভাত, ভর্তা, লাউ চিংরি, রুই মাছ, মুরগির কারী, ডাল, সালাদ,ছানার জিলাপি
🔹সন্ধাঃ সিংগারা, চা।
🔹রাত্রে: পরাটা, মুরগির বারবিকিউ, মাছের বারবিকিউ, ডাল মাখনা, রাসিয়ান সালাদ, কোল্ড ড্রিংস।
✔৩য় দিন:
🔹সকালে: সাদা ভাত,আলু ভর্তা,সিম ভরতা,পেপে ভর্তা ,ডিম, ডাল
🔹বেলা ১১টা- বিস্কুট চা/কফি।
🔹দুপুরে- পোলাও , গলদা চিংড়ি ,,মুরগী , মুড়ো ঘন্ট,দই সালাদ।
✋বি:দ্র: সিজনের কারনে খাবার মেনুর সামান্য পরিবর্তন হতে পারে৷
🌀🌀 যা যা সাথে রাখা উচিৎ
===============
✅আইডি কার্ডের ফটোকপি ২ কপি
✅মাস্ক,স্যানিটাইজার
✅প্রয়োজনীয় ঔষধ।
✅টুথ ব্রাশ ও পেস্ট।
✅ক্যাপ,সান গ্লাস, সানস্ক্রিন লোশন
✅ক্যামেরা,মেমরি কার্ড ও পাওয়ার ব্যাংক,
টেলিটক সিম কার্ড।
✅সাবান,শ্যাম্পু
✅রেইন কোর্ট বা ছাতা
✅ব্যাক্তিগত অভ্যাসের সামগ্রী।
🌀🌀 সুন্দরবন ভ্রমণে করনীয়ঃ-
===================
উজ্জল রঙ্গের কাপড় ( যা অনেক দূর থেকে চোখে পড়ে ) পরিহার করা। হালকা রঙের এবং ঢিলে ঢালা ফুল স্লিব পোশাক পরা।
পিছনে বেল্ট আছে এবং পানিতে ভিজলে নষ্ট হবে না এমন সেন্ডেল / কেডস সাথে নিতে হবে। সু/ হাই হিল নিবেন না।
এডভেঞ্চার ট্যুরে লাগেজের সাইজ ছোট হওয়াই ভালো।
জঙ্গলে নামার পর কোন অবস্থাতে উচ্চ স্বরে কথা বলা যাবে না এবং খুব প্রয়োজন না হলে কথা না বলেই ট্রাকিং করতে হবে।
যেহেতু সমস্ত প্রয়োজনীয় সব কিছু আমাদের খুলনা থেকে নিয়ে উঠতে হবে তাই পানি অপচয় না করা (নদীর পানি নোনা) এবং খাবার পানি অন্য কোন কাজে ব্যবহার না করা।
জঙ্গলে নামার পর সু-শৃংখল ভাবে হাটতে হবে এবং কোন অবস্থাতে দল ছুট হওয়া যাবে না।
গাছের ডাল, পাতা বা লতায় হাত দেওয়া বা ছেড়া যাবে না।
পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। যেমন: পলিথিন বা প্যাকেজিং বস্তু যত্রতত্র ফেলা যাবে না।
স্থানীয় এবং অন্য ভ্রমণকারী দলের সদস্যদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
গাইড এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের নির্দেশনা মেনে চলা।
আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টা আপনাদের নিরাপত্তা এবং আনন্দদায়ক ভ্রমণের জন্য তাই আপনাদের সহযোগিতা আমাদের কাম্য।