শিকড়ের টানে গাঁয়ের পানে

শিকড়ের টানে গাঁয়ের পানে প্রকৃতি ও পরিবেশ

01/11/2023
10/09/2023

পর্দা কখনোই নারীকে বন্দী রাখে না, বরং সুরক্ষিত রাখে।

17/07/2023

সুরা: আশ-শূরা
আয়াত নং :-20
টিকা নং:37,

مَنْ كَانَ یُرِیْدُ حَرْثَ الْاٰخِرَةِ نَزِدْ لَهٗ فِیْ حَرْثِهٖ١ۚ وَ مَنْ كَانَ یُرِیْدُ حَرْثَ الدُّنْیَا نُؤْتِهٖ مِنْهَا وَ مَا لَهٗ فِی الْاٰخِرَةِ مِنْ نَّصِیْبٍ

যে আখেরাতের কৃষিক্ষেত্র চায় আমি তার কৃষিক্ষেত্র বাড়িয়ে দেই। আর যে দুনিয়ার কৃষিক্ষেত্র চায় তাকে দুনিয়ার অংশ থেকেই দিয়ে থাকি। কিন্তু আখেরাতে তার কোন অংশ নেই।৩৭

তাফসীর :
তাফহীমুল কুরআন:

টিকা:৩৭) পূর্ববর্তী আয়াতে দু’টি সত্য তুলে ধরা হয়েছে, যা আমরা সবসময় সর্বত্র দেখতে পাই। একটি হচ্ছে আল্লাহর দয়া ও মেহেরবানী তাঁর সব বান্দার জন্য সমান। অপরটি হচ্ছে, তাঁর দান ও রিযিক পৌঁছানোর বন্দোবস্ত সবার জন্য সমান নয়, বরং তার মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। সেখানে এ আয়াতে বলা হচ্ছে, তাঁর দয়া ও মেহেরবানী এবং রিযিক পৌঁছানোর ব্যবস্থায় ছোটখাট পার্থক্য অসংখ্য। কিন্তু একটি অনেক বড় মৌলিক পার্থক্যও আছে। সেটি হচ্ছে, আখেরাতের আকাংখী ব্যক্তির জন্য এক ধরনের রিযিক এবং দুনিয়ার আকাংখী ব্যক্তির জন্য অন্য ধরনের রিযিক। এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সত্য যা এই সংক্ষিপ্ত বাক্যটিতে বলা হয়েছে। এটিকে বিস্তারিতভাবে উপলব্ধি করা প্রয়োজন। কারণ তা প্রত্যেক মানুষকে তার ভূমিকা নির্ধারণে সাহায্য করে। যারা দুনিয়া ও আখেরাত উভয়ের জন্য চেষ্টা-সাধনা ও কাজ করে এ আয়াতে তাদেরকে এমন কৃষকের সাথে তুলনা করা হয়েছে যারা ভূমি প্রস্তুত করা থেকে ফসল প্রস্তুত হওয়া পর্যন্ত উপর্যুপরি ঘাম ঝরায় এবং প্রাণান্তকর চেষ্টা চালায়। সে মাঠে যে বীজ বপন করছে তার ফসল আহরণ করে যেন উপকৃত হতে পরে সেজন্য সে এত সব পরিশ্রম করে কিন্তু নিয়ত ও উদ্দেশ্যের পার্থক্য এবং বেশীর ভাগই কর্মপদ্ধতির পার্থক্য ও আখেরাতের ফসল বপনকারী কৃষক এবং পার্থিব ফসল বপনকারী কৃষকের মধ্যে বিরাট পার্থক্য সৃষ্টি করে তাই আল্লাহ‌ উভয় পরিশ্রমের ফলাফলও ভিন্ন রেখেছেন। অথচ এই পৃথিবীই উভয়ের কর্মক্ষেত্র। আখেরাতের ফসল বপনকারী দুনিয়া লাভ করবে না আল্লাহ‌ তা বলেননি। কম বা বেশী যাই হোক না কেন দুনিয়া তো সে পাবেই। কারণ এখানে আল্লাহর মেহেরবানী সবার জন্য সমান এবং তার মধ্যে তারও অংশ আছে। তাই ভালমন্দ সবাই এখানে রিযিক পাচ্ছে। কিন্তু আল্লাহ‌ তাকে দুনিয়া লাভের সুসংবাদ দান করেননি, বরং তাকে সুসংবাদ দিয়েছেন এই বলে যে তার আখেরাতের কৃষিক্ষেত্র বৃদ্ধি করা হবে। কেননা সে সেটিই চায় এবং সেখানকার পরিণামের চিন্তায় সে বিভোর। এই কৃষিক্ষেত্র বর্ধিত করার অনেকগুলো উপায় ও পন্থা হতে পারে। যেমনঃ সে যতটা সদুদ্দেশ্য নিয়ে আখেরাতের জন্য নেক আমল করতে থাকবে তাকে তত বেশী নেক আমল করার সুযোগ দেয়া হবে এবং তার হৃদয়-মন নেক কাজের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। যখন সে পবিত্র উদ্দেশ্যের জন্য পবিত্র উপায় অবলম্বন করার সংকল্প করবে তখন তার জন্য পবিত্র উপায়-উপকরণের মধ্যে বরকত দান করা হবে। তার জন্য কল্যাণের সব দরজা বন্ধ হয়ে কেবল অকল্যাণের দরজাসমূহই খোলা থাকবে, আল্লাহ‌ এ অবস্থা কখনো আসতে দেবেন না। তাছাড়া সব চেয়ে বড় কথা হলো তার এই পৃথিবীর সামান্য নেকীও আখেরাতে কমপক্ষে দশগুণ বৃদ্ধি করা হবে। আর বেশীর তো কোন সীমাই থাকবে না। আল্লাহ‌ যার জন্য চাইবেন হাজার বা লক্ষগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন। এখন থাকে দুনিয়ার কৃষি বপনকারীর কথা। অর্থাৎ যে আখেরাত চায় না এবং দুনিয়ার জন্যই সব কিছু করে। আল্লাহ‌ তাকে তার এই চেষ্টা-সাধনার দু’টি ফলের কথা সুস্পষ্টভাবে শুনিয়ে দিয়েছেন। এক, সে যত চেষ্টাই করুক না কেন দুনিয়া যতটা অর্জন করতে চায় তা সে পুরাপুরি পাবে না, বরং তার একটা অংশ মাত্র অর্থাৎ আল্লাহ‌ তার জন্য যতটা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন ততটাই পাবে। দুই, সে যা কিছু পাবে এই দুনিয়াতেই পাবে। আখেরাতের কল্যাণে তার কোন অংশ থাকবে না।

ফী জিলালিল কুরআন:

*কেয়ামত ও জীবন জীবিকা সম্পর্কিত দর্শন : এরপর ১৭ থেকে ২০ নং আয়াত পর্যন্ত পুনরায় ওহী ও রেসালাত নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা কিতাব নাযিল করেছেন যা সত্য ও ইনসাফের মানদন্ড। এর মাধ্যমে বিভিন্ন মত ও পথের অনুসারী সম্প্রদায়ের মধ্যকার মতবিরােধ পূর্ণ বিষয়াদির মীমাংসা করা হবে। আল্লাহ তায়ালা তার শরীয়তভিত্তিক বিধানকে সূক্ষ্ম ন্যায় বিচারের মানদন্ড রূপে মানবজাতির জন্যে প্রবর্তন করেছেন। এর ওপর ভিত্তি করে মতাদর্শের বিচার করা হবে, অধিকারের বিচার হবে এবং আচার আচরণ ও কাজ কর্মের বিচার হবে। মানদন্ডের প্রকৃতি ও স্বরূপ বর্ণনার পর এখন কেয়ামতের আলােচনা আসছে। সেই দুটো বিষয়ের মাঝে একটা মিল আছে বলেই দুটোর আলােচনা পর পর এসেছে। উভয়ের মধ্যকার মিলটা হলাে, কেয়ামত হচ্ছে ন্যায়বিচার ও চূড়ান্ত রায় ঘােষণার সময়। আর আল্লাহর কালাম হচ্ছে সত্য ও ন্যায়বিচারের মানদন্ড। তবে যেহেতু কেয়ামতের বিষয়টি একটি অজানা ও অদৃশ্য ব্যাপার। তাই এমনও হতে পারে যে, এটা সহসাই ঘটে যেতে পারে। তাই বলা হচ্ছে, 'তুমি কি জানাে, সম্ভবত কেয়ামত নিকটবর্তী। এই কেয়ামতের বিষয়টি নিয়ে মানুষ গাফিল ও উদাসীন। অথচ এটি খুবই নিকটবর্তী। এটি সংঘটিত হলেই সত্য ও ইনসাফের সাথে মানুষের চূড়ান্ত বিচার অনুষ্ঠিত হবে। এই বিচারের সময় কোনাে কিছুই অবহেলা করা হবে না, কোনাে কিছুই বাদ দেয়া হবে না। এই কেয়ামতের ব্যাপারে মােমেন ও কাফেরদের দৃষ্টিভংগি কি সে সম্পর্কে পরবর্তী আয়াতে আলােচনা করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, 'যারা তাতে বিশ্বাস করে না তারা তাকে তড়িৎ কামনা করে...'(আয়াত ১৮) অথাৎ যারা কেয়ামতে বিশ্বাসী নয়, তারা এর ভয়াবহতা অনুভব করতে পারে না এবং এই কেয়ামতের পর তাদের জন্যে কি ভয়ংকর পরিণতি অপেক্ষা করছে, সেটা তারা অনুমান করতে পারে না। তাই তারা এর কোনাে তোয়াক্কা করছে না, বরং কামনা করছে যাতে তা অতিসত্বর সংঘটিত হয়। কারণ তারা অজ্ঞ এবং অনুভূতিহীন। কিন্তু যারা পরকালে বিশ্বাসী, তারা কেয়ামতেও বিশ্বাসী। তাই তারা একে ভয় করে। কারণ এটা সংঘটিত হলে কি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে সেটা তাদের জানা আছে। কেয়ামত যে সংঘটিত হবে তা নির্ঘাত সত্য। মােমেনরাও এটাকে সত্য বলেই জানে। কারণ সত্যের মাঝে এবং তাদের মাঝে একটা বন্ধন আছে বলেই তারা সত্যকে সত্য হিসেবেই জানে। অপরদিকে যাদের মাঝে এই গুণ নেই তাদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে, 'জেনে রাখাে, যারা কেয়ামত সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয় তারা দূরবর্তী পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত রয়েছে।' অর্থাৎ সেই জাতীয় লােকেরা বিপথগামিতার গভীরে বিচরণ করছে এবং সত্য থেকে অনেক দূরে পড়ে আছে। তাই সেখান থেকে ফিরে আসা তাদের পক্ষে একটা কঠিন ব্যাপার। পরকালের আলােচনার পর এখন জীবিকার ব্যাপারে আলােচনা করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, 'আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের প্রতি দয়ালু...'(আয়াত ১৯) পরকালের সাথে জীবিকার সম্পর্ক বাহ্যিক দৃষ্টিতে সুদূর পরাহত মনে হলেও নিচের আয়াতটির প্রতি দৃষ্টিপাত করলে উভয়ের মাঝে একটা গভীর সম্পর্ক লক্ষ্য করা যাবে। আয়াতে বলা হয়েছে, 'যে কেউ পরকালের ফসল কামনা করে আমি তার জন্যে সেই ফসল বাড়িয়ে দেই...'(আয়াত ২০) এতে কোনাে সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের প্রতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা জীবিকা দান করেন। তিনি সৎ ও অসৎ এবং মােমেন ও কাফের সকলের আহার যােগান। মানুষ নিজের আহার নিজে যােগান দিতে অপারগ। যেহেতু আল্লাহ তায়ালাই তাদেরকে জীবন দান করেছেন, তাই আহার বা জীবিকার প্রাথমিক ব্যবস্থাও তিনিই করে রেখেছেন। আল্লাহ তায়ালা যদি কাফের ও পাপী-তাপী বান্দাদের আহার বন্ধ করে দিতেন, তাহলে নিজেদের আহার যােগান দেয়া তাদের পক্ষে কখনও সম্ভব হতাে না। ফলে তারা ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কারণে এবং জীবন ধারণের প্রাথমিক উপায় উপকরণের অভাবে মারা যেতাে। তখন আল্লাহর একটা বড় উদ্দেশ্য বিফল হয়ে যেতাে। আর সেটা হচ্ছে, পৃথিবীর বুকে মানুষকে জীবিত রেখে তাদেরকে কর্মের সুযােগ দেয়া এবং পরকালে এই কর্মের হিসাব নিয়ে তাদেরকে পুরস্কৃত করা অথবা শাস্তি দেয়া। তাই তিনি জীবিকার ব্যাপারটি পাপ ও পুণ্য এবং ঈমান ও কুফরের গন্ডির বাইরে রেখেছেন। বরং এটাকে সাধারণ জীবনের সাথে সম্পৃক্ত উপায় উপকরণ এবং ব্যক্তির চেষ্টা তদবীরের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। সাথে এটাকে মানুষের জন্যে পরীক্ষার একটা বিষয় হিসেবেও চিহ্নিত করে রেখেছেন যার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পরকালে তাদের প্রতিদান দেয়া হবে। তাছাড়া আল্লাহ তায়ালা ইহকাল ও পরকাল উভয়টিকে ফসলের ক্ষেত্র বানিয়েছেন। এখন মানুষ স্বাধীনভাবে এর যে কোনাে একটিকে বেছে নিতে পারে। যারা পরকালের ফসল কামনা করে তারা এর জন্যে কাজ করে যাবে। আল্লাহ তায়ালা তাদের এই ফসলকে বাড়িয়ে দেবেন, তাদের নিয়ত অনুসারে তাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তাদের কাজে বরকত দান করবেন। পরকালের এই ফসলের সাথে সাথে ইহকালে তার জন্যে নির্ধারিত করে রাখা জীবিকাও তাকে দেয়া হবে। এই জীবিকা থেকে তাকে একটুও বঞ্চিত করা হবে না। বরং ইহকালে তাকে জীবিকাস্বরূপ যা কিছু দেয়া হবে সেটাই তার জন্যে পরকালের ফসল হিসাবেও গন্য হতে পারে যদি সে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশেই সেই জীবিকার অন্বেষণে কাজ করে, ভোগ করে এবং তা থেকে দান করে। অপরদিকে যারা ইহকালের ফসলই কামনা করে তাদেরকেও আল্লাহতায়ালা ভাগ্য অনুসারে দান করবেন। তাদের প্রাপ্য ভাগ থেকে তাদেরকে মােটেও বঞ্চিত করা হবে না। কিন্তু পরকালের ফসল থেকে তারা কিছুই পাবে না। কারণ, পরকালের ফসলের জন্যে তারা কোনাে কাজই করেনি। তাই ফলাফলেরও কোনো আশা করা তাদের সাজে না। ইহকালের ফসলের প্রত্যাশী আর পরকালের ফসলের প্রত্যাশীদের প্রতি লক্ষ্য করলে ইহকালের ফসলের প্রত্যাশীদের বােকামী ও মূর্খতা ধরা পড়বে। কারণ দুনিয়াতে তাে আল্লাহ তায়ালা সবাইকে জীবিকা দান করবেন। যার ভাগ্যে যতােটুকু নির্ধারিত আছে ততাটুকু সে পাবেই। কিন্তু পরকালের ফসল কেবল তাদের ভাগ্যেই জুটবে যারা এর প্রত্যাশী হবে এবং এর জন্যে যে কাজ করবে। যারা ইহকালের ফসলের প্রত্যাশী, তাদের মাঝে ধনীও আছে, দরিদ্রও আছে। ধনী ও দরিদ্রের ব্যবধান মূলত জাগতিক উপায় উপকরণ ও ব্যক্তির যােগ্যতার সাথে সাথে ভাগ্যের তারতম্যের কারণেও হয়ে থাকে। পরকালের প্রত্যাশীদের মাঝেও এই তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। তবে এই পৃথিবীর বুকে জীবিকার ক্ষেত্রে উভয় দলের মাঝে কোনো ব্যবধান নেই। উভয় দলের মাঝে আমলের ব্যবধান দেখা যাবে পরকালে। তাই যে ব্যক্তি পরকালের ফসলকে ত্যাগ করে তার চেয়ে নির্বোধ আর কে হতে পারে। কারণ এই ত্যাগের ফলে তার পার্থিব জীবনে কোনােই পরিবর্তন আসবে না। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা সত্য ও ন্যায়ের সাথেই সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ যে সত্য ন্যায়ের ওপর ভিত্তি করে কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে। তাই সকল প্রাণীর জন্যে জীবিকা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই সত্য ও ন্যায়ের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই। এই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই পরকালের ফসলের প্রত্যাশীদের ক্ষেত্রেও ইহকালের ফসলের প্রত্যাশীদের আল্লাহ তায়ালা মাঝে মাঝে অধিক হারে দান করেন, আর ইহকালের প্রত্যাশীদেরকে পরকালের উত্তম প্রতিদান থেকে বঞ্চিত করেন।

15/07/2023

তোমার সুস্থ্যতার অবকাশে পীড়িত অবস্থার জন্য সঞ্চয় করে রেখো। আর জীবিত অবস্থায় তোমার মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিও। সহীহ আল-বুখারী :৫৯৭৪

28/06/2023

"শিকড়ের টানে গাঁয়ের পানে" এর সকল সদস্যদের অনেক অনেক শুভকামনা রইলো যারা এবার শিকড়ের টানে গ্রামে গিয়ে মা-বাবা, ভাই-বোনদের সাথে ঈদ এর আনন্দ ভাগাভাগি চলে যাচ্ছেন।

07/05/2023

শিকড়ের টানে গাঁয়ের পানে সকল সদস্যদের অনেক অনেক শুভকামনা রইলো যারা এবার শিকড়ের টানে গ্রামে গিয়ে মা - বাবা, ভাই - বোনদের সাথে ঈদ এর আনন্দ ভাগাভাগি করে আবার কর্মময় জীবন শুরু করেছেন।

14/04/2023

মৃত্যু নিয়ে এতো সুন্দর লেখা আগে পড়িনি
একটু পড়েই দেখুন না। জাযাকাল্লাহ।

পরলোকগত কুয়েতি লেখক আব্দুল্লাহ যারাল্লাহ র মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া কিছু অনুভূতি -

"মৃত্যু নিয়ে আমি কোনো দুশ্চিন্তা করবো না, আমার মৃতদেহের কি হবে সেটা নিয়ে কোন অযথা আগ্রহ দেখাবো না। আমি জানি আমার মুসলিম ভাইয়েরা করণীয় সবকিছুই যথাযথভাবে করবে।"

يُجَرِّدُونَنِي مِنْ مَلَابِسِي

তারা প্রথমে আমার পরনের পোশাক খুলে আমাকে বিবস্ত্র করবে,

يَغْسِلُونَني

আমাকে গোসল করাবে,

يَكْفِنُونَنِي

(তারপর) আমাকে কাফন পড়াবে,

يُخْرِجُونَنِي مِنْ بَيْتِي

আমাকে আমার বাসগৃহ থেকে বের করবে,

يَذهَبُونَ بِي لِمَسَكِنِي الجَدِيدِ (القَبْرُ)

আমাকে নিয়ে তারা আমার নতুন বাসগৃহের (কবর) দিকে রওনা হবে,

وَسَيَأتِي كَثِيرُونَ لِتَشْيِيْعِ الجَنَازَتِي

আমাকে বিদায় জানাতে বহু মানুষের সমাগম হবে,

بَلْ سَيَلْغِي الكَثِيرُ مِنهُم أَعْمَالَهُ وَمَوَاعِيدَهُ لِأَجْلِي دَفْنِي

অনেক মানুষ আমাকে দাফন দেবার জন্য তাদের প্রাত্যহিক কাজকর্ম কিংবা সভার সময়সূচী বাতিল করবে,

وَقَدْ يَكُونُ الكَثِيرُ مِنهُم لَمْ يَفَكِّرْ في نَصِيحَتِي يَوماً مِنْ الأيّامِ

কিন্তু দুঃখজনকভাবে অধিকাংশ মানুষ এর পরের দিনগুলোতে আমার এই উপদেশগুলো নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করবে না,

أَشْيَائِي سَيَتِمُّ التَّخَلُّصُ مِنهَا

আমার (ব্যক্তিগত) জিনিষের উপর আমি অধিকার হারাবো,

مَفَاتِيحِي

আমার চাবির গোছাগূলো,

كِتَابِي

আমার বইপত্র,

حَقِيبَتِي

আমার ব্যাগ,

أَحْذِيَتِي

আমার ‍জুতোগুলো,

وإنْ كانَ أَهْلِي مُوَفِّقِينَ فَسَوفَ يَتَصَدِّقُونَ بِها لِتَنْفَعَنِي

হয়তো আমার পরিবারের লোকেরা আমাকে উপকৃত করার জন্য আমার ব্যবহারের জিনিসপত্র দান করে দেবার বিষয়ে একমত হবে,

تَأَكِّدُوا بِأَنَّ الدُّنيا لَنْ تَحْزَنْ عَلَيَّ

এ বিষয়ে তোমরা নিশ্চিত থেকো যে, এই দুনিয়া তোমার জন্য দু:খিত হবে না অপেক্ষাও করবে না,

وَلَنْ تَتَوَقَّفْ حَرَكَةُ العَالَمِ

এই দুনিয়ার ছুটে চলা এক মুহূর্তের জন্যও থেমে যাবে না,

وَالاِقْتِصَادُ سَيَسْتَمِرُ

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা ব্যবসাবাণিজ্য সবকিছু চলতে থাকবে,

وَوَظِيْفَتِي سَيَأتِي غَيرِي لِيَقُومَ بَها

আমার দায়িত্ব (কাজ) অন্য কেউ সম্পাদন করা শুরু করবে,

وَأَمْوَالِي سِيَذْهَبُ حَلَالاً لِلوَرَثِةِ

আমার ধনসম্পদ বিধিসম্মত ভাবে আমার ওয়ারিসদের হাতে চলে যাবে,

بَينَمَا أنا سَأُحَاسِبُ عَليها

অথচ এর মাঝে এই সম্পদের জন্য আমার হিসাব-নিকাশ আরম্ভ হয়ে যাবে,

القَلِيلُ والكَثِيرُ.....النَقِيرُ والقَطمِيرُ......

ছোট এবং বড়….অনুপরিমাণ এবং কিয়দংশ পরিমান, (সবকিছুর হিসাব)

وَإن أَوَّلَ ما مَوتِي هو اِسمِي !!!!

আমার মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম যা (হারাতে) হবে, তা আমার নাম!!!

لِذَلكَ عِنْذَما يَمُوتُ سَيَقُولُونَ عَنِّي أَينَ "الجُنَّةُت"...؟

কেননা, যখন আমি মৃত্যুবরণ করবো, তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলবে, কোথায় “লাশ”?

وَلَن يَنَادُونِي بَاِسمِي....

কেউ আমাকে আমার নাম ধরে সম্বোধন করবে না,

وَعِندَما يُرِيدُونَ الصَّلاةَ عَلَيَّ سِيَقُلُونَ اُحْضُرُوا "الجَنَازَةَ" !!!

যখন তারা আমার জন্য (জানাযার) নামাজ আদায় করবে, বলবে, “জানাযাহ” নিয়ে আসো,

وَلَن يُنَادُونِي يِاسْمِي ....!

তারা আমাকে নাম ধরে সম্বোধন করবে না….!

وَعِندَما يَشْرَعُونَ بِدَفنِي سَيَقُولُونَ قَرِّبُوا المَوتَ وَلَنْ يَذكُرُوا اِسمِي ....!

আর, যখন তারা দাফন শুরু করবে বলবে, মৃতদেহকে কাছে আনো, তারা আমার নাম ধরে ডাকবে না…!

لِذَلِكَ لَن يَغُرَّنِي نَسبِي وَلا قَبِيلَتِي وَلَن يَغُرَّنِي مَنْصَبِي وَلا شَهرَتِي ....

এজন্যই দুনিয়ায় আমার বংশপরিচয়, আমার গোত্র পরিচয়, আমার পদমযার্দা, এবং আমার খ্যাতি কোনকিছুই আমাকে যেন ধোঁকায় না ফেলে,

فَمَا أَتْفَهُ هَذِهِ الدُّنْيَا وَمَا أَعْظَمَ مُقَلِّبُونَ عَليهِ .....

এই দুনিয়ার জীবন কতই না তুচ্ছ, আর, যা কিছু সামনে আসছে তা কতই না গুরুতর বিষয়…

فَيا أَيُّهَا الحَيُّ الآنَ ..... اِعْلَمْ أَنَّ الحُزْنَ عَليكَ سَيَكُونُ على ثَلَاثَةٍ أَنْواعٍ:

অতএব, (শোন) তোমরা যারা এখনো জীবিত আছো,….জেনে রাখো, তোমার (মৃত্যুর পর) তোমার জন্য তিনভাবে দু:খ করা হবে,

1ــ النَّاسُ الَّذِينَ يَعْرِفُونَكَ سَطْحَيّاً سَيَقُولُونَ مِسْكِينٌ

১. যারা তোমাকে বাহ্যিক ভাবে চিনতো, তারা তোমাকে বলবে হতভাগা,

2ــ أَصْدِقَاؤُكَ سَيَحْزُنُونَ سَاعَات أَو أَيَّامَاً ثُمَّ يَعُودُونَ إِلَى حَدِيثِهِم بَلْ وَضَحِكَهُم.....

২. তোমার বন্ধুরা বড়জোর তোমার জন্য কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন দু:খ করবে, তারপর, তারা আবার গল্পগুজব বা হাসিঠাট্টাতে মত্ত হয়ে যাবে,

3ــ الحُزْنُ العَمِيقُ فِي البَيْتِ سَيَحْزُنُ أَهْلِكَ أُسْبُوعاً.... أُيسْبُوعَينِ شَهراً ....شَهرَينِ أَو حَتَّى سَنَةً وَبَعْدَهَا سَيَضْعُونَكَ فِي أَرْشِيفِ الذَّكَرِيّاتِ !!!

৩. যারা খুব গভীর ভাবে দু:খিত হবে, তারা তোমার পরিবারের মানুষ, তারা এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ, একমাস, দুইমাস কিংবা বড় জোর একবছর দু:খ করবে। এরপর, তারা তোমাকে স্মৃতির মণিকোঠায় যত্ন করে রেখে দেবে!!!

اِنْتَهَتْ قِصَّتُكَ بَينَ النَّاسِ وَبَدَأَتْ قِصَّتُكَ الحَقِيْقِيّةِ وَهِيَ الآخِرةُ ....

মানুষদের মাঝে তোমাকে নিয়ে গল্প শেষ হয়ে যাবে, অত:পর, তোমার জীবনের নতুন গল্প শুরু হবে, আর, তা হবে পরকালের জীবনের বাস্তবতা,

لَقدْ زَالَ عِندَكَ:

তোমার নিকট থেকে নি:শেষ হবে (তোমার):

1ــ الجَمَالُ

১. সৌন্দর্য্য

2ــ والمَالُ

২. ধনসম্পদ

3ــ والصَحَّةُ

৩. সুস্বাস্থ্য

4ــ والوَلَدُ

৪. সন্তান-সন্তদি

5ــ فَارقَت الدَّور

৫. বসতবাড়ি

6ــ القُصُورُ

৬. প্রাসাদসমূহ

7ــ الزَوجُ

৭. জীবনসঙ্গী

وَلَمْ يَبْقِ إِلَّا عَمَلُكَ

তোমার নিকট তোমার ভালো অথবা মন্দ আমল ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না,

وَبَدَأَتِ الحَيَاةُ الحَقِيقَيَّةُ

শুরু হবে তোমার নতুন জীবনের বাস্তবতা,

وَالسُّؤَالُ هُنا : ماذا أَعْدَدْتَ لِلقُبَرِكَ وَآخِرَةَكَ مِنَ الآنَ ؟؟؟

আর, সে জীবনের প্রশ্ন হবে: তুমি কবর আর পরকালের জীবনের জন্য এখন কি প্রস্তুত করে এনেছো?

هَذِهِ حَقِيقَةٌ تَحْتَاجُ إلى تَأمَّلٍ

*ব্স্তুত: এই জীবনের বাস্তবতা সম্পর্কে তোমাকে গভীর ভাবে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন,*

لِذَلِكَ أحرصُ عَلى :

এজন্য ‍তুমি যত্নবান হও,

1ــ الفَرَائِضِ

১. ফরজ ইবাদতগুলোর প্রতি

2ــ النَّوَافِلِ

২. নফল ইবাদতগুলোর প্রতি

3ــ صَدَقَةُ السِّرِّ

৩. গোপন সাদাকাহ’র প্রতি

4ــ عَمَلُ الصَّلِحِ

৪. ভালো কাজের প্রতি

5ــ صَلاةُ اللَّيلِ

৫. রাতের নামাজের প্রতি

لَعَلَّكَ تَنْجُو....

যেন তুমি নিজেকে রক্ষা করতে পারো….

إِنْ سَاعَدْتَ عَلى تَذْكِيرِ النَّاسِ بِهَذِهِ المُقَالَةِ وَأنتَ حَيُّ الآنَ سَتَجِدُ أَثَرَ تَذكِيرِكَ في مِيزَانِكَ يَومَ القِيامَةِ بِإِذْنِ اللهِ .....

এই লিখাটির মাধ্যমে তুমি মানুষকে উপদেশ দিতে পারো, কারণ তুমি এখনো জীবিত আছো, এর ফলাফল আল্লাহ’র ইচ্ছায় তুমি কিয়ামত দিবসে মিজানের পাল্লায় দেখতে পাবে,

قال الله تَعالى : ((فَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَ تَنْفَعُ المُؤمِنِينَ))

আল্লাহ বলেন: ((আর স্মরণ করিয়ে দাও, নিশ্চয়ই এই স্মরণ মুমিনদের জন্য উপকারী))

لِمَاذَا يَخْتَارُ المَيِّتِ "الصَّدَقَةَ لو رَجَعَ للدُّنيا....

তুমি কি জানো কেন মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ প্রদানের আকাঙ্খা করবে, যদি আর একবার দুনিয়ার জীবনে ফিরতে পারতো?

كَمَا قَالَ تَعَالى: ((رَبِّ لَو لا أَخَّرْتَنِي إلى أَجَلٍ قَرِيبٍ فَأَصَّدَّقَ....))

আল্লাহ বলেন: ((হে আমার রব! যদি তুমি আমাকে আর একটু সুযোগ দিতে দুনিয়ার জীবনে ফিরে যাবার, তাহলে আমি অবশ্যই সাদাকাহ প্রদান করতাম….))

ولَمْ يَقُلْ :

তারা বলবে না,

لِأعتَمَرَ

উমরাহ পালন করতাম,

أو لِأُصَلَّي

অথবা, সালাত আদায় করতাম,

أو لِأصُومُ

অথবা, রোজা রাখতাম,

قالَ العُلَماءُ : ما ذَكَرَ المَيِّتُ الصَّدَقَةَ إلا لِعَظِيمِ مَا رَأى مِن أَثَرِها بَعدَ مَوتِهِ

আলেমগণ বলেন: মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ’র কথা বলবে, কারণ তারা সাদাকাহ প্রদানের ফলাফল তাদের মৃত্যুর পর দেখতে পাবে,

فَأَكْثِرُوا مِنَ الصَّدَقَةِ وَمِن أَفضَلِ ما تَتَصَدَّقُ بِهِ الآنَ 10 ثَوَان مِنْ وَقْتِكَ لِنشَرِ هذا الكَلامَ بِنِيَّةِ النَّصْحِ فَالكَلمَةُ الطَّيِّبَةُ صَدَقَةٌ.

আর, গুরুত্ববহ এই সাদাকাহ’র কাজটি তুমি এই কথাগুলো ছড়িয়ে দিয়ে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করে করতে পারো, যদি তোমার উদ্দেশ্য হয় এর মাধ্যমে মানুষকে উপদেশ প্রদান করা। কারণ, উত্তম কথা হল এক ধরণের সাদাকাহ।।।
-সংগৃহীত।

13/04/2023

কি কারণে গরম বাতাস আসে.... জেনে নিন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর আমাদের মাঝে নেই ইন্নালিল্লাহি ..... রাজিউন) আমরা সত্যিকারের একজন দেশ গ্রেমিককে হারালাম।  মরহুমে...
11/04/2023

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর আমাদের মাঝে নেই ইন্নালিল্লাহি ..... রাজিউন) আমরা সত্যিকারের একজন দেশ গ্রেমিককে হারালাম। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

যাকাত ইবাদত । খাত নির্ধারিত ।এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই । এর পরেও কেউ যদি যাকাত নিয়ে বিপরীত মত দিতে চান, তাহলে কুরআ...
09/04/2023

যাকাত ইবাদত । খাত নির্ধারিত ।
এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই । এর পরেও কেউ যদি যাকাত নিয়ে বিপরীত মত দিতে চান, তাহলে কুরআন অস্বীকারের পাপকে ভয় করুন ।বিদ্যানন্দে মন চাইলে এমনিতে দান করুন । দয়া করে ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ যাকাত নিয়ে তামাশা না করে, আল্লাহকে ভয় করুন ।

#বিদ্যানন্দকে_যাকাত_দিলে_যাকাত_আদায়_হবে_না।

মন মাতানো প্রকৃতির মাঝে কোন একদিন।
09/04/2023

মন মাতানো প্রকৃতির মাঝে কোন একদিন।

আমাদের ছোট গ্রাম
09/04/2023

আমাদের ছোট গ্রাম

Address

Dhaka

Telephone

+8801985720776

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শিকড়ের টানে গাঁয়ের পানে posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to শিকড়ের টানে গাঁয়ের পানে:

Videos

Share