24/11/2023
কার্শিয়ং থেকে আমার মোমো ভক্তি শুরু😛
শিলিগুড়ি থেকে জীপ ধীরে ধীরে দার্জিলিং এর রাস্তায় ঢুকলো এরপর শুরু হলো এরকম সব নজরকাড়া দৃশ্য। আমি বরাবর পাহাড় প্রেমী। এইসব রাস্তায় কখনো আমার ঘুম আসে না। আমি চোখ ঢ্যাব ঢ্যাব করে সব দেখতে থাকি।
কিন্তু এই সুখ বেশিক্ষন টিকলো না। আগের দিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে এখন সকাল ১১:৩০ টা অবধি জার্নির মধ্যেই আছি, সারারাত তেমন কিছু খাই নি আর সকালে খুব শখ করে বুড়ির হোটেলে ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়েছিলাম। ব্যস,প্রচন্ড গ্যাস হয়ে গেছে। আর দার্জিলিং এ যাওয়ার রাস্তায় অনেক বেশি বাক।যারা বান্দরবান বা সাজেক গেছেন তারা এই রাস্তা গুলো বুঝবেন যে কেমন করে উঁচু আঁকাবাকা রাস্তায় জীপ উঠে।কিন্তু দার্জিলিং এর রাস্তার কাছে ওইগুলো কিচ্ছু নাহ। সুতরাং আমি হঠাৎ করেই বমি করি। পরপর কয়েক বার করার পর আমার পেট খালি হয়ে যায় একদম।
রানার চোখ লেগে এসেছিল কিন্তু ঘুম হারাম। ড্রাইভারকে কোনো দোকানের সামনে রাখতে বলা হলো। কিছু খেতে হবে। উনি যেখানে রাখলেন সেখানে একটা পিচ্চি নেপালিজ ছেলে মোমো,নুডুলস এসব বিক্রি করে। রানার হিন্দি,ইংরেজি আর বাংলা শুনে ওই ছেলে বোবার মতো তাকায় ছিলো। আমি হাসি থামিয়ে হিন্দিতেই বললাম মোমো দিতে।মোমো পেয়ে আমার নাচানাচি শুরু। ইচ্ছামতো খাইলাম আর জীপের বাকিদের বললাম পুরা ট্যুরে শুধু মোমো খাবো (সেটাই করসি আমি।এই নিয়ে রানা কম পঁচায় নাহ)। পেট ভরে খেয়ে এরপর আশেপাশে ছবি তুললাম কতগুলো। নিজেকে পাখি মনে হচ্ছিলো। লিখাটা যে লিখছি চোখের সামনে সেই পাহাড়,মেঘ আর আমার আবেগ ভাসতেসে। ছবি তুলে নাচতে নাচতে গাড়িতে উঠে গেলাম। 💃
মোটামুটি এখান থেকেই আমার মোমো আর কফি খাওয়া শুরু। মনে হবে আমি এই দুইটা খেতেই দার্জিলিং গিয়েছিলাম 😌
যাহোক অল্পকিছু তথ্য দেই। কার্শিয়ং কিন্তু ঘুরার জন্য বা এক রাত নিরিবিলি থাকার জন্য দারুণ একটা শহর। এটা দার্জিলিং এর মতো কোলাহলপূর্ণ না।আর এই শহরটা পুরাটাই পাহাড়ি অঞ্চল। 'সাদা অর্কিডের দেশ' বলে এটাকে কারন সব পুরো শহর জুড়েই নাকি অর্কিডের রাজত্ব। এখানে কিছু অফবিট গ্রাম আছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউ দেখা যায়। আর এই শহরের ট্রেনজার্নি টা নাকি দারুণ।
💕