https://www.facebook.com/175252435661922/

Sparkle Tours & Airways, Basabo, Dhaka (2024)

07/02/2024

💕💕 #ভ্রমণ এমন একটি চমকপ্রদ নাম যা শুনলেই মন শিহরিত হয়ে ওঠে, কেমন যেন আনন্দে ভরে যায়।

দৈনন্দিন জীবনে নানান কাজের ব্যস্ততায় আমরা বাঁচতে ভুলে যাই। তাই যখন ভ্রমন করবেন আপনি জীবনের প্রকৃত স্বাদ খুঁজে পাবেন, বেঁচে থাকার নতুন প্রেরণা খুঁজে পাবেন। কেননা একেকটা জায়গার সংস্কৃতি, সাধারণ মানুষের জীবন যাপন পদ্ধতি আপনাকে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। আর তাই যখনই সময় পান স্বল্প সময়ের জন্য হলেও কোথাও থেকে ঘুরে আসুন। এরকম স্বল্প ও দীর্ঘ ভ্রমণ পরিকল্পনার যুক্ত হতে নিয়মিত চোখ রাখুন Sparkle Tours & Airways এর বিজনেস পেজে।

02/02/2024

✈️✈️আপনি কি কম বাজেটে সবচেয়ে ভালো ট্রাভেল কোম্পানি খুঁজছেন? তাহলে Sparkle Tours & Airways আপনার জন্য। কেননা আমরাই কম বাজেটের মধ্যে প্রত্যাশার চেয়ে সবথেকে বেশি Facilities দিয়ে থাকি।

👉👉আমাদের ট্যুরের প্রদত্ত সার্ভিস সমূহ যা অন্যান্যদের থেকে সহজেই আলাদা করে.......
♦️ কোম্পানির লোগো সংবলিত আকর্ষণীয় টি-শার্ট
♦️ তিন বেলা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
♦️ সময় মত যাত্রা শুরু এবং সময়ের মধ্যেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো
♦️ সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা
♦️ অভিজ্ঞ গাইড যে সব সময় আপনাদের সাথে থেকেই ওই জায়গাগুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা দিবে।
♦️ পরিবহন ব্যবস্থা হবে যথেষ্ট কম্ফোর্টেবল
♦️ সর্বোপরি, যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সার্বিক সেবা আমাদের প্রতি আপনাদের সন্তুষ্টি তৈরি করবে।

আর তাই নিজেদের সন্তুষ্টি যাচাইয়ের জন্য হলেও আমাদের ট্রাই করতে পারেন। আমাদের আয়োজিত কোনো ট্যুরে আপনি একবার গেলে দ্বিতীয়বারও আপনি আমাদেরকেই খুঁজবেন।

বিস্তারিত জানার জন্য সরাসরি কল করতে পারেন
☎️☎️01747-109104

01/02/2024

🛑🛑 #বান্দরবান মানেই পাহাড়, নদী ও ঝর্ণার এক অপূর্ব মিলন বন্ধন। পূর্বে মিয়ানমার, উত্তরে রাঙ্গামাটি, উত্তর-পশ্চিমে চট্টগ্রাম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কক্সবাজার অবস্থিত। চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৭৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর জেলা বান্দরবান যা রূপে অনন্য। কেননা এ জেলার এমন কিছু বিশেষত্ব রয়েছে যা আপনাকে মুগ্ধ করবে। চলুন তাহলে বান্দরবানের ওই সকল দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নেই যা না দেখলে আপনার ভ্রমণটাই অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে...........

১. #নীলগিরি : বাংলার দার্জিলিং বলা হয় এই নীলগিরিকে।কেননা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২২০০ ফুট উচ্চতায় যখন আপনি দিগন্ত জুড়ে সবুজ পাহাড় ও সারি সারি মেঘের আনাগোনা দেখবেন তখন এর বিশেষত্ব বুঝতে পারবেন। যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে আর ভাগ্য সহায় থাকে তাহলে দেখতে পাবেন বগালেক, পঞ্চম সর্বোচ্চ পাহাড়ের চূড়া কেওক্রাডং , কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রাম বন্দর ও সাঙ্গু নদী। এটি মূলত বান্দরবান থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

২. #নীলাচল : নীলাচল তার পাহাড়, আকাশ ও মেঘের অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে পর্যটকদের সব সময় বিমোহিত করে। শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ২০০০ ফুট উচ্চতার এই পাহাড়। এখান থেকে পুরো বান্দরবান শহরটাকে দেখা যায়। মেঘের লুকোচুরি, বিকেলের সূর্যাস্ত ও পাহাড়ের সৌন্দর্য আপনাকে এতটাই মুগ্ধ করবে যে আপনি এক প্রেমে পড়তে বাধ্য হবেন।

৩. #কেওক্রাডং : কেওক্রাডং স্থানীয় ভাষায় মানে হলো সবচেয়ে উঁচু পাথরের পাহাড়। যদিও পরিমাপে এটি বর্তমানে দেশের ৫ম সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ যা রুমা উপজেলায় অবস্থিত।আবার এখানেই সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ তাজিংডং (৪১৯৮ ফুট বা ১২৮০ মিটার) অবস্থিত। আপনি যখন এই পাহাড়ের চূড়ায় উঠবেন তখন মেঘের সারি ও পাহাড়ের সৌন্দর্য আপনার চোখ জুড়াবে।

৪. #নাফাখুম : স্থানীয় ভাষায় খুম মানে হল জলপ্রপাত। এই জলপ্রপাতটি খানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে অবস্থিত। একে বাংলা নায়াগ্রা বললেও ভুল হবেনা। কেননা পানি প্রবাহের পরিমাপের দিক থেকে একে দেশের অন্যতম বড় জলপ্রপাত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আপনি যদি প্রকৃতির সৌন্দর্যের পিপাসু ও অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হন তাহলে আপনার অবশ্যই আসা উচিত এই অপরূপ সুন্দর ঝর্ণায়।

৫. #আমিয়াখুম : লোকালয় থেকে অনেক দূরে শান্ত ও পরিশুদ্ধ প্রকৃতির মাঝে শীতল পানির ধারা এই আমিয়াখুম। এর সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই একে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জলপ্রপাত হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমানা ঘেসে অবস্থিত। আর চাইলেই এই ঝর্ণা থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত সাতভাইখুম থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।

৬. #আলীর গুহা : আলির পাহাড় থেকে এর নাম হয় আলীর গুহা। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই গুহা নিয়ে পর্যটকদের রহস্যের যেন শেষ নেই। এখানে আছে মূলত ৩টি গুহা যা দেখতে অনেক সময় প্রয়োজন। গুহার ভেতরটা পুরোটাই অন্ধকার এবং ছমছমে একটা অবস্থা বিরাজ করে সব সময়। আপনি এখানে ঢুকলে আপনার মনে হবে এক অজানা জগতে ঢুকে পড়েছেন। তাই যদি আপনি যথেষ্ট সাহসী হোন তাহলে এই অ্যাডভেঞ্চার আপনার জন্য।

👉👉👉এছাড়াও বান্দরবানে দেখার আছে আরো অনেক কিছু.......

♦️ স্বর্ণমন্দির ♦️বগালেক ♦️চিম্বুক পাহাড় ♦️শৈলপ্রপাত ঝর্না ♦️মারায়নতং ♦️তিন্দু ♦️দেবতাখুম ♦️ জাদিপাই ঝর্ণা ♦️সাতভাইখুম ঝর্না ♦️ডিম পাহাড় ♦️দামতুয়া ঝর্ণা ♦️চিংড়ি ঝর্না ♦️ নীল দিগন্ত ♦️মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র ইত্যাদি

ইতিমধ্যে বুঝতেই পারছেন বান্দরবানের সৌন্দর্য আপনি যদি দেখে শেষ করতে চান তাহলে একবার গেলে সম্ভব নয় কেননা প্রচুর সময় প্রয়োজন। তাই আপনাকে যেতে হবে একাধিকবার। কথা দিচ্ছি বান্দরবানের সবুজ পাহাড়, দুধ সাদা ফেনা তৈরি করা শীতল পানি ঝর্না, সূর্য উদয়, সূর্যাস্ত, সারি সারি সাদা মেঘের হাতছানি সবমিলিয়ে আপনার স্মৃতিতে স্থায়ী হয়ে থাকবে দীর্ঘদিন। খুব শীঘ্রই Sparkle Tours & Airways এর পক্ষ থেকে এমনি সব চমকপ্রদ ট্যূর নিয়ে হাজির হব আমরা। আপনারা চাইলেই সঙ্গী হতে পারেন আমাদের সাথেও।

31/01/2024

#দার্জিলিং মূলত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি বিভাগের একটি জেলা। এটি পশ্চিমবঙ্গের এমন একটি শহর যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। ফলে বছরের সব সময় এখানে ঠান্ডা লেগেই থাকে। পাশাপাশি হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য দেখা যায়। এক কথায় পাহাড় ও মেঘের এক পারফেক্ট কম্বিনেশন হল এই দার্জিলিং শহর। চলুন তাহলে আজ নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দার্জিলিং এর কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক............

১. #টাইগার হিল : দার্জিলিং এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা এই টাইগার হিল। সাদা বরফের চাদরে মোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া ভোরের আলো যখন আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হয় তখন এক মনোরম সিনেম্যাটিক দৃশ্যে তৈরি হয়। যখন এই সৌন্দর্য নিজের চোখে দেখবেন তখনই বুঝতে পারবেন এই সৌন্দর্যের তুলনা কোন কিছুর সাথেই হয় না। আর তাই পর্যটকদের ভ্রমণ তালিকায় প্রথমেই থাকে দার্জিলিংয়ের এই টাইগার হিল।

২. #বাতাসিয়া লুপ : পাহাড়ের শীর্ষ টানেলের মধ্য দিয়ে চোখ ধাঁধানো অভিজ্ঞতা নিতে চান? তাহলে বাতাসিয়া লুপের ট্রেন জার্নি আপনার জন্য। যা দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই জার্নিতে আপনার মনে হতে পারে যে আপনি মেঘের রাজ্যে চলে এসেছেন।

৩. #দার্জিলিং চিড়িয়াখানা : কালো ভাল্লুক, স্নো লিওপার্ড, হিমালিয়ান নেকড়ে, ক্লাউডেড লিওপার্ড , রেড পান্ডা সহ আরো বেশ কিছু বিরল প্রাণীর দেখা মিলবে এই পার্কে। যার আরেক নাম পদ্মজা নাইডু জুলজিকাল পার্ক। এই চিড়িয়াখানাটি মূলত ১৯৯৮ সালের ১৪ই আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।

৪. #রক গার্ডেন ও গঙ্গা মায়া পার্ক : ঝর্না, কংক্রিটের তৈরি ছোট ছোট সিঁড়ি, ছোট হ্রদ সবমিলিয়ে এর অনিন্দ্য সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পার্ক। আর এখান থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে গঙ্গা মায়া পার্ক অবস্থিত।

৫. #হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট : দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার উত্তরে হিল কাট রোডের নিচে এ বাগানটি অবস্থিত। ১৮৫৪ সালে দার্জিলিং শহরের এই দ্বিতীয় চা বাগানটি স্থাপিত হয়। এই চা বাগান থেকে পুরো শহরের সৌন্দর্য দেখা যায়। আর এখানে চা খাওয়ার পাশাপাশি আপনি চাইলে চা পাতা কিনতেও পারবেন।

৬. #মনেস্ট্রি ও প্যাগোডা : ঘুম মনেস্ট্রি দার্জিলিং এর প্যাগোডা ও মনেস্ট্রির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। কেননা এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত প্রাচীন এই মন্দিরটি। তাছাড়া এখান থেকে চমৎকার সূর্য উদয়ও দেখা যায়। পাশাপাশি শান্তির প্রতীক হিসেবে খ্যাত ৪টি বৌদ্ধ মূর্তির পিচ প্যাগোডাও অনেক ভালো লাগবে।

এছাড়াও দার্জিলিংয়ে দেখার আছে আরো অনেক কিছু যেমন........

**লালকুঠির
**দিরদাহাম টেম্পল
**গোর্খা স্টেডিয়াম
**ভিক্টোরিয়া ফলস
**আভা আর্ট গ্যালারি ইত্যাদি

#বিখ্যাত খাবার : দার্জিলিংয়ে যাবেন আর সেখানের বিখ্যাত খাবার গুলা টেস্ট করবেন না তা কি হয়? আর তাই দার্জিলিং গেলে অবশ্যই চিকেন মোমো, পাকোড়া, চাওমিন, থুকপা(এক ধরনের সুপ) সেকুয়া, আলুর দম, দার্জিলিং টি অবশ্যই ট্রাই করবেন।

#যখন যাবেন : দার্জিলিংয়ের সৌন্দর্য সারা বছরই থাকে।তবে দার্জিলিংয়ে যাওয়ার জন্য সব থেকে দুইটা ভালো সময় হলো এপ্রিল-জুন এবং অক্টোবর-ডিসেম্বর। আর এই সময়টা মূলত পিক সিজন তাই সবকিছুর দাম একটু বেশি থাকে। তবে বিশেষভাবে বর্ষায় না যাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো।

যাত্রার জন্য বাড়তি সতর্কতা হিসেবে বমির ওষুধ রাখতে পারেন কেননা সাধারণত পাহাড়ি রাস্তায় মোশন সিকনেস হয়। তাই বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর যেহেতু সবসময় ঠান্ডা থাকে তাই শীতের কাপড় রাখা বাধ্যতামূলক। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের? হাতে একটু সময় নিয়ে বন্ধুবান্ধব বা কাছের কিছু মানুষ নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন অপরূপ সৌন্দর্যের শহর দার্জিলিং থেকে।‌খুব শীঘ্রই আমরা Sparkle Tours & Airways এর পক্ষ থেকে দার্জিলিং ট্যূর হাজির হব। চাইলে সঙ্গী হতে পারেন আমাদের সাথেও। কথা দিচ্ছি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে যা দার্জিলিং এর ভ্রমন পিপাসা মেটানোর পাশাপাশি আমাদের প্রতিও আপনার সন্তুষ্টি তৈরি করবে।

08/01/2024

#কক্সবাজার বলতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা সমুদ্র সৈকত বুঝে থাকি। কিন্তু এর বাইরেও এমন কিছু চোখ ধাঁধানো দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা আপনাকে মুগ্ধ করার পাশাপাশি আপনার স্মৃতিতে স্থায়ী হয়ে থাকতে পারে দীর্ঘদিন। আজ আমরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাদে এমন কিছু নৈসর্গিক স্থান সম্পর্কে জেনে নিব যা আপনার ভ্রমণ তালিকাকে করে তুলতে পারে আরো আনন্দদায়ক, করতে পারে আপনার স্মৃতিকে আরও সুন্দরভাবে সমৃদ্ধ। চলুন শুরু করা যাক.........

১. #মহেশখালী : কক্সবাজার থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দেশের একমাত্র পাহাড়ি এই দ্বীপটি। এ দ্বীপেই আবার সোনাদিয়া, মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা নামে রয়েছে তিনটি ছোট ছোট দ্বীপ। মৈনাক পর্বতের আদিনাথ মন্দির, স্বর্ণমন্দির, ঝাউ বাগান, চরপাড়া বীচ ইত্যাদি জায়গা গুলো আপনাকে মুগ্ধ করবে। আর এ দ্বীপের পানের খ্যাতি দেশ জোড়া তাই কোনভাবে পান খাওয়াটা Miss করা যাবে না।

২. #হিমছড়ি : পাহাড় ও সমুদ্রের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ এই হিমছড়ি। শীতল পানির ঝর্না, মেরিন ড্রাইভ রোড ও সিনেম্যাটিক সমুদ্র সৈকত দেখতে হলে হিমছড়ির কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে হাজার ফুট উচ্চতার পাহাড় থেকে আপনি যখন সূর্যাস্ত দেখবেন আপনার কাছে মনে হবে আপনি কোন কল্পনার রাজ্যে চলে এসেছেন। আর তাই আপনি কক্সবাজার যাবেন কিন্তু হিমছড়িতে যাবেন না এমনটা হতেই পারে না।

৩. #রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড : দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের ফিস একুরিয়াম যেখানে ঢুকলে আপনার মনে হবে যে সাগর তলদেশে চলে এসেছেন। কেননা সামুদ্রিক শৈল, কাছিম, পানপাতা, হাঙ্গড়, পিরানহা সহ প্রায় ১০০ প্রজাতির সাগর ও মিঠা পানির মাছ রয়েছে। এখানে লাইফ ফিশ রেস্টুরেন্ট, থ্রি-নাইন ডি মুভি দেখা, আকর্ষণীয় কালার ল্যাব, কেনাকাটা করার জন্য শপ, নানা প্রজাতির পাখি, প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগের জন্য রয়েছে উন্মুক্ত ছাদ সব মিলিয়ে কক্সবাজার যে এই জায়গায় যাওয়ার সুযোগ কোন ভাবে তালিকা থেকে বাদ পড়া যাবে না।

৪. #শাহপরীর দ্বীপ : এটি মূলত টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে অবস্থিত। এই দ্বীপের রয়েছে অসাধারণ সৌন্দর্য। কেননা এই দ্বীপ থেকে মায়ানমারের মুন্ডু প্রদেশ, আরাকানের পাহাড় ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ দেখা যায়। এছাড়াও এখানে একটি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে যেখান থেকে আপনি এর সৌন্দর্যটা এক পলকে দেখে নিতে পারেন। আর বিশেষ করে এখানে মানুষের জীবন সংগ্রাম আপনাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে ও জীবনযুদ্ধে নতুনভাবে উজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।

৫. #লামাপাড়া খিয়াং : দেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মূর্তিটি রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত হলেও দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ বুদ্ধমূর্তিটি রয়েছে এ লামাপাড়া খিয়াং এ।‌ লামাপাড়ার মার্বেল পাথরের মঞ্চের উপর স্থাপিত পিতলের এই মূর্তিটির সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। আর এটি মূলত ফতেখারকুল ইউনিয়নে বাকখালী নদীর তীরে অবস্থিত।

৬. #ছেড়া দ্বীপ, সেন্ট মার্টিন : বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের শেষ ভূমি খন্ড হল এ ছেড়া দ্বীপ। মূলত জোয়ারের সময় এই দ্বীপটি সেন্টমার্টিন থেকে ছিড়ে যায় অর্থাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দেখলে মনে হতে পারে দুটো দ্বীপ আলাদা এর জন্যই একে ছেড়া দ্বীপ বলা হয়। কক্সবাজারের যেকোনো জায়গার তুলনায় এই দ্বীপের পানি এতটাই স্বচ্ছ যা আপনাকে বিমোহিত করবে। আপনার এমনও মনে হতে পারে যে আপনি মালদ্বীপের মত কোন স্বচ্ছ নীল জলের দুনিয়াতে চলে এসেছেন।

এছাড়াও কক্সবাজারে দেখার রয়েছে আরো অনেক কিছু যেমন.........

৭. #নিভুতে নিসর্গ পার্ক (চকোরিয়ার মানিকপুর ইউনিয়নে মাতামুহরি নদীর তীরে অবস্থিত)
৮. #মাথিনের কূপ (টেকনাফ থানা চত্বরে অবস্থিত)
৯. #শ্যামলাপুর সমুদ্র সৈকত (টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নে অবস্থিত)
১০. #ডুলা হাজরা সাফারি পার্ক (কক্সবাজার থেকে ৪৮ কিলো দূরে ডুলাহাজরায় এ পার্ক)

কক্সবাজারে আপনি যে কোন ঋতুতেই আসতে পারেন। যদিও অধিকাংশ পর্যটক শীতকালকে বেছে নেয়। তবে আপনাকে যদি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের পটভূমি এ কক্সবাজারের ভিন্ন সৌন্দর্য স্মৃতির মনিকোঠায় গাথতে হয় তাহলে আসতে হবে ঝুম বর্ষায় বা সাদা মেঘের মেলায় শরতে। এমনকি আসতে পারেন হেমন্তেও। কেননা এ সময়ের জ্যোৎস্না রাতের মহিমায় আপ্লুত হবেন আপনিও। এছাড়াও শীতকাল ছাড়া অন্য সময় হোটেল ভাড়া থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিসের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম থাকে। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের হাতে একটু সময় নিয়ে পরিবার বা বন্ধুদেরকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন কক্সবাজারের এসব জায়গাগুলো থেকে। খুব শীঘ্রই আমরা Sparkle Tours & Airways এর পক্ষ থেকে কক্সবাজারের অসাধারণ প্যাকেজ নিয়ে হাজির হব। সাথী হতে পারেন আমাদের সাথেও। কথা দিচ্ছি আপনি কক্সবাজারের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি আমাদের দেওয়া সার্ভিসেও সন্তুষ্ট হবেন।

01/01/2024

Sparkle Tours & Airways এর পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই Happy New Year 2024 এর শুভেচ্ছা।

25/12/2023

Sparkle Tours & Airways এর পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই বড়দিনের শুভেচ্ছা। আপনাদের দিনটি হয়ে উঠুক আরো আনন্দময় ও সমৃদ্ধশীল।

05/12/2023

#সিলেট দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ নামে প্রসিদ্ধ সিলেট যা মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি বিভাগীয় জেলা। সিলেটের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হননি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। চলুন দেরি না করে আমরা সিলেটের ঐ সকল নয়নাভিরাম স্থান সম্পর্কে জেনে নিব যেগুলো না দেখলে সিলেট যাওয়াটাই বৃথা হয়ে যেতে পারে........

#জাফলং : জাফলং কে বলা হয় "প্রকৃতির কন্যা"কেননা এর সৌন্দর্য আপনাকে এতটাই বিমোহিত করবে তখন আপনার কাছে মনে হবে কথাটা যথার্থই ছিল। এটি মূলত গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত এমন একটি দর্শনীয় স্থান যা দেখে মনে হবে জাফলং প্রকৃতির দানে রূপের মেলা বসিয়ে আপনাকে সুস্বাগতম জানাচ্ছে। পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা পিয়ান নদীর স্বচ্ছ পানি, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ, উঁচু নিচু পাহাড় সবকিছু মিলিয়ে সিলেটের জাফলং রূপে অনন্য।

#রাতারগুল : বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট যা "সিলেটের সুন্দরবন" নামে পরিচিত এ রাতারগুল। এটি প্রায় ৩০৩২৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এমন একটি জলাবন যার প্রতিটি পড়তে পড়তে রহস্য ভরা আর তাই অনেক পর্যটক এই রাতারগুলকে "বাংলাদেশের আমাজন" নামেও অভিহিত করে থাকেন। রাতারগুলের সৌন্দর্য মূলত বর্ষায় ফুটে ওঠে কেননা এই সময়ে গাছের ডালে ডালে দেখা মেলে নানান প্রজাতির পাখি ও বেশ কিছু বন্যপ্রাণীর।

#বিছানাকান্দি : পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ পানি আর পাহাড়ে সাদা মেঘের ছড়াছড়ি মনে হতেই পারে যে স্বপ্নের জগতে এসে পড়েছেন আপনি। প্রথম দেখাতেই এর প্রেমে পড়ে যাবেন কথা দিচ্ছি। মনে হবে এ যেন পাথরের বিছানা আর যখন স্বচ্ছ পানিতে নিজের গা ভাসিয়ে দিবেন তখন এক অপরূপ শান্তি অনুভব করবেন। আর‌ এ শান্তি অনুভব করার জন্য একবার হলেও বিছানাকান্দিতে আপনার যেতেই হবে। এটিও গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত।

#ভোলাগঞ্জ : ভোলাগঞ্জ বলতেই কেমন যেন সামনে চলে আসে সাদা পাথরের প্রতিচ্ছবি। সবুজ পাহাড়, শুভ্র মেঘ আর মেঘালয় রাজ্যের উঁচু উঁচু পাহাড় থেকে নেমে আসা স্রোতধারা এ ভোলাগঞ্জের সৌন্দর্যকে এতটাই আকর্ষিত করেছে যে আপনার মনে হতে পারে আপনি কোন কল্পনার জগতে চলে এসেছেন। সিলেটে যাবেন অথচ ভোলাগঞ্জ যাওয়া হবে না তার মানে নিজের ভ্রমণকে অসম্পূর্ণ রাখা।

#সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা : জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে ভারতের সীমান্তে অবস্থিত এ মায়াবী ঝরনা ভ্রমণ পাগল মানুষদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা। কেননা এটি এমন একটি Adventurous Place যার তৃতীয় ধাপে একটি সুরঙ্গ আছে যার শেষ পর্যন্ত কি রয়েছে তা এখনো সবার অজানা। তবে এ জায়গার সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই সাহস ও দরকার হবে বাড়তি সতর্কতার।

#হযরত শাহজালাল (র:) মাজার : অলিকুল জগতের শিরোমনি বলা হয় হযরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহ আলাই কে। কেননা তিনি ছিলেন সকল ধর্মের মানুষের কাছে সমাদৃত আর সিলেট তো ৩৬০ আউলিয়ার পূণ্যভূমি নগরী। মাজারের পুকুর, জালালী কবুতর ও কুপ এর মূল আকর্ষণ। আর তাই ধর্মপ্রাণ পর্যটক যারা আছেন তারা কখনোই হযরত শাহজালাল (র:) এর মাজার জিয়ারত করতে ভোলেন না।

এছাড়াও আরো এমন কিছু চমৎকার জায়গা রয়েছে যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার ভ্রমন পিপাসা মেটাতে সক্ষম

*লাক্কাতুরা চা বাগান
*তামাবিল
*শাহী ঈদগাহ
*আলী আমজাদের ঘড়ি
* জিতু মিয়ার বাড়ি
*লোভাছড়া
*মালোনিছড়া চা বাগান
*হাকালুকি হাওর
*লালাখাল ইত্যাদি

সিলেটের প্রকৃত সৌন্দর্য যদি আপনাকে দেখতে হয় তাহলে সবথেকে ভালো সময় বর্ষার শুরু বা শেষের দিকে ভ্রমণে যাওয়া। এই সময়টাতে সিলেট এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিজস্ব মহিমায় ফুটে ওঠে। আর তাই হাতে একটু সময় নিয়ে পরিবার বা বন্ধুদের একটি গ্রুপ নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেটে। পাশাপাশি যেতে পারেন আমাদের সাথেও। খুব শীঘ্রই Sparkle Tours & Airways এর পক্ষ থেকে সবথেকে কম বাজেটের সর্বোচ্চ সেবার সিলেট ভ্রমণ প্যাকেজ নিয়ে আসা হবে। যা আপনাদের ভ্রমণ কে আরো সহজ, আরামদায়ক এবং স্মৃতির মনিকোঠায় জড়িয়ে রাখবে।

29/11/2023

#ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কে জানার আগে আজ আমরা কিছু আনুষঙ্গিক ব্যাপার জেনে নিব। ইতিমধ্যে কয়েকটি পোস্ট পড়ে আপনারা হয়তো বুঝে গেছেন যে Sparkle Tours & Airways শুধু একটি ট্রাভেল কোম্পানি না এটি একটি টুরিস্ট Blog ও বটে। আমাদের Page এর মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে অধিকাংশ Information আপনি এখানে পেয়ে যাবেন। আর এর বাইরেও কিছু জানার থাকলে সরাসরি আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। খুব শীঘ্রই আমরা দেশ ও বিদেশ কে কেন্দ্র করে চমৎকার কিছু ট্যূর প্যাকেজ নিয়ে হাজির হব। যা আপনাদের সন্তুষ্টি অর্জনের পাশাপাশি তৃপ্তিরও কারণ হবে ইনশাআল্লাহ। চলুন তাহলে নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ ইন্দোনেশিয়ার দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আমরা কিছু জেনে নেই.......

#বালি : "The last paradise on earth" নামে খ্যাত এ দ্বীপটি জাভা শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ দ্বীপের সৌন্দর্যতা আপনাকে এতটাই মুগ্ধ করবে যে আপনার বারবার এখানেই ছুটে আসতে মন চাইবে কেননা এই দ্বীপ হল সৌন্দর্যের প্যাকেজ। যেমন :

* কিউটা বিচ (ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সমুদ্র সৈকত)
* সেমিন্যাক বিচ (রাতের সৌন্দর্যের আধার)
* উবুদ (যাকে বলা হয় বালির সৌন্দর্যের প্রাণকেন্দ্র)
* লোভিনা ( ডলফিনের রাজ্য)
* সুলুবান বিচ ( অসাধারণ মনোরম হিডেন বিচ)
* নিসা দুয়া ( মধু চন্দ্রিমার জন্য বিখ্যাত)
এভাবে আরো অনেক স্পট আছে যা নিজেই এক একটি বালির দর্শনীয় স্থান।

#গিলি আইল্যান্ডস : সুনীল আকাশ, স্বচ্ছ জলের অথৈ সাগর, নেশাময় সূর্যাস্ত সবমিলিয়ে এ আইল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার মুগ্ধতা ও দীর্ঘ সময় আপনার স্মৃতির মনিকোঠায় টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট। এটি মূলত ছোট তিনটি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। স্কুবা ডাইভিং, স্নোরকেলিং,আন্ডার ওয়াটার ওয়াকিং, আইল্যান্ড হপিং সহ নানান এক্টিভিটি করতে পারবেন এখানে।

#কেলিমুতু হ্রদ : বিস্ময়কর এ হ্রদ মূলত কেলিমুতু আগ্নেয়গিরি দ্বারা গঠিত হয়েছে যা সুমাত্রা তে অবস্থিত। এ হ্রদ টি মূলত ৩টি অংশে বিভক্ত যার রংও ভিন্ন ভিন্ন অর্থাৎ (সাদা, লাল ও নীল) যা সত্যিই আপনাকে মুগ্ধ করবে।

#বাটাম দ্বীপ : এর স্থানীয় নাম কোটামাড্যা। সবুজের সমারোহ, সাগর সৈকত ও ঝুলন্ত সেতু সবমিলিয়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের যেন হাট বসিয়ে পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করে।এছাড়াও মিনিয়েচার পার্ক, নাগোয়া,জাবাল আরাফা মসজিদ, মসজিদ রায়া, টুয়া প্যাংকং, বুদ্ধবিহার ইত্যাদি এর দর্শনীয় স্থান।

এছাড়াও ফ্লোরস আইল্যান্ড, তোরাজা ল্যান্ড ইত্যাদি স্পট রয়েছে। মূলত ইন্দোনেশিয়ার বালি এমন একটি জায়গা যেখানে গেলে আপনার জন্য যথেষ্ট কেননা এর দর্শনীয় স্থানগুলো দেখেই শেষ করা মুশকিল। ইন্দোনেশিয়া তে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় হল জুলাই থেকে আগস্ট কেননা এই সময় তাপমাত্রা হালকা বৃষ্টির সাথে বেশ আরাম প্রিয় হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে জনবহুল এ দেশটির দিগন্ত ছোঁয়া আকাশ, চোখ ধাঁধানো সমুদ্র সৈকত ও পাহাড়ের অপূর্বতা আপনার সৌন্দর্যতা অন্বেষণের তৃপ্তি যোগাবে। তাই একটু সময় করে বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে।

26/11/2023

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংবলিত সমুদ্র সৈকত, ভূ দৃশ্য তদুপরি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ভরপুর #শ্রীলঙ্কা যা মালদ্বীপের মতোই একটি দ্বীপরাষ্ট্র। ভ্রমণ খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার হওয়ায় শ্রীলংকা ভ্রমণজগতে খুবই জনপ্রিয় একটি গন্তব্যের নাম। শ্রীলঙ্কাকে মূলত বলা হয় "ভারত মহাসাগরের মুক্তা"। আপনি যখন নিজে ভ্রমণে যাবেন তখন এ কথার যথার্থতা বুঝতে পারবেন।‌ আর তাই সারা বছর বিশ্বের অসংখ্য পর্যটকে ভরপুর থাকে এই দেশটি। আজ শ্রীলংকার এমন কিছু জায়গা সম্পর্কে জেনে নিব যেখানে না গেলে আপনার ভ্রমণটাই বৃথা হয়ে যেতে পারে........ চলুন শুরু করা যাক

১. #কলম্বো : এটা শ্রীলংকার সবচেয়ে বড় শহর ও বিচারিক রাজধানী। ইতিহাস ও সংস্কৃতি যেন এ শহরের প্রতিটি প্রান্তে মিশে রয়েছে যা সকল পর্যটকদের মোহিত করে। "কলম্ব লোটাস টাওয়ার" (৩৫০মিটার) এটি শহরের সবচেয়ে উঁচু ভবন যেখান থেকে পুরো কলম্বোর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। ডাচ জাদুঘর, কলম্ব জাদুঘর, উল আলফার মসজিদ, গঙ্গারাময় মন্দির, বৌদ্ধমন্দির, ঐতিহাসিক ডাচ হাসপাতাল, পোর্ট কলম্ব ইত্যাদি প্রসিদ্ধ জায়গা।

২. #ক্যান্ডি : চারিদিকে পাহাড় ও অসংখ্য চা বাগানে বেষ্টিত অন্যতম সুন্দর শহর হল ক্যান্ডি। শ্রীলঙ্কার সবচাইতে বর্ণাঢ্য উৎসব "এসালা পেরাহেরা" এখানেই অনুষ্ঠিত হয়। "টেম্পেল অফ টুথ" যেখানে সংরক্ষিত আছে বুদ্ধের দাঁতের অংশ বিশেষ। এছাড়াও শ্রী দালাদা মালিগাওয়া, শ্রী মহারোধি, উদয়াত্তাকেলে স্যাংচুয়ারি, রয়েল বোটানিক্যাল গার্ডেন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য জায়গা। আর আপনি যদি চা সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে চলে যেতে হবে সিলোন টি মিউজিয়ামে।

৩. #অ্যাডামস পিক : শ্রীপাড়া নামক প্রদেশের রত্নাপুরা জেলায় অবস্থিত যা ২২৪৩ মিটার বা ৭৩৯৮ ফুট উঁচু এবং আকৃতিতে অনেকটা কোণের মতো দেখতে এ চূড়াটি। চারদিকে সবুজের বিপুল সমারোহ, মাঝে মধ্যে পাহাড়ি উঁচু নিচু টিলা এবং আশপাশে রয়েছে অসংখ্য ছোট নদী ও পাহাড়ি ঝরনা। সবমিলিয়ে এক মায়াবী নয়নাভিরাম দৃশ্য। এখানেই রয়েছে একটি প্রকাণ্ড পাথর খন্ড যার উচ্চতা ৮ ফুট এবং পদচিহ্ন এর পরিমাপ হচ্ছে প্রায় ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। কথা দিচ্ছি পবিত্র ঐ পদচিহ্ন দেখলে বিস্মিত হবেন আপনিও।

৪.‌ #বেনটোটা : সমুদ্র সৈকতের জন্য বিখ্যাত এই বেনটোটা শহর। এখানে সার্ফিং সহ রয়েছে বিনোদনের নানান ব্যবস্থা।সুরক্ষিত দুর্গ ও বুদ্ধমন্দির এর প্রধান আকর্ষণ। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে হারিয়ে যেতে তাই প্রতি বছর এখানে ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক।

৫. #আরুগামবে : ওয়াটার এক্টিভিটি ও প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্য উপযুক্ত জায়গা হল এই আরুগামবে যার দৈর্ঘ্য ১৬০০ কিলো এর বেশি। সার্ফিং, স্নোরকের্লিং, উইন্ড সার্ফিং সহ সকল ওয়াটার এক্টিভিটি করতে পারবেন এখানে।

৬. #নুওয়ারা এলিয়া : বিস্তৃত চা বাগান এর জন্য পরিচিত জায়গাটি। ঘূর্ণায়মান পাহাড়, কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘ ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের সৌন্দর্য যেন রূপকথার মতই মনে হয়। মুন প্লেইনস, বেল বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক, সেন্ট ক্লেয়ার্স জলপ্রপাত ইত্যাদি এর প্রধান আকর্ষণ।

এছাড়াও যদি সময় থাকে তাহলে দেখে নিতে পারেন নিচের জায়গাগুলি.......

*ইয়ালা জাতীয় উদ্যান
*মিরিসা
*মিহীন তালে
*জাফনা পোর্ট
*সিগিরিয়া
*পোলোন্নারুয়া ইত্যাদি

খুব শীঘ্রই আমরা Sparkle Tours & Airways এর পক্ষ থেকে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের কম্ব অফার নিয়ে হাজির হব।কথা দিচ্ছি এ দুটো দেশের সৌন্দর্যে আপনি এতটাই বিস্মিত হবেন যে‌ এক তৃপ্তির ও সন্তুষ্টির ঢেকর তুলে বলবেন সত্যি "আল্লাহপাকের সৃষ্টি কতই না সুন্দর"।

23/11/2023

"Tour is one kind of magic" কেননা এর এমন কিছু উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের জীবন যাপনকে সহজ ও সুন্দর করে তোলে। মনমুগ্ধকর নীল জলরাশি, রোমাঞ্চকর সমুদ্র তলদেশ ও অসংখ্য Water Activity Spot হ্যাঁ আপনি ঠিক ধরেছেন আমরা কথা বলছি অপরূপ দ্বীপ দেশ #মালদ্বীপ সম্পর্কে যা ছোট বড় ১২০০টি দ্বীপ ও ২৬ টি প্রবাল দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র।

পর্যটকদের কাছে মালদ্বীপ যেন সাগর মাঝে এক টুকরো স্বর্গ। অন এরাইভাল ভিসা সুবিধা থাকায় খুব সহজে মেটানো যায় নিজেদের সমুদ্র তৃষ্ণা। Water Activity করতে মালদ্বীপের কোথায় কোথায় যাওয়া যায় চলুন এক নজরে তা সংক্ষিপ্ত পরিসরে জেনে নেয়া যাক........

১. #মালে দ্বীপ : রাজধানী মালে পর্যটকদের কাছে খুব পছন্দের জায়গা কেননা অধিকাংশ দর্শনীয় স্থানগুলোর সাথে রয়েছে এর যোগসূত্র পাশাপাশি মালদ্বীপের সবচেয়ে বড় ও জনবহুল শহর এটি। এখানে রয়েছে প্রবাল পাথরে বানানো ওল্ড ফ্রাইডে মস্ক, মালে মাছ বাজার, ভারুনূলা রালহুগান্ধু, মালে জাতীয় জাদুঘর, মুলি আজ প্যালেস, সুনামি স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদি। এছাড়াও স্নোর্কেলিং ও সার্ফিং এর জন্য খুবই উপযুক্ত রাজধানী মালে।

২. #বারস দ্বীপ : বিলাসবহুল এই রিসোর্ট দ্বীপটি হানিমুনের জন্য বিখ্যাত। এর প্রধান আকর্ষণ ওয়াটার স্কাইং, উইন্ড সার্ফিং, ওয়াটার বোডিং এবং ক্যানোইং।

৩. #হুলহুমালে দ্বীপ : এই দ্বীপটি দ্বীপ দেশ মালদ্বীপের মধ্যমণি কেননা এখানে রয়েছে স্বল্প ব্যয়ের হোটেল ও রেস্তোরাঁ। আর এটি রাজধানী থেকে খুবই কাছে (২কিলো) হওয়ায় পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। হুলহুমালে বীচ, সেন্ট্রাল পার্ক, হুকুরু মিসকি বিখ্যাত।

৪. #মাফুশি দ্বীপ : এখানে না গেলে ভ্রমণ এক প্রকার অসম্পূর্ণই রয়ে যায় কেননা এই দ্বীপটি হল পর্যটকদের কাছে স্বর্গ দ্বীপের মতো। ডাইভিং ও স্নোর কেলিং এর জন্য এটি খুবই আকর্ষণীয় দ্বীপ। রোমাঞ্চকর স্বাদ মিলবে এই নির্জন দ্বীপে উইন্ড সার্ফিং, কায়াকিং, স্কুবা ডাইভিং ও প্যাডেল নৌকার মাধ্যমে। মাঝে মধ্যে এই নির্জনতার স্বাদ নিতে এখানে চলে আসে ছোট ছোট হাঙর ও তিমি।

৫. #বানানা রীফ : এটি বিশ্বের সেরা ডাইভিং সাইট গুলার মধ্যে অন্যতম। ৩০০ মিটার দীর্ঘ প্রবাল প্রাচীর সমুদ্রপৃষ্ঠে যেন ছড়িয়ে দেয় চোখ ধাঁধানো নানান রঙ। আর তাই রাতের বেলায় যদি কেউ এই দ্বীপকে এলিয়েনের জগৎ বলে সেটাও হয়তো ভুল হবে না। স্কুবা, স্নোর্কেলিং, জেট স্কিইং এর মূল আকর্ষণ।

এছাড়াও মালদ্বীপে রয়েছে ........
* মিহিরী দ্বীপ
* ভবিনফারু দ্বীপের সৈকত
* হুবাহেন্দু দ্বীপ
* বায়োলুমিসেন্ট সৈকত
* ফুলহাধু সৈকত
*‌ কৃত্রিম সৈকত

মালদ্বীপ যথেষ্ট ব্যয়বহুল জায়গা তাই এয়ার টিকিট দেড় থেকে দুই মাস আগে কেটে রাখা ভালো এতে বিমান ভাড়া কিছুটা সাশ্রয়ী হয়। পাশাপাশি ভ্যাকেশন সিজনে না যেয়ে অফ সিজনে যাওয়াটা ভালো যদি খরচ একটু কমাতে হয়। আর এখানে সবকিছুতেই ২৫% ট্যাক্স দিতে হয় যা অত্যাধিক দামের কারণ। আবার বাংলাদেশ থেকে শ্রীলংকার বান্দারনায়াকে ট্রানজিট নিয়েও মালদ্বীপে যাওয়া যায়। আকাশ পথে প্রায় সময় লাগে এক ঘন্টা এতে করে দুইটা দেশই ঘুরে দেখা যায় আবার খরচও একটু সাশ্রয়ী হয়। খুব শীঘ্রই আমরা Sparkle Tours & Airways এর পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় প্যাকেজ নিয়ে আসব যা আপনাদের ভ্রমণে আনন্দের পাশাপাশি স্মৃতির মনি কোঠায় স্থায়ী হয়ে থাকবে‌‌ ইনশাআল্লাহ।

22/11/2023

রূপ লাবণ্যে ভরপুর আমাদের দেশের প্রতিটি জেলায় জেলায় রয়েছে প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য নয়নাভিরাম দৃশ্য। এমনই সৌন্দর্যে ভরপুর একটি জেলা #নেত্রকোনা যেখানে Sparkle Tours & Airways এর পক্ষ থেকে একটি টিম গিয়েছিল সৌন্দর্য্যের অন্বেষণে।

এক নজরে নেত্রকোনার দর্শনীয় স্থান গুলো দেখে নেয়া যাক

#চিনামাটির পাহাড় (দুর্গাপুর)

#নীল পানির হ্রদ (দুর্গাপুর)

#উপজাতীয় কালচারাল একাডেমি (দুর্গাপুর)

#মিনি কক্সবাজার (উচিতপুর)

#ডিঙ্গাপোতা হাওর (মোহনগঞ্জ)

এছাড়াও কমলা রানীর দীঘি, সোমেশ্বরী নদী, পাচগাও ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আর তাই চাইলেই আপনারা হাতে একটু সময় নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন নেত্রকোনা থেকে। আর তখন হয়তো রবীন্দ্রনাথের কবিতার ঐ কথাটি মনে পড়বে

"দেখা হয় নাই চক্ষু মিলিয়া, ঘর হতে শুধু দু পা ফেলিয়া, একটি ঘাসের ডগার উপর একটি শিশির বিন্দু"।

12/11/2023

"কাশ্মীর" এই শব্দটা শুনলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের চোখে ভাসতে থাকে শুধু বরফ আর বরফ, আপেল, পাহাড় আর অসাধারণ সব লেকের দৃশ্য। আর কেনই বা মনে পড়বে না আল্লাহ তায়ালা কাশ্মীরকে এমন সুনিপুণভাবে তৈরি করেছেন যে দেখলে যেন মনে হয় এ পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গ। আর এ কথা শুধু আমাদের কথা নয় মোঘল বাদশা জাহাঙ্গীর কাশ্মীরের সৌন্দর্য দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে নিজেই একে স্বর্গের সাথে তুলনা করেছিলেন। ১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৩২ কিলোমিটার প্রস্থের কাশ্মীর মূলত হিমালয়ের একটি উপত্যকা যার এক পাশে হিমালয়ের মিডিল হিমালয় ও অন্য পাশে গ্রেটার হিমালয় এবং মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে ঝিলাম নদী। কাশ্মীর মূলত মিডিল, নর্থ এবং সাউথ ভৌগলিক এ ৩ ভাবে এবং ১০টি প্রশাসনিক এলাকায় বিভক্ত।

কাশ্মীরের সৌন্দর্য দেখে শেষ করার মত সৌন্দর্য নয় কেননা এর সৌন্দর্য অফুরন্ত। তবুও কিছু কিছু জায়গা আছে যেগুলো না দেখলে মনে হবে কাশ্মীরে যাওয়াটাই ব্যর্থ‌। আজ আমরা সেই জায়গাগুলো নিয়ে কিছুটা জানার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক............☺️☺️☺️

# # শ্রীনগর : কাশ্মীরে যাওয়ার শুরুতেই শ্রীনগর এর দেখা পাওয়া যায় আর শ্রীনগর মানেই পাহাড়ের চূড়ায় বরফের মত সাদা তুষার কোনায় ভরপুর এক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। মুঘল গার্ডেন, টিউলিপ গার্ডেন, ডাল লেক, হযরত বাল মসজিদ, ও নাগিন লেক শ্রীনগরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানগুলি।

# # পেহেলগাম : অধিকাংশের মতেই কাশ্মীরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হল পেহেলগাম যা শ্রীনগর থেকে ৯৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আপনারা যারা দুচোখ জুড়ে আপেল দেখতে চান এবং সাথে মিনি সুইজারল্যান্ড এর মজা নিতে চান তাহলে অবশ্যই জুলাই থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে গেলে প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। কেননা বাইসারান হল কাশ্মীরের মিনি সুইজারল্যান্ড। এছাড়াও লিদার নদী, বেতাব ভ্যালি, ধাবিয়ান, কাশ্মীর ভ্যালি পয়েন্ট, কানিমার্গ, আরু ভ্যালি, চান্দেরওয়ারি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য আকর্ষণীয় স্থান। মেয়েদের জুয়েলারি, ব্যাগ, শো পিস এগুলো কেনাকাটার জন্য পেহেলগাম খুবই নামকরা।

# # গুলমার্গ : যারা কেবল কার ও প্যারাগ্লাইডিং পছন্দ করেন তাদের জন্য গুল মার্ক একটি আদর্শ স্পট। এটি কাশ্মীরের এমন একটি জায়গা যা সারা বছরই বরফের চাদরে ঢাকা থাকে। আফারওয়াত পিক, গলফ কোর্স, সেন্ট ম্যারি চার্চ, বাবা ঋষির মাজার, গন্ডোলা এগুলা গুলমার্গের খুবই আকর্ষণীয়।

# # সোনামার্গ : সুন্দর উপত্যকা ও ঝর্ণার মেলবন্ধন হল সোনামার্গ যা শ্রীনগর থেকে মাত্র ৪২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। থাজিয়ান, হিমবাহ, সিন্ধু নদী, স্লেজিং, স্নো বাইক, এবং আছে ঘোড়ায় চড়ার দারুন সুযোগ।

এছাড়াও আছে বেশ কিছু আকর্ষণীয় জায়গা যেমন.....
√ কোকের নাগ (এটি একটি ছোট সুন্দর শহর)
√ মার্তন্ড মন্দির ( শ্রীনগর থেকে ৬৪ কিলো দূরে অবস্থিত)
√ ছট পল (কাঠবাদাম ও আপেল বাগানের সমাহার)
√ নুব্রা উপত্যকা
√ দুধপাথরি ইত্যাদি

যাওয়ার উপযুক্ত সময় : রূপে অনন্য কাশ্মীরে যেকোনো সময় যাওয়া যায়। তবে কিছু বিশেষ সময়ে এর বিশেষ সৌন্দর্য বিশেষভাবে ধরা পড়ে। Depends on you আপনি কাশ্মীরের কোন সৌন্দর্য দেখতে চান যেমন....

১. যারা ফুল পছন্দ করেন তাদের জন্য সবথেকে ভাল সময় গ্রীষ্মকাল। কেননা এই সময়ে কাশ্মীরের চারিদিক ফুলে ফুলে ভরা থাকে বিশেষ করে টিউলিপ ফুলে।

২. যারা ফল পছন্দ করেন তাদের জন্য শরৎকাল সবথেকে উপযুক্ত সময়। কেননা এ সময় বরফ কিছুটা কম থাকে আর তাই প্রচুর পরিমাণে ফল দেখা যায় বিশেষ করে আপেল ও চীনা বাদাম।

৩. আর যারা বরফ পছন্দ করেন তাদের জন্য শীতকাল। এই সময়টাতে চতুর্দিক বরফ আর বরফে ছেয়ে যায় সাথে স্নোফল। তবে এ সময়টা খুব রিস্কিও।

যাওয়ার উপায় : প্লেন, বাস কিংবা ট্রেন ৩ ভাবেই যাওয়া যায় কাশ্মীরে। তবে কম খরচে যাওয়ার জন্য সবথেকে ভালো সীমান্ত পার হয়ে প্রথমে কলকাতা যাওয়া। তারপর সেখান থেকে জম্বু, জম্মু থেকে শ্রীনগর এবং শ্রীনগর থেকে কাশ্মীর। এতে করে কলকাতা দেখা হয় আবার চাইলে ফেরার পথে লাদাখও দেখে আসা যায়।

কাশ্মীরের বিখ্যাত খাবার : কাশ্মীরের কিছু বিখ্যাত খাবার আছে যেগুলা কোনভাবেই মিস করা ঠিক হবে না। যেমন মাটন বিরিয়ানি, ওজওয়ান, কাশ্মীরি কাবাব, মাটন রোগান জোশ, ভেড়ার মাংস, পনির চামান, আলুর দম, টক বেগুন নাদরু ইয়াখনি এবং রফিক ক্যাফেটেরিয়ার কাবাব ও কুলফিও খুবই সুস্বাদু।

খুব শীঘ্রই আমরা Sparkle Tours & Airways এর পক্ষ থেকে কাশ্মীরের এমন সব আকর্ষণীয় প্যাকেজ ট্যুর আপনাদের জন্য নিয়ে আসবো। যা আপনাদের ভালোলাগার পাশাপাশি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে আপনাদের স্মৃতিতে।

08/11/2023

কমবেশি আমরা সবাই জানি যে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কো সুন্দরবনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটসের ৭৯৮ তম স্থান হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই আমরা জানি না যে একটি প্রাকৃতিক বা সাংস্কৃতিক স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান হতে হলে তাকে কি কি শর্ত পূরণ করতে হয়। আজ এই ব্যাপারে জানার পাশাপাশি সুন্দরবন সম্পর্কেও আমরা ছোট্ট পরিসরে আরেকবার জানার চেষ্টা করব। চলুন শুরু করা যাক...…
মূলত কোন প্রাকৃতিক বা সাংস্কৃতিক স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটস এর অন্তর্ভুক্ত হতে হলে ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত ১০টি শর্তের ন্যূনতম ১টি শর্ত পূরণ করতে হয়। কিন্তু আমাদের সুন্দরবন একাধিক শর্ত পূরণ করে যেমন-
# গুরুত্বপূর্ণ ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বহন করে যা ভূ-তাত্ত্বিক প্রক্রিয়াগুলির অসামান্য উদাহরণ।
# ব্যতিক্রমী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও নান্দনিক গুরুত্ব বহন করে
# উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অনন্য উদাহরণ ইত্যাদি।
ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের নিদর্শন সমূহের মধ্যে বেশি সাংস্কৃতিক নিদর্শনের স্থান রয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশে ৪৩৪ টি এবং প্রাকৃতিক স্থান নিদর্শন সমূহের সবথেকে বেশি রয়েছে এশিয়া মহাদেশে ৬৪ টি। সুন্দরবন তার মধ্যে একটি। এটি মূলত বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময় বলির অন্যতম। সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার এর ৬৫১৭ বর্গ কিলোমিটার বাংলাদেশে অবস্থিত এবং বঙ্গোপসাগরের ৭৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত জোয়ার সবসময় এখানে দেখা যায়। জরিপ মোতাবেক সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ১০৬ টি এবং ১০০০০০ থেকে ১৫০০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত সাপ, মাছ, নানান প্রজাতির পাখি। সব মিলিয়ে সুন্দরবনকে জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ জীব উদ্ভিদের জাদুঘরও বলা যেতে পারে। এছাড়াও জলাভূমি হিসেবে রামসার এলাকার সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় সুন্দরবনকে ১৯৯২ সালে ৫৬০ তম রামসার এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এখন আমরা সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নেয়ার চেষ্টা করব........

১. করমজল : করমজল হল মংলার সবথেকে কাছের সুন্দরবনের একটি আকর্ষণীয় স্থান। এটি মূলত বন বিভাগের হরিণ ও কুমিরের প্রজনন কেন্দ্র।

২. হারবাড়িয়া : মংলা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই হারবাড়িয়া যার সব থেকে আকর্ষণীয় ওয়াচ টাওয়ার ও কাঠের ট্রেইল। পুরো ট্রেইলটা ঘুরে আসতে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগে এবং এর ওয়াচ টাওয়ার থেকে সম্পূর্ণ হারবাড়িয়া টা দেখা যায়। যা সত্যিই মনমুগ্ধকর।

৩. কটকা : এটি সাগরের কোল ঘেঁষে মংলা বন্দর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কটকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এখানের বন্য হরিণ। কেওড়া বনের মাঝ দিয়ে কাঠের ট্রেইল ধরে ১৫ মিনিট হাটলে দেখা যেতে পারে বন্য হরিণের দল, বানর, উদবিড়াল, বন মুরগি এবং কপাল ভালো হলে শোনা যেতে পারে বাঘের গর্জন।

৪. কটকা বিচ : এটি অত্যান্ত পরিছন্ন ও সুন্দর বিচ। কটকা পয়েন্টের ট্রেইল ধরে হাঁটলে সহজে এখানে পৌঁছানো যায় আর এর আকর্ষণীয় ব্যাপার হল বেলা জুড়ে দেখা মেলে লাল কাকড়া দের জমজমাট শিল্পকর্ম।

৫. জামতলা সৈকত : জামতলা ঘাট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পায়ে হেঁটে এখানে পৌঁছাতে হয়। এটি মূলত কটকার কাছেই। এখানের ওয়াচ টাওয়ার থেকে ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা যেতে পারে হরিণ ও বেঙ্গল টাইগারের।

৬. মান্দারবাড়িয়ার সৈকত : এখান থেকে সূর্য উদয় ও সূর্যাস্তের চমৎকার দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। এর সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হলো সমুদ্রের বিশাল বিশাল ঢেউ এই সৈকতে এসে আছড়ে পড়ে। এখনো এ সৈকতের কিছুটা অনাবিষ্কৃত অবস্থায় রয়েছে। সাতক্ষীরা দিয়ে এখানে যাওয়াটা সবথেকে ভালো।

৭. নীলকমল ও হিরন পয়েন্ট : মংলা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং এটি বন বিভাগের একটি বিখ্যাত প্রশাসনিক কেন্দ্র। সুন্দরবনের খুব আকর্ষণীয় জায়গা এই হিরন পয়েন্ট কেননা এখান থেকে কাঠের তৈরি সুন্দর রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দেখা যায় হরিণ, বানর,‌ কুমির, গুইসাপ এবং বেঙ্গল টাইগার।

৮. দুবলার চর : সুন্দরবনের সবচেয়ে ছোট চর হলো এই দুবলার চর। এই চর দিয়ে যে নদী বয়ে গেছে সেটা মিশেছে বঙ্গোপসাগরের সাথে। হিন্দু ধর্মের পূণ্যস্নান, রাসমেলা এবং শুটকির জন্য বিখ্যাত এ দুবলার চর। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি এই পাঁচ মাসে প্রায় ১০০০০ জেলে এখানে সাময়িক বসতি গড়ে তোলে।

সুন্দরবনের এই দর্শনীয় স্থানগুলো যদি ঘুরে না দেখা যায় তাহলে সুন্দরবনের সৌন্দর্য দেখায় ঘাটতি রয়েই যায়। আর তাই একটু সময় নিয়ে সাধারণত শীতকালে কোন ট্যুরিজম শিপে ফ্যামিলি বা বন্ধুদের সাথে ঘুরে আসতে পারেন এই স্থানগুলি। ৭০০০-১৫০০০ টাকার প্যাকেজে ৪ রাত ৩ দিনের এসি বা নন এসি শিপে ভ্রমণ করতে পারেন। আর লুফে নিতে পারেন সুন্দরবনের সৌন্দর্যের অফুরন্ত সৌন্দর্য। আর যদি এই যাত্রাটা হয় " Sparkle Tours & Airways এর সাথে তাহলে কথা দিচ্ছি সুন্দরবনের প্রেমে পড়ে যাবেন। কেননা আমরা শুধু সুন্দরবনে ঘুরতে নিয়ে যাই না সুন্দরবনকে ভালবাসতেও শেখাই।