Traveliyan

Traveliyan Traveliyan provides comprehensive travel solutions. We ensure extraordinary offers, the lowest airfares, exclusive discounts, and amazing experiences.
(6)

Win exclusive Gift by answering three simple questions correctly!Rules:1. Answer all the 3 quizzes every month.2. Tag yo...
10/09/2024

Win exclusive Gift by answering three simple questions correctly!
Rules:
1. Answer all the 3 quizzes every month.
2. Tag your 20 friends in the comment section.
3. Like our page.
4. Share all the three quiz posts in your profile (keeping the privacy public) using hash tag
5. Invite your friends as many as possible and share screenshot with us in inbox.

The person with all 3 correct answers and highest number of likes, share and maximum page invitation will be the winner of the contest!

Stay tuned!
Stay safe!

নাফাখুম জলপ্রপাত বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে অবস্থিত। একে বাংলার নায়াগ্রাও বলা হয় কারণ ...
04/09/2024

নাফাখুম জলপ্রপাত বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে অবস্থিত। একে বাংলার নায়াগ্রাও বলা হয় কারণ পানি প্রবাহের পরিমানের দিক থেকে এটিকে বাংলাদেশের অন্যতম বড় জলপ্রপাত। নাফাখুম দেখতে থানচি বাজার থেকে সাঙ্গু নদী পথে নৌকা দিয়ে রেমাক্রি যেতে হয়। রেমাক্রীতে রয়েছে মারমা বসতি, মারমা ভাষায় খুম মানে জলপ্রপাত। রেমাক্রী থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা পায়ে হাটলে তবেই দেখা মিলে প্রকৃতির এই অনিন্দ্য রহস্যের। রেমাক্রী খালের পানি নাফাখুমে এসে বাক খেয়ে প্রায় ২৫-৩০ ফুট নিচের দিকে নেমে গিয়ে প্রকৃতি জন্ম দিয়েছে এই জলপ্রপাতের।
সারা বছর নাফাখুম জলপ্রপাত দেখতে যাওয়া যায়। তবে বর্ষায় প্রায়ই সাঙ্গু নদীর পানি প্রবাহ বিপদসীমার উপরে থাকলে নাফাখুম যাওয়ার জন্যে প্রশাসন থেকে অনুমতি দেওয়া হয় না। শীতকালে নাফাখুমে পানি অনেকটাই কম থাকে। তাই সবচেয়ে আদর্শ সময় বর্ষার পর পর ও শীতকালের আগের মধ্যবর্তী সময়টুকু (সেপ্টেম্বর – নভেম্বর)।

নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ প্রয়োজনীয় সতর্কতা:
> কম খরচে নাফাখুম ভ্রমনের সর্বোত্তম উপায় হল ছুটির দিন এড়িয়ে মোটামুটি বড় দল নিয়ে যাওয়া। এভাবে নিরাপত্তার দিকটি অটুট থাকে।
> বর্ষাকালে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরতে হবে।
> হিল ট্রেকিং এর জন্য ভালো গ্রিপ জুতা নিতে হবে।
> একটি বাঁশের লাঠিও রাখতে হবে।
> থানচির পর বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক একেবারেই কাজ করছে না। তাই ক্যামেরা এবং মোবাইল ১০০ ভাগ আগেই চার্জ করা উচিত। এক্ষেত্রে পাওয়ার ব্যাঙ্ক সঙ্গে রাখাই ভালো।
> এই ধরনের ভ্রমণের সাথে একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কিট বক্স এবং বিশুদ্ধ পানীয় জল বহন করা উচিত।
> ঝিরি বা পাহাড়ি পথ খুবই ক্লান্তিকর। তাই ব্যাকপ্যাক যত হালকা হবে তত ভালো।

টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি হাওর। প্রায় ১২৬ বর্গকিলোমিটার[২] এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এ...
10/07/2024

টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি হাওর। প্রায় ১২৬ বর্গকিলোমিটার[২] এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এ হাওর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি। স্থানীয় লোকজনের কাছে হাওরটি নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল নামেও পরিচিত।
টাঙ্গুয়ার হাওর সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টিরও বেশি ঝরনা এসে মিশেছে এই হাওরে। দুই উপজেলার ১৮টি মৌজায় ৫১টি হাওরের সমন্বয়ে ১২,৬৬৫ হেক্টর এলাকা নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর জেলার সবচেয়ে বড় জলাভূমি। পানিবহুল মূল হাওর ২৮ বর্গকিলোমিটার এবং বাকি অংশ বসতি ও কৃষিজমি। হাওর এলাকার ভেতরে ও তীরে ৮৮টি গ্রাম আছে। একসময় গাছ-মাছ-পাখি আর প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যের আধার ছিল এই হাওর। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে টাঙ্গুয়ার হাওরকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তখনই অবসান হয় দীর্ঘ ৬০ বছরের ইজারাদারির। ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে ২০ জানুয়ারি এই হাওরকে 'রামসার স্থান' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আইসিইউএন এই হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করছে। হাওর এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন, সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকারের মধ্যে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে ১২ ফেব্রুয়ারি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ নভেম্বর থেকে হাওরের নিয়ন্ত্রণ নেয় জেলা প্রশাসন। সুইস অ্যাজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি) এবং আইসিইউএন ২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে 'টাঙ্গুয়ার হাওর সমাজভিত্তিক টেকসই ব্যবস্থাপনা' প্রকল্প পরিচালনা করছে।
শীত মৌসুমে পানি শুকিয়ে কমে গেলে এখানকার প্রায় ২৪টি বিলের পাড় (স্থানীয় ভাষায় কান্দা) জেগে উঠলে শুধু কান্দার ভিতরের অংশেই আদি বিল থাকে, আর শুকিয়ে যাওয়া অংশে স্থানীয় কৃষকেরা রবিশস্য ও বোরো ধানের আবাদ করেন। এ সময় এলাকাটি গোচারণভূমি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে নিমগ্ন হাওরের জেগে থাকা উঁচু কান্দাগুলোতে আশ্রয় নেয় পরিযায়ী পাখিরা —রোদ পোহায়, জিরিয়ে নেয়। কান্দাগুলো এখন (২০১২) আর দেখা যায় না বলে স্থানীয় এনজিও ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় সেখানে পুঁতে দেয়া হয়েছে বাঁশ বা কাঠের ছোট ছোট বিশ্রাম-দণ্ড।

দেবতাখুম বর্তমান সময়ের অতি পরিচিত একটি শব্দ।   নৈসর্গিক সৌন্দর্যের রাণী ও খুমের রাজ্য খ্যাত বান্দরবান রোয়াংছড়ির কচ্ছতলি ...
25/06/2024

দেবতাখুম বর্তমান সময়ের অতি পরিচিত একটি শব্দ। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের রাণী ও খুমের রাজ্য খ্যাত বান্দরবান রোয়াংছড়ির কচ্ছতলি বাজারের ২ কিলোমিটার পূর্ব – দক্ষিণ কোণে অবস্থিত । বর্তমানে প্রকৃতি ও এডভ্যান্সার পর্যটকদের কাছে দেবতাখুম খুবই পছন্দের স্থান । প্রায় সারা বছর পর্যটকদের যাওয়া আসা হয় এই দেবতাখুমে । তবে এই খুম জন সাধারনের নজরে আসার পিছনে রয়েছে ছোট রহস্যে চলুন, সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।

বহুকাল আগের কথা, শীলবান্ধা পাড়ার এক জৈনক বৃদ্ধ ব্যক্তি শীলবান্ধা পাড়ার পাশ দিয়ে বয়ে চলা তাড়াছা নদী দিয়ে মাছ ধরার জন্য এগিয়ে ঝিড়িপথ ধরে সামনে দক্ষিণ দিকে ক্রমশ এগোতে থাকেন। সাধারণত ঝিড়ি পথের গভীর খুম গুলোতে বড় মাছ ও পরিমানে বেশি পাওয়া যায় তাই বৃদ্ধ লোকটি খুমের গভীরে প্রবেশ করেন এবং মাছ ধরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন ।

কিছুক্ষণ পর বৃদ্ধটির সামনে বিশাল দৈত্যাকৃতির কচ্ছপ তার দিকে তাকিয়ে আছে দেখে প্রাণ ভয়ে তড়িৎ গতিতে দৌড়ে চলে আসেন শীলবান্ধা পাড়ায়। বাড়িতে ফিরে আসার পর আবুল তাবুল কথা বলতে লাগলেন এবং রাতে প্রচন্ড জ্বর আসে, একসময় জ্বর ও ঘুমের ঘোরে বা স্বপ্নে বলতে লাগলেন সেই কচ্ছপটির কথা। কচ্ছপটি যা বলছে বৃদ্ধ লোকটিও হবহু বলছে “আমাকে ভয় করিস না, তুই(বৃদ্ধ) আমার কথা সকলকে জানাবি । আমি তোদের দেবতা (জিন)। যখন তোরা মাছ ধরতে আসবি তখন বড় রাজ পাথরের উপর পূজো দিয়ে প্রার্থনা করে আমার অনুমতি নিয়ে নিবি আর সতর্ক থাকবি যাতে আমার ঘুমের কোন ক্ষতি না হয় । ”

যাই হোক স্থানীয়দের কাছে নানান রকম গল্প শোনা যায় অনেকে বলে সেটা কচ্ছপ নয় অন্য কোন একটা দানব আকৃতির প্রাণী ছিল। অনেকে সেই দানব আকৃতির প্রাণীকে দেখেছে বলেও শোনা যায় ।

দেবতা বা অন্য কিছু হোক হয়তো তারই কারনে খুমটি এত সুন্দর! এবং কোন পর্যটকের ক্ষতি হয় না বরং উচু পাহাড়, শান্ত নিরব ঠান্ডা আবহাওয়া আর মাঝখানে সুশীতল সচ্ছ জলে ভেলায় চড়ে ঘুরে বেড়ানোর চরম অভিজ্ঞতা সত্যি সবার অসম্ভব রকম ভালো লাগবে।

ভ্রমণ বিষয়ক যে কোনো তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগযোগ করুন Traveliyan এ অথবা কল করুন -
01678623251

রাজা সীতারাম রায়ের রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ। মাগুরার প্রামাণ্য ইতিহাসের নায়ক ভূষণা তথা মহম্মদপুরের রাজা সীতারাম রায়। বাংলার য...
03/03/2024

রাজা সীতারাম রায়ের রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ। মাগুরার প্রামাণ্য ইতিহাসের নায়ক ভূষণা তথা মহম্মদপুরের রাজা সীতারাম রায়। বাংলার যে সমস্ত খ্যাতনামা জমিদার দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তৎমধ্যে মহম্মদপুরের রাজা সীতারাম রায় ছিলেন অন্যতম। রাজা সীতারাম তাঁর এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি বাংলার উপকূল অঞ্চলেও মগ ও ফিরিঙ্গীদের উপদ্রব বন্ধের জন্য চেষ্টা করেন। উত্তর ভারতে তীর্থে যাবার নাম করে তিনি সম্রাট আওরঙ্গজেবের সঙ্গে দেখা করেন এবং এ অঞ্চলের নৈরাজ্যের কথা তাঁকে অবহিত করেন। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সীতারামকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান পূর্বক সম্রাট ১৬৮৭-৮৮ খ্রীস্টাব্দে তাকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন। দিল্লী হতে ফিরে এসে তিনি সুবেদার মুর্শিদকূলী খানের সনদ ও অনুমতি বলে উপকূল অঞ্চলে দূর্গ নির্মাণ ও সৈন্য মোতায়েন করেন। ফলে এতদঞ্চলে শান্তি ফিরে এসেছিল এবং জনগণও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। রাজা সীতারাম ১৬৯৭-৯৮ খ্রীস্টাব্দে মহম্মদপুরে রাজধানী স্থাপন করেন। রাজা সীতারামের জমিদারী পাবনা জেলার দক্ষিণভাগ থেতে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত এবং নদীয়া জেলার পূর্ব থেকে বরিশাল জেলার মধ্যভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তিনি নির্মাণ করেন মুহম্মদপুর দূর্গ, একাধিক প্রাসাদ, অসংখ্যা মন্দির ও দীঘি। ছবি ২০১৯ !! 😍

#রাজাসীতারামরায়েররাজধানীরধ্বংসাবশেষ #মাগুরারমহম্মদপুর #সীতারামরায়
#প্রাচীনদুর্গামন্দির #রাউতারামাগুরা #মাগুরাজেলাইতিহাসওঐতিহ্য #সীতারামরায় #চন্ডীদাসওরজকিনীরঐতিহাসিকঘাট #শালিখামাগুরা২০২০ #মাগুরারমহম্মদপুর #নাকোলজমিদাররাইচরণেরবাড়ি #মাগুরা

ভ্রমণ বিষয়ক যে কোনো তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগযোগ করুন Traveliyan এ অথবা কল করুন -
01678623251

কুসুম্বা মসজিদ আত্রাই নদীর পশ্চিমতীরস্থ নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার অন্তর্গত কুসুম্বা গ্রামের নাম অনুসারে পরিচিত। প্রাচীর...
10/02/2024

কুসুম্বা মসজিদ আত্রাই নদীর পশ্চিমতীরস্থ নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার অন্তর্গত কুসুম্বা গ্রামের নাম অনুসারে পরিচিত। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা আঙ্গিনার ভেতরে মসজিদটি অবস্থিত। এ আঙ্গিনায় প্রবেশের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় একটি প্রবেশদ্বার যেখানে প্রহরীদের দাঁড়ানোর জায়গা রয়েছে। বাংলায় আফগানদের শাসন আমলে শূর বংশের শেষ দিকের শাসক গিয়াসউদ্দীন বাহাদুর শাহ-এর রাজত্বকালে জনৈক সুলায়মান মসজিদটি নির্মাণ করেন। তিনি সম্ভবত একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। পূর্বদিকের কেন্দ্রীয় প্রবেশদ্বারের উপরে স্থাপিত আরবিতে (শুধু নির্মাতা শব্দটি ফারসিতে) উৎকীর্ণ শিলালিপি অনুসারে এ মসজিদের নির্মাণকাল ৯৬৬ হিজরি (১৫৫৮-৫৯ খ্রি.)। মসজিদটি শূর আমলে নির্মিত হলেও এ মসজিদে উত্তর ভারতে ইতঃপূর্বে বিকশিত শূর স্থাপত্যের প্রভাব মোটেই দেখা যায় না, বরং এটি বাংলার স্থাপত্য রীতিতেই নির্মিত। ইটের গাঁথুনি, সামান্য বক্র কার্নিশ এবং সংলগ্ন অষ্টকোণাকৃতির পার্শ্ববুরুজ প্রভৃতি এ রীতির পরিচায়ক বৈশিষ্ট্যাবলি। এ মসজিদ ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত।

মসজিদটির মূল গাঁথুনি ইটের তৈরী হলেও এর বাইরের দেওয়ালের সম্পূর্ণ অংশ এবং ভেতরের দেওয়ালে পেন্ডেন্টিভের খিলান পর্যন্ত পাথর দিয়ে আবৃত। এর স্তম্ভ, ভিত্তিমঞ্চ, মেঝে এবং পাশের দেওয়ালের জালি নকশা পাথরের তৈরী। আয়তাকার এ মসজিদ তিনটি ‘বে’ এবং দুটি ‘আইলে’ বিভক্ত। পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণে একটি করে প্রবেশপথ রয়েছে। কেন্দ্রীয় মিহরাবটি পশ্চিম দেওয়াল থেকে সামান্য অভিক্ষিপ্ত।
অভ্যন্তরভাগের পশ্চিম দেওয়ালে (কিবলা দেওয়ালে) দক্ষিণ-পূর্ব দিকের এবং মাঝের প্রবেশপথ বরাবর মেঝের সমান্তরালে দুটি মিহরাব আছে। তবে উত্তর-পশ্চিম কোণের ‘বে‘তে অবস্থিত মিহরাবটি একটি উচু প্লাটফর্মের মধ্যে স্থাপিত। পূর্বদিকে স্থাপিত একটি সিঁড়ি দিয়ে এ প্লাটফর্মে উঠা যায়।

মিহরাবগুলি খোদাইকৃত পাথরের নকশা দিয়ে ব্যাপকভাবে অলংকৃত। এগুলিতে রয়েছে বহুখাজ বিশিষ্ট খিলান। সূক্ষ্ম কারুকার্য খচিত পাথরের তৈরী স্তম্ভের উপর স্থাপিত এ খিলানগুলির শীর্ষে রয়েছে কলস মোটিফের অলংকরণ। স্তম্ভগুলির গায়ে রয়েছে ঝুলন্ত শিকল ঘন্টার নকশা। মিহরাবের ফ্রেমে রযেছে প্রায় সর্পিল আকারে খোদিত আঙ্গুর গুচ্ছ ও লতার নকশা। এ ছাড়া রয়েছে প্রায় বিন্দুর আকার ধারণকারী কলস, বৃক্ষলতা ও গোলাপ নকশা। প্লাটফর্মের প্রান্তেও রয়েছে আঙ্গুর লতার অলংকরণ। আর এ প্লাটফর্মের ভারবহনকারী খিলানের স্প্যান্ড্রিল এবং মসজিদের কিবলা দেওয়াল জুড়ে রয়েছে গোলাপ নকশা।
বাইরের দেওয়ালে আস্তরণ হিসেবে ব্যবহূত পাথরগুলি অমসৃণ এবং এতে রয়েছে গভীর খোদাইকার্য। বাইরের দিকে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন অলংকরণ গুলি ছাঁচে ঢালা। এগুলি দেওয়াল গাত্রকে উচু নিচু অংশে বিভক্ত করেছে। এ ছাড়া বক্র কার্নিশ জুড়ে, পাশ্ববুরুজগুলিকে ঘিরে, কার্নিশের নিচে অনুরূপ অলঙ্করন বিস্তৃত। পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালের গায়ে আয়তাকার খোপ নকশাকে ঘিরে ফ্রেম হিসেবে ছাঁচে ঢালা অলংকরণ রয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রবেশপথের খিলানের স্প্যান্ড্রিল ছোট ছোট কলস ও গোলাপ নকশায় পরিপূর্ণ। উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালে রয়েছে জালি ঢাকা জানালা।


#কুসুম্বামসজিদমান্দানওগাঁ

ভ্রমণ বিষয়ক যে কোনো তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগযোগ করুন Traveliyan এ অথবা কল করুন -

01678623251

হলুদ বিহার নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এটি উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউন...
18/01/2024

হলুদ বিহার নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এটি উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের হলুদ বিহার গ্রামে অবস্থিত। হলুদ বিহার গ্রামে মূলতঃ চারটি ঢিবি থাকলেও বর্তমানে কেবল ১০০ ফুট ব্যাসের একটি মাত্র ঢিবি রয়েছে। হলুদ বিহার গ্রামটি স্থানীয়ভাবে দ্বীপগঞ্জ নামেও পরিচিত। ঢিবিগুলোও বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো বেশ কিছু স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ দেখে ধারণা করা হয়ে থাকে, এই স্থানটিতে পূর্বে বৌদ্ধদের বসতি ছিল।

বিভিন্ন সময় হলুদ বিহারে বেশ কয়েকজন প্রত্নতাত্ত্ববিদ ও সংস্থা ভ্রমণ করে এলাকাটি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দেন। ১৯৩০ বা ১৯৩১ সালে ভারতীয় প্রত্নতত্ববিদ জি.সি দত্ত ভারতের প্রত্নতত্ত্ব জরিপ বিভাগের অধীনে এলাকাটি পরিদর্শন করেন। তিনি তার রিপোর্টে উল্লেখ করেন, পুরো অঞ্চলটি পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৬৪.৫ মিটার ও উত্তর থেকে দক্ষিণে ৪০.৫ মিটার এবং সংলগ্ন ভূমি হতে অঞ্চলটির উচ্চতা প্রায় ১০.৫ মিটার। এসময় গ্রামের একটি স্থান থেকে প্রায় ১ মিটার উঁচু একটি গণেশের ব্রোঞ্জ মূর্তি আবিষ্কৃত হয়। ধারণা করা হয়ে থাকে, মূর্তিটি ৮-৯ শতকের দিকে তৈরি।

প্রত্নতত্ত্ববিদ কাজী মোহাম্মদ মেছের তাঁর রাজশাহীর ইতিহাস নামীয় গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, হলুদ বিহার ডিবি থেকে ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে কালো পাথরের তৈরী একটি বুদ্ধ মূর্তি, কয়েকটি পোড়ামাটির চিত্রফলক এবং কিছু প্রাচীন মুদ্রা আবিষ্কৃত হয়েছিল। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই এলাকাটিতে অনুসন্ধানের জন্য ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে প্রাক্তন সুপারিন্টেন্ডেন্ট হারুন-অর-রশীদকে প্রেরণ করেছিল। তিনিও তার প্রতিবেদনে এ অঞ্চলে প্রাচীন সভ্যতার বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ, পোড়ামাটির ফলক ও পাথরের ভাস্কর্য দেখতে পান বলে উল্লেখ করেন।

এরপর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর স্থানটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে নথিভুক্ত করে এবং ১৯৮৪ ও ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে দুটি খননকার্য পরিচালনা করে।

#প্রত্নতত্ত্বজরিপনওগাঁ
#প্রত্নতত্ত্বস্থান #বৌদ্ধবিহার #পুরাকীর্তির #ষোড়শশতাব্দী

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার বা সোমপুর মহাবিহার নামে পরিচিত বৌদ্ধ বিহারটি বর্তমানে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন স্থাপনা। পাহা...
17/01/2024

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার বা সোমপুর মহাবিহার নামে পরিচিত বৌদ্ধ বিহারটি বর্তমানে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন স্থাপনা। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারটি নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিখ্যাত পালবংশের ২য় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব ৯ম শতকে এই বৌদ্ধ বিহার তৈরি করেন। স্যার কানিংহাম ১৮৭৯ সালে এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি আবিষ্কার করেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে তালিকাভুক্ত করে। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার প্রায় ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের ধর্মচর্চার কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ছিল। তৎকালীন সময়ে তিব্বত, চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং মায়ানমার থেকেও বৌদ্ধরা পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে ধর্মচর্চা ও জ্ঞান অর্জন করতে ছুটে আসতেন।
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ৯২২ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ৯১৯ ফুট পর্যন্ত বিস্তৃত। বিহারটিতে সর্বমোট ১৭৭ টি ঘরে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বসবাস করতেন। বিহারের ঠিক মধ্যখানে শোভা বাড়িয়েছে একটি মন্দির, যার দৈর্ঘ্য ৪০০ ফুট ও প্রস্থ ৩৫০ ফুট এবং মন্দিরটি প্রায় ৭০ ফুট উঁচু। মন্দিরের বাইরের দেয়ালে বুদ্ধ ও হিন্দুদের দেবী মূর্তি এবং পোড়া মাটির বেশকিছু ফলক স্থান পেয়েছে। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মূল বেষ্টনী প্রায় ২০ ফুট চওড়া। বেষ্টনীর ভেতরে আরেকটি বৌদ্ধ মন্দির দেখতে পাওয়া যায় ।

চতুষ্কোনাকার পাহাড়পুর বিহারের চারদিক চওড়া সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিল। সীমানা প্রাচীরের অভ্যন্তরে সারিবদ্ধ ৯২ টি ছোট ছোট কক্ষ ছিল। অনুমান করা হয় সবগুলো কক্ষে ভিক্ষুরা বসবাস করতেন এবং পরবর্তীকালে কিছু কক্ষকে প্রার্থনা কক্ষ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বিহারের উত্তর দিকের মাঝে প্রধান প্রবেশ পথ রয়েছে। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত প্রবেশ পথের সম্মুখে একটি পুকুর ছিল। ১৯৮৪-৮৫ সালে এখানে খননের সময় খলিফা হারুন আল রশিদের শাসনামলের বিপুল রৌপ্য মুদ্রা পাওয়া যায়, যেগুলি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন জাদুঘরে রক্ষিত আছে। এছাড়াও পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার হতে বেশকিছু মূর্তি, মুদ্রা এবং শিলালিপি ইত্যাদি পাওয়া যায়।

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে যা আছে কেন্দ্রীয় মন্দির পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ভেতরে উন্মুক্ত চত্বরের মাঝখানে কেন্দ্রীয় মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। বিস্ময়কর স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন মন্দিরের দেয়াল জুড়ে প্রায় ২০০০ পোড়ামাটির ফলকচিত্র পাওয়া যায়। ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩৫০ ফুট প্রস্থের প্রধান মন্দিরটি ইটের সাথে কাদা মাটি মিশিয়ে তৈরী করা হয়েছিল।

স্নানাগার ও শৌচাগার বৌদ্ধ বিহারের বাইরে দক্ষিণ দিকের দেয়াল থেকে প্রায় ২৭ মিটার দূরত্বে একটি মঞ্চে কতগুলো স্নানাগার ও শৌচাগার নির্মাণ করা হয়। স্নানাগার ও শৌচাগার বৌদ্ধ বিহারের ১০২ নং কক্ষের সাথে একটি উঁচু বাধানো পথের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিল।
সন্ধ্যাবতীর ঘাট পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের প্রাচীরের বাইরে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একটি শানবাঁধানো ঘাট দেখতে পাওয়া যায় । এই ঘাট সন্ধ্যাবতীর ঘাট নামে পরিচিত। কথিত আছে, রাজা মৈদলনের কন্যা সন্ধ্যাবতী এই ঘাটে স্নান করতেন।

উন্মুক্ত অঙ্গন বৌদ্ধ বিহারের মধ্যে উন্মুক্ত অঙ্গনে বেশকিছু ধ্বংসপ্রাপ্ত ইমারতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। এখানে বিক্ষিপ্তভাবে প্রশাসনিক ভবন , ভোজন শালা, রান্না ঘর, নিবেদন স্তুপ, কুয়ো ইত্যাদি দেখতে পাওয়া যায় ।
সত্যপীরের ভিটা পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার থেকে ৩৬৫ মিটার পূর্বে সত্যপীরের ভিটা অবস্থিত। সত্যপীরের ভিটায় একটি তারা মন্দির এবং ১৩২ টি নিবেদন স্তূপের ধ্বংসাবশেষের দেখা মিলে। মন্দির প্রাঙ্গনে প্রায় ৫০টি পোড়ামাটির ফলক, অষ্টহস্ত বিশিষ্ট দেবীমূর্তি ও বৌদ্ধ ধর্মীয় মতবাদ লিপি খোদিত পোড়ামাটির সীলগুলি প্রাপ্ত হয়েছে। মন্দির এলাকায় ১৩২টি নিবেদন স্তূপ আছে।

গন্ধেশ্বরী মন্দির সন্ধ্যাবতী স্নান ঘাট থেকে মাত্র ১২ মিটার পশ্চিমে আরো একটি মন্দির দেখা যায় । স্থানীয় ভাবে মন্দিরটিকে গন্ধেশ্বরীর মন্দির নামে ডাকা হয়। মন্দিরের দৈর্ঘ্য ৬.৭ মিটার এবং প্রস্থ ৩.৫ মিটার। মন্দিরের দক্ষিণ দিকের দেয়ালে বৌদ্ধদেবী পদ্মপাণির মূর্তি স্থাপিত আছে এবং সামনের দেয়ালের রয়েছে পদ্ম ফুলের নকশা।

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার কিভাবে যাবেন: দেশের যেকোন স্থান থেকে নওগাঁ জেলা শহরে এসে নওগাঁ বালুডাংগা বাস টার্মিনাল হতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাস ভাড়ায় সরাসরি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে যেতে পারবেন। নওগাঁ থেকে পাহাড়পুরের দূরত্ব প্রায় ৩২ কিলমিটার । অথবা জয়পুরহাট জেলায় এসে সেখান থেকে বাস কিংবা অটোরিক্সা ভাড়া করে সহজে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার আসতে পারবেন। জয়পুরহাট হতে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ট্রেনে করে আসলে জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনে নেমে ভ্যান বা অটোরিক্সা দিয়ে ঝামেলা ছাড়াই ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার যেতে পারবেন।

কোথায়থাকবেন: পাহাড়পুরে রাতে থাকার কোন ব্যবস্থা নেই তবে নওগাঁ জেলা সদরে রাতে থাকতে পারবেন। নওগাঁয় অবস্থিত আবাসিক হোটেলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: হোটেল অবকাশ, হোটেল ফারিয়াল , হোটেল যমুনা, হোটেল রাজ, হোটেল আগমনী, হোটেল প্লাবণ মোটেল চিসতী এবং হোটেল সরণি।

#পাহাড়পুরবৌদ্ধবিহারবদলগাছীনওগাঁ

লালবাগ দুর্গ মুগল প্রাসাদ দুর্গ। এটি আওরঙ্গাবাদ দুর্গ নামেও পরিচিত। পুরাতন ঢাকা নগরীর দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে বুড়িগঙ্গা ...
12/12/2023

লালবাগ দুর্গ মুগল প্রাসাদ দুর্গ। এটি আওরঙ্গাবাদ দুর্গ নামেও পরিচিত। পুরাতন ঢাকা নগরীর দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে দূর্গটির অবস্থান। নদীটি বর্তমানে আরও দক্ষিণে সরে গিয়ে দুর্গ থেকে বেশ খানিকটা দূর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডয়েলীর অঙ্কিত চিত্র থেকে (১৮০৯-১১) দেখা যায় যে, পূর্ব-পশ্চিমে আয়তাকারে বিস্তৃত দুর্গের দক্ষিণ ও দক্ষিণপশ্চিম অংশের অর্ধেকেরও বেশি নদী সংলগ্ন ছিল।
যুবরাজ মুহম্মদ আজম বাংলার সুবাহদার থাকাকালীন ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কিন্তু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই আওরঙ্গজেব তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান। তাঁর উত্তরসূরি শায়েস্তা খান ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করলেও দুর্গের কাজ সমাপ্ত করেন নি। ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে শায়েস্তা খানের কন্যা বিবি পরী এখানে মারা গেলে দুর্গটিকে তিনি অপয়া হিসেবে বিবেচনা করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
নকশা, লালবাগ দুর্গ দীর্ঘদিন যাবৎ দুর্গটিকে এর প্রধান তিনটি ভবন (মসজিদ, বিবি পরীর সমাধিসৌধ এবং দীউয়ান-ই-আম), দুটি প্রবেশপথ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত একটি দুর্গ প্রাচীরের অংশের সমন্বয় হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সাম্প্রতিককালে খননের মাধ্যমে এখানে আরও কিছু ভবন কাঠামোর অস্তিত্ব উন্মোচন করে, যা বর্তমানে দুর্গের একটি মোটামুটি সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। বর্তমানে ১৮ একর বিস্তৃত দুর্গ এলাকায় খনন কাজের ফলে ২৬/২৭টি কাঠামোর অস্তিত্বসহ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, ছাদ-বাগান ও ঝর্ণার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংস্কারের পর লালবাগ দুর্গ এখন বেশ খানিকটা উন্নত রূপ ধারণ করেছে এবং ভ্রমণকারী ও দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।

বিদ্যমান তিনটি প্রবেশপথের মধ্যে দক্ষিণ দিকের প্রবেশপথটি সর্ববৃহৎ। সামনে থেকে দেখলে এটিকে ফ্রন্টনযুক্ত তিন তলা ভবন বলে মনে হয়, পাশে রয়েছে সরু সরু মিনার। ভেতর থেকে এটি আবার দ্বিতল ভবন হিসেবে পরিদৃষ্ট হয়। উত্তর-পূর্ব দিকের প্রবেশপথটি অনেক ছোট এবং সাধারণ মানের। কাঠামোগত অস্তিত্ব ইঙ্গিত দেয় যে, দুর্গটি পূর্ব দিকে বর্তমান শায়েস্তা খান সড়ক ছাড়িয়েও বিস্তৃত ছিল। বর্তমানে উত্তর দিকের সীমানা প্রাচীরের মাঝখানে অবস্থিত তৃতীয় প্রবেশপথটি অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছিল। বর্তমানে এটি নতুনভাবে নির্মিত হয়েছে।
লালবাগ দুর্গ, দীউয়ান-ই-আম ও হাম্মাম
দুর্গের দক্ষিণ দিকের প্রাচীরটি দক্ষিণ তোরণ থেকে উদ্ভূত। প্রাচীরটি পশ্চিম দিকে প্রসারিত হয়ে দুর্গের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের বিশাল প্রতিরক্ষা বুরুজে (bastion) গিয়ে সমাপ্ত হয়েছে। এরপর প্রাচীরটি উত্তর দিকে কিছু দূর অগ্রসর হওয়ার পর আর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। দক্ষিণ ও উত্তর দিকের প্রবেশপথদ্বয়ের সংযোগকারী পূর্ব দিকের সীমানা প্রাচীরটি আধুনিক কালে নির্মিত। ধারণা করা হয় আদিতে দুর্গটি পূর্ব দিকে বর্তমানের শায়েস্তা খান সড়ককে ছাড়িয়ে আরও বিস্তৃত ছিল। দক্ষিণ প্রাচীরের উত্তর পাশে উপযোগমূলক (utility) ভবনগুলি, যেমন, আস্তাবল, প্রশাসনিক ব্লক এবং এর পশ্চিমাংশে ঝর্ণা ও জলাশয়সহ একটি সুন্দর ছাদ-বাগান অবস্থিত ছিল। পশ্চিম প্রাচীরের পূর্ব পাশে, প্রধানত মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে, আবাসিক ভবনগুলি অবস্থিত ছিল। এখানে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার নিদর্শন পাওয়া গেছে। দক্ষিণ দিকের প্রাচীরটি মূলত দুটি প্রাচীরের সমন্বয়ে গঠিত; বাইরের প্রাচীরটি ৬.১০ মিটার উঁচু এবং ১.৩৭ মিটার পুরু ও ভেতরেরটি ১৩.৭২ মিটার উঁচু ও একই সমান পুরু। ৬.১০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত দুটি প্রাচীরই নিরেট, তবে ভেতরের প্রাচীরটিতে নিয়মিত বিরতি দিয়ে উন্মুক্ত অংশ রয়েছে।

আদিতে দক্ষিণ প্রাচীরে নিয়মিত বিরতিতে পাঁচটি এবং পশ্চিম প্রাচীরে দুটি প্রতিরক্ষা বুরুজ ছিল। সাতটি বুরুজের মধ্যে সর্ববৃহৎটি দক্ষিণ তোরণের নিকটে এর পশ্চিম পার্শ্বস্থ আস্তাবলের পেছনে অবস্থিত। এই বুরুজটিতে একটি ভূগর্ভস্থ টানেল অন্তর্ভুক্ত ছিল। দক্ষিণ প্রাচীরের পাঁচটি বুরুজের মধ্যে কেন্দ্রীয়টি একতল বিশিষ্ট কাঠামো, কিন্তু বাকিগুলি দ্বিতল বিশিষ্ট। কেন্দ্রীয় বুরুজটিতে তিন দিকে বারান্দা সমৃদ্ধ একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষ আছে এবং এটিতে হয় নদীর দিক দিয়ে অথবা এর ছাদের উপর দিয়ে প্রবেশ করা যেত। দুর্গের দক্ষিণপশ্চিম কোণের দ্বিতল বুরুজটির ছাদে জলাধার ছিল এবং সম্ভবত এটি ছিল একটি হাওয়াখানা। পোড়ামাটি নির্মিত দুটি পানির পাইপ পাওয়া গেছে যার মাধ্যমে এই জলাধারের সাথে দুর্গের সবকটি ভবনের সংযোগ ছিল। হাম্মাম (দীউয়ান-ই-আম ভবনের নীচের তলা) ও বিবি পরীর সমাধির মধ্যবর্তী স্থান থেকে একটির ভেতরে আরেকটি এরূপ দুটি পাইপের বাড়তি-ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ডাবল পাইপ পাওয়া গেছে। দক্ষিণ দুর্গপ্রাচীরের সমান্তরালে আস্তাবল থেকে পশ্চিমমুখি স্থানটিতে প্রথম দিকে ঝর্ণা, গোলাপ ও তারা নকশার মালঞ্চ এবং জলাধারসহ একটি সুন্দর ছাদ-বাগান ছিল। ভবনের নিচে ছিল প্রশাসনিক ব্লক এবং পশ্চিম অংশে ছিল আবাসিক ভবন।

লালবাগ দুর্গের দক্ষিণ তোরণ
দুর্গের কেন্দ্রীয় অংশ জুড়ে রয়েছে তিনটি ভবন- পূর্ব দিকে দীউয়ান-ই-আম ও হাম্মাম, পশ্চিমে মসজিদ এবং এগুলির মাঝখানে বিবি পরীর সমাধিসৌধ; এগুলির সব একই রেখায় অবস্থিত, তবে সম দূরত্বে অবস্থিত নয়। নিয়মিত বিরতিতে ঝর্ণা সমৃদ্ধ পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত একটি নহর তিনটি ভবনকে সংযুক্ত করেছে। উত্তর-দক্ষিণমুখী একই রকম আরও দুটি নহর প্রবাহিত। দীউয়ান-ই-আম ও সমাধিসৌধের মাঝ বরাবর বাগানের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত একটি নহর পূর্ব-পশ্চিমমুখী নহরটিকে ছেদ করার সময় তাদের মিলনস্থলে একটি বড় বর্গাকার জলাশয়ের সৃষ্টি করেছে। এখানে একটি ঝর্ণাও আছে। আর একটি নহর সমাধিসৌধের নিম্ন প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানির নহর ও ঝর্ণা মুগল স্থাপত্য শিল্পের প্রচলিত রীতি। এ ধরনের বৈশিষ্ট্য উত্তর ভারতের মুগল দুর্গের ন্যায় পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। উত্তর ও দক্ষিণ তোরণের মাঝ বরাবর এবং দীউয়ান-ই-আমের সামনে (পূর্ব দিকে) স্থাপিত বর্গাকার জলাধারটি (প্রতি প্রান্ত ৭১.৬৩ মিটার) ভবনের সৌন্দর্য বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে। জলাধারটির চার কোণ থেকে চারটি সিঁড়ি পানিতে নেমে গেছে।

পশ্চিমদিকের একতলা হাম্মাম সংযুক্ত দীউয়ান-ই-আম একটি বিশাল ভবন। হাম্মাম কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে একটি উন্মুক্ত প্লাটফর্ম, একটি ছোট রান্নাঘর, একটি চুল্লী, একটি পানির আধার, ইট নির্মিত পাকা একটি বাথ-টাব, একটি শৌচাগার, একটি ড্রেসিং রুম এবং বাড়তি একটি কক্ষ। হাম্মাম অংশে পানি গরম করার জন্য ভূগর্ভস্থ একটি কক্ষ এবং ঝাড়ুদারদের ব্যবহারের জন্য একটি অলিন্দ রয়েছে। হাম্মামের পশ্চিম ফাসাদের সামনে দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত দীর্ঘ একটি বিভাজন দেওয়াল সমস্ত দুর্গটিকে দুভাগে বিভক্ত করেছে।
দুর্গে এখনও বিদ্যমান ভবনগুলির মধ্যে বিবি পরীর সমাধিসৌধটি সবচেয়ে আকর্ষণীয়। বিবি পরীর সমাধি ধারণকারী ব্রাস পাত মোড়ানো অষ্টভুজী মেকী গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত বর্গাকার কেন্দ্রীয় কক্ষকে ঘিরে রয়েছে আটটি কক্ষ। কেন্দ্রীয় কক্ষটির অভ্যন্তর দেওয়াল সাদা মার্বেল দ্বারা আচ্ছাদিত। অন্যদিকে পাশের কেন্দ্রীয় চারটি কক্ষের দেওয়াল আট মিটার উচ্চতা পর্যন্ত অংশ পাথর দিয়ে মোড়া। বাকি চার কোণের কক্ষগুলি চকচকে টাইলস দিয়ে আচ্ছাদিত। টাইলসগুলি নতুন লাগানো হয়েছে। দুটি পুরানো টাইলসও বর্তমান রয়েছে। দক্ষিণপূর্ব কোণের কক্ষটিতে একটি সমাধি রয়েছে। অনুমান করা হয় যে, এটি সম্ভবত বিবি পরীর কোন এক আত্মীয় শামশাদ বেগমের সমাধি। লালবাগ দুর্গের মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট। এর পূর্বদিকে ওজু করার জন্য একটি জলাধার রয়েছে।
লালবাগ দুর্গে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে সুলতানি যুগ এবং প্রাক-মুসলিম যুগের স্তর উন্মোচিত হয়েছে। এখান থেকে পোড়ামাটির মস্তক ও ফলক পাওয়া গেছে।

ভ্রমণ বিষয়ক যে কোনো তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগযোগ করুন Traveliyan এ অথবা কল করুন -
01678623251

কুসুম্বা মসজিদ আত্রাই নদীর পশ্চিমতীরস্থ নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার অন্তর্গত কুসুম্বা গ্রামের নাম অনুসারে পরিচিত। প্রাচীর...
21/11/2023

কুসুম্বা মসজিদ আত্রাই নদীর পশ্চিমতীরস্থ নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার অন্তর্গত কুসুম্বা গ্রামের নাম অনুসারে পরিচিত। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা আঙ্গিনার ভেতরে মসজিদটি অবস্থিত। এ আঙ্গিনায় প্রবেশের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় একটি প্রবেশদ্বার যেখানে প্রহরীদের দাঁড়ানোর জায়গা রয়েছে। বাংলায় আফগানদের শাসন আমলে শূর বংশের শেষ দিকের শাসক গিয়াসউদ্দীন বাহাদুর শাহ-এর রাজত্বকালে জনৈক সুলায়মান মসজিদটি নির্মাণ করেন। তিনি সম্ভবত একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। পূর্বদিকের কেন্দ্রীয় প্রবেশদ্বারের উপরে স্থাপিত আরবিতে (শুধু নির্মাতা শব্দটি ফারসিতে) উৎকীর্ণ শিলালিপি অনুসারে এ মসজিদের নির্মাণকাল ৯৬৬ হিজরি (১৫৫৮-৫৯ খ্রি.)। মসজিদটি শূর আমলে নির্মিত হলেও এ মসজিদে উত্তর ভারতে ইতঃপূর্বে বিকশিত শূর স্থাপত্যের প্রভাব মোটেই দেখা যায় না, বরং এটি বাংলার স্থাপত্য রীতিতেই নির্মিত। ইটের গাঁথুনি, সামান্য বক্র কার্নিশ এবং সংলগ্ন অষ্টকোণাকৃতির পার্শ্ববুরুজ প্রভৃতি এ রীতির পরিচায়ক বৈশিষ্ট্যাবলি। এ মসজিদ ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত।
মসজিদটির মূল গাঁথুনি ইটের তৈরী হলেও এর বাইরের দেওয়ালের সম্পূর্ণ অংশ এবং ভেতরের দেওয়ালে পেন্ডেন্টিভের খিলান পর্যন্ত পাথর দিয়ে আবৃত। এর স্তম্ভ, ভিত্তিমঞ্চ, মেঝে এবং পাশের দেওয়ালের জালি নকশা পাথরের তৈরী। আয়তাকার এ মসজিদ তিনটি ‘বে’ এবং দুটি ‘আইলে’ বিভক্ত। পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণে একটি করে প্রবেশপথ রয়েছে। কেন্দ্রীয় মিহরাবটি পশ্চিম দেওয়াল থেকে সামান্য অভিক্ষিপ্ত।
অভ্যন্তরভাগের পশ্চিম দেওয়ালে (কিবলা দেওয়ালে) দক্ষিণ-পূর্ব দিকের এবং মাঝের প্রবেশপথ বরাবর মেঝের সমান্তরালে দুটি মিহরাব আছে। তবে উত্তর-পশ্চিম কোণের ‘বে‘তে অবস্থিত মিহরাবটি একটি উচু প্লাটফর্মের মধ্যে স্থাপিত। পূর্বদিকে স্থাপিত একটি সিঁড়ি দিয়ে এ প্লাটফর্মে উঠা যায়।
মিহরাবগুলি খোদাইকৃত পাথরের নকশা দিয়ে ব্যাপকভাবে অলংকৃত। এগুলিতে রয়েছে বহুখাজ বিশিষ্ট খিলান। সূক্ষ্ম কারুকার্য খচিত পাথরের তৈরী স্তম্ভের উপর স্থাপিত এ খিলানগুলির শীর্ষে রয়েছে কলস মোটিফের অলংকরণ। স্তম্ভগুলির গায়ে রয়েছে ঝুলন্ত শিকল ঘন্টার নকশা। মিহরাবের ফ্রেমে রযেছে প্রায় সর্পিল আকারে খোদিত আঙ্গুর গুচ্ছ ও লতার নকশা। এ ছাড়া রয়েছে প্রায় বিন্দুর আকার ধারণকারী কলস, বৃক্ষলতা ও গোলাপ নকশা। প্লাটফর্মের প্রান্তেও রয়েছে আঙ্গুর লতার অলংকরণ। আর এ প্লাটফর্মের ভারবহনকারী খিলানের স্প্যান্ড্রিল এবং মসজিদের কিবলা দেওয়াল জুড়ে রয়েছে গোলাপ নকশা।
বাইরের দেওয়ালে আস্তরণ হিসেবে ব্যবহূত পাথরগুলি অমসৃণ এবং এতে রয়েছে গভীর খোদাইকার্য। বাইরের দিকে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন অলংকরণ গুলি ছাঁচে ঢালা। এগুলি দেওয়াল গাত্রকে উচু নিচু অংশে বিভক্ত করেছে। এ ছাড়া বক্র কার্নিশ জুড়ে, পাশ্ববুরুজগুলিকে ঘিরে, কার্নিশের নিচে অনুরূপ অলঙ্করন বিস্তৃত। পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালের গায়ে আয়তাকার খোপ নকশাকে ঘিরে ফ্রেম হিসেবে ছাঁচে ঢালা অলংকরণ রয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রবেশপথের খিলানের স্প্যান্ড্রিল ছোট ছোট কলস ও গোলাপ নকশায় পরিপূর্ণ। উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালে রয়েছে জালি ঢাকা জানালা।

#কুসুম্বামসজিদমান্দানওগাঁ
ভ্রমণ বিষয়ক যে কোনো তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগযোগ করুন Traveliyan এ অথবা কল করুন -
01678623251

কান্তজিউ মন্দির দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলায় অবস্থিত এ মন্দিরটি  ১৭২২ হতে ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দিনাজপুরের মহারাজা ...
02/10/2023

কান্তজিউ মন্দির দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলায় অবস্থিত এ মন্দিরটি ১৭২২ হতে ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দিনাজপুরের মহারাজা প্রাণনাথ ও তাঁর পুত্র রামানাথ কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মন্দিরের নয়টি রত্ন চূড়া ধ্বসে পড়ে। বর্গাকার পরিকল্পনায় নির্মিত তিন তলাবিশিষ্ট এ মন্দিরটি একটি উচু প্লাটফর্মের উপরে অবস্থিত। একটি কেন্দ্রীয় কক্ষের চতুর্দিকে আছে টানা বারান্দা। মন্দিরটি অসংখ্য পোড়ামাটির ফলকে সুশোভিত। এসব ফলকে রামায়ণ, মহাভারত ও সমসাময়িক সমাজের চিত্র বিধৃত হয়েছে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই মন্দিরের পাশে কান্তনগর প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর নামে একটি জাদুঘর স্থাপন করেছে।

#কান্তজিমন্দির #নবরত্নমন্দির #কান্তজিউমন্দির #সুন্দরতমপ্রাচীনমন্দির #টেরাকোটা #ঐতিহাসিকমন্দির #দিনাজপুর #ষোড়শশতাব্দী

ভ্রমণ বিষয়ক যে কোনো তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগযোগ করুন Traveliyan এ অথবা কল করুন -
01678623251

শংকরপাশা মসজিদ  হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শংকরপাশায় অবস্থিত একটি একগম্বুজ মসজিদ। সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের রাজত্বকালে সম্ভ...
21/09/2023

শংকরপাশা মসজিদ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শংকরপাশায় অবস্থিত একটি একগম্বুজ মসজিদ। সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের রাজত্বকালে সম্ভবত ১৪৯৪ থেকে ১৪৯৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কোনো এক সময় মসজিদটি নির্মিত হয়। মসজিদের চারকোণে রয়েছে চারটি অষ্টভুজাকৃতির সন্নিহিত বুরুজ। এ ছাড়া রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ দিকের দেয়ালে একটি করে অনুরূপ সন্নিহিত বুরুজ। পরবর্তী সময়ে মসজিদটির সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ কাজের অংশ হিসেবে ছাদের বাঁকা রেলিং সমান্তরাল ছাদ-পাঁচিলে রূপান্তর করে চার কোণের সন্নিহিত বুরুজ ছাদ-পাঁচিলের ঊর্ধ্বে সম্প্রসারিত হয়। বুরুজ শীর্ষে সংযোজিত হয় কলস আকৃতির মোটিফ। মসজিদের আদি গম্বুজটি একসময় ধসে পড়ায় সমতল খিলান ছাদের উপর লোহার কড়ি-বরগার উপর ভর করে নতুন গম্বুজ নির্মিত হয়।

মসজিদের পূর্বদিকের সদরে রয়েছে খাঁজ-খিলান শোভিত তিনটি প্রবেশপথ। মধ্যবর্তী প্রবেশপথটি অপর দুটি প্রবেশপথ থেকে প্রশস্ততর ও উঁচু। মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে বারান্দা বরাবর অনুরূপ খাঁজ-খিলান শোভিত একটি করে প্রবেশপথ। পূর্বদিকের সদরের বহির্ভাগে দেয়ালের উভয় প্রান্তে উপর থেকে পরপর সন্নিবেশিত হয়েছে তিনটি প্যানেল এবং প্রবেশপথের উপরিভাগে রয়েছে উক্ত প্যানেলের সঙ্গে সমান্তরালে সন্নিবেশিত দুটি প্যানেল। তিনটি প্রবেশপথের মধ্যবর্তী অবস্থানে দু’টি খর্বাকৃতি প্যানেলের উপরিভাগে রয়েছে পরস্পর সমান্তরালে একটি বড় আকারের প্যানেল। শিকলাকৃতি তরু শাখা থেকে ঝুলন্ত লতাপাতার নকশার মাধ্যমে শিকল ও ঘণ্টার মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। খিলান পার্শ্বস্থ ত্রিকোণাকার পরিসরে পরস্পর সম্পৃক্ত শাখা প্রশাখা শীর্ষে গোলাপ নকশাসহ প্রদর্শিত হয়েছে কুঞ্চিত বৃক্ষ মোটিফ।

মসজিদের অভ্যন্তরে মিহরাবটি সুদৃশ্য ও অপরূপ নকশা শোভিত। মিহরাবের পার্শ্বদেশের আয়তাকার ফ্রেমে পরস্পর ছেদী তরঙ্গায়িত রেখায় অঙ্কিত ছোট ছোট আয়তক্ষেত্রের অভ্যন্তরভাগে চিত্রিত হয়েছে চার বা আট পাপড়ি বিশিষ্ট ফুলেল নকশা। কুলঙ্গির খাঁজকাটা খিলান ইটের তৈরি স্তম্ভ শীর্ষে স্থাপিত। এই স্তম্ভগুলো খাঁড়াভাবে বিন্যস্ত সারিবদ্ধ নকশা শোভিত। এই নকশায় পর্যায়ক্রমে সন্নিবেশিত হয়েছে উৎকীর্ণ গোলাপ এবং ফ্রেমবদ্ধ চার পাপড়ি বিশিষ্ট পুষ্প নকশা।

স্থানীয় নকশাকারদের অভিনব শিল্পশৈলী ও রুচিবোধ এবং ইমারতের সদরের বহির্ভাগ ও মিহরাব বিন্যাস ও অলঙ্করণে তাদের মৌলিকত্ব ও উদ্ভাবনী শক্তির একটি চমৎকার নিদর্শন শংকরপাশা মসজিদ। এই মসজিদে অনুসৃত স্থাপত্যশৈলী একদিকে যেমন সমকালীন গৌড়ীয় স্থাপত্য রীতি থেকে ভিন্নতর, অন্যদিকে হোসেনশাহী যুগের ইমারতের যথেচ্ছ অলঙ্করণ রীতিরও একটি বিশিষ্ট ব্যতিক্রম। মসজিদটির পুরনো অলঙ্করণ এখনো অক্ষুণ্ণ রয়েছে।

তথ্য সুত্র ঃ http://bn.banglapedia.org/index.php...

ছবি : Collected ভ্রমণ বিষয়ক যে কোনো তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগযোগ করুন Traveliyan এ অথবা কল করুন -
01678623251

রথ মন্দির পুঠিয়ার মন্দির চত্বরে অবস্থিত ১৩ টি মন্দিরের একটি। স্থানীয়ভাবে এটি জগন্নাথ মন্দির নামেও পরিচিত। এটি ১৮২৩ খ্র...
30/08/2023

রথ মন্দির পুঠিয়ার মন্দির চত্বরে অবস্থিত ১৩ টি মন্দিরের একটি। স্থানীয়ভাবে এটি জগন্নাথ মন্দির নামেও পরিচিত। এটি ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দ মতান্তরে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে রানী ভূবনময়ী নির্মাণ করেন বলে জানা যায়। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। রাজশাহী হতে ৩২ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে পুঠিয়া বাজারের প্রবেশের ঠিক বাম পাশেই এর অবস্থান। এর পূর্ব পাশে বড় শিব মন্দির এবং উত্তর দিকে রয়েছে শিব সাগর নামক দীঘি।

অবকাঠামো সম্পাদনা এটি পাতলা ইট, চুন-সুরকি দ্বারা নির্মিত। চমৎকার নির্মাণশৈলী বিশিষ্ট এ মন্দিরে পুঠিয়ার মন্দির চত্বরে অবস্থিত অন্যান্য মন্দিরের মত পোড়ামাটির কোন ফলক দেখা যায় না। চারপাশে বারান্দা বিশিষ্ট অষ্টকোণাকৃতি এ মন্দিরে বাইরের দিকে ৮ টি পিলার আছে। উত্তর ও পূর্ব দিকে রয়েছে দুইটি খিলান দরজা। দরজার চৌকাঠ বেলে পাথরের তৈরি এবং এতে চমৎকার অলঙ্করণ রয়েছে। গম্বুজ আকৃতির এই মন্দিরের ছাদের উপরের অংশ কলস আকৃতির ফেনিয়েল দ্বারা সজ্জিত। দোতলাবিশিষ্ট এ মন্দিরের উপরের কক্ষটি নিচের কক্ষের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ছোট এবং এই কক্ষের চারপাশে উন্মুক্ত প্রবেশ পথ রয়েছে। উল্লেখ্য এটির চারপাশে কোন সীমানা প্রাচীর নেই।
বর্তমান অবস্থা সম্পাদনা বর্তমানে এখানে কোন পূজা অর্চনা আর হয় না। পরিত্যক্ত এই মন্দিরের মূল অবকাঠামো এখনো অবিকৃত আছে। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে এবং দেয়ালের অনেক জায়গায় পলেস্তারা উঠে গিয়েছে।

রথ মন্দির, বড় শিব মন্দির ও শিব সাগর ছবি -২০১৯ !! 😍
#পুঠিয়ারাজবাড়ী
ভ্রমণ বিষয়ক যে কোনো তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগযোগ করুন Traveliyan এ অথবা কল করুন -
01678623251

Address

Imperial Irish H# Mo-3, 1st Floor, Merul Badda
Dhaka
1212.

Telephone

+8801678623251

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Traveliyan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Traveliyan:

Videos

Share

Category

Traveliyan

Traveliyan is one of the emerging online and offline travel booking brands in Bangladesh. At Traveliyan, we are versatile to our customer's needs and demands. We provide comprehensive travel solutions for leisure, group, corporate or educational purpose. Traveliyan offers extraordinary offers, some of the lowest airfares, transport, and vehicles, exclusive discounts and a seamless booking experience. We look forward to a mutually beneficial business association with our clients and provide the best possible assistance to ensure the ultimate traveling experience.

Nearby travel agencies