Haramain Hajj Umrah

Haramain Hajj Umrah This organization will serve the hajjis with best effort. This organization will serve the hajjis with best effort despite of its profit.
(1)

Objective :Prime objective of this venture is to make a organization or institution who will guide the potential Hajjis for performing the Hajj in accordance with the rules & regulation of Islam. Haramain Hajj Umrah Main Objective :

Prime objective of this venture is to make a organization or institution who will guide the potential Hajjis for performing the Hajj in accordance with the rules & regulation of Islam. Try to make all the Hajj kafela near to “Zero complain”.

উমরাহ/সৌদি আরব ভ্রমনের ভ্যাকসিন আপডেট-আমি বেশ কয়েকটি জায়গায় মেনিনজাইটিস এর ভ্যাকসিনের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছি গত ২-৩ দিন ধর...
15/01/2025

উমরাহ/সৌদি আরব ভ্রমনের ভ্যাকসিন আপডেট-

আমি বেশ কয়েকটি জায়গায় মেনিনজাইটিস এর ভ্যাকসিনের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছি গত ২-৩ দিন ধরে। সবার উপকারের জন্য আমি যা যা জানতে পেরেছি তা জানাচ্ছি।
মেনিনজাইটিসের ভ্যাকসিন মূলত ২ ধরণের আছে:
১. পলিস্যাকারাইড ভ্যাকসিন(Polysaccharide): IngoVax - ইনসেপ্টা কোম্পানি বানায় (১০০০ টাকা) (মেয়াদ ৩ বছর)
২. কনজুগেটেড ভ্যাকসিন(Conjugated): বিদেশী কোম্পানির ভ্যাকসিন (৪২০০ - ৪৫০০ টাকা)

আমি ভ্যাকসিন গুলা যেখানে যেখানে পাইসি:
১. পিজি(BSMMU) হাসপাতাল : IngoVax(১০০০ টাকা), Nimenrix(৪৩০০ টাকা) (স্টক আছে কিনা কল দিয়ে যাবেন অবশ্যই)
লোকেশন: Shahbag, Dhaka
ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দিবেনা, ভ্যাকসিন কার্ড দিবে শুধু।
২. BRB হাসপাতাল: Nimenrix (৪৫০০ টাকা)
লোকেশন: 77/A Panthapath, Dhaka
ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দিবেনা, ভ্যাকসিন কার্ড দিবে শুধু।
৩. Radda MCH-FP Centre, Dhaka: Menectra(৪২০০ টাকা)
লোকেশন: মিরপুর ১০
ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দিচ্ছে(৫০০ টাকা এক্সট্রা লাগবে)
৪. প্রাভা হেলথ: IngoVax(১০০০ টাকা) + সার্ভিস চার্জ ৩০০ টাকা
লোকেশন: Block C, Plot 9 Rd 17, Banani, Dhaka
ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দিবেনা, ভ্যাকসিন কার্ড দিবে শুধু।
৪. কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল: ভ্যাকসিন নেই।
৫. অলোক হাসপাতাল: ভ্যাকসিন নেই।

আমরা Radda MCH-FP Centre থেকে Menactra(Synovia Company, France) ভ্যাকসিন দিয়েছি। Ingovax ভ্যাকসিনটা গ্লোবালি রিকোগনাইজড কিনা আমি নিশ্চিত না এইজন্য Menactra/Nemenrix দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা।

15/01/2025

মাহে রমজানের দু’মাস আগেই ওমরাহ টিকিট নিয়ে তুঘলকি কা- শুরু হয়েছে। মূল্য নির্ধারণে নিয়ন্ত্রণের কোনো কার্যকরী উদ্য....

🕋 ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখে সৌদিয়া এয়ারলাইনের সরাসরি বিমানে - উমরাহ্ বুকিং চলছে ।🟩উমরাহ্ প্যাকেজ শুরু: ১,৪৩,৫০০ টাকা থেক...
15/01/2025

🕋 ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখে সৌদিয়া এয়ারলাইনের সরাসরি বিমানে - উমরাহ্ বুকিং চলছে ।
🟩উমরাহ্ প্যাকেজ শুরু: ১,৪৩,৫০০ টাকা থেকে – বুকিং করুন: 01616-121130, +8801877773481, (whats app)

20 February 10 Days Flight Schedule
Departure: 20 Feb / DAC-JED / 13:20 SV 809
Return: 01 Mar / MED-DAC / 03:55 SV 798

20 February 14 Days Flight Schedule with Ramadan
Departure: 20 Feb / DAC-JED / 13:20 SV 809
Return: 05 Mar / MED-DAC / 03:55 SV 798

🟩 রামাদানের প্রথম ৫ দিন - ১৪ দিনের উমরাহ্ প্যকেজে অন্তর্ভুক্ত আছে ।
✈️ সরাসরি ফ্লাইট
📘 ১০ দিনের প্যাকেজ: 📘 সাশ্রয়ী প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৪৩,৫০০/- (জনপ্রতি)
📘 ১৪ দিনের প্যাকেজ: 📘 সাশ্রয়ী প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৫২,৫০০/- (জনপ্রতি)
📗 ১০ দিনের প্যাকেজ: ⚛️ সুপার ইকোনমি প্যাকেজ – (৩* হোটেল মক্কা ও মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ১,৬৬,৫০০/- (জনপ্রতি)
📗 ১০ দিনের প্যাকেজ: ⚛️ সুপার ইকোনমি প্যাকেজ – (৩* হোটেল মক্কা ও মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ১,৭৭,৫০০/- (জনপ্রতি)
📕 ১০ দিনের প্যাকেজ: ✴️ স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ – (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,১৪,৫০০/- (জনপ্রতি)
📕 ১৪ দিনের প্যাকেজ: ✴️ স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ – (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,৩৭,৫০০/- (জনপ্রতি)

📍 Haramain Hajj Umrah Limited
Office Address: Paltan China Town, East Tower - Suite #17/3, Level-16, 68 Naya Paltan, VIP Road, Dhaka-1000, Bangladesh
Office LOCATION MAP - https://cutt.ly/xRSNmf7

সম্প্রতি সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভ্রমণের কমপক্ষে ১০ দিন আগে মেনিনজাইটিসের ট...
15/01/2025

সম্প্রতি সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভ্রমণের কমপক্ষে ১০ দিন আগে মেনিনজাইটিসের টিকা নিতে হবে, ভ্রমণের সময় সেই টিকা নেয়ার প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।

সৌদি প্রশাসন জানিয়েছে, ১ বছরের বেশি বয়সী সব ভ্রমণকারীর জন্য মেনিনজাইটিসের টিকা বাধ্যতামূলক। তবে যারা ১০ বছর আগে এই টিকা নিয়েছেন, তাদের নতুন করে টিকা নেয়ার প্রয়োজন নেই।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

13/01/2025

🕋 ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখে সৌদিয়া এয়ারলাইনের সরাসরি বিমানে - উমরাহ্ বুকিং চলছে ।
🟩উমরাহ্ প্যাকেজ শুরু: ১,৪৩,৫০০ টাকা থেকে – বুকিং করুন: 01616-121130, +8801877773481, (whats app)

20 February 10 Days Flight Schedule
Departure: 20 Feb / DAC-JED / 13:20 SV 809
Return: 01 Mar / MED-DAC / 03:55 SV 798

20 February 14 Days Flight Schedule with Ramadan
Departure: 20 Feb / DAC-JED / 13:20 SV 809
Return: 05 Mar / MED-DAC / 03:55 SV 798

🟩 রামাদানের প্রথম ৫ দিন - ১৪ দিনের উমরাহ্ প্যকেজে অন্তর্ভুক্ত আছে ।
✈️ সরাসরি ফ্লাইট
📘 ১০ দিনের প্যাকেজ: 📘 সাশ্রয়ী প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৪৩,৫০০/- (জনপ্রতি)
📘 ১৪ দিনের প্যাকেজ: 📘 সাশ্রয়ী প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৫২,৫০০/- (জনপ্রতি)
📗 ১০ দিনের প্যাকেজ: ⚛️ সুপার ইকোনমি প্যাকেজ – (৩* হোটেল মক্কা ও মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ১,৬৬,৫০০/- (জনপ্রতি)
📗 ১০ দিনের প্যাকেজ: ⚛️ সুপার ইকোনমি প্যাকেজ – (৩* হোটেল মক্কা ও মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ১,৭৭,৫০০/- (জনপ্রতি)
📕 ১০ দিনের প্যাকেজ: ✴️ স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ – (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,১৪,৫০০/- (জনপ্রতি)
📕 ১৪ দিনের প্যাকেজ: ✴️ স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ – (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,৩৭,৫০০/- (জনপ্রতি)

📍 Haramain Hajj Umrah Limited
Office Address: Paltan China Town, East Tower - Suite #17/3, Level-16, 68 Naya Paltan, VIP Road, Dhaka-1000, Bangladesh
Office LOCATION MAP - https://cutt.ly/xRSNmf7

🕋 জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারী ২০২৫ - উমরাহ্ বুকিং চলছে ।🟩উমরাহ্ প্যাকেজ শুরু: ১,২৮,০০০ টাকা থেকে – বুকিং করুন: 01616-121130, +...
10/01/2025

🕋 জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারী ২০২৫ - উমরাহ্ বুকিং চলছে ।
🟩উমরাহ্ প্যাকেজ শুরু: ১,২৮,০০০ টাকা থেকে – বুকিং করুন: 01616-121130, +8801877773481, (whats app)

🛩️ ট্রান্সজিট এয়ারলাইন্স
📘 ১০ দিনের প্যাকেজ: 🌐সাশ্রয়ী প্যাকেজ– (১ রুমে ৪ জন) ১,২৮,০০০/- (জনপ্রতি)
📘 ১৪ দিনের প্যাকেজ: 🌐সাশ্রয়ী প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৩৫,০০০/- (জনপ্রতি)
📗 ১০ দিনের প্যাকেজ: ⚛️ সুপার ইকোনমি প্যাকেজ – (৩* হোটেল মক্কা ও মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ১,৪৪,০০০/- (জনপ্রতি)
📗 ১৪ দিনের প্যাকেজ: ⚛️ সুপার ইকোনমি প্যাকেজ – (৩* হোটেল মক্কা ও মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ১,৫৫,০০০/- (জনপ্রতি)
📕 ১০ দিনের প্যাকেজ: ✴️ স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ – (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ১,৯৮,০০০/- (জনপ্রতি)

✈️ সরাসরি ফ্লাইট
📘 ১০ দিনের প্যাকেজ: 📘 সাশ্রয়ী প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৩৬,০০০/- (জনপ্রতি)
📘 ১৪ দিনের প্যাকেজ: 📘 সাশ্রয়ী প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৪৫,০০০/- (জনপ্রতি)
📗 ১০ দিনের প্যাকেজ: ⚛️ সুপার ইকোনমি প্যাকেজ – (৩* হোটেল মক্কা ও মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ১,৫৯,০০০/- (জনপ্রতি)
📗 ১০ দিনের প্যাকেজ: ⚛️ সুপার ইকোনমি প্যাকেজ – (৩* হোটেল মক্কা ও মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ১,৭০,০০০/- (জনপ্রতি)
📕 ১০ দিনের প্যাকেজ: ✴️ স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ – (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,০৭,০০০/- (জনপ্রতি)

📍 Haramain Hajj Umrah Limited
Office Address: Paltan China Town, East Tower - Suite #17/3, Level-16, 68 Naya Paltan, VIP Road, Dhaka-1000, Bangladesh
Office LOCATION MAP - https://cutt.ly/xRSNmf7

10/01/2025
হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর একটি নাম, একটি ইতিহাসঃহজ্ব সম্পাদনকারীগণ প্রতি বছর হজ্বের বিশ্ব সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে হজ্বের ব...
08/01/2025

হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর একটি নাম, একটি ইতিহাসঃ
হজ্ব সম্পাদনকারীগণ প্রতি বছর হজ্বের বিশ্ব সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে হজ্বের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। তার মধ্যে হাজরে আসওয়াদ অর্থাৎ কালো পাথরে হাত স্থাপন ও চুম্বন তত্ত্বও গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। কাবা ঘরের পূর্ব কোণে ভূমি হতে প্রায় ৫ ফুট উপরে দরজায় অনতিদূরে দেওয়ালের মধ্যে কালো পাথর গাথা আছে। এই কালো পাথরের ইতিহাস সুদূরপ্রসারী।

পবিত্র কাবার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে, জমিন থেকে ১.১০ মিটার উচ্চতায় হাজরে আসওয়াদ স্থাপিত। হাজরে আসওয়াদ দৈর্ঘে ২৫ সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ১৭ সেন্টিমিটার।

ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেন, “হাজরে আসওয়াদ নামে কাল পাথরটি জান্নাত থেকে আসে, এটা দুধের চেয়েও সাদা ছিল, কিন্তু আদম সন্তানের পাপ এটাকে কাল করেছে”। [তিরমিজি শরীফঃ ৮৭৭, সুনানে আহমদঃ ২৭৯২ (ইবনে খুজায়মা হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন ৪/২১৯)]
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘রোকনে আসওয়াদ অর্থাৎ হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইব্রাহিম বেহেশতের দুটো ইয়াকুত পাথর।’ (তিরমিজি)


ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) ও পুত্র ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) কাবার প্রাচীর তৈরি করতে করতে যখন রুকনের স্থানে পৌঁছান তখন ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) আল্লাহর নিবেদিত প্রাণপুত্র ইসমাঈলকে বলেনঃ “একটি সুন্দর পাথর খুঁজে নিয়ে এসো। পাথরখানা এখানে রাখবো। তাহলে মানুষের কাবা প্রদক্ষিণের চিহ্নের কাজ দেবে”। পুত্র ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) পিতাকে বলেনঃ “পিতা! আমি অত্যন্ত ক্লান্ত”। তিনি বলেনঃ “তবুও যাও”। তারপর পুত্র পাথরের সন্ধানে বের হলেন। এমন সময় জীবরাঈল (আলাইহিস সালাম) পাথরখানা নিয়ে আসেন (তারিখে মক্কা-ইবনে কাসীর)।

কাবা ঘর বহু ঘাত-প্রতিঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। তার সাথে হাজরে আসওয়াদ ও স্থানচ্যুত হয়েছে। এই কালো পাথরের সাথে বিশ্বনাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অ সাল্লাম) এর সম্পর্ক জড়িত। বিশ্বনাবীর নবুয়্যাত প্রাপ্তির অর্থাৎ নাবীরূপে আবির্ভাবের কয়েক বছর আগে কাবা ঘরের নির্মাণ কাজ চলছিল। কালো পাথরখানা দেওয়ালে স্থাপনের চিন্তা-ভাবনাও হচ্ছিল। তবে কে স্থাপন করবে? কোন গোত্র করবে? এ নিয়ে মক্কার অমুসলিমদের মধ্যে চরম অশান্তি, গোলযোগ, বিবাদ দেখা দেয়। কারণ তারাও পাথরখানার গুরুত্ব বুঝত। আবু উমাইয়া ঘটনার পরিণতি উপলব্ধি করে বললেনঃ তোমরা শান্ত হও। যে লোক আজ সর্বপ্রথম কাবা ঘরে প্রবেশ করবে তার উপরেই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব অর্পণ করবো। তোমরা কি এতে সম্মত আছো? বয়োবৃদ্ধ ও জ্ঞানবৃদ্ধের প্রস্তাবে সবাই সম্মত হল। দেখা গেল আরবের আল আমীন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলিইহি ওয়া সাল্লাম) কাবা ঘরে প্রথম এলেন। ঘটনা বলে সবাই তাঁর কাছেই সমাধান চাইলো। বিশ্ব সমস্যা সমাধানকারী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেক গোত্রের একজন করে প্রতিনিধি নিয়ে পাথরের কাছে গেলেন। বিশ্ব নবী চাদর বিছিয়ে স্বহস্তে হাজরে আসওয়াদখানা তুলে চাদরের মধ্যস্থলে রাখলেন। এবার গোত্রের প্রতিনিধিদের বললেন, সবাই চাদরখানা ধরে পাথরটি যথাস্থানে নিয়ে যান। নবীর চমৎকার পদ্ধতিতে সন্তুষ্ট হয়ে সবাই তাই করল। হাজরে আসওয়াদ জান্নাতের পাথর। তাই পাথর ফেরেশতাদের স্পর্শও আদম, ইব্রাহীম, ইসমাঈল (আলাইহিমুস সালাম) দের স্পর্শ জড়িত আছে। অতএব এই পবিত্র পাথর ভাবী বিশ্বনাবীর পবিত্র হাতেই যথাস্থানে স্থাপিত হওয়া উচিত। তাই নাবী (সাল্লাল্লাহু অলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাদরের উপর থেকে তুলে পাথরখানা যথাস্থানে স্থাপন করলেন।

বিশ্বনাবী(সাঃ)বলেনঃ আল্লাহর শপথ করে বলছি সত্যই আল্লাহ শেষ বিচারের দিন হাজরে আসওয়াদ পাথরটি পাঠাবেন। পাথরের দুটো চোখ হবে এবং দেখবে। একটি জিহবা হবে এবং কথা বলবে। যে লোক সঠিকভাবে পাথরে চুম্বন করবে ঐ পাথর সাক্ষ্য প্রদান করবে (তিরমিযী)।

মুসলমানরা কালো পাথরকে ভালমন্দের মালিক ভাবে না। উমারের(রাঃ) কথাটি বললেই ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তিনি বলেনঃ “আমি স্পষ্টই জানি যে তুমি একটি পাথর মাত্র। তুমি আমাদের ভালো মন্দের, লাভ লোকসানের মালিক নও। বিশ্বনাবী (সাঃ)কে চুম্বন দিতে না দেখলে আমি তোমায় চুম্বন দিতাম না” (বুখারী)।

কালো পাথর চুম্বনের তাৎপর্য হচ্ছে-আল্লাহর প্রতি ভক্তি ও ভালবাসার নিদর্শন। পাথর চুম্বনের দ্বিতীয় তাৎপর্য হচ্ছে-একই পাথরে একই স্থানে লাখ লাখ হাজীর চুম্বনে ভেঙ্গে যায় রাজা-প্রজার, মালিক-শ্রমিকের, শিক্ষিত-অশিক্ষিতের, আরব-অনারবের, কালো-সাদার,ধনী-নির্ধনের, ছুত-অছুতের বিভেদের জঘন্য প্রাচীর। এই শুভ লগ্নে বিশ্বের হাজীরা বিশ্বভ্রাতৃত্বে একত্রিত হয়। মালেকী, হাম্বলী, হানাফী, শাফেয়ী, শিয়া-সুন্নী বিভিন্ন মাজহাবের প্রাচীর খান খান হয়ে ভেঙ্গে সবার মুখ, হাত-এক মুখ, হাত হয়ে যায়। কেউ কাউকে ঘৃণা করে না। একজনের চুম্বনের জায়গায় অন্যজন চুম্বন দিতে অস্বীকার করে না।

মুসলিম বিশ্বের কোন মুসলিমও মানুষকে ঘৃণা করে না। সারা বিশ্ব তাদের স্বদেশ। তাই আল্লামা ইকবাল বলেনঃ “মুসলিম হ্যাঁয় হাম ওয়াতান হ্যাঁয় সারা জাঁহা হামারা” (আমি মুসলিম, সারা পৃথিবী আমার স্বদেশ)। এধরনের অন্তরের সম্প্রসারণ এবং দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হচ্ছে হজ্বের তথা বিশ্ব সম্মেলনের লক্ষ্য।

শুরুতে হাজরে আসওয়াদ একটুকরো ছিল, কারামিতা সম্প্রদায় ৩১৯ হিজরীতে পাথরটি উঠিয়ে নিজেদের অঞ্চলে নিয়ে যায়। সেসময় পাথরটি ভেঙে ৮ টুকরায় পরিণত হয়। এ টুকরোগুলোর সবচেয়ে বড়োটি খেজুরের মতো। টুকরোগুলো বর্তমানে অন্য আরেকটি পাথরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে যার চার পাশে দেয়া হয়েছে রুপার বর্ডার। রুপার বর্ডারবিশিষ্ট পাথরটি চুম্বন নয় বরং তাতে স্থাপিত হাজরে আসওয়াদের টুকরোগুলো চুম্বন বা স্পর্শ করতে পারলেই কেবল হাজরে আসওয়াদ চুম্বন-স্পর্শ করা হয়েছে বলে ধরা হবে।

এক বর্ণনা থেকে জানা যায়, হযরত নূহ (আ•) এর তুফানের সময় হযরত জিবরাইল (আ•) পাথরটি আবু কুবাইস পাহাড়ে লুকিয়ে রাখেন হযরত ইব্রাহিম (আ•) কতৃর্ক কাবাঘর নির্মিত হলে তাওয়াফ শুরু করার স্থান চিহ্নিত করার লক্ষ্যে হযরত ইসমাইল (আ•) একটি পাথর তালাশ করার সময় হযরত জিবরাইল (আ•) ওই পাথরটি এনে দেন। অতঃপর হযরত ইব্রাহিম (আ•) তা বাইতুল্লাহ শরিফের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে স্থাপন করেন।

হযরত আবদুল্লাহ বিন জোবায়েরের শাসনামলে মক্কায় ৭৫৬ সালে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হলে এটা কয়েক টুকরা হয়ে যায় ফলে রূপার আধারে সাজিয়ে সংযুক্ত করা হয়। ৯৩০ সালের প্রথমদিকে শিয়াদের একটি গ্রুপ কারমাতিরা এই পাথর চুরি করে বাহরাইনে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের নেতা আবু তাহের আল কারমাতি তার গড়া মসজিদ মাসজিদ আল দিরারে স্থাপন করেন হজ্জের স্থান পরিবর্তন করার দুরাশায়। আব্বাসীয় বংশীয় নেতারা বিপুল টাকার বিনিময়ে পাথরটি ৯৫২ সালে মক্কায় ফিরিয়ে আনেন।

মোদ্দাকথা হাদিস শরিফে হাজরে আসওয়াদকে বেহেশতি পাথর বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘রোকনে আসওয়াদ অর্থাৎ হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইব্রাহিম বেহেশতের দুটো ইয়াকুত পাথর।’ (তিরমিজি) হাজরে আসওয়াদের স্থাপনের সাথে হযরত ইব্রাহিম(আঃ) ও তার পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) এর নাম জড়িত। বিভিন্ন ভাবে বর্ননা থাকলেও তারাই এই পাথরকে কাবায় স্থাপন করেছেন। হযরত মোহাম্মদ(সাঃ) এই পাথরকে চুম্বন করেছিলেন বলে তার উম্মতরা হজ্জে সরাসরি বা ইশারা করে চুম্বন করে থাকে।

এই পাথরের ভাল মন্দের কোন ক্ষমতা নাই। সুন্নতের অংশ হিসেবেই চুম্বনের রেওয়াজ জারী হয়েছে। হযরত উমর(রাঃ) এর বাণী। তিনি বলেছেন-"আমি জানি, তুমি একখানা পাথর, তোমার উপকার ও ক্ষতিসাধন করার কোনো ক্ষমতা নেই। রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে তোমার গায়ে চুম্বন করতে না দেখতাম, তাহলে আমি কখনো তোমাকে চুমু দিতাম না"

আমাদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা বায়তুল্লাহ তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদ চুম্বনের জন্য রীতিমতো যুদ্ধ শুরু করেন। এভাবে ধাক্কাধাক্কি করে লোকদের কষ্ট দিয়ে তাওয়াফ করা ঠিক নয়। যদি চুম্বন দেয়া সম্ভব না হয়, ডান হাত দিয়ে ইশারা করলেও হবে। এর দিকে সম্প্রসারিত করে স্বীয় হস্তে চুম্বন করলেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে এবং আল্লাহপাক হাজরে আসওয়াদ চুম্বনের বরকত দান করবেন।

রাহমানুর রাহিম আল্লাহতায়ালার কাছে ফরিয়াদ জানাচ্ছি তিনি যেন আমাদের স্মৃতিবিজড়িত পাথরটিকে চুম্বন করার তাওফিক দান করেন।
আমিন

🕋 রামাদান ২০২৫ সালের উমরাহ্ বুকিং চলছে – বুকিং করুন: 01616-121130, +8801877773481, (whats app)✳️ রামাদানের শেষ ১৪ দিনের ...
04/01/2025

🕋 রামাদান ২০২৫ সালের উমরাহ্ বুকিং চলছে – বুকিং করুন: 01616-121130, +8801877773481, (whats app)

✳️ রামাদানের শেষ ১৪ দিনের প্যাকেজে হারামাইন হজ উমরাহ্ লিমিটেডের শরিয়া কন্সালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন:
🟩"প্রফেসর শাইখ ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া"
ও🟩 শাইখ ড. মুকাররম বিন মুহসিন মাদানী ।
ইনশাহআল্লাহ ।

রামাদান ১ম গ্রুপ – রামাদান মাসের প্রথম ১০ ও ১৪ দিন
🛩️ ট্রান্সজিট এয়ারলাইন্স
📘 ১০ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৬৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ১,৯৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,৭০,০০০/- জনপ্রতি)
📗 ১৪ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৮৩,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,১৩,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা )- (১ রুমে ৪ জন) ৩,১৬,০০০/- (জনপ্রতি)

✈️ সরাসরি ফ্লাইট
📘 ১০ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৭৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,০৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,৮০,০০০/- জনপ্রতি)
📗 ১৪ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৯৩,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,২৩,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা )- (১ রুমে ৪ জন) ৩,২৬,০০০/- (জনপ্রতি)

📗 রামাদান ২য় গ্রুপ – রামাদান মাসের শেষ ১০ দিন + ঈদ সহ ১৪ দিনরে প্যাকেজ
🛩️ ট্রান্সজিট এয়ারলাইন্স - 📙 ১৪ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ২,০০,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ৩,০০,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ৫,৭৭,০০০/- জনপ্রতি)

✈️ সরাসরি ফ্লাইট - 📙 ১৪ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ২,১৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ৩,১৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ৫,৯২,০০০/- জনপ্রতি)

🌙রামাদান 🕌 ইতিকাফ প্যাকেজ
🛩️ ট্রান্সজিট এয়ার টিকেট + ভিসা + ট্রান্সপোর্ট(বাস) + ব্যাগেজ সাপোর্ট(হোটেল রুম)* [শর্ত প্রযোজ্য]
*🌀 মোট খরচ ১,৪৫,০০০ টাকা
✈️ সরাসরি এয়ার টিকেট + ভিসা + ট্রান্সপোর্ট(বাস) + ব্যাগেজ সাপোর্ট(হোটেল রুম)* [শর্ত প্রযোজ্য]
*🌀 মোট খরচ ১,৬০,০০০ টাকা
🛩️ এয়ার টিকেট + ভিসা + ট্রান্সপোর্ট(বাস)= ১,৩০,০০০ টাকা ।
🛂 * শর্ত প্রযোজ্য ( রিয়ালের রেট পরিবর্তনের কারণে রামাদান মাসের টিকেট/ভিসা মূল্য পরিবর্তন হতে পারে।

🕋 রামাদান ২০২৫ সালের উমরাহ্ প্যাকেজগুলি দেখতে ভিজিট করুন:
https://haramainbd.com/umrah/ramadan/

📍 Haramain Hajj Umrah Limited
Office Address: Paltan China Town, East Tower - Suite #17/3, Level-16, 68 Naya Paltan, VIP Road, Dhaka-1000, Bangladesh
Office LOCATION MAP - https://cutt.ly/xRSNmf7
See less

🕋 রামাদান ২০২৫ সালের উমরাহ্ বুকিং চলছে – বুকিং করুন: 01616-121130, +8801877773481, (whats app)✳️ রামাদানের শেষ ১৪ দিনের ...
04/01/2025

🕋 রামাদান ২০২৫ সালের উমরাহ্ বুকিং চলছে – বুকিং করুন: 01616-121130, +8801877773481, (whats app)

✳️ রামাদানের শেষ ১৪ দিনের প্যাকেজে হারামাইন হজ উমরাহ্ লিমিটেডের শরিয়া কন্সালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন:
🟩“শাইখ ড. মুকাররম বিন মুহসিন মাদানী” ও
🟩"প্রফেসর শাইখ ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া" ।
ইনশাহআল্লাহ ।

রামাদান ১ম গ্রুপ – রামাদান মাসের প্রথম ১০ ও ১৪ দিন
🛩️ ট্রান্সজিট এয়ারলাইন্স
📘 ১০ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৬৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ১,৯৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,৭০,০০০/- জনপ্রতি)
📗 ১৪ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৮৩,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,১৩,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা )- (১ রুমে ৪ জন) ৩,১৬,০০০/- (জনপ্রতি)

✈️ সরাসরি ফ্লাইট
📘 ১০ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৭৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,০৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,৮০,০০০/- জনপ্রতি)
📗 ১৪ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৯৩,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,২৩,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা )- (১ রুমে ৪ জন) ৩,২৬,০০০/- (জনপ্রতি)

📗 রামাদান ২য় গ্রুপ – রামাদান মাসের শেষ ১০ দিন + ঈদ সহ ১৪ দিনরে প্যাকেজ
🛩️ ট্রান্সজিট এয়ারলাইন্স - 📙 ১৪ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ২,০০,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ৩,০০,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ৫,৭৭,০০০/- জনপ্রতি)

✈️ সরাসরি ফ্লাইট - 📙 ১৪ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ২,১৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ৩,১৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ৫,৯২,০০০/- জনপ্রতি)

🌙রামাদান 🕌 ইতিকাফ প্যাকেজ
🛩️ ট্রান্সজিট এয়ার টিকেট + ভিসা + ট্রান্সপোর্ট(বাস) + ব্যাগেজ সাপোর্ট(হোটেল রুম)* [শর্ত প্রযোজ্য]
*🌀 মোট খরচ ১,৪৫,০০০ টাকা
✈️ সরাসরি এয়ার টিকেট + ভিসা + ট্রান্সপোর্ট(বাস) + ব্যাগেজ সাপোর্ট(হোটেল রুম)* [শর্ত প্রযোজ্য]
*🌀 মোট খরচ ১,৬০,০০০ টাকা
🛩️ এয়ার টিকেট + ভিসা + ট্রান্সপোর্ট(বাস)= ১,৩০,০০০ টাকা ।
🛂 * শর্ত প্রযোজ্য ( রিয়ালের রেট পরিবর্তনের কারণে রামাদান মাসের টিকেট/ভিসা মূল্য পরিবর্তন হতে পারে।

🕋 রামাদান ২০২৫ সালের উমরাহ্ প্যাকেজগুলি দেখতে ভিজিট করুন:
https://haramainbd.com/umrah/ramadan/

📍 Haramain Hajj Umrah Limited
Office Address: Paltan China Town, East Tower - Suite #17/3, Level-16, 68 Naya Paltan, VIP Road, Dhaka-1000, Bangladesh
Office LOCATION MAP - https://cutt.ly/xRSNmf7
See less

🕋 রামাদান ২০২৫ সালের উমরাহ্ বুকিং চলছে – বুকিং করুন: 01616-121130, +8801877773481, (whats app)✳️ রামাদানের শেষ ১৪ দিনের ...
04/01/2025

🕋 রামাদান ২০২৫ সালের উমরাহ্ বুকিং চলছে – বুকিং করুন: 01616-121130, +8801877773481, (whats app)

✳️ রামাদানের শেষ ১৪ দিনের প্যাকেজে হারামাইন হজ উমরাহ্ লিমিটেডের শরিয়া কন্সালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন:
"প্রফেসর শাইখ ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া"
ও শাইখ ড. মুকাররম বিন মুহসিন মাদানী ।
ইনশাহআল্লাহ ।

রামাদান ১ম গ্রুপ – রামাদান মাসের প্রথম ১০ ও ১৪ দিন
🛩️ ট্রান্সজিট এয়ারলাইন্স
📘 ১০ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৬৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ১,৯৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,৭০,০০০/- জনপ্রতি)
📗 ১৪ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৮৩,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,১৩,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা )- (১ রুমে ৪ জন) ৩,১৬,০০০/- (জনপ্রতি)

✈️ সরাসরি ফ্লাইট
📘 ১০ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৭৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,০৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,৮০,০০০/- জনপ্রতি)
📗 ১৪ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ১,৯৩,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ২,২৩,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা )- (১ রুমে ৪ জন) ৩,২৬,০০০/- (জনপ্রতি)

📗 রামাদান ২য় গ্রুপ – রামাদান মাসের শেষ ১০ দিন + ঈদ সহ ১৪ দিনরে প্যাকেজ
🛩️ ট্রান্সজিট এয়ারলাইন্স - 📙 ১৪ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ২,০০,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ৩,০০,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ৫,৭৭,০০০/- জনপ্রতি)

✈️ সরাসরি ফ্লাইট - 📙 ১৪ দিনের প্যাকেজ:
✳️ জেনারেল প্যাকেজ – (১ রুমে ৪ জন) ২,১৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🌐 ইকোনোমি প্যাকেজ (৩* হোটেল ) – (১ রুমে ৪ জন) ৩,১৫,০০০/- (জনপ্রতি)
🪩 স্ট্যান্ডার্ড (৫* হোটেল মক্কা ও ৩* হোটেল মদিনা ) – (১ রুমে ৪ জন) ৫,৯২,০০০/- জনপ্রতি)

🌙রামাদান 🕌 ইতিকাফ প্যাকেজ
🛩️ ট্রান্সজিট এয়ার টিকেট + ভিসা + ট্রান্সপোর্ট(বাস) + ব্যাগেজ সাপোর্ট(হোটেল রুম)* [শর্ত প্রযোজ্য]
*🌀 মোট খরচ ১,৪৫,০০০ টাকা
✈️ সরাসরি এয়ার টিকেট + ভিসা + ট্রান্সপোর্ট(বাস) + ব্যাগেজ সাপোর্ট(হোটেল রুম)* [শর্ত প্রযোজ্য]
*🌀 মোট খরচ ১,৬০,০০০ টাকা
🛩️ এয়ার টিকেট + ভিসা + ট্রান্সপোর্ট(বাস)= ১,৩০,০০০ টাকা ।
🛂 * শর্ত প্রযোজ্য ( রিয়ালের রেট পরিবর্তনের কারণে রামাদান মাসের টিকেট/ভিসা মূল্য পরিবর্তন হতে পারে।

🕋 রামাদান ২০২৫ সালের উমরাহ্ প্যাকেজগুলি দেখতে ভিজিট করুন:
https://haramainbd.com/umrah/ramadan/

📍 Haramain Hajj Umrah Limited
Office Address: Paltan China Town, East Tower - Suite #17/3, Level-16, 68 Naya Paltan, VIP Road, Dhaka-1000, Bangladesh
Office LOCATION MAP - https://cutt.ly/xRSNmf7
See less

প্রশ্ন: আমি হজ্জ আদায়ের পদ্ধতি বিস্তারিত জানতে চাই।উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ। হজ্জ একটি উত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত। এটি ইসল...
03/01/2025

প্রশ্ন: আমি হজ্জ আদায়ের পদ্ধতি বিস্তারিত জানতে চাই।
উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ। হজ্জ একটি উত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত। এটি ইসলামের পঞ্চখুঁটির অন্যতম। যে ইসলাম দিয়ে আল্লাহ তাআলা নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাঠিয়েছেন। যে খুঁটিগুলো ব্যতীত কোন ব্যক্তির দ্বীনদারি পূর্ণতা পেতে পারে না। যে কোন ইবাদত দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাছিল হতে হলে ও ইবাদত কবুল হতে হলে দুইটি বিষয় আবশ্যক:
এক. আল্লাহর জন্য মুখলিস বা একনিষ্ঠ হওয়া। অর্থাৎ সে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের কল্যাণকে উদ্দেশ্য করা; প্রদর্শনেচ্ছা, প্রচারপ্রিয়তার উদ্দেশ্যেনা করা অথবা অন্য কোন দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে না-করা। দুই. কথা ও কাজে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ জানা ছাড়া তাঁকে অনুসরণ করা সম্ভব নয়। সুতরাং যে ব্যক্তি হজ্জ পালনের মাধ্যমে অথবা অন্যকোন ইবাদত পালনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চায় তার কর্তব্য হলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ জেনে নেয়া। নিম্নে আমরা সুন্নাহ মোতাবেক হজ্জ আদায় করার পদ্ধতি সংক্ষেপে তুলে ধরব। ইতিপূর্বে আমরা উমরা আদায় করার পদ্ধতি নং প্রশ্নের জবাবে তুলে ধরেছি। উমরাআদায় করার পদ্ধতি সে প্রশ্নের উত্তর থেকে জেনে নেয়া যেতে পারে। হজ্জের প্রকারভেদ:
হজ্জ তিন প্রকার: তামাত্তু, ইফরাদ ও ক্বিরান।
তামাত্তু হজ্জ: হজ্জের মাসসমূহে (হজ্জের মাস হচ্ছে- শাওয়াল, জ্বিলক্বদ, জ্বিলহজ্জ দেখুন আল-শারহুল মুমতি ৭/৬২) এককভাবে উমরার ইহরামবাঁধা, মক্কায় পৌঁছে তওয়াফ করা, উমরার সায়ী করা, মাথা মুণ্ডন করা অথবা চুল ছাটাই করে উমরা থেকে হালাল হয়ে যাওয়া। এরপর তারবিয়ার দিন অর্থাৎ ৮ জ্বিলহজ্জ এককভাবে হজ্জের ইহরাম বাঁধা এবং হজ্জের যাবতীয় কার্যাবলী শেষ করা। অতএব, তামাত্তু হজ্জকারী পরিপূর্ণ একটি উমরা পালন করেন এবং পরিপূর্ণ একটি হজ্জ পালন করেন। ইফরাদ হজ্জ: এককভাবে হজ্জের ইহরাম বাঁধা, মক্কায় পৌঁছে তাওয়াফে কুদুম করা, হজ্জের সায়ী করা, মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট না করে তথা ইহরাম থেকে হালাল না হয়ে ইহরাম অবস্থায় থেকে যাওয়া এবং ঈদের দিন জমরা আকাবাতে কংকর নিক্ষেপের পর ইহরাম থেকে হালাল হওয়া। আর যদি হজ্জের সায়ীকে হজ্জের তওয়াফের পরে আদায় করতে চায় সেটাতেও কোন অসুবিধা নেই। ক্বিরান হজ্জ: উমরা ও হজ্জের জন্য একত্রে ইহরাম বাঁধা অথবা প্রথমে উমরার ইহরাম বাঁধা এরপর তওয়াফ শুরু করার আগে হজ্জকে উমরার সাথে সম্পৃক্ত করা (অর্থাৎ তওয়াফ ও সায়ীকে হজ্জ ও উমরার সায়ী হিসেবে নিয়ত করা)।ক্বিরান হজ্জকারীর আমলগুলো ইফরাদ হজ্জকারীর আমলের মত। তবে ক্বিরান হজ্জকারীর উপর হাদি আছে; ইফরাদ হজ্জকারীর উপর হাদি নেই। হজ্জের প্রকারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে- তামাত্তু হজ্জ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে এই হজ্জ আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এই হজ্জ আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। এমনকি যদি কেউ ক্বিরান হজ্জ বা ইফরাদ হজ্জের নিয়ত করেফেলেতিনিতার ইহরামকে উমরার ইহরামে পরিবর্তন করে হালাল হয়ে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। যাতে করে সে ব্যক্তি তামাত্তু হজ্জ পালনকারী হতে পারেন। এমনকি সেটা তাওয়াফে কুদুম ও সায়ীর পরও হতে পারে। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি তাঁর বিদায়ী হজ্বে তওয়াফ ও সায়ী করার পর তাঁর সাহাবীগণকে নির্দেশ দেন- তোমাদের মধ্যে যার যার সাথে হাদি নেই সে যেন তার ইহরামকে উমরার ইহরামে পরিবর্তন করে মাথার চুল ছোট করে হালাল হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন: আমি যদি হাদি না নিয়ে আসতাম তাহলে তোমাদেরকে যে নির্দেশ দিচ্ছি আমিও সেটা পালন করতাম। ইহরাম:একটু আগে যে প্রশ্নের রেফারেন্স দেয়া হয়েছে সে প্রশ্নের উত্তরে ইহরামের সুন্নতগুলো যেমন- গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, নামায পড়া ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে। ইহরামের আগে সে সুন্নতগুলো পালন করতে হবে। এরপর নামায শেষ করার পর অথবা নিজ বাহনে আরোহণ করার পর ইহরাম বাঁধবে। যদি তামাত্তু হজ্জকারী হয় তাহলে বলবে:
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ بِعُمْرَةٍ
লাব্বাইকাল্লাহুম্মা বি উমরাতিন (অর্থ- হে আল্লাহ! উমরাকারী হিসেবে আপনার দরবারে হাজির)।
আর যদি ক্বিরান হজ্জ আদায়কারী হয় তাহলে বলবে:
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ
লাব্বাইকাল্লাহুম্মা বি হাজ্জাতিন ওয়া উমরাতিন (হে আল্লাহ! হজ্জ ও উমরাকারী হিসেবে আপনার দরবারে হাজির)
আর যদি ইফরাদ হজ্জকারী হয় তাহলে বলবে:
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ حَجًّا
লাব্বাইকাল্লাহুম্মা হাজ্জান (হে আল্লাহ! হজ্জকারী হিসেবে আপনার দরবারে হাজির)।
এরপর বলবেন: اللهم هذه حجة لا رياء فيها ولا سمعة আল্লাহুম্মা হাযিহি হাজ্জাতুন লা রিয়াআ ফি-হা ওয়ালা সুমআ (হে আল্লাহ! এ হজ্জকে এমন হজ্জ হিসেবে কবুল করুন যার মধ্যে লৌকিকতা ও প্রচারপ্রিয়তা নেই)। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে তালবিয়া পড়েছেন সেভাবে তালবিয়া পড়বে। সেই তালবিয়া হচ্ছে-
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ ، لَبَّيْكَ لا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لا شَرِيكَ لَكَ
লাব্বাইকাল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক। লা শারিকা লাক।
(অর্থ- হে আল্লাহ! আমি আপনার দরবারে হাজির। আমি আপনার দরবারে হাজির। আমি আপনার দরবারে হাজির। আপনি নিরঙ্কুশ। আমি আপনার দরবারে হাজির। নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা, যাবতীয় নেয়ামত আপনার-ই জন্য এবং রাজত্ব আপনার-ই জন্য। আপনি নিরঙ্কুশ।)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও একটি তালবিয়া পড়তেন সেটা হচ্ছে-
لَبَّيْكَ إِلَهَ الْحَقِّ
লাব্বাইকা ইলাহাল হাক্ব (অর্থ- ওগো সত্য উপাস্য! আপনার দরবারে হাজির)।
ইবনে উমর (রাঃ) আরেকটু বাড়িয়ে বলতেন:
لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ بِيَدَيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ
লাব্বাইকা ওয়া সাদাইক। ওয়াল খাইরু বি ইয়াদাইক। ওয়ার রাগবাউ ইলাইকা ওয়াল আমাল। (অর্থ- আমি আপনার দরবারে হাজির, আমি আপনার সৌজন্যে উপস্থিত। কল্যাণ আপনার-ই হাতে। আকাঙ্ক্ষা ও আমল আপনার প্রতি নিবেদিত)। পুরুষেরা উচ্চস্বরে তালবিয়া পড়বে।আর নারীরা এভাবে পড়বে যেন পাশের লোক শুনতে পায়। যদি পাশে বেগানা পুরুষ থাকে তাহলে গোপনে তালবিয়া পড়বেন।
ইহরামকারী যদি কোন প্রতিবন্ধকতার আশংকা করেন যেমন রোগ, শত্রু বা গ্রেফতার ইত্যাদি তাহলে ইহরামকালে শর্ত করে নেয়া ভাল। ইহরামকালে তিনি বলবেন:
إِنْ حَبَسَنِيْ حَابِسٌ فَمَحِلِّيْ حَيْثُ حَبَسْتَنِيْ
ইন হাবাসানি হাবেস ফা মাহিল্লি হাইসু হাবাসতানি (অর্থ- যদি কোন প্রতিবন্ধকতা – যেমন রোগ, বিলম্ব ইত্যাদি আমার হজ্জ পালনে- বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে আমি যেখানেপ্রতিবন্ধকতার শিকার হই সেখানে ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাব)।কেননা দুবাআ বিনতে যুবাইর (রাঃ) অসুস্থ থাকায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহরাম করাকালে তাকে শর্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন: “তুমি যে শর্ত করেছ সেটা তোমার রবের নিকট গ্রহণযোগ্য।”[সহিহ বুখারি (৫০৮৯) ও সহিহ মুসলিম (১২০৭)] যদি ইহরামকারী শর্ত করে থাকে এবং নুসুক পালনে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয় তাহলে সে ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাবে। এতে করে তার উপর অন্য কোন দায়িত্ব আসবে না। আর যদি প্রতিবন্ধকতার কোন আশংকা না থাকে তাহলে শর্ত না করাই বাঞ্ছনীয়। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শর্ত করেননি এবং সাধারণভাবে সবাইকে শর্ত করার নির্দেশও দেননি। দুবাআ বিনতে যুবাইর (রাঃ) অসুস্থ থাকায় তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। ইহরামকারীর উচিত অধিক তালবিয়া পাঠ করা। বিশেষতঃ সময় ও অবস্থার পরিবর্তনগুলোতে। যেমন উঁচুতে উঠার সময়। নীচুতে নামার সময়। রাত বা দিনের আগমনকালে। তালবিয়া পাঠের পর আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত প্রার্থনা করা এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত।
উমরার ইহরামের ক্ষেত্রে ইহরামের শুরু থেকে তওয়াফ শুরু করার আগ পর্যন্ত তালবিয়া পড়ার বিধান রয়েছে। আর হজ্জের ক্ষেত্রে ইহরাম করার পর হতে ঈদের দিন জমরা আকাবাতে কংকর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত তালবিয়া পড়ার বিধান।
মক্কায় প্রবেশের জন্য গোসল: মক্কারকাছাকাছি পৌঁছলে সম্ভব হলে মক্কায় প্রবেশের জন্য গোসল করে নিবে। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা প্রবেশের সময় গোসল করেছিলেন।[সহিহ মুসলিম (১২৫৯)]
**প্রবন্ধটি সর্ম্পূণ পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন -
https://haramainbd.com/%e0%a6%b9%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9c-%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%a4%e0%a6%bf/?fbclid=IwZXh0bgNhZW0CMTAAAR18415xFdgYu2k9GqDE8v7MfSmkcYz46_65SHmz8-TqRL3uM6fbjqtgFAA_aem_dUqVpy7DEO-tmNCEu-b_DA

সংক্ষিপ্তভাবে উমরা আদায়ের পদ্ধতি :১. উমরাকারী যখন মীকাতে পৌঁছবে তখন তার জন্য মুস্তাহাব হলো গোসল করা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছ...
03/01/2025

সংক্ষিপ্তভাবে উমরা আদায়ের পদ্ধতি :
১. উমরাকারী যখন মীকাতে পৌঁছবে তখন তার জন্য মুস্তাহাব হলো গোসল করা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া; অনুরূপভাবে উমরা আদায়কারী মহিলাও গোসল করবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হবে, যদিও এ সময় তার হায়েয বা নিফাস থাকে। হায়েয বা নিফাসওয়ালী মহিলা ইহরাম বাঁধতে পারবে, তবে সে তার হায়েয বা নিফাস থেকে পবিত্র হওয়া ও গোসল না করা পর্যন্ত বায়তুল্লাহ’র তাওয়াফ করবে না।
ইহরামের পূর্বে উমরা পালনকারী পুরুষ গায়ে সুগন্ধি লাগাবে, তবে তার ইহরামের কাপড়ে নয়। যদি মীকাতে পৌঁছার পর গোসল করা সম্ভব না হলে তাতে দোষের কিছু নেই।
মনে রাখবেন ইহরামের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সালাত নেই। তবে কোনো ফরয বা নফল সালাতের পরে ইহরাম হওয়া উত্তম। যদি সম্ভব হয় তবে তা করা যেতে পারে, নতুবা সেটাকে বাধ্যতামূলক মনে করা যাবে না।
২. পুরুষগণ সকল প্রকার সেলাইযুক্ত কাপড় (যেমন জামা, পাজামা, গেঞ্জী ইত্যাদি যা পোশাকের আকারে তৈরি তা) পরিধান থেকে বিরত থাকবে। একটি লুঙ্গি ও চাদর পরিধান করবে, তার মাথা খোলা রাখবে। আর পুরুষের ইহরামের কাপড় দু’টি সাদা ও পরিষ্কার হওয়া মুস্তাহাব।
তবে মহিলা তার সাধারণ পোশাকেই ইহরাম বাঁধবে, লক্ষ্য রাখবে যাতে কোনো প্রকার চাকচিক্য ও প্রসিদ্ধি লাভ করে এমন পোশাক যেন না হয়।
৩. তারপর উমরার কাজে ঢুকার জন্য মনে মনে নিয়ত (দৃঢ় সংকল্প) করবে, আর মুখে উচ্চারণ করে বলবে,
لَبَّيْكَ عُمْرَةً
“লাব্বাইকা ‘উমরাতান”
অর্থাৎ, আমি উমরা আদায়ের জন্য আপনার দরবারে উপস্থিত হলাম।
অথবা বলবে:
اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ عُمْرَةً
“আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা ‘উমরাতান”
অর্থাৎ, হে আল্লাহ আমি উমরা আদায়ের জন্য আপনার দরবারে উপস্থিত হলাম।
৪. অন্য কারো জন্য উমরা করতে চাইলে (যদি আপনি পূর্বে আপনার উমরা আদায় করে থাকেন তবে) উচ্চারণ করবেন:
اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ عُمْرَةً مِنْ فُلانٍ
‘‘আল্লাহুম্মা লাববাইকা ‘উমরাতান মিন পুলান’’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ আমি অমুকের (তার নাম ধরে) পক্ষ হতে উমরা পালনের জন্য হাজির।
৫. যদি মুহরিম ব্যক্তি ভয় করে যে, সে রুগ্ন অথবা শত্রুর ভয়ের কারণে উমরা করতে সামর্থ্য হবে না, তবে তার জন্য ইহরামের সময় শর্ত করে নেওয়া জায়েয। সে বলতে পারবে,
«فِإِنْ حَبَسَنِيْ حَابِسٌ فَمَحَلِّيْ حَيْثُ حَبَسْتَنِيْ»
“ফায়িন হাবাসানি হাবিসুন ফামাহাল্লি হাইছু হাবাস্তানী”
অর্থাৎ, যদি কোনো বাধাদানকারী আমাকে বাঁধা দেয়, তাহলে যেখানে আমি বাধাগ্রস্ত হবো সেখানেই হালাল হয়ে যাবো।
মহিলা সাহাবী দ্বুবা‘আহ বিনতে যুবাইর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, আমি হজ করতে চাই তবে রোগাক্রান্ত হয়ে যাওয়ার ভয় করছি, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন,
«حجي واشترطي أن محلي حيث حبستني»
“হজ করতে শুরু কর এবং শর্ত করে নাও এবং বলো, যদি কোনো বাধাদানকারী আমাকে বাধা দেয়, তাহলে যেখানে আমি বাধাগ্রস্থ হবো সেখানেই হালাল হয়ে যাবো।”
৬. তারপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর তালবিয়া পাঠ করবেন, আর তা হলো,
«لَبَّيْكَ اللّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ»
(লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি‘মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারীকা লাক।)
অর্থাৎ, উমরার জন্য আমি আপনার দরবারে হাজির। হে আল্লাহ! আমি আপনার দরবারে হাজির, আমি আপনার দ্বারে উপস্থিত, আপনার কোনো অংশীদার নেই, আপনার দরবারে উপস্থিত হয়েছি। সর্বপ্রকার প্রশংসা ও নি‘আমতের সামগ্রী তোমারই, তোমারই রাজত্ব, তোমার কোনো অংশীদার নেই।
উল্লিখিত দো‘আ ইহরাম পালনকারী পুরুষগণ জোরে জোরে উচ্চারণ করবে, আর স্ত্রী লোকেরা চুপে চুপে বলবে। অতঃপর অধিক মাত্রায় তালবিয়া পড়বে এবং দো‘আ, যিকির-ইস্তেগফার করবে।
৭. পবিত্র মক্কায় পৌঁছার পর সম্ভব হলে গোসল করবেন, এ গোসল সুন্নাত। সেটি আপনার আবাসস্থল হোটেলেও হতে পারে।
৮. তারপর মসজিদে হারামে ঢুকার সময়ে ডান পা দিয়ে ঢুকবেন এবং মসজিদে ঢুকার দো‘আ পড়বেন, তা হলো,
«بِسْمِ اللهِ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلى رَسُوْلِ اللهِ، أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ، اللَّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ»
(বিসমিল্লাহ ওয়াস্‌সালাতু ওয়াস্‌সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আউযুবিল্লাহিল আযীম ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম ওয়া সুলতানিহিল কাদীম মিনাশ শায়তানির রাজীম। আল্লাহুম্মাফতাহ্ লি আবওয়াবা রাহমাতিক।)
অর্থাৎ, আল্লাহর নামে, আর তার রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ওপর দুরূদ পাঠ করছি, আমি বিতাড়িত শয়তান হতে মহান আল্লাহর কাছে তাঁর সম্মানিত চেহারার এবং তাঁর অনাদি ক্ষমতার অসীলায় আশ্রয় প্রার্থনা করছি, হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত করে দিন।
৯. তারপর যখন কা‘বার কাছে পৌঁছবেন তখনি তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিবেন। এরপর যদি তাওয়াফ শুরু করতে চান তবে হাজারে আসওয়াদ বরাবর যাবেন। হাজারে আসওয়াদের কাছে যাওয়ার পর তার দিকে ফিরবেন, সম্ভব হলে ডান হাত দিয়ে তা স্পর্শ করবেন এবং চুমু খাবেন, তবে ভীড় করে মানুষকে কষ্ট দিবেন না। হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করার সময়ে বলবেন,
بِسْمِ اللهِ، وَاللهُ أَكْبَرُ
(বিসমিল্লাহে ওয়াল্লাহু আকবার)
অথবা বলবেন,
اللهُ أَكْبَرُ
(আল্লাহু আকবার)
যদি হাজরে আসওয়াদ চুমু দেওয়া কষ্টকর হয় তাহলে হাত অথবা লাঠি দিয়ে স্পর্শ করার পর যে বস্তু দিয়ে স্পর্শ করেছেন তাতে চুমু খাবেন, আর যদি স্পর্শ করা কষ্টকর হয় তবে হাজারে আসওয়াদের দিকে হাত বা হাতে থাকা কিছু দিয়ে ইশারা করবেন এবং বলবেন,
اللهُ أَكْبَرُ
(আল্লাহু আকবার)
তবে এ অবস্থায় হাত অথবা যা দ্বারা ইঙ্গিত করেছেন তাতে চুমু খাবেন না।
মনে রাখবেন, তাওয়াফ শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হলো: ছোট-বড় সর্বপ্রকার নাপাকী হতে পবিত্র থাকা; কেননা তাওয়াফ সালাতের মতো, শুধুমাত্র তাওয়াফের সময় কথা বলার অনুমতি আছে।
১০. তাওয়াফ করার সময় আল্লাহর ঘর কা‘বাকে বাম পার্শ্বে রাখবেন এবং সাত চক্কর কা‘বার চারদিকে তাওয়াফ করবেন। ইচ্ছা করলে পায়ে হেঁটে, কিংবা বাহনে চড়ে তাওয়াফ করতে পারেন। যখন রুকনে ইয়ামানীর কাছে আসবেন তখন যদি সম্ভব হয় তা ডান হাতে স্পর্শ করবেন। কিন্তু রুকনে ইয়ামানীকে চুমু খাবেন না। যদি রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ করা সম্ভব না হয় তবে তা ছেড়ে সামনে চলে যাবেন এবং তাওয়াফ করতে থাকবেন, কোনো প্রকার ইশারা বা তাকবীর দিবেন না; কেননা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে তা বর্ণিত হয়নি। কিন্তু হাজারে আসওয়াদের নিকট যখনই পৌঁছবেন তখনি তা স্পর্শ করবেন এবং চুমু খাবেন এবং তাকবির বলবেন, (যেমনটি পূর্বে বর্ণিত হয়েছে), যদি স্পর্শ করা সম্ভব না হয় তবে সে দিকে ইশারা করবেন এবং তাকবীর বলবেন।
এ তাওয়াফে পুরুষদের জন্য সুন্নাত হলো এদতেবা‘ করা, অর্থাৎ গায়ের চাদরের মধ্যভাগকে ডান বোগলের নিচ দিয়ে দু’পার্শ্বকে বাম কাঁধের উপর রাখা।
তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করাও পুরুষদের জন্য সুন্নাত। রমল হলো ছোট ছোট পদক্ষেপে দ্রুত হাঁটা।
তাওয়াফকালীন সময়ে সুনির্দিষ্ট কোনো দো‘আ বা যিকির নেই, প্রত্যেক চক্করেই ইচ্ছা মতো শরী‘আতসম্মত যিকির ও দো‘আ পাঠ করা মুস্তাহাব। তবে তাওয়াফের প্রত্যেক চক্করেই রুকনে ইয়ামানী ও হাজারে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে নিম্নলিখিত দো‘আ সম্বলিত আয়াতটি পড়া সুন্নাত:
﴿رَبَّنا آتِنا فِي الدُّنْيا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنا عَذابَ النَّارِ﴾ [البقرة:201]
(রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়াফিল আখিরাতে হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা ‘আযাবান-নার)
অর্থাৎ, হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়ায় কল্যাণ দান করুন এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান করুন। জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের রক্ষা করুন। [সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ২০১]
সম্ভব হলে তাকবীর সহ হাজারে আসওয়াদকে স্পর্শ করা ও চুমু দেওয়ার মাধ্যমে সপ্তম চক্কর শেষ করবেন, কিন্তু সম্ভব না হলে পূর্বের মতো শুধু ইশারা এবং তাকবীর পড়লেই যথেষ্ট।
তাওয়াফ শেষে গায়ের চাদর ভালো করে পরিধান করে নিবেন, অর্থাৎ কাঁধে এবং বুকে কাপড় দিয়ে নিবেন। ইদতেবা‘ অবস্থায় থাকবেন না। তারপর সম্ভব হলে মাকামে ইবরাহীমের পিছনে কিছুটা দূরে হলেও দু’ রাকাত সালাত পড়বেন। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তবে মসজিদের যে জায়গায় সম্ভব সেখানেই সালাত পড়বেন। প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পরে قُلْ يا أَيُّهَا الْكافِرُونَ (সূরা কাফিরূন) এবং দ্বিতীয় রাকাতে قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (সূরা ইখলাস) পড়া উত্তম। অন্য কোনো সূরা পাঠ করলেও কোনো দোষ নেই। এ দু’রাকাত সালাতের পর যদি হাজারে আসওয়াদ চুমু দেওয়া সম্ভব হয় তবে তা করবেন।
১১. তারপর সম্ভব হলে যমযমের পানি পান করবেন। সম্ভব হলে যত ইচ্ছা তত খাবেন।
১২. তারপর সাফা পাহাড়ের দিকে যাবেন, যাওয়ার সময় আল্লাহর এ বাণী পাঠ করবেন,
﴿إِنَّ الصَّفا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعائِرِ اللَّهِ﴾ [البقرة:158]
(ইন্নাচ্ছাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শা‘আ-ইরিল্লাহ)
অর্থাৎ, নিশ্চয় সাফা এবং মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্গত। [সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ১৫৮]
১৩. অতঃপর সাফা পাহাড়ের উপর আরোহণ করবেন অথবা এর নিচে দাঁড়াবেন, তবে সম্ভব হলে পাহাড়ের কিয়দংশে উঠা উত্তম। এরপর পবিত্র কা‘বাকে সামনে রেখে প্রার্থনাকারীর ন্যায় দু’ হাত উর্ধ্বে তুলে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করে তিনবার তাকবীর পড়ুন (আল্লাহু আকবার বলুন)। তিনবার করে দো‘আ করা সুন্নাত। অতঃপর তিনবার নিম্নোক্ত দো‘আ পড়ুন:
«لاَ إِلهَ إِلا اللهَ وَحْدَه لا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَه الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْر لا إِلهَ إِلا الله وَحْدَه أَنْجَزَ وَعْدَه وَنَصَر عَبْدَه وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَه»
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজাযা ওয়া‘দাহু, ওয়া নাছারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।)
অর্থাৎ, একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোনো মাবূদ নেই। তাঁর কোনো শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁরই। তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই। তিনি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন, তাঁর বান্দাকে বিজয় দিয়েছেন এবং তিনি একাই শত্রুকে পরাজিত করেছেন।
এই দো‘আর কিয়দংশ পড়লেও কোনো দোষ নেই। তবে যেহেতু শরী‘আতে এখানে বেশি বেশি দো‘আ করার কথা বলা হয়েছে সেহেতু সকল প্রকার দো‘আই এখানে করতে পারেন।
১৪. অতঃপর সাফা হতে নেমে মারওয়ার দিকে যাবেন। যাওয়ার সময় পুরুষগণ দু’ সবুজ আলোর মধ্যবর্তী স্থানে দ্রুত চলবেন, এ দ্রুত চলাকে সা‘ঈ বলা হয়। এ সময় যদি নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়েন তবে তা উত্তম,
رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْأَعَزُّ الْأَكْرَمُ
“আল্লাহুম্মাগফির ওয়ারহাম, ইন্নাকা আনতাল আ‘য়ায্যুল আকরাম”
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! ক্ষমা ও দয়া করুন, নিশ্চয় আপনিই অতীব পরাক্রমশালী ও সম্মানিত।
সা‘ঈ এর আগে ও পরে স্বাভাবিকভাবে চলবেন। মহিলাগণ কোথাও দ্রুত চলবেন না; কারণ মহিলাগণ পর্দা করবেন, আর দ্রুত হাঁটার কারণে তাদের পর্দা লঙ্ঘন হয়।
১৫. এরপর যখন মারওয়া পাহাড়ের কাছে যাবেন, তখন তার উপর আরোহণ করবেন অথবা নিচে দাঁড়াবেন এবং আল্লাহর প্রশংসা জ্ঞাপন করবেন এবং সাফায় যেমনটি করেছেন এখানেও তেমনটি করবেন। অর্থাৎ, মারওয়ার উপরে উঠার পরে কা‘বা শরীফকে সামনে রেখে প্রার্থনাকারীর ন্যায় দু’ হাত উর্ধ্বে তুলে আল্লাহ্ তা‘আলা তা‘আলার প্রশংসা করে তিনবার (আল্লাহু আকবার) তাকবীর উচ্চারণ করবেন। অতঃপর তিনবার নিম্নোক্ত দো‘আ পড়বেন :
«لاَ إِلهَ إِلا اللهَ وَحْدَه لا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَه الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْر لا إِلهَ إِلا الله وَحْدَه أَنْجَزَ وَعْدَه وَنَصَر عَبْدَه وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَه»
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজাযা ওয়া‘দাহু, ওয়া নাছারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।)
অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোনো মাবুদ নেই। তাঁর কোনো শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁরই। তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই। তিনি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন, তাঁর বান্দাকে বিজয় দিয়েছেন এবং তিনি একাই শত্রুকে পরাজিত করেছেন।
সাফার মতো মারওয়াও বেশি বেশি করে দো‘আ করার স্থান। সকল প্রকার দো‘আই এখানে করতে পারেন।
তবে এখানে পাহাড়ে উঠার সময় পূর্বে বর্ণিত সাফা পাহাড়ে উঠার আগের কুরআনের আয়াতটুকু পাঠ করবেন না; কেননা কুরআনের আয়াতটুকু রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করে শুধুমাত্র সাফা পাহাড়ে উঠার আগে পড়তে হয়।
১৬. তারপর মারওয়া থেকে নামবেন এবং যেখানে স্বাভাবিকভাবে হাঁটার সেখানে স্বাভাবিকভাবে হাঁটবেন, আর যেখানে দ্রুত চলার সেখানে দ্রুত চলবেন। এভাবে সাফা পাহাড়ে পৌঁছবেন। এভাবে সাতবার সা‘ঈ করবেন। সাফা থেকে মারওয়া যাওয়া এক চক্কর, আবার মারওয়া থেকে সাফা পাহাড়ে আসা আরেক চক্কর ধর্তব্য হবে।
১৭. তাওয়াফের মতো যদি কেউ কোনো কিছুর উপর উঠে সা‘ঈ করে তবে তাতেও দোষ নেই, বিশেষ করে যখন তার প্রয়োজন হবে।
১৮. তাওয়াফের মতো সা‘ঈর জন্যও কোনো নির্দিষ্ট ওয়াজিব যিকির নেই। বরং যেকোনো যিকির, দো‘আ ও কুরআন তিলাওয়াতের যা তার জন্য সহজসাধ্য হবে তা-ই পাঠ করতে পারবেন। তবে এ সকল ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যেসব যিকির ও দো‘আ সাব্যস্ত রয়েছে, তার প্রতি লক্ষ্য রাখা মুস্তাহাব।
১৯. অনুরূপভাবে সকল প্রকার নাপাকী হতে পবিত্র হওয়াও মুস্তাহাব। তবে যদি কেউ অপবিত্র অবস্থায়ও সা‘ঈ করে তার সা‘ঈ শুদ্ধ হবে, কোনো অসুবিধা নেই।
২০. সা‘ঈ পূর্ণ করে মাথার চুল হলক করবেন (কামাবেন) অথবা ছোট করে ছেঁটে নিবেন। তবে কামানো উত্তম। যদি হজের আগে আপনি মক্কা এসে থাকেন এবং হজের বেশি দিন বাকী না থাকে তবে উত্তম হলো উমরার পর চুল ছোট করে ছাঁটা; যাতে হজের ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার সময় হলক করতে পারেন।
খেয়াল রাখবেন, আপনার চুল কাটা বা ছাঁটা যা-ই- করেন না কেন সম্পূর্ণ মাথা থেকে হতে হবে। সামান্য কিছু কাটলে বা ছাঁটলে হবে না। এটা শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রে ।
মহিলাগণ তাদের চুল একত্র করে চুলের অগ্রভাগ থেকে এক আঙুলের অগ্রভাগ পরিমাণ কাটবেন। এভাবে আপনার উমরা পূর্ণ হয়ে যাবে এবং ইহরামের কারণে ইতোপূর্বে যা হারাম ছিল, এক্ষণে তা হালাল হয়ে যাবে।

Address

HARAMAIN HJJ UMRAH LIMITED, Paltan China Town, East Tower/Suite #17/3, Level-16, 68 Naya Paltan, VIP Road
Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Haramain Hajj Umrah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Haramain Hajj Umrah:

Videos

Share

Category

Our Story

Haramain Hajj Umrah Main Objective : Prime objective of this venture is to make a organization or institution who will guide the potential Hajjis for performing the Hajj in accordance with the rules & regulation of Islam. This organization will serve the hajjis with best effort despite of its profit. Try to make all the Hajj kafela near to “Zero complain”.