K360

K360 Knowledge360 (K360, in short) is an organisation based around connecting and coordinating knowledge

Knowledge360 (K360, in short) is an organisation based around connecting and coordinating knowledge resources. It has a specialist resource pool capable of catering to a wide range of business needs. And because of the unique organisational structure, K360 is able to provide highly specialised services at an affordable cost. The strength of K360 lies in its highly skilled, diverse and experienced

resource pool. This resource pool, while rare under one roof, is coordinated in such a way that clients can rely on an almost one-stop professional solution. Sector Experience:
Resources working under the K360 platform have many years’ experience working on/with the following sectors:
-Education services
-Human development, including Women and Child development
-Telecom services and marketing
-Marketing and development research
-Consumer goods manufacturing and marketing
-Financial services and accounting
-IT services
-Food and catering
-Photography
-Audio-visual productions
-Event management
-And others. Area of Work
-Corporate houses
-NGOs
-Development agencies
-Small businesses
-Non-profit and voluntary organisations, etc.

পশ্চিমা জোটে ভাঙ্গনের লক্ষণ…১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা জোটের মাঝে আদর্শিক ফাটল এখন দৃশ্যমান। বাক...
16/02/2025

পশ্চিমা জোটে ভাঙ্গনের লক্ষণ…

১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা জোটের মাঝে আদর্শিক ফাটল এখন দৃশ্যমান। বাকস্বাধীনতা কতটুকু থাকবে, ধর্মীয় স্বাধীনতার সাথে বাকস্বাধীনতা সাংঘর্ষিক কিনা, লাগামহীন যৌনাচারের স্বাধীনতা থাকবে কিনা, গর্ভপাতের ব্যাপারটাকে কে কিভাবে দেখবে, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কে অংশ নিতে পারা বা কে ক্ষমতায় আসতে পারবে বা পারবে না, সেটার মাপকাঠি কি হবে, ইত্যাদি আদর্শিক ইস্যুতে পশ্চিমারা আজ বিভক্ত। কেউ কেউ যদিও বোঝার চেষ্টা করছেন যে, এই বিভক্তি শুধুমাত্র ট্রাম্পের কারণে কিনা, তথাপি তারা এড়িয়ে যেতে পারেন না যে, ট্রাম্প বিপুল ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। ইউরোপিয়রা একইসাথে চিন্তিত যে, ইউরোপিয় লিবারাল সেকুলার আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক চিন্তাধারার উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনে বিপুল ভোট পাচ্ছে; কারণ লিবারাল চিন্তার রাজনীতিকেরা জনগণের সমস্যার সমাধান দিতে ব্যার্থ হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র যখন চীনকে মোকাবিলায় সর্বশক্তি নিয়োগ করতে ইউরোপের নিরাপত্তা ইউরোপিয়দের হাতে ছেড়ে দিতে চাইছে, তখন এর সমান্তরালে মার্কিনীরা আদর্শিক দিক থেকেও ইউরোপের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে চাইছে। বিশেষ করে জার্মানিতে নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে যখন ট্রাম্পের মার্কিন প্রশাসন জার্মানির উগ্র ডানপন্থী দল 'অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি' বা 'এএফডি'কে সমর্থন দিচ্ছে, তখন লিবারাল ইউরোপিয়দের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ট্রাম্প চীনকে নিয়ন্ত্রণে যখন সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিচ্ছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তাবিদদের মাঝে ট্রাম্পের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। তবে পশ্চিমা আদর্শের ব্যাপারে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি পুরো পশ্চিমা বিশ্বেই দ্বন্দ্বের জন্ম দিয়েছে; যা একদিকে যেমন আদর্শিক ব্যাপারগুলিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সম্পর্কের মাঝে অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। নতুন বিশ্ব অব্যবস্থার এটা নতুন চেহারা।

https://koushol.blogspot.com/2025/02/cracks-open-western-alliance.html?m=1

ট্রাম্পের গা*জা দখলের পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ কি?১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ট্রাম্প মূলতঃ ই*স্রা*ইলের চিন্তাটাকেই প্রকল্প রূপে ব্যাখ্...
11/02/2025

ট্রাম্পের গা*জা দখলের পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ কি?

১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ট্রাম্প মূলতঃ ই*স্রা*ইলের চিন্তাটাকেই প্রকল্প রূপে ব্যাখ্যা করেছেন; যেটাকে পুঁজি করেই ই*স্রা*ইল ১৫ মাস ধরে গা*জার সকল ভবন ধ্বং*স করে পুরো অঞ্চলকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে। মার্কিন সরকারের, বিশেষ করে বাইডেন প্রশাসনের সরবরাহ করা ৮৬ হাজার টন বো*মার মাধ্যমে এই অমানবিক প্রকল্প বাস্তবতা পেয়েছে। এই পুরো সময় লিবারাল চিন্তার পশ্চিমা সরকারগুলি সকলেই গতবাধা একটা লাইন বলে গিয়েছে - ‘ই*স্রাই*লের নিজেকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে'। ই*স্রাই*লি বর্বরতায় প্রায় অর্ধলক্ষ ফিলি*স্তিনির মৃত্যুর সময় পশ্চিমারা ই*স্রাই*লের নিরাপত্তা রক্ষায় মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি মোতায়েন করেছে। লিবারাল চিন্তার পশ্চিমা মিডিয়াগুলি এই পুরো সময় গা*জায় ই*স্রাই*লের বর্বরতার খবর পুরোপুরিভাবে সেন্সর করেছে। অথচ ট্রাম্পের গা*জা পরিকল্পনা ঘোষণার সাথেসাথেই প্রায় সকল পশ্চিমা মিডিয়া একসাথে ট্রাম্পের বিরোধিতা করা শুরু করেছে; যেন ট্রাম্পই প্রথম ই*স্রা*ইলের বর্বর প্রকল্পে সমর্থন দিয়েছেন! প্রকৃতপক্ষে ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ফিলি*স্তি*নিদেরকে বাস্তুচ্যুত করার যে প্রকল্প নিয়েছে, তা ১৯৪৮ সালে ফি*লি*স্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মুলের ব্রিটিশ-ই*স্রাই*লি প্রকল্পেরই অনুরূপ। কাজেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর গা*জাবাসীদের জন্যে মায়াকান্না হাস্যকরই বটে। মিশর ও জর্দানের সরকারের উপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সৃষ্টি করার সক্ষমতা যথেষ্ট। আর গত ১৫ মাসে গাজায় ই*স্রাই*লি হামলার সময় যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে মিশর ও জর্দান সরকার ই*স্রাই*লকে নিরাপত্তা দিয়েছে। কাজেই গা*জার অধিবাসীদেরকে এই দুই দেশে পাঠিয়ে দেয়ার চেষ্টাটাই প্রাধান্য পাবে। সৌদিদেরকে রাজি করাবার বিভিন্ন অস্ত্রও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে। অভিভাবকহীন ফিলি*স্তি*নিদের জন্যে সবচাইতে দুঃখজনক হলো, জাতীয়তাবাদে বিভক্ত মুসলিমরা ফি*লি*স্তিনের সমস্যাকে নিজেদের সমস্যা হিসেবে দেখেনি। শুধু তা-ই নয়, ই*স্রা*ইলের রক্ষাকর্তা যুক্তরাষ্ট্রকেও তারা নিয়েছে সবচাইতে কাছের বন্ধু হিসেবে। ট্রাম্প আতঙ্কে সকলেই আজ ভীত! ট্রাম্প অখুশি হন, এমন কিছুই কেউ করতে চাইছে না!

https://koushol.blogspot.com/2025/02/trump-gaza-occupation-plan-future.html?m=1

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো এবং ইউরোপ কি বৈশ্বিক পুলিশম্যান?০৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ন্যাটোর ২০২৪ সালের ডকুমেন্টারিতে পরিষ্...
09/02/2025

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো এবং ইউরোপ কি বৈশ্বিক পুলিশম্যান?

০৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ন্যাটোর ২০২৪ সালের ডকুমেন্টারিতে পরিষ্কার যে, ন্যাটো তাদের সদস্য রাষ্ট্রদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিচ্ছে। আর ন্যাটোর সদস্য হবার শর্ত হলো পশ্চিমা আদর্শের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা; যার কেন্দ্রে রয়েছে ব্যক্তিস্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন। পশ্চিমা আদর্শ রক্ষা করা ও সকলকে এই আদর্শ মেনে চলতে বাধ্য করার জন্যেই পশ্চিমা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজগুলি একের পর এক এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে মোতায়েন হচ্ছে। অথচ গা*জায় ই*স্রা*ইলের বর্বরতার সময় পশ্চিমারা মানবাধিকার ইস্যুতে টিনের চশমা পড়ে ছিল! পশ্চিমা আদর্শের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ই*স্রা*ইল আইনের শাসনকে বাইপাস করলেও পশ্চিমারা ই*স্রাই*লের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সামরিক শক্তি মোতায়েন করেছে। লোহিত সাগরের বাণিজ্য রুট ও ই*স্রা*ইলের নিরাপত্তা বিধানে ইউরোপিয় ইউনিয়নের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন বলে দিচ্ছে যে, ন্যাটো হোক বা ইইউ হোক, পশ্চিমাদের একটা প্রধান স্বার্থ হলো মধ্যপ্রাচ্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যপথের নিয়ন্ত্রণ। ইউরোপকে নিজেদের গন্ডি থেকে বের করে ইন্দোপ্যাসিফিকে নিয়ে আসতে যুক্তরাষ্ট্র সফল হয়েছে এবং একইসাথে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে চীনকে নিয়ন্ত্রণের ভূরাজনৈতিক লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে বহু যুদ্ধজাহাজের আনাগোণায় ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেশী শক্তিই যেন এখন পশ্চিমা আদর্শকে দুনিয়ার বুকে জারি রাখার সর্বশেষ উপায়!

https://koushol.blogspot.com/2025/02/us-leadership-nato-europe-world-policeman.html?m=1

মার্কিন প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে চীনা 'এআই' ‘ডীপসীক'!০২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫‘ডীপসীক'এর প্রতিষ্ঠাত...
03/02/2025

মার্কিন প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে চীনা 'এআই' ‘ডীপসীক'!

০২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘ডীপসীক'এর প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং গত বছর এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, চীনের 'এআই' সেক্টর সারাজীবন মার্কিনীদের অনুসারী হয়ে থাকতে পারে না। 'ডীপসীক' নিয়ে পশ্চিমাদের অবাক হবার ব্যাপারটা হলো, তারা বিশ্বাস করতে পারছে না যে, চীনারা অনুসারী না হয়ে আবিষ্কারকদের খেলায় নাম লিখিয়েছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বড় বিনিয়োগকারী এবং নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন সমর্থক মার্ক আন্দ্রেসসেন সোশাল মিডিয়া 'এক্স'এর এক বার্তায় চীনা 'এআই'এর ব্যাপক প্রশংসা করেন। তিনি বলেন যে, প্রযুক্তিগত এমন উৎকর্ষতা তিনি এর আগে দেখেননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন যে, এটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে জেগে ওঠার বার্তা; মার্কিন কোম্পানিগুলিকে এখন জেতার জন্যে প্রতিযোগিতা করতে হবে। 'বিবিসি' বলছে যে, চীনা সরকারি মিডিয়াতে ইতোমধ্যেই হাইলাইট করা হচ্ছে যে, ‘ডীপসীক' উদ্ভোধনের পর সিলিকন ভ্যালি ও ওয়াল স্ট্রীটের বিনিয়োগকারীদের ঘুম নষ্ট হয়েছে। 'ইউনিভার্সিটি অব টেকনলজি সিডনি'র এসোসিয়েট প্রফেসর মারিনা ঝাং 'বিবিসি'কে বলছেন যে, চীনে 'ডীপসীক'এর ডেভেলপ করাকে দেখা হচ্ছে চীনের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং স্বনির্ভরতার প্রতীক হিসেবে। তবে এই চিন্তাধারা বৈশ্বিকভাবে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীনাদেরকে পশ্চিমাদের থেকে আলাদা করে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে।

https://koushol.blogspot.com/2025/02/chinese-ai-deepseek-challenges-us-tech-supremacy.html?m=1

কঙ্গো - ধ্বসে পড়া বিশ্বব্যাবস্থার মাঝে পশ্চিমাদের ভূরাজনৈতিক স্বার্থের দ্বন্দ্ব৩০শে জানুয়ারি ২০২৫পশ্চিমা স্বার্থের বলি হ...
30/01/2025

কঙ্গো - ধ্বসে পড়া বিশ্বব্যাবস্থার মাঝে পশ্চিমাদের ভূরাজনৈতিক স্বার্থের দ্বন্দ্ব

৩০শে জানুয়ারি ২০২৫

পশ্চিমা স্বার্থের বলি হয়েছে মধ্য আফ্রিকার রুয়ান্ডা ও কঙ্গোর জনগণ। রুয়ান্ডায় টুটসিদের উপর হুটুদের ব্যাপক গণহত্যাকে পুঁজি করে ক্ষমতা নিয়েছিলেন পশ্চিমা-সমর্থিত টুটসি নেতা পল কাগামি। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত রুয়ান্ডার টুটসি সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে থাকার পর প্রায় ২৫ বছর ধরে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন তিনি। ক্যামেরন হাডসনের কথায় তিনি পশ্চিমাদের 'ডার্লিং' বনে গেছেন। তবে সেটা বর্তমানের প্রযুক্তি-নির্ভর বিশ্বের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির মাঝে একটা - কলটান-এর নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হবার কারণেই। বিশ্ব বাজারে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের কলটানের সরবরাহ নিশ্চিত করতেই কাগামির ইন্ধনে 'এম২৩' বিদ্রোহীরা কঙ্গোর জনগণের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। আর পশ্চিমারা জাতিসংঘের অধীনে একটা শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন রেখে কলটানের সরবাহ লাইনকে সুরক্ষা দিচ্ছে। পশ্চিমাদের নিজেদের স্বার্থের দ্বন্দ্বের উপর নির্ভর করেই কখনো সহিংসতা বেড়েছে; কখনো কমেছে। কিন্তু কঙ্গোর লাখো বাস্তুচ্যুত জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়নি। অতি সম্পদশালী অঞ্চলের মালিক হবার পরেও তারা চরম দারিদ্র্যের মাঝে বসবাস করে যাচ্ছে। পশ্চিমা নেতৃত্বে নব্য উপনিবেশবাদের উত্থানে ধ্বসে পড়া বিশ্ব ব্যবস্থার এটা একটা চমৎকার উদাহরণ।

https://koushol.blogspot.com/2025/01/congo-collapsed-world-order-western-geopolitical-interests.html?m=1

ট্রাম্প ঝড়ের শুরু?২১শে জানুয়ারি ২০২৫মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা তার পররাষ্ট্রনীতির প্রধান লক্ষ্যের সাথ...
21/01/2025

ট্রাম্প ঝড়ের শুরু?

২১শে জানুয়ারি ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা তার পররাষ্ট্রনীতির প্রধান লক্ষ্যের সাথে যায়। নিঃসন্দেহে ট্রাম্প চীনের দিকে দৃষ্টি দেয়ার জন্যেই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বন্ধ চেয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের যে ইচ্ছা তিনি ব্যাক্ত করেছেন, সেটাও চীনকে মাথায় রেখেই। ট্রাম্প গ্রীনল্যান্ড এবং পানামা খালের নিয়ন্ত্রণও চাইছেন চীনের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে। যখন ট্রাম্প বলছেন যে, তিনি মার্কিন জনগণের উপর কর কমিয়ে বিদেশী পণ্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করতে চাইছেন, তখন যতগুলি দেশ এতে বিচলিত হবে, তার মাঝে শীর্ষে থাকবে চীন। ট্রাম্প নিঃসন্দেহেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধকে প্রধান এজেন্ডা হিসেবে নিয়ে আসবেন এবং আগে থেকেই চলে আসা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের একে অপরের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ফেলার প্রসেসকে আরও এগিয়ে নেবেন। তথাপি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক মেরুকরণ এবং আদর্শগত দ্বন্দ্ব যুক্তরাষ্ট্রকে সবচাইতে বেশি ব্যস্ত রাখবে। ডেমোক্র্যাটদের সাথে মারাত্মক দ্বন্দ্ব, লিবারাল আদর্শের ব্যাপারে মেরুকরণ (যেমন – সমকামিতা, গর্ভপাত, বিচার বিভাগের দলীয়করণ), সাধারণ জনগণের অর্থনৈতিক দৈন্যতা, জাতিগত দ্বন্দ্ব, অভিবাসী নিয়ে কোন্দল, বন্দুকের ব্যবহারে অপরাধ বৃদ্ধি, আত্মহননের হার বৃদ্ধি, গৃহহীন জনগণের সংখ্যা বৃদ্ধি, ইত্যাদি সমস্যা যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিনিয়ত অভ্যন্তরীণভাবে দুর্বল করেছে। ট্রাম্পের সময়ে এগুলি আরও একধাপ এগুবে। যুক্তরাষ্ট্র এখন নিজের সাথেই যুদ্ধরত – ২০২৫ সালে এই সত্যটাই নতুনরূপে সামনে আসবে।

https://koushol.blogspot.com/2025/01/start-of-trump-storm.html?m=1

ইস্রাইলের জন্য নতুন হুমকি - সিরিয়াতে তুরস্কের আবির্ভাব১৮ই জানুয়ারি ২০২৫তুরস্কের সামরিক শক্তি ইস্রাইলের বিপক্ষে ব্যবহৃত হ...
18/01/2025

ইস্রাইলের জন্য নতুন হুমকি - সিরিয়াতে তুরস্কের আবির্ভাব

১৮ই জানুয়ারি ২০২৫

তুরস্কের সামরিক শক্তি ইস্রাইলের বিপক্ষে ব্যবহৃত হবে কিনা, তা নির্ভর করছে তুরস্কের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর; যা ইস্রাইলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এরদোগানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যাপারে ইস্রাইল ভীত নয়। গাজায় ইস্রাইলের এক বছরের বেশি সময়ের বর্বরতার মাঝে এরদোগান কিছু বক্তব্য দেয়া ছাড়া কিছুই করেননি। তথাপি নাগেল কমিশনের রিপোর্টে পরিষ্কার যে, ইস্রাইল তার সীমানায় উসমানি খিলাফতের ছায়া দেখতে পাচ্ছে। আর 'সিআইএ'র গ্রাহাম ফুলারের কথায়, ইস্রাইল জানে যে রাষ্ট্র হিসেবে তুরস্ক ইস্রাইলকে শত্রু মনে করে। ইস্রাইলের জন্যে হিসেবেটা আরও জটিল হয়ে গিয়েছে; কারণ ইস্রাইলের জন্যে তুরস্কের সামরিক শক্তি মোকাবিলা করা ইরানকে মোকাবিলার চাইতেও কঠিন হবে। ইস্রাইল যদি তার নিরাপত্তাহীনতার কারণে সিরিয়ার অভ্যন্তরে তার সামরিক আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়; অথবা ওয়াশিংটনের সমর্থনে সিরিয়ার অখন্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করে 'এসডিএফ'এর পক্ষাবলম্বণ করে, তাহলে তুরস্কের সাথে ইস্রাইলের সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়াটা অমূলক নয়। হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প প্রশাসনের আবির্ভাব ইস্রাইল এবং তুরস্ককে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

https://koushol.blogspot.com/2025/01/israel-new-threat-turkey-in-syria.html?m=1

চীনের আকাশে নতুন যুদ্ধবিমান – চীন-মার্কিন সংঘাত ঘনিয়ে আসছে২৮শে ডিসেম্বর ২০২৪বিল সুইটম্যান বলছেন যে, ‘চেংডু'র ফাইটার-বোম্...
28/12/2024

চীনের আকাশে নতুন যুদ্ধবিমান – চীন-মার্কিন সংঘাত ঘনিয়ে আসছে

২৮শে ডিসেম্বর ২০২৪

বিল সুইটম্যান বলছেন যে, ‘চেংডু'র ফাইটার-বোম্বার বিমানটা হয়তো কয়েক বছরের মাঝেই সার্ভিসে আসতে যাচ্ছে; যা পশ্চিমা সামরিক অবস্থানের জন্যে হুমকির কারণ হতে পারে। 'রয়টার্স' মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, চীনাদের সামরিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়ে সামরিক প্রযুক্তিতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। কিছুদিন আগেই প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি গুয়ামে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার সিস্টেমের পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা চিন্তাবিদদের কপালে চিন্তার রেখাই বলে দিচ্ছে যে, চীনাদের এই দুই বিমানের উড্ডয়ন, বিশেষ করে 'চেংডু' কোম্পানির ফাইটার-বোম্বার বিমান প্রশান্ত মহাসাগরে সামরিক ব্যালান্সের হিসেব পাল্টে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যখন তাদের দূরবর্তী দ্বীপ ঘাঁটিগুলিতে শুধুমাত্র চীনা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে চিন্তিত ছিল, তখন সেগুলি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, মনুষ্যবিহীন ড্রোন এবং দূরপাল্লার স্টেলথ বোমারু বিমানের মতো বহু প্রকার অস্ত্রের সমন্বিত আক্রমণের হুমকিতে পড়ে গিয়েছে। মোটকথা চীন যত সময় পাবে, ততই সে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক শক্তির ব্যবধান কমিয়ে ফেলতে থাকবে; হয়তো একসময় চীনই এগিয়ে যাবে। আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন হাজির হয়েছে - অনিবার্য সংঘাতের আগে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে কতটা সময় দেবে?

https://koushol.blogspot.com/2024/12/new-chinese-stealth-aircraft-over-china-conflict-looming.html?m=1

যুদ্ধক্ষেত্রে হেলিকপ্টারের ব্যবহার পরিবর্তিত হচ্ছে - ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শিক্ষা২১শে ডিসেম্বর ২০২৪ইউক্রেন যুদ্ধ আবারও প্রম...
21/12/2024

যুদ্ধক্ষেত্রে হেলিকপ্টারের ব্যবহার পরিবর্তিত হচ্ছে - ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শিক্ষা

২১শে ডিসেম্বর ২০২৪

ইউক্রেন যুদ্ধ আবারও প্রমাণ করলো যে, শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে হেলিকপ্টার কতটা অসহায়। তথাপি যে ব্যাপারটা পরিষ্কার তা হলো, যুদ্ধক্ষেত্রে হেলিকপ্টারের ব্যবহার শেষ হয়ে যায়নি। হেলিকপ্টারকে যুদ্ধের নতুন বাস্তবতায় কিভাবে ব্যবহার করা হবে, সেব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে। ড্রোন এবং এআইএর সমন্বয় ঘটিয়ে তাদের প্রায় ৮'শ 'এপাচি' এটাক হেলিকপ্টারকে সার্ভিসে রাখতে চাইছে মার্কিন সেনাবাহিনী। এর মূল কারণ হলো, মার্কিন সমরবিদেরা মনে করছেন যে, ইউক্রেন যুদ্ধ এটাক হেলিকপ্টারের মূল উদ্দেশ্যকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। যেহেতু যুদ্ধের বাস্তবতাকে নির্দিষ্ট করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে না, তাই হেলিকপ্টারগুলিতে সফটওয়্যার আপডেট এমনভাবে দেয়া হচ্ছে, যাতে করে ভবিষ্যতে যেকোন প্রযুক্তি এর সাথে যুক্ত করে কাজে লাগানো যায়। ব্যবহারের জায়গা এবং কৌশলের কারণেই রুশ 'কেএ-৫২' এটাক হেলিকপ্টারগুলি অত্যাধুনিক হবার পরেও ব্যাপক হারে ধ্বংস হয়েছে। কারণ প্রযুক্তিই শেষ কথা নয়। অপরদিকে অনেক পুরোনো ডিজাইনের 'এমআই-৮' হেলিকপ্টারগুলি এখনও পরিবহণ এবং সার্চ-রেসকিউএর মতো গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। কারণ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিকল্পনা ও সাহসিকতার বিকল্প হয় না। মারিউপোল অপারেশনে ইউক্রেনের সাহসী পাইলট ওলেক্সান্ডারের কাহিনীই বলে দেয় যে, যুদ্ধক্ষেত্রে হেলিকপ্টার সর্বদাই ধ্বংসের মুখে থাকবে; কিন্তু পাইলট ও ক্রুদের দৃঢ়তা ও সাহসিকতার গল্পগুলিই মানুষকে আরও একদিন যুদ্ধ করার অনুপ্রেরণা দেবে।

https://koushol.blogspot.com/2024/12/changing-mission-helicopter-battlefield-ukraine-war-lessons.html?m=1

ইউক্রেনে ড্রোন যুদ্ধ – বাকি বিশ্বের জন্যে শিক্ষা১৪ই ডিসেম্বর ২০২৪যুদ্ধ জয়ের কোন একক ম্যাজিক ফর্মূলা নয় ড্রোন। তবে ড্রোন ...
14/12/2024

ইউক্রেনে ড্রোন যুদ্ধ – বাকি বিশ্বের জন্যে শিক্ষা

১৪ই ডিসেম্বর ২০২৪

যুদ্ধ জয়ের কোন একক ম্যাজিক ফর্মূলা নয় ড্রোন। তবে ড্রোন ছাড়া যুদ্ধ জেতাও অসম্ভব হয়ে গেছে; যেমনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে হয়েছিল ট্যাঙ্কের ক্ষেত্রে। একইসাথে যুদ্ধজয়ের সংজ্ঞা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ইউক্রেন প্রচুর প্রযুক্তি ব্যবহারের পরেও সংখ্যার দিক থেকে যুদ্ধ হেরে যাচ্ছে; আর রাশিয়া নিজের ক্ষয়ক্ষতিকে তুচ্ছজ্ঞান করে স্টিমরোলার চালিয়ে এগুচ্ছে। একদিকে যেমন শত্রুর শক্ত অবস্থান অতিক্রম করে আক্রমণে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে, তেমনি একবার কোন একটা দেশ অন্য দেশের ভূমি দখল করে ফেললে সেই ভূমি পুনরুদ্ধার করাও কঠিন হয়ে গেছে। যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়ার 'সারপ্রাইজ' আক্রমণ পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের খারকিভ এবং কুর্স্কএ সারপ্রাইজ হামলা প্রাথমিকভাবে সফলতা পেলেও শেষ পর্যন্ত কঠিন পরিখা যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। কম খরচে আক্রমণে যাওয়া ততক্ষণ পর্যন্তই সম্ভব, যতক্ষণ 'সারপ্রাইজ' ফ্যাক্টর কাজ করছে। শত্রু যদি সময় পেয়ে পরিখা খুঁড়ে অবস্থান নেয়, তাহলে তাকে সেখান থেকে উৎখাত করা অত্যধিক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। হয়তো ড্রোনের সুবাদে ডিফেন্সিভ লাইনে থাকা সেনাদের সুবিধা হয়েছে; কিন্তু আক্রমণে যাবার সময়েও ড্রোন ছাড়া চলছে না। তবে সর্বদা আকাশ থেকে কেউ দেখছে - এই ব্যাপারটাই একটা সৈন্যের মনে ভয় ধরিয়ে দেবার জন্যে যথেষ্ট; সে পরিখার ভেতরে থাকুক, অথবা খোলা জায়গায়ই থাকুক। আপাততঃ পরিখার ভেতরটাই সৈন্যদের জন্যে কিছুটা হলেও নিরাপদ। সেই হিসেবে আবারও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিখা যুদ্ধের দিকেই তাকাতে হচ্ছে। পরিখা থেকে সৈন্যদের উৎখাত করার নতুন কোন সহজ পদ্ধতি আসার আগ পর্যন্ত আক্রমণকারীকে শুধুমাত্র 'সারপ্রাইজ' ফ্যাক্টরের উপরেই নির্ভর করতে হবে।

https://koushol.blogspot.com/2024/12/drone-war-in-ukraine-lesson-for-rest-of-world.html?m=1

সিরিয়ায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তন – কি হতে চলেছে?১০ই ডিসেম্বর ২০২৪বাশার আল-আসাদের পতন কেউই চিন্তা করতে পারেনি। তুরস্ক যে এই অ...
11/12/2024

সিরিয়ায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তন – কি হতে চলেছে?

১০ই ডিসেম্বর ২০২৪

বাশার আল-আসাদের পতন কেউই চিন্তা করতে পারেনি। তুরস্ক যে এই অভিযানের নেপথ্যে ছিল, তা পশ্চিমাদের কথাতেই পরিষ্কার। আর তুরস্ক বা পশ্চিমারা যে বাশারকে সরাতে চায়নি, সেটাও নিশ্চিত। তারা কেউই পরিকল্পনা করেনি যে, ‘এইচটিএস'এর সাথে বাকি সিরিয় গ্রুপগুলিও যুক্ত হবে; তারা চিন্তাও করেনি যে বাশারের বাহিনী যুদ্ধ করবে না; তারা বোঝেনি যে রাশিয়া এবং ইরান তাদের সমর্থন সরিয়ে নেবে। মোটকথা, সিরিয়ার বর্তমান ফলাফল কেউই পরিকল্পনা করেনি; সৃষ্টিকর্তা ব্যাতিরেকে। সিরিয়ায় পশ্চিমা গণতান্ত্রিক ধাঁচের সরকার গঠনে যারা আগ্রহী ছিলো, তাদের বাইরেও অনেকেই আসাদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিয়েছে। একারণেই সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কেউই নিশ্চিত নয়। মোটকথা, বাশার আল-আসাদ ব্যতীত সিরিয়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত; যা তুরস্ক বা রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্র, কেউই চায়নি; পরিকল্পনাও করেনি। কাজেই সিরিয়ার ভবিষ্যৎও যে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হবে না, সেটা বলাই যায়।

https://koushol.blogspot.com/2024/12/syria-political-change-where-to.html?m=1

ভারত কেন অস্তিত্ব সংকটে?০৩রা ডিসেম্বর ২০২৪৫ই অগাস্টে বাংলাদেশের পট পরিবর্তন ভারতের জন্যে হুমকি-রূপে আবির্ভূত হয়েছে। জামা...
03/12/2024

ভারত কেন অস্তিত্ব সংকটে?

০৩রা ডিসেম্বর ২০২৪

৫ই অগাস্টে বাংলাদেশের পট পরিবর্তন ভারতের জন্যে হুমকি-রূপে আবির্ভূত হয়েছে। জামাত-এ-ইসলামীর মতো সংগঠনের সমর্থকেরা সরকারের আশেপাশে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকাকে ভারত যত বড় হুমকি হিসেবে দেখছে, তার চাইতে বহুগুণে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে বাংলাদেশের শিক্ষিত 'এলিট' সমাজের যুবকদের মাঝে এবং দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকারী সেনাবাহিনীর অফিসারদের মাঝে হিযবুত তাহরীরের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিকে। হর্ষবর্ধন শ্রিংলার কথায় এটা পরিষ্কার যে, ঢাকায় খিলাফত প্রতিষ্ঠার ডাক ভারতের অস্তিত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ব্যাপক ভারত-বিদ্বেষী মনোভাব জেগে ওঠার সাথেসাথে ঢাকার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ-স্কুলের ছাত্রদের কলেমা-খচিত পতাকা নিয়ে ঢাকার রাস্তায় মিছিল ভারতকে মারাত্মকভাবে বিচলিত করেছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি যখন টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে, তখন হিযবুত তাহরীর সারা দেশে পোস্টার এবং লিফলেট বিলি করে গত ২৯শে নভেম্বর এক অনলাইন কনফারেন্সের আয়োজন করে; যেখানে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সমস্যার সমাধান নিয়ে খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটা সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রস্তাব করা হয়। এটা পরিষ্কার যে, ২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত সেকুলার গণতন্ত্রকে রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদে কোন ফলাফল বয়ে নিয়ে আসেনি। আর ২০২৪ সালে ভারতে হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং 'ইসকন'সহ নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ দিল্লীর অস্তিত্ব হারাবার শংকাকেই তুলে ধরে।

https://koushol.blogspot.com/2024/12/why-india-facing-existential-crisis.html?m=1

চাগোস দ্বীপপুঞ্জ এবং ফকল্যান্ডস – ব্রিটেন-আমেরিকার ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এখন সর্বসন্মুখে২৩শে অক্টোবর ২০২৪দক্ষিণ আমেরিকার ম...
23/10/2024

চাগোস দ্বীপপুঞ্জ এবং ফকল্যান্ডস – ব্রিটেন-আমেরিকার ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এখন সর্বসন্মুখে

২৩শে অক্টোবর ২০২৪

দক্ষিণ আমেরিকার ম্যাজেলান প্রণালিতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি তৈরির সিদ্ধান্ত এবং আর্জেন্টিনাকে 'এফ-১৬' যুদ্ধবিমান দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রমাণ করলো যে, ‘নতুন ঠান্ডা যুদ্ধে' বিশ্বব্যাপী সামরিক ঘাঁটি তৈরি এবং চীনা প্রভাব নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারকে মার্কিনীরা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে। এমনকি এন্টার্কটিকায় চীনা বৈজ্ঞানিক অভিযান ও পাতাগোনিয়া মরুভূমিতে চীনা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও যুক্তরাষ্ট্র সোচ্চার হয়েছে। মার্কিন 'এফ-১৬' যুদ্ধবিমান সাড়ে ৪'শ কিঃমিঃ দূরে ব্রিটেনের ফকল্যান্ডসের বিরুদ্ধে বাস্তব কোন হুমকি তৈরি না করলেও তা ম্যাজেলান প্রণালির উপর ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণকে প্রশ্নের মাঝে ফেলবে। একইসাথে আর্জেন্টিনার উগ্র লিবারাল প্রেসিডেন্টের নীতি ঐতিহাসিকভাবে ব্রিটিশ প্রভাবে থাকা প্রতিবেশী দেশ চিলি এবং 'ব্রিকস'এর সদস্যদেশ ব্রাজিলের সাথে উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে। নতুন বাস্তবতায় মার্কিনীদের কাছে 'নিরপেক্ষ' বলে কোন কিছুই থাকছে না; যা মূলতঃ বিশ্বব্যাপী ব্রিটিশ প্রভাবকেই চ্যালেঞ্জ করছে। এতকাল মার্কিনীরা দিয়েগো গার্সিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিল না; কারণ ব্রিটিশরা চাগোস দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখে এবং আশেপাশের দেশেগুলির সাথে কূটনৈতিক এবং ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিংএর মাধ্যমে মার্কিন ঘাঁটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এখন চীনের সাথে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বাস্তবতায় এবং তাইওয়ান নিয়ে যুদ্ধের শংকার মাঝে মার্কিনীরা হঠাৎ করেই আবিষ্কার করেছে যে, তাদের দিয়েগো গার্সিয়ার ঘাঁটির নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারে ব্রিটিশদের সাথে নতুন করে দরকষাকষিতে যেতে হবে।

https://koushol.blogspot.com/2024/10/chagos-islands-falklands-britain-usa-geopolitical-rivalry-open.html?m=1

‘নতুন ঠান্ডা যুদ্ধে' পক্ষ-বিপক্ষ বা জোট নিরপক্ষতার মাপকাঠি কি?২২শে অক্টোবর ২০২৪ভঙ্গুর সেকুলার বিশ্বব্যবস্থায় আজকে ঠিক-বে...
22/10/2024

‘নতুন ঠান্ডা যুদ্ধে' পক্ষ-বিপক্ষ বা জোট নিরপক্ষতার মাপকাঠি কি?

২২শে অক্টোবর ২০২৪

ভঙ্গুর সেকুলার বিশ্বব্যবস্থায় আজকে ঠিক-বেঠিক নিয়ে কোন মতৈক্য নেই; কারণ একেক জনের কাছে মাপকাঠি একেক রকম। লিবারাল গণতন্ত্রের চিন্তা ধারণকারীদের কাছে ব্যক্তিস্বাধীনতা, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে; আবার যারা সার্বভৌমত্ব-কেন্দ্রিক চিন্তা ধারণ করছে, তাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে স্থিতিশীল শক্তিশালী রাষ্ট্র। যারা প্রথম পক্ষে থাকছে, তারা শুধু চীন-রাশিয়ার সাথে কঠোর ভূমিকা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চাইছে না, অন্যান্য রাষ্ট্রকেও তাদের মতামতের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে বাধ্য করার পক্ষপাতি। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে তারা আবার বাস্তবতার কাছে হার মেনে যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে। আর দ্বিতীয় পক্ষের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন-রাশিয়ার সাথে ব্যালান্সিংএর সম্পর্ক রেখে আগের ঠান্ডা যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ পোস্ট-কলোনিয়াল সেটআপের উপর গড়ে ওঠা তৃতীয় পক্ষ বা 'নন এলাইন্ড মুভমেন্ট' বা 'জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন'এর কথা বলছেন। তবে এই জোট নিরপেক্ষ গ্রুপের সকলেই বোঝেন যে দুই নৌকায় পা রাখলে কাউকেই খুশি করা সম্ভব নয়। বরং এতে প্রথম গ্রুপের চাপ সামলাতে গিয়ে সার্বভৌমত্ব যতটুকু রয়েছে, সেটাও হারাতে হতে পারে। সকলেই নিজেদের নীতিকে অন্যের নীতির চাইতে সেরা মনে করছেন; কারণ কারুর নীতিই ঐশ্বরিক নয়। সকলেই মনে করছেন যে, তাদের চিন্তায় সংঘাত এড়ানো সম্ভব। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই মতবিরোধই নতুন ঠান্ডা যুদ্ধে "পক্ষ বনাম নিরপেক্ষ" প্রক্সি সংঘাতের জ্বালানি।

https://koushol.blogspot.com/2024/10/new-cold-war-for-or-against-vs-neutral-what-criteria.html?m=1

লোহিত সাগর এবং বাব-এল মান্ডেব প্রণালির বাণিজ্যপথ নিয়ে দ্বন্দ্ব কোন দিকে যাচ্ছে?২০শে অক্টোবর ২০২৪লোহিত সাগরের সংঘাত বন্ধে...
20/10/2024

লোহিত সাগর এবং বাব-এল মান্ডেব প্রণালির বাণিজ্যপথ নিয়ে দ্বন্দ্ব কোন দিকে যাচ্ছে?

২০শে অক্টোবর ২০২৪

লোহিত সাগরের সংঘাত বন্ধে মার্কিনীরা এবং ইউরোপিয়রা একে অপরকে ঠেলছে। মার্কিনীরা বলছে যে, লোহিত সাগরের সংঘাত ইউরোপের বেশি ক্ষতি করছে। কিন্তু মার্কিনীরা আবার একদিকে যেমন ই*স্রা*ইলকে গা*জা এবং লে*বা*ননে হামলা থেকে নিবৃত করছে না, অপরদিকে সংঘাতকে ছড়িয়ে ই*রা*নকেও সরাসরি জড়াতে চাইছে না। এক বছর হয়ে গেলো মার্কিনীরা মধ্যপ্রাচ্যে বিরাট সামরিক শক্তি মোতায়েন রাখতে বাধ্য হচ্ছে; অথচ ওয়াশিংটনের ধোঁয়াশা নীতির মাঝেই হু*থি*রা লোহিত সাগরের বাস্তবিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ‘ভোক্স'এর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, ই*য়ে*মেনের গৃহযুদ্ধে এবং এর ফলাফলস্বরূপ দু*র্ভিক্ষে সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহযুদ্ধ শেষে হু*থিদের অধীনে ই*য়ে*মেনের পরিস্থিতি তেমন ভালো নয়। এরপরেও হু*থিরা যে সফলভাবে জনগণের আবেগকে পুঁজি করতে পেরেছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায়। পুরো ই*য়ে*মেন জুড়ে ফি*লি*স্তিনের পক্ষে এবং লোহিত সাগরের জাহাজে হামলা সমর্থন করে বিশাল জনসমাবেশ দৃশ্যমান হয়। লোহিত সাগরে হামলা ই*য়ে*মেনের জনগণের বাস্তবতাকে উন্নতির দিকে না নিলেও হু*থিদের ক্ষমতাকে আরও সুসংহত করেছে বলেই প্রতীয়মান হয়। ‘বিজনেস ইনসাইডার'এর বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে যে, লোহিত সাগরের সংঘাতে ব্যালান্স অব পাওয়ারে এগিয়ে রয়েছে হু*থিরাই। কারণ কৌশলগত অবস্থানের কারণে হু*থিরা নিয়ন্ত্রণমূলক অবস্থানে রয়েছে এবং তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতাও রয়েছে যথেষ্ট। আর হু*থিদের সক্ষমতাকে ধ্বংস করতে হলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ই*রা*নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে; যার রাজনৈতিক সদিচ্ছা পশ্চিমাদের কারুরই নেই।

https://koushol.blogspot.com/2024/10/red-sea-bab-el-mandeb-strait-trade-route-conflict-future-direction.html?m=1

ইউক্রেন যুদ্ধ - ভুহলেদার শহর রুশদের হাতে চলে যাবার কৌশলগত গুরুত্ব১৩ই অক্টোবর ২০২৪২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর থে...
13/10/2024

ইউক্রেন যুদ্ধ - ভুহলেদার শহর রুশদের হাতে চলে যাবার কৌশলগত গুরুত্ব

১৩ই অক্টোবর ২০২৪

২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে রুশরা তাদের যুদ্ধকৌশলকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করেছে। তারা যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিচ্ছে এবং প্রযুক্তিকে যথাসম্ভব ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। ড্রোন, গ্লাইড বোমা এবং স্যাটেলাইট যোগাযোগের ব্যবহার যুদ্ধক্ষেত্রে রুশদের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। আর সংখ্যাগত দিক থেকে ইউক্রেনের চাইতে অনেক এগিয়ে থাকায় রুশরা ব্যাপকভাবে আক্রমণে যেতে সক্ষম হচ্ছে। পশ্চিমা সরকারগুলি যে মুহুর্তে নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাপের কারণে ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের সহায়তা দিতে গরিমসি করছে, ঠিক তখনই রাশিয়া ডোনেটস্ক অঞ্চলে একের পর এক শহর নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে। জেলেন্সকি রাশিয়ার অভ্যন্তরে কুর্স্ক অঞ্চলে আক্রমণের মাধ্যমে কৌশলগত যে সাফল্য আশা করেছিলেন, তা যে আসছে না, সেটা নিশ্চিত। উল্টো, কুর্স্ক অপারেশনের কারণে ইউক্রেনিয়রা ডোনেটস্ক অঞ্চলে হারতে বসেছে।

https://koushol.blogspot.com/2024/10/ukraine-war-russian-capture-of-vuhledar-strategic-significance.html?m=1

লে*বান*নের ই*স্রা*ই*লি আক্রমণ এবং গা*জা* গণ*হ*ত্যার এক বছর – মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ কি?১২ই অক্টোবর ২০২৪প্রায় দশ মাস ধরে ই...
12/10/2024

লে*বান*নের ই*স্রা*ই*লি আক্রমণ এবং গা*জা* গণ*হ*ত্যার এক বছর – মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ কি?

১২ই অক্টোবর ২০২৪

প্রায় দশ মাস ধরে ই*স্রা*ইল যখন গা*জায় ব্যাপক বোমা হামলা করছিলো, তখন হি*য*বুল্লাহ ই*স্রা*ইলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকারে সংঘাতে জড়িয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র গত অগাস্ট মাস থেকেই হি*য*বু*ল্লাহ ই*স্রা*ই*লের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হামলা শুরুর চেষ্টা করেছে; যখন ই*স্রা*ইল গাজার যুদ্ধকে গুছিয়ে নিয়ে হি*য*বু*ল্লাহর সক্ষমতাকে ধ্বংস করার জন্যে পুরো শক্তিকে নিয়োজিত করেছে। হি*য*বু*ল্লাহ বুঝতে পেরেছে যে, ই*স্রা*ই*লের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ-প্রচেষ্টা বড্ড দেরি হয়ে গেছে। গা*জায় ই*স্রা*ইলি হামলার সময় সাইডলাইনে বসে থেকে হি*য*বুল্লাহ কত বড় ভুল করেছে, সেটা এখন পরিষ্কার। বিশেষ করে হি*য*বু*ল্লাহর নেতৃত্ব এবং পুরো কমান্ড-কন্ট্রোল কাঠামো যখন ই*স্রা*ই*লি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তখন ইরানও তাদের নিজেদের ভূমিতে ই*স্রা*ই*লি হামলার বিরুদ্ধে সবচাইতে বড় ডিটারেন্টকে দুর্বল হতে দেখেছে। এক বছর ধরে গাজায় ৪১ হাজার মানুষ হ*ত্যায় যুক্তরাষ্ট্র শুধু সম্মতিই দিয়ে যায়নি; সামরিক সহায়তা পাঠিয়ে ই*স্রা*ই*লকে সুরক্ষা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সকল পশ্চিমা দেশও ই*স্রা*ই*লের সুরক্ষায় সামরিক শক্তি পাঠিয়ে সরাসরি অংশ নিয়েছে। কিন্তু তুরস্ক এবং ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের সকল রাষ্ট্র ই*স্রা*ইলের বর্বরতার বিরুদ্ধে কিছুই করেনি। এহেন পরিস্থিতিতে ই*স্রা*ই*ল যে মধ্যপ্রাচ্যে নিজের ইচ্ছামতো চলবে, তাতে অবাক হবার কিছু নেই। এর ফলশ্রুতিতে ই*স্রা*ইলকে যতই শক্তিশালী মনে হোক না কেন, মধ্যপ্রাচ্যের যে সরকারগুলির মাধ্যমে ই*স্রা*ই*লের সীমান্তগুলি নিরাপদে থাকছে, সেই সরকারগুলি ই*স্রা*ইলের পক্ষে তাদের নিজেদের জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নিজেদের অবস্থানকে দুর্বল করেছে। ই*স্রা*ই*ল, যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিমা বিশ্ব এবং মধ্যপ্রাচ্যের নেতৃত্ব এক পক্ষে এসে গ*ণহ*ত্যাকে সার্টিফিকেট দেয়াটা একদিকে যেমন দেউলিয়া হওয়া বিশ্বব্যবস্থার ইঙ্গিত দেয়, তেমনি তা মুসলিম বিশ্বে বড় আকারের পরিবর্তনের সম্ভাবনাকেও আগের চাইতে অনেক বৃদ্ধি করে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত – মধ্যপ্রাচ্যের 'লিটল স্পার্টা', নাকি অন্য কিছু?১০ই অক্টোবর ২০২৪আমিরাতের প্রতিষ্ঠার মতোই তাদের ভূকৌশল...
10/10/2024

সংযুক্ত আরব আমিরাত – মধ্যপ্রাচ্যের 'লিটল স্পার্টা', নাকি অন্য কিছু?

১০ই অক্টোবর ২০২৪

আমিরাতের প্রতিষ্ঠার মতোই তাদের ভূকৌশলগত প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টাগুলিও অনেকটা অবাস্তবের মতোই। ব্রিটিশদের হাতে একেবারেই শূন্য থেকে তৈরি হওয়া মাত্র ১১ লক্ষ মানুষের একটা দেশের পক্ষে বিশ্বব্যাপী এতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারাটা সত্যিই অবাক করার মতো। একারণেই হিসেব কষতে গিয়ে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখার প্রচেষ্টা। শুধুমাত্র তেল-গ্যাস বিক্রি করলে আমিরাতের আর্থিক সম্পদ হয়তো বাড়তো, কিন্তু জনসংখ্যা ১ কোটি হতো না; এর জন্যে প্রয়োজন ছিল দুবাই এবং ফ্রি-ট্রেড জোন। এই ফ্রি-ট্রেড এবং এর সাথে এয়ারলাইন্স-সমুদ্রবন্দর-বিমানবন্দরের ব্যবসা আমিরাতকে সারা বিশ্বে আলাদা স্থান করে দিয়েছে। বিদেশী জনশক্তির উপর ভর করেই আমিরাত তার শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। জেনারেল জিম ম্যাটিসের 'লিটল স্পার্টা' প্রকৃতপক্ষে একটা ভাড়াটে সামরিক বাহিনীর কাহিনী। কিন্তু বড় পরিসরে দেখতে গেলে আমিরাতের ব্যালান্সিংএর ইতিহাসকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ কমনওয়েলথ এবং জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন যে নীতিকে অনুসরণ করেছে, আমিরাতিরাও সেই একই নীতি অবলম্বন করে কৌশলগত দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থেকেছে, কিন্তু ওয়াশিংটনের উপর নির্ভরশীলতা কমাবার চেষ্টা করেছে। নিজেদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে গিয়ে তারা রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলিকে আলিঙ্গন করেছে; তথাপি যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ তাদেরকে কখনোই স্পর্শ করেনি। তারা সর্বদাই বিভিন্ন গৃহযুদ্ধে অস্ত্র সরবরাহ করেছে; কিন্তু তাদের মানবাধিকার নিয়ে কেউই খুব বেশি উচ্চবাচ্য করেনি। সমরাস্ত্র তৈরিতে তারা বিদেশী বিনিয়োগ এনেছে এবং একইসাথে বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে আফ্রিকাতে, সমরাস্ত্র সরবরাহ করে তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের নিজেদের দেশে সামরিক ঘাঁটি করতে দিয়েছে; কিন্তু ফ্রান্সকেও ঘাঁটি করতে দিয়ে ব্যালান্স করেছে। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান এবং ইয়েমেনের যুদ্ধে তারা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে সমুন্নত রেখেছে; তাই মানবাধিকারের ইস্যু নিয়ে সৌদি আরবকে যতটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে আমিরাতকে ততটা পড়তে হয়নি। প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের জন্যে আমিরাত হচ্ছে বাস্তব সেকুলার বন্ধু - আদর্শ বন্ধু নয়; তবে আদর্শের বন্ধু - ঠিক আমিরাতের স্রষ্টা ব্রিটেনের মতোই।

https://koushol.blogspot.com/2024/10/uae-little-sparts-middle-east-or-something-else.html?m=1

Address

Sir Sayed Ahmed Road, Mohammadpur
Dhaka
1207

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when K360 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Our Story

Knowledge360 (K360, in short) is an organisation based around connecting and coordinating knowledge resources. It has a specialist resource pool capable of catering to a wide range of business needs. And because of the unique organisational structure, K360 is able to provide highly specialised services at an affordable cost. The strength of K360 lies in its highly skilled, diverse and experienced resource pool. This resource pool, while rare under one roof, is coordinated in such a way that clients can rely on an almost one-stop professional solution. Sector Experience: Resources working under the K360 platform have many years’ experience working on/with the following sectors: -Education services -Human development, including Women and Child development -Telecom services and marketing -Marketing and development research -Consumer goods manufacturing and marketing -Financial services and accounting -IT services -Food and catering -Photography -Audio-visual productions -Event management -And others. Area of Work -Corporate houses -NGOs -Development agencies -Small businesses -Non-profit and voluntary organisations, etc.