Amazing Dinajpur

Amazing Dinajpur দিনাজপু‌র জেলার সুন্দর সুন্দর ছবি ও তথ্য জানতে পেইজটিতে Follow দিন
(88)

সাহিত্য ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যমন্ডিত দিনাজপুরের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের ছোট নাগপুর, বিন্ধ্যা পর্বত প্রভৃতি লাখ লাখ বছরের প্রাচীন স্থানগুলোর মৃত্তিকার সমগোত্রীয় দিনাজপুরের মাটি। বহুকাল পূর্বে হিমালয় পর্বতের ভগ্নীরূপে জন্ম নেয়া বরেন্দ্র ভূমির হৃদয়-স্থানীয় স্থান দিনাজপুর। লোকশ্রুতি অনুযায়ী জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নামানুসারেই রা

জবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর। পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসকরা ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর।

বাংলাদেশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসনের সূচনায় সৃষ্ট আদি জেলা শহরগুলির অন্যতম দিনাজপুর। ইংরেজ সেনারা পলাশী যুদ্ধের আট বছর পর ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে এ এলাকা জয় করে। ফলে নবাবী শাসনের অবসানের সঙ্গে পতন হয় সাবেক রাজধানী ঘোড়াঘাট নগরের। তারপর থেকে গড়ে উঠতে শুরু করে দিনাজপুর শহর।

দিনাজপুর গেজেটিয়ারের মতে ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে জেলা শাসনের জন্য দিনাজপুরে স্বতন্ত্র স্থায়ী কালেক্টরেট স্থাপিত হয়। তার পূর্ব পর্যন্ত দিনাজপুর-রংপুর যুক্ত কালেক্টরেট ছিল। রাজসেরেস্তা থেকে নথিপত্র প্রত্যাহার করে জিলা স্কুলের পুরাতন ভবনটিতে (সম্প্রতি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে) কালেক্টর অফিস স্থাপিত হয়। জেলা স্কুল হওয়ার পূর্বে ভবনটি রাজকাচারী ছিল। তখন কালেক্টর ছিলেন মি. ম্যারিওয়েট; রাজা ছিলেন রাজবংশের নাবলক উত্তরাধিকারী রাধানাথ।

১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ সেনাপতি মিঃ কোট্রিল ঘোড়াঘাটের শেষ মুসলিম ফৌজদার করম আলী খানকে পরাজিত করে এই অঞ্চলে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এ অঞ্চলে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে ইংরেজরা ১৭৮৬ সালে নতুন জেলা গঠন করে এবং ১৭৯৩ সালে দিনাজপুরে জেলার দপ্তর স্থাপন করে। দিনাজপুরের কালেক্টর মিঃ এইচ জে হ্যাচ (১৭৮৬-১৭৯৩ পর্যন্ত কালেক্টর ছিলেন) এর আমলে দিনাজপুরে প্রথম নিজস্ব কালেক্টরেট ভবন নির্মিত হয় বর্তমান বাহাদুর বাজারস্থ গোলকুঠি বাড়ীতে। জেলা কালেক্টরেট নির্মিত হওয়ায় এবং সেই সঙ্গে সুবিন্যস্ত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হওয়ায় আধুনিক জেলা শহরটির গড়ন শুরু হয় রাজাদের দেয়া কয়েকটি মৌজার উপর। রাজবাড়ী থেকে সমস্ত নথিপত্র প্রত্যাহার করে গোলকুঠি ভবনে আনা হয়। মুগল আমলের ঘোড়াঘাট নগর তখন সম্পূর্ণভাবে পরিত্যক্ত। দিনাজপুর শহর তখন জেলা শাসনের কেন্দ্র ও সবকিছুর কর্মস্থলে পরিণত হতে শুরু করে। ১৮৩৩ থেকে ১৮৭০ সাল পর্যন্ত দিনাজপুরের বিভিন্ন অংশ পূর্ণিয়া, রংপুর ও রাজশাহীর মধ্যে অন্তর্ভুক্তি ও বিচ্যুতি ঘটে।

১৮০০ হইতে ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে দিনাজপুরের বড় বড় এষ্টেট পূর্ণিয়া, রংপুর এবং রাজশাহী জেলার সংগে যুক্ত করা হয়। ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে আর একটি সুবিস্তৃত অংশ বগুড়া ও মালদহ জেলার সাথে যুক্ত করার পূর্ব পর্যন্ত আর কোন রদবদল করা হয়নি। ১৮৬৪-১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে খট্রা নামক একটি সুবিশাল পরগণাকে এ জেলা হতে ছেঁটে বগুড়া জেলার সাথে যুক্ত করা হয়। ১৮৬৮-১৮৭০ সালের দিকে এ জেলার একটি বৃহৎ অংশ বগুড়া ও মালদহ জেলায় যুক্ত হয়। ১৮৯৭-১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে এ জেলার দক্ষিণ অংশে অবস্থিত মহাদেবপুর থানা রাজশাহীতে স্থানান্তরিত হয়। পাকিস্তান-পূর্ব আমল পর্যন্ত আর কোন রদবদল হয়নি।

১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট রাজ্য ইংরেজ শাসিত ভারতের বুকে পাকিস্তান ও ভারত নামক দুটি আলাদা রাষ্ট আত্মপ্রকাশ করে। ঐ সময়ে রাডক্লিফ রোয়েদাদ অনুসারে এ জেলার দশটি থানা ভারতের পশ্চিম বাংলা প্রদেশের অন্তর্ভূক্ত হয় এবং পশ্চিম দিনাজপুর জেলা গঠন করে। অপরদিকে পশ্চিম বাংলার জলপাইগুড়ি জেলা হতে তেতুলিয়া, পঞ্চগড়, বোদা, দেবীগঞ্জ ও পাটগ্রাম থানা দিনাজপুরের সাথে যুক্ত হয়। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান সরকার শাসনকার্যের সুবিধার্থে পাটগ্রাম থানাটি রংপুরের সাথে এবং দিনাজপুরের দক্ষিণ অংশের ধামইর, পোরশা ও পত্নিতলা থানা তিনটি তৎকালীন রাজশাহীর নওগাঁ মহকুমার সাথে যুক্ত করে। সর্বশেষ ১৯৮৪ সালে দিনাজপুরের দুটি মহকুমা ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় আলাদা জেলার মর্যাদা লাভ করে।


আয়তনঃ ৩,৪৪৪.৩০ ব:কিঃমিঃ (১৩২৯.৮৫ বঃ মাঃ) (উপজেলা ভিত্তিক আয়তন)

লোক সংখ্যাঃ ৩১,০৯,৬২৮ জন
(২০১১ সালের আদমশুমারী অনুয়ায়ী-Adjusted) (উপজেলা ভিত্তিক লোকসংখ্যা)

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র,পার্বতীপুর,দিনাজপুর।🇧🇩(দেশের প্রথম কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র) বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বো...
23/06/2024

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র,পার্বতীপুর,দিনাজপুর।🇧🇩
(দেশের প্রথম কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র)
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
ছবি সংরক্ষিত

"দিনাজপুর সদর থানা সমিতি-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়" এর কিছু সদস্য মিলে দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী 'গোর-এ শহীদ বড় ময়দান' পরিষ্কার ...
23/06/2024

"দিনাজপুর সদর থানা সমিতি-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়" এর কিছু সদস্য মিলে দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী 'গোর-এ শহীদ বড় ময়দান' পরিষ্কার উদ্যোগ নিয়েছেন...!!

সেই ভোর বেলা থেকে তারা কাজ শুরু করে এবং টানা ৪-৫ ঘন্টা সময় ব্যয় করে পুরো মাঠের আনাচে কানাচে;ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কাগজ ও অন্যান্য আবর্জনা পরিষ্কার করে মাঠে ১৫-১৮ টির মত ডাস্টবিন বসিয়ে দিয়েছে- যার প্রত্যেকটিতে লেখা- "আপনি কি শিক্ষিত! তাহলে দয়া করে আমাকে ব্যবহার করুন"।

হোক তবে পরিবর্তনের শুরুটা প্রথম পদাঙ্ক দিয়েই ❤️

ছুটি শেষ 🙂সবাইকে ফিরতে হবে নিজ গন্তব্যে 😅🫶pic location - সেতাবগঞ্জ, মঙ্গলপুর,কাঞ্চন রেলওয়ে-স্টেশন pic - 𝚂𝙷𝙰𝚁𝙾𝚃©️ Amazing...
22/06/2024

ছুটি শেষ 🙂
সবাইকে ফিরতে হবে নিজ গন্তব্যে 😅🫶
pic location - সেতাবগঞ্জ, মঙ্গলপুর,কাঞ্চন রেলওয়ে-স্টেশন
pic - 𝚂𝙷𝙰𝚁𝙾𝚃
©️ Amazing Dinajpur

#দিনাজপুর

বিজিবির কাছে দুলালি পালকে (১৯) হস্তান্তর করে বিএসএফকাজের সন্ধানে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়া দুলালি পাল (১৯) নামের...
22/06/2024

বিজিবির কাছে দুলালি পালকে (১৯) হস্তান্তর করে বিএসএফ

কাজের সন্ধানে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়া দুলালি পাল (১৯) নামের এক তরুণীকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হিলি সীমান্তের শূন্য রেখায় বিজিবির কাছে তরুণীকে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

দুলালি পাল (১৯) ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামের জাদু পালের মেয়ে।

এ সময় বিজিবির হিলি আইসিপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মোতালেব হোসেন ও বিএসএফের-৬১ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সত্য নারায়ণ চন্দ্র উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি জানায়, বাংলাদেশের পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ভারতের শিলিগুড়ি হয়ে কাজের সন্ধানে কলকাতায় যান দুলালি পাল। সেখানে কাজ না পেয়ে ৯ মাস পর কলকাতা থেকে দেশে ফিরে আসার সময় ভারতের বালুপাড়া নামক এলাকা থেকে (কাছে পাসপোর্ট না থাকায়) বিএসএফ তাকে আটক করে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সন্ধ্যায় তাকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

দুলালি পালকে হাকিমপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় বিজিবি।

তথ্য ও ছবিঃ RTV
Amazing Dinajpur

22/06/2024

দিনাজপুর! উত্তরবঙ্গের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। এই জেলাতে রয়েছে ১৬/১৭ টি রেল স্টেশন। আয়তনে রংপুর বিভাগের সবথেকে বড় জেলা এই দিনাজপুর👌 শান্তির শহর এই দিনাজপুর! মানুষের সরলতা,ভাষা,আতিথেয়তা মুগ্ধ করবে যে কেউকে।❤️ লিমন সরকারের গলায় বাকিটা দেখুন ভিডিওতে🌸 একসাথে ১৬/১৭ টা স্টেশনের ভিডিও ধারণ করা চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয়, তাই আজকের ভিডিওতে ৪ টি স্টেশন এর ভিডিও এটাচ করা হয়েছে দিনাজপুর জেলার! বলতে হবে স্টেশনগুলো নাম কি কি! এবং দিনাজপুর থেকে কে কে আমাদের সাথে যুক্ত আছেন!

দিনাজপুরে ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতার..!!দিনাজপুরে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে সরকারি চাকরি দেয়ার নাম করে প্রায় ৯ লক্ষ ...
20/06/2024

দিনাজপুরে ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতার..!!

দিনাজপুরে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে সরকারি চাকরি দেয়ার নাম করে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অ"ভিযোগে ইশরাত জাহান নামে এক ভু"য়া ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সহযোগীকে গ্রে"ফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন।

ধন্যবাদ জেলা পুলিশ দিনাজপুর

ছবি ও তথ্যঃ সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম
Amazing Dinajpur

দিনাজপুরে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে ইশরাত জাহান নামে এক ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সহ যোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
20/06/2024

দিনাজপুরে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে ইশরাত জাহান নামে এক ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সহ যোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চিরিরবন্দরের জনপ্রিয় স্থান ও বিনোদন স্পট কাঁকড়া রেলওয়ে ব্রীজ- আগের তুলনায় এবার লোকসংখ্যা খুবই কম।ছবিঃ গোলাম মোস্তফাAmazi...
20/06/2024

চিরিরবন্দরের জনপ্রিয় স্থান ও বিনোদন স্পট কাঁকড়া রেলওয়ে ব্রীজ- আগের তুলনায় এবার লোকসংখ্যা খুবই কম।

ছবিঃ গোলাম মোস্তফা
Amazing Dinajpur

দিনাজপুর জেলাও রাসেলস ভাইপারের ঝুঁকির আওতাধীন..🪱🐉শেয়ার করে সবাইকে সতর্ক করে দিতে ভুলবেন না! এক সময়ের বিলুপ্ত বিষধর সাপ র...
19/06/2024

দিনাজপুর জেলাও রাসেলস ভাইপারের ঝুঁকির আওতাধীন..🪱🐉

শেয়ার করে সবাইকে সতর্ক করে দিতে ভুলবেন না!

এক সময়ের বিলুপ্ত বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার ক্রমেই যেন রাজত্ব গেড়ে বসতে শুরু করেছে দেশব্যাপী। বরেন্দ্র এলাকা ছেড়ে সাপটির খোঁজ মিলছে বরিশাল, পটুয়াখালী, চাঁদপুর এমনকি ঢাকার আশপাশেও। অস্তিত্ব মিলেছে ২৫ জেলায়। চলতি বছর এ সাপের কামড়ে মারা গেছেন ১০ জন।

রাসেল ভাইপার দেখতে অনেকটা অজগরের বাচ্চার মতো। ছোট ও সরু লেজের সরীসৃপটি দৈর্ঘ্যে তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাথা চ্যাপ্টা, ত্রিভুজাকার এবং ঘাড় থেকে আলাদা। শরীরজুড়ে অনেকটা চাঁদের মতো গাঢ় বাদামি গোল গোল দাগ। দৈহিক এই বৈশিষ্ট্যের কারণে শুকনো পাতা বা ধান ক্ষেতের মধ্যে খুব সহজেই লুকিয়ে রাখতে পারে নিজেকে। রাসেল ভাইপার সাপ চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত।


সাধারণত সাপ মানুষকে এড়িয়ে চললেও ঠিক উল্টো স্বভাব রাসেল ভাইপারের। নিজেকে বিপন্ন মনে করলেই করে বসে আক্রমণ। আক্রমণের ক্ষেত্রে এটি এত ক্ষিপ্র যে, ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ে শেষ করতে পারে পুরো প্রক্রিয়া। ক্ষেপে গেলে শব্দ করে প্রচণ্ড জোরে। ঠিক যেন প্রেসার কুকারের মতো।

রাসেল ভাইপারের বিষ হেমাটোটক্সিক, যার কারণে ছোবল দিলে আক্রান্ত স্থানে পঁচন ধরে। ছোবলের পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফুলে যায় ক্ষতস্থান। এর বিষ নষ্ট করে দিতে পারে ফুসফুস, কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।


বেশির ভাগ সাপ ডিম পাড়লেও রাসেল ভাইপার বাচ্চা দেয়। গর্ভধারণ শেষে স্ত্রী রাসেল ভাইপার সাধারণত ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ডও আছে। একদিকে উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা, অন্যদিকে বেজি, গুইসাপসহ প্রকৃতি থেকে সাপের শত্রু বিলীন হয়ে যাওয়া সেইসঙ্গে ইঁদুর, ব্যাঙসহ সাপের পর্যাপ্ত খাবারের উপস্থিতি থাকায় বাড়ছে রাসেল ভাইপার।

বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলেন,
"দেশের সব অঞ্চলে শিয়াল, গুইসাপ ও বেজি দেখলেই লোকজন মেরে ফেলছেন। তারা জানেন না, এটির উপকারিতা কত! এ কারণেই রাসেল ভাইপারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। কারণ তার খাদক নেই। ইকো সিস্টেমে ব্রেক হয়ে গেছে।"


দেশে একটা সময় বিলুপ্ত বলা হলেও দেশজুড়ে এখন মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে রাসেল ভাইপার। বরেন্দ্র অঞ্চলের বাসিন্দা হলেও সাপটির রাজত্ব এখন দেশের অন্তত ২৫টি জেলায়। পৌছে গেছে চাঁদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী পর্যন্ত। সব চেয়ে বেশি আনাগোন মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুরসহ পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার অববাহিকায়, যার ছোবলে চলতি বছর এরই মধ্যে মারা গেছেন অন্তত ১০ জন, যাদের অধিকাংশই কৃষক এবং জেলে।


পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া মাঠে কাজ করা এবং সাপে কাটার পর গ্রামীণ জনপদ এখনও ঝাড়ফুঁকের মতো কুসংস্কার থেকে মুক্ত না হওয়ার মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। যদিও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকারও অভিযোগ আছে।

বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘সাপ দংশন করলে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া উচিত। ওঝার বাড়িতে গিয়ে অনেকে সময় নষ্ট করেন। এতে বিষক্রিয়া পুরোপুরি প্রকাশ পেয়ে গেলে আইসিইউ সাপোর্ট ছাড়া রোগীকে বাঁচানো যাবে না।’

স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে অ্যান্টিভেনম উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত দেয়া আছে। যেসব এলাকায় সাপের উপদ্রব বেশি, সেসব জায়গায় সংরক্ষিত আছে। এনসিডির (নন কমিউনিকেবল ডিজিজ) সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেটি পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

দেশে বছরে চার লাখেরও বেশি মানুষকে সাপে কাটে, যাদের মধ্যে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

18/06/2024

দিনাজপুর মির্জাপুর খ্রিষ্টান পাড়ার বাসা বাড়ি থেকে অর্ধ্ব গলিত ম*র*দে*হ উদ্ধার।
জিজ্ঞাসাবাদে জন্য স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

দিনাজপুরের প্রথম মুসলিম নারী ম্যাট্রিকধারী নবুওতন নেসা চৌধুরী..!!দিনাজপুর পাবলিক লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা ও নওরোজ পত্রিকার...
17/06/2024

দিনাজপুরের প্রথম মুসলিম নারী ম্যাট্রিকধারী নবুওতন নেসা চৌধুরী..!!

দিনাজপুর পাবলিক লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা ও নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক হেমায়েত আলী। হেমায়েত আলী নবুওতন নেসা পিতা। ১৯৪৪-১৯৪৫ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষার আগে মেয়ের এই ছবিটি তুলিয়েছিলেন তিনি। সামাজিক কটাক্ষ উপেক্ষা করে মেয়েকে এতদূর পড়ানোয় সফলতার গল্প দিনাজপুরে সেটিই প্রথম। তারপর সে পথ ধরে একটু একটু করে আজকের এ অবস্থায় আমাদের মেয়েরা।

নবুওতন নেসার বিয়ে হয়েছিল স্থানীয় জমিদার উমের উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সাথে। তাঁদের ন'জন সন্তানের প্রত্যেকেই সুপ্রতিষ্ঠিত।

২০০৭ সালে এই অগ্রদূত নারী পরলোক করেন।
ছবি : দৌহিত্রী তিশা রাফিয়ার সংগ্রহ থেকে।

17/06/2024

ঘুরার মতো মানসিক শান্তি বলতে আর নেই 😌
বোচাগঞ্জ টু দিনাজপুর রোড 🏍️
video - Sharot
©️Amazing Dinajpur

#দিনাজপুর

দিনাজপুরে ২০ গ্রামের মানুষের ঈদ উদযাপনসৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরে বিরামপুর উপজেলায় দুটি ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মু...
16/06/2024

দিনাজপুরে ২০ গ্রামের মানুষের ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরে বিরামপুর উপজেলায় দুটি ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মুসল্লিরা ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন। দুটি জামাতে পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি নারী অংশগ্রহণ করেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

দুই জামাতে ২০ গ্রামের ১২০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। খয়ের বাড়ি মসজিদে ইমামতি করেন দেলোয়ার হোসেন এবং আয়ড়া মোড় জামে মসজিদে ইলিয়াস হোসেন জামাতে নামাজ আদায় করেন।

14/06/2024

সবার স্বপ্ন বাড়ি যাচ্ছে 🤗❤️🚉
মঙ্গলপুর রেলওয়ে স্টেশন 🚉
বিরল, দিনাজপুর।
video - Sharot
Amazing Dinajpur

#দিনাজপুর #বাড়িফেরা

প্রস্তুতির কাজ চলছে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মাঠের....পবিত্র ঈদ উল আযহার নামাজ সুষ্ঠুভাবে আদায়ের লক্ষ্যে ঈদগা মাঠ...
14/06/2024

প্রস্তুতির কাজ চলছে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মাঠের....

পবিত্র ঈদ উল আযহার নামাজ সুষ্ঠুভাবে আদায়ের লক্ষ্যে ঈদগা মাঠ এভাবেই প্রস্তুতি র কাজ চালাচ্ছে আয়োজক কমিটি।

এবারের পবিত্র ঈদ-উল-আযহা- এর নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ০৮:৩০ মিনিটে।

ছবি: সাহেব আলী

দিনাজপুর জেলার বিরল থানার নাড়াবাড়ী বাজারের ঐতিহাসিক হাট শুক্রবার । ০৪নং শহরগ্রাম ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী নাড়াবাড়ী হাট থেকে...
14/06/2024

দিনাজপুর জেলার বিরল থানার নাড়াবাড়ী বাজারের ঐতিহাসিক হাট শুক্রবার । ০৪নং শহরগ্রাম ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী নাড়াবাড়ী হাট থেকে পশু কেনা-বেচার বর্তমান পরিস্থিতি ।

লোকেশনঃ নাড়াবাড়ী ,বিরল, দিনাজপুর।
Amazing Dinajpur

#পশুরহাট
#কুরবানী

14/06/2024

কৃষি🌾
বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত পেশা 🙂
Video -
Amazing Dinajpur

#দিনাজপুর

দিনাজপুরের লিচু মানেই অসাধারণ কিছু!  পছন্দের ফল খেতে বছরের এই সময়টার জন্যই অপেক্ষায় থাকি সবাই। তাই বাজারে লিচু আসতে না আ...
14/06/2024

দিনাজপুরের লিচু মানেই অসাধারণ কিছু!

পছন্দের ফল খেতে বছরের এই সময়টার জন্যই অপেক্ষায় থাকি সবাই। তাই বাজারে লিচু আসতে না আসতেই ছুটে যাই লিচুর ১ নম্বর ডেস্টিনেশন দিনাজপুরে। হাজারো মানুষের ভিড়ে এই আয়োজন কেবল লিচুর মেলা না, পরিণত হয় এক আনন্দমেলায়। আর এমন মিলন মেলায় গ্রামীণফোন-এর নেটওয়ার্ক কর্মীদের চেষ্টা ছিল নেটওয়ার্ক কানেকশনটা যেন নিরবচ্ছিন্ন থাকে।

দিনাজপুরে মধুমাসের এমন আয়োজনের কিছু মুহূর্ত উঠে এসেছে Abdul Momin-এর ক্যামেরায়।

©grameenphone

14/06/2024

দেশের সর্ববৃহৎ রেল-জংশন দিনাজপুরের পার্বতীপুরে...
Video- Dinajpur image
©️Amazing Dinajpur

#দিনাজপুর #বাড়িফেরা

দিনাজপুর পুরনো বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেত সারাদিন দুটি বা তিনটি বাস। তখন সব বাসই ছিল মুড়ির টিন...
13/06/2024

দিনাজপুর পুরনো বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেত সারাদিন দুটি বা তিনটি বাস।

তখন সব বাসই ছিল মুড়ির টিন মার্কা।প্রত্যেক বাসের ভিতরে কিছু উপদেশ বাণী থাকতো,

যা আজও মনে পরেঃ-

সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশী ।

বাহিরে হাত রাখিবেন না।

চলন্ত অবস্থায় ড্রাইভারের সাথে কথা বলিবেন না ।

আপনার অভিযোগ ড্রাইভার কে বলুন ।

১০০ ও ৫০ টাকার ভাংতি নাই ।

আপনার নিজ মালা মালের প্রতি লক্ষ্য রাখুন ।

নিজ দায়িত্বে মাল রাখুন ।

জনাব কিছু ফেলে গেলেন কি?

ব্যবহারে বংশের পরিচয় ।

আরো কতকিছু।

তথ্য ও ছবিঃ সংগ্রহীত

দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে পরিচিত বড় কুরবানির হাটের চিত্র এটি..!!চিরিরবন্দর উপজেলার কাকঁড়া নদীর পাড়ে এই হাট বসে। এই হাটের নাম...
13/06/2024

দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে পরিচিত বড় কুরবানির হাটের চিত্র এটি..!!

চিরিরবন্দর উপজেলার কাকঁড়া নদীর পাড়ে এই হাট বসে। এই হাটের নাম কারেন্টের হাট। অনেক দূর দুরন্ত থেকে ক্রেতা বিক্রেতারা আসেন এই হাটে 🌸

ছবিঃ মোসাদ্দেক হোসেন
Amazing Dinajpur

#দিনাজপুর #লিচু #কারেন্টহাট #চিরিরবন্দর

দিনাজপুর শেখ জাহাঙ্গীর কবরস্থানে ২জন লোক গাছ কাটতে কাটতে সেই গাছ টি একজন এর মাথার উপরে পরে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃ*ত্যু ...
11/06/2024

দিনাজপুর শেখ জাহাঙ্গীর কবরস্থানে ২জন লোক গাছ কাটতে কাটতে সেই গাছ টি একজন এর মাথার উপরে পরে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃ*ত্যু হয়।
লোকটির নাম আলম, তার বাসা শেখপুড়া রেল ঘুন্টি সংলগ্ন।

Pic - Shohag

11/06/2024

বলুন দেখি জায়গাটা কোথায় এটা। 🤗
আর কে কতবার গেছেন 😁
©️Amazing Dinajpur

#দিনাজপুর

দিনাজপুরের লিচু মানেই অসাধারণ কিছু!  পছন্দের ফল খেতে বছরের এই সময়টার জন্যই অপেক্ষায় থাকি সবাই। তাই বাজারে লিচু আসতে না আ...
10/06/2024

দিনাজপুরের লিচু মানেই অসাধারণ কিছু!

পছন্দের ফল খেতে বছরের এই সময়টার জন্যই অপেক্ষায় থাকি সবাই। তাই বাজারে লিচু আসতে না আসতেই ছুটে যাই লিচুর ১ নম্বর ডেস্টিনেশন দিনাজপুরে। হাজারো মানুষের ভিড়ে এই আয়োজন কেবল লিচুর মেলা না, পরিণত হয় এক আনন্দমেলায়। আর এমন মিলন মেলায় গ্রামীণফোন-এর নেটওয়ার্ক কর্মীদের চেষ্টা ছিল নেটওয়ার্ক কানেকশনটা যেন নিরবচ্ছিন্ন থাকে।

দিনাজপুরে মধুমাসের এমন আয়োজনের কিছু মুহূর্ত উঠে এসেছে Abdul Momin-এর ক্যামেরায়।
ধন্যবাদ গ্রামীনফোন এতো সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য 🙂🤝

10/06/2024

সচেতন হই সবাই। 😶
©️Amazing Dinajpur

#স্বপ্ন #দিনাজপুর

Address

Dinajpur District
Dinajpur
5200

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Amazing Dinajpur posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Amazing Dinajpur:

Videos

Share

প্রানের দিনাজপুর

সাহিত্য ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যমন্ডিত দিনাজপুরের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের ছোট নাগপুর, বিন্ধ্যা পর্বত প্রভৃতি লাখ লাখ বছরের প্রাচীন স্থানগুলোর মৃত্তিকার সমগোত্রীয় দিনাজপুরের মাটি। বহুকাল পূর্বে হিমালয় পর্বতের ভগ্নীরূপে জন্ম নেয়া বরেন্দ্র ভূমির হৃদয়-স্থানীয় স্থান দিনাজপুর। লোকশ্রুতি অনুযায়ী জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর। পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসকরা ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর। বাংলাদেশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসনের সূচনায় সৃষ্ট আদি জেলা শহরগুলির অন্যতম দিনাজপুর। ইংরেজ সেনারা পলাশী যুদ্ধের আট বছর পর ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে এ এলাকা জয় করে। ফলে নবাবী শাসনের অবসানের সঙ্গে পতন হয় সাবেক রাজধানী ঘোড়াঘাট নগরের। তারপর থেকে গড়ে উঠতে শুরু করে দিনাজপুর শহর। দিনাজপুর গেজেটিয়ারের মতে ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে জেলা শাসনের জন্য দিনাজপুরে স্বতন্ত্র স্থায়ী কালেক্টরেট স্থাপিত হয়। তার পূর্ব পর্যন্ত দিনাজপুর-রংপুর যুক্ত কালেক্টরেট ছিল। রাজসেরেস্তা থেকে নথিপত্র প্রত্যাহার করে জিলা স্কুলের পুরাতন ভবনটিতে (সম্প্রতি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে) কালেক্টর অফিস স্থাপিত হয়। জেলা স্কুল হওয়ার পূর্বে ভবনটি রাজকাচারী ছিল। তখন কালেক্টর ছিলেন মি. ম্যারিওয়েট; রাজা ছিলেন রাজবংশের নাবলক উত্তরাধিকারী রাধানাথ। ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ সেনাপতি মিঃ কোট্রিল ঘোড়াঘাটের শেষ মুসলিম ফৌজদার করম আলী খানকে পরাজিত করে এই অঞ্চলে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এ অঞ্চলে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে ইংরেজরা ১৭৮৬ সালে নতুন জেলা গঠন করে এবং ১৭৯৩ সালে দিনাজপুরে জেলার দপ্তর স্থাপন করে। দিনাজপুরের কালেক্টর মিঃ এইচ জে হ্যাচ (১৭৮৬-১৭৯৩ পর্যন্ত কালেক্টর ছিলেন) এর আমলে দিনাজপুরে প্রথম নিজস্ব কালেক্টরেট ভবন নির্মিত হয় বর্তমান বাহাদুর বাজারস্থ গোলকুঠি বাড়ীতে। জেলা কালেক্টরেট নির্মিত হওয়ায় এবং সেই সঙ্গে সুবিন্যস্ত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হওয়ায় আধুনিক জেলা শহরটির গড়ন শুরু হয় রাজাদের দেয়া কয়েকটি মৌজার উপর। রাজবাড়ী থেকে সমস্ত নথিপত্র প্রত্যাহার করে গোলকুঠি ভবনে আনা হয়। মুগল আমলের ঘোড়াঘাট নগর তখন সম্পূর্ণভাবে পরিত্যক্ত। দিনাজপুর শহর তখন জেলা শাসনের কেন্দ্র ও সবকিছুর কর্মস্থলে পরিণত হতে শুরু করে। ১৮৩৩ থেকে ১৮৭০ সাল পর্যন্ত দিনাজপুরের বিভিন্ন অংশ পূর্ণিয়া, রংপুর ও রাজশাহীর মধ্যে অন্তর্ভুক্তি ও বিচ্যুতি ঘটে। ১৮০০ হইতে ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে দিনাজপুরের বড় বড় এষ্টেট পূর্ণিয়া, রংপুর এবং রাজশাহী জেলার সংগে যুক্ত করা হয়। ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে আর একটি সুবিস্তৃত অংশ বগুড়া ও মালদহ জেলার সাথে যুক্ত করার পূর্ব পর্যন্ত আর কোন রদবদল করা হয়নি। ১৮৬৪-১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে খট্রা নামক একটি সুবিশাল পরগণাকে এ জেলা হতে ছেঁটে বগুড়া জেলার সাথে যুক্ত করা হয়। ১৮৬৮-১৮৭০ সালের দিকে এ জেলার একটি বৃহৎ অংশ বগুড়া ও মালদহ জেলায় যুক্ত হয়। ১৮৯৭-১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে এ জেলার দক্ষিণ অংশে অবস্থিত মহাদেবপুর থানা রাজশাহীতে স্থানান্তরিত হয়। পাকিস্তান-পূর্ব আমল পর্যন্ত আর কোন রদবদল হয়নি। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট রাজ্য ইংরেজ শাসিত ভারতের বুকে পাকিস্তান ও ভারত নামক দুটি আলাদা রাষ্ট আত্মপ্রকাশ করে। ঐ সময়ে রাডক্লিফ রোয়েদাদ অনুসারে এ জেলার দশটি থানা ভারতের পশ্চিম বাংলা প্রদেশের অন্তর্ভূক্ত হয় এবং পশ্চিম দিনাজপুর জেলা গঠন করে। অপরদিকে পশ্চিম বাংলার জলপাইগুড়ি জেলা হতে তেতুলিয়া, পঞ্চগড়, বোদা, দেবীগঞ্জ ও পাটগ্রাম থানা দিনাজপুরের সাথে যুক্ত হয়। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান সরকার শাসনকার্যের সুবিধার্থে পাটগ্রাম থানাটি রংপুরের সাথে এবং দিনাজপুরের দক্ষিণ অংশের ধামইর, পোরশা ও পত্নিতলা থানা তিনটি তৎকালীন রাজশাহীর নওগাঁ মহকুমার সাথে যুক্ত করে। সর্বশেষ ১৯৮৪ সালে দিনাজপুরের দুটি মহকুমা ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় আলাদা জেলার মর্যাদা লাভ করে। প্রাগৈতিহাসিক দিনাজপুরঃ সাহিত্য-সংস্কৃতির ঐতিহ্যমন্ডিত দিনাজপুরের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের ছোট নাগপুর, বিন্ধ্যা পর্বত প্রভৃতি লক্ষ লক্ষ বছরের প্রাচীন স্থানগুলির মাটির সমগোত্রীয় দিনাজপুরের মাটি। বহুকাল পূর্বে হিমালয় পর্বতের ভগ্নীরূপে জন্ম নেয়া বরেন্দ্র ভূমির হৃদয়-স্থানীয় স্থান দিনাজপুর। চৈনিক ও ইউরোপীয় ভ্রমণকারীদের বিবরণীতে বৃহৎ ও সুনাব্য নদীরূপে বর্ণিত করতোয়া নদীর তীরে কোন এক অজ্ঞাত সময় থেকে এক উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। করতোয়ার তীরে গড়ে উঠে বলে একে করতোয়া সভ্যতা হিসেবে অভিহিত করা যায়। অনুমিত হয়, মধ্যযুগে মহাস্থান, বানগড় এবং মোগল যুগে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটই ছিল এই সভ্যতার প্রধান নাগরিক কেন্দ্র। ইতিহাস খ্যাত পঞ্চনগরী দিনাজপুরেই অবস্থিত ছিল। পাল ও সেন আমলে দিনাজপুরঃ যমুনা-করতোয়ার অববাহিকায় অবস্থিত এ নগরীর বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষগুলি চরকাই, বিরামপুর, চন্ডীপুর, গড়সিংলাই, দামোদরপুর ইত্যাদির ধ্বংসাবশেষ নামে পরিচিত। মৎস্যন্যায় যুগে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর পাড়ে এক উল্লেখযোগ্য বৌদ্ধ বিহার নির্মিত হয়। স্থাপত্য শৈলীর বিবেচনায় এটি বাংলাদেশে আবিষ্কৃত বৌদ্ধ বিহারের মধ্যে তৃতীয় স্থানীয়। ১৯৬৮ সালে প্রথম বার এবং ১৯৭৩ সালে দ্বিতীয় বার খননের পর ৪১টি প্রকোষ্ঠসহ বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। এখানের অনেক প্রত্নদ্রব্য দিনাজপুর মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। ৮ম শতকে গোড়াপত্তন হওয়া পাল বংশের ভ্রাম্যমাণ রাজধানীর বহু ধ্বংসাবশেষ দিনাজপুরের মাটিতে মিশে আছে। পাল রাজত্বকালে পার্বত্য কম্পোজ জাতির আক্রমণ এবং কৈবর্ত বিদ্রোহের ঘটনার সাথে জড়িয়ে আছে দিনাজপুর। সেন রাজত্বকালে নির্মিত অসংখ্য দেব-দেবীর প্রস্তরমূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে দিনাজপুরসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায়। আফগান ও মুঘল আমলে দিনাজপুরঃ লক্ষ্মণসেনকে বিতাড়িত করে বিজেতা বখতিয়ার খিলজী ১২০৪ সালে বরেন্দ্র ভূমি বিজয় করে দিনাজপুরের দেবকোটে মুসলিম রাজধানী স্থাপন করেন। ১২২০ সালে গৌঁড়ে স্থানান্তরিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দেবকোর্টই ছিল বাংলার রাজধানী। চেহেলগাজীগণ দিনাজপুরের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাজা গোপালের সময় ইসলামের বার্তা নিয়ে চেহেলগাজীদের আবির্ভাব হয়। ন্যায়ের স্বার্থে রাজা গোপালের সেনাদলের সাথে ভয়ানক যুদ্ধে মুজাহিদগণ শহীদ হয়েও ভক্তদের মনে মহান গাজীত্বের সম্মান লাভ করেন। গাজীগণ সংখ্যায় ৪০ জন হওয়ায় তাঁদের ৫৪ ফুট দীর্ঘ সমাধিস্থলটি চেহেলগাজীর মাজার নামে পরিচিত যা দিনাজপুর শহরের উত্তর উপকন্ঠে অবস্থিত। এছাড়া দিনাজপুরের গড়মল্লিকপুর এবং খানসামার দুহসুহ গ্রামে যথাক্রমে ৮৪ ফুট এবং ৪৮ ফুট দীর্ঘ দুটি মাজার আছে যা যথাক্রমে গঞ্জে শহীদ এবং চেহেলগাজী নামে পরিচিত। দিল্লী শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সুরক্ষায় ইলিয়াস শাহ্ কর্তৃক নির্মিত ঐতিহাসিক একডালা দুর্গের অবস্থানও ছিলো দিনাজপুরের মধ্যেই। হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে গৌড়ীয় সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহকে অপসারণ করে গৌড়ের মসনদে আরোহণকারী রাজা গণেশ দিনাজপুরের অধিবাসী ছিলেন। পরবর্তীতে গণেশ পুত্র যদু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জালালুদ্দীন নাম ধারণ করে গৌড়ের সিংহাসনে আরোহণ করেন। গৌড়ীয় সুলতান বরবক শাহের সেনাপতি ইসমাইল গাজীর নেতৃত্বে আত্রাই নদীর তীরবর্তী মাহিসন্তোষ নামক স্থানে কামতারাজের সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ হয় এবং পরে কামতাপুর দুর্গ (দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে) বিজীত হয়। ঘোড়াঘাটে করতোয়া নদীর পশ্চিমতীরে ইসমাইল গাজী এক মুসলিম নগরীর গোড়াপত্তন করেন। পরবর্তী কালে ইহা বিখ্যাত ঘোড়াঘাট সরকার নামে পরিচিত হয়। জিন্দাপীর নামে অভিহিত ইসমাইল গাজী ও বহু আউলিয়ার মাজার ঘোড়াঘাটে বিদ্যমান। ১৪৬০ খ্রিস্টাব্দে সুলতান বরবক শাহ সম্পাদিত এবং চেহেলগাজীর মাজারে প্রাপ্ত একটি ফার্সী শিলালিপি থেকে জানা যায় দিনাজপুর শহরসহ উত্তরাংশের শাসনতান্ত্রিক এলাকার শাসনকর্তা নসরত উলুখ নসরত খাঁন চেহেলগাজী মাজারের পাশে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন, যা বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন মসজিদ বলে চিহ্নিত। হোসেন শাহী আমলের বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলাম প্রচারকের মাজার দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, দেবকোটসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে। এছাড়া দিনাজপুরের বুকে শেরশাহী আমলের মসজিদ, সড়ক ও সেতু শূরবংশীয় অধিকারের প্রমাণ বহন করে। মোগল আমলে বাংলা বিজয়ের পর সমগ্র বাংলাদেশকে ২৪টি সরকারে ভাগ করা হয়। এতে দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট, বরকাবাদ, তাজপুর এবং পিঞ্জরা নামের ৪টি সরকার অন্তর্ভুক্ত হয়। সবদিক বিবেচনায় বাংলার ঘোড়াঘাট শ্রেষ্ঠ সরকার ছিল। ঘোড়াঘাটের শেষ ফৌজদার ছিলেন ঐতিহাসিক গ্রন্থ ’মোজাফফরনামা’ রচয়িতা করম আলী খান। সে সময় মসজিদ ও মুসলিম নগরীতে পরিণত হয় মোগল আমলের ঘোড়াঘাট। বিখ্যাত সূরা মসজিদ ও আউলিয়াদের মাজারে ধন্য হয় ঘোড়াঘাট। এক নজরে দিনাজপুর জেলা আয়তনঃ ৩,৪৪৪.৩০ ব:কিঃমিঃ (১৩২৯.৮৫ বঃ মাঃ) (উপজেলা ভিত্তিক আয়তন) লোক সংখ্যাঃ ৩১,০৯,৬২৮ জন (২০১১ সালের আদমশুমারী অনুয়ায়ী-Adjusted) (উপজেলা ভিত্তিক লোকসংখ্যা) পুরুষ ১৫,৬৯,০০৬ জন। মহিলা ১৫,৪০,৬২২ জন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ১.২২ নৃতাত্বিক জনগোষ্টির অন্তর্ভুক্ত জনসংখ্যা: ১৩৩৭০৩ জন। উপজেলার সংখ্যাঃ ১৩ টি (বোচাগঞ্জ, বিরল, কাহারোল, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর সদর, খানসামা, চিরিরন্দর, ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট) Go to Top পৌরসভার সংখ্যাঃ ৮টি (উপজেলা ভিত্তিক পৌরসভা) সিটি কর্পোরেশনঃ নেই ইউনিয়নের সংখ্যাঃ ১০২টি (উপজেলা ভিত্তিক ইউনিয়ন) গ্রামের সংখ্যাঃ ২,১৩১টি (উপজেলা ভিত্তিক গ্রাম) মৌজার সংখ্যাঃ ১,৯২৬টি (উপজেলা ভিত্তিক মৌজা) থানাঃ ১৩ টি হাট-বাজারঃ ২৭৩ টি নদীঃ ১৯ টি মোটপরিবারের (খানা) সংখ্যাঃ ৬,৪৭,৫০০টি প্রতি বর্গকিঃমিঃ-এ লোক সংখ্যার ঘনত্বঃ ৮৬৮ জন (প্রায়) কৃষক পরিবারের সংখ্যাঃ ৪,৮০,৭৫৬ টি ভূমিহীন কৃষক পরিবারের সংখ্যাঃ ১,৪০,৩২৫ টি(৩০%) ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারঃ ৭৯,০৮৬ টি(১৭%) প্রান্তিক কৃষক পরিবারঃ ১,৭৪,২৭৯ টি(৩৬%) মাঝারি কৃষক পরিবারঃ ৬৯,৩৮৭ টি (১৩%) বড় কৃষক পরিবারঃ ১৭,৬৭৯ টি (৫%) খাদ্য চাহিদাঃ ৪,৮৮,৫২৯ মেঃটন মোট খাদ্যশষ্য উৎপাদনঃ ১৩,০৩,৯২৩মেঃ টন উদ্বৃত্ত খাদ্যঃ ৬,৬,৪৪০০ মেঃটন কৃষি শস্য ও ফলমূলঃ প্রধান কৃষি শস্য ধান, গম,ইক্ষু, পাট, আলু, সবজি, পিঁয়াজ, আদা, তৈলবীজ প্রধান ফলমূল লিচু, আম, কলা, কাঠাল, জাম, নারিকেল বনভূমিঃ মোট বনভূমিঃ ৭,৬৪১.২২হেক্টর রিজার্ভ বনভূমিঃ ৪,৬৮৫.৪০হেক্টর ভেস্টেড বনভূমিঃ ২,৪৯৭.১৬হেক্টর একোয়ার্ড বনভূমিঃ ৩৫২.৮৫হেক্টর খাস বনভূমিঃ ১১৫.৮১হেক্টর নার্সারীঃ সরকারী নার্সারীঃ ৫টি ব্যক্তিগত নার্সারীঃ ১৮৩ টি উপজেলা নার্সারীঃ ১৯ টি Go to Top শিক্ষা সংক্রান্তঃ শিক্ষার হার ৫২.৪ (উপজেলা ভিত্তিক শিক্ষার হার) চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ঃ ১ টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ১ টি পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটঃ ১ টি টেক্সটাইল ইনষ্টিটিউটঃ ১ টি আইন মহাবিদ্যালয়ঃ ১ টি কমার্শিয়াল ইনষ্টিটিউটঃ ১ টি সরকারী কলেজঃ ৩ টি বেসরকারী কলেজঃ ৮৬ টি মাদ্রাসাঃ ৩৫০ টি পি.টি.আইঃ ১টি সরকারী বিদ্যালয়ঃ ১০ টি বেসরকারী বিদ্যালয়ঃ ৪০৬ টি (উপজেলা ভিত্তিক শিক্ষার্থী সম্পর্কিত তথ্য) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ৮৬০টি রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ৮৩৫ টি আনরেজি: বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ১৩৬ টি ভিটিআইঃ ২ টি বিকেএসপিঃ ১ টি সরকারী ভেটেরিনারী কলেজঃ ১ টি হোমিও কলেজঃ ১ টি বি এড কলেজঃ ১ টি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটঃ ১ টি যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রঃ ১ টি যোগাযোগ ব্যবস্থা পাকা রাস্তাঃ ৬৯১ কিঃমিঃ আধা


Other Tourist Information Centers in Dinajpur

Show All