SONET TOUR & Travels

SONET TOUR & Travels ✅Your Committed Partner

13/10/2024

পুরোটা পড়েন ভালো লাগবে।

এক বছরের বেশি হয়ে গেল আমার প্রবাস জীবনের – জার্মানির হামবুর্গ শহরে। হামবুর্গ আন্তর্জাতিক শহর – ১৮০ এর বেশি দেশের মানুষের এখানে বসবাস। এখানে আসার আগে মাত্র একজন বাংলাদেশিকে চিনতাম, তার ওপর হামবুর্গে বাংলাদেশির সংখ্যা হাতেগোনা হওয়ার কারণে প্রথম থেকেই বিদেশি বন্ধবান্ধব জুটে যায়, এদের সাথেই ওঠাবসা চলে।
পূর্বের চায়না থেকে পশ্চিমের আমেরিকা – সবার সাথে মেশার সুযোগ হয়েছে…ইংলিশটা ভালো হওয়ার কারণে অনেক জার্মান বন্ধুও জুটেছে (হাম্বুরগের জার্মানরা তাদের ইংলিশ-এর উন্নতির বেপারে খুবই সচেতন :D)… উইকেন্ডের সারারাত জেগে জীবনভিত্তিক আড্ডাও হয়েছে।
সব মিলিয়ে আমি বলব গত একবছর আমার জীবনের সবচেয়ে শিক্ষামূলক সময় কাটিয়েছি– বেশ কিছু জিনিশ উপলব্ধি করেছি…

ছোটবেলায় আমার কাজিনের (Tamal vai) কল্যাণে হলিউড মুভি দেখা হয়েছে অনেক। মুভি দেখতাম আর আফসোস করতাম – ইশ!! কেন যে আমেরিকা-ইউরোপে জন্ম হলো না!!! কত সুন্দর বাল্যকাল কাটাতাম!!! স্কুল থেকে প্রতি বছর অন্য দেশে ট্রিপে নিয়ে যেত, সামারে বনে-বাদারে ক্যাম্পিং করতাম, শীতকালে উইন্টার স্পোর্ট করতাম, ১৩-১৪ বছর বয়স থেকে গার্লফ্রেন্ড থাকত, ১৬ বছর থেকে পার্টটাইম কাজ শুরু করে টাকা জমিয়ে ২০-২১ বছর বয়সে ওয়ার্ল্ড ট্রিপ দিতাম! What a life that would have been!
অনেক রাগ ছিল বিধাতার ওপর...গরিব দেশে জন্ম দেওয়ার কারণে। আজ আমি এক বছর প্রবাস জীবন কাটানোর পর প্রতিদিন একবার আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, গরিব-মুসলিম দেশে জন্ম দেয়ার কারণে…একটু ব্যাখা করার চেষ্টা করি, কেন এই উপলব্ধি।

জার্মানি আসার আগে জার্মানির উপর কিছু আর্টিকেল পড়েছিলাম। এমন একটা আর্টিকেল এ ছিল লাভ ইন জার্মানি এর ওপরে। আর্টিকেলের একটা জিনিস বেশ অবাক লাগছে – জার্মানরা “আমি তোমাকে ভালবাসি” – এই কথাটা পারত পক্ষে বলে না। ২-৩ বছরের সম্পর্কের পর ও ওরা ভালবাসার কথা এড়িয়ে চলে। প্রথমে বিশ্বাস করি নাই। এখানে এসে জার্মানদের সাথে মএশার পর, বেশ কিছু জার্মান ফ্যামিলির কাছ থেকে দেখার পর ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পারছি। এখানে বিয়ে ৪-৫ বছরের বেশি টেকে না। অধিকাংশ ফ্যামিলি বাচ্চা ছোটো থাকা অবস্থায় ভেঙে যায়। এর ফলে যেটা হয় যে, বাচ্চা ছোটো বয়স থেকেই দেখে যে বাবা-মা দুইজনের কাছেই কয়েক মাস পর পরই গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড আসছে… কেউই স্থায়ী হয় না। ছোটবেলা থেকেই একটা শিক্ষা ওরা নিয়ে নেয়, “মানুষ আসবে, মানুষ যাবে”। যার কারণে অটোমেটিক্যালি মানসিক আত্মরক্ষা এর কারণে ওরা কোনো মানুষের প্রতি ইমশোনাল ডেভেলপমেন্ট করতে পারে না। কারম আনকনশাসলি ওরা এটা ধরেই নেয় যে, কেউই বেশিদিন থাকবে না। তার ওপর ১৩-১৪ বয়স থেকেই ফিসিকাল রিলেশনশিপ শুরু করে দেয় - ভালোবাসার জন্য না, আসলেই ফিজিক্যাল কিউরিসিটি থেকে এবং প্রতি বছর নতুন নতুন। যার কারণে নারী-পুরুষ সম্পর্কের ভেতর ওদের কাছে কোনো কিছু বাকি থাকে না। যার ফলে ওরা পুরো নারীপুরুষ সম্পর্কের বিষয়ে ইন্সেন্সিটিভ হয়ে যায়।

একটা ইগজ্যামপল দেই, এখানে ছেলে-মেয়ে বন্ধু (শুধু বন্ধু) একসাথে ঘুমায়… কোনরকম সমস্যা ছাড়া। গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডকে জিজ্ঞাসা করা, কার সাথে চ্যাট করতেছে, কারসাথে পার্টিতে যাচ্ছে– এগুলো রুড। রিলেশনশিপ ওদের কাছে নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া, নতুন শরীরের অনুভূতি নেয়া মাত্র… …

ভালবাসার অনুভূতি এক অবাস্তব বিষয়। বলিঊডের মুভি দেখে প্রচণ্ড অবাক হয়– সত্যিই কি ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের মানুষরা এতোটা রোমান্টিক? এত অনুভূতি ওদের আসে কোথা থেকে?

আরেকটা বিষয় হল কালেক্টিভিসম অ্যান্ড ইন্ডিভিডুয়ালিসম। গরিব দেশের সমাজ কালিক্টিভিস্টিক হয় সারভাইভাল-এর জন্য। কারণ সরকার সমাজ সবসময় ব্যাসিক নিড ফিলাপ করে না। যার কারণে আমরা ছোটবেলা থেকেই পরিবার, বন্ধু, ভালোবাসার মানুষের জন্য স্যাক্রিফাইস করা শিখি… এটাই তো ভালোবাসা, অনুভূতির জগতের ব্যাসিক।

আর একটা ইন্ডিভিডুয়ালিস্টিক সোসাইটিতে স্যাক্রিফাইস-এর কন্সেপ্টটা অচেনা…এখানকার মোটো হলো– “তোমার জীবন এটা, তাই কর, যেটা শুধু তোমার জীবনের জন্য ভালো”। যার ফলে প্রতিটা মানুষ বাঁচে শুধু নিজের জন্য— আমাদের জন্য যেটা সায়েন্স ফিকশন, কল্পনার বাইরে।

এ-কারণে পরিবার-ভালোবাসার মধ্যে এ-ধরনের প্রশ্ন খুবই কমন – “ও কি আমাকে সুখী করছে? ওকেই কি আমি চাই? আমার বাবা-মার সাথে থাকার কারণে আমার ব্যক্তিগত জীবন কি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে?”- পুরো জীবন জুড়েই এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে চলে যায়… অনুভব আর করা হয় না।

ওরা খুবই অবাক হয় শুনে, যখন আমি বলি, আমাদের প্রশ্নগুলো পুরো উল্টো– আমরা চিন্তা করি আমার আমাদের বাবা-মাকে সুখী করতে পারছি কিনা, ভালবাসার মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারছি কিনা… আর সবথেকে বড়ো বিষয় হলো, গডলেস সোসাইটিতে বড়ো হবার কারণে শেখে— এই জীবনটাই আসল, এরপর আর কিছু নাই, সব শেষ! সব মানুষের পক্ষে তার এই ধরনের বাস্তবতা মেনে নেয়া কঠিন। হার্টে সত্যের অপূর্ণতা থেকেই যায়।

মজার একটা বিষয় হলো ছোটবেলা থেকেই এতটা রোবোটিক যে, এখানে আপনি জার্মান কোনো বাচ্চাকে কাঁদতে দেখবেন না। রাস্তায় যদি কোনো বাচ্চার কান্না শুনেন, তাহলে চোখ বন্ধ করে বুঝে নিবেন টার্কিশ বা আরব বাচ্চা। আমি এখন পর্যন্ত একটা জার্মান বাচ্চাকে কাঁদতে দেখিনি… সত্যি!

আমার এই অভিজ্ঞতার পর ছোটবেলার ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ডের প্রতি হিংসা, ওদের প্রতি করুণায় পরিণত হয়েছে। যতবারই জার্মানদের সাথে এইসব বিষয়ে কথা বলেছি, ততবারই গম্ভীর হয়ে গেছে, ২-৩ জন কেঁদেও দিয়েছে। আসলেই ওদের মনের ইমোশনাল ভেকেন্সিটা একটু ফিল করতে পারলে ভয় লাগে…কিভাবে এভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব? উত্তর হলো উইকডেতে কাজে ব্যস্ত থাকা, উইকেন্ডে মাতাল হয়ে সব ভুলে যাওয়া… মাঝে মাঝে সাইক্রিটিস্ট ভিজিট করা, অ্যান্টিডিপ্রেসসিভ ড্রাগ নেয়া… নতুন রিলেশনশিপ খোঁজা, রাস্তায় প্রথম ২-৩ মাস ওপেনে কড়া ভালোবাসা (!) বহিঃপ্রকাশ করা… তারপর আবার প্রথম থেকে শুরু করা…
আসলেই আল্লাহর কাছে অগণিত শুকরিয়া, বাংলাদেশের মত গরিব ও রক্ষণশীল মুসলিম দেশে জন্ম দেয়ার জন্য। যেখানে এমন মা পেয়েছি যে তার, ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়েছে ছেলে-মেয়েকে মানুষ করার জন্য। যেখানে বাবা পেয়েছি যে শখ করে নিজের জন্য একটা ঘড়িও কেনেনি – ছেলেমেয়েদের পেছনে খরচ করার জন্য। যেখানে পরিবার পেয়েছি যার কথা ভাবলেই সব দুঃখ-কষ্ট ম্লান হয়ে যায়। যেখানে আল্লাহ তোমাকে পেয়েছি, আখিরাতের কথা চিন্তা করার সুযোগ পেয়েছি।

সংগৃহীত

অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট।
25/08/2024

অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট।

EID MUBARAK Everyone from SONET TOUR & Travels - Your Committed partner.
16/06/2024

EID MUBARAK Everyone from
SONET TOUR & Travels - Your Committed partner.

Your committed partner.
10/06/2024

Your committed partner.

"আহলান সাহলান মাহে রমাদান।"সনেট ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এর পক্ষ থেকে সকলকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।
12/03/2024

"আহলান সাহলান মাহে রমাদান।"
সনেট ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এর পক্ষ থেকে সকলকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

আপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে আমরা বদ্ধপরিকর।
22/02/2024

আপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে আমরা বদ্ধপরিকর।

সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে থাকি আমরা।
13/02/2024

সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে থাকি আমরা।

তুর্কির ই-ভিসা আবেদন করার পদক্ষেপগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:১. অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন: প্রথমে আপনাকে তুর্কির ই-ভিসা পোর্টা...
05/02/2024

তুর্কির ই-ভিসা আবেদন করার পদক্ষেপগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

১. অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন: প্রথমে আপনাকে তুর্কির ই-ভিসা পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এটি অনলাইনে করা যায় এবং অনলাইন আবেদনের ফর্ম পূরণ করতে হবে।

২. আবেদন ফর্ম পূরণ: আবেদন ফর্মের পূরণে সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করা প্রয়োজন। আবেদন ফর্মে আপনার সাধারণ তথ্য, পাসপোর্ট তথ্য, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, পরিবারের তথ্য ইত্যাদি প্রদান করতে হবে।

৩. কাগজপত্র সাবমিশন: অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করার সময়, আপনার আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলি জমা দিতে হবে। এটি আপনার পাসপোর্ট, ছবি, আগাম টিকেট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৪. ভিসা ফি পরিশোধ: ভিসা ফি অনলাইনে বা অন্যান্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরিশোধ করতে হবে।

৫.ভিসা ইন্টারভিউ: কিছু আবেদনকারীর ভিসা ইন্টারভিউ এবং ব্যক্তিগত অনুমতির প্রয়োজন হতে পারে।

৬. ভিসা প্রাপ্তি: আপনার ভিসা অনুমোদিত হলে,আপনি ভ্রমণের জন্য সক্ষম হবেন।

আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার আগে, সাধারণত তুর্কির ই-ভিসা ও এর আবেদনের সম্পর্কে আধিক তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা পেতে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পরিদর্শন করা উচিত।(কালেক্টেড)

পাঁচ বছর মেয়াদ আমেরিকান মাল্টিপল টুরিস্ট ভিসা।>আপনি যদি আমেরিকা যেতে আগ্রহী হোন বা আমেরিকা যদি আপনার স্বপ্নের দেশ হয়ে থ...
03/02/2024

পাঁচ বছর মেয়াদ আমেরিকান মাল্টিপল টুরিস্ট ভিসা।

>আপনি যদি আমেরিকা যেতে আগ্রহী হোন বা আমেরিকা যদি আপনার স্বপ্নের দেশ হয়ে থাকে তাহলে এই লেখাটি কেবলই আপনার জন্য। আমরা সাধারণত আমেরিকান ভিসার কথা শুনলেই ভয় পেয়ে যাই, ভয় পেয়ে আর চেষ্টাই করি না। অথচ বাস্তবতা হলো , অন্যান্য দেশের ভিসার তুলনায় আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা পাওয়া টা অনেক সহজ। ভয় পাওয়ার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আপনাকে সঠিক উপায়ে চেষ্টা করতে হবে, তাহলেই আপনার ভিসা পাওয়ার সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ।

সর্বপ্রথম বলে নেই আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা আসলে কাদের জন্য? আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কারা রাখে? এই বিষয়টি আমাদের পরিষ্কার হওয়া বেশ জরুরী। আমেরিকার মতো একটি দেশে যাওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই পার্শ্ববর্তী এবং ভালো কিছু দেশ ট্রাভেল থাকাটা জরুরী। কোনো দেশ ট্রাভেল না করেই আপনি আমেরিকায় ঘুরতে চলে যাবেন এটির কোনো যৌক্তিকতা হতে পারে না৷ এখন প্রশ্ন হলো, তাহলে কি সাদা পাসপোর্ট অথবা শুধু ইন্ডিয়া ভিজিটে আমেরিকার ভিসা হয় না? আপনি অনেক গুলো দেশ ট্রাভেল করলেই আমেরিকার ভিসা পেয়ে যাবেন ব্যাপারটা এমন নয়, আপনাকে সঠিক পলিসিটা জানতে হবে। ক্ষেত্র বিশেষে সাদা পাসপোর্টেও আমেরিকার ভিসা হয়ে থাকে। আপনার যদি নিজ পরিবারের কেও অর্থাৎ বাবা-মা, ভাই-বোন, ছেলে মেয়ে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেও আমেরিকাতে থাকে তাহলে আপনি সাদা পাসপোর্টেও আমেরিকার ভিসা পাবেন। এছাড়াও যাদের বয়স একটু বেশি এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো তারা যদি আত্মবিশ্বাস এর সাথে ইন্টারভিউ দিতে পারে তাহলে সেসকল ব্যাক্তিরাও সাদা পাসপোর্টে আমেরিকার ভিসা পেতে পারে।

> টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে ইনভাইটেশন এর কোনো প্রয়োজন আছে কি? আমাদের উত্তর হলো না। টুরিস্ট ভিসার জন্যে ইনভাইটেশন প্রয়োজন নেই। কেও যদি আমেরিকাতে কোনো কনফারেন্স বা সেমিনার অথবা কোনো মেলায় যোগদান করতে চান সেক্ষেত্রে ইনভাইটেশন এর প্রয়োজন আছে। এছাড়া শুধুমাত্র ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইনভাইটেশন এর কোনো প্রয়োজন নেই।

> এবার আসি ডকুমেন্টস এর বিষয়ে। আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা সম্পুর্ণ ইন্টারভিউ নির্ভর একটি ভিসা৷ আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার জন্য ডকুমেন্টস নিয়ে চিম্তা করার কোনোই প্রয়োজন নেই। তবে হ্যাঁ, ডকুমেন্টস খুবই গুরুত্বপূর্ণ যদি কিনা আপনি আমেরিকার মেডিকাল/স্টুডেন্ট/বিজনেস ভিসার জন্য এপ্লাই করে থাকেন। এসকল ভিসার ক্ষের্তে এম্বাসি আপনার কাছে নানা প্রকার ডকুমেন্টস দেখতে চেতে পারে তবে টুরিস্ট ভিসার জন্য কোনো প্রকার ডকুমেন্ট এম্বাসি সচরাচর দেখতে চায় না।

> আবার অনেকেই মনে করেন আমেরিকার ভিসা কন্ট্রাক্ট এ করা যায়। ব্যাপারটা একদমই ভুল। আমেরিকার ভিসা কন্ট্রাকে হয় না, ভুলেও এই কন্ট্রাকে এ যাবেন না, কারণ আমেরিকান এম্বাসির সাথে কারও লিংক বা লবিং থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। কেউ যদি বলে থাকে আমেরিকা এম্বাসির সাথে লিংক আছে, তার মানে তিনি আপনাকে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে।

> এবার আপনাদের আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা প্রসেস এর ব্যাপারে একটি স্বচ্ছ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা সাধারণতো ৫ বছরের মাল্টিপোল ভিসা হয়ে থাকে অর্থাৎ ৫ বছরের মধ্যে আপনি যতবার খুশি আমেরিকায় যাতায়াত করতে পারবেন। এই ভিসাটি মূলতো ২ টা জিনিস এর উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে।

১. DS -160 ফর্ম অর্থাৎ এপ্লিকেশন ফর্ম এর উপর।
২. ছোট একটি ইন্টারভিউ এর উপর।

নির্ভুল ভাবে DS-160 ফর্ম ফিলাপ করে যদি আপনি আত্মবিশ্বাস এর সাথে ইন্টারভিউতে কন্সুলার অফিসারকে এটা বিশ্বাস করাতে পারেন যে আপনার আমেরিকা যাওয়ার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ আছে এবং আপনি আমেরিকায় যাবেন এবং ফিরে আসবেন, তাহলেই আপনার ভিসা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

ইন্টারভিউ বাংলাদেশে সাধারণতো দুই ভাষায় হয়ে থাকে, বাংলা এবং ইংরেজী। আপনি চাইলে বাংলাতেও ইন্টারভিউ দিতে পারবেন। ইন্টারভিউ সাধারণতো ২ থেকে ১০ মিনিটের হয়ে থাকে। আপনি আমেরিকা যাওয়ার যোগ্য সেটা এম্বাসিকে কি করে বুঝাবেন? সেটা বুঝাবেন আপনার এপ্লিকেশন ফর্ম এর মাধ্যমে অর্থাৎ Ds-160 এর ফর্ম এর মাধ্যমে। আমেরিকান এম্বাসির একটি অনলাইন ফর্ম আছে যার নাম DS-160 ফর্ম। এই এপ্লিকেশন ফর্ম অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ফর্ম এর উপর আপনার ভিসা অনেকাংশ নির্ভর করে। তাই অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা ফর্মটি পূরণ করা উচিত। মূলত এই ফর্মটি আপনার ভিসা পাওয়ার পূর্ব শর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়। আপনি বলতে পারেন ৭০% চান্স নির্ভর করে এই DS-160 ফর্ম এর উপর, বাকি ৩০% নির্ভর করে আপনার ইন্টারভিউ এর উপর। এই দুইটির সঠিক সফল কম্বিনেশন ই আপনার ভিসা পাওয়া চান্স নিশ্চিত করবে ইনশাআল্লাহ। বেশিরভাগ মানুষ যে ভুলটা বেশি করে থাকে সেটা হলো, DS 160 অদক্ষ কাওকে দ্বারা পূরণ করে ইন্টারভিউতে চলে যায়, এতে করে হয়তো কিছু টাকা বেঁচে যায় তবে ফলাফল হয় ভিসা রিজেকশন। আবার অনেকেই ভিসা পেয়েছেন তাঁদের থেকে ইন্টারভিউ এর গাইডলাইন নিয়ে ইন্টারভিউ ফেইস করতে চলে যায়, অথচ তার প্রোফাইল এবং উনার প্রোফাইল কিন্তু ভিন্ন। না এটা কখনই করবেন না আপনাকে আপনার প্রোফাইল অনুযায়ী ইন্টারভিউ এর গাইডলাইন নিতে হবে। মনে রাখবেন অল্প বিদ্যাভয়ঙ্কর জিনিস। ওষুধ এর দোকানদার আপনাকে পরামর্শ দিতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন তিনি কিন্তু ডাক্তার না। অনেকেই বলেন ভাই DS 160 কি আসলেই এতো জটিল কিছু? যেহেতু আমেরিকার মতো একটি দেশ সারাপৃথিবী থেকে এই ফর্ম এর উপর ভিত্তি করে ভিসা ইস্যু করে থাকে তাহলে আপনি নিজেই চিন্তা করুন এই ফর্ম কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আশাকরি উত্তর পেয়ে গেছেন। অর্থাৎ আপনি যদি ইন্টারকানটেক্টেড তথ্য দিয়ে চমৎকার ভাবে একটা কমপ্লিট DS 160 ফর্ম পুরুন করতে পারেন তাহলেই ইনশাআল্লাহ আপনি ভিসা পাবেন। কারণ ইন্টারভিউ এর আগে এই ফর্ম এর উপর স্টাডি করেই সাধারণতো আপনার ভিসা ইস্যু করে থাকে। আর ইন্টারভিউতো হয় মাত্র ২ থেকে ৫ মিনিট, এই সময় এর মধ্যে আপনাকে আর কি বা যাচাই বাঁচাই করার থাকে। তাই অদক্ষ লোক দ্বারা ফর্ম ফিলাপ করলে আপনার ভিসা হওয়ার থেকে না হওয়ার সম্ভানাই বেশি থাকে। আরও একটা জিনিস মনে রাখবেন DS-160 ফর্ম এর তথ্য এবং আপনার ইন্টারভিউ এর তথ্য এই দুই এর মধ্যে চমৎকার ও শৈল্পিক একটা মিল থাকতে হবে।

নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরী করুন, সঠিক গাইড লাইন ফলো করুন, সঠিক তথ্য দিয়ে DS-160 ফর্ম ফিলাপ করুন, ইন্টারভিউ এর জন্য প্রস্তুতি নিন ইনশাআল্লাহ আপনার ভিসা কেউ আটকাতে পারবে না।

🔷 কিছু প্রশ্ন যা ক্লাইন্ট আমাদের সচরাচর করে থাকেন, সেগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি।

১. আমেরিকার ভিসার জন্য কতো টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে?

উত্তরঃ যেতেতু আমেরিকার এম্বাসি ডকুমেন্টস দেখে না তাই ব্যাংক ব্যালেন্স তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ নয় তবে আপনি যতটুকু টাকা আমেরিকা ঘুরে আসার জন্য প্রয়োজন ততটুকু টাকা ব্যাংকে রেখে দিতে পারেন।

২. হোটেল বুকিং, প্লেনের টিকেট বুকিং এর কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা?

উত্তরঃ ভিসা পাওয়ার আগে পর্যন্ত এসব হোটেল বুকিং, প্লেনের টিকেট বুকিং এর কোনো প্রয়োজন নেই। এগুলা ভিসা পাওয়ার পর প্রয়োজন হয়।

৩. NOC/GO লাগবে কিনা?

উত্তরঃ ইন্টারভিউ এর সময় কন্সুলার অফিসার কখনই NOC/GO দেখতে চায় না তবে ইমিগ্রেশন পার হবার সময় ইমিগ্রেশন অফিসার NOC/GO দেখতে চাইতেও পারে।

৪. পিটিশন/ইমিগ্রেন্ট ফাইল এপ্লাই করা থাকলে টুরিস্ট ভিসায় এপ্লাই করা যায় কিনা?

উত্তরঃ অবশ্যই এপ্লাই করা যায়। একটি ইমিগ্রেন্ট ফাইল প্রসেস হতে ১০-১৫ বছর এর মতো সময় লাগে, এর মধ্যে আপনি চাইলে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।

৫. এপ্লাই করলে ইন্টারভিউ ডেট কবে পাওয়া যাবে?

উত্তরঃ বর্তমানে আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার ইন্টারভিউ ডেট প্রায় ১ বছর পর পাওয়া যাচ্ছে। আমরা রিশিডিউল করে ইন্টারভিউ ডেট ৪ মাসের মধ্যে করে দিয়ে থাকি।

আরও অনেক প্রশ্ন থাকে যার সব উত্তর দেয়া পোস্টে সম্ভব নয়।

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার এম্বাসি ফী ১৮৫$ ডলার যা বাংলাদেশ এর টাকায় কনভার্ট করলে আসে ২১,০৯০ টাকা। এই টাকা শুধুমাত্র EBL অর্থাৎ ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এ জমা দিতে হয়। এম্বাসি ফী জমা দিয়ে আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডেট নিতে হবে।

🔷 এম্বাসি ফী জমা দেয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন।
১. পাসপোর্টের স্কেন কপি
২. ১টি ফোন নাম্বার
৩. ১টি ইমেইল আইডি

🔷 এপ্লিকেশন করার জন্য যা যা প্রয়োজন

১. ছবি ২×২ সাইজ সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড (ল্যাব কপি)
২. আপনার মা -বাবার তথ্য
৩. আপনার শিক্ষাগত সকল তথ্য
৪. আমেরিকায় যদি আপনার পরিচিত কেও থেকে থাকে তার তথ্য।
৫. স্বামী বা স্ত্রীর তথ্য
৬. ব্যবসা/চাকরি জনিত সকল তথ্য
৭. পূর্ববর্তী ট্রাভেল হিস্ট্রি
৮. কোনো সংস্থায় জড়িত থাকলে সেই সংস্থার নাম

🔷 আমরা আপনাকে যে সকল সেবা দিয়ে থাকবোঃ

১. আপনার DS-160 ফর্ম সঠিক ও চমৎকার ভাবে পূরণ করে দিবো।
২. আপনার ইন্টারভিউ ডেট রিশিডিউল এর মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে আসবো।
২. আপনাকে ইন্টারভিউ এর সম্পুর্ণ গাইডলাইন দিয়ে দিবো।
৩. ইন্টারভিউ এর জন্য যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা আমরা গুছিয়ে দিবো।

🔷 আমরা আমেরিকার যেসব ভিসা প্রসেসিং করে থাকিঃ

১. ভিজিট ভিসা (B1/B2)
২. বিজনেস ভিসা (B1)
৩. ড্রপ বক্সের মাধ্যমে ভিসা রিনিউ।-(Collected)

ধন্যবাদ সকলকে

Dhaka office -55/A,Siddique Menson(9th floor)Room-905,Purana Paltan,Dhaka-1000
27/01/2024

Dhaka office -55/A,Siddique Menson(9th floor)
Room-905,Purana Paltan,Dhaka-1000

Address

House/Sajer Maya(1st Floor), Onather Moor
Faridpur
7800

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SONET TOUR & Travels posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share