নবগঙ্গার নৌকা

নবগঙ্গার নৌকা মাগুরার নবগঙ্গা নদীতে নৌকা ভ্রমনের জন্য। মাগুরার নবগঙ্গা নদীতে নৌকা ভ্রমনের জন্য "নবগঙ্গার নৌকা"

15/12/2023

মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা 💞

04/11/2023

আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা'আলা যাকে অপছন্দ করেন তাকেও অঢেল ধন সম্পদ দান করেন । আর যাকে পছন্দ করেন তাকে দান করেন হিকমাহ ।

আর যাকে হিকমাহ দান করা হয় তার ভিতরে থাকে সাকিনা । আরবি সাকিনা শব্দের অর্থ শান্ত, প্রশান্ত, ধীর, স্থির ।

টেবিল ভর্তি খাবার অথচ প্রত্যেকটা খাবারে আপনি দোষ খুঁজে পাচ্ছেন, পেট ভরে খেতে পারছেন না । আপনাকে সম্পদ দান করা হয়েছে, হিকমাহ দেয়া হয়নি, যার কারণ আপনার ভিতর সাকিনা নেই ।

আপনাকে হিকমাহ দেয়া হয়েছে, যার কারণে আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে ও পরম প্রশান্তি নিয়ে পেট ভরে খেয়ে উঠে বলে উঠবেন আলহামদুলিল্লাহ ।

উচ্চশিক্ষিতা সুন্দরী স্ত্রী পেয়েও আপনি তাকে নিয়ে সুখী নন কারণ আপনাকে হিকমা দেয়া হয়নি ।

টয়োটা এলিয়নের চড়েও আপনি সুখী নন, আপনার কেন পাজেরো নাই ? এর কারণ আপনার মাঝে হিকমাহ নাই, সাকিনা উঠে গেছে । আপনি আপনার অবস্থানে সুখী নন ।

আরবি হিকমা শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা । যাকে আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা'আলা হিকমা দান করেন সে সর্ব অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকে, শান্তিতে থাকে । এর অর্থ নিজেকে মানিয়ে চলা, এবং তাতে সন্তুষ্ট রাখা ‌।

রিজিক শব্দের অর্থ অনেক ব্যাপক । রিজিকের সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে ধন-সম্পদ । আর সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে সুস্থতা, হিকমা,পবিত্র স্ত্রী, উত্তম সন্তান, উত্তম আমল ।

বনশ্রী সি ব্লকের এক ভাই সুদি ব্যাংকের মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে দিলেন । এই বাপ ছেলেকে সি ব্লকের মসজিদে লম্বা সময় নিয়ে নামাজ পড়তে দেখতে আমার ভালোই লাগে । এ সেদিন আমি তাদের সম্পর্কে জানলাম । ভাই এখন খেজুরের ব্যবসা করেন । এবং তার বক্তব্য আগের মত অত অর্থ কড়ি নাই, তবে তার ভেতরে সাকিনা চলে এসেছে, আল্লাহ তাকে হিকমা দিয়েছেন, সে এখন অনেক বেশি সুখী ।

জাগতিক দৌড়ে পিছিয়ে থাকা মানে আপনি পিছিয়ে নন । আপনার সকাল হয় আপনার রব কে ভুলে, দুপুর বিকেল রাত একটিবারের জন্য আপনি সেজদাবনত হন না, সেই কবে কোরআন পড়েছিলেন মনে নাই, একরাশ পরিশ্রান্ত দেহমন নিয়ে ঘুমাতে যান রবকে ভুলে গিয়ে । অনেক সম্পদ আপনার, কিন্তু সাকিনা নেই । সবচেয়ে দুঃখের বিষয় সে অনুভূতিটুকুও মরে গেছে ।

আমাদের কি এক মিনিটও সময় হয় না ভেবে দেখার ... আমি কোথায় ছিলাম, কেন এসেছি, আবার কোথায় যাব, কেনইবা যাব, যাবার প্রস্তুতি বা কতটুকু ?

আসুন একটু PAUSE বাটনটা চাপি...
ভুলেই গেছি মাঝে মাঝে থামতে হয়, ভাবতে হয় ।

একসময় ছোট বড় সবকিছু আল্লাহর কাছে চাইতাম। মসজিদে গেলে মনে হতো আল্লাহর কাছে অনেক কিছু বলার আছে, চাইবার আছে। পরীক্ষার আগে প...
22/10/2023

একসময় ছোট বড় সবকিছু আল্লাহর কাছে চাইতাম। মসজিদে গেলে মনে হতো আল্লাহর কাছে অনেক কিছু বলার আছে, চাইবার আছে। পরীক্ষার আগে প্রশ্ন যেন কমন পড়ে, এজন্য কত কাকুতিমিনতি করে আল্লাহর কাছে চেয়েছি। হয়তো খুব সিলি মনে হবে, কিন্তু সেইসময় আমাদের ছোট্ট হৃদয়গুলো জানতো, এমন একজন আছেন, যার কাছে সবকিছু চাওয়া যায়, যিনি সবকিছু দিতে পারেন, ওনার কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই।

এখন আমরা শিখছি- ইউ ক্যান ডু ইট, স্বপ্ন যেন তোমাকে ঘুমাতে না দেয়, নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে কেউ আটকাতে পারবে না, তুমি চাইলে সব পারবে- এরকম নানান 'আমিময়' মোটিভেশন।

এই দুনিয়ার মোটিভেশন রবের সাথে সেই নিষ্পাপ সম্পর্কটা নষ্ট করে দিয়েছে। আল্লাহর কাছে নাছোড়বান্দার মতো কিছু চাইবার সেই সহজ সরল জীবনটা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। অতি সাধারণ কিছু চাইতে গেলেও যে চোখে পানি চলে আসত, সারাদিন আল্লাহর নাফরমানিতে কাটিয়ে সেই চোখ আজ মরুভূমি! কাঁদলেও চোখে পানি আসে না। কী এক জিল্লতির জীবন!

যে মোটিভেশনাল স্পীচ মহান রবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে আমিময় জীবনের দিকে ধাবিত করে সেটা আসলে সফলতার মোটিভেশনাল স্পীচ নয় সেটা ধ্বংসের।

This Duniya is nothing but a beautiful lie - Quran 3.:185

দুঃখ ভুলতে কাউকে লাগে না তার। সে নিজেই নিজের আশ্রয়। যতটুকু ওজন তার, তা সে বয়ে নিতে জানে। জানে বাড়তি খানিক কাঁধে তুলে নিত...
18/10/2023

দুঃখ ভুলতে কাউকে লাগে না তার। সে নিজেই নিজের আশ্রয়। যতটুকু ওজন তার, তা সে বয়ে নিতে জানে। জানে বাড়তি খানিক কাঁধে তুলে নিতেও।

দান সাদকা কি শুধু টাকা দিয়েই হয়?নাহ! টাকা ছাড়াও হয়... রাসূলুল্লাহ  ﷺ বলেছেন_____"তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয...
18/10/2023

দান সাদকা কি শুধু টাকা দিয়েই হয়?
নাহ! টাকা ছাড়াও হয়...

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন_____

"তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।
তোমার সৎকাজের আদেশ এবং তোমার অসৎকাজ হতে বিরত থাকার নির্দেশ তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।

পথহারা লোককে পথের সন্ধান দেয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।
স্বল্প দৃষ্টি সম্পন্ন লোককে সঠিক দৃষ্টি দেয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ (অর্থাৎ দৃষ্টিহীনকে পথ দেখানোও সাদকা)।

পথ হতে পাথর, কাটা ও হাড় সরানো তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।
তোমার বালতি দিয়ে পানি তুলে তোমার ভাইয়ের বালতিতে ঢেলে দেয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।"
(সূনান আত তিরমিজী:১৯৫৬)

"পানি পান করানোর চাইতে বেশি নেকি আর কোনো সদকাতে নেই।"
(বায়হাকী শু'আবুল ঈমান ৩১০৫)

আরো হলো,

একবার সুবহানাল্লাহ বলা একটি সদাকাহ।
একবার আলহামদুলিল্লাহ বলা একটি সাদাকাহ।
একবার আল্লাহু আকবার বলা একটি সদাকাহ।
একবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা একটি সাদাকাহ।

নিজ হাতে লাগানো গাছের পাতা, ফল কোন প্রাণী খেলে সেটিও একটি সাদাকাহ।
কাউকে একটি বোঝা তার বাহনে তুলে দিতে সহযোগিতা করা একটি সদাকাহ।

কাউকে একটি বোঝা তার বাহন থেকে নামাতে সহযোগিতা করা একটি সদাকাহ।
বিবাদমান দু'ব্যক্তির মাঝে সুবিচার করা একটি সাদাকাহ।

একটি উত্তম কথা একটি সাদাকাহ।
সালাতের জন্যে মসজিদের পথে প্রতিটি পদক্ষেপ একটি সদাকাহ।
(সহীহ মুসলিম: ৭২০, ১০০৬, ১০০৯, ১৫৫৩)

মহান আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলার কত দয়া! আমাদের নেকীর পাল্লা ভারী, জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকতে, পরিবার ও সমাজ সুন্দর করে গঠন করতে কত কত চমৎকার পন্থা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন।

মহান আল্লাহ আমাদের এসকল কাজগুলো শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করার তাওফিক দিন।
আমিন।৷৷

যে মানুষ নিজের কাছে মিথ্যে কথা বলে — এবং সে মিথ্যেকে মনে মনে বিশ্বাস করে — সে শুধু নিজেকে হারিয়েই ক্ষান্ত হয় না - অন্য ...
17/10/2023

যে মানুষ নিজের কাছে মিথ্যে কথা বলে — এবং সে মিথ্যেকে মনে মনে বিশ্বাস করে — সে শুধু নিজেকে হারিয়েই ক্ষান্ত হয় না - অন্য মানুষের সত্যকেও মিথ্যে বলে ঠাওড় করে। সময়ের পরিক্রমায় ওই মানুষটি নিজের প্রতি সম্মান হারায় — সাথে আশেপাশের মানুষকেও অসম্মান করে।

আর যার ভিতর সম্মানবোধ নেই — সে ভালোবাসতে জানবে কি করে?

তাই দস্তয়ভস্কির ভাষায়ঃ “যত যাই হোক, কখনো নিজের কাছে মিথ্যে বলো না”।

▫️ চমৎকার একটি হাদীস!!! একবার হযরত উমর রা. বাজারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তো তিনি বাজারে যখন এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে অতিক্রম...
21/09/2023

▫️ চমৎকার একটি হাদীস!!!

একবার হযরত উমর রা. বাজারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তো তিনি বাজারে যখন এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, তখন শুনতে পেলেন সেই ব্যক্তি দো'আ করছে-

'হে-আল্লাহ! আমাকে আপনার অল্পসংখ্যক লোকের মধ্যে গন্য করে নিন।
হে-আল্লাহ! আমাকে আপনার অল্পসংখ্যক লোকের মধ্যে গন্য করে নিন।

▪️হযরত উমর রা. সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন- 'তুমি এই দো'আ কোথা থেকে শিখেছো?'

উত্তরে সেই ব্যক্তি বললো- 'আল্লাহর ক্বোরআন থেকে। আল্লাহ ক্বোরআনে বলেছেন,
'এবং আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই কৃতজ্ঞ।'(৩৪:১৩)

উত্তর শুনে হযরত উমর রা. কাঁদতে লাগলেন, এবং নিজেকে উপদেশ দিতে লাগলেন- 'হে-উমর! মানুষ তোমার থেকে অধিক জ্ঞানি।' সাথে তিনিও দো'আ করতে লাগলেন-

'হে-আল্লাহ! আমাকেও আপনার অল্পসংখ্যক লোকের মধ্যে গন্য করে নাও।'

আমরা দেখেছি, আমরা যখন কোনো ব্যক্তিকে কোনো পাপকাজ বা আল্লাহর অবাধ্যতা ছেড়ে দিতে বলি, তখন সেই ব্যক্তি যুক্তি দেখায়- 'এই কাজ তো অধিকাংশ ব্যক্তিই করে, আমি করলে কি সমস্যা?'

এখন যদি আমরা ক্বোরআনে 'অধিকাংশ ব্যক্তি' বা ‘অধিকাংশ’ লিখে অনুসন্ধান করি তখন পাবো-

★অধিকাংশ ব্যক্তিই তা জানে না। ( ৭:১৮৭)

★অধিকাংশ ব্যক্তিই কৃতজ্ঞতা আদায় করে না। (২:২৪৩)

★অধিকাংশ ব্যক্তিই বিশ্বাস করে না। (১১:১৭)

★তোমাদের অধিকাংশই অবাধ্য। (৫:৫৯)

★তাদের অধিকাংশই মূর্খ। (৬:১১১)

★তাদের অধিকাংশই সত্য জানে না। (২১:২৪)

★তাদের অধিকাংশই বুঝে না। (৪৯:৪)

★অতঃপর তাদের অধিকাংশই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তারা শোনে না। (৪১:৫)

তারপর আমরা যদি 'অল্পসংখ্যক' লিখে অনুসন্ধান করি তখন পাবো।
আল্লাহ বলেছেন-

★আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই কৃতজ্ঞ। (৩৪:১৩)

★অল্পসংখ্যকই তাঁর সাথে ঈমান এনেছিলো। (১১:৪০)

★একদল পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে। এবং অল্পসংখ্যক পরবর্তীদের মধ্য থেকে। (৫৬:১৩-১৪)

তাই আসুন আমরা এই অল্পসংখ্যক ব্যক্তিদের দলে শামিল হই।
আল্লাহ আমাদের তাঁর অল্পসংখ্যক লোকদের অন্তুভুক্ত করুন আমীন।

📌আসসালামু আলাইকুম !🌼শুভসকাল🌻💕দিনটি সবার আনন্দে কাটুক !💖আজ-৩১ শ্রাবণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।১৫ আগস্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।২৭ মহর্‌রম...
15/08/2023

📌আসসালামু আলাইকুম !
🌼শুভসকাল🌻
💕দিনটি সবার আনন্দে কাটুক !
💖আজ-
৩১ শ্রাবণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
১৫ আগস্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
২৭ মহর্‌রম, ১৪৪৫ হিজরি।
মঙ্গলবার, বর্ষাকাল।

একটা সিনেমার ট্রেইলার শুরু করা হয় শুধুমাত্র ছাদের একটা ছবি দিয়ে। শুধুমাত্র সাদা একটা ছাদ। আর কিছু না। এক মিনিট যায়, দ...
12/08/2023

একটা সিনেমার ট্রেইলার শুরু করা হয় শুধুমাত্র ছাদের একটা ছবি দিয়ে। শুধুমাত্র সাদা একটা ছাদ। আর কিছু না।

এক মিনিট যায়, দুই মিনিট যায়, তিন মিনিট যায়। কিন্তু স্ক্রিনে কোন পরিবর্তন আসে না। সেই সাদা ছাদ এর ছবি। কোন নড়াচড়া নাই, রঙের পরিবর্তন নাই।

এভাবে ৬ মিনিট পার হয়ে যাওয়ার পর দর্শকদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেল। কেউ অভিযোগ করলো, এই মুভি তাদের "মূল্যবান" সময় নষ্ট করছে। কেউ কেউ এতো কিছু না বলে স্রেফ উঠে চলে গেল। একটা সাদা ছাদের স্থিরচিত্র কতক্ষণ আর সহ্য করা যায়?

এরপর হঠাৎ করেই, ক্যামেরাটি ধীরে ধীরে ছাদ থেকে নিচে নামা শুরু করলো। এবং দেখা গেল, ছোট্ট একটা অসুস্থ বাচ্চা বিছানায় শুয়ে আছে। চোখ সেই ছাদের দিকে। স্পাইনাল কর্ডের সমস্যায় ভোগা বাচ্চাটা ঠাঁই তাকিয়ে ছিলো ঐ সাদা ছাদের দিকে।

এরপর ক্যামেরা আবারও উপরে উঠে গেল, আবারও পর্দায় ভেসে উঠলো সেই সাদা ছাদের দৃশ্য।

সিনেমাটি শেষ করার ঠিক আগে আগে দর্শকদের উদ্দেশ্য করে বলা হলো, আমরা মাত্র ৮ মিনিট এই দৃশ্যটা ধৈর্য্য ধরে দেখতে পারি নাই, কেউ অভিযোগ করেছি, কেউ আবার উঠে চলে গেছি। অথচ এই বাচ্চাটাকে তার সারাটা দিন এই দৃশ্য দেখেই কাটাতে হয়। অসুস্থতার কারণে সে ঘাড় পর্যন্ত নাড়াতে পারে না, হাঁটা চলা তো দূরের কথা।

যে জীবন আপনি মাত্র ৬ মিনিটের জন্যও যাপন করতে রাজি নন, সেই জীবন একটা শিশুকে যাপন করতে হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।

কাজেই, আল্লাহর কাছে নিজেকে নিয়ে অভিযোগ করার আগে আমাদের উচিত অন্যদের দিকেও একটু তাকানো। খোদার যে করুণা, যে দয়া আর যে রহমতগুলো আমরা নিশ্চিত হিসেবে ধরে নিই, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলে যাই, সেসব দয়া, বা নিয়ামত না থাকলে আমাদের জীবন কেমন ভয়ঙ্কর হতে পারতো, সেটা নিয়েও কি আমাদের একটু চিন্তা করা উচিত না?

আপনার পূর্বপুরুষকে একটা বাঘ তাড়া করলে তিনি কি করতেন??সহজ উত্তর হচ্ছে, একা থাকলে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করতেন, আর অস্ত্রপাতি ...
06/08/2023

আপনার পূর্বপুরুষকে একটা বাঘ তাড়া করলে তিনি কি করতেন??

সহজ উত্তর হচ্ছে, একা থাকলে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করতেন, আর অস্ত্রপাতি সহ দলবল নিয়ে থাকলে রুখে দাড়াতেন।

যদি তিনি দৌড়ানো শুরু করতেন, তার ব্রেইন দ্রুত এড্রেনালিন আর কর্টিসোল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তার কিডনিকে নির্দেশ দিত। রক্তে ইনসুলিন লেভেল বেড়ে যেত, দ্রুত গ্লুকোজ পোড়ানো শুরু করতো শরীর, তখন শুরু হত গ্লুকাগন লেভেল বাড়া। গ্লুকাগনের কাজ ইনসুলিনের উলটা, এটা রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বাড়ায়। রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কমে গেলে যেহেতু আপনার সেই পরদাদা জোরে ছুটতে পারবে না, ত্তাই গ্লুকাগন রক্তে গ্লুকোজের পরিমান যেন পড়ে না যায় সেজন্য চেষ্টা করতে থাকতো। প্রথমেই লিভারে থাকা গ্লাইকোজেনগুলি পুড়িয়ে ফেলতো শরীর, এরপর শুরু হত মাসলে জমানো গ্লাইকোজেন পোড়ানো।
এরপর, শরীরকে খুজতে হত শক্তির অন্য উৎস। এই উৎস হল শরীরে জমানো ফ্যাট।
ব্রেইন সহজে ফ্যাট পোড়াতে চায় না, তাই ব্রেইন খাবারের খোজে থাকে। ব্রেইন আপনার পূর্বপুরুষকে অবচেতনে বলতো, খাবার খাও।

আধুনিক দুনিয়ায় আমাদের কোন বাঘ তাড়া করে না। আমাদেরকে তাড়া করে প্রচন্ড কাজের চাপ, বসের বকা, সারাবছর মাথার ওপরে একের পর এক ডেডলাইন।

এই ক্রনিক স্ট্রেস আমাদের শরীরের স্বাভাবিক মেটাবলিজমকে শাট ডাউন করে আমাদেরকে একটা অলটাইম হিডেন ইমার্জেন্সিতে রাখে।

ইনসুলিন অল্প সময়ের জন্য শরীরে বেশি থাকলে সমস্যা নেই কিন্তু একটানা যখন বেশি থাকে দিনের পর দিন, তখন শরীরে তৈরি হয় ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স।

দীর্ঘমেয়াদে স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে কমতে থাকে ডোপামিন, বাড়তে থাকে প্রোল্যাক্টিন। শুরু হয় পুরুষদের মেয়েলি আচরন অথবা মেয়েদের অনুর্বরতা।

আমাদের এক্টিভ থাইরয়েড হরমোন টি থ্রি কনভার্ট হতে শুরু করে রিভার্স টি থ্রি তে, ফলে ব্যাখ্যার অযোগ্য ভাবে বাড়তে থাকে ভিসেরাল ফ্যাট এবং সাদা চর্বি।

আমাদের প্যারাথাইরয়েড হরমোন শুরু করে বোন মাস ব্রেকডাউন, মানে, আমাদের হাড়ক্ষয়ের হার বেড়ে যায়।

গাট ব্যাকটেরিয়ারা সেরোটোনিন উৎপাদন কমিয়ে বা থামিয়ে দিতে থাকে, ফলে আপনার সঙ্গী হয় বিষন্নতা, কমতে থাকে মগজের ধার, বাড়তে থাকে এইজিং।

এই যে হরমোনাল র‍্যাম্পেজ, এটাকে আপনি থামাতে পারবেন না যদি না আপনি ভাল স্ট্রেস হ্যান্ডলার না হন।

সত্যি বলতে, ইতিহাসের কোন সময়েই মানুষ আজকের মত স্ট্রেসে ছিল না। মানুষের ব্রেইনকে এত ইনফরমেশন প্রসেস করতে হয় নাই, এত ডিসিশান মেইক করতে হয় নাই এবং এত রকম ভয়ের সাথে মানায়ে নিতে হয় নাই।

এখন, স্ট্রেস নিয়েন না বললেই তো আপনার লাইফ থেকে স্ট্রেস চলে যাবে না। আর স্ট্রেস না নেয়ার যে মাইন্ডসেট, ঐটা হল বহু বছরের প্রিপারেশানের ফলাফল।

এখন স্ট্রেসকে ম্যানেজ করার জন্য আমাদের শরীর সাধারনত নয়টা নিউট্রিয়েন্টকে বেশি ব্যবহার করে।
১)ভিটামিন সি
২)ক্যালসিয়াম
৩)ম্যাগনেসিয়াম
৪)থাইমিন বা ভিটামিন বি-১
৫)ভিটামিন বি থ্রি বা নায়াসিন
৬)ভিটামিন বি-৫ বা প্যান্টোথেনিক এসিড
৭)সোডিয়াম
৮)ফসফরাস
৯)কোলেস্টেরল
১০)গ্লুকোজ

খেয়াল করবেন, কয়েক ধরনের খাবার স্ট্রেসের সময় আমাদেরকে বেশি টানে।
১)কফি
২)সুগার
৩)নিকোটিন
৪)স্যাচুরেটেড ফ্যাট

কেন বেশি টানে??
কারন ওপরের ১০টা নিউট্রিয়েন্টকে আপনার বডি তখন ওভার ইউজ করে। দ্রুত নিজের স্টোরেজ ডিপ্লেশনকে ঠেকাইতে চায় বডি, যেকোন মূল্যে, এমনকি একটা হার্টের রোগীকে ওভারইটিং করায়ে হইলেও বডি এইটা করায়ে নেয়।

তাইলে স্ট্রেস থেকে হওয়া ড্যামেজ থেকে বাচার উপায় কি??

উত্তর হচ্ছে, মাইন্ডকে ট্রেইন করা। স্ট্রেস নেয়ার জন্য নিজের মানসিক শক্তি বাড়ানো। যে জিনিসগুলাকে ভয় পান, টেকনিক্যালি কিভাবে সেগুলা মোকাবিলা করতে পারেন তা নিয়ে বেশি বেশি রেশনাল চিন্তা করা।

ব্যাপারটা সোজা না, বহুদিনের চেষ্টার ফল।

আর অবশ্যই যারা বেশিরভাগ সময় স্ট্রেসে থাকেন, নিয়মিত ভিটামিন সি খাবেন দিনে ৫-৬ বার ৫০০ এমজি করে। স্ট্রেস এডাপটেশন ভাল হবে।

কমপ্লিট বি ভিটামিন ক্যাপসুল নিতে চেষ্টা করবেন দিনে ২-৩ বার।
লাইফ এক্সটেনশান, ডক্টর্স বেস্ট, নাউ অথবা ওসাভি, এই ব্র‍্যান্ডগুলা রেকমেন্ডেড।

মাসে অন্তত ৩-৪ দিন একটা করে প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল খাবেন।

হাতে এনাফ টাকা পয়সা থাকলে লাইফ এক্সটেনশান ম্যাগনেসিয়াম আর নাউয়ের বি-৫ সাপ্লিমেন্ট খাবেন।

প্রচুর শাক খাবেন, ক্যামোমাইল, মাচা বা ল্যাভেন্ডার টি খাবেন।

সুযোগ পেলেই মুরগী বা খাসীর গোশত খাবেন, এগুলা স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের জন্য বেশ ভাল। আরেকটা ভাল জিনিস হচ্ছে দুধ, মধু, হলুদ ও কালোজিরার কম্বিনেশান।

চিনি বা তামাক বা এলকোহল খেয়ে স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করবেন না, তাহলে কোনদিনই স্ট্রেস থেকে রক্ষা পাবেন না।

আরো কয়েকটা ফ্রি উপায় আছে, সবার হয়তো ভাল লাগবে না।

১)সকালের সোনালী রোদ এবং নীল আকাশ দেখা
২)কোল্ড ওয়াটার থেরাপি-এন্ড্রিউ হিউবারম্যানকে ফলো করতে পারেন
৩)ওয়েট ট্রেইনিং করা
৪)স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পণ-ধ্যান-সিজদাহ

সিজদাহ মানুষের জানা একটা অতি প্রাচীন পদ্ধতি, কমপ্লিট সাবমিশনের একটা পরীক্ষিত উপায়। আমাকে আপনি রিলিজিয়াসলি ডগম্যাটিক বলবেন, সে উপায় আমি রাখবো না। গভীর সিজদাহ স্ট্রেস রিলিজ করে বলেই এটা হাজার হাজার বছর ধরে এতগুলো ধর্মে এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে স্রষ্টায় বিশ্বাস করেন এমন মানুষেরা সিজদাহকে সবসময়ই স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের চুড়ান্ত উপায় হিসেবে নিয়েছেন এবং মোটের ওপর এটাকে সফলই বলা যায়।

মাঝে মাঝে, সমস্ত নিউট্রিয়েন্টের চেয়েও এটাই বেশি কাজ করে। কয়েক মুহুর্তের একটা সিজদাহ আচমকা আপনার সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে শাট ডাউন করে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে(এটা স্ট্রেস রিলিজ করে) সচল করে।

আপনি যখন মাইন্ডফুলনেসের সাথে সিজদাহ করেন, আপনি তখন নিজেকে কনভিন্স করেন, কেউ একজন আছে যার আপনাকে রক্ষা করার ক্ষমতা আছে এবং তিনি আপনাকে রক্ষা করতে আসবেন।

01/08/2023

ভালোবাসি একলা ভালোবেসে যাই
আমি তোমার একার।

আমি নিত্য জ্বলে পুড়ে অঙ্গার হই
তবু নিখোঁজ থাকি, রাখি দূরত্ব বজায়
আমি হরদম তোমার তরে দেউলিয়া রই!

জলাতঙ্ক কাকে বলে জানো তো?
আমার সবটাতে তোমার উপস্থিতি
ভয়ঙ্কর জলাতঙ্কের মতো!

হা হা হা...

"আমি আমার জীবনে অনেক বই পড়েছি, কিন্তু সেগুলো থেকে অর্জিত বেশীরভাগ তথ্যই আমার এখন মনে নেই। তাহলে এত বই পড়ে আসলে আমার কি ল...
26/07/2023

"আমি আমার জীবনে অনেক বই পড়েছি, কিন্তু সেগুলো থেকে অর্জিত বেশীরভাগ তথ্যই আমার এখন মনে নেই। তাহলে এত বই পড়ে আসলে আমার কি লাভ হচ্ছে?" একজন ছাত্র তার শিক্ষককে ঠিক এই প্রশ্নটি একদিন জিজ্ঞেস করেছিল।
শিক্ষক এই ব্যাপারে মৌন ছিলেন, তিনি প্রথম দিন কোন উত্তর দিলেন না।
কিছুদিন পর নদীর ধারে সেই ছাত্র এবং শিক্ষকের মধ্যে একদিন দেখা হয়, শিক্ষক ছাত্রকে একটি ছিদ্রযুক্ত পাত্র দেখিয়ে বললো - "যাও, নদীর ধার থেকে পাত্রটি নিয়ে আমার জন্যে এক পাত্র পানি নিয়ে আসো", পাত্রটি সেখানে ময়লার মধ্যে মাটিতে পড়েছিল।
ছাত্রটি কিছুটা বিভ্রান্তিবোধ করলো, এটা অযৌক্তিক উপদেশ, একটা ছিদ্রযুক্ত পাত্র দিয়ে পানি নিয়ে আসা সম্ভব নয়, কিন্তু শিক্ষকের উপদেশ অমান্য করা যাবে না, তাই সে মাটি থেকে পাত্রটি তুলে নিয়ে নদীর ধারে ছুটে গেল পানি নিয়ে আসার জন্যে।
পাত্র ভর্তি করে সে পানি নিয়ে উপরে উঠে এলো, কিন্তু বেশি দূর যেতে পারলো না, কয়েকটা কদম দেওয়ার সাথে সাথেই পানিগুলো সব ছিদ্র দিয়ে নিছে পড়ে গেল।
সে আরও কয়েকবার চেষ্টা করলো, কিন্তু সে ব্যার্থ হলো এবং হতাশাবোধ করলো।
এভাবে আরও কয়েকবার চেষ্টা করার পরেও সে পানি নিয়ে পৌঁছাতে পারলো না, সে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ল।
তারপর সে শিক্ষকের নিকট ফিরে গিয়ে বললো - "আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমি এই পাত্রটিতে পানি নিয়ে আসতে পারবো না, এটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আমাকে ক্ষমা করুন।"
ছাত্রের কথা শুনে শিক্ষক কোমল একটি হাসি দিলেন এবং ছাত্রকে উদ্দ্যেশ্য করে তিনি বললেন - "না, তুমি ব্যর্থ হওনি। পাত্রটির দিকে তাকিয়ে দেখ, এটি এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, একদম নতুন একটি পাত্রের মত দেখাচ্ছে। ছিদ্রগুলো দিয়ে যতবারই পানি পড়েছে ততবারই পাত্রটির মধ্যে থাকা ময়লাগুলো পরিষ্কার হয়ে বের হয়ে গিয়েছে। যখন তুমি কোন বই পড় তখন তোমার সাথে একই ব্যাপার ঘটে, তোমার ব্রেইন হচ্ছে একটি ছিদ্রযুক্ত পাত্রের মত, আর বইয়ের মধ্যে থাকা তথ্যগুলো হচ্ছে পানির মত। তাই যখন তুমি কোন বই পড় এর সব কিছু মনে রাখতে পারো না। কিন্তু তুমি একটা বই পড়ে এর সবগুলো তথ্য মনে রাখতে পারলে কিনা সেটা তেমন গুরুত্বপূর্ন কোন বিষয় না। কারণ বই পড়ে তুমি যেসব ধারণা, জ্ঞান, আবেগ, অনুভূতি, উপলব্দি এবং সত্য খুঁজে পাও সেগুলো তোমার মনকে পরিষ্কার করে, যতবার তুমি একটি বই পড়ে শেষ কর ততবার তোমার আধ্যাত্মিক রূপান্তর ঘটে, প্রতিবার তোমার পুনর্জন্ম হয়, ফলে তুমি আরও বিশুদ্ধ একজন মানুষে পরিণত হও। এটাই হচ্ছে বই পড়ার মূল উদ্দেশ্য।"
হ্যাপি রিডিং...।

নৌকা ভ্রমনের জন্য নুরুল ভাই -- 01718434257
11/07/2023

নৌকা ভ্রমনের জন্য
নুরুল ভাই -- 01718434257

"দ্য হিন্দু নিউজপেপারে কিছুদিন আগে এই ছবিটি এবং খবরটি দেখলাম। ছবিটি বাঙ্গালোরের কাবন পার্কের। এখানে এক দারুণ ট্রেন্ড শুর...
11/07/2023

"দ্য হিন্দু নিউজপেপারে কিছুদিন আগে এই ছবিটি এবং খবরটি দেখলাম। ছবিটি বাঙ্গালোরের কাবন পার্কের। এখানে এক দারুণ ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। চুপচাপ বই পড়ে যাওয়া পড়ন্ত বিকেল পর্যন্ত। অর্থাৎ পড়ার মতো কিছু, যেমন বই, নিউজপেপার এমনকি রিসার্চ পেপার পর্যন্ত এখানে নিয়ে চলে আসা যায়, পছন্দমতো জায়গা বেছে নিয়ে চাদর পেতে বসে বা গাছের ছায়ায় শুয়ে পড়া শুরু করা যায়। কাগজের বইই হতে হবে, এমন কোনো মানে নেই। কিন্ডেল, ট্যাব, ল্যাপটপও পড়ার মাধ্যম হতে পারে। তবে যাইহোক শব্দ করা চলবে না। অর্থাৎ ফোন ধরা টরা থেকে দূরে থাকতে হবে। পরিচিত কারো সাথে দেখা হলেও সৌজন্যমূলক কথাও বলা যাবে না। পড়ার সময় পাঁচ ঘন্টা, মাঝে একটা বিরতি আছে সেই সময়ে কথা বলতে পারেন, খাওয়া দাওয়া সেরে নিতে পারেন; তারপর আবার পড়া। চুপচাপ বই পড়ার এই ট্রেন্ড আরোও কিছু শহরে শুরু হয়েছে বাঙ্গালোরের দেখাদেখি। নানান ধরনের ট্রেন্ড ভাইরাল হতে দেখেছি আগে। কখনও কোনো ট্রেন্ডে আগ্রহী হইনি। কিন্তু আজ আগ্রহ হচ্ছে। আমি চাইছি এই ট্রেন্ড ছড়িয়ে পড়ুক দিকে দিকে। আমার কাছাকাছি কোথাও চলে আসুক এই ট্রেন্ড; অন্তত একটা দিন গাছের ছায়ায় অন্য পাঠকদের ভিড়ে হারিয়ে কয়েক পাতা কিছু অক্ষর পড়ে আসি।"

প্যাশেন্ট দেখার সময় মেয়ের মা হিস্ট্রি বলে যাচ্ছেন, মেয়ে পায়ে জোর পায় না। হাটতে পারে না, কোন কাজ করতে চায় না। পড়াশোনায়ও ম...
06/07/2023

প্যাশেন্ট দেখার সময় মেয়ের মা হিস্ট্রি বলে যাচ্ছেন, মেয়ে পায়ে জোর পায় না। হাটতে পারে না, কোন কাজ করতে চায় না। পড়াশোনায়ও মন নাই, সারাদিনই দুর্বল অনুভব করে আর প্রচন্ড অলস।

আমি জিজ্ঞেস করলাম, মেয়েকে খেলাধুলা করতে দিয়েছেন ছোট বেলা থেকে কখনো??
উত্তরঃ না।

কোন প্রকার ইনডোর গেমসঃ
উঃ না।

হাইকিং- বা দূরে হেটে হেটে ঘুরতে যাওয়া জাতীয় কোন এক্টিভিটি??

উঃ না।

নাচ বা জিমে তো সম্ভবত নেয়া হয় নি কখনো??
উঃ জ্বি না।

মেয়েকে কোন কোন কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত রেখেছেন??
উঃ পড়াশোনা, আর্ট। আর সারাদিন মোবাইল তো আছেই।

আমি মেয়েটার পায়ের কাফ মাসলে হাত দিলাম। বয়স মাত্র ১৭ বছর৷ ইন্টারে উঠেছে এই বছর। She virtually has no muscle in her calfs. হ্যামস শক্ত করতে বলে জোরে চাপ দিলাম। হ্যামস পানি ভরা থলের মত নরম।

এই পানি কোত্থেকে আসে আমি বলছি।

আমরা যখন লম্বা সময় ধরে সুগার রিচ, হাই কার্ব, লো ফাইবার, লো মাইক্রোমিনারেল ডায়েটে থাকি, আমাদের শরীর ওয়াটার রিটেইন করতে থাকে।

সিম্পল উদাহরন দিচ্ছি।

আপনার প্রেসার কমে গেলে অনেক সময় গ্লুকোজ খেতে বলা হয়। গ্লুকোজ-স্টার্চের ইমিডিয়েট ইমপ্যাক্ট ব্লাড প্রেসারকে গ্লাইসেমিক স্ট্যাবিলাইজেশান তো করেই, সাথে গ্লাইকোজেন হিসেবে গড়ে প্রতি ১ গ্রাম গ্লুকোজ ৩ থেকে ৪ গ্রাম পানি ধরে রাখে শরীরে। এর সাথে যদি সোডিয়াম রিচ প্রসেসড ফুড (ফাস্ট ফুড এবং বিভিন্ন কোম্প্যানি মেইড ফুড) যুক্ত হয় তাহলে তো কথাই নেই।

একটা মানুষের শরীর কেমন হবে তা অনেকটাই নির্ভর করে জীবনের প্রথম ১৬টা বছরের ওপর।

এই মেয়েটা এবং তার মত আরো অনেক ছেলেমেয়ে আমাদের চারপাশে আছে যারা জীবনে কখনো হেলদি মাসল তৈরির কোন সুযোগ পায় নাই। খেলা হচ্ছে বাংলাদেশের বাবামায়েদের কাছে সময় নষ্ট।

ছেলেমেয়েদের পায়ের জোর বাড়াতে চাইলে,
১)সুগার ফ্রি খাবার খাওয়ান
২)কাধে-দু হাতে মাঝারি রকম ভারী ওজন দিয়ে সিড়িতে ওঠানামার অভ্যাস করান
৩)দড়ি লাফ, বক্স জাম্পের অভ্যাস করান
৪)দৌড়ানোর অভ্যাস করান
৫)প্রথমে স্বল্প থেকে ধীরে ধীরে লম্বা দুরত্ব(৪-২০ কিলোমিটার) হাটার অভ্যাস করান
৬)এনিম্যাল প্রোটিন ও গ্রীন-রেড কালার্ড ভেজিটেবল বাড়িয়ে খাওয়ান
৭)ভিটামিন বি ওয়ান, জিংক, ভিটামিন ডি ও ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার এবং প্রয়োজনে প্রফেশনাল কনসাল্ট্যান্টের মত অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট(যদি অসুস্থ হয়ে যায় এই মেয়েটার মত) খাওয়ান।

গেম খেলা-মুভি দেখা বাচ্চাদের দূরে রাখতে চেষ্টা করুন।

ছোট বেলায় দেখতাম, বাবা চাচারা সারা বছরের জন্য গম কিনতেন, রোদে শুখিয়ে আটা করা হত। খেতের মোটা চাল ছিল সবার বাসায়। হলুদ কিন...
03/07/2023

ছোট বেলায় দেখতাম, বাবা চাচারা সারা বছরের জন্য গম কিনতেন, রোদে শুখিয়ে আটা করা হত। খেতের মোটা চাল ছিল সবার বাসায়। হলুদ কিনে ভাংগানো বা সরিষা কিনে ভেংগে তেল করাও ছিল বেশ কমন। কালের পরিক্রমাই আমাদের জেনারেশন তো এই গুলির সব দায়িত্ব ছেড়ে দিসি করপরেট মাফিয়াদের হাতে।

গ্রামের কৃষক ও এখন ধান বেচে চাল কিনে খায়। এইতো ১০-১২ বছর আগেও মুরগির খামার ছিল প্রান্তিক বেকার যুবকদের একটা ভাল আয়ের মাদ্ধম। কেন যেন সব কিছু করপোরেট দের হাতে ছেড়ে দিয়ে শুধু হা হুতাশ এর পথ বেছে নিছি আমরা। করপরেটরা বুঝে গেছে কৃষকের ছেলে আর কৃষি কাজ করতে চাই না। আমাদের সেলসম্যান হতে চাই তাই তারা শুন্যস্থান দখল করেছে । যতদিন না আমরা আবার এই আলসেমি ভেংগে ছোট পরিবর্তন গুলি না করব, মাফিয়ারা আমাদের খালি চুশে নিবে

একটি ভীষণ না-থাকাকে সঙ্গে নিয়ে আমি প্রতি রাত্তিরে ঘুমোতে যাই;ঘুমোই, ঘুম থেকে উঠি, কলঘরে যাই — না-থাকাটি সঙ্গে থাকে।দিনের...
03/07/2023

একটি ভীষণ না-থাকাকে সঙ্গে নিয়ে আমি প্রতি রাত্তিরে ঘুমোতে যাই;
ঘুমোই, ঘুম থেকে উঠি, কলঘরে যাই — না-থাকাটি সঙ্গে থাকে।
দিনের হই চই শুরু হয়ে যায় দিনের শুরুতেই,
একশ একটা লোকের সঙ্গে ওঠাবসা–
এই কর সেই করর দৌড়োদৌড়ি–লেখালেখি–
এ কাগজ পাচ্ছি তো ও কাগজ গেল কই!
হাটবাজার, খাওয়াখাদ্যি, সব কিছুর মধ্যে ওই না-থাকাটি থাকে।
সন্ধ্যেবেলা থিয়েটারে রেস্তোরাঁ বা ক্যাফের আড্ডার হুল্লোড়ে, হাসিতে
এ বাড়িতে ও বাড়িতে অভিনন্দনে, আনন্দে
ছাদে বসে থাকায়, বসে চাঁদ দেখায়
দেখে চুমু খাওয়ায়,
নিভৃতে থাকে, না-থাকাটি থাকে।
যখন ভেঙে আসি,
বই গড়িয়ে পড়েছে, চশমাটিও–
হেলে পড়া শরীরটিকে আলতো ছুঁয়ে
মাঝরাত্তিরে চুলে বিলি কেটে কেটে না-থাকাটি বলে,
‘মা গো, বড় ক্লান্ত তুমি, এবার ঘুমোতে যাও।’

জিলহজ মাস হচ্ছে আরবি বারো মাসের সর্বশেষ মাস এবং বছরের চারটি সম্মানিত মাসের একটি। বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ চারটি মাস—জিলকদ, জিল...
26/06/2023

জিলহজ মাস হচ্ছে আরবি বারো মাসের সর্বশেষ মাস এবং বছরের চারটি সম্মানিত মাসের একটি। বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ চারটি মাস—জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। এসব মাসে যুদ্ধবিগ্রহ, কলহবিবাদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২, যা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী সেদিন থেকে চালু আছে, যেদিন আল্লাহ তাআলা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান।’(সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ৩৬)। এ পবিত্র মাসের ১০ তারিখে কুরবানির ঈদ পালনের মাধ্যমে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হজরত ইবরাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.)-এর অতুলনীয় আনুগত্য এবং মহান ত্যাগের পুণ্যময় স্মৃতি বহন করে। আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য মুসলিম উম্মাহ প্রতি বছর হজব্রত পালন ও পশু কোরবানি করে থাকে।
মাস হিসাবে রমজান আর দিন হিসাবে এ দশক শ্রেষ্ঠ ও সর্বাপেক্ষা মর্যাদাপূর্ণ। এ মাসের নবম দিন ও রাত আল্লাহর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ দিনটি আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার দিন। আর রাতটি হলো মুজদালিফায় অবস্থানের রাত। বিশেষ করে ৯ জিলহজ রোজা আদায়ের ব্যাপারে প্রিয়নবি সবচেয়ে বেশি আশাবাদী ছিলেন যে, এ দিনের রোজা পালনকারীর বিগত এক বছর এবং আগাম (সামনের) এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেবেন। যেভাবে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে মহানবি (সা.) বলেন, ‘যে আরাফার দিনের রোজা রাখল অবশ্যই আল্লাহতায়ালা তার একবছর আগের এবং একবছর পরের তথা দুই বছরের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন’ (মুসলিম)।
জিলহজ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত সম্পর্কে মহানবি (সা.) বলেন, এমন কোনো দিন নেই যে দিনগুলোর ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের ইবাদত থেকে অধিক প্রিয়। জিলহজের প্রথম দশকের প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য (তিরমিজি)।
মহানবি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কুরবানি করতে চায়, সে যেন জিলহজের চাঁদ দেখার পর চুল ও নখ না কাটে’ (ইবনে মাজাহ)। তাই জিলহজ মাসে প্রবেশ করার আগেই আমাদের চুল ও নখ কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল করিম (সা.) বলেছেন, ‘এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহর মধ্যবর্তী সময়ের (সগিরা) পাপগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর জান্নাতই হচ্ছে মকবুল হজের একমাত্র প্রতিদান’ (সহিহ বোখারি ও সহিহ মুসলিম)।
হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবি (সা.) বলেন, ‘অতএব, তোমরা এ দিনগুলোতে বেশি বেশি করে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) এবং তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) পড়বে’ (মুসনাদে আহমাদ)।
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রতি ফরজ নামাজের পর একবার তকবির বলা ওয়াজিব। পুরুষেরা স্বাভাবিক স্বরে আর মহিলারা নিচু স্বরে এ তকবির বলবেন। তকবির হলো ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ (ইলাউস সুনান, খণ্ড-৮, পৃষ্ঠা: ১৪৮)
জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ যেকোনো দিন কোনো ব্যক্তির মালিকানায় নিত্যপ্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের সম্পদ থাকলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। পুরুষ ও নারী—সবার জন্য এ বিধান প্রযোজ্য। (ইবনে মাজাহ: ২২৬)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কোরবানি করবে, তারা যেন (এই ১০ দিন) চুল ও নখ না কাটে।’(মুসলিম: ৫২৩৩, ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা: ২২৭) এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আপনি বলুন, (যদি আমার কোরবানির পশু কেনার সামর্থ্য না থাকে) কিন্তু আমার কাছে এমন উট বা বকরি থাকে, যার দুধ পান করা বা মাল বহন করার জন্য তা প্রতিপালন করি। আমি কি তা কোরবানি করতে পারি?’ তিনি বললেন, ‘না। বরং তুমি তোমার মাথার চুল, নখ, গোঁফ কেটে ফেলো এবং নাভির নিচের চুল পরিষ্কার করো। এ-ই আল্লাহর কাছে তোমার কোরবানি। (আবুদাউদ, নাসাই, ত্বহাবি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা: ৩০৫)
মুমিন মুসলমানের জন্য নির্ধারিত দিনে কোরবানি করা মহান আল্লাহর নির্দেশ। কোরআন-সুন্নার নির্দেশনাও তাই। আল্লাহ তাআলা বলেন-فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
‘অতএব তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামাজ পড় এবং কোরবানি কর।’(সুরা কাউসার : আয়াত ২)
قُلْ إِنَّ صَلاَتِيْ وَنُسُكِيْ وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِيْ للهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ
‘(হে রাসুল! আপনি) বলুন, অবশ্যই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মৃত্যু বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই।’(সুরা আনআম : আয়াত ১৬২)
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোরবানি করা প্রসঙ্গে হাদিসে একাধিক বর্ণনা রয়েছে। তাহলো-
১. হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দীর্ঘ (ও সুন্দর) দুই শিং বিশিষ্ট সাদা-কালো মিশ্রিত (মেটে বা ছাই) রঙের দুইটি দুম্বা কোরবানি করেছেন।’(বুখারি, মুসলিম)
২. হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১০ বছর মদিনায় অবস্থান করেছেন। মদিনায় অবস্থানকালীন প্রত্যেক বছরেই কোরবানি করেছেন।’(মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি)
৩. সামর্থ্যবানদের মধ্যে যারা কোরবানি করে না, তাদের প্রতি তিনি এভাবে হুশিয়ারী করেছেন। হাদিসে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কোরবানি করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের ধারে-কাছেও না আসে।’(মুসনাদে আহামদ, ইবনে মাজাহ, মুসতাদরেকে হাকেম)
৪. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো বছর কোরবানি থেকে বিতর থাকেননি। তিনি কর্মে দ্বারা যেমন কোরবানি করতে অনুপ্রাণিত করেছেন আবার বক্তব্য দিয়ে কোরবানির প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। হাদিসে এসেছে-‘যে ব্যক্তি (ঈদের) নামাজের আগে (পশু) জবেহ করে সে নিজের জন্য জবেহ করে। আর যে নামাজের পর জবেহ করে তার কোরবানি সিদ্ধ হয় এবং সে মুসলমানদের তরিকার অনুসারী হয়।’(বুখারি)
কোরবানি মুসলিম উম্মাহর আদর্শ ও ঐতিহ্য:
কোরবানির ইতিহাস অতি প্রাচীন। কোরআনে হাবিল-কাবিলের ঘটনাই তার প্রমাণ। ইসলামে প্রথম কোরবানি এটি। হাবিল প্রথম মানুষ, যিনি আল্লাহর জন্য একটি পশু কোরবানি করেন। ধর্মীয় বিবরণ থেকে জানা যায়, হাবিল একটি ভেড়া এবং তার ভাই কাবিল তার ফসলের কিছু অংশ স্রষ্টার উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন।
সে সময় আল্লাহর নির্ধারিত শরিয়ত বা পদ্ধতি ছিল এই যে, আকাশ থেকে আগুন নেমে আসবে এবং যার কোরবানি কবুল হবে তার জিনিসকে আগুন গ্রহণ করবে। অর্থাৎ অগুন সে জিনিসকে জালিয়ে ভষ্ম করে দেবে। সেই অনুযায়ী, আকাশ থেকে নেমে আসা নেককার হাবিলের জবেহকৃত পশুটির কোরবানি গ্রহণ করে। অন্যদিকে কাবিলের ফসলস্বরূপ প্রদত্ত কোরবানি প্রত্যাখ্যাত হয়।
পরবর্তীতে আল্লাহ তাআলা ইসলামের নবি ও রাসুল, মুসলিম জাতির পিতা, হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সাল্লামকে স্বপ্নযোগে এ মর্মে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি করার নির্দেশ দেন, ‘তুমি তোমার প্রিয় বস্তু আল্লাহর নামে কোরবানি করো। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আদিষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর জন্য ১০টি উট কোরবানি করেন। কিন্তু পুনরায় তিনি কোরবানি করার জন্য আদেশ প্রাপ্ত হন। তখন তিনি আবারও ১০০টি উট কোরবানি করেন।
তারপরেও তিনি একই আদেশ পেয়ে ভাবলেন, আমার কাছে তো এ মুহূর্তে সবচেয়ে প্রিয়বস্তু হলো- পুত্র ইসমাইল আলাইহিস সালাম। এছাড়া আর কোনো প্রিয় বস্তু নেই। তখন তিনি হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামকে কোরবানি করতে মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। যখন হজরত ইবরাহিম তার পুত্রকে কোরবানি দেওয়ার জন্য গলায় ছুরি চালানোর চেষ্টা করেন, তখন তিনি বিস্মিত হয়ে দেখেন যে ইসমাইল আলাইহিস সালামের পরিবর্তে একটি প্রাণী কোরবানি হয়েছে এবং তার কোনো ক্ষতি হয়নি।
ঐতিহাসিক এই ধর্মীয় ঘটনাকে স্মরণ করে সারাবিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর ঈদুল আজহা উৎসব পালন করে। ইসলামে হিজরি ক্যালেন্ডারের ১২তম চন্দ্রমাস জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোরবানি করার সময় হিসাবে নির্ধারিত। এ দিনে বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দেন।
তাই মুসলিম উম্মাহর জন্য এটা উত্তম যে, সামর্থ্য থাকলে কোরবানি আদায় করাই উত্তম। কোনোভাবেই কোরবানি থেকে বিরত না থাকা। সক্ষম হলে নিজের ও পরিবার-পরিজনের পক্ষ থেকেও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করা। এর মাধ্যমে যেমন আল্লাহর নির্দেশ মানা হয় তেমনি সাহাবাদের অনুসরণ ও অনুকরণও হয়। ফলে এতে রয়েছে বিশাল সওয়াবের হাতছানি।
মহান আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে জিলহজ মাসের বরকত ও কল্যাণ দান করুন, আমিন।

قُلْ إِنَّ صَلَاتِى وَنُسُكِى وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِى لِلَّهِ رَبِّ الْعٰلَمِينَ

ক্বুল "ইন্নাস সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।"

অর্থঃ আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে।

[আল আনআমঃ আয়াত নং ১৬২]

আব্বুকে নিয়ে আম্মুর অভিযোগের শেষ ছিল না।তবে একটা অভিযোগ যেটা বারবার শুনে হেসেছি আমি, সেটা হল, যতই পৃথিবী উল্টে যাক, আব্ব...
19/06/2023

আব্বুকে নিয়ে আম্মুর অভিযোগের শেষ ছিল না।
তবে একটা অভিযোগ যেটা বারবার শুনে হেসেছি আমি, সেটা হল, যতই পৃথিবী উল্টে যাক, আব্বু নাকি প্রতি রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে যেতে পারেন।

এই যে আশেপাশে এত কিছু হয়ে যাচ্ছে, কত কিছু হয়ে যেতে পারে এই সব চিন্তায় যেখানে আম্মু রাতের পর রাত দু'চোখের পাতা এক করতে পারেন না, সেখানে তার স্বামী কিভাবে প্রতি রাতে এমন নিশ্চিন্তে বেঘোরে ঘুমিয়ে থাকতে পারেন এ এক আশ্চর্য বিষয়!!

আব্বুর মতই চিল থাকার চেষ্টা করেছি সারাজীবন।
শান্ত, চিন্তাশীল, সবসময় নিজের টেম্পার নিজের নিয়ন্ত্রণে- অথচ তার গাম্ভীর্য এত শক্তিশালী, এত ডায়নামিক- যে তিনি যদি একটা কথা বলেন, কার উপর কারো কথা বলার কোন জায়গা থাকতো না।

যে জায়গাটা আব্বু নিজেকে একদম ঠান্ডা রেখে আয়ত্তে আনতে পেরেছেন, সেই জায়গাটা কিন্তু শত রাগারাগি, মান অভিমান, চিল্লাচিল্লি করেও আম্মু পান নি।

নিজের অবস্থান শক্ত করার জন্য রাগ বেশি থাকা জরুরী নয়। জরুরী নিজের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ থাকা।
যে যত বেশি নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে তত বেশি ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

নিজের শান্তি নিজের কাছে।
নিজের অশান্তিও নিজের কাছেই।

আমরা আশেপাশের ঘটনা দ্বারা, অন্য মানুষের প্রভাব দ্বারা, ম্যানিপুলেট হয়ে ভেসে গিয়ে কতরকম কাজ করি, কথা বলি- যেগুলো আদতে আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আবেগে সিদ্ধান্ত নেই। রাগের মাথায় কাজ করি। নিজেদের মানসিক শান্তি নিজেরা বিসর্জন দেই-
কোন তো দরকার নেই।

রাতে শান্তিতে ঘুমানো জরুরী।
বুঝলেন?

সমুদ্রের ওপারে সমরেশ মজুমদার। কিছুদিন আগে অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন এলো। কানে নিয়ে বললাম, হ্যালো, কে বলছেন?ওপার থেকে হাসত...
08/05/2023

সমুদ্রের ওপারে সমরেশ মজুমদার।

কিছুদিন আগে অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন এলো। কানে নিয়ে বললাম, হ্যালো, কে বলছেন?
ওপার থেকে হাসতে হাসতে বললেন, বলুন তো আমি কে?
আমিও হাসতে হাসতে বললাম, সমরেশ দা-------
তিনি আরো জোরে হেসে উঠে বললেন, দেবাশিষ বলল আপনি নাকি আরো বড় কর্তা পদে উন্নীত হয়েছেন, এখন আর আমার গলা চিনবেন না, তাই আরেক বন্ধুর ফোন থেকে পরীক্ষা করলাম চিনেন কিনা?
কী যে বলেন দাদা, তা বাংলাদেশে আসবেন কখন?
জুলাই মাসে আসতে পারি, একটি পত্রিকা নিমন্ত্রণ জানিয়েছে, তবে থাকব কিন্তু আপনি এবং দিপংকরের সাথে।
অবশ্যই, দাদা।
আমাকে কিন্তু এবার সমুদ্র এবং পাহাড় দেখা যায় এমন জায়গায় নিতে হবে।
কক্সবাজারে প্যাঁচার দ্বীপে নিয়ে যাব, দাদা, দুটোই দেখবেন। চা বাগান যাবেন না?
যাবো তো, কাজল বাবুতো বলেই রেখেছেন, আবার আরেক ডাক্তার এসেছিলেন, কী যেন নাম, ও, মনে পড়েছে আতাউর, ডাক্তার আতাউর। তার ওখানেও যাব।
নিয়ে যাব, দাদা।
তাহলে, কথা রইল সমুদ্র দেখাবেন, আবার চা বাগানে আড্ডা হবে।
নিশ্চয় দাদা।

না, মানুষটি আর বাংলাদেশে আসবেন না। আজ তিনি সমুদ্রের ওপারে চলে গেছেন, যেখান কেউ ফিরে না।
আচ্ছা, ওই পারে কি চা বাগান আছে? চায়ের কাঁচা পাতার গন্ধ যে সমরেশ মজুমদার বড্ড ভালোবাসতেন!

মানুষের শক্তির মধ্যে একটা বাড়তির ভাগ আছে। সেই শক্তি মানুষের নিজের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। জন্তুর শক্তি পরিমিত বলিয়াই তা...
24/02/2023

মানুষের শক্তির মধ্যে একটা বাড়তির ভাগ আছে। সেই শক্তি মানুষের নিজের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। জন্তুর শক্তি পরিমিত বলিয়াই তারা কিছু সৃষ্টি করে না, মানুষের শক্তি পরিমিতের বেশি বলিয়াই তারা সেই বাড়তির ভাগ লইয়া আপনার সভ্যতা সৃষ্টি করিতে থাকে।
কোনো একটি দেশের সম্বন্ধে বিচার করিতে হইলে এই কথাটি ভাবিয়া দেখিতে হইবে যে, সেখানে মানুষ আপন বাড়তি অংশ দিয়া কী সৃষ্টি করিয়াছে, অর্থাৎ জাতির ঐশ্বর্য আপন বসতির জন্য কোন্‌ ইমারত বানাইয়া তুলিতেছে?
ইংলণ্ডে দেখিতে পাই সেখানকার মানুষ নিজের প্রয়োজনটুকু সারিয়া বহু যুগ হইতে ব্যয় করিয়া আসিতেছে রাষ্ট্রনৈতিক সাতন্ত্র্য গড়িয়া তুলিতে এবং তাকে জাগাইয়া রাখিতে।
আমাদের দেশের শক্তির অতিরিক্ত অংশ আমরা খরচ করিয়া আসিতেছি রাষ্ট্রতন্ত্রের জন্য নয়, পরিবারতন্ত্রের জন্য। আমাদের শিক্ষাদীক্ষা ধর্মকর্ম এই পরিবারতন্ত্রকে আশ্রয় করিয়া নিজেকে প্রকাশ করিতেছে।

- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 🙏

Address

পারনান্দুয়ালী, খেয়াঘাট
Magura
7600

Telephone

01718434257

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নবগঙ্গার নৌকা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to নবগঙ্গার নৌকা:

Videos

Share

Category


Other Travel Services in Magura

Show All