28/05/2024
Spiti valley (স্পিটি ভ্যালি) যাওয়ার জন্য কিভাবে প্লান করবেন তার বিস্তারিত A to Z গাইডলাইন পড়ুন।
Spiti valley নাম শুনলেই মনের মধ্যে অন্যরকম ছবি ভেসে ওঠে যা হয়তো আগে কখনোই দেখা হয়নি বা স্বপ্নে দেখা হয়েছিল হয়তো। সবুজ পাহাড়, মাউন্টেইন নদী, ঝর্না এবং প্রচন্ড কন কনে ঠান্ডা ও বরফের বিষয় জড়িত এই স্পিটি ভ্যালিতে অর্থাৎ অনেকটা লাদাখের মতোই পরিবেশ বলা যেতে পারে। এমনকি বছরের বেশি সময় ধরে পুরো পাহাড়, রাস্তা বরফে আচ্ছান্ন থাকে যাকে বরফের মরুভূমি বলা যেতে পারে।
প্রতি বছর হাজার হাজার ট্যুরিস্ট স্পিটি ভ্যালিতে ঘুরতে যায় এবং অনেকের লং ভ্রমণ করার বাসনা থাকে যা এখানে এসে পূরন করে।
কারো জীবনে একবার হলেও স্পিটি ভ্যালি যাওয়ার একটা ইচ্ছা থাকে কিন্তু বিভিন্ন প্রতিকূলতা, বাধা বিপত্তি, অনেক উচ্চতা এবং ভয়ংকর খারাপ রাস্তার কথা চিন্তা করে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে কিন্তু যারা প্রকৃত ভ্রমণকে ভালোবাসে তাদেরকে দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই গত কয়েক বছর বহু মানুষ তাদের ইচ্ছাটা পূরন করে যাচ্ছে অর্থাৎ প্রচুর ট্যুরিস্ট যাতায়াত করছে।
Spiti মানে হচ্ছে মধ্যম ভূমি অর্থাৎ ভারত ও তীব্বতের মাঝামাঝি স্থানকে মধ্যমভূমি বলা হয় যা Spiti valley জায়গা নামে পরিচিত। এই এরিয়াতে ভারতীয় এবং তীব্বতীয়দের বসবাস অর্থাৎ বৌদ্ধদের বসবাসের পরিমাণ বেশি। বৌদ্ধদের ধর্মীয় ও তীর্থ স্থান হিসেবে ব্যাপক পরিচিত এবং সবচেয়ে পূরাতন মোনাস্ট্রি রয়েছে এই স্পিটি ভ্যালিতে।
আজ আমি স্পিটি ভ্যালি নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবো। বিগত বছরে কিছু আর্টিকেলে স্পিটি ভ্যালির ভিন্ন ভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছিলাম। আজকের আর্টিকেলটি কয়েক পেজের হতে যাচ্ছে যেহেতু A to Z বর্ননা করবো। হয়তোবা Spiti valley নিয়ে অনেকেই এরকম বিস্তারিত খুঁজছেন।
স্পিটি ভ্যালিতে কিভাবে যাবো, কেমনভাবে প্লান করবো, কেমন খরচ হতে পারে এধরণের প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে সত্যি ইন্ডেক্স আকারে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। তাই বিভিন্ন দৃষ্টিকোন দিয়ে আজকে একদম তথ্যবহুল একটি আর্টিকেল হতে যাচ্ছে, এতে কোন সন্দেহ নেই কারণ আমার বাস্তব ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থেকে লিখতে যাচ্ছি। তাই আমার উপর পূর্ণ আস্থা রাখুন।
১। স্পিটি ভ্যালি কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ?
ইনশাআল্লাহ বিস্তারিত শুরু করবো তবে সবচেয়ে কমন প্রশ্ন হচ্ছে কেন গুরুত্বপূর্ণ। বহু ভ্রমণকারি দ্বিধা দন্দের মধ্যে থাকেন লাদাখ ও স্পিটি ভ্যালি নিয়ে অর্থাৎ স্পিটি ভ্যালির আবহাওয়া ও রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে এখানে যাওয়া হয়তো অনেক কঠিন ও দূর্লভ। এক কথায় উত্তর হচ্ছে হ্যা, স্পিটি ভ্যালি সত্যি দূর্লভ একটি জায়গা যেখানে হয়তো আপনি নেক্সট ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা করেছেন।
আপনি যখন এখানে ভ্রমণ করতে যাবেন, হয়তো সারা জীবনে মনে রাখার মতো একটি ভ্রমণ হবে। কারণ এখানে গিয়ে আপনি বিভিন্ন কালচার, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন সম্পর্কে জানতে পারবেন যা হয়তো পুরো জীবনে কাজে আসবে এবং আগে কখনো এই ধরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হননি।
Spiti valley যাওয়ার পথে কিন্নোর জেলার সবুজ পাহাড়, আবার স্পিটির ভিন্ন গ্রহ তারপর মানালি যাওয়ার পথে যে সব দৃশ্য, ভয়ংকর সব রাস্তা আর পাহাড় দেখবেন তা মন্ত্রমুগ্ধের মতো। একদিকে বরফে আচ্ছান্ন সাদা পাহাড় অন্যদিকে ১৫০০০ ফুট উপরে অবস্থিত চন্দ্রা লেকের স্বচ্ছ নীল পানি যা হয়তো আর কোথাও দেখেন নাই, উফ পাগল হয়ে যাবেন।
ভারতের মধ্যে Spiti valley এক ব্যতিক্রম জায়গা, ভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন মানুষ। এক গুরুত্বপূর্ণ ও মহামূল্যবান ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে পরিচিত। জীবনে একবার হলেও দেখা উচিত। বিভিন্ন দিক দিয়ে স্পিটি ভ্যালি বেশ লাগছে লাদাখের থেকেও। এতোক্ষনে বুঝতে পারছেন কেন স্পিটি ভ্যালি এতো আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
২। কখন স্পিটি ভ্যালিতে যাবেন?
আপনি যখন কোথাও ঘুরতে যাবেন তখন পরিকল্পনা করার সময় এই প্রশ্নটি বার বার মনের মধ্যে চলে আসে, কখন যাবো, কোন সময় ঘোরার জন্য বেস্ট। বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখার জন্য অন্তত ২ ধরণের সিজনকে অগ্রাধিকার দিতে হয় কারণ শীতের সময় এক রকম আবার গরমের সময় ভিন্ন রকম।
স্পিটি ভ্যালি যাওয়ার রাস্তা ১২ মাস খোলা থাকে তবে আপনি কখন যাবেন এবং কোন ধরণের আবহাওয়া আপনার কাছে ভালো লাগে সেটার উপর নির্ভর করে কারণ কারো কাছে শীত, বরফ ভালো লাগে, কারো কাছে একটু শীত কিন্তু বরফ নয় এরকম আবহাওয়া ভালো লাগে, আবার কারো কাছে কিছুটা গরমকাল ভালো লাগে, হয়তো ঠান্ডা তার কাছে একদমই ভালো লাগে না। তবে ট্যুরিজম সিজনের কথা চিন্তা করলে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পারফেক্ট সিজন ধরা হয়।
এই সময়ে সব সাইড দিয়ে রাস্তা খোলা থাকে যেমন শিমলা ও মানালি সাইড। মূলত এই দুই সাইড দিয়ে স্পিটি ভ্যালি যাওয়ার রাস্তা রয়েছে। নিচের আর্টিকেল থেকে জেনে নিন কোন সময়ের জন্য স্পিটি ভ্যালি ঘোরার জন্য বেস্ট হবে বা কোন মাস ঘোরার জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক।
http://blog.bdindi.com
৩। ঘোরার জন্য স্পিটি ভ্যালি (Spiti valley) কি নিরাপদ?
আপনি যখন নতুন কোন স্থানে ভ্রমণ করতে যাবেন তখন মনের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়টি সম্পর্কে অজান্তে প্রশ্ন চলে আসবে। আমার মতামত হচ্ছে, একজনের নিরাপত্তা বা সেফটি তার নিজের হাতে বিদ্যমান। অঘটন যে কোন স্থানেই ঘটে যেতে পারে সতর্কহীন ভাবে চলাফেরা করার কারণে।
স্পিটি ভ্যালির রোড সত্যি অনেক হরিবল বা খারাপ, রাস্তা অনেক ন্যারো, মাঝে মাঝে চরম বিপদজনক গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে। এই পাহাড়ি রাস্তায় উঠার আগে অবশ্যই আপনাকে বা গাড়ি চালককে যথেস্ট অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অর্থাৎ পূর্বে পাহাড়ে চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। আপনি যদি মোটরবাইক নিয়ে পূর্বে বিভিন্ন পাহাড়ে চালানোর অভিজ্ঞতা না নিয়ে থাকেন তবে এই পথ আপনার জন্য নয় বা কোন ড্রাইভারের জন্য নয়। তাই নিজে যদি মোটরবাইক বা কার নিয়ে যেতে চান তবে আমার পরামর্শ হচ্ছে দয়াকরে আগে ছোটখাটো ২/৩ টি পাহাড়ি রাস্তায় ঘুরুন। তবে শিমলা বা মানালি থেকে যে সব গাড়ি বা কার বা বাস যাতায়াত করে সেই সব ড্রাইভার যথেস্ট অভিজ্ঞ, এতে কোন সন্দেহ নেই।
এখানকার লোকাল লোকজন যথেষ্ট ভদ্র আর বিনয়ী। উপত্যকার অধিকাংশ মানুষ একদম সাধামাটা। আপনি নিশ্চিন্ত মনে সতর্ক হয়ে গাড়ি বা মোটরবাইক চালান, কোন ধরণের রিস্ক নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই, ওখানকার লোকের সাথে ভালো ব্যবহার করুন, কারো সাথে অহেতুক তর্ক করবেন না, এসব বিষয় মাথায় রাখুন তাহলে স্পিটি ভ্যালি ভ্রমণের জন্য একদম নিরাপদ স্থান।
আরো বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করে সেফটি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং অনেক বাস্তব তথ্য দেওয়া আছে। বিস্তারিত পড়ুন।
http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....
৪। স্পিটি ভ্যালি যেতে কি পারমিশন দরকার?
পারমিশন নিয়ে অনেকের মধ্যে একটা কনফিউশান তৈরি হয়ে থাকে অর্থাৎ কিভাবে পারমিশন নিবো, কোথা থেকে নিবো এসব অনেকের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়ায়। একটু সংক্ষিপ্ত ভাবে বলছি, যারা ভারতীয় নাগরিক তাদের স্পিটি ভ্যালিতে প্রবেশ করতে কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই। তারা বছরের যে কোন সময় যে কোন এরিয়া দিয়ে প্রবেশ করে আবার বের হয়ে যেতে পারে।
তবে একজন বিদেশী নাগরিকের জন্য অবশ্যই পারমিশন নিতে হবে অর্থাৎ একটা ফিক্সড এরিয়া পর্যন্ত পারমিশন ছাড়া যেতে পারবে কিন্তু Poo & Nako এরিয়া পাস হতে চাইলে অবশ্যই পারমিশন নিতে হবে কারণ এসব এরিয়াতে সেনাবাহিনীর চেক পোস্ট বিদ্যমান যারা পাহারা দিয়ে থাকে কারণ পাশেই অবস্থিত পাকিস্তান ও চীনের সীমান্ত তাই অনুমতি ছাড়া বিদেশীদের প্রবেশ নিষেধ।
একজন বিদেশী নাগরিক যদি মানালি সাইড দিয়ে মোটরবাইক বা কার বা বাসে করে মানালি টু কাজা পর্যন্ত যায় তাহলে তার কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে শিমলা সাইড দিয়ে যদি Reckong peo পর্যন্ত যায় তাহলে কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই তবে এই এরিয়া ক্রস করতে চাইলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। Reckong peo এর পর থেকে স্পিটি ভ্যালি যাওয়ার রাস্তা শুরু...
আপনি যদি মানালি সাইড দিয়ে রোথাং পাস অতিক্রম করে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে রোথাং পাস অতিক্রম করার অনুমতি নিতে হবে সে আপনি ভারতীয় নাগরিক বা বিদেশী ট্যুরিস্ট হোন। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন তাহলে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....
৫। স্পিটি ভ্যালির জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন?
আপনি যখন ওখানে যাবেন বলে ধরে নিয়েছেন তখন হয়তো কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন সেই বিষয়টি মাথার মধ্যে ঘুরপাক করে। স্পিটি ভ্যালি এমন কোন জায়গা নয় যে ব্যাগ প্যাক গুছিয়ে রওনা দিলেন। ওখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক বিষয় সিরিয়াসলি ভাবতে হবে। অবশ্যই আপনার সঠিক জামা কাপড় নিতে হবে, আপনি যদি মোটরবাইক নিয়ে বের হতে চান সেটা নিক্ষুত ভাবে সঠিক আছে কিনা চেক করে নিতে হবে, অবশ্যই মেডিসিন নিতে হবে যেহেতু অনেক উচু পাহাড়ে ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন অর্থাৎ আপনাকে অতি প্রয়োজনীয় জিনিস সাথে নিতে হবে যা হয়তো সাধারণ ট্যুরের জন্য এতো কিছু ভাবার দরকার হয় না।
নিচের লিংকে ক্লিক করে আরো বিস্তারিত জানুন কারণ আরো তথ্যবহুল ভাবে তুলে ধরেছি নিচের আর্টিকেলে
http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....
৬। স্পিটি ভ্যালিতে ফ্যামিলি নিয়ে ঘোরা যাবে কিনা?
কয়েক বছর আগেও স্পিটি ভ্যালি মানে যারা আ্যডভেঞ্চার ও মোটরবাইক নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই স্পট। মানুষের মধ্যে স্পিটি ভ্যালি নিয়ে তেমন কোন ধারণা ছিল না, তাছাড়া সেখানের বর্ডার বন্ধ থাকতো অর্থাৎ সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা, এজন্য অনেকের এই এরিয়া সম্পর্কে খুব বেশি জানার সুযোগ ছিল না। কিন্তু সময় এখন বদলেছে এবং লাস্ট কয়েক বছর ধরে কিছু মানুষ সেখানে যাতায়াত শুরু করেছে এবং ধীরে ধীরে এই স্থানটি এখন ভারতের অন্যতম ট্যুরিস্ট হটস্পট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
একটা বিষয় এখানে পরিস্কার যেহেতু এটি অনেক উচু পাহাড়ের উপর অবস্থিত একটি শহর যেখানে যাওয়া সত্যি অনেক চ্যালেঞ্জ এবং বিপদজনক বটেও। আপনি ফ্যামিলি অর্থাৎ ওয়াইফ, চাইল্ড নিয়ে কিভাবে ঘুরতে যাবেন, কিভাবে মা-বাবা কে সাথে নিয়ে ঘুরতে পারেন তার বিস্তারিত গাইডলাইন নিচের লিংকে ক্লিক করে পড়ুন কারণ এই বিষয়ে একদম তথ্যবহুল আর্টিকেল আরো আগেই লিখেছি----
http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....
৭। স্পিটি ভ্যালি গিয়ে আপনি কি কি কিনতে পারবেন?
আপনি যেখানেই ঘুরতে যান না কেন শপিং কিন্তু জীবনের এক অংশ হয়ে দাড়িয়েছে অর্থাৎ ঘুরছেন আর কিছু কিনছেন না এরকম ট্রাভেলারস খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন, এমনকি সলো ট্রাভেলারসও তার মা-বাবা বা ওয়াইফের জন্য কিছু না কিছু কিনে থাকে। বিশেষ করে আপনি যদি ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে বের হন তাহলে কেনাকাটা বাদ দেওয়া সম্ভব নয় আর যেহেতু স্পিটি ভ্যালি যোজন যোজন দূরে তাই সেখানকার অনেক জিনিস আছে যা হয়তো আপনার এলাকা বা সারা ভারতেও খুঁজে পাবেন না, যেহেতু তাদের জীবন যাপন সম্পূর্ণ আলাদা।
যেমন local warm socks, sweater, Roasted Barle, Dry Cheese, Barle Powder, Sea Buckthorn Tea, Shawl এছাড়াও আরো অনেক ধরণের আইটেম পাওয়া যায় যা ওখানকার পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে তৈরি করা। উপরে যে সব আইটেমের ব্যাপারে বলেছি ওটাই শেষ নয়, জাস্ট শুরু, আরো বহু আইটেম রয়েছে যা নিজের চোখে গিয়ে দেখতে হবে।
আরো বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করে আর্টিকেলটি পড়ুন তাহলে ওখানকার কেনার মতো সমস্ত আইটেম সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং সেই অনুযায়ী আলাদা বাজেট তৈরি করতে সুবিধা হবে।
৮। স্পিটি ভ্যালি গিয়ে কি কি খেতে পারবেন?
আপনি যখন নতুন কোন এরিয়াতে ঘুরতে যাবেন অবশ্যই সেখানকার লোকাল ফুডস খেতে হবে বা খাওয়া উচিত কারণ কোন খাবার আপনার ভালো লাগবে আবার কোন খাবার খেতে পারছেন না সেটা টেস্ট করার পরই বুঝতে পারবেন।
আপনার ভালো না লাগলেও সেখানকার পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে খাওয়া দাওয়ার অভ্যাস করতে হবে কারণ নতুন স্থান নতুন খাবার আহ! অন্যরকম ব্যাপার। মূলত মিক্সড টাইপের খাবারের স্বাদ পাবেন যেহেতু ভারতীয় ও তিব্বতীয়দের বসবাস তাই মুখে অন্য রকম স্বাদ অনুভব করবেন। আপনি ওখানকার খাবার যদি খেয়ে ভালো লাগাতে পারেন তাহলে কখোনা চায়নার তীব্বতে ঘুরতে গেলে সেখানের খাবার আপনার জন্য একদম ইজি হবে।
খাবার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করে পড়ে নিন, একদম ভেংগে চুরে লিখেছি।
৯। স্পিটি ভ্যালি যেতে আপনার যানবাহন প্রস্তুত রাখুন
স্পিটি ভ্যালি যেতে যদি নিজস্ব কোন যানবহন নিয়ে যেতে চান যেমন মোটরবাইক বা প্রাইভেট কার তাহলে যাওয়ার অন্তত ৪/৫ দিন আগে থেকেই যানবাহনের মেরামত করে রাখুন যদি কোন সমস্যা থাকে কারণ এটি অনেক দূরের পথ, কোন সমস্যায় পড়লে সেখান থেকে সল্যুশন পাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার। কারণ পাহাড়ি অঞ্চল যেখানে সেখানে গ্যারেজ পাবেন না। আপনার যানবহনের কোন পার্টস এর সমস্যা হলে সেখানে অলটারনেটিভ পার্টস পাওয়া দূর্লভ ছাড়া আর কিছুই নয়। যাওয়ার পথে আপনাকে হয়তো প্রচুর ব্রেক করতে হতে পারে, টায়ার পাঞ্চার হয়ে যেতে পারে তাই এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা না হলে আপনার পুরো প্লান ভেস্তে যাবে। স্পিটি ভ্যালি যেতে কি ধরণের মোটরবাইক বা কার নিয়ে যাবেন এটা নিশ্চয়ই আপনি বুঝে গেছেন।
নিচের লিংকে ক্লিক করে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত পড়ুন এবং জানুন।
http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....
১০। স্পিটি ভ্যালি ঘুরতে কেমন সময় লাগতে পারে?
এটি সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে কারণ আপনি কোথা থেকে ভ্রমণ শুরু করবেনএবং কত রাত হোটেলে থাকতে চান বা ঘোরার জন্য কতদিন আপনার হাতে সময় আছে। তবে স্পিটি ভ্যালি ঘুরতে হলে অবশ্যই আপনাকে দিল্লি হয়ে যেতে হবে এবং শুরুর পয়েন্ট যদি দিল্লি ধরি তাহলে আমার পরামর্শ হচ্ছে অন্তত ৯ দিন হলে আপনার জন্য পারফেক্ট হবে তবে হাতে অন্তত আরো ১ বা দুই দিন রাখা উচিত যেহেতু লং জার্নি। কোন কারণে আপনি অসুস্থ থাকলে একদিন বা দুইদিন ঘোরার জন্য বাদ হয়ে যাবে তাই সে সব দিন রিকভার করতে হাতে অন্তত এক্সটা দিন রেখে রওনা দেওয়া উচিত।
কত দিনের ভ্রমণ বেস্ট হবে সে বিষয়ে নিচের কয়েকটা লিংকে ক্লিক করলে পেয়ে যাবেন যা ঘোরার জন্য একদম পারফেক্ট ট্যুর বিস্তারিত ভেংগে চুরে লিখেছি যা আপনার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে ইনশাআল্লাহ। নিচে লিস্ট আকারে দিয়েছি, জানার জন্য শুধু ক্লিক করুন।
১১। স্পিটি ভ্যালি গিয়ে আপনি কি দেখবেন?
এটি একটি কমন প্রশ্ন কারণ যেখানে যাবেন সেখানে কি কি দেখার আছে এবং কি ধরণের তথ্য আপনার জানা দরকার। এটি আসলেই একটি আ্যডভেঞ্চার ভ্রমণ স্থান যা আপনার নিজের কাছে মনে হবে। এখানকার রাস্তার প্রতিটি টার্ন আপনাকে নতুন কিছু দেখতে ও শিখতে সাহায্য করবে। এমনকি আপনি প্রকৃতি দেখতে দেখতে মোটেও ক্লান্ত হবেন না হাতে থাকা ক্যামেরা দিয়ে শত শত ছবি তোলার পর।
এটি অবশ্যই আপনার জীবনে এক দূর্লভ ভ্রমণ হবে। তবে এখানে কিছু এরিয়া আছে যা দেখা ও জানার পর আপনার নতুন এক অভিজ্ঞতা হবে।
নিচে কয়েকটা লিংক দিয়েছি যেখানে স্পিটি ভ্যালির বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পটের বিভিন্ম স্থান সম্পর্কে ব্যাপক তথ্য দিয়ে লিখেছি, আশা করি নিরাশ হবেন না। পড়ার পর আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কি দেখবেন আর কি বাদ দিবেন।
১২। স্পিটি ভ্যালি গিয়ে কোথায় থাকবেন?
যত দিন যাচ্ছে ততোই স্পিটি ভ্যালি জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অনেক দূরের একটি জায়গা, সচারাচর আপনার মনের মতো থাকার স্থান হয়তো নাও পেতে পারেন। মূলত আপনি ঘোরার জন্য কোথায় গিয়ে থামবেন এবং কোথায় রাত কাটাবেন সেটার উপর নির্ভর করবে।
স্পিটি ভ্যালি যেতে অন্তত ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ স্পট সামনে আসবে এবং সমস্ত স্পট ঘুরে শেষ করতে পারলেই কেবল আপনি স্পিটি ভ্যালির মজা পাবেন নতুবা অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যাবে।
নিচে কয়েকটি লিংক দিলাম। এখান থেকে ক্লিক করে জেনে নিতে পারবেন কোন এরিয়াতে কোন কোন হোটেল আপনার জন্য পারফেক্ট বা মোটামুটি থাকার জন্য বেস্ট হবে।
http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....
১৩। স্পিটি ভ্যালির মোনাস্ট্রিতে রাতে থাকতে পারেন
ঘুরতে গিয়ে অনেকেই আছেন যারা মোনাস্ট্রিতে এক রাত থেকে অভিজ্ঞতা নিতে চান অর্থাৎ তাদের চাল চলন ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানার জন্য। এটি অনেক ট্রাভেলারের কাছে নতুন এক স্থানীয় অভিজ্ঞতা হবে। তবে অধিকাংশ মোনাস্ট্রি তে রাতে থাকার জন্য কোন অপশন থাকে না কিন্তু স্পিটি ভ্যালিতে রাতে থাকার জন্য এরকম ৫ টি মোনাস্ট্রি আছে।
এখানে থাকার জন্য আগে থেকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে কারণ একদম সাধারণ পরিবেশ, মোটেও আরামদায়ক নয়। তবে আপনার অভিজ্ঞতার জন্য নিচে উল্লেখিত মোনাস্ট্রিতে থাকতে পারেন যেমন
√ Key monastery near Kaza
√ Tabo Monastery
√ Dhankar Monastery
√ Kungri Monastery, Pin Valley
√ Komic Monastery
১৪। কিভাবে স্পিটি ভ্যালি যাবেন?
আপনার কাছে এখন যথেস্ট পরিমান তথ্য রয়েছে যা উপরের বিভন্ন পয়েন্ট পড়ে জেনে গেছেন। আমরা এখন আলোচনা করবো কিভাবে স্পিটি ভ্যালি যাবেন। নিচে কিছু আর্টিকেলের লিংক দিয়েছি যেখানে বিস্তারিত গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে যেমন দুই উপায়ে আপনি স্পিটি ভ্যালি যেতে পারেন।
এক হচ্ছে শিমলা সাইডের রাস্তা এবং অন্যটি হচ্ছে মানালি সাইডের রাস্তা। মানালির সাইড হচ্ছে "মানালি টু কাজা (Kaza)"। এপাশ দিয়ে যাওয়ার সময় Kibber, Pin valley এবং Chandaratal হয়ে কাজা পৌঁছাতে হবে। কাজা (Kaza) হচ্ছে স্পিটি ভ্যালির প্রাণকেন্দ্র। আবার শিমলার রাস্তা দিয়ে গেলে Narkanda, Chitkul, Kalpa, Shangla, Reckong peo তারপর কাজা গিয়ে পৌঁছাতে হয়।
নিচে কয়েকটি আর্টিকেলের লিংক দিয়েছি যার মধ্যে প্রথম আর্টিকেলে সঠিক ভাবে রোড ম্যাপ তুলে ধরেছি এবং অন্যান্য আর্টিকেল পড়ুন তাহলে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং আপনার ভ্রমণের জন্য যথেষ্ট উপকার হবে বলে মনে করছি।
http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....
১৫। স্পিটি ভ্যালিতে ভ্রমণের জন্য মোটর সাইকেল ভাড়া করতে পারবো?
যারা মোটরবাইকে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন অর্থাৎ যেখানেই ঘুরতে যান না কেন যদি স্পিটি ভ্যালিতে ঘোরার জন্য নিজস্ব মোটরবাইক থাকে তাহলে আরো আরামদায়ক ও আ্যডভেঞ্চার ভ্রমণ হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সবার জন্য এটি পারফেক্ট নয় কারণ অনেক ভ্রমণকারি এতো দূর থেকে আসেন যে তাদের জন্য মোটরবাইক আনা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। অনেক ট্রাভেলার আছেন যারা ওখানকার লোকাল বাইক ভাড়া নিয়ে যাত্রা শুরু করেন।
এরকম কিছু বাইক ভাড়া দেওয়ার এজেন্সি আছে যারা মানালি বা শিমলা বা কাজাতে এই সেবা দিয়ে থাকে তবে অবশ্যই আপনার পূর্বে পাহাড়ে বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে নতুবা জীবন নিয়ে ফিরে আসা আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। আপনি যখন মোটরবাইক ভাড়া করতে যাবেন অবশ্যই চেক করে নিবেন যেন পথিমধ্যে কোন ধরণের সমস্যা না হয় তাহলে আপনার ভ্রমণ একদম মাটি হয়ে যাবে।
নিচের লিংকে দেওয়া আর্টিকেলটি ক্লিক করুন এবং বিস্তারিত পড়ুন তাহলে বাইক রেন্ট সম্পর্কিত খুটিনাটি জানতে পারবেন যেমন আপনি কোথা থেকে ভাড়া করবেন, কত করে ভাড়া এবং বিশ্বস্ত এজেন্সি নাম এবং ভাড়া করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট থাকতে হবে এবং সিকিউরিটি হিসেবে কি জমা দিবেন।
http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....
** স্পিটি ভ্যালি নিয়ে সমস্ত লেখার পার্ট রয়েছে, কিছুদিন অপেক্ষা করুন...
১৬। স্পিটি ভ্যালি ভ্রমণের জন্য কেমন খরচ হবে?
ঘোরার জন্য বাজেট অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ টাকার পরিমাণ কম বা বেশি যাই হোক না কেন, এটি ঠিক করে দিবে আপনার ঘোরাঘুরি কেমন হবে।
ভ্রমণের সময় আপনার সমস্ত ব্যয় অবশ্যই আপনার দীর্ঘ দিনের অভ্যাসের উপর নির্ভর করবে। এমনকি ২ বা ৩ বছর ধরে আপনার ব্যক্তিগত খরচ যা হয়েছে সেরকম খরচ একটি ট্যুর স্থানেও হতে পারে।
নিচে ৪ টি আর্টিকেলের লিংক দিয়েছি, দয়াকরে ক্লিক করে জেনে নিন কেমন খরচ হতে পারে এবং কিভাবে বাজেট ট্যুর করবেন।
http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....
** স্পিটি ভ্যালি নিয়ে সমস্ত লেখার পার্ট রয়েছে, কিছুদিন অপেক্ষা করুন...
১৭। স্পিটি ভ্যালি যেতে পাবলিক বাসে ভ্রমণ সম্ভব?
বহু ট্রাভেলারস এখন স্পিটি ভ্যালি যেতে পাবলিক বাসে করে ভ্রমণ করছেন। অনেকে আবার শিমলা বা মানালি থেকে প্রাইভেট কার হায়ার করেও ভ্রমণ করছেন। আপনি যদি পাবলিক বাসে করে ভ্রমণ করতে চান তাহলে নিচের ২টি আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
১৮। স্পিটি ভ্যালি ভ্রমণের জন্য কোন মাস বেস্ট হবে?
এটি সম্পূর্ণ আপনার মনের উপর নির্ভর করবে। আপনি কোন মাসে ঘুরবেন বা কখন আপনার ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময় ও ছুটি নিতে পারবেন সেটা একমাত্র আপনি ই ভালো জানেন।
নিচে আমার লেখা কিছু আর্টিকেলের লিংক দিয়েছি। লিংকে ক্লিক করে পড়ুন তাহলে আমার অভিজ্ঞতার আলোকে যা বুঝেছি ও জেনেছি সেটি আপনার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে ইনশাআল্লাহ।
১৯। ভ্রমণের জন্য স্পিটি ভ্যালি কখন খোলা থাকে?
স্পিটি ভ্যালি বছরের ১২ মাসে খোলা থাকে। অনেকে মনে করেন যে প্রচন্ড শীতের সময় হয়তো বন্ধ থাকে কিন্তু ধারণাটি মোটেও সঠিক নয়। মূলত মানালি সাইড দিয়ে শীতের সময় একদম বন্ধ থাকে। কারণ এই সাইড দিয়ে যাতায়াতের সময় সবচেয়ে উচু হিল পাসিং পাবেন যেমন রোথাং ও কুঞ্জুম পাস। শীতের সময় এই সাইডের রাস্তা বরফের পানিতে একদম বাজে অবস্থা এবং রাস্তা বরফে ঢাকা থাকে তাই অক্টোবর মাঝামাঝি সময় এই রাস্তা দিয়ে থেকে কোন ভাবেই যানবাহন চলাচল সম্ভব নয়।
অন্যদিকে শিমলা সাইড দিয়ে যাতায়াতের সময় বড় কোন হিল পাসিং না থাকার কারণে বরফে খুব বেশি রাস্তা ব্লক থাকে না, যদিও রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকে কিন্তু যাতায়াত চালু থাকে। তবে মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায় যদি চরম আকারে স্নোফল এবং স্নো ঝড় হয়ে থাকে তবে তা সাময়িক, হয়তো সারা বছরের মধ্যে ৫/৭ দিন এরকম হয়ে থাকে যা নভেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ঘটতে পারে বাকি মাসে রাস্তা একদম ঠিক থাকে। এরকম ঘটলে ওখানকার স্থানীয় অথোরিটি দ্রুত রাস্তা পরিস্কার করার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায় যাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কম হয়।
তবে সারা বছরের মধ্যে ট্যুরিজম সিজন হচ্ছে মে মাস থেকে অর্থাৎ যারা ভ্রমণ করে তারা মে থেকে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ভ্রমণ করে থাকে। তবে কিছু পাগলা ট্রাভেলারস আছে যারা নভেম্বর বা ডিসেম্বর এমনকি জানুয়ারিতে শিমলা সাইড দিয়ে ভ্রমণ করে থাকে যখন মাইনাস ১৫ থেকে ২৬ ডিগ্রী সে তাপমাত্রা থাকে, এটা হয়তো ওই সকল ট্রাভেলারসদের একটা নেশা বলতে পারেন। মূলত মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত হোটেল ও গেস্ট হাউজ চালু থাকে এবং অক্টোবর থেকে সমস্ত হোটেল, গেস্ট হাউজ বন্ধ থাকে কারণ তখন পুরো এরিয়াতে বরফের তান্ডব চলে, তখন খাবার পানি স্বাভাবিক থাকে না, সব কিছুই ফ্রিজিং হয়ে যায়, পানি খেতে গেলেও গরম করে খেতে হবে।
২০। স্পিটি ভ্যালি কি আসলে ঘোরার জন্য বিপদজনক?
এক কথায় বলবো মোটেও বিপদজনক নয়। ওখানকার মানুষ যথেষ্ট ভদ্র ও বিনয়ী। কিন্তু আপনি যদি বলেন যাওয়ার পথ বিপদজনক কিনা তাহলে বলবো কিছুটা বিপদজনক তবে সেটা আপনার মনের উপর নির্ভর করবে। রোড যথেস্ট খারাপ, অনেক সরু রাস্তা কিন্তু আপনি যদি ধীরে ও মাথা ঠান্ডা রেখে গাড়ি বা মোটর বাইক চালিয়ে যান তাহলে মোটেও বিপদজনক নয়।
কিন্তু আপনি যদি অহেতুক রিস্ক নিয়ে চালান বা আপনি যে বাসে বা কারে উঠেছেন সেই ড্রাইভার যদি অযথা জোড়ে ও সতর্কহীন ভাবে চালান তাহলে তো সব কিছুই ঘটে যেতে পারে। এমনকি বিকল্প পথ ব্যবহার করলে হয়তো আরো সহজ হতো, এরকম না করে ইচ্ছামত চালালে ভাগ্যে যা ঘটার তাই ঘটবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বলছি স্পিটি ভ্যালি যথেষ্ট নিরাপদ একটি স্থান যা আপনার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে।
২১। স্পিটি ভ্যালি মেয়েদের জন্য একা ঘোরা কি নিরাপদ?
অলরেডি নিরাপদের বিষয়টি উপরে বিভিন্ন ভাবে বর্ননা করেছি। ভালো একটি ট্যুর প্লান করুন, ভালো মানের হোটেল বুকিং করুন, ঘোরার সময় যতটুকু দরকার ততটুকু হেল্প নিবেন, অহেতুক অপরিচিত কারো সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্কে জড়াবেন না। এসব বিষয় মাথায় রেখে ঘুরতে থাকলে কোন মেয়ের জন্য স্পিটি ভ্যালি ঝুকি বা বিপদজনক নয়। এমনকি ঘোরার সময় আগ বাড়িয়ে কাউকে বলতে যাবেন যে আপনি একা ঘুরছেন। যদি কখনো কেউ জিজ্ঞেস করে তাকে বলবেন যে আপনি কোন গ্রুপের সাথে ঘুরতে আসছেন, তবুও একার বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন। আমি অনেক মেয়েকে দেখেছি যারা স্পিটি ভ্যালি একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছে, কেউ পাবলিক বাসে আবার কেউ মটরবাইকে এবং কোন ধরণের সমস্যা ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে দেখেছি।
২২। বাংলাদেশ থেকে কিভাবে স্পিটি ভ্যালি ঘুরতে যাবো?
ধরে নিচ্ছি, আপনি বাজেট বা মিডিয়াম খরুচে ট্রাভেলার্স সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকিট করে বেনাপোল স্টেশন যাবেন। কমলাপুর স্টেশন থেকে রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়ে এবং পরের দিন সকাল ৮ টায় বেনাপোল স্টেশন পৌঁছে যায়।
বর্ডার ট্যাক্স ও উন্নয়ন ফি বাবদ ১০৫৫ টাকা জমা দিয়ে ইমিগ্রেশন শেষ করে ওই পারে চলে যান এবং অটো ভাড়া ৫০ রুপি দিয়ে বনগাঁ স্টেশন চলে যান। তারপর ১৫ রুপি দিয়ে টিকিট কেটে দমদম ক্যান্টন স্টেশন নামুন এবং পাশেই মেট্রো পাবেন, এসিতে সরাসরি হাওড়া স্টেশন চলে যাবেন। হাওড়ার ২২ নং প্লাটফর্ম এর পাশে অবস্থিত মেট্রো স্টেশন।
হাওড়া থেকে নেতাজি এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চন্ডিগড় স্টেশন যাবেন। রাত ৯ টা ৫৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়ে এবং চন্ডীগড় স্টেশন পৌঁছায় ভোর রাত ৩ টার দিকে। এরপর স্টেশনে কিছু সময় কাটিয়ে চলে যাবেন চন্ডিগড় বাস স্ট্যান্ড (43 bus stand) মাত্র ২৫ রুপি দিয়ে। স্টেশনের বাইরে বের হলেই বাস পাবেন, অটো পাবেন। চন্ডীগড় টু শিমলা চলে যান ২৫০ রুপি দিয়ে HRTCS ordinary Govt. Bus এ। হিমাচল প্রদেশে সরকারি বাস ই রাজা, সব খানে চলাচল করে। সকাল ৭ টা ৪৮ মিনিটে ছাড়ে Chandigarh 43 বাস স্ট্যান্ড থেকে এবং শিমলা গিয়ে পৌঁছায় ওইদিন সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে বা দুপুর ১২ টায়।
শিমলা গিয়ে রেস্ট নিন কোন এক হোটেলে উঠে, কারন অনেক লং পথ ভ্রমণ করেছেন, তাই ১টা দিন ওখানে বিশ্রাম নিয়ে আশেপাশে হাটুন, ঘুরুন। পরেরদিন সকাল বেলা শিমলা টু রিকংপিউ
আরো একটি ওয়ে আছে যেমন শিয়ালদা বা হাওড়া থেকে দিল্লি যেতে হবে এবং দিল্লি থেকে Recongpeo যাওয়ার সরাসরি বাস পাবেন। যদিও এই বাস চন্ডীগড় বাস স্ট্যান্ড হয়ে শিমলা যাবে তারপর ভিন্ন ভিন্ন জেলা অতিক্রম করে Recongpeo তে পৌঁছাবে এবং সবশেষ আমরা কাজা (Kaza) গিয়ে পৌঁছাবো ভিন্ন আর এক বাসে.....যাদের হাতে প্রচুর সময় ও পাহাড়ে বাসে ঘুরতে সমস্যা নেই, তাদের জন্য....এই ভ্রমণ
আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে চেস্টা করেছি সঠিক তথ্য দিয়ে ভ্রমণ গাইডলাইনটি সম্পর্ন করতে, জানিনা কতটুকু জানাতে পেরেছি। এই গাইডলাইনের মাধ্যমে আপনি জেনে গেছেন স্পিটি ভ্যালি ঘোরার স্থান সমূহের ম্যাপ, ভালো মানের হোটেল, ফুডস, খরচ ও অন্যান্য বিষয়। আশা করছি আপনার প্লান করতে অনেক সুবিধা হবে এবং ঝটপট প্লান করে ঘুরে আসুন আ্যডভেঞ্চার এরিয়া স্পিটি ভ্যালি। কোন তথ্য বা হেল্প দরকার হলে কমেন্টস সেকশনে কমেন্ট করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ ফ্রি সময়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেস্টা করবো। ভালো থাকুন।
ভারত ভ্রমণের জন্য বিডিইন্ডি ট্রাভেরার উপর শতভাগ আস্থা রাখুন। আমাদের সেবা যারা নিয়েছে কেউ ঠকে নাই এখনো, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে কেউ ঠকবেন না।
কোন প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্টস বা ইনবক্স এ জানিয়ে দিন। আমরা সঠিক তথ্য দেওয়ার চেস্টা করবো।
দরদ ও মন দুটো দিয়েই লিখেছি শুধু আপনাদের জন্য।
ওয়েবঃ www.bdindi.com (Uc...)
ব্যাপক ট্রাভেলিং গল্প পেতে সাইট ভিজিট করুন
লেখাঃ শেখ আব্দুর রহমান (বিডিইন্ডি ট্রাভেরা)
ভ্রমণ হবে সহজে