BDindi Traverra - বিডিইন্ডি ট্রাভেরা

BDindi Traverra - বিডিইন্ডি ট্রাভেরা ঘরে বসে ইন্ডিয়ার ট্যুরস প্যাক, ট্রেন, এয়ার টিকিট, হোটেল এবং Apollo, Sims & CMC হাসপাতালের চিকিৎসা পরামর্শ ও ডাঃ অ্যাপ বুকিং করুন।
(43)

ভারত ভ্রমণের আমাদের রয়েছে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা। আমরা বাজেট এবং আরামদায়ক ভ্রমণকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমাদের উপর ১০০% আস্থা রাখুন। আমরা বিশ্বের যে কোন রুটের প্লেন টিকিট এবং ইন্ডিয়ার বিভিন্ন ট্যুরস প্লেসের সঠিক তথ্য, ট্রেন টিকিট, প্লেন টিকিট এবং হোটেল ইনফো দিয়ে থাকি।

এমনকি ভারতের কোথায় ভালো চিকিৎসা করা হয়ে থাকে, কিভাবে সিরিয়াল দিতে হবে, কিভাবে যেতে হবে সব কিছু গাইডলাইন পাবেন।

ভ্রমণ প্যাকেজ য

েমন কাশ্মির, দিল্লি-আগ্রা-জয়পুর, শিমলা-মানালি, অলি (উত্তরখন্ড), দার্জিলিং, কেরালা, কোভালাম, রামেশ্বর-ধানুসকদি এবং কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানের ভ্রমণ প্যাকেজ করে থাকি।

www.bdindi-traverra.com

YouTube: youtube.com/BDindiTraverra

ভ্রমণ হবে সহজে

সবাইকে ঈদ মোবারক Eid-UL-Azaha 2024ভ্রমণ হবে সহজে
17/06/2024

সবাইকে ঈদ মোবারক
Eid-UL-Azaha 2024

ভ্রমণ হবে সহজে





16/06/2024

নড়াইল রেল স্টেশনের আপডেট দেখুন। আর কিছুদিন পরই #বেনাপোল এক্সপ্রেস, মৈত্রী এক্সপ্রেস ও ঢাকা টু খুলনা, চট্রগ্রাম টু খুলনা অন্যান্য রুটের অধিকাংশ ট্রেন নড়াইল হয়ে যাতায়াত করবে।

ভিডিও ধারন: ১৪ জুন, ২০২৪
বিকেল ৫ টায় (নড়াইল রেল স্টেশন)

ভ্রমণ হবে সহজে







বেনাপোল দিয়ে ভারতে যাবেন কে কে এই ঈদে বা পরবর্তী দিন, হাতে সময় নিয়ে যাবেন প্লিজ।বেনাপোল বর্ডারে আজকে সহ ৪ দিনে (১২,১৩,১৪...
15/06/2024

বেনাপোল দিয়ে ভারতে যাবেন কে কে এই ঈদে বা পরবর্তী দিন, হাতে সময় নিয়ে যাবেন প্লিজ।

বেনাপোল বর্ডারে আজকে সহ ৪ দিনে (১২,১৩,১৪,১৫ জুন) ২৬০০০+ জন যাত্রী যাতায়াত করেছে। যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করতে উভয় দেশের ইমিগ্রেশন হিমশিম খাচ্ছে, সেই সাথে যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, দীর্ঘ লাইন তো আছেই....

ফটো: নিজস্ব ভাবে বানানো DALL.E দিয়ে
অরিজিনাল ফটো থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে
তথ্যসূত্র: বেনাপোল থেকে পাওয়া

ভ্রমণ হবে সহজে

12/06/2024

আগামী ১৪ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত মৈত্রী এক্সপ্রেস, ১৬ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত বন্ধন এক্সপ্রেস এবং ১২ থেকে ২০ জুন মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

ইদ–উল–আজহা মিটে গেলে আবার আগের মতই যাতায়াত করবে ট্রেনগুলি।

ভ্রমণ হবে সহজে





ঢাকা শহর, এয়ার, মানালির পাহাড়ি পথ, বাস ও বরফে আচ্ছান্ন ঘেরা নিয়ে ছবিটি কেমন হয়েছে? কমেন্টস করে জানান...মানালি এর থেকেও স...
12/06/2024

ঢাকা শহর, এয়ার, মানালির পাহাড়ি পথ, বাস ও বরফে আচ্ছান্ন ঘেরা নিয়ে ছবিটি কেমন হয়েছে?

কমেন্টস করে জানান...

মানালি এর থেকেও সুন্দর....

Photo: Made by DALL.E

ভ্রমণ হবে সহজে


11/06/2024

সবচেয়ে দামি চা টেস্ট করলাম | Expensive tea | চেন্নাই সিটি

ভিডিও ধারন: ০৫ জুন, ২০২৪
এক্সপ্রেস এভিনিউ, চেন্নাই সিটি

ভ্রমণ হবে সহজে






উনি ভিসা পান নাই, তাতে কি? আপনি ভিসা পাবেন। আপনি যদি সঠিক নিয়ম, সঠিক পেপারস জমা দেন, তখনই কেবল ভিসা হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে য...
31/05/2024

উনি ভিসা পান নাই, তাতে কি? আপনি ভিসা পাবেন। আপনি যদি সঠিক নিয়ম, সঠিক পেপারস জমা দেন, তখনই কেবল ভিসা হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যাবে।

সঠিক ভাবে আপনার ভিসা প্রসেসিং করার জন্য BDindi Traverra আপনার পাশে রয়েছে।

ভ্রমণ হবে সহজে






ট্রাভেল হিস্ট্রি বাড়াতে এবং পাসপোর্টকে স্ট্রং করতে কি কি করা উচিত? নিচে কিছু পরামর্শ দেওয়া হল:অনেকে উন্নত দেশে যাওয়ার জ...
30/05/2024

ট্রাভেল হিস্ট্রি বাড়াতে এবং পাসপোর্টকে স্ট্রং করতে কি কি করা উচিত? নিচে কিছু পরামর্শ দেওয়া হল:

অনেকে উন্নত দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করছেন এবং কিছু দেশে ঘুরে তারপর উন্নত দেশের জন্য চেষ্টা করেও ভিসা পাচ্ছেন না, হয়তো ঘুরছেন, টাকাও খরচ হচ্ছে কিন্তু ট্রাভেল হিস্ট্রি স্ট্রং হচ্ছে না, অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট:

১। মিনিমাম অবস্থানকাল:
- যে কোনো দেশে গেলে ন্যূনতম ৭২ ঘন্টা অবস্থান করুন। প্রতিটি দেশে কমপক্ষে তিন রাত থাকলে ট্রাভেল হিস্ট্রি স্ট্রং হয়। অর্থাৎ ১ রাত বা ২ রাত না ঘুরে ৩রাত বা বেশিদিন থেকে ঘুরুন, কারণ প্রকৃত ট্রাভেলার্স কখনো ১ রাত ঘুরে চলে আসেনা। এম্বাসির অফিসাররা কিন্তু আমার, আপনার থেকে যথেষ্ট চালাক ও দক্ষ।

২। একাধিক দেশ ঘুরুন:
- একই ভ্রমণে একাধিক দেশ ভ্রমণ করতে পারেন। যেমন, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস এবং ভিয়েতনাম একসাথে ঘুরতে পারেন। তবে প্রতিটি দেশে কমপক্ষে তিন রাত করে থাকতে হবে।

৩। সিঙ্গেল ট্যুর পরিকল্পনা:
- যদি একক দেশে ভ্রমণ করেন, তবে প্রতিটি ভ্রমণের মাঝে কমপক্ষে দুই থেকে তিন মাসের গ্যাপ রাখুন। এতে আপনার ট্রাভেল হিস্ট্রি ধারাবাহিক ও নিয়মিত হয়। কারণ উন্নত দেশের এম্বাসির অফিসাররা এসব যাচাই বাছাই করে দেখে যে আপনি উন্নত দেশে যাওয়ার জন্যই কেবল কোন রকম কয়েকটা দেশে ঘুরেছেন নাকি আপনি প্রকৃত ভ্রমণকারী, এটি বুঝে যাবে আপনার প্রতিটি ট্যুরের গ্যাপ কতদিন।

৪। দলগত ভ্রমণ:
- গ্রুপ ট্যুরের সময় খেয়াল রাখবেন যে, প্রতিটি দেশে পর্যাপ্ত সময় থাকছেন। দ্রুত ফিরে আসার পরিবর্তে প্রতিটি দেশে পর্যাপ্ত সময় থেকে সেই দেশের সংস্কৃতি ও স্থানগুলো উপভোগ করুন।

৫। দস্তাবেজ/ভিসা পেজ সংরক্ষণ:
- প্রতিটি দেশের ভিসা, প্রবেশ ও প্রস্থান সিলের স্ক্যান কপি সংরক্ষণ করুন। কিছু দেশে ভিসা আবেদন করার সময় এসব দস্তাবেজ প্রদর্শন করতে হয়।

৬। কম খরচের প্যাকেজ ট্যুর:
- কম খরচে প্যাকেজ ট্যুর খুঁজে নিন, তবে সঠিকভাবে প্রতিটি দেশে পর্যাপ্ত সময় অবস্থান করতে হবে।

৭। ট্রাভেল হিস্ট্রি বিবরণী:
- আপনার ট্রাভেল হিস্ট্রির একটি তালিকা তৈরি করুন যেখানে উল্লেখ থাকবে কোন তারিখে কোন দেশে গেছেন, কতদিন ছিলেন এবং কবে ফিরে এসেছেন।

৮। প্ল্যানিং:
- একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী ভ্রমণ করুন এবং প্রতিটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ভ্রমণ করুন। এটি আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বাড়াবে এবং ট্রাভেল হিস্ট্রি আরও মূল্যবান হবে।

আরো কিছু পয়েন্টা জানিয়ে দিচ্ছি যেমন যাতায়াত খরচ, খাবার ও অন্যান্য বিষয়সহ বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:

*** যাতায়াত খরচ ও পরিকল্পনা:

১। ফ্লাইট বুকিং:
- সময়মত ফ্লাইট বুকিং করে রাখুন। অগ্রিম টিকিট কাটলে সাধারণত কম খরচ হয়।

- ডিসকাউন্ট এবং প্রমোশনাল অফারগুলির সুবিধা নিন।

- বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের তুলনা করে সস্তা ফ্লাইট খুঁজে নিন।

২। লোকাল ট্রান্সপোর্ট:
- গন্তব্যস্থলে পৌঁছে লোকাল ট্রান্সপোর্ট হিসেবে বাস, ট্রেন বা মেট্রো ব্যবহার করুন। এটি সাধারণত সস্তা হয়।

- উবার, গ্র্যাব বা স্থানীয় রাইড শেয়ারিং সার্ভিস গুলির ব্যবহার বিবেচনা করুন।

*** খাবার বিষয়ে কি করা উচিত:

১। স্থানীয় খাবার:
- প্রতিটি দেশের স্থানীয় খাবার ট্রাই করুন। স্থানীয় খাবার সাধারণত সস্তা এবং সুস্বাদু হয়।

- রাস্তার খাবার (স্ট্রিট ফুড) খান, তবে স্বাস্থ্যকর এবং পরিচ্ছন্ন জায়গা থেকে কিনুন।

২। রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাফে:

- ট্রিপ অ্যাডভাইজার বা ইয়েল্প-এর মত সাইট থেকে রিভিউ দেখে ভালো এবং সাশ্রয়ী রেস্টুরেন্ট বেছে নিন।
- কিছু রেস্টুরেন্ট কম্বো মেনু অফার করে, যা সাধারণত সস্তা হয়।

৩। স্বাস্থ্যকর খাওয়ার পরিকল্পনা:

- ট্রাভেলের সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিন। ফলমূল এবং শাকসবজি খাবারের মধ্যে রাখুন।

*** অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

১। বাসস্থান:

- হোস্টেল, এয়ারবিএনবি বা বুকিং ডট কম বা বাজেট হোটেল বুক করুন। সাধারণত হোস্টেলগুলো সস্তা হয় এবং অন্যান্য ভ্রমণকারীদের সাথে মিশতে সুবিধা হয়।

- কিছু কিছু দেশে হোমস্টে অপশনও থাকে, যা সাশ্রয়ী এবং সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হয়।

২। বীমা:
- যেকোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য ভ্রমণ বীমা করিয়ে নিন। এটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থার জন্য সহায়ক হতে পারে।

৩। ভ্রমণ সঙ্গী:
- পরিবার বা বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করলে খরচ ভাগাভাগি করা যায়, যা সাশ্রয়ী হয়।

৪। পরিকল্পনা:

- ভ্রমণের আগে একটি নির্দিষ্ট বাজেট ঠিক করুন এবং সেটার মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন।

- প্রতিদিনের খরচ হিসাব রাখুন এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করুন। একটি সুন্দর নোটবুক রাখবেন, কলম রাখবেন, তারিখ ও দিন উল্লেখ করে খরচের হিসাব লিখে রাখুন এবং প্রতিদিন মোট হিসাব করে রাখুন।

৫। স্মার্টফোন ও অ্যাপস:

- গুগল ম্যাপস, উবার, বুকিং ডট কম, এয়ারবিএনবি এবং লোকাল ট্রান্সপোর্ট অ্যাপস ইনস্টল করে রাখুন।

- অফলাইন মানচিত্র এবং ট্রান্সলেশন অ্যাপসও কাজে আসতে পারে।

*** ট্রিপ পরিকল্পনার একটি উদাহরণ দেখুন:

থাইল্যান্ড (৩ দিন), কম্বোডিয়া (৩ দিন), ভিয়েতনাম (৩ দিন)

১। ফ্লাইট খরচ:

ঢাকা থেকে ব্যাংকক এবং হো চি মিন সিটি থেকে ঢাকা। আনুমানিক ( $400- $500 )

২। লোকাল ট্রান্সপোর্ট:

প্রতিদিন আনুমানিক $১০ - $২০

৩। বাসস্থান:

হোস্টেল বা বাজেট হোটেল, প্রতিদিন আনুমানিক
$১৫ - $২৫

৪। খাবার:

প্রতিদিন আনুমানিক $১০ - $২০

৫। বিমা:

আনুমানিক $৩০ - $৫০।

*** মোট আনুমানিক খরচ:

ফ্লাইট: $৪৫০ + লোকাল ট্রান্সপোর্ট (৯ দিন): $১৮০ + বাসস্থান (৯ দিন): $১৮০ + খাবার (৯ দিন): $১৮০ + বিমা: $৪০ = $১০৩০ (প্রায়)

এই পরিকল্পনা অনুযায়ী আপনি একটি সুন্দর, সাশ্রয়ী এবং স্মরণীয় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন যা আপনার ট্রাভেল হিস্ট্রি বাড়াতে সহায়ক হবে।

এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনার ট্রাভেল হিস্ট্রি আরও স্ট্রং করতে পারেন এবং ভবিষ্যতে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারেন।

বি:দ্র: এ পর্যন্ত আমি ১৭বার+ ভারত ভ্রমণ করেছি, তাই কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। ইমিগ্রেশন ও ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য পেতে মেসেজ বা কমেন্টস করতে পারেন।

01717-185360
Whatsup only

লেখা: শেখ আব্দুর রহমান

ভ্রমণ হবে সহজে












ফ্লাইটের ক্ষেত্রে "সোনা পাচারকারী" হিসেবে মূলত কারা বেশি জড়িত থাকে বলে আপনি মনে করেন? √ বিমান ক্রু√ পাইলট√ এয়ারপোর্ট অথো...
30/05/2024

ফ্লাইটের ক্ষেত্রে "সোনা পাচারকারী" হিসেবে মূলত কারা বেশি জড়িত থাকে বলে আপনি মনে করেন?

√ বিমান ক্রু
√ পাইলট
√ এয়ারপোর্ট অথোরিটির কর্মকর্তা
√ সরাসরি সোনা ব্যবসায়ী
√ এয়ারপোর্ট ক্লিনার
√ বিদেশ ফেরত প্রবাসী
√ ট্রাভেলার্স

আপনার মতে কোন জন?

ভ্রমণ হবে সহজে







বাংলাদেশ থেকে  #ফ্রান্সে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে A to Z সঠিক গাইডলাইন দেখুন ও জানুন।বাংলাদেশ থেকে গত ৫...
29/05/2024

বাংলাদেশ থেকে #ফ্রান্সে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে A to Z সঠিক গাইডলাইন দেখুন ও জানুন।

বাংলাদেশ থেকে গত ৫ বছরে প্রচুর মানুষ কাজের ভিসার জন্য ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে গিয়েছে, এখনো যাচ্ছে তবে ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার পরিমাণ খুবই কম। অধিকাংশ মানুষ সঠিক নিয়মকানুন জানে না, দালালের খপ্পরে পড়ে ১০ বা ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ভিন্ন ভিন্ন দেশ পাড়ি দিয়ে কেউ ইতালি, কেউ ফ্রান্সে যাচ্ছে যা ঝুকিপূর্ণ এবং পরিবারের জন্য বিপদের।

আগের সেই যুগ এখন আর নেই যে আপনি সঠিক কোনটা সেটা বুঝবেন না, বা জানতে পারবেন না। এই অনলাইন ও গুগলের যুগে একটু ঘাটাঘাটি করলে সঠিক তথ্য জানা মোটেও কঠিন নয়।

আপনি যদি নূন্যতম HSC পাস করে ভোটার কার্ড করে সেই অনুযায়ী পাসপোর্ট করে তারপর কোন কাজ শিখতে থাকেন এবং ইউরোপে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য হবে সঠিক সিদ্ধান্ত অথবা Honors পাস করেও এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যদি আপনি বিদেশে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে আগ্রহী হন।

আপনাকে দেশের বাইরে (ইউরোপ বা কানাডা) গিয়ে টিকে থাকতে হলে কিছুটা শিক্ষার আলো আপনার মধ্যে থাকতে হবে, যাওয়ার আগে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে, আপনি হবেন ইউরোপ বা উন্নত দেশের জন্য সঠিক লোক, নতুবা আপনাকে দালালদের খপ্পরে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে অবৈধ পথে পাড়ি দিতে হবে যে জীবন অনিশ্চিত। যদিও ভাগ্যক্রমে পৌঁছে যান তাও আজীবন গাধার মতো খেটে যেতে হবে, কাজের কাজ কিছুই হবে না। হয়তো ওখানে যাওয়ার পরই আমার এই কথা গুলো মনে পড়বে....

ধরে নিচ্ছি, আপনি নূন্যতম HSC পাস করেছেন, টাকা খরচ করে নিম্নে উল্লেখিত কোন কাজের ট্রেনিং নিচ্ছেন ৩ বা ৬ মাসের তারপর কিছুদিন বাস্তব প্রাক্টিস করছেন তারপর ভোটার কার্ড ও পাসপোর্ট করেছেন....নূন্যতম HSC বা Honors পাস থাকলে আশা করি নিচের গাইডলাইন ফলো করে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন নতুবা এইসব আপনার জন্য নয়, আপনার জন্য আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি, কাতার, দুবাই ইত্যাদি।

আজ জানাবো, ফ্রান্সে (France) কিভাবে যাবেন, তার প্রস্তুতি এবং সঠিক গাইডলাইন.....

১. ফ্রান্সে চাকরি পাওয়া:

প্রথম ধাপ হলো ফ্রান্সে একটি চাকরি পাওয়া এর জন্য:

√ বিভিন্ন চাকরি ওয়েবসাইট যেমন LinkedIn, Indeed, Glassdoor ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে একটি আইডি খুলে নিবেন, একদম সহজ। ইমেইল ও আপনার সঠিক নাম, বয়স দিয়ে খুলে নিন। আপনার কাজের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি খুঁজুন। তবে এক্ষেত্রে ১ বা দেড় বছর ধরে চেষ্টা করতে হবে, সেই মন মানসিকতা থাকতে হবে, তাহলে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার মধ্যে ইউরোপের দেশে যেতে পারবেন নতুবা নয়।

√ ফ্রান্সের কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখতে পারেন।

√ ফ্রান্সে বসবাসরত পরিচিতজন বা বন্ধুদের মাধ্যমে চাকরির সন্ধান করতে পারেন।

২. নিয়োগদাতার স্পন্সরশিপ:

ফ্রান্সে কাজের ভিসার জন্য আপনাকে একটি ফরাসি নিয়োগদাতার স্পন্সরশিপ প্রয়োজন। নিয়োগদাতা আপনাকে চাকরির প্রস্তাব দেয়ার পরে তিনি ফ্রান্সের উপযুক্ত শ্রম অফিসে (DIRECCTE) আবেদন করবেন।

৩. কাজের চুক্তিপত্র:

নিয়োগদাতার সাথে একটি কাজের চুক্তিপত্র (employment contract) সাইন করতে হবে।

৪. ভিসার জন্য আবেদন:

কাজের চুক্তিপত্র এবং নিয়োগদাতার স্পন্সরশিপ পাওয়ার পরে আপনি ফ্রান্সের দূতাবাসে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করবেন।

** প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:

√ পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম
√ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে)
√ জন্ম নিবন্ধন কপি ইংরেজি ও এন আই ডি
√ পাসপোর্ট সাইজ ছবি
√ কাজের চুক্তিপত্র
√ নিয়োগদাতার থেকে পাওয়া স্পন্সরশিপ লেটার
√ আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র (যদি থাকে)
√ মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স
√ এম্বাসি আবেদন ফি
√ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কপি

৫. ভিসা প্রসেসিং:

ভিসার আবেদন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দেয়ার পর, ফরাসি দূতাবাস আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে। এটি সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় নিতে পারে বা ১ মাস+ লাগতেও পারে।

৬. ফ্রান্সে যাওয়া:

ভিসা পাওয়ার পর আপনি ফ্রান্সে যেতে পারবেন এবং সেখানে পৌঁছে আপনার নিয়োগদাতার সাথে যোগ দিতে পারবেন। সেখানে পৌঁছানোর পর আপনাকে স্থানীয় প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় নিবন্ধন করতে হবে।

৭. ফ্রান্সে বিভিন্ন কাজের বেতন:

ফ্রান্সে বেতন - কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়। নিচে কিছু সাধারণ কাজের গড় বেতনের ধারণা দেয়া হলো:

√ ইঞ্জিনিয়ার: €35,000 - €60,000 প্রতি বছর
√ আইটি বিশেষজ্ঞ: €30,000 - €55,000 প্রতি বছর
√ শিক্ষক: €25,000 - €45,000 প্রতি বছর
√ নার্স/স্বাস্থ্যকর্মী**: €20,000 - €40,000 প্রতি বছর
√ হোটেল/রেস্তোরাঁ কর্মী: €18,000 - €30,000 প্রতি বছর
√ বিক্রয়কর্মী: €20,000 - €35,000 প্রতি বছর
√ ম্যানেজার: €40,000 - €70,000 প্রতি বছর

*** ঢাকা থেকে ফ্রান্সের প্লেন ভাড়া:

প্লেন ভাড়া এয়ারলাইন্স, বুকিং টাইম এবং সিজনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত ঢাকা থেকে প্যারিসের ওয়ান-ওয়ে ফ্লাইটের খরচ প্রায় €500 - €1000 (প্রায় 50,000 - 100,000 টাকা) হতে পারে।

*** ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া:

ফ্রান্সে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

১। ডকুমেন্ট প্রস্তুতি: প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট যেমন পাসপোর্ট, ভিসা আবেদন ফর্ম, ছবি, কাজের চুক্তিপত্র ইত্যাদি প্রস্তুত করতে হবে।

২। ভিসা আবেদন: ফরাসি দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

৩। সাক্ষাৎকার: দূতাবাসে সাক্ষাৎকার দিতে হতে পারে।

৪। ভিসা প্রসেসিং: আপনার ভিসা আবেদন পর্যালোচনা করে এম্বাসি থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

৫। ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স: ঢাকায় ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

** ভিসা হওয়ার পর বিএমইটি (BMET):

বাংলাদেশের অভিবাসন ব্যুরো (BMET) বিভিন্ন বিদেশি চাকরির জন্য প্রশিক্ষণ এবং সেবা প্রদান করে থাকে। BMET-এর সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। ভিসা কপি, পাসপোর্ট কপি ও ওয়ার্ক পারমিট, চুক্তিপত্র দিয়ে BMET card এর জন্য আবেদন করতে হবে, ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বিদেশ যাওয়ার ছাড়পত্র পাবেন, ইনশা আল্লাহ।

BMET অফিস: ঢাকা, বাংলাদেশ

** ওয়েবসাইট: http://www.bmet.gov.bd/

** ফ্রান্সে বাস স্থানের খরচ কেমন?

√ বাসস্থান খরচ: ফ্রান্সে বাসস্থানের খরচ শহরের উপর নির্ভর করে। প্যারিসে একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া সাধারণত €800 - €1500 প্রতি মাসে হতে পারে। তবে এক ফ্লাটে যদি ৮জন থাকতে পারেন সেক্ষেত্রে প্রতিজন বাবদ খরচ (১০০ থেকে ২০০) ইউরোর মধ্যে হয়ে যাবে।

√ স্বাস্থ্য বীমা: ফ্রান্সে থাকার জন্য একটি স্বাস্থ্য বীমা বাধ্যতামূলক।

√ ভাষার দক্ষতা: ফ্রান্সে কাজ করতে চাইলে ফ্রেঞ্চ ভাষার উপর ভালো দক্ষতা থাকা খুবই উপকারী।

** কি কি কাজের দক্ষতা থাকা উচিত?

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে কাজ করতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট দক্ষতা এবং কাজের অভিজ্ঞতা থাকা বেশ উপকারী হতে পারে। ফ্রান্সে যেসব কাজের চাহিদা বেশি এবং যেগুলো বাংলাদেশ থেকে শিখে যাওয়া যেতে পারে সেগুলো নিম্নরূপ:

১. তথ্য প্রযুক্তি(আইটি) এবং সফটওয়্যার:

ফ্রান্সে আইটি এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের চাকরির চাহিদা অনেক বেশি। এই ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় দক্ষতা:

√ প্রোগ্রামিং ভাষা: Java, Python, JavaScript, C++
√ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: HTML, CSS, React, Angular
√ ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট: SQL, MongoDB
√ ক্লাউড কম্পিউটিং: AWS, Azure, Google Cloud

২. ইঞ্জিনিয়ারিং:

ফ্রান্সে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রের চাকরির সুযোগ রয়েছে। কিছু প্রয়োজনীয় ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা:

√ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
√ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
√ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
√ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং

৩. স্বাস্থ্যসেবা:

ফ্রান্সে নার্স, চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবার কাজের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এই ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় দক্ষতা:
√ নার্সিং
√ ফিজিওথেরাপি
√ চিকিৎসা সহকারী
√ মেডিকেল টেকনোলজি

৪. ডিজাইন এবং ক্রিয়েটিভ কাজ:

ফ্রান্সে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এবং অন্যান্য ক্রিয়েটিভ কাজের চাহিদা রয়েছে। প্রয়োজনীয় দক্ষতা:

√ গ্রাফিক ডিজাইন: Adobe Photoshop, Illustrator
√ ওয়েব ডিজাইন: UI/UX, HTML, CSS, JavaScript
√ অ্যানিমেশন এবং ভিডিও এডিটিং: Adobe After Effects, Premiere Pro

৫. গেস্ট সার্ভিস এবং হসপিটালিটি:

ফ্রান্সে হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগ রয়েছে। কিছু প্রয়োজনীয় দক্ষতা:
√ কাস্টমার সার্ভিস
√ হোটেল ম্যানেজমেন্ট
√ রেস্টুরেন্ট ম্যানেজমেন্ট
√ ফুড এন্ড বেভারেজ সার্ভিস

৬. কারিগরি দক্ষতা:

কিছু কারিগরি কাজের চাহিদা রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশ থেকে শিখে যাওয়া যেতে পারে:

√ ওয়েল্ডিং এবং ফ্যাব্রিকেশন
√ ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনিশিয়ান
√ মেশিন অপারেশন
এসব কাজ শেখার উপর Certificate থাকলে আপনার জন্য অনেক হেল্প হবে অর্থাৎ ৩/৬ মাসের জন্য কাজ শিখুন তারপর ফ্রান্সের ব্যাসিক ভাষা শিখুন তারপর ফ্রান্সের জন্য চেষ্টা করলে ১০০% সফলতা পাবেন।

৭. ভাষা শিক্ষা:
ফ্রান্সে কাজ করতে গেলে ফ্রেঞ্চ ভাষার উপর দক্ষতা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখা অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।

৮. ব্যবসা এবং ম্যানেজমেন্ট:

ব্যবসা পরিচালনা, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এবং অন্যান্য ম্যানেজমেন্ট কাজের ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় দক্ষতা:
√ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
√ বিজনেস অ্যানালিটিক্স
√ মার্কেটিং এবং সেলস

এই দক্ষতাগুলোর কোন একটি শিখে আপনি ফ্রান্সে চাকরির জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারেন। এছাড়া ফ্রান্সে যাওয়ার আগে ফরাসি ভাষা শেখার চেষ্টা করুন, যা আপনার কাজের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

এই তথ্যগুলো অনুসরণ করে আপনি ফ্রান্সে কাজের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। সফলতা কামনা করছি!

*** অতিরিক্ত টিপস:
√ ফ্রান্সে থাকার জন্য একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা আগে থেকেই করে রাখা উত্তম। যদি কেউ পরিচিত থাকে, তার সাথে যাওয়ার ১ মাস আগেই যোগাযোগ করে রাখুন।

√ ফ্রান্সের স্থানীয় ভাষা ফ্রেঞ্চ শেখা আপনার পক্ষে সুবিধাজনক হবে।

*** তথ্য রিসোর্স:
** ফরাসি দূতাবাস, ঢাকা
√ (https://bd.ambafrance.org/)

√ France-Visas: (https://france-visas.gouv.fr/)
√ এছাড়াও নিজের কিছু অভিজ্ঞতা থেকে লেখা

এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারেন। সফলতা কামনা করছি!

ভ্রমণ হবে সহজে









Spiti valley (স্পিটি ভ্যালি) যাওয়ার জন্য কিভাবে প্লান করবেন তার বিস্তারিত A to Z গাইডলাইন পড়ুন।Spiti valley নাম শুনলেই ম...
28/05/2024

Spiti valley (স্পিটি ভ্যালি) যাওয়ার জন্য কিভাবে প্লান করবেন তার বিস্তারিত A to Z গাইডলাইন পড়ুন।

Spiti valley নাম শুনলেই মনের মধ্যে অন্যরকম ছবি ভেসে ওঠে যা হয়তো আগে কখনোই দেখা হয়নি বা স্বপ্নে দেখা হয়েছিল হয়তো। সবুজ পাহাড়, মাউন্টেইন নদী, ঝর্না এবং প্রচন্ড কন কনে ঠান্ডা ও বরফের বিষয় জড়িত এই স্পিটি ভ্যালিতে অর্থাৎ অনেকটা লাদাখের মতোই পরিবেশ বলা যেতে পারে। এমনকি বছরের বেশি সময় ধরে পুরো পাহাড়, রাস্তা বরফে আচ্ছান্ন থাকে যাকে বরফের মরুভূমি বলা যেতে পারে।

প্রতি বছর হাজার হাজার ট্যুরিস্ট স্পিটি ভ্যালিতে ঘুরতে যায় এবং অনেকের লং ভ্রমণ করার বাসনা থাকে যা এখানে এসে পূরন করে।

কারো জীবনে একবার হলেও স্পিটি ভ্যালি যাওয়ার একটা ইচ্ছা থাকে কিন্তু বিভিন্ন প্রতিকূলতা, বাধা বিপত্তি, অনেক উচ্চতা এবং ভয়ংকর খারাপ রাস্তার কথা চিন্তা করে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে কিন্তু যারা প্রকৃত ভ্রমণকে ভালোবাসে তাদেরকে দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই গত কয়েক বছর বহু মানুষ তাদের ইচ্ছাটা পূরন করে যাচ্ছে অর্থাৎ প্রচুর ট্যুরিস্ট যাতায়াত করছে।

Spiti মানে হচ্ছে মধ্যম ভূমি অর্থাৎ ভারত ও তীব্বতের মাঝামাঝি স্থানকে মধ্যমভূমি বলা হয় যা Spiti valley জায়গা নামে পরিচিত। এই এরিয়াতে ভারতীয় এবং তীব্বতীয়দের বসবাস অর্থাৎ বৌদ্ধদের বসবাসের পরিমাণ বেশি। বৌদ্ধদের ধর্মীয় ও তীর্থ স্থান হিসেবে ব্যাপক পরিচিত এবং সবচেয়ে পূরাতন মোনাস্ট্রি রয়েছে এই স্পিটি ভ্যালিতে।

আজ আমি স্পিটি ভ্যালি নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবো। বিগত বছরে কিছু আর্টিকেলে স্পিটি ভ্যালির ভিন্ন ভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছিলাম। আজকের আর্টিকেলটি কয়েক পেজের হতে যাচ্ছে যেহেতু A to Z বর্ননা করবো। হয়তোবা Spiti valley নিয়ে অনেকেই এরকম বিস্তারিত খুঁজছেন।

স্পিটি ভ্যালিতে কিভাবে যাবো, কেমনভাবে প্লান করবো, কেমন খরচ হতে পারে এধরণের প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে সত্যি ইন্ডেক্স আকারে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। তাই বিভিন্ন দৃষ্টিকোন দিয়ে আজকে একদম তথ্যবহুল একটি আর্টিকেল হতে যাচ্ছে, এতে কোন সন্দেহ নেই কারণ আমার বাস্তব ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থেকে লিখতে যাচ্ছি। তাই আমার উপর পূর্ণ আস্থা রাখুন।

১। স্পিটি ভ্যালি কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ?

ইনশাআল্লাহ বিস্তারিত শুরু করবো তবে সবচেয়ে কমন প্রশ্ন হচ্ছে কেন গুরুত্বপূর্ণ। বহু ভ্রমণকারি দ্বিধা দন্দের মধ্যে থাকেন লাদাখ ও স্পিটি ভ্যালি নিয়ে অর্থাৎ স্পিটি ভ্যালির আবহাওয়া ও রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে এখানে যাওয়া হয়তো অনেক কঠিন ও দূর্লভ। এক কথায় উত্তর হচ্ছে হ্যা, স্পিটি ভ্যালি সত্যি দূর্লভ একটি জায়গা যেখানে হয়তো আপনি নেক্সট ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা করেছেন।

আপনি যখন এখানে ভ্রমণ করতে যাবেন, হয়তো সারা জীবনে মনে রাখার মতো একটি ভ্রমণ হবে। কারণ এখানে গিয়ে আপনি বিভিন্ন কালচার, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন সম্পর্কে জানতে পারবেন যা হয়তো পুরো জীবনে কাজে আসবে এবং আগে কখনো এই ধরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হননি।

Spiti valley যাওয়ার পথে কিন্নোর জেলার সবুজ পাহাড়, আবার স্পিটির ভিন্ন গ্রহ তারপর মানালি যাওয়ার পথে যে সব দৃশ্য, ভয়ংকর সব রাস্তা আর পাহাড় দেখবেন তা মন্ত্রমুগ্ধের মতো। একদিকে বরফে আচ্ছান্ন সাদা পাহাড় অন্যদিকে ১৫০০০ ফুট উপরে অবস্থিত চন্দ্রা লেকের স্বচ্ছ নীল পানি যা হয়তো আর কোথাও দেখেন নাই, উফ পাগল হয়ে যাবেন।

ভারতের মধ্যে Spiti valley এক ব্যতিক্রম জায়গা, ভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন মানুষ। এক গুরুত্বপূর্ণ ও মহামূল্যবান ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে পরিচিত। জীবনে একবার হলেও দেখা উচিত। বিভিন্ন দিক দিয়ে স্পিটি ভ্যালি বেশ লাগছে লাদাখের থেকেও। এতোক্ষনে বুঝতে পারছেন কেন স্পিটি ভ্যালি এতো আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

২। কখন স্পিটি ভ্যালিতে যাবেন?

আপনি যখন কোথাও ঘুরতে যাবেন তখন পরিকল্পনা করার সময় এই প্রশ্নটি বার বার মনের মধ্যে চলে আসে, কখন যাবো, কোন সময় ঘোরার জন্য বেস্ট। বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখার জন্য অন্তত ২ ধরণের সিজনকে অগ্রাধিকার দিতে হয় কারণ শীতের সময় এক রকম আবার গরমের সময় ভিন্ন রকম।

স্পিটি ভ্যালি যাওয়ার রাস্তা ১২ মাস খোলা থাকে তবে আপনি কখন যাবেন এবং কোন ধরণের আবহাওয়া আপনার কাছে ভালো লাগে সেটার উপর নির্ভর করে কারণ কারো কাছে শীত, বরফ ভালো লাগে, কারো কাছে একটু শীত কিন্তু বরফ নয় এরকম আবহাওয়া ভালো লাগে, আবার কারো কাছে কিছুটা গরমকাল ভালো লাগে, হয়তো ঠান্ডা তার কাছে একদমই ভালো লাগে না। তবে ট্যুরিজম সিজনের কথা চিন্তা করলে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পারফেক্ট সিজন ধরা হয়।

এই সময়ে সব সাইড দিয়ে রাস্তা খোলা থাকে যেমন শিমলা ও মানালি সাইড। মূলত এই দুই সাইড দিয়ে স্পিটি ভ্যালি যাওয়ার রাস্তা রয়েছে। নিচের আর্টিকেল থেকে জেনে নিন কোন সময়ের জন্য স্পিটি ভ্যালি ঘোরার জন্য বেস্ট হবে বা কোন মাস ঘোরার জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক।

http://blog.bdindi.com

৩। ঘোরার জন্য স্পিটি ভ্যালি (Spiti valley) কি নিরাপদ?

আপনি যখন নতুন কোন স্থানে ভ্রমণ করতে যাবেন তখন মনের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়টি সম্পর্কে অজান্তে প্রশ্ন চলে আসবে। আমার মতামত হচ্ছে, একজনের নিরাপত্তা বা সেফটি তার নিজের হাতে বিদ্যমান। অঘটন যে কোন স্থানেই ঘটে যেতে পারে সতর্কহীন ভাবে চলাফেরা করার কারণে।

স্পিটি ভ্যালির রোড সত্যি অনেক হরিবল বা খারাপ, রাস্তা অনেক ন্যারো, মাঝে মাঝে চরম বিপদজনক গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে। এই পাহাড়ি রাস্তায় উঠার আগে অবশ্যই আপনাকে বা গাড়ি চালককে যথেস্ট অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অর্থাৎ পূর্বে পাহাড়ে চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। আপনি যদি মোটরবাইক নিয়ে পূর্বে বিভিন্ন পাহাড়ে চালানোর অভিজ্ঞতা না নিয়ে থাকেন তবে এই পথ আপনার জন্য নয় বা কোন ড্রাইভারের জন্য নয়। তাই নিজে যদি মোটরবাইক বা কার নিয়ে যেতে চান তবে আমার পরামর্শ হচ্ছে দয়াকরে আগে ছোটখাটো ২/৩ টি পাহাড়ি রাস্তায় ঘুরুন। তবে শিমলা বা মানালি থেকে যে সব গাড়ি বা কার বা বাস যাতায়াত করে সেই সব ড্রাইভার যথেস্ট অভিজ্ঞ, এতে কোন সন্দেহ নেই।

এখানকার লোকাল লোকজন যথেষ্ট ভদ্র আর বিনয়ী। উপত্যকার অধিকাংশ মানুষ একদম সাধামাটা। আপনি নিশ্চিন্ত মনে সতর্ক হয়ে গাড়ি বা মোটরবাইক চালান, কোন ধরণের রিস্ক নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই, ওখানকার লোকের সাথে ভালো ব্যবহার করুন, কারো সাথে অহেতুক তর্ক করবেন না, এসব বিষয় মাথায় রাখুন তাহলে স্পিটি ভ্যালি ভ্রমণের জন্য একদম নিরাপদ স্থান।

আরো বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করে সেফটি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং অনেক বাস্তব তথ্য দেওয়া আছে। বিস্তারিত পড়ুন।

http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....

৪। স্পিটি ভ্যালি যেতে কি পারমিশন দরকার?

পারমিশন নিয়ে অনেকের মধ্যে একটা কনফিউশান তৈরি হয়ে থাকে অর্থাৎ কিভাবে পারমিশন নিবো, কোথা থেকে নিবো এসব অনেকের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়ায়। একটু সংক্ষিপ্ত ভাবে বলছি, যারা ভারতীয় নাগরিক তাদের স্পিটি ভ্যালিতে প্রবেশ করতে কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই। তারা বছরের যে কোন সময় যে কোন এরিয়া দিয়ে প্রবেশ করে আবার বের হয়ে যেতে পারে।

তবে একজন বিদেশী নাগরিকের জন্য অবশ্যই পারমিশন নিতে হবে অর্থাৎ একটা ফিক্সড এরিয়া পর্যন্ত পারমিশন ছাড়া যেতে পারবে কিন্তু Poo & Nako এরিয়া পাস হতে চাইলে অবশ্যই পারমিশন নিতে হবে কারণ এসব এরিয়াতে সেনাবাহিনীর চেক পোস্ট বিদ্যমান যারা পাহারা দিয়ে থাকে কারণ পাশেই অবস্থিত পাকিস্তান ও চীনের সীমান্ত তাই অনুমতি ছাড়া বিদেশীদের প্রবেশ নিষেধ।

একজন বিদেশী নাগরিক যদি মানালি সাইড দিয়ে মোটরবাইক বা কার বা বাসে করে মানালি টু কাজা পর্যন্ত যায় তাহলে তার কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে শিমলা সাইড দিয়ে যদি Reckong peo পর্যন্ত যায় তাহলে কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই তবে এই এরিয়া ক্রস করতে চাইলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। Reckong peo এর পর থেকে স্পিটি ভ্যালি যাওয়ার রাস্তা শুরু...

আপনি যদি মানালি সাইড দিয়ে রোথাং পাস অতিক্রম করে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে রোথাং পাস অতিক্রম করার অনুমতি নিতে হবে সে আপনি ভারতীয় নাগরিক বা বিদেশী ট্যুরিস্ট হোন। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন তাহলে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।

http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....

৫। স্পিটি ভ্যালির জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন?

আপনি যখন ওখানে যাবেন বলে ধরে নিয়েছেন তখন হয়তো কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন সেই বিষয়টি মাথার মধ্যে ঘুরপাক করে। স্পিটি ভ্যালি এমন কোন জায়গা নয় যে ব্যাগ প্যাক গুছিয়ে রওনা দিলেন। ওখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক বিষয় সিরিয়াসলি ভাবতে হবে। অবশ্যই আপনার সঠিক জামা কাপড় নিতে হবে, আপনি যদি মোটরবাইক নিয়ে বের হতে চান সেটা নিক্ষুত ভাবে সঠিক আছে কিনা চেক করে নিতে হবে, অবশ্যই মেডিসিন নিতে হবে যেহেতু অনেক উচু পাহাড়ে ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন অর্থাৎ আপনাকে অতি প্রয়োজনীয় জিনিস সাথে নিতে হবে যা হয়তো সাধারণ ট্যুরের জন্য এতো কিছু ভাবার দরকার হয় না।

নিচের লিংকে ক্লিক করে আরো বিস্তারিত জানুন কারণ আরো তথ্যবহুল ভাবে তুলে ধরেছি নিচের আর্টিকেলে

http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....

৬। স্পিটি ভ্যালিতে ফ্যামিলি নিয়ে ঘোরা যাবে কিনা?

কয়েক বছর আগেও স্পিটি ভ্যালি মানে যারা আ্যডভেঞ্চার ও মোটরবাইক নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই স্পট। মানুষের মধ্যে স্পিটি ভ্যালি নিয়ে তেমন কোন ধারণা ছিল না, তাছাড়া সেখানের বর্ডার বন্ধ থাকতো অর্থাৎ সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা, এজন্য অনেকের এই এরিয়া সম্পর্কে খুব বেশি জানার সুযোগ ছিল না। কিন্তু সময় এখন বদলেছে এবং লাস্ট কয়েক বছর ধরে কিছু মানুষ সেখানে যাতায়াত শুরু করেছে এবং ধীরে ধীরে এই স্থানটি এখন ভারতের অন্যতম ট্যুরিস্ট হটস্পট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

একটা বিষয় এখানে পরিস্কার যেহেতু এটি অনেক উচু পাহাড়ের উপর অবস্থিত একটি শহর যেখানে যাওয়া সত্যি অনেক চ্যালেঞ্জ এবং বিপদজনক বটেও। আপনি ফ্যামিলি অর্থাৎ ওয়াইফ, চাইল্ড নিয়ে কিভাবে ঘুরতে যাবেন, কিভাবে মা-বাবা কে সাথে নিয়ে ঘুরতে পারেন তার বিস্তারিত গাইডলাইন নিচের লিংকে ক্লিক করে পড়ুন কারণ এই বিষয়ে একদম তথ্যবহুল আর্টিকেল আরো আগেই লিখেছি----

http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....

৭। স্পিটি ভ্যালি গিয়ে আপনি কি কি কিনতে পারবেন?

আপনি যেখানেই ঘুরতে যান না কেন শপিং কিন্তু জীবনের এক অংশ হয়ে দাড়িয়েছে অর্থাৎ ঘুরছেন আর কিছু কিনছেন না এরকম ট্রাভেলারস খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন, এমনকি সলো ট্রাভেলারসও তার মা-বাবা বা ওয়াইফের জন্য কিছু না কিছু কিনে থাকে। বিশেষ করে আপনি যদি ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে বের হন তাহলে কেনাকাটা বাদ দেওয়া সম্ভব নয় আর যেহেতু স্পিটি ভ্যালি যোজন যোজন দূরে তাই সেখানকার অনেক জিনিস আছে যা হয়তো আপনার এলাকা বা সারা ভারতেও খুঁজে পাবেন না, যেহেতু তাদের জীবন যাপন সম্পূর্ণ আলাদা।

যেমন local warm socks, sweater, Roasted Barle, Dry Cheese, Barle Powder, Sea Buckthorn Tea, Shawl এছাড়াও আরো অনেক ধরণের আইটেম পাওয়া যায় যা ওখানকার পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে তৈরি করা। উপরে যে সব আইটেমের ব্যাপারে বলেছি ওটাই শেষ নয়, জাস্ট শুরু, আরো বহু আইটেম রয়েছে যা নিজের চোখে গিয়ে দেখতে হবে।

আরো বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করে আর্টিকেলটি পড়ুন তাহলে ওখানকার কেনার মতো সমস্ত আইটেম সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং সেই অনুযায়ী আলাদা বাজেট তৈরি করতে সুবিধা হবে।

৮। স্পিটি ভ্যালি গিয়ে কি কি খেতে পারবেন?

আপনি যখন নতুন কোন এরিয়াতে ঘুরতে যাবেন অবশ্যই সেখানকার লোকাল ফুডস খেতে হবে বা খাওয়া উচিত কারণ কোন খাবার আপনার ভালো লাগবে আবার কোন খাবার খেতে পারছেন না সেটা টেস্ট করার পরই বুঝতে পারবেন।

আপনার ভালো না লাগলেও সেখানকার পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে খাওয়া দাওয়ার অভ্যাস করতে হবে কারণ নতুন স্থান নতুন খাবার আহ! অন্যরকম ব্যাপার। মূলত মিক্সড টাইপের খাবারের স্বাদ পাবেন যেহেতু ভারতীয় ও তিব্বতীয়দের বসবাস তাই মুখে অন্য রকম স্বাদ অনুভব করবেন। আপনি ওখানকার খাবার যদি খেয়ে ভালো লাগাতে পারেন তাহলে কখোনা চায়নার তীব্বতে ঘুরতে গেলে সেখানের খাবার আপনার জন্য একদম ইজি হবে।

খাবার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করে পড়ে নিন, একদম ভেংগে চুরে লিখেছি।

৯। স্পিটি ভ্যালি যেতে আপনার যানবাহন প্রস্তুত রাখুন

স্পিটি ভ্যালি যেতে যদি নিজস্ব কোন যানবহন নিয়ে যেতে চান যেমন মোটরবাইক বা প্রাইভেট কার তাহলে যাওয়ার অন্তত ৪/৫ দিন আগে থেকেই যানবাহনের মেরামত করে রাখুন যদি কোন সমস্যা থাকে কারণ এটি অনেক দূরের পথ, কোন সমস্যায় পড়লে সেখান থেকে সল্যুশন পাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার। কারণ পাহাড়ি অঞ্চল যেখানে সেখানে গ্যারেজ পাবেন না। আপনার যানবহনের কোন পার্টস এর সমস্যা হলে সেখানে অলটারনেটিভ পার্টস পাওয়া দূর্লভ ছাড়া আর কিছুই নয়। যাওয়ার পথে আপনাকে হয়তো প্রচুর ব্রেক করতে হতে পারে, টায়ার পাঞ্চার হয়ে যেতে পারে তাই এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা না হলে আপনার পুরো প্লান ভেস্তে যাবে। স্পিটি ভ্যালি যেতে কি ধরণের মোটরবাইক বা কার নিয়ে যাবেন এটা নিশ্চয়ই আপনি বুঝে গেছেন।

নিচের লিংকে ক্লিক করে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত পড়ুন এবং জানুন।

http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....

১০। স্পিটি ভ্যালি ঘুরতে কেমন সময় লাগতে পারে?

এটি সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে কারণ আপনি কোথা থেকে ভ্রমণ শুরু করবেনএবং কত রাত হোটেলে থাকতে চান বা ঘোরার জন্য কতদিন আপনার হাতে সময় আছে। তবে স্পিটি ভ্যালি ঘুরতে হলে অবশ্যই আপনাকে দিল্লি হয়ে যেতে হবে এবং শুরুর পয়েন্ট যদি দিল্লি ধরি তাহলে আমার পরামর্শ হচ্ছে অন্তত ৯ দিন হলে আপনার জন্য পারফেক্ট হবে তবে হাতে অন্তত আরো ১ বা দুই দিন রাখা উচিত যেহেতু লং জার্নি। কোন কারণে আপনি অসুস্থ থাকলে একদিন বা দুইদিন ঘোরার জন্য বাদ হয়ে যাবে তাই সে সব দিন রিকভার করতে হাতে অন্তত এক্সটা দিন রেখে রওনা দেওয়া উচিত।

কত দিনের ভ্রমণ বেস্ট হবে সে বিষয়ে নিচের কয়েকটা লিংকে ক্লিক করলে পেয়ে যাবেন যা ঘোরার জন্য একদম পারফেক্ট ট্যুর বিস্তারিত ভেংগে চুরে লিখেছি যা আপনার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে ইনশাআল্লাহ। নিচে লিস্ট আকারে দিয়েছি, জানার জন্য শুধু ক্লিক করুন।

১১। স্পিটি ভ্যালি গিয়ে আপনি কি দেখবেন?

এটি একটি কমন প্রশ্ন কারণ যেখানে যাবেন সেখানে কি কি দেখার আছে এবং কি ধরণের তথ্য আপনার জানা দরকার। এটি আসলেই একটি আ্যডভেঞ্চার ভ্রমণ স্থান যা আপনার নিজের কাছে মনে হবে। এখানকার রাস্তার প্রতিটি টার্ন আপনাকে নতুন কিছু দেখতে ও শিখতে সাহায্য করবে। এমনকি আপনি প্রকৃতি দেখতে দেখতে মোটেও ক্লান্ত হবেন না হাতে থাকা ক্যামেরা দিয়ে শত শত ছবি তোলার পর।

এটি অবশ্যই আপনার জীবনে এক দূর্লভ ভ্রমণ হবে। তবে এখানে কিছু এরিয়া আছে যা দেখা ও জানার পর আপনার নতুন এক অভিজ্ঞতা হবে।

নিচে কয়েকটা লিংক দিয়েছি যেখানে স্পিটি ভ্যালির বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পটের বিভিন্ম স্থান সম্পর্কে ব্যাপক তথ্য দিয়ে লিখেছি, আশা করি নিরাশ হবেন না। পড়ার পর আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কি দেখবেন আর কি বাদ দিবেন।

১২। স্পিটি ভ্যালি গিয়ে কোথায় থাকবেন?

যত দিন যাচ্ছে ততোই স্পিটি ভ্যালি জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অনেক দূরের একটি জায়গা, সচারাচর আপনার মনের মতো থাকার স্থান হয়তো নাও পেতে পারেন। মূলত আপনি ঘোরার জন্য কোথায় গিয়ে থামবেন এবং কোথায় রাত কাটাবেন সেটার উপর নির্ভর করবে।

স্পিটি ভ্যালি যেতে অন্তত ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ স্পট সামনে আসবে এবং সমস্ত স্পট ঘুরে শেষ করতে পারলেই কেবল আপনি স্পিটি ভ্যালির মজা পাবেন নতুবা অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যাবে।

নিচে কয়েকটি লিংক দিলাম। এখান থেকে ক্লিক করে জেনে নিতে পারবেন কোন এরিয়াতে কোন কোন হোটেল আপনার জন্য পারফেক্ট বা মোটামুটি থাকার জন্য বেস্ট হবে।

http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....

১৩। স্পিটি ভ্যালির মোনাস্ট্রিতে রাতে থাকতে পারেন

ঘুরতে গিয়ে অনেকেই আছেন যারা মোনাস্ট্রিতে এক রাত থেকে অভিজ্ঞতা নিতে চান অর্থাৎ তাদের চাল চলন ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানার জন্য। এটি অনেক ট্রাভেলারের কাছে নতুন এক স্থানীয় অভিজ্ঞতা হবে। তবে অধিকাংশ মোনাস্ট্রি তে রাতে থাকার জন্য কোন অপশন থাকে না কিন্তু স্পিটি ভ্যালিতে রাতে থাকার জন্য এরকম ৫ টি মোনাস্ট্রি আছে।

এখানে থাকার জন্য আগে থেকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে কারণ একদম সাধারণ পরিবেশ, মোটেও আরামদায়ক নয়। তবে আপনার অভিজ্ঞতার জন্য নিচে উল্লেখিত মোনাস্ট্রিতে থাকতে পারেন যেমন

√ Key monastery near Kaza
√ Tabo Monastery
√ Dhankar Monastery
√ Kungri Monastery, Pin Valley
√ Komic Monastery

১৪। কিভাবে স্পিটি ভ্যালি যাবেন?

আপনার কাছে এখন যথেস্ট পরিমান তথ্য রয়েছে যা উপরের বিভন্ন পয়েন্ট পড়ে জেনে গেছেন। আমরা এখন আলোচনা করবো কিভাবে স্পিটি ভ্যালি যাবেন। নিচে কিছু আর্টিকেলের লিংক দিয়েছি যেখানে বিস্তারিত গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে যেমন দুই উপায়ে আপনি স্পিটি ভ্যালি যেতে পারেন।

এক হচ্ছে শিমলা সাইডের রাস্তা এবং অন্যটি হচ্ছে মানালি সাইডের রাস্তা। মানালির সাইড হচ্ছে "মানালি টু কাজা (Kaza)"। এপাশ দিয়ে যাওয়ার সময় Kibber, Pin valley এবং Chandaratal হয়ে কাজা পৌঁছাতে হবে। কাজা (Kaza) হচ্ছে স্পিটি ভ্যালির প্রাণকেন্দ্র। আবার শিমলার রাস্তা দিয়ে গেলে Narkanda, Chitkul, Kalpa, Shangla, Reckong peo তারপর কাজা গিয়ে পৌঁছাতে হয়।

নিচে কয়েকটি আর্টিকেলের লিংক দিয়েছি যার মধ্যে প্রথম আর্টিকেলে সঠিক ভাবে রোড ম্যাপ তুলে ধরেছি এবং অন্যান্য আর্টিকেল পড়ুন তাহলে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং আপনার ভ্রমণের জন্য যথেষ্ট উপকার হবে বলে মনে করছি।

http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....

১৫। স্পিটি ভ্যালিতে ভ্রমণের জন্য মোটর সাইকেল ভাড়া করতে পারবো?

যারা মোটরবাইকে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন অর্থাৎ যেখানেই ঘুরতে যান না কেন যদি স্পিটি ভ্যালিতে ঘোরার জন্য নিজস্ব মোটরবাইক থাকে তাহলে আরো আরামদায়ক ও আ্যডভেঞ্চার ভ্রমণ হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সবার জন্য এটি পারফেক্ট নয় কারণ অনেক ভ্রমণকারি এতো দূর থেকে আসেন যে তাদের জন্য মোটরবাইক আনা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। অনেক ট্রাভেলার আছেন যারা ওখানকার লোকাল বাইক ভাড়া নিয়ে যাত্রা শুরু করেন।

এরকম কিছু বাইক ভাড়া দেওয়ার এজেন্সি আছে যারা মানালি বা শিমলা বা কাজাতে এই সেবা দিয়ে থাকে তবে অবশ্যই আপনার পূর্বে পাহাড়ে বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে নতুবা জীবন নিয়ে ফিরে আসা আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। আপনি যখন মোটরবাইক ভাড়া করতে যাবেন অবশ্যই চেক করে নিবেন যেন পথিমধ্যে কোন ধরণের সমস্যা না হয় তাহলে আপনার ভ্রমণ একদম মাটি হয়ে যাবে।

নিচের লিংকে দেওয়া আর্টিকেলটি ক্লিক করুন এবং বিস্তারিত পড়ুন তাহলে বাইক রেন্ট সম্পর্কিত খুটিনাটি জানতে পারবেন যেমন আপনি কোথা থেকে ভাড়া করবেন, কত করে ভাড়া এবং বিশ্বস্ত এজেন্সি নাম এবং ভাড়া করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট থাকতে হবে এবং সিকিউরিটি হিসেবে কি জমা দিবেন।

http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....

** স্পিটি ভ্যালি নিয়ে সমস্ত লেখার পার্ট রয়েছে, কিছুদিন অপেক্ষা করুন...

১৬। স্পিটি ভ্যালি ভ্রমণের জন্য কেমন খরচ হবে?

ঘোরার জন্য বাজেট অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ টাকার পরিমাণ কম বা বেশি যাই হোক না কেন, এটি ঠিক করে দিবে আপনার ঘোরাঘুরি কেমন হবে।

ভ্রমণের সময় আপনার সমস্ত ব্যয় অবশ্যই আপনার দীর্ঘ দিনের অভ্যাসের উপর নির্ভর করবে। এমনকি ২ বা ৩ বছর ধরে আপনার ব্যক্তিগত খরচ যা হয়েছে সেরকম খরচ একটি ট্যুর স্থানেও হতে পারে।

নিচে ৪ টি আর্টিকেলের লিংক দিয়েছি, দয়াকরে ক্লিক করে জেনে নিন কেমন খরচ হতে পারে এবং কিভাবে বাজেট ট্যুর করবেন।

http://blog.bdindi.com
আপাতত সাইটের আপডেট কাজ চলছে, কিছুদিন পর লিংক কাজ করবে....

** স্পিটি ভ্যালি নিয়ে সমস্ত লেখার পার্ট রয়েছে, কিছুদিন অপেক্ষা করুন...

১৭। স্পিটি ভ্যালি যেতে পাবলিক বাসে ভ্রমণ সম্ভব?

বহু ট্রাভেলারস এখন স্পিটি ভ্যালি যেতে পাবলিক বাসে করে ভ্রমণ করছেন। অনেকে আবার শিমলা বা মানালি থেকে প্রাইভেট কার হায়ার করেও ভ্রমণ করছেন। আপনি যদি পাবলিক বাসে করে ভ্রমণ করতে চান তাহলে নিচের ২টি আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

১৮। স্পিটি ভ্যালি ভ্রমণের জন্য কোন মাস বেস্ট হবে?

এটি সম্পূর্ণ আপনার মনের উপর নির্ভর করবে। আপনি কোন মাসে ঘুরবেন বা কখন আপনার ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময় ও ছুটি নিতে পারবেন সেটা একমাত্র আপনি ই ভালো জানেন।

নিচে আমার লেখা কিছু আর্টিকেলের লিংক দিয়েছি। লিংকে ক্লিক করে পড়ুন তাহলে আমার অভিজ্ঞতার আলোকে যা বুঝেছি ও জেনেছি সেটি আপনার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে ইনশাআল্লাহ।

১৯। ভ্রমণের জন্য স্পিটি ভ্যালি কখন খোলা থাকে?

স্পিটি ভ্যালি বছরের ১২ মাসে খোলা থাকে। অনেকে মনে করেন যে প্রচন্ড শীতের সময় হয়তো বন্ধ থাকে কিন্তু ধারণাটি মোটেও সঠিক নয়। মূলত মানালি সাইড দিয়ে শীতের সময় একদম বন্ধ থাকে। কারণ এই সাইড দিয়ে যাতায়াতের সময় সবচেয়ে উচু হিল পাসিং পাবেন যেমন রোথাং ও কুঞ্জুম পাস। শীতের সময় এই সাইডের রাস্তা বরফের পানিতে একদম বাজে অবস্থা এবং রাস্তা বরফে ঢাকা থাকে তাই অক্টোবর মাঝামাঝি সময় এই রাস্তা দিয়ে থেকে কোন ভাবেই যানবাহন চলাচল সম্ভব নয়।

অন্যদিকে শিমলা সাইড দিয়ে যাতায়াতের সময় বড় কোন হিল পাসিং না থাকার কারণে বরফে খুব বেশি রাস্তা ব্লক থাকে না, যদিও রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকে কিন্তু যাতায়াত চালু থাকে। তবে মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায় যদি চরম আকারে স্নোফল এবং স্নো ঝড় হয়ে থাকে তবে তা সাময়িক, হয়তো সারা বছরের মধ্যে ৫/৭ দিন এরকম হয়ে থাকে যা নভেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ঘটতে পারে বাকি মাসে রাস্তা একদম ঠিক থাকে। এরকম ঘটলে ওখানকার স্থানীয় অথোরিটি দ্রুত রাস্তা পরিস্কার করার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায় যাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কম হয়।

তবে সারা বছরের মধ্যে ট্যুরিজম সিজন হচ্ছে মে মাস থেকে অর্থাৎ যারা ভ্রমণ করে তারা মে থেকে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ভ্রমণ করে থাকে। তবে কিছু পাগলা ট্রাভেলারস আছে যারা নভেম্বর বা ডিসেম্বর এমনকি জানুয়ারিতে শিমলা সাইড দিয়ে ভ্রমণ করে থাকে যখন মাইনাস ১৫ থেকে ২৬ ডিগ্রী সে তাপমাত্রা থাকে, এটা হয়তো ওই সকল ট্রাভেলারসদের একটা নেশা বলতে পারেন। মূলত মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত হোটেল ও গেস্ট হাউজ চালু থাকে এবং অক্টোবর থেকে সমস্ত হোটেল, গেস্ট হাউজ বন্ধ থাকে কারণ তখন পুরো এরিয়াতে বরফের তান্ডব চলে, তখন খাবার পানি স্বাভাবিক থাকে না, সব কিছুই ফ্রিজিং হয়ে যায়, পানি খেতে গেলেও গরম করে খেতে হবে।

২০। স্পিটি ভ্যালি কি আসলে ঘোরার জন্য বিপদজনক?

এক কথায় বলবো মোটেও বিপদজনক নয়। ওখানকার মানুষ যথেষ্ট ভদ্র ও বিনয়ী। কিন্তু আপনি যদি বলেন যাওয়ার পথ বিপদজনক কিনা তাহলে বলবো কিছুটা বিপদজনক তবে সেটা আপনার মনের উপর নির্ভর করবে। রোড যথেস্ট খারাপ, অনেক সরু রাস্তা কিন্তু আপনি যদি ধীরে ও মাথা ঠান্ডা রেখে গাড়ি বা মোটর বাইক চালিয়ে যান তাহলে মোটেও বিপদজনক নয়।

কিন্তু আপনি যদি অহেতুক রিস্ক নিয়ে চালান বা আপনি যে বাসে বা কারে উঠেছেন সেই ড্রাইভার যদি অযথা জোড়ে ও সতর্কহীন ভাবে চালান তাহলে তো সব কিছুই ঘটে যেতে পারে। এমনকি বিকল্প পথ ব্যবহার করলে হয়তো আরো সহজ হতো, এরকম না করে ইচ্ছামত চালালে ভাগ্যে যা ঘটার তাই ঘটবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বলছি স্পিটি ভ্যালি যথেষ্ট নিরাপদ একটি স্থান যা আপনার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে।

২১। স্পিটি ভ্যালি মেয়েদের জন্য একা ঘোরা কি নিরাপদ?

অলরেডি নিরাপদের বিষয়টি উপরে বিভিন্ন ভাবে বর্ননা করেছি। ভালো একটি ট্যুর প্লান করুন, ভালো মানের হোটেল বুকিং করুন, ঘোরার সময় যতটুকু দরকার ততটুকু হেল্প নিবেন, অহেতুক অপরিচিত কারো সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্কে জড়াবেন না। এসব বিষয় মাথায় রেখে ঘুরতে থাকলে কোন মেয়ের জন্য স্পিটি ভ্যালি ঝুকি বা বিপদজনক নয়। এমনকি ঘোরার সময় আগ বাড়িয়ে কাউকে বলতে যাবেন যে আপনি একা ঘুরছেন। যদি কখনো কেউ জিজ্ঞেস করে তাকে বলবেন যে আপনি কোন গ্রুপের সাথে ঘুরতে আসছেন, তবুও একার বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন। আমি অনেক মেয়েকে দেখেছি যারা স্পিটি ভ্যালি একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছে, কেউ পাবলিক বাসে আবার কেউ মটরবাইকে এবং কোন ধরণের সমস্যা ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে দেখেছি।

২২। বাংলাদেশ থেকে কিভাবে স্পিটি ভ্যালি ঘুরতে যাবো?

ধরে নিচ্ছি, আপনি বাজেট বা মিডিয়াম খরুচে ট্রাভেলার্স সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকিট করে বেনাপোল স্টেশন যাবেন। কমলাপুর স্টেশন থেকে রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়ে এবং পরের দিন সকাল ৮ টায় বেনাপোল স্টেশন পৌঁছে যায়।

বর্ডার ট্যাক্স ও উন্নয়ন ফি বাবদ ১০৫৫ টাকা জমা দিয়ে ইমিগ্রেশন শেষ করে ওই পারে চলে যান এবং অটো ভাড়া ৫০ রুপি দিয়ে বনগাঁ স্টেশন চলে যান। তারপর ১৫ রুপি দিয়ে টিকিট কেটে দমদম ক্যান্টন স্টেশন নামুন এবং পাশেই মেট্রো পাবেন, এসিতে সরাসরি হাওড়া স্টেশন চলে যাবেন। হাওড়ার ২২ নং প্লাটফর্ম এর পাশে অবস্থিত মেট্রো স্টেশন।

হাওড়া থেকে নেতাজি এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চন্ডিগড় স্টেশন যাবেন। রাত ৯ টা ৫৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়ে এবং চন্ডীগড় স্টেশন পৌঁছায় ভোর রাত ৩ টার দিকে। এরপর স্টেশনে কিছু সময় কাটিয়ে চলে যাবেন চন্ডিগড় বাস স্ট্যান্ড (43 bus stand) মাত্র ২৫ রুপি দিয়ে। স্টেশনের বাইরে বের হলেই বাস পাবেন, অটো পাবেন। চন্ডীগড় টু শিমলা চলে যান ২৫০ রুপি দিয়ে HRTCS ordinary Govt. Bus এ। হিমাচল প্রদেশে সরকারি বাস ই রাজা, সব খানে চলাচল করে। সকাল ৭ টা ৪৮ মিনিটে ছাড়ে Chandigarh 43 বাস স্ট্যান্ড থেকে এবং শিমলা গিয়ে পৌঁছায় ওইদিন সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে বা দুপুর ১২ টায়।

শিমলা গিয়ে রেস্ট নিন কোন এক হোটেলে উঠে, কারন অনেক লং পথ ভ্রমণ করেছেন, তাই ১টা দিন ওখানে বিশ্রাম নিয়ে আশেপাশে হাটুন, ঘুরুন। পরেরদিন সকাল বেলা শিমলা টু রিকংপিউ

আরো একটি ওয়ে আছে যেমন শিয়ালদা বা হাওড়া থেকে দিল্লি যেতে হবে এবং দিল্লি থেকে Recongpeo যাওয়ার সরাসরি বাস পাবেন। যদিও এই বাস চন্ডীগড় বাস স্ট্যান্ড হয়ে শিমলা যাবে তারপর ভিন্ন ভিন্ন জেলা অতিক্রম করে Recongpeo তে পৌঁছাবে এবং সবশেষ আমরা কাজা (Kaza) গিয়ে পৌঁছাবো ভিন্ন আর এক বাসে.....যাদের হাতে প্রচুর সময় ও পাহাড়ে বাসে ঘুরতে সমস্যা নেই, তাদের জন্য....এই ভ্রমণ

আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে চেস্টা করেছি সঠিক তথ্য দিয়ে ভ্রমণ গাইডলাইনটি সম্পর্ন করতে, জানিনা কতটুকু জানাতে পেরেছি। এই গাইডলাইনের মাধ্যমে আপনি জেনে গেছেন স্পিটি ভ্যালি ঘোরার স্থান সমূহের ম্যাপ, ভালো মানের হোটেল, ফুডস, খরচ ও অন্যান্য বিষয়। আশা করছি আপনার প্লান করতে অনেক সুবিধা হবে এবং ঝটপট প্লান করে ঘুরে আসুন আ্যডভেঞ্চার এরিয়া স্পিটি ভ্যালি। কোন তথ্য বা হেল্প দরকার হলে কমেন্টস সেকশনে কমেন্ট করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ ফ্রি সময়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেস্টা করবো। ভালো থাকুন।

ভারত ভ্রমণের জন্য বিডিইন্ডি ট্রাভেরার উপর শতভাগ আস্থা রাখুন। আমাদের সেবা যারা নিয়েছে কেউ ঠকে নাই এখনো, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে কেউ ঠকবেন না।

কোন প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্টস বা ইনবক্স এ জানিয়ে দিন। আমরা সঠিক তথ্য দেওয়ার চেস্টা করবো।

দরদ ও মন দুটো দিয়েই লিখেছি শুধু আপনাদের জন্য।

ওয়েবঃ www.bdindi.com (Uc...)
ব্যাপক ট্রাভেলিং গল্প পেতে সাইট ভিজিট করুন

লেখাঃ শেখ আব্দুর রহমান (বিডিইন্ডি ট্রাভেরা)

ভ্রমণ হবে সহজে









Address

Nowagram Bazaar
Narail
7520

Opening Hours

Monday 09:00 - 22:00
Tuesday 09:00 - 22:00
Wednesday 09:00 - 22:00
Thursday 09:00 - 22:00
Friday 09:00 - 22:00
Saturday 09:00 - 22:00
Sunday 09:00 - 22:00

Telephone

+8801717185360

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BDindi Traverra - বিডিইন্ডি ট্রাভেরা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to BDindi Traverra - বিডিইন্ডি ট্রাভেরা:

Videos

Share

Category

Our Story

We are "BDindi Traverra" providing travel related services like any air ticket, hotel booking, tours package, Doctor appointment with proper guideline & visa support.

We actually are providing fully OTA (Online Travel Agency) service for our client where all products are e-ticket or printable product. Any user can book air ticket/hotel booking by our booking portal website at home or office using their smart mobile or laptop, no need phone call.

Already we have 1400+ fixed client, they are obviously happy to take our service and taking again & again. So customer can trust & depends on us easily.

We have started our travel business since April, 2016 but starts OTA (Online Travel Agency) since February, 2019. We are also promoting our Mangrove Forest "Sunderban" that is famous for Royal Bengal Tiger of Bangladesh.


Other Tour Guides in Narail

Show All