12/08/2024
যেখানে মিষ্টান্ন ভান্ডার নামক হিন্দু দোকান থেকে জিলাপি কিনে মসজিদে মিলাদ পড়ানো হয়। কোন মুসল্লি এটা নিয়ে চিন্তা না করে নিশ্চিন্তে মিলাদ শেষে জিলাপি খেতে খেতে বাড়ি যায়।
*চা দোকানে একই কাপে হিন্দু মুসলিম চা খেয়ে যুগের পর যুগ বসবাস করছে। কারো মাথায় এটা নিয়ে ব্যাথা বেদনা নেই।
*হিন্দুদের দাওয়াতে অধিকাংশ লোক থাকে মুসলিম এলাকাবাসী, বন্ধুবান্ধব মুসলিমদের দাওয়াতেও খুব স্বাভাবিকভাবে হিন্দুরা অংশ নেয়। এতে কেউই কিছু মনে করে না।
*সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে একই টেবিলে একই প্লেটে হিন্দু মুসলিম পাশাপাশি বসে খাবার খাচ্ছে। মুসলিম লোকটি গরু মাংশ খাচ্ছে না, কারন তার বন্ধুটির জন্য।
* বর্তমানে সামাজিক অনেক অনুষ্ঠানে গরু রাখা হয় না শুধু সবার কথা ভেবে।
*অনেক হিন্দুদের বিয়েতে কাচ্চি করা হয় এবং মুসলমানদের জন্য জবাই আলাদা ভাবে করা হয়।
*পাবলিক বাসে, রিক্সায়, ক্লাসের বেঞ্চে পাশাপাশি বসে দিব্যি চলাফেরা করে হিন্দু মুসলিম। কারো কোন সমস্যা নেই।
*মসজিদ আর মন্দির একই এলাকায় আছে অনেক জায়গায়। দুই পক্ষই ইবাদত করছে। কারোরই কোন অসুবিধা হয়না যুগ যুগ ধরে।
বিশ্বের আর কোন দেশে এরকম সুন্দর দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবেন??
এত সুন্দর সম্প্রীতি আমার জানামতে আর কোথাও নেই। ভারতে তো তা কল্পনাও করা যায়না। তবুও এত কথা কেন? এত মিথ্যা প্রপোগান্ডা কেন ছড়ানো হচ্ছে? কিছু মানুষ এর জন্য দায়ী। এরা গভীর ষড়যন্ত্র করছে বছরের পর বছর। কিন্তু এরা সফল হয়নি, সফল হতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ। কারন আমাদের দেশের মানুষ সত্যিকার অসাম্প্রদায়িক, আমরা হিন্দু মুসলিম বিভেদ করিনা। আমাদের ভিতরে ঘষেটি বেগম কারা তা সবারই জানা।
দেশের মাটিতে জন্ম নিয়ে, এই দেশের খেয়ে পরে বেড়ে উঠে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন না।
আবেগ দিয়ে নয় , বিবেক দিয়ে বিবেচনা করুন।
গত ১৫ বছর সবচেয়ে "সংখ্যালঘু" কারা ছিলো জানেন?
যারা পরিপূর্ণ ভাবে ইসলাম মেনে চলতো।
মুখে দাড়ি আছে, নামাজ পরে, পরিপূর্ণ পর্দা করে..!
সংগৃহীত