11/03/2024
তাওয়াফের সাত চক্করের বড় দোয়া
হজ্জ
March 1/2024
তাওয়াফের প্রথম চক্করের দোয়া
سُبْحَانَ اللّٰهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ اَكْبَرُ وَلَا حَولَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِا للّٰهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ – وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ – اَللّٰهُمَّ اِيْمَانًا بِۢكَ وَتَصْدِيْقًا بِۢكَلِمَاتِكَ وَوَفَاءً بِۢعَهْدِكَ وَاِتِّبَاعًا لِّسُنَّةِ نَبِيِّكَ وَحَبِيْبِكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْةِ وَسَلَّمَ – اَللّٰهُمَّ اِنِّىْۤ اَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ وَالْمُعَافَاةَ الدَّائِمَةَ فِىْ الدِّيْنِ وَالدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ بِالْجَنَّةِ وَالنَّجَاةَ مِنَ النَّارِ
অর্থ: আল্লাহ তায়ালা পুতঃপবিত্র, সকল প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য, আর আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই এবং আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ। পাপ পরিহার ও এবাদতের শক্তি সর্বোচ্চ ও সর্বমহান আল্লাহরই দেওয়া এবং পরিপূর্ণ রহমত ও শান্তি আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর বর্ষিত হউক। হে আল্লাহ! তোমার উপর ঈমান রেখে, তোমার বাণীসমূহের উপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তা মেনে নিয়ে তোমার নবী ও তোমার প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাতকে অনুসরণ করে (আমি এই তাওয়াফ করছি)। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে চাই সকল পাপের ক্ষমা সকল বালা-মুছিবত থেকে রেহাই আর দ্বীন দুনিয়া ও আখিরাতে চাই চিরস্থায়ী শান্তি। এবং চাই বেহেশত লাভের সাফল্য ও দোযখের আগুন থেকে মুক্তি।
রুকনে ইয়ামানীতে পৌঁছার আগে এই দোয়া শেষ করুন এবং হাজারে আসওয়াদ পর্যন্ত এগিয়ে যেতে যেতে নিচের দোয়াটি পড়ুন।
رَبَّنَآ اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِى الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ – وَاَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْاَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতে হাছানাতাওঁ ওয়া কি না আযাবান্নার। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআ’ল আবরার। ইয়া আযীযু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া রাব্বাল আলামীন।
অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! আমাদের কল্যাণ দাও দুনিয়াতে ও আখিরাতে এবং বাঁচাও দোজখের আজাব থেকে। প্রবেশ করাও আমাদের বেহেশতে নেককারদের সাথে, হে শক্তিমান, হে মার্জনাকারী, হে সর্বজগতের প্রতিপালক।
এখন হাজারে আসওয়াদে পৌঁছে চুম্বন করুন। ভীড় থাকলে দূরে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় নিচের দোয়াটি পড়তে পড়তে চুম্বন করুন-
بِسْمِ اللّٰهِ اَللّٰهُ اَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
তাওয়াফের দ্বিতীয় চক্করের দোয়া
اَللّٰهُمَّ اِنَّ هٰذَا الْبَيْتَ بَيْتُكَ وَالْحَرَمَ حَرَمُكَ وَالْاَمْنَ اَمَنُكَ وَالْعَبْدَ عَبْدُكَ وَاَنَا عَبْدُكَ وَاِبْنُ عَبْدِكَ وَهٰذَا مَقَامُ الْعَائِذِبِكَ مِنَ النَّارِ -فَحَرِّمْ لُحُوْمَنَا وَبَشَرَتَنَا عَلَى النَّارِ – اَللّٰهُمَّ حَبِّبْ اِلَيْنَا الْاِيْمِانَ وَزَيِّنْهُ فِىْ قُلُوْبِنَا وَكَرِّهْ اِلَيْنَا الْكُفْرَ وَالْفُسُوْقَ وَالْعِصْيَانَ وَاجْعَلْنَا مِنَ الرَّاشِدِيْنَ – اَللّٰهُمَّ قِنِىْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ – اَللّٰهُمَّ ارْزُقْنِىْ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ
অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই এই ঘর তোমার ঘর, এই হারাম তোমার হারাম, এখানকার শান্তি তোমারই প্রতিষ্ঠিত শান্তি এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তোমারই বান্দা (দাস) আর আমিও তোমার বান্দা, তোমার বান্দার সন্তান। এই স্থান তোমার সাহায্য লাভ করে দোযখের আগুন থেকে মুক্তি পাবার জায়গা। (সুতরাং হে আমাদের প্রতিপালক) আমাদের শরীরের গোশত এবং চামড়াকে জাহান্নামের আগুনের উপর হারাম করে দাও। হে আল্লাহ! ঈমানকে আমাদের কাছে (অন্য সমস্ত কিছু থেকে অধিকতর) প্রিয় করে দাও আর এর সৌন্দর্যকে আমাদের অন্তরে দৃঢ়ভাবে বসিয়ে দাও এবং আমাদের অন্তরে কুফর, পাপাচার ও নাফরমানীর প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে দাও, আর আমাদের সঠিক ও সৎপথ প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সেই মহা দিনের শাস্তি থেকে রক্ষা করো যে দিন তুমি তোমার সকল বান্দাদিগকে কবর থেকে জিন্দা করবে। (সে দিন) কোন হিসাব নিকাশ ছাড়াই, একান্ত অনুগ্রহ করে তুমি আমাকে বেহেশতে দাখিল করো।
*রুকনে ইয়েমানীতে পৌঁছার আগে এই দোয়া শেষ করুন এবং হাজারে আসওয়াদ এগিয়ে যেতে নিচের দোয়াটি পড়ুন –
رَبَّنَآ اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِى الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ – وَاَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْاَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতে হাছানাতাওঁ ওয়া কি না আযাবান্নার। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআল আবরার। ইয়া আযীযু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া রাব্বাল আলামীন।
এখন হাজারে আসওয়াদে পৌঁছে চুম্বন করুন। ভীড় থাকলে দূরে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় নিচের দোয়াটি পড়তে পড়তে চুম্বন করুন-
بِسْمِ اللّٰهِ اَللّٰهُ اَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
তাওয়াফের তৃতীয় চক্করের দোয়া
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الشَّكِّ وَالشِّرْكِ وَالشِّقَاقِ وَالنِّفَاقِ وَسُوْءِ الْاَخْلَاقِ وَسُوْءِ الْمَنْظَرِ وَالْمُنْقَلَبِ فِىْ الْمَالِ وَالْاَهْلِ وَالْوَلَدِ – اَللّٰهُمَّ اِنِّىْۤ اَسْأَلُكَ رِضَاكَ وَالْجَنَّةَ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ سَخَطِكَ وَالنَّارِ – اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ –
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার সত্ত¡া ও শক্তি সম্পর্কে আমার মনে কোনরূপ সন্দেহ (সৃষ্টি হওয়া) থেকে তোমারই কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি; আর (তোমার সাথে কারো) শরীক মনে করা থেকে পানাহ চাচ্ছি। আরো পানাহ চাচ্ছি তোমার আদেশ নির্দেশের বিরোধিতা করা থেকে এবং কপটতা, কুস্বভাব ও কুদৃশ্য থেকে আর ধন, জন ও সন্তান-সন্ততির দুরবস্থা ও ধ্বংস হওয়া থেকে। হে আল্লাহ! তোমার সন্তুষ্টি আর বেহেশত কামনা করি। আর আশ্রয় প্রার্থনা করি তোমার গজব (ক্রোধ) ও দোযখের আগুন থেকে। হে আল্লাহ! তোমার কাছে কবরের আযাব থেকে পানাহ চাই। আরো পানাহ চাই জীবন মৃত্যুর আপদ ও বিপদ থেকে।
*রুকনে ইয়েমানীতে পৌঁছার আগে এই দোয়া শেষ করুন এবং হাজারে আসওয়াদ এগিয়ে যেতে নিচের দোয়াটি পড়ুন –
رَبَّنَآ اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِى الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ – وَاَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْاَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতে হাছানাতাওঁ ওয়া কি না আযাবান্নার। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআল আবরার। ইয়া আযীযু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া রাব্বাল আলামীন।
এখন হাজারে আসওয়াদে পৌঁছে চুম্বন করুন। ভীড় থাকলে দূরে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় নিচের দোয়াটি পড়তে পড়তে চুম্বন করুন-
بِسْمِ اللّٰهِ اَللّٰهُ اَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
তাওয়াফের চতুর্থ চক্করের দোয়া
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهُ حَجَّا مَّبْرُوْرًا وَسَعْيًا مَّشْكُوْرًا وَذَنْبًا مَّغْفُوْرًا وَعَمَلًا صَالِحًا مَّقْبُوْلًا وَّتِجَارَةً لَّنْ تَبُوْرَ – يَا عَالِمَ مَا فِيْ الصُّدُوْرِ اَخْرِجْنِىْ يَا اَللّٰهُ مِنَ الظُّلُمَاتِ اِلٰى النُّوْرِ – اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْأَلُكَ مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَٓائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالسَّلَامَةَ مِنْ كُلِّ اِثْمٍ وَّالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَّ الْفَوْزَ بِالْجَنَّةِ وَالنَّجَاةَ مِنَ النَّارِ – رَبِّ قَنِّعْنِىْ بِمَا رَزَقْتَنِىْ وَبَارِكْ لِىْ فِيْمَا اَعْطَيْتَنِىْ وَاخْلُفْ عَلٰى كُلِّ غَائِبَةٍ لِّىْ مِنْكَ بِخَيْرٍ
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার এই হজ্জ কবুল কর, আমার এই প্রচেষ্টা সফল কর, আমার গুনাহ্ মাফ কর, আমার নেক আমল কবুল কর, আর এমন ব্যবসা নসীব কর যাতে ক্ষতি নেই। হে অন্তর্যামী! আমাকে আঁধার থেকে বের করে আলোতে নিয়ে যাও। হে আল্লাহ! তোমার কাছ থেকে ভিক্ষা চাই তোমার রহমত, পাপ মার্জনার উপায়সমূহ, সব গুনাহ থেকে বাঁচার পথ, সৎ কাজের সামর্থ, বেহেশত প্রাপ্তির সফলতা ও দোযখের আযাব থেকে নাজাত। হে প্রতিপালক! তোমার দেয়া রুজীতে আমার তৃপ্তি দাও, বরকত দাও আমাকে তোমার দেয়া নেয়ামতে; আমার ত্রুটিগুলো তোমার কল্যাণ দিয়ে পূরণ করে দাও।
*রুকনে ইয়েমানীতে পৌঁছার আগে এই দোয়া শেষ করুন এবং হাজারে আসওয়াদ এগিয়ে যেতে নিচের দোয়াটি পড়ুন –
رَبَّنَآ اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِى الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ – وَاَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْاَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতে হাছানাতাওঁ ওয়া কি না আযাবান্নার। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআ’ল আবরার। ইয়া আযীযু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া রাব্বাল আলামীন।
এখন হাজারে আসওয়াদে পৌঁছে চুম্বন করুন। ভীড় থাকলে দূরে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় নিচের দোয়াটি পড়তে পড়তে চুম্বন করুন-
بِسْمِ اللّٰهِ اَللّٰهُ اَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
তাওয়াফের পঞ্চম চক্করের দোয়া
اَللّٰهُمَّ اَظِلَّنِىْ تَحْتَ ظِلِّ عَرْشِكَ يًوْمَ لَا ظِلَّ اِلَّا ظِلُّ عَرْشِكَ وَلَا بَاقِىَ اِلَّا وَجْهُكَ – وَاسْقِنِىْ مِنْ حَوْضِ نَبِيِّكَ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَرْبَةً هَنِيْئَةً لَا نَظْمَاُ بَعْدَهَا اَبَدًا – اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا سَأَلَكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ سَيِّدُنَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَ اٰلِهِ وَسَلَّمَ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَبِكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ سَيِّدُنَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَ اٰلِهِ وَسَلَّمَ – اَللّٰهُمَّ اِنِّىْۤ اَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَنَعِيْمَهَا وَمَايُقَرِّبُنِىْ اِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ اَوْ فِعْلٍ اَوْ عَمَلٍ – وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ وَمَا يُقَرِّبُنِىْ اِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ اَوْ فِعْلٍ اَوْ عَمَلٍ
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার আরশের ছায়ায় আমাকে আশ্রয় দাও, যে দিন তোমার আরশের ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না এবং তুমি ছাড়া আর কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকবে না, পান করাও আমাকে তোমার নবী সাইয়্যেদেনা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাউজ থেকে সুশীতল সুস্বাদু পানীয়; যেন এরপর আর আমরা তৃষ্ণার্ত না হই। হে আল্লাহ! তোমার কাছে চাই কল্যাণ যা চেয়েছিলেন তোমার নবী আমাদের সরদার মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। পানাহ চাই তোমার কাছে সব অকল্যাণ থেকে যা থেকে পানাহ চেয়েছিলেন তোমার নবী আমাদের সরদার মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
হে আল্লাহ! চাই তোমার কাছে বেহেশত এবং তার সব নেয়ামত আর সেই কথা, কাজ ও আমল যা বেহেশত লাভে সাহায্য করবে আর তোমার কাছে পানাহ চাই দোযখ থেকে এবং সে সব কথা, কাজ ও আমল থেকে যা দোযখে পৌঁছতে সাহায্য করবে।
*রুকনে ইয়েমানীতে পৌঁছার আগে এই দোয়া শেষ করুন এবং হাজারে আসওয়াদ এগিয়ে যেতে নিচেরদোয়াটি পড়ুন –
رَبَّنَآ اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِى الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ – وَاَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْاَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতে হাছানাতাওঁ ওয়া কি না আযাবান্নার। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআল আবরার। ইয়া আযীযু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া রাব্বাল আলামীন।
এখন হাজারে আসওয়াদে পৌঁছে চুম্বন করুন। ভীড় থাকলে দূরে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় নিচের দোয়াটি পড়তে পড়তে চুম্বন করুন-
بِسْمِ اللّٰهِ اَللّٰهُ اَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
তাওয়াফের ষষ্ঠ চক্করের দোয়া
اَللّٰهُمَّ اِنَّ لَكَ عَلَىَّ حُقُوْقًا كَثِيْرَةً فِيْمَا بَيْنِىْ وَبَيْنَكَ وَحُقُوْقًا كَثِيْرَةً فِيْمَا بَيْنِىْ وَبَيْنَ خَلْقِكَ – اَللّٰهُمَّ مَا كَانَ لَكَ مِنْهَا فَاغْفِرْهُ لِىْ وَمَا كَانَ لِخَلْقِكَ فَتَحَمَّلْهُ عَنِّىْ – وَاَغْنِنِىْ بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَبِطَاعَتِكَ عَنْ مَّعْصِيَتِكَ وَبِفَضْلِكَ عَنْ مَّنْ سِوَاكَ يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَةِ – اَللّٰهُمَّ اِنَّ بَيْتَكَ عَظِيْمٌ وَوَجْهَكَ كَرِيْمٌ وَاَنْتَ يَاۤ اَللّٰهُ حَلِيْمٌ كَرِيْمٌ عَظِيْمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّىْ
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার উপর তোমার বহু হক আছে আমার ও তোমার মধ্যে এবং বহু হক আছে আমার ও তোমার সৃষ্টির মধ্যে। হে আল্লাহ! এর মধ্যে যা তোমার তা মাফ কর, আর যা তোমার সৃষ্টির তা মাফ করানোর ভার নাও। হালাল কামাই দিয়ে আমাকে হারাম থেকে বাঁচাও, বন্দেগীর সামর্থ দিয়ে গুনাহ থেকে বাঁচাও, তোমার করুণা দিয়ে অন্যের দ্বারস্থ হওয়া থেকে বাঁচাও। হে অসীম ক্ষমাশীল! হে আল্লাহ! তোমার ঘর মহিমাপূর্ণ তুমি করুণাময় এবং হে আল্লাহ তুমি সহনশীল, মহানুভব, মহিমাময়, তুমি ক্ষমা ভালবাস, তাই আমাকে ক্ষমা কর।
*রুকনে ইয়েমানীতে পৌঁছার আগে এই দোয়া শেষ করুন এবং হাজারে আসওয়াদ এগিয়ে যেতে নিচেরদোয়াটি পড়ুন –
رَبَّنَآ اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِى الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ – وَاَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْاَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতে হাছানাতাওঁ ওয়া কি না আযাবান্নার। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআল আবরার। ইয়া আযীযু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া রাব্বাল আলামীন।
এখন হাজারে আসওয়াদে পৌঁছে চুম্বন করুন। ভীড় থাকলে দূরে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় নিচের দোয়াটি পড়তে পড়তে চুম্বন করুন-
بِسْمِ اللّٰهِ اَللّٰهُ اَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
তাওয়াফের সপ্তম চক্করের দোয়া
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْۤ اَسْأَلُكَ اِيْمَانًا كَمِلًا وَّيَقِيْنًا صَادِقًا وَّرِزْقًا وَّاسِعًا وَّقَلْبًا خَاشِعًا وَّلِسَانًا ذَاكِرًا وَّكَسْبًا حَلَالًا طَيِّبًا وَّتَوْبَةً نَصُوْحًا وَّتَوْبَةً قَبْلَ الْمَوْتِ وَرَاحَةً عِنْدَ الْمَوْتِ وَمَغْفِرَةً وَّ رَحْمَةً بَۢـعْدَ الْمَوْتِ وَالْعَفْوَ عِنْدَ الْحِسَابِ وَالْفَوْزَ بِالْجَنَّةِ وَالنَّجَاةَ مِنَ النَّارِ بِرَحْمَتِكَ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ – رَبَّ زِدْنِىْ عِلْمًا وَّ الْحِقْنِىْ بِالصَّالِحِيْنَ
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার কাছ থেকে চাই দৃঢ় ঈমান, সাচ্চা একিন, পর্যাপ্ত রিজিক তোমার স্মরণে ভীতিপূর্ণ অন্তর, তোমার স্মরণে লিপ্ত জিব, পাক হালাল উপার্জন, সত্যিকার তাওবা, মরণের আগে তওবা, মরণকালে শান্তি ও মার্জনা, মৃত্যুর পর রহমত, হিসাবের সময় রেহাই, বেহেশত লাভের সাফল্য, দোযখ থেকে নাজাত, তোমারই করুণায় হে শক্তিমান! হে ক্ষমাশীল, হে প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও এবং আমাকে পুণ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত কর।
*রুকনে ইয়েমানীতে পৌঁছার আগে এই দোয়া শেষ করুন এবং হাজারে আসওয়াদ এগিয়ে যেতে নিচের দোয়াটি পড়ুন –
رَبَّنَآ اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِى الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ – وَاَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ مَعَ الْاَبْرَارِ يَا عَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাওঁ ওয়া ফিল আখিরাতে হাছানাতাওঁ ওয়া কি না আযাবান্নার। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআল আবরার। ইয়া আযীযু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া রাব্বাল আলামীন।