Travel Itinerary

Travel Itinerary Any tourist can post their own tour experience, ask about travel related questions and get answers.

10/12/2023

সম্মানিত পেজ মেম্বার/ফলোয়ার আসসালামু আলাইকুম,
আপনারা জানেন আমি ন্যাচারাল ভাবে ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য ও চিত্র আপনাদের নিকট উপস্থাপন করি। আমি কোন তথ্য বা চিত্র এডিটিং করিনা। ঠিক মোবাইল দিয়ে যেটা আমি ক্যাপচার করি সেটাই আপনাদের নিকট উপস্থাপন করি। এবং সেই সাথে চেষ্টা করি চিত্র বা ভিডিও বিষয়ে নূন্যতম তথ্য দেয়ার। এর কারণ এই বিষয়টা কোন বাণিজ্যিকভাবে নিয়ে না, আমি এটাকে ব্যক্তিগত শখের বসেই করি। আমার ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে অনেক দেশের অনেক দৃশ্য আপনাদেরকে আমি শেয়ার করতে পারিনি। সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে খুব শীঘ্রই নিয়মিত ভিডিও ও বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন চিত্র এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। আশা করি পূর্বের মতোই আমাকে ভালোবেসে আমার পেজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন এবং পুরাতন জমে থাকা অনেক দেশের দৃশ্য সহ নতুন আরো অনেক দেশের বিভিন্ন চিত্র আপনারা উপভোগ করবেন।
সকলের সুস্থতা কামনা করছি।

16/11/2023

Amsterdam city, Netherlands. 🇷🇺🇷🇺🇷🇺🇷🇺🇷🇺
Night view of Central of the city from Rooftop🇳🇱🇳🇱🇳🇱🇳🇱🇳🇱🇳🇱

05/07/2021

Please Please Like This
Travel Info
Page

প্রিয় ভ্রমণ পিপাসু,দীর্ঘ লকডাউনে থেকে একঘেয়ে হয়ে গেছেন। ইনশাআল্লাহ সামনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বেরিয়ে আসতে পারেন এশিয়া...
04/07/2021

প্রিয় ভ্রমণ পিপাসু,
দীর্ঘ লকডাউনে থেকে একঘেয়ে হয়ে গেছেন। ইনশাআল্লাহ সামনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বেরিয়ে আসতে পারেন এশিয়ার সবথেকে জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট প্লেস থাইল্যান্ড এর পাতায়া শহর থেকে। আজ পাতায়া শহরের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ও তথ্য বর্ণনা করবো।

পাতায়া

থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে প্রায় ১৫৮ কিলো দূরে অবস্থিত পাতায়া (Pattaya) শহর। এশিয়ার মধ্যে অন্যতম একটি হানিমুন স্পট হিসেবে পরিচিত এই পাতায়া। সমুদ্রের হাতছানির সাথে সাথে দেখা মিলে অন্যরকম এক রঙ্গিন রাতের শহরের। আর পাতায়ার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে প্রতিবছর প্রায় লক্ষ লক্ষ পর্যটকের সমারোহ ঘটে থাইল্যান্ড এর এই সুন্দর সমুদ্র সৈকত ঘেঁষা শহরে।

পাতায়ার দর্শনীয় স্থানঃ

“পাতায়া” নামটার সাথে জড়িয়ে আছে বিনোদনের সকল আয়োজন। কি নেই এই শহরে? চাইলে সি বিচের ডেকচেয়ারে আয়েশ করে গাঁ এলিয়ে সমুদ্র দেখতে পারেন বা সৈকতের পাশে থাকা রেস্টুরেন্ট থেকে খেতে পারেন নানা ধরনের লোভনীয় খাবার। আবার ইচ্ছে হলে প্যারা গ্লাইডিং এর মতো রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার স্বাদ ও নিতে পারেন, আবার রৌদ্রজ্জ্বল দিনেসান বাথ করার মতো মজাও নিতে পারেন। পুরো শহরে ঘুরে দেখার মতো জায়গার অভাব নেই যদি আপনার সময় আর টাকার অভাব না থাকে। মূলত পাতায়া সি বিচ, শহরের প্রধান আকর্ষণ হলেও শহরের মাঝেও দেখার মতো অনেক জায়গা আছে।

Nong Nochtropical Botanical Garden : ছোট থেকে বড় সবারই ভালো লাগবে এখানে গেলে। এই বাগান আসলে কয়েকটি বাগানের সম্মেলিত রূপ, এখানে আছে ১৭ শতকের ফরাসি বাগান, ইউরোপিয়ান রেনেসা বাগান এবং বিভিন্ন প্রজাতি হিসেবে আলাদা বাগান, অর্কিড ফুলের বাগান। এছাড়াও আছে লাইভ শো যেখানে তলোয়ার যুদ্ধ, ঐতিহ্যবাহী থাই নাচ ও থাই কিক বক্সিং উপভোগ করতে পারবেন।

Sanctuary of Truth : এই পুরো স্থাপত্য শিল্পটি কাঠ দিয়ে তৈরি। দৃষ্টিনন্দন এই ভবনটি প্রাচীন ধর্ম ও দর্শনের উপর শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। এই জায়গা পরিদর্শন করলে আপনি থাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, থাই বক্সিং দেখার সাথে সাথে স্পিড বোট ও হাতি বা ঘোড়ার পিঠে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

Jomtien Beach : শহর থেকে ৪ কিলো দূরে অবস্থিতি এই বীচে আপনি সান বাথ করার সাথে সাথে জেট স্কিইং, কিইটস সার্ফিং, প্যারা সেলিং ও উইন্ড সার্ফিংকরার মতো রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।

Khao Chi Cyan (Buddha Mountain) : পাতায়া শহরের ধর্মপ্রাণ মানুষদের জন্য এক ধর্মীয় প্রতীক এই পর্বত। এই পর্বতে গৌতম বৌদ্ধের ছবি খোঁদাই করা আছে। এই পর্বতের আসে পাশের প্রকৃতিও দেখার মতো সুন্দর।

Big Buddha (Wat Phra Yai) : সাউথ পাতায়ার Pratumnak Hill এর উপর নির্মিত ১৮ মিটার লম্বা বৌদ্ধ মুর্তি যা সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১০০ মিটার উচুতে অবস্থিত। এই পাহাড় চূড়ায় রয়েছে পাতায়া ভিউ পয়েন্ট। এইখান থেকে পাতায়া সিটি এবং সাগরের সুন্দর ভিউ দেখা যায়।

Underwater World Pattaya : থাইল্যান্ডের প্রথম পানির নিচে অবস্থিত আধুনিক এ্যাকুরিয়াম, এখানে কার্প জাতীয় কৈ মাছ, শার্ক ও হাঙ্গর মাছ খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন, মনে হবে যেন আপনিও ওদের সাথে পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছেন।

Koh larn Island (কোরাল আইল্যান্ড) : পাতায়া বীচের মতো আরেকটা সুন্দর বীচ কোরাল আইল্যান্ড। এখানে মূলত কয়েকটি বীচ একসাথে তাই সকাল বেলা রওনা দিলে ওখানে পৌঁছে ভালো ভাবে দ্বীপটা দেখা দেখা যাবে। ওয়াকিং স্ট্রীট এর শেষ প্রান্ত থেকে কোরাল আইল্যান্ড এর ফেরি ছাড়ে, সময় লাগে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট। আবার পাতায়া বীচ থেকে স্পীড বোটেও যাওয়া যায় এই আইল্যান্ডে।

Mini Siam : থাইল্যান্ড সহ বিশ্বের বিস্ময়কর সৃষ্টি গুলো দেখতে ঘুরে আসতে পারেন এই মিনি সিয়াম থেকে। এখানে রয়েছে ব্যাংককের ভিক্টোরি মনুমেন্ট, ওয়াট অরুন, নিউ ইয়র্কের স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজ, সিডনীর অপেরা হাউজ এবং প্যারিসের ল’আর্ক দে ট্রিওম্পে। তবে এখানে বুকিং একদিন আগে দিতে হয়।

Repleys Believe It or Not Museum : পৃথিবীর সকল অদ্ভুত, সুন্দর ও সাড়া জাগানো জিনিসগুলো প্রদর্শনী করা আছে এই জাদুঘরে। পাতায়া শহরের এই জাদুঘর সবার বিশেষ আগ্রহের একটি জায়গা। এখানে এন্ট্রি ফি জনপ্রতি ৩৫০ বাথ।

Million Years Stone Park & Pattaya Crocodile Farm : এই পার্কটি বিভিন্ন বনসাই জাতীয় গাছ, রঙ্গিন ফুল, পাথর ও পানির ফোয়ারা দিয়ে ঘেরা। প্রতিদিন অসংখ্যবার দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী কুমিরের শো হয়ে থাকে। কুমির ছাড়াও এখানে অন্যান্য অনেক প্রাণী আছে।

Walking Street : পাতায়া শহরের বিনোদনের কেন্দ্রস্থল বলা যায় এই ওয়াকিং স্ট্রীট কে। দিনের বেলা নিরব থাকা walking street রাতে এক অন্য রূপ ধারন করে। বিনোদনের নানা উপকরণের সাথে সাথে এক অন্য রকম রঙ্গিন শহরের দেখা মিলবে এখানে। তবে সন্ধ্যের পর এখানে ভুলেও বাচ্চাদের নিয়ে যাবেন না।

Art in Paradise : এটা মূলত একটি ইল্যুশন জাদুঘর আর ছবি প্রেমীদের জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা।

Pattaya Floating Market : পানির উপর ভাসমান এই মার্কেটে পাবেন নানা ধরনের জিনিস।

Tiger Park : এখানে বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে বাঘ ধরার মতো মজার এক খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
পাতায়ার পুরো শহরে ক্লাবের কোন অভাব নেই। বেশ কিছু ক্লাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- Mix Discotheque, Planet Earth Beach Club, Club Insomnia, Limalima, Airport Club, FFlic Cliff & Pool Club, The Pier Disco Club.

শহরের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের পার্ক যেখান বাচ্চা সহ বড়রাও বেশ মজা পাবে। যেমন- Chan Siam Park, Ramayana Water Park, Cartoon Network Amazone, Amazon Fishing Park এবং Three Kingdom Park.
এছাড়াও সারা বছর জুড়ে শহরে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক ও ফেস্টিভ্যাল শো হয় প্রায়ই। যেমন-Alangkarn Pattaya Show, The Tiffany Show।
এই শো গুলো দেখলে থাইল্যান্ডের সংস্কৃতির ব্যাপারে একটা ভালো ধারনা হবে।
এছাড়াও যেতে পারেন Elephant Village, Teddy Bear Museum, Central Festival Pattaya Beach, Anek Kusunsala, Konlanta Island, Pattaya Park Tower, Wat Yansangwararam, Pattaya Dolphin World, Mimosa Pattaya এর মতো জায়গায়।

কিভাবে যাবেনঃ

থাইল্যান্ডের (Thailand) ব্যাংকক থেকে পাতায়ার দূরত্ব ১৫৮ কিলো। ব্যাংকক (Bangkok) থেকে পাতায়া যেতে পারেন থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ বিমান বা বাসে। বিমানে পাতায় যেতে সময় লাগে প্রায় ১.৫ঘন্টা আর বাসে গেলে প্রায় ৪ ঘণ্টা। বাসে যাবার ক্ষেত্রে , সুবর্ণভূমি বিমান বন্দরের লেভেল ১ এর ৮ নাম্বার গেটে পাতায়া যাওয়ার টিকেট পাওয়া যায়। ভাড়া বাংলাদেশী টাকায় ৩০০ টাকা আর থাইল্যান্ডের হিসেবে ১২০ বাথ। একটা বড় সুবিধা হল রাত ১০টা পর্যন্ত আপনি প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাস পাবেন। আবার গ্রুপ করে ঘুরতে গেলে গাড়ি ভাড়া করেও ব্যাংকক শহর থেকে পাতায়া যাওয়া যায়। সেই ক্ষেত্রে সময় লাগবে ২ ঘণ্টার মতো।

পাতায়ার বিশেষ আকর্ষণঃ

থাই স্পা, প্যারাগ্লাইডিং, স্নোরকেলিং, সান বাথ আর রাতের পাতায়া শহর। প্যারা সেলিং হল একটি দড়ি দিয়ে প্যারাসুটের সাথে আপনাকে বেধে দিবে তারপর একটা স্পীড বোটে করে সাগরের উপর দিয়ে ঘুরাবে। যারা থ্রিল ও এডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাদের জন্য নিঃসন্দেহে ভালো লাগার মতো একটা রাইড প্যারা সেলিং।
আবার কারো সাগরের অজানা রহস্য জানার ইচ্ছে থাকলে স্নোরকেলিং বা স্কুবা ড্রাইভিং করতে পারেন। এটা মূলত একজন অভিজ্ঞ গাইডের মাধ্যমে সাগরের গভীরে গিয়ে নানা ধরনের জলজ প্রাণী, মাছ ও উদ্ভিদ দেখার একটা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। সাথে নিজেদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথে সাথে ছবি তোলা, ভিডিও করার ও সুযোগ থাকে।

কোথায় থাকবেনঃ

পাতায়া তে থাকার জন্য বীচ এরিয়া ও ওয়াকিং স্ট্রীট এ বেশ কিছু হোটেল আছে। যেমন- হোটেল রেড প্ল্যানেট, গোল্ডেন সী পাতায় হোটেল, পাতায়া গার্ডেন হোটেল, জিং, জমটিএন মর্নিংস্টার গেস্ট রুম, পাতায়া ব্লু স্কাই হোটেল গুলোতে ১০০০- ১৫০০ টাকার মধ্যে দুই জনের থাকার জন্য রুম পেয়ে যাবেন। আর ৪/৫ জন মিলে পাতায়া ভ্রমণে গেলে ২৫০০-৩০০০ এর মধ্যে ভালো ৪ স্টার হোটেলে উঠতে পারেন, সেই ক্ষেত্রে খরচ বেশ কম হবে আর ৪ স্টার হোটেলের বাড়তি অনেক সুবিধাও পাওয়া যাবে। এগুলো ছাড়াও পাতায়া শহরের ভিতরে অসংখ্য হোটেল অনেক সস্তায় পেয়ে যাবেন। আর যদি কোরাল আইল্যান্ডে এ থাকতে চান, সেখানেও থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল আছে। তবে কোরেল আইল্যান্ড এর হোটেল এর ভাড়া পাতায়া শহরের থেকে একটু বেশী।

কি খাবেনঃ

থাইল্যান্ডের স্থানীয়দের খাবার মূলত চাইনিজ ও থাই। তবে আমরা বাংলাদেশে সাধারনত যে ধরনের চাইনিজ খাবার খেতে অভ্যস্ত সেই খাবার থেকে এই চাইনিজ খাবার বেশ আলাদা আর স্বাদেও অনেক পার্থক্য। তাই যারা অরিজিনাল চাইনিজ খাবার খেতে অভ্যস্ত তারাই শুধু এই খাবার খেতে পারবে। তবে ভিন্ন রকমের খাবারের স্বাদ পেতে অবশ্যই টেস্ট করে দেখতে পারেন। এছাড়াও আছে পিজ্জা হাট, ম্যাকডোনাল্ড যেখানে অনায়েসে খেতে পারেন নানা ধরনের মজার চিকেন আইটেম। আর পাতায়া বিচের কাছে আছে বেশ কিছু রেস্তোরা। এখানে পাবেন নানা ধরনের সী ফুড যেমন। আর রাস্তার পাশে একদম নতুন অদ্ভুত কিছু খাবার পাবেন এখানে। নানা ধরনের পোকামাকড় ভাজা থেকে শুরু করে সাপও পাওয়া যায়, এগুলো স্থানীয়রা খেতে বেশ পছন্দ করে। আর যদি সব বাদ দিয়ে বাঙ্গালি খাবার খেতে চান তাহলে ওয়াকিং স্ট্রীট বা বীচ রোডের পাশে বেশ কিছু বাঙ্গালি রেস্তোরা আছে সেখানে যেতে হবে। এছাড়াও রাস্তার পাশে একটু পর পরই 7 Eleven ও Family Mart এর মতো সুপার শপ পাবেন, এখানে কম দামে ভালো খাবার পাবেন। এখানকার টম ইয়াম সুপ বেশ মজার। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের সী ফুড পাবেন। তবে সাবধান, মুসলিম রা খেয়াল রাখবেন এখানকার প্রায় হোটেল এ শুকরের মাংস পাওয়া যায়। তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো ভাবে জেনে নিবেন। এখানে আস্ত হাঁসের ফ্রাই এর খুব কদর, চাইলে ট্রাই করতে পারেন।

কেনাকাটাঃ

আমি ব্যাক্তিগত ভাবে পরামর্শ দিব পাতায়া থেকে তেমন কিছু না কিনতে। কারণ কেনাকাটার জন্যে ব্যাংকক শহর বিখ্যাত। তবে এখান থেকে এখানকার স্মৃতি স্বরুপ কিছু স্যুভেনির কিনতে পারেন।
বিঃদ্রঃ আগামী পোস্টে ব্যাংকক ভ্রমণে শপিং এর ডিটেইলস দিব ইনশাআল্লাহ।

খেয়াল রাখবেনঃ

বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় থাইল্যান্ডের মুদ্রা বাথ সাথে নিয়ে যাওয়া ভালো। এতে বাড়তি সুবিধা হল বিমানবন্দরে নেমেই নতুন সিম কেনা সহজ হয়, আবার ট্যাক্সি ভাড়া করার ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়।

থাইল্যান্ড এ প্রায় ট্যাক্সি ড্রাইভার আপনাকে অনেক কিছু অফার করবে সেগুলোতে কান দিবেন না, কারণ তাতে ঠকার চান্স বেশী থাকে।

পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কারো সাথে যেতে পারেন, তাতে খরচ বেশ কম হবে।

থাইল্যান্ডরের সব জিনিসেরই দাম অনেক। তাই একটু দামাদামি করে কেনার চেষ্টা করবেন।

থাইল্যান্ডরের স্থানীয়রা ইংরেজি কম বুঝে। তাই কিছু সাধারন শব্দ শিখে নিতে পারেন বা একটা ছোট নোট বুক সাথে রাখতে পারেন তাতে কথা বলতে সুবিধা হবে।

পাতায়া শহরে গরম খুব বেশী। এজন্য উপযুক্ত সান প্রোটেকশন নিয়ে যাবেন।

শহর ভালো ভাবে দেখা ও বীচের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রচুর হাঁটতে হয়। এজন্য একটু পর পরই পাতায়া শহরে ম্যাসাজের দোকান চোখে পড়বে। ফুট ম্যাসাজ আর হেড ম্যাসাজ করে দেখতে পারেন ভালো লাগবে। তবে অবশ্যই নিজের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিজ দায়িত্বে সাবধানে রাখবেন কারন ম্যাসাজ করতে গিয়ে অনেকেই জিনিস হারিয়ে ফেলে বা চুরি হয়।

দূর্বল হার্টের কারো প্যারা সেলিং করা ঠিক হবে না। সেই ক্ষেত্রে প্যারা সেলিং বা প্যারাগ্লাইডিং বাদ দেওয়াই ভালো।

স্কুটি ভাড়া নিয়ে কোরাল দ্বীপ ঘুরলে সবগুলো বীচ ঘুরে দেখতে সুবিধা হবে।

কোরাল আইল্যান্ডে যেতে হলে আগে থেকেই প্যাকেজের জন্য বুকিং দিতে হয়। প্যাকেজের মধ্যে পাতায়া থেকে কোরাল আইল্যান্ডে যাওয়া আসা ও খাওয়া দাওয়া যুক্ত থাকে। তাই যেদিন যাবেন তার একদিন আগে বুকিং দিলেই হবে।

বৌদ্ধ পর্বতের সামনের মন্দিরে যেতে হলে যথাযথ ভাবে কাপড় পড়ে যেতে হবে যাতে শরীরের কাঁধ হতে পা পুরোপুরি ঢাকা থাকে। এটা তাদের রীতি।

আপনার ভ্রমণ সুন্দর ও নিরাপদ হোক।

কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর (Kuala Lumpur) হল এমন এক শহর যেখানে বিভিন...
06/06/2021

কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর
(Kuala Lumpur) হল এমন এক শহর যেখানে বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির মানুষ ঘুরতে যেতে পছন্দ করে। এখানে পুরাতন ঐতিহ্যের সাথে সাথে আধুনিকতার ছোঁয়াও খুঁজে পাওয়া যায়। আর শহরটাকে দেখলে মনে হয় সবসময়ই উৎসবের আমেজে থাকা রঙ্গিন এক শহর কুয়ালালামপুর। সংক্ষেপে এই শহরকে কে এল (KL) বলা হয়।
কুয়ালালামপুরের পুরো শহর জুড়ে অসংখ্যা ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ, সুদৃশ্য পার্ক, মিনার, মুঘল ধাঁচের গম্বুজ ও স্কাই স্ক্যাপার রয়েছে। এছাড়াও রাস্তার ধারে দেখা মিলবে সারি সারি রঙ্গিন খাবারের দোকান। পর্যটকদের জন্য দেখার মতো আছে অনেক কিছু। সময় আর সুযোগ থাকলে ঘুরে ঘুরে দেখতে পারবেন শহরের বিভিন্ন জায়গা।

দর্শনীয় স্থানঃ

পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার : কুয়ালালামপুরের প্রধান আকর্ষণ এই টাওয়ার। টুরিস্ট গাইডের মাধ্যমে এখানে ঘুরে দেখা যায়। এবং আপনি চাইলে টিকেটের বিনিময়ে এই টাওয়ারে উঠতে পারবেন তবে আপনার সঙ্গে অবশ্যই একজন গাইড দিয়ে দিবে এবং সময় পাবেন ৪৫ মিনিট। টিকিটের সংখ্যা সীমিত থাকার কারনে আগে থেকেই অনলাইনে বা টাওয়ারের অফিসে গিয়ে টিকেট কাটতে হয়। এখানে ঘুরে দেখার জন্য স্কাই ব্রিজ, অবজারভেশন ডেক ও একটি গিফট শপ আছে। এখানে টাওয়ারের সাথে নিজের একটা ছবি তুলতে না পারলে আপনার মালয়েশিয়া ভ্রমণই বৃথা।

ইসলামিক আর্ট মিউজিয়াম :
পুরো বিশ্বের ইসলামিক বিভিন্ন শিল্প যেমন বিশ্বের সেরা ইসলামিক ভবন, চমৎকার স্থাপত্যের নমুনা মডেল,মুসলিমদের ব্যবহৃত কার্পেট, গহনা ও ক্যালিওগ্রাফি প্রদর্শিত আছে এখানে যা পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। এই বিল্ডিং এর গম্বুজের সূক্ষ্ম কারুকার্যের কাজ দর্শকদের নজরে পরার মতো। এখানে আসলে আপনি ইসলামিক ইতিহাসের অনেক নিদর্শন দেখতে পাবেন।

চায়না টাউন :
পুরাতন কুয়ালালামপুর শহর খুঁজে পাওয়ার জন্য যেতে পারেন এই চায়না টাউনে। পুরনো শহরের জন্ম এখানে হলেও সময়ের সাথে সাথে চায়না টাউন এখন বেশ উন্নত হয়েছে। চায়না টাউনে দেখার মতো বেশ কিছু জায়গা আছে। যেমন- মিনারা টাওয়ার, মারদেকা স্কোয়ার, জংসান বিল্ডিং, সেন্ট্রাল মার্কেট ও পেতালিং স্ট্রীট মার্কেট। বর্তমানে চায়না টাউন প্রায় ৭০ ভাগ আধুনিক সংস্কার করা হয়েছে। তবুও এখানে গেলে আপনি আদি মালয়েশিয়ার জীবনধারা সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

লেক গার্ডেনস :
১৭৩ হেক্টরের বিশাল এই জায়গা কুয়ালালামপুরের সবচেয়ে বড় সবুজ জায়গা। এখানে ইচ্ছে হলে পুরো একটি দিন আপনি কাটাতে পারেন, এমনই সুন্দর সবুজের সমাহার চারদিকে। এখানকার লেক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রকৃতিপ্রেমীদের নিঃসন্দেহে ভালো লাগার মতো। পারডোনা বোটানিক্যাল গার্ডেন ও লেক ছাড়াও এখানকার কে এল বার্ড পার্ক পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।

ন্যাশনাল মিউজিয়াম :
এই চমৎকার আধুনিক জাদুঘর মালয়েশিয়ার অতীত থেকে বর্তমানের ইতিহাস ধারন করে। এখানে বিভিন্ন গ্যালারি আছে তার মধ্যে একটিতে দেশের ভূতাত্ত্বিক বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও প্রাগৈতিহাসিক সময়ের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। আর আধুনিক ইতিহাসের গ্যালারি আরও বেশী আকর্ষণীয়, এখানে মন্দিরের প্রাচীর, রাজকীয় বিছানা, আনুষ্ঠানিক বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানের নমুনা পোশাক আছে। এছাড়াও এই ন্যাশনাল মিউজিয়ামের পাশে দুটি চমৎকার ছোট গ্যালারি আছে যেখানে নিয়মিত প্রদর্শনী হয়ে থাকে।

মেনারা কুয়ালালামপুর :
বুকেট নানাসের তীর থেকে গড়ে উঠা ৪২১ মিটার লম্বা এই টাওয়ার থেকে কুয়ালালাপুর শহরের সুন্দর দৃশ্য চোখে পরার মতো। টাওয়ারের শীর্ষে একটি ঘূর্ণায়মান রেস্তোরা আছে, যেখানে টেবিল নানা রকম খাবার আইটেম সহ আপনার সামনে ঘুরতে থাকবে আপনি যা খাবেন সেটার মূল্য পরিশোধ করবেন। তবে এখানে খাবার মূল্যে অনেক বেশী। এই টাওয়ারের ২৭৬ মিটার উঁচুতে আছে একটি অভ্যন্তরীণ অবজারভেশন ডেক আর ৩০০ মিটার উপরের স্কাই ডেক পর্যটকদের বেশ পছন্দের ও রোমাঞ্চকর একটি জায়গা। খোলা আকাশের নিচে স্কাই বক্সে ছবি তুলতে সবাই বেশ পছন্দ করে। ভূমি থেকে উপরের স্কাই ডেক শুধুমাত্র গ্লাসের একটি বেজের উপর তৈরি , আর তাই নিরাপত্তার খাতিরে এখানে বাচ্চাদের প্রবেশের অনুমতি নেই।

মার্দেকা স্কোয়ার (Mardeka Square):
মার্দেকা স্কোয়ার হল বর্গাকৃতি খোলামেলা বিশাল এক জায়গা যেখানে ১৯৫৭ সালে মালয়েশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে এই বর্গাকৃতি জায়গাটি ৯৫ মিটার ফ্ল্যাগ পোল দিয়ে ঘেরা। ব্রিটিশদের সময় এই জায়গা ক্রিকেট পিচ ও পাদাং এর মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। পুরো জায়গাটিতে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিল্ডিং আছে, এদের মধ্যে সুলতান আব্দুল সামাদ বিল্ডিং এবং সেন্ট মেরিস আংলিকান ক্যাথিড্রাল ভবন পর্যটকদের কাছে বিশেষ ভাবে আকর্ষণীয়।

কে এল বার্ড পার্ক :
প্রায় ৩০০০ এর ও বেশী পাখি আছে এই ২১ হেক্টর বিস্তৃত পাখিশালায়। ফ্লামিংগো থেকে টিয়া পাখি, এইরকম প্রায় ২০০ প্রজাতির এশিয়ান পাখি কে এখানে রাখা আছে। পার্কটি চারটি ভাগে বিভক্ত, প্রথম দুই ভাগে পাখিরা ছায়ার নিচ দিয়ে অবাধে চলাচল করে, আর তৃতীয় ভাগের পাখিরা হলো হর্নবিল (তাদের বিশাল বড় ঠোঁট থাকে) আর চতুর্থ ভাগে খাঁচায় সংরক্ষন করা পাখি থাকে।

কে এল ফরেস্ট ইকো পার্ক :
৯.৩৭ হেক্টর বিশিষ্ট এই পার্ক শহরের মধ্যে সবচেয়ে সংরক্ষিত জঙ্গল যা কুয়ালালামপুর শহরের মাঝে অবস্থিত। বুকিত নানাস বা আনারসের পাহাড় হিসেবে এই পার্ক পরিচিত। নানা ধরনের পোকা মাকড় ও পাখির দেখা মিলবে এখানে। এখানের উঁচু ক্যানোপির পাশ দিয়ে হাঁটার রাস্তাটা বেশ সুন্দর।
এছাড়াও আরও বেশ কিছু জায়গা আছে কুয়ালালামপুর শহরে। যেমনঃ ডিয়ার পার্ক, অর্কিড গার্ডেন, বাটারফ্লাই পার্ক ও সিন সযে সি ইয়া টেম্পল। আর সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন কুয়ালালামপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী গ্রাম কাম্পুং ভারু থেকে।

কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর যাওয়ার জন্য এয়ার এশিয়া, বাংলাদেশ বিমান, ইউনাইটেড এয়ার, ইউ এস বাংলা, রিজেন্ট এয়ার ওয়েজ, ও মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন্সের সরাসরি ফ্লাইট আছে। সময় লাগবে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। বিমান বন্দর থেকে কুয়ালালামপুর শহর ৮০ কিলোমিটার দূরে তাই কুয়ালালামপুর বিমান বন্দর থেকে বাস বা ট্যাক্সি ক্যাবে করে শহরে যেতে হবে।

কোথায় থাকবেন:
কুয়ালালামপুরের শহরে বিভিন্ন মানের প্রচুর হোটেল আছে। তবে, প্যাসিফিক রিজেন্সি হোটেল, রয়্যাল চুলান বুকিত বিন্তাং, ফুরামা বুকিত বিন্তাং, দা ফেডারেল কুয়ালালামপুর, বেরজায়া টাইমস স্কোয়ার, সিম্মস ইন, মেলিয়া কুয়ালালামপুর, কনকর্ড হোটেল, বিন্তাং ওয়ারিসান হোটেল, হোটেল সেন্ট্রালের মতো এইসব হোটেল গুলোতে ১৫০০-২৫০০ টাকার মধ্যে দুইজন থাকতে পারবেন। আবার বেশ কিছু স্টুডিও এপার্টমেন্ট ও আছে শুধু থাকার জন্য। এখানে কয়েকজন মিলে থাকলে নিজেদের মতো থাকতে পারলেও হোটেলের মতো সব সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে না।

কোথায় ও কি খাবেন:
এখানকার জালান আলোর (Jalan Alor) রাস্তা স্ট্রীট ফুডের জন্য বিখ্যাত, দিনের বেলা দুই একটা দোকান খোলা থাকলেও সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে রাস্তার ধারের এই দোকানগুলো। চেয়ার টেবিল সাজিয়ে রেস্টুরেন্টের মতো সাজানো হয় দোকানগুলো। এখানে খেতে পারবেন স্থানীয় মালয়েশিয়ান, চাইনিজ ও থাই খাবার। খাবারের মধ্যে গ্রিল ফিস, সাতে, রাইস পুডিং এসব খেতে ভালো লাগবে। আবার দা হওকারস স্টলস, কপিটিয়ামে ভালো কফি ও জুস পাওয়া যায়। এছাড়া ২০১৮ সালের এপ্রিলে উদ্বোধন হওয়া প্লেন ইন দা সিটি নামে বিশেষ একটি রেস্টুরেন্ট আছে । প্লেনের মতো সাজানো এই রেস্টুরেন্টে বিজনেস, ইকোনোমি , ফার্স্ট ক্লাস প্যাসেঞ্জারদের মতো খাবার খাওয়ার সুযোগ আছে। প্লেন ইন দা সিটিতে আগে থেকেই সরাসরি গিয়ে বা অনলাইনে বুকিং দিতে হয়। তবে এখন বর্তমানে শুধু রাতের খাবারের ব্যবস্থা আছে। এছাড়া এখানে ব্যাঙ, শামুক, তেলাপোকা সহ নানান রকম উদ্ভট খাবার আইটেম অনেক আছে।একই সাথে ককপিট ও উইং ওয়াকে ঘোরার ও সুযোগ আছে। আর মালয়েশিয়াতে কাঁঠালের মতো বিশেষ এক ফল ডুরিয়ান খেতে পারবেন। আবার ডুরিয়ান দিয়ে তৈরি বিভিন্ন চকলেট, কুকিজ, কেক, স্ন্যাক্সস, কফি এমনকি আইস ক্রিমও পাবেন। ইসলামিক আর্ট মিউজিয়ামে একটি মধ্য প্রাচ্যের ইস্টার্ন রেস্তোরা, ঘুরতে গেলে ওখানেও খেতে পারেন।
তাছাড়া কুয়ালালামপুরে অনেক গুলো হালাল রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সে সকল রেস্তোরাঁয় কেবল মাত্র হালাল খাবার পরিবেশন করা হয়। রেস্টুরেন্টের বাইরে সাইনবোর্ডে halal লিখা দেখলে বুঝবেন এটা হালাল রেস্টুরেন্ট।

কোথায় কি কিনবেন:
শপিং প্রেমীদের জন্য মালয়েশিয়াতে আছে কেনাকাটা করার মতো বেশ কিছু শপিং মল। যেমন- প্যাভিলিওন কুয়ালালামপুর, সুরিয়া কেএল, মাইল্ড ভ্যালি মেগা মলের মতো দোকানে এক্সক্লুসিভ কিছু জিনিস পাবেন, তবে এখানে দাম বেশী পড়বে। আর অন্যান্য খুচরা জিনিস কেনার জন্য যেতে পারেন যেমন-বাংসার,চায়না টাউনের পেতালিং স্ট্রীট মার্কেট ও সেন্ট্রাল মার্কেট এবং পুবিকার মতো মার্কেট। এখানে স্যুভেনিয়র, হ্যান্ডি ক্র্যাফটসের মতো জিনিস খুঁজে পাবেন। আর ইসলামিক আর্ট মিউজিয়ামে কুয়ালালাপুরের সবচেয়ে ভালো গিফট শপ আছে। এখানে হ্যান্ড মেড বিভিন্ন গিফট এবং ইসলামিক আর্টের উপর বেশ কিছু ভালো বই পাবেন। মালয়েশিয়ায় তুলনামূলক সব জিনিসের দাম বেশী। তবে এখানে আপনি যে কোন ইলেকট্রনিকস সামগ্রী অত্যন্ত সস্তায় পেয়ে যাবেন।

মনে রাখবেন:
নভেম্বর থেকে মে এই সাত মাস মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর যাওয়ার জন্য ভালো সময়।
কুয়ালালামপুর শহরে বিশেষ এক ট্রাভেল পাস পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে পুরো শহর ঘুরতে সুবিধা হবে। তাছাড়া কুয়ালালামপুর শহরে অনেক গুলো লাক্সারি এসি সিটি সার্ভিস বাস আছে এবং এর মধ্যে বেশ কিছু বাসে কোন ভাড়া লাগেনা।
জানুয়ারী তে এই শহরে বেড়াতে আসলে স্থানীয়দের থাইপুসাম উৎসবে অংশগ্রহণ করতে ভুলবেন না।
কুয়ালালামপুর শহরের টুরিস্ট স্পটগুলো বেশ কাছাকাছি তাই থাকার হোটেল শহরের মাঝামাঝি কোনও টুরিস্ট স্পটের কাছাকাছি হলে হাঁটা দূরত্বেই অনেক জায়গা ঘোরা যাবে।
কে এল ফরেস্ট ইকো পার্কে ঘুরার সময় ফরেস্ট এরিয়ার একটা ম্যাপ সাথে রাখলে ভালো।
স্ট্রীট ফুডের দোকান গুলো দিনের বেলা সাধারনত বন্ধ থাকে, তাই স্ট্রীট ফুড খেতে চাইলে সন্ধ্যার পর বের হতে হবে।

খরচ:
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে যে কয়টি ফ্লাইট আছে এগুলোর ভাড়া যাওয়া- আসা ২০ হাজার থেকে ২৭ হাজার এর ভেতরে। এছাড়া অনেক সময় অনেক এয়ারলাইন্স ডিসকাউন্ট অফার দেয় তখন সামান্য কিছু কম ভাড়া হয়। আর কেমন হোটেলে থাকবেন আর কেমন খাবার খাবেন তার ওপর আপনার খরচ নির্ভর করবে।

আজ যে দর্শনীয় ঐতিহাসিক স্থানের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো সেটা নিয়ে অনেক কল্প কাহিনী বিভিন্ন সময় তৈরী হয়েছে। সুতরাং বর্ণনার সময়...
01/06/2021

আজ যে দর্শনীয় ঐতিহাসিক স্থানের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো সেটা নিয়ে অনেক কল্প কাহিনী বিভিন্ন সময় তৈরী হয়েছে। সুতরাং বর্ণনার সময় আমি সে রকম কাহিনীও তুলে ধরবো।
বলছি রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত নওগাঁ জেলার দুবলহাটি রাজবাড়ীর কথা।

ধারণা করা হয় ১৯ শতকে রাজা হরনাথ রায় চৌধুরী বাড়িটি নির্মাণ করেন। দুবলহাটি এ জমিদারির ছিল এলাকাজুড়ে বেশ সুনাম। রাজা হরনাথ রায় চৌধুরী শুধু নওগাঁর দুবলহাটি অঞ্চলে জমিদারী পরিচালনা করেননি বরং উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা নিয়ে তার জমিদারি ছিল।

কথিত আছে রঘুনাথ নামের এক ব্যক্তি এলাকায় লবণের ব্যবসা করতেন তিনি দিঘালি বিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ময়রা নদী দিয়ে নৌকা যোগে দুবলহাটি তে ব্যবসার জন্য আসেন (বর্তমানে সেই নদীর অস্তিত্ব নেই) । তিনি প্রায় প্রতি রাতে স্বপ্ন দেখতেন তাকে কে যেন বলছে তুই যেখানে নৌকা রেখেছিস সেখানে জলের নিচে রাজরাজেশ্বরী দেবীর প্রতিমা আছে সেখান থেকে তুলে স্থাপন কর।
রঘুনাথ একদিন ভোরবেলায় জলে নেমে সত্যিই দেখলেন সেখানে রাজরাজেশ্বরী প্রতিমা আছে। তিনি প্রতিমাটি জল থেকে তুলে একটি মাটির দেবী তৈরি করে প্রতিষ্ঠা করলেন। তার পর তার ব্যাপক ব্যবসার উন্নতি হতে থাকে। ১৯ শতকের শেষের দিকে পরিবারসহ তিনি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় পাড়ি জমান। রাজবংশের স্মৃতিসরূপ থেকে যায় বিশাল সুরম্য অট্টালিকা।

গঠনঃ
পাঁচ একর এলাকা জুড়ে বিশাল প্রাসাদ। আর বাইরে ছিল দিঘী, মন্দির, স্কুল, দাতব্য চিকিৎসালয়,১৬ চাকার রথ সহ বিভিন্ন স্থাপনা।দুবলহাটি রাজপ্রাসাদের ৩৫০টি ঘর ছিল। যার ছিল ৭ টি আঙিনা। প্রাসাদের ভেতর কোন টি ৩ তলা আবার কোনোটি ৪ তলা ভবন। রাজপরিবারের উদ্যোগে একটি স্কুল স্থাপন করা হয় পরবর্তীতে স্কুলটির নামকরণ হয় রাজা হরণাথ উচ্চ বিদ্যালয় । প্রতিবছর স্টেটের খরচে পাঁচজন করে গরিব ও মেধাবী ছাত্রের লেখাপড়া ব্যবস্থা করা হয়।

কি কি দেখবেনঃ
নাট্যশালা, প্রদীপ ঘর, দিঘী, মূল ভবন ছাড়াও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অনেকগুলো ভবন ।
[ দুবলহাটি রাজবাড়ি দেখে আপনারা বলিহার রাজবাড়ি দেখতে যেতে পারেন]

কিভাবে যাবেনঃ
নওগাঁ শহর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী দুবলহাটি রাজবাড়ির অবস্থান বালুডাঙ্গা থেকে হাপানিয়া। হাপানিয়া থেকে ভ্যান বা অটোরিক্সায় দুবলহাটি রাজবাড়ী যাওয়া যায় অথবা নওগাঁ গোস্তহাটির মোড় হতে অটোরিক্সাযোগে দুবলহাটি রাজবাড়ি যাওয়া যায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে।
ঢাকা থেকে নওগাঁ যাওয়ার জন্য বেশকিছু বাহন এর সাহায্য নিতে পারেন।
বাসঃ গাবতলী,মহাখালী থেকে সহজেই শ্যামলী, হানিফ, এস আর ট্রাভেলস, ডিপজল ট্রাভেলস সহ অনেক এসি,নন -এসি বাস পাওয়া যায় নওগাঁ যাওয়ার জন্য। নন-এসি ভাড়া ৪০০ টাকা ও এসি ১১০০ টাকা।

ট্রেনঃঢাকা থেকে নওগাঁ যেতে হলে প্রথমে কমলাপুর বা এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে উঠতে পারেন। বগুড়া সান্তাহার স্টেশন নেমে সেখান থেকে রিকশাযোগে ১৫-২০ টাকায় নওগাঁয় পৌঁছাতে পারেন। ট্রেন ভাড়া ৩৮০ টাকা থেকে শুরু।

কোথায় থাকবেনঃ
নওগাঁ শহরের অনেক ধরনের হোটেল আছে আপনি চাইলে থাকতে পারেন।
এমনকি মান্দা উপজেলায় কুসুম্বা দিঘী দেখার পর সেখানে উপজেলা ডাকবাংলো আছে যেখানে আপনি থাকতে পারেন।
হোটেল যমুনা পার নওগাঁ-7416 2674
মেসাস হোটেল প্লাবন -মুক্তিযোদ্ধা সড়ক কাঁচাবাজার নওগাঁ
হোটেল অবকাশ- 0741-7 2356
হোটেল আগমনী মুক্তির মোড় 7421-63351
হোটেল মল্লিকা ইন্টারন্যাশনাল 0741-814101
ভাড়া ৩০০ থেকে ৪০০০ এর মধ্যে

১৯ শতকের শেষের দিকে রঘুনাথ রায় পরিবার সমেত ভারত বর্ষে চলে গেলে পরবর্তীতে দুবলহাটি রাজবাড়ীকে সরকার সরকারি সম্পদ হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এর অধীনে দিয়ে দেয়।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মালদ্বীপ (Maldives) হল অসংখ্য দ্বীপের দেশ। ছোট ছোট প্রায় ১২০০ দ্বীপের মধ্যে একটি হল মালদ্বীপে...
26/05/2021

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মালদ্বীপ (Maldives) হল অসংখ্য দ্বীপের দেশ। ছোট ছোট প্রায় ১২০০ দ্বীপের মধ্যে একটি হল মালদ্বীপের রাজধানী মালে আইল্যান্ড (Male Island)। প্রায় ১.৫ কিলো লম্বা ও ১ কিলো চওড়া এই দ্বীপ বিশ্বের জনবহুল শহরের মধ্যে একটি। আর পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ এই দ্বীপের প্রতি। আবার হানিমুন কাপলদের জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা হল এই মালে আইল্যান্ড।

কিভাবে যাবেন:
মালদ্বীপে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে মালদ্বীপের সরাসরি ২-৩ টি ফ্লাইট আছে। তবে বাংলাদেশিরা মালদ্বীপিয়ান এয়ার ও শ্রীলঙ্কান এয়ার লাইনস এ বেশী যাতায়াত করে । ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সরাসরি মালদ্বীপের মালে ইন্টারন্যাশনাল বিমান বন্দরে (Velana International Airport) যাওয়া যায়। তারপর ইমিগ্রেশন শেষ করে এয়ারপোর্ট থেকে ৪ কিলো দূরত্বে মালেতে ট্যাক্সি করে যেতে পারবেন। অথবা চাইলে এয়ারপোর্টের সামনে থেকে ফেরী বা স্পিডবোটে করে যেতে পারবেন মালে আইল্যান্ডে। আবার চাইলে, বাংলাদেশ থেকে প্রথমে শ্রীলঙ্কার বান্দারনায়াকে আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট (Bandaranayake International Airport) থেকে ট্রানজিট সেশন শেষ করে অন্য ফ্লাইটে মালদ্বীপের মালে ইন্টারন্যাশনাল বিমান বন্দরে যাওয়া যায়। শ্রীলঙ্কা থেকে বিমানে মালদ্বীপ যেতে ১ ঘণ্টা সময় লাগে। এই ক্ষেত্রে খরচ কম হয় আর এক সাথে দুই দেশ ঘুরা হয়।

কোথায় থাকবেনঃ
মালে শহরে থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল আছে। যেমন- সামারসেট ইন, দা মেলরসে , হোটেল জেন মালে, হোটেল ওক্টেভে কমের মধ্যে ভালো সার্ভিস পাওয়া যাবে। এই হোটেল গুলোতে ওয়াইফাই ও এসি সহ ভালো রুম পাবেন। আর রিসোর্টের মধ্যে কুরুম্বা মালদিপ, হলিডে আইল্যান্ড রিসোর্ট, প্যারাডাইস আইল্যান্ড রিসোর্ট, সান আইল্যান্ড এন্ড স্পা, বান্দোস আইল্যান্ডে থাকতে পারেন। তবে রিসোর্ট আইল্যান্ড গুলোতে খরচ অনেক বেশি। ডে ট্রিপের অপশন থাকলে প্যাকেজ আকারে ঘুরে আসতে পারেন।

কি খাবেনঃ
মালে শহরে আপনি এখানকার স্থানীয় খাবার সহ নানা রকম ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে পারবেন। স্থানীয় বেশীর ভাগ খাবারই বিভিন্ন রকম মাছের আইটেম। মালের লোকের প্রধান খাবার ভাত, সুতরাং সব রেস্টুরেন্টে বাঙ্গালী হিসেবে ভাত আর ডাল আপনি সহজেই পাবেন। এছাড়া এখানকার মাস হুনি (টুনা মাছ, নারিকেল, পিয়াজ ও লেবু দিয়ে তৈরি এক ধরনের খাবার যা রোশি দিয়ে খেতে হয়) ও নানা ধরনের ঠাণ্ডা পানীয় না খেয়ে আসবেন না,স্থানীয় লোকাল হোটেলে খাবারের দাম একটু বেশী। আবার যদি বাঙ্গালি খাবার খেতে চান তাহলে মালে শহরের “ঢাকা ফুড” নামের বাঙ্গালি রেস্টুরেন্টে যেতে পারেন কম খরচে বাঙ্গালি খাবার পেয়ে যাবেন এখানে। তবে আন্ডার ওয়াটার রেস্টুরেন্টে খেতে অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা হবে। এছাড়াও এখানকার রিসোর্ট গুলোতে চওড়া দামের বিনিময়ে আপনি যে কোন খাবার আইটেম পেয়ে যাবেন।

কোথায় ঘুরবেনঃ
চারদিকে নারিকেল, সুপারি গাছসহ সহ অন্যান্য নানা গাছ গাছালি তে পরিপূর্ণ ছোট্ট একটি দ্বীপ মালে। মালে শহরটি বেশ কিছু গলিপথ আর অসংখ্য দোকানপাট নিয়ে। শহরের ভেতরেই কবুতর পার্ক নামে একটি পার্ক আছে যেখানে প্রতিদিন বিকেল বেলা মালে শহরে বসবাসরত অনেক বাঙালি জমায়েত হন। বাঙালির মিলন মেলার এ স্থান টি মুহূর্তে মনে হয় বাংলাদেশ। আর পর্যটকদের পছন্দের এই মালে আইল্যান্ড সবসময়ই লোকারণ্য থাকে। এই আইল্যান্ডে পাবেন সাগরের মাঝে নগরায়নের ছোঁয়া। নীল সাগর থেকে আসা মিষ্টি হাওয়া শরীর মনকে করে তুলে প্রানবন্ত, এখানে আসলে ভ্রমণের সকল ক্লান্তি যেন নিমিশেই চলে যায়। এখানকার প্রায় সব রিসোর্টগুলোর ইনফিনিটি পুল থেকে মালদ্বীপের আসল সৌন্দর্য দেখা যায়আর সহজেই নানা ধরনের জল খেলায় মেতে উঠতে পারবেন। আর সাঁতার জানা থাকলে বীচে সাঁতার কাটার মজা নিতে ভুলবেন না। মালে আইল্যান্ডের পূর্ব দিকে ভারুনুলা রালহুগান্ধু (Varunulaa Raalhugandu) তে ফেরি তে গিয়ে অদ্ভুত সুন্দর সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন। সার্ফিং ও স্নোকেলিং করার জন্য একটা উপযুক্ত জায়গা এই মালে আইল্যান্ড, তাই এখানে সার্ফিং করার ও মজা পাবেন। এছাড়া বিভিন্ন রিসোর্টে গেলে আপনি ছবির মত অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। মালে আইল্যান্ডের পাশাপাশি মালে শহরের মধ্যে আরও কিছু দর্শনীয় স্থানে যেতে পারেন । যেমন-আর্টিফিশিয়াল বীচ( Artificial Beach), ওল্ড ফ্রাইডে মস্কো ( Old Friday Mosque), ন্যাশনাল মিউজিয়াম (National Museum), সুলতানস পার্ক, ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারি, চীনা মালদ্বীপ ফ্রেন্ডশীপ ব্রিজ, ফিশ মার্কেট ও গ্রান্ড ফ্রাইডে মস্কো।

খরচঃ
মালদ্বীপে থাকা খাওয়ার খরচ একটু বেশী। বিমানে ঢাকা থেকে মালদ্বীপে যাওয়া ও আসা ৪৩,০০০-৬০,০০০ টাকা খরচ হবে। কত আগে টিকেট কাটবেন তার উপর বিমান ভাড়া নির্ভর করবে। আর শহরের মধ্যে থাকলে এক রাতে ৩,০০০-৭,০০০ টাকায় দুইজন থাকা যাবে আবার আইল্যান্ডের কাছাকাছি রিসোর্টে রাতে থাকতে হলে জন প্রতি ১৬,০০০-২৮,০০০ টাকা খরচ হবে। আর যদি সাধারন মানের খাবার খেয়ে থাকেন তবে প্রতিবেলা ৪০০-৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। আর প্যাকেজের মাধ্যমে স্পীড বোট ভাড়া করে ঘুরতে চাইলে ১৫,০০০-১৭,০০০ টাকা খরচ হবে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে বিমানে যাতায়াত সহ ৩ রাত ২ দিন মালে থাকলে ৯০,০০০-১,০০,০০০ টাকা খরচ হবে। কম খরচে বেড়াতে চাইলে যত আগে সম্ভব বিমান টিকেট করে নিবেন। থাকার জন্যে লোকাল রিসোর্টে বা গেস্ট হাউজে থাকার চেষ্টা করবেন। এবং যাতায়াতের জন্যে সরকারী ফেরী ব্যবহার করবেন। এতে যাতায়াত খরচ অনেক কম হবে।

মনে রাখবেন, মালদ্বীপে কেনাকাটা করার মত তেমন কিছু নাই। স্থানীয় কিছু শো পিস কিনতে পারেন তবে অনেক চড়া দাম এখানে।
মালদ্বীপে অন এরাইভ্যাল ভিসা, সুতরাং আগে ভিসা করার কোন প্রয়োজন নাই। তবে টিকিট মূল্য কম পাবার জন্য এয়ার টিকেট যত আগে সম্ভব কেটে ফেলুন, এবং যাত্রার পূর্বেই ট্যুর প্ল্যান ঠিক করে নিন। কারণ একটু ভুল হলেই অনেক গুলো বাড়তি খরচের অভিজ্ঞতা আপনার হতে পারে।

দার্জিলিং আমি একা অনেকবার গিয়েছি। তবে আজকের পোস্টে যে ভ্রমণ এর চিত্র গুলো শেয়ার করবো সেটা আমাদের এক ফ্যামিলি ট্যুরের অভি...
18/05/2021

দার্জিলিং আমি একা অনেকবার গিয়েছি। তবে আজকের পোস্টে যে ভ্রমণ এর চিত্র গুলো শেয়ার করবো সেটা আমাদের এক ফ্যামিলি ট্যুরের অভিজ্ঞতা। গতানুগতিক নিয়ম গুলো ঠিক রেখে কিছু স্থিরচিত্র সহ চেষ্টা করেছি এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা টা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে বর্ণনা করতে।

দার্জিলিং (Darjeeling) ভূ-পৃষ্ট থেকে ৭,১০০ ফুট উচ্চতায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই শহরে প্রায় পুরো বছর জুড়েই ঠাণ্ডা থাকে। মেঘের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত দার্জিলিং তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, চা এবং রেলওয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। দার্জিলিংয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার অনুপম সৌন্দর্য ও টাইগার হিলের সূর্যোদয় দেখার সাথে সাথে অসংখ্য দর্শনীয় স্থানের জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এই শহরে ভিড় জমায়।
ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই দার্জিলিং তাঁর অপূর্ব রুপ এবং উপযোগী জলবায়ুর কারণে অবকাশ যাপনের আদর্শ স্থান হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য নয় দার্জিলিং-এ অবস্থিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এশিয়ার শিক্ষার্থীদের সমানভাবে আকর্ষণ করে। সেরকম কয়েকটি দর্শনীয় স্থান বা সাইটসিইং এর বর্ণনা দিচ্ছিঃ

টাইগার হিল(Tiger hill): দার্জিলিং গেলে প্রথম যে লোকেশন টা আপনি দেখতে চাইবেন বা আপনার দেখা উচিত সেটি হলো টাইগার হিল। টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয় দেখার অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য চোখে পরার মতো। আর পর্যটকরা এই পাহাড়ের শীর্ষ থেকে মাউন্ট এভারেস্ট ও কাঞ্ছনজঙ্ঘার চমৎকার ভিউ দেখার সুযোগ সহজে হাতছাড়া করে না। তবে এটা দেখতে হলে আপনাকে কনকনে শীতের মধ্যে কাঁপতে কাঁপতে হোটেল থেকে রওনা হতে হবে ভোর ৪.৩০ এ। আগের দিন বলে রাখলে হোটেল এর লোক আপনাকে ঘুম থেকে ডেকে দিবে। সকাল ৫টার মধ্যে এখানে আসলে পর্যটকদের ভিড় অনেকটাই এড়ানো যাবে এবং ভালো ভিউ দেখার জায়গাটা আপনি দখল করতে পারবেন।

বাতাসিয়া লুপ (Batasiya Loop): দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র ৫ কিলো দূরত্বে অবস্থিত বাতাসিয়া লুপ দার্জিলিংয়ের মনোরম ট্রেন রুট গুলোর মধ্যে অন্যতম। পাহাড়ের শীর্ষ টানেলের মধ্য দিয়ে ট্রেন জার্নি এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা যে কোনও পর্যটকদের জন্য। এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও মুগ্ধ করার মতো। এখান থেকে চাইলে আপনি ২০ রূপীর বিনিময়ে দূরবিক্ষণের সাহায্যে চীনের বর্ডার দেখতে পাবেন। এখানে মনোরম পরিবেশে আপনি বেশ কিছু সময় কাটাতে পারেন।

দার্জিলিং হিমালায়ান রেলওয়ে (Darjeeling Himalayan Railway) : ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং এর পাহাড়ী আঁকাবাঁকা রাস্তা ও বাঁকের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করা ছোট্ট বাষ্প ইঞ্জিন চালিত ট্রেন দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এই রেলওয়েই একসময় দেশের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন ব্যবস্থা ছিল। “দার্জিলিং টয় ট্রেন” হিসেবেও পরিচিত এই ট্রেন জার্নি দার্জিলিং এর এক মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা। অনেকেই কোলকাতা ও বলিউডের বিভিন্ন মুভিতে এই ট্রেনের চারপাশের চমৎকার দৃশ্য দেখে থাকবেন। তবে এই ট্রেনে ভ্রমণ করতে হলে আগের থেকে টিকেট কাটতে হবে না হলে টিকিট পাবেন না।

দার্জিলিং চিড়িয়াখানা (Darjeeling Zoo): প্রায় ৬৭.৫৬ একরের এই পার্ক হিমালায়ান পার্ক নামেও পরিচিত। পাহাড়ে অবস্থিত এই পার্কে হিমালায়ান অঞ্ছলের স্নো লিওপার্ড, হিমালায়ান নেকড়ে, ক্লাউডেড লিওপার্ড, কালো ভাল্লুক ও রেড পাণ্ডার মতো বিরল কিছু প্রাণীসহ পাখি ও সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীদের দেখা মিলবে। এই পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ মিউজিয়াম আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ পর্যটকদের জন্য। এইপার্কে প্রবেশ মূল্য ৬০ রুপি আর ক্যামেরার জন্য বাড়তি ১০ রুপি দিতে হবে। তবে আমার ব্যাক্তিগত পরামর্শ যারা বাংলাদেশের চিড়িয়াখানা অথবা সাফারি পার্ক দেখেছেন তারা এখানে না ঢোকাই ভালো কেবল মাত্র ২ ঘন্টা সময় নষ্ট হবে।

হ্যাপি ভ্যালি টি ষ্টেট (Happy Valley Tea State): ১৮৫৪ সালে স্থাপিত দার্জিলিং শহরের দ্বিতীয় প্রাচীন চা বাগান। এই সুন্দর চা বাগান থেকে পুরো শহরের প্যানোরোমিক ভিউ দেখা যায়। ১০০ রুপি খরচ করে গাইডের মাধ্যমে পুরো চা বাগান ও চা উৎপাদন দেখতে পারবেন। আবার ইচ্ছে থাকলে এখানে চা খাওয়ার সাথে চা পাতা কেনারও সুযোগ আছে। তবে হাটতে না পারলে এই পর্ব টা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

বেঙ্গল ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম (Bengal Natural History Museum): পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরে আসার জন্য সুন্দর একটি জায়গা। এই জাদুঘরের মধ্যেই হিমালায়ান মাউন্টেনারিং ইন্সটিটিউট অবস্থিত। বিভিন্ন পশু পাখির দেখা পাওয়া যাবে এই মিউজিয়ামে। ১০০-১৫০ রুপি খরচ করে স্থানীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে ছবি তোলারও সুযোগ আছে।

হিমালায়ান মাউন্টেননিয়ারিং ইন্সটিটিউট (Himalayan Mountaineering Institute): বিশ্বের অন্যতম পর্বতারোহণ কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত এই ইন্সটিটিউটের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল পর্বতারোহণের ব্যাপারে সাধারন মানুষকে উৎসাহী করা। বিশ্বের অসংখ্য পর্বতারোহী তাদের দক্ষতা বিকাশের জন্য এখানে আসে। আর বর্তমানে পর্যটন স্পট হিসেবেও এই ইন্সটিটিউট যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই ইন্সটিটিউট থেকে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ চূড়া কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউ সত্যিই মনোমুগ্ধকর। পর্যটন বিষয়ে আগ্রহ থাকলে এখানে কিছু সময় জ্ঞ্যান অর্জন করতে পারেন।

সেন্ট জোসেফ স্কুল নর্থ পয়েন্ট
(St.Joseph School North Point): এটি ইংরেজ সময়ের একটি বিখ্যাত স্কুল। এখানে হিন্দি ম্যা হু না সিনেমার শ্যুটিং হয়েছিল।

প্যাগোডা বা মনেস্ট্রি(Monestery): দার্জিলিংয়ের প্যাগোডা ও মনেস্ট্রির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ঘুম মনেস্ট্রি (Ghum Monastery)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত প্রাচীন এই মন্দিরের ১৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বৌদ্ধ মূর্তি ও এখান থেকে সুন্দর সূর্যোদয় দেখা যায়। শান্তির প্রতীক হিসেবে পরিচিত চারটি বৌদ্ধ মূর্তির পিছ প্যাগোডা (Peace Pagoda) অনেক ভালো লাগবে। জাপানিজ বৌদ্ধ মন্দিরে (Japanese Buddist Temple) জাপানিদের ঐতিহ্যবাহী স্টাইলে তৈরি করা বেশ কিছু মন্দির ও প্যাগোডা দেখার সুযোগ হবে এই মন্দিরে।
এছাড়াও সময় থাকলে প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী তেনজিং-রক-এর স্মৃতিস্তম্ভ, শরণার্থী কেন্দ্র তিব্বতিয়ান সেলফ হেল্প সেন্টার, ৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত দার্জিলিং গোরখা স্টেডিয়াম, দার্জিলিং মিউজিয়াম, আভা আর্ট গ্যালারি, শতবর্ষের প্রাচীন দিরদাহাম টেম্পল, গঙ্গামায়া পার্ক, হিমালয় কন্যা কাঞ্চন-জংঘা এবং ভিক্টোরিয়া ফলস এর মতো জায়গাগুলোও ঘুরে দেখতে পারেন।

রোপ ওয়ে (Ropeway): রোপ ওয়ে হচ্ছে দার্জিলিংএর অন্যতম আকর্ষণের একটি। ৫৫০০ ফিট উপর থেকে ১৬ কিলো দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ক্যাবল কারে চা বাগানের উপর ঘুরে বেড়ানোর যে অসীম আনন্দ তা আপনি উপভোগ করতে পারবেন ৪০০ রূপীর বিনিময়ে।

প্যারাগ্লাইডিং(Paragliding): দার্জিলিং এর আর একটি অন্যতম আকর্ষণ এটি। প্যারাসুটে করে পাখির মত পাহার পর্বতে উড়তে পারবেন এবং উপভোগ করবেন পাখির দৃষ্টিতে দার্জিলিং। প্যারাগ্লাইডিং করতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম মানতে হবে, যেমন আগের দিন নির্দিষ্ট বুথে ২০০০ রুপী জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে এবং একটি ফর্ম এ বন্ড সই দিতে হবে। এজন্য যে কোন প্রকার দূর্ঘটনার জন্য আপনি নিজেই দায়ী। আর আপনার ওজন হতে হবে ওদের রিকুয়ারমেন্ট অনুযায়ী। যদিও দূর্ঘটনার কথা শোনা যায়না। কারণ একজন প্যারা ড্রাইভার আপনার সাথে থাকবেন।

মল পয়েন্ট (Mall Point):
দার্জিলিং শহরের সবথেকে জনপ্রিয় স্থান এটি। সকাল থেকে রাত অবধি এই স্থানটি থাকে জনসমারোহে জমজমাট। দার্জিলিং গেলেন আর কিছু সময় মল পয়েন্টে কাটালেন না, তাহলে আপনার দার্জিলিং ভ্রমণ ব্যর্থ।

আর একটি বিশেষ বিনোদন এখানকার একমাত্র ডিজিটাল সিনেমা হল (INOX),অত্যাধুনিক এই হলে আপনি একটা মুভি দেখতেই পারেন। আশা করি আনন্দ পাবেন। সিনেমা হল টি দার্জিলিং শহরে ট্রাফিক মোড়ের কাছেই বিগবাজার ভবনের দ্বিতীয় তলায়।

দার্জিলিং ভ্রমণের উপযুক্ত সময়ঃ
পরিষ্কার কথা আপনি যদি শীতে ভয় পান তাহলে আপনার জন্যে এপ্রিল থেকে জুন মাস হচ্ছে উপযুক্ত সময়। আর যারা শীত পছন্দ করেন তাদের জন্যে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর দার্জিলিং ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। কারণ এই দুই সময়ে দার্জিলিং দুই রকম সৌন্দর্য ধারণ করে। তবে মনে রাখবেন জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস দার্জিলিঙে প্রচুর শীত নামে। এ সময় মাঝে মধ্যে হাল্কা স্নোফল হয়।

কিভাবে যাবেনঃ
দার্জিলিং যাওয়ার জন্যে আপনি যেখান থেকেই আসেন, বাই রোডে বা ট্রেনে আসলে আপনাকে নিউ জলপাইগুড়ি অথবা শিলিগুড়ি রেলস্টেশনে পৌছতে হবে। আর বিমানে আসলে বাগডোগরা বিমানবন্দর নেমে অটো নিয়ে চলে আসেন শিলিগুড়ি জংশন এ। এখান থেকে ট্যাক্সি, বাস এবং শেয়ারিং জীপ পাওয়া যায় দার্জিলিং যাওয়ার। পরিবার সদস্য বেশী হলে একটা জীপ রিজার্ভ নিয়ে নেন। ২৫০০ থেকে ৩৫০০ রুপি ভাড়া নিবে। আর শেয়ারিং যেতে চাইলে জীপে প্রতিজন ২৫০ রুপি নেয়। ট্যাক্সি নিলে ২ থেকে আড়াই হাজার রুপি নিবে। আর বাসে গেলে ৮০ রুপি নেয়। তবে দার্জিলিং শহরে প্রবেশ পথ টাই হচ্ছে সবথেকে রোমাঞ্চকর তাই চেষ্টা করবেন ট্যাক্সি কিংবা জীপ এ যেতে। পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে পাহাড়ী ভিউ দেখতে দেখতে কখন ২ ঘন্টা পার হয়ে যাবে টের পাবেন না।

কোথায় থাকবেনঃ
দার্জিলিং এ ছোট বড় মিলে অসংখ্য হোটেল রয়েছে। ৫০০ থেকে শুরু করে ৫ হাজার পর্যন্ত এসব হোটেল এর ভাড়া। তবে মোটামুটি ডাবল বেড এর মান সম্মত রুম থাকার মত ১ হাজার থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। মনে রাখবেন দার্জিলিং এ ট্যুর মৌসুমে হোটেল ভাড়া ইচ্ছেমত চাইবে আপনি রুম দেখে দড়দাম করে হোটেল ঠিক করবেন। এখানে সব হোটেল ই মোটামুটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সুতরাং আসার আগে হোটেল বুকিং দেয়ার কোন দরকার নেই। বরং দার্জিলিং পৌছে ফ্যামিলি এবং লাগেজ থাকলে এক জায়গায় রেখে আপনি হোটেল দেখতে বের হোন। আর অবশ্যই হোটেল নিবেন মল পয়েন্ট থেকে একটু দূরে, তাহলে ভাড়াটা কিছুটা কম পাবেন।

কি খাবেনঃ
দার্জিলিং এ স্থানীয় খাবার সহ সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়। এছাড়া বিকাল থেকে রাত অবধি প্রচুর স্ট্রীট ফূডের দোকান নানারকম খাবারের পসরা নিয়ে বসে। মমো, চাওমিন, ফ্রাইড চিকেন, বিভিন্ন রকম চা, কাবাব আরো কত কি! এছাড়া এখানে অনেকগুলো বার রয়েছে।
আর আপনি যদি একেবারে হালাল খাবার খেতে চান তাহলে সোজা চলে যান শহরের একমাত্র মসজিদের পাশে ইসলামিয়া হোটেল এ। এখানে গরু মাংসের অনেক আইটেম সহ পেয়ে যাবেন অন্যান্য আইটেম। তবে দার্জিলিং এ গরু মাংস অন্যে ধর্মের প্রায় স্থানীয় লোকজন খায়। খাবার মূল্যে এখানে আমাদের দেশের মতই বলা চলে।

কেনাকাটাঃ
যেহেতু দার্জিলিং সারা বছর শীত থাকে সেজন্য এখানে নানারকম শীতের পোষাক সহ শীতের বিভিন্ন উপকরণ পাবেন, যা অন্য কোথাও পাবেন না। সুতরাং এখান থেকে শীতের কাপড় কিনতে পারেন। আর এখানে অনেক জাতের ফল ও ফুল গাছের চারা ও বীজ কিনতে পাওয়া যায়। চাইলে দূর্লভ জাতের কিছু ফুলের বীজ নিতে পারেন। ফুলের বীজ প্যাকেট করা থাকে তাই বর্ডারে সেটা আটকায় না।

খরচঃ
দার্জিলিং ভ্রমণ ব্যয় কেমন হবে তা নির্ভর করে আপনি কোথায় থাকছেন, এবং কি খাচ্ছেন এর উপর নির্ভর করে। আর এখানে যে হোটেলেই উঠুন বিভিন্ন স্থান দেখার ব্যবস্থা টাকার বিনিময়ে তারাই করে দিবেন, এক্ষেত্রে তাদের উপরে ভরসা রাখতে পারেন। মনে রাখবেন দার্জিলিং এর স্থানীয় মানুষ সহসা অন্যায় কাজে জড়ায়না।

যেহেতু দার্জিলিং এর হোটেল গুলো সব পাশাপাশি তাই কোন নির্দিষ্ট হোটেল এর ঠিকানা দিলাম না। তবে Travel Itinerary গ্রুপের মেম্বারদের জন্যে Hotel Swati তে রয়েছে বিশেষ ডিসকাউন্ট।
Hotel Swati
Manager: Mr Baghchi
Mob: +91 9093426991

Address

Rajshahi
6203

Telephone

+351920026645

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Travel Itinerary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Travel Itinerary:

Videos

Share


Other Tourist Information Centers in Rajshahi

Show All

You may also like