04/07/2021
প্রিয় ভ্রমণ পিপাসু,
দীর্ঘ লকডাউনে থেকে একঘেয়ে হয়ে গেছেন। ইনশাআল্লাহ সামনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বেরিয়ে আসতে পারেন এশিয়ার সবথেকে জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট প্লেস থাইল্যান্ড এর পাতায়া শহর থেকে। আজ পাতায়া শহরের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ও তথ্য বর্ণনা করবো।
পাতায়া
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে প্রায় ১৫৮ কিলো দূরে অবস্থিত পাতায়া (Pattaya) শহর। এশিয়ার মধ্যে অন্যতম একটি হানিমুন স্পট হিসেবে পরিচিত এই পাতায়া। সমুদ্রের হাতছানির সাথে সাথে দেখা মিলে অন্যরকম এক রঙ্গিন রাতের শহরের। আর পাতায়ার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে প্রতিবছর প্রায় লক্ষ লক্ষ পর্যটকের সমারোহ ঘটে থাইল্যান্ড এর এই সুন্দর সমুদ্র সৈকত ঘেঁষা শহরে।
পাতায়ার দর্শনীয় স্থানঃ
“পাতায়া” নামটার সাথে জড়িয়ে আছে বিনোদনের সকল আয়োজন। কি নেই এই শহরে? চাইলে সি বিচের ডেকচেয়ারে আয়েশ করে গাঁ এলিয়ে সমুদ্র দেখতে পারেন বা সৈকতের পাশে থাকা রেস্টুরেন্ট থেকে খেতে পারেন নানা ধরনের লোভনীয় খাবার। আবার ইচ্ছে হলে প্যারা গ্লাইডিং এর মতো রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার স্বাদ ও নিতে পারেন, আবার রৌদ্রজ্জ্বল দিনেসান বাথ করার মতো মজাও নিতে পারেন। পুরো শহরে ঘুরে দেখার মতো জায়গার অভাব নেই যদি আপনার সময় আর টাকার অভাব না থাকে। মূলত পাতায়া সি বিচ, শহরের প্রধান আকর্ষণ হলেও শহরের মাঝেও দেখার মতো অনেক জায়গা আছে।
Nong Nochtropical Botanical Garden : ছোট থেকে বড় সবারই ভালো লাগবে এখানে গেলে। এই বাগান আসলে কয়েকটি বাগানের সম্মেলিত রূপ, এখানে আছে ১৭ শতকের ফরাসি বাগান, ইউরোপিয়ান রেনেসা বাগান এবং বিভিন্ন প্রজাতি হিসেবে আলাদা বাগান, অর্কিড ফুলের বাগান। এছাড়াও আছে লাইভ শো যেখানে তলোয়ার যুদ্ধ, ঐতিহ্যবাহী থাই নাচ ও থাই কিক বক্সিং উপভোগ করতে পারবেন।
Sanctuary of Truth : এই পুরো স্থাপত্য শিল্পটি কাঠ দিয়ে তৈরি। দৃষ্টিনন্দন এই ভবনটি প্রাচীন ধর্ম ও দর্শনের উপর শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। এই জায়গা পরিদর্শন করলে আপনি থাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, থাই বক্সিং দেখার সাথে সাথে স্পিড বোট ও হাতি বা ঘোড়ার পিঠে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
Jomtien Beach : শহর থেকে ৪ কিলো দূরে অবস্থিতি এই বীচে আপনি সান বাথ করার সাথে সাথে জেট স্কিইং, কিইটস সার্ফিং, প্যারা সেলিং ও উইন্ড সার্ফিংকরার মতো রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।
Khao Chi Cyan (Buddha Mountain) : পাতায়া শহরের ধর্মপ্রাণ মানুষদের জন্য এক ধর্মীয় প্রতীক এই পর্বত। এই পর্বতে গৌতম বৌদ্ধের ছবি খোঁদাই করা আছে। এই পর্বতের আসে পাশের প্রকৃতিও দেখার মতো সুন্দর।
Big Buddha (Wat Phra Yai) : সাউথ পাতায়ার Pratumnak Hill এর উপর নির্মিত ১৮ মিটার লম্বা বৌদ্ধ মুর্তি যা সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১০০ মিটার উচুতে অবস্থিত। এই পাহাড় চূড়ায় রয়েছে পাতায়া ভিউ পয়েন্ট। এইখান থেকে পাতায়া সিটি এবং সাগরের সুন্দর ভিউ দেখা যায়।
Underwater World Pattaya : থাইল্যান্ডের প্রথম পানির নিচে অবস্থিত আধুনিক এ্যাকুরিয়াম, এখানে কার্প জাতীয় কৈ মাছ, শার্ক ও হাঙ্গর মাছ খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন, মনে হবে যেন আপনিও ওদের সাথে পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছেন।
Koh larn Island (কোরাল আইল্যান্ড) : পাতায়া বীচের মতো আরেকটা সুন্দর বীচ কোরাল আইল্যান্ড। এখানে মূলত কয়েকটি বীচ একসাথে তাই সকাল বেলা রওনা দিলে ওখানে পৌঁছে ভালো ভাবে দ্বীপটা দেখা দেখা যাবে। ওয়াকিং স্ট্রীট এর শেষ প্রান্ত থেকে কোরাল আইল্যান্ড এর ফেরি ছাড়ে, সময় লাগে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট। আবার পাতায়া বীচ থেকে স্পীড বোটেও যাওয়া যায় এই আইল্যান্ডে।
Mini Siam : থাইল্যান্ড সহ বিশ্বের বিস্ময়কর সৃষ্টি গুলো দেখতে ঘুরে আসতে পারেন এই মিনি সিয়াম থেকে। এখানে রয়েছে ব্যাংককের ভিক্টোরি মনুমেন্ট, ওয়াট অরুন, নিউ ইয়র্কের স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজ, সিডনীর অপেরা হাউজ এবং প্যারিসের ল’আর্ক দে ট্রিওম্পে। তবে এখানে বুকিং একদিন আগে দিতে হয়।
Repleys Believe It or Not Museum : পৃথিবীর সকল অদ্ভুত, সুন্দর ও সাড়া জাগানো জিনিসগুলো প্রদর্শনী করা আছে এই জাদুঘরে। পাতায়া শহরের এই জাদুঘর সবার বিশেষ আগ্রহের একটি জায়গা। এখানে এন্ট্রি ফি জনপ্রতি ৩৫০ বাথ।
Million Years Stone Park & Pattaya Crocodile Farm : এই পার্কটি বিভিন্ন বনসাই জাতীয় গাছ, রঙ্গিন ফুল, পাথর ও পানির ফোয়ারা দিয়ে ঘেরা। প্রতিদিন অসংখ্যবার দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী কুমিরের শো হয়ে থাকে। কুমির ছাড়াও এখানে অন্যান্য অনেক প্রাণী আছে।
Walking Street : পাতায়া শহরের বিনোদনের কেন্দ্রস্থল বলা যায় এই ওয়াকিং স্ট্রীট কে। দিনের বেলা নিরব থাকা walking street রাতে এক অন্য রূপ ধারন করে। বিনোদনের নানা উপকরণের সাথে সাথে এক অন্য রকম রঙ্গিন শহরের দেখা মিলবে এখানে। তবে সন্ধ্যের পর এখানে ভুলেও বাচ্চাদের নিয়ে যাবেন না।
Art in Paradise : এটা মূলত একটি ইল্যুশন জাদুঘর আর ছবি প্রেমীদের জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা।
Pattaya Floating Market : পানির উপর ভাসমান এই মার্কেটে পাবেন নানা ধরনের জিনিস।
Tiger Park : এখানে বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে বাঘ ধরার মতো মজার এক খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
পাতায়ার পুরো শহরে ক্লাবের কোন অভাব নেই। বেশ কিছু ক্লাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- Mix Discotheque, Planet Earth Beach Club, Club Insomnia, Limalima, Airport Club, FFlic Cliff & Pool Club, The Pier Disco Club.
শহরের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের পার্ক যেখান বাচ্চা সহ বড়রাও বেশ মজা পাবে। যেমন- Chan Siam Park, Ramayana Water Park, Cartoon Network Amazone, Amazon Fishing Park এবং Three Kingdom Park.
এছাড়াও সারা বছর জুড়ে শহরে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক ও ফেস্টিভ্যাল শো হয় প্রায়ই। যেমন-Alangkarn Pattaya Show, The Tiffany Show।
এই শো গুলো দেখলে থাইল্যান্ডের সংস্কৃতির ব্যাপারে একটা ভালো ধারনা হবে।
এছাড়াও যেতে পারেন Elephant Village, Teddy Bear Museum, Central Festival Pattaya Beach, Anek Kusunsala, Konlanta Island, Pattaya Park Tower, Wat Yansangwararam, Pattaya Dolphin World, Mimosa Pattaya এর মতো জায়গায়।
কিভাবে যাবেনঃ
থাইল্যান্ডের (Thailand) ব্যাংকক থেকে পাতায়ার দূরত্ব ১৫৮ কিলো। ব্যাংকক (Bangkok) থেকে পাতায়া যেতে পারেন থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ বিমান বা বাসে। বিমানে পাতায় যেতে সময় লাগে প্রায় ১.৫ঘন্টা আর বাসে গেলে প্রায় ৪ ঘণ্টা। বাসে যাবার ক্ষেত্রে , সুবর্ণভূমি বিমান বন্দরের লেভেল ১ এর ৮ নাম্বার গেটে পাতায়া যাওয়ার টিকেট পাওয়া যায়। ভাড়া বাংলাদেশী টাকায় ৩০০ টাকা আর থাইল্যান্ডের হিসেবে ১২০ বাথ। একটা বড় সুবিধা হল রাত ১০টা পর্যন্ত আপনি প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাস পাবেন। আবার গ্রুপ করে ঘুরতে গেলে গাড়ি ভাড়া করেও ব্যাংকক শহর থেকে পাতায়া যাওয়া যায়। সেই ক্ষেত্রে সময় লাগবে ২ ঘণ্টার মতো।
পাতায়ার বিশেষ আকর্ষণঃ
থাই স্পা, প্যারাগ্লাইডিং, স্নোরকেলিং, সান বাথ আর রাতের পাতায়া শহর। প্যারা সেলিং হল একটি দড়ি দিয়ে প্যারাসুটের সাথে আপনাকে বেধে দিবে তারপর একটা স্পীড বোটে করে সাগরের উপর দিয়ে ঘুরাবে। যারা থ্রিল ও এডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাদের জন্য নিঃসন্দেহে ভালো লাগার মতো একটা রাইড প্যারা সেলিং।
আবার কারো সাগরের অজানা রহস্য জানার ইচ্ছে থাকলে স্নোরকেলিং বা স্কুবা ড্রাইভিং করতে পারেন। এটা মূলত একজন অভিজ্ঞ গাইডের মাধ্যমে সাগরের গভীরে গিয়ে নানা ধরনের জলজ প্রাণী, মাছ ও উদ্ভিদ দেখার একটা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। সাথে নিজেদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথে সাথে ছবি তোলা, ভিডিও করার ও সুযোগ থাকে।
কোথায় থাকবেনঃ
পাতায়া তে থাকার জন্য বীচ এরিয়া ও ওয়াকিং স্ট্রীট এ বেশ কিছু হোটেল আছে। যেমন- হোটেল রেড প্ল্যানেট, গোল্ডেন সী পাতায় হোটেল, পাতায়া গার্ডেন হোটেল, জিং, জমটিএন মর্নিংস্টার গেস্ট রুম, পাতায়া ব্লু স্কাই হোটেল গুলোতে ১০০০- ১৫০০ টাকার মধ্যে দুই জনের থাকার জন্য রুম পেয়ে যাবেন। আর ৪/৫ জন মিলে পাতায়া ভ্রমণে গেলে ২৫০০-৩০০০ এর মধ্যে ভালো ৪ স্টার হোটেলে উঠতে পারেন, সেই ক্ষেত্রে খরচ বেশ কম হবে আর ৪ স্টার হোটেলের বাড়তি অনেক সুবিধাও পাওয়া যাবে। এগুলো ছাড়াও পাতায়া শহরের ভিতরে অসংখ্য হোটেল অনেক সস্তায় পেয়ে যাবেন। আর যদি কোরাল আইল্যান্ডে এ থাকতে চান, সেখানেও থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল আছে। তবে কোরেল আইল্যান্ড এর হোটেল এর ভাড়া পাতায়া শহরের থেকে একটু বেশী।
কি খাবেনঃ
থাইল্যান্ডের স্থানীয়দের খাবার মূলত চাইনিজ ও থাই। তবে আমরা বাংলাদেশে সাধারনত যে ধরনের চাইনিজ খাবার খেতে অভ্যস্ত সেই খাবার থেকে এই চাইনিজ খাবার বেশ আলাদা আর স্বাদেও অনেক পার্থক্য। তাই যারা অরিজিনাল চাইনিজ খাবার খেতে অভ্যস্ত তারাই শুধু এই খাবার খেতে পারবে। তবে ভিন্ন রকমের খাবারের স্বাদ পেতে অবশ্যই টেস্ট করে দেখতে পারেন। এছাড়াও আছে পিজ্জা হাট, ম্যাকডোনাল্ড যেখানে অনায়েসে খেতে পারেন নানা ধরনের মজার চিকেন আইটেম। আর পাতায়া বিচের কাছে আছে বেশ কিছু রেস্তোরা। এখানে পাবেন নানা ধরনের সী ফুড যেমন। আর রাস্তার পাশে একদম নতুন অদ্ভুত কিছু খাবার পাবেন এখানে। নানা ধরনের পোকামাকড় ভাজা থেকে শুরু করে সাপও পাওয়া যায়, এগুলো স্থানীয়রা খেতে বেশ পছন্দ করে। আর যদি সব বাদ দিয়ে বাঙ্গালি খাবার খেতে চান তাহলে ওয়াকিং স্ট্রীট বা বীচ রোডের পাশে বেশ কিছু বাঙ্গালি রেস্তোরা আছে সেখানে যেতে হবে। এছাড়াও রাস্তার পাশে একটু পর পরই 7 Eleven ও Family Mart এর মতো সুপার শপ পাবেন, এখানে কম দামে ভালো খাবার পাবেন। এখানকার টম ইয়াম সুপ বেশ মজার। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের সী ফুড পাবেন। তবে সাবধান, মুসলিম রা খেয়াল রাখবেন এখানকার প্রায় হোটেল এ শুকরের মাংস পাওয়া যায়। তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো ভাবে জেনে নিবেন। এখানে আস্ত হাঁসের ফ্রাই এর খুব কদর, চাইলে ট্রাই করতে পারেন।
কেনাকাটাঃ
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে পরামর্শ দিব পাতায়া থেকে তেমন কিছু না কিনতে। কারণ কেনাকাটার জন্যে ব্যাংকক শহর বিখ্যাত। তবে এখান থেকে এখানকার স্মৃতি স্বরুপ কিছু স্যুভেনির কিনতে পারেন।
বিঃদ্রঃ আগামী পোস্টে ব্যাংকক ভ্রমণে শপিং এর ডিটেইলস দিব ইনশাআল্লাহ।
খেয়াল রাখবেনঃ
বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় থাইল্যান্ডের মুদ্রা বাথ সাথে নিয়ে যাওয়া ভালো। এতে বাড়তি সুবিধা হল বিমানবন্দরে নেমেই নতুন সিম কেনা সহজ হয়, আবার ট্যাক্সি ভাড়া করার ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়।
থাইল্যান্ড এ প্রায় ট্যাক্সি ড্রাইভার আপনাকে অনেক কিছু অফার করবে সেগুলোতে কান দিবেন না, কারণ তাতে ঠকার চান্স বেশী থাকে।
পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কারো সাথে যেতে পারেন, তাতে খরচ বেশ কম হবে।
থাইল্যান্ডরের সব জিনিসেরই দাম অনেক। তাই একটু দামাদামি করে কেনার চেষ্টা করবেন।
থাইল্যান্ডরের স্থানীয়রা ইংরেজি কম বুঝে। তাই কিছু সাধারন শব্দ শিখে নিতে পারেন বা একটা ছোট নোট বুক সাথে রাখতে পারেন তাতে কথা বলতে সুবিধা হবে।
পাতায়া শহরে গরম খুব বেশী। এজন্য উপযুক্ত সান প্রোটেকশন নিয়ে যাবেন।
শহর ভালো ভাবে দেখা ও বীচের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রচুর হাঁটতে হয়। এজন্য একটু পর পরই পাতায়া শহরে ম্যাসাজের দোকান চোখে পড়বে। ফুট ম্যাসাজ আর হেড ম্যাসাজ করে দেখতে পারেন ভালো লাগবে। তবে অবশ্যই নিজের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিজ দায়িত্বে সাবধানে রাখবেন কারন ম্যাসাজ করতে গিয়ে অনেকেই জিনিস হারিয়ে ফেলে বা চুরি হয়।
দূর্বল হার্টের কারো প্যারা সেলিং করা ঠিক হবে না। সেই ক্ষেত্রে প্যারা সেলিং বা প্যারাগ্লাইডিং বাদ দেওয়াই ভালো।
স্কুটি ভাড়া নিয়ে কোরাল দ্বীপ ঘুরলে সবগুলো বীচ ঘুরে দেখতে সুবিধা হবে।
কোরাল আইল্যান্ডে যেতে হলে আগে থেকেই প্যাকেজের জন্য বুকিং দিতে হয়। প্যাকেজের মধ্যে পাতায়া থেকে কোরাল আইল্যান্ডে যাওয়া আসা ও খাওয়া দাওয়া যুক্ত থাকে। তাই যেদিন যাবেন তার একদিন আগে বুকিং দিলেই হবে।
বৌদ্ধ পর্বতের সামনের মন্দিরে যেতে হলে যথাযথ ভাবে কাপড় পড়ে যেতে হবে যাতে শরীরের কাঁধ হতে পা পুরোপুরি ঢাকা থাকে। এটা তাদের রীতি।
আপনার ভ্রমণ সুন্দর ও নিরাপদ হোক।