15/11/2023
✔️ইন্ডিয়ান ভিসা নিয়ে যত প্রশ্ন !
যাদের ডিসেম্বর এবং জানুয়ারীতে ট্রিপ প্লান রয়েছে তারা ভিসার কাজ শুরু করতে পারেন।।
✔️ ইন্ডিয়ান ভিসা নিয়ে যত প্রশ্নঃ-
প্রশ্নঃ ইন্ডিয়ান ভিসা করার জন্য পূর্ব শর্ত কি?
উত্তরঃ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্টের মেয়াদ মিনিমাম ৬ মাস থাকতে হবে।
প্রশ্নঃ ইন্ডিয়া কি কি ভিসা প্রদান করে?
উত্তরঃ ১) বিজনেস/ ব্যবসায়িক ভিসা ২) দীর্ঘমেয়াদী সফর ভিসা ৩) ট্রানজিট একক প্রবেশাধিকার ভিসা ৪) ট্রানজিট দ্বি-প্রবেশাধিকার ভিসা ৫) মেডিকেল/মেডিকেল এটেনডেন্ট ভিসা ৬) স্টুডেন্ট/শিক্ষার্থী ভিসা ৭) রিসার্চ/ গবেষণা ভিসা ৮) কনফারেন্স/ সম্মেলন ভিসা ৯) এমপ্লয়মেন্ট/ কর্মসংস্থান ভিসা ১০) ট্রেইনিং/ প্রশিক্ষণ ভিসা।
প্রশ্নঃ ভিসার আবেদন করার আগে আমাকে কি কি কাজ সেরে রাখা ভাল?
উত্তরঃ ১) রঙ্গিন পোশাকে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে ২X২ সাইজের ছবি তুলবেন। ছবির সফট কপি এবং হার্ড কপি নিবেন।
২) ব্যাংক স্ট্যাট্মেন্ট বা ডলার এন্ডরসমেন্ট করে নিবেন। ব্যাংক স্ট্যাট্মেন্ট গত ৬ মাস থেকে ঐদিন পর্যন্ত নিবেন। ব্যাংকে এন্ডিং ব্যালেন্স মিনিমাম ২০ হাজার থাকতে হবে। আর যদি ডলার এন্ডরসমেন্ট করেন তাহলে মিনিমাম ১৫০ ডলার এন্ডরস করতে হবে। তবে বেশি করা ভাল।
প্রশ্নঃ অনলাইনে আবেদন করতে হয় কিভাবে?
উত্তরঃ https://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa/ এই সাইটে গিয়ে এপ্লাই অনলাইনে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ অনলাইনে আবদেন সাবমিট করার পর আমাকে কি করতে হবে? ই-টোকেন/এপয়েনমেন্ট লাগবে?
উত্তরঃ সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ঢাকায় ভিসা সেন্টারে এখন ২ দিনের ভেতর এপয়েনমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে।। কাজেই এখন নিজের ভিসা খুব সহজে নিজে নিজেই করা যায়।
নোটঃ ঢাকায় শুধু যমুনা ফিউচার পার্ক ভিসা সেন্টারে মেডিকেল ভিসা জমা দেওয়া যাবে।
প্রশ্নঃ ভিসা জমা দেওয়ার দিন আমাকে কি কি কাগজ নিয়ে যেতে হবে বা করতে হবে ?
উত্তরঃ
১) ভিসা আবেদন পত্রের প্রিন্ট।
২) ভিসা আবেদনে ছবি লাগানো এবং ২টা স্বাক্ষর করা পাসপোর্টের মত।
৩) জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি। যেটা দিয়ে পাসপোর্ট করেছেন সেটাই দিবেন।
৪) ব্যাংক স্টেটমেন্ট/ডলার এন্ডরসমেন্ট/ক্রেডিট কার্ড/ট্র্যাভেল কার্ড।
৫) ট্রেড লাইসেন্স/এন ও সি/ স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের কপি।
৬) আবেদনকারীর পাসপোর্টের ফটোকপি।
৭) ফ্যামিলি ভিসার ক্ষেত্রে (বাবা/মা, ভাই/বোন অবিবাহিত, স্বামী/স্ত্রী, ছেলে/মেয়ে) যিনি পাসপোর্ট জমা দিতে আসবে তার পাসপোর্টের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।
৮) পুরাতন পাসপোর্ট সাথে নিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্নঃ ভিসা ফী কত এবং কিভাবে জমা দিবো?
উত্তরঃ সকল ভিসা সেন্টারের ফী এখন থেকে ৮০০ টাকা করা হয়েছে।
পেমেন্টঃ
আপনি আপনার যে কোন বিকাশ, মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট এবং কিছু ব্যাংকের ডেবিট, ক্রেডিট, ভিসা, মাস্টারকারড দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন অনলাইনে।
অনলাইনে পেমেন্ট করতে এখানে যাবেনঃ https://payment.ivacbd.com/
ভিসা জমা দেওয়ার আগের দিন বা যাওয়ার দিন টাকা জমা দিয়ে যাবেন অনলাইনে। টাকা জমা দেওয়া হয়ে গেলে মোবাইলে একটি ম্যাসেজ পাবেন।
প্রশ্নঃ ভিসা সেন্টারে কি আমার কোন ভাইভা নিবে?
উত্তরঃ না। সকাল সকাল ভিসা সেন্টারে চলে যাবেন। গেলেই বাকি প্রসেস বুঝে যাবেন।
প্রশ্নঃ কতদিন লাগবে ভিসা পেতে?
উত্তরঃ নরমালি ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে পেয়ে যাবেন। আবেদন জমা দেওয়ার পর একটা রিসিট দিবে সেখানে আপনার পাসপোর্ট কালেকশনের ডেট লেখা থাকবে।
প্রশ্নঃ আবেদন জমা দেওয়ার পর কি আমি জানতে পারবো কোনভাবে যে আমার ভিসা হয়েছে কিনা বা কি পর্যায়ে আছে আবেদন?
উত্তরঃ ভিসা হয়েছে কিনা সেটা পাসপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বুঝা যাবে না। তবে আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য রেডি আছে কিনা সেটা এখান থেকে দেখতে পারবেনঃ http://ivacbd-etoken.com/
প্রশ্নঃ কোন পোর্ট দিয়ে গেলে আমার জন্য ভাল হবে?
উত্তরঃ বুড়িমারী অথবা ডাউকি পোর্ট দিলে লাভ বেশি। বাকি আগরতলা, বেনাপল বাইরেল গেদে এবং বাই এয়ার এমনি পেয়ে যাবেন।যাস্ট খেয়াল রাখবেন যেই পোর্ট ফর্মে উল্লেখ করবেন সেই পোর্ট দিয়েই ব্যাক হবে এবং সেই ডিরেকশনে হোটেল এড্রেস দিবেন। ডাউকি পোর্ট হলে শিলং এর হোটেল! বুড়িমারী হলে দার্জেলিং, শিলিগুড়ি অথবা গ্যাংটকের হোটেল দিতে পারেন।
প্রশ্নঃ বাংলা কত টাকা নিয়ে যেতে পারবো এবং আনতে পারবো?
উত্তরঃ লিগালি ১০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে এবং আনতে পারবেন।
প্রশ্নঃ রুপি নিতে পারবো?
উত্তরঃ লিগালি রুপি নেওয়া যাবেনা এন্ড্রসমেন্ট ছাড়া।
প্রশ্নঃ ডি.এস.এল.আর নিলে কোন ঝামেলা হবে?
উত্তরঃ না। চাইলে বর্ডার থেকে ডি.এস.এল.আর পাসপোর্টে এন্ডরস করে নিতে পারবেন।
প্রশ্নঃ কত ডলার পর্যন্ত নিতে পারবো?
উত্তরঃ ভারতে ১২০০০ ডলার পর্যন্ত নিতে পারবেন ১ কেলেন্ডার ইয়ারে।
প্রশ্নঃ মেডিকেল ভিসার জন্য কি কি কাগজ লাগবে?
উত্তরঃ
১.পূরণকৃত ফর্মের প্রিন্ট ।
২.ন্যাশানাল আইডি কার্ড বা জন্ম সনদের কপি।
৩.বর্তমান ঠিকানার ৬ মাসের মধ্যের বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের কপি।
৪. ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা বাণিজ্যিক ব্যাংক হতে ডলার এনডোরসমেন্ট।
৫.ইন্ডিয়ান ডাক্তারের এপোয়েন্টমেন্ট।
৬.বাংলাদেশ ডাক্তারের রেফার লেটার।
৭.সদ্য ৬ মাসের মধ্যে মেডিকেলের কাগজপত্র ফটোকপি।
৮.পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
*সকল পুরাতন পাসপোর্ট ও মেডিকেলের মুলকাগজপত্র অবশ্যই সাথে আনতে হবে।
মুল লেখাঃ সাইফুল ইসলাম সুমন।
নতুন কিছু বিষয় সংশোধন করে পোস্ট করা হইলো।
নোটঃ আমাদের আপকামিং ইন্ডিয়া ট্রিপ মেঘালয়,কলকাতা, আন্দামান, কাশ্মীর,সিক্কিম এবং মানালি রয়েছে।
ভিসার আবেদনের জন্য কল করুন ……
+8801842-481839.