20/02/2024
পর্যটনের আনন্দে, তুলশীমালার সুগন্ধে শেরপুর জেলায় আপনাকে স্বাগতম।
মধুটিলাঃ-
ইকোপার্কে ঢুকতে জনপ্রতি ২০ টাকায় টিকিট কাটার ব্যবস্থা রয়েছে।পার্কের গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই নজরে পড়বে উঁচু গাছের সারি। রাস্তা থেকে ডান পাশে খোলা প্রান্তর। একটু এগিয়ে গেলেই দুই পাশে রকমারি পণ্যের দোকান। রকমারি দোকান আর খাবারের দোকান পেরোলেই পাহাড়ি ঢালুর আঁকাবাঁকা রাস্তা। পাহাড়ের প্রবেশপথেই অভ্যর্থনা জানাবে ধূসর রঙের বিশাল আকৃতির শুঁড় উঁচানো পাথরের তৈরি দুটি হাতি।
এরপর যত এগোনো যাবে, ততই মন ভরে যাবে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে। পথে বুনো গাছপালার ফাঁকে ফুটে আছে হরেক রকমের বুনোফুল। এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাওয়ার পথে ঝোপঝাড়ে দেখা মিলবে হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, বানর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, হ্রদের ধারে কুমির, ব্যাঙ আর মৎস্যকন্যার অতি চমৎকার সব ভাস্কর্য। আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথে ঘন ঘন গাছের সারি গভীর অরণ্যের দিকে চলে গেছে। মাঝে মাঝে বসার জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর ব্যাঞ্চ যেখানে গাছের ছায়ায় বসে কাটানো যাবে দুপুর ও বিকেল।
পাহাড়ের চূড়ায় সাইট ভিউ টাওয়ারে উঠলেই চোখ জুড়িয়ে যায় সীমান্ত পেরিয়ে উঁচু উঁচু পাহাড় আর সবুজ অরণ্যের মনোরম দৃশ্য দেখে। দূরের অরণ্যকে একটু কুয়াশাচ্ছন্ন মনে হলেও এর সৌন্দর্যের কোনো কমতি নেই। গারো পাহাড়ের আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথ পেরিয়ে যত দূর এগোনো যায়, ততই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমারোহ।
ওয়াচ টাওয়ারে উঠতে গেলে দিতে হবে প্রতিজন ১০ টাকা করে। ভাগ্য ভালো হলে ওয়াচ টাওয়ার থেকেই মিলতে পারে বুনোহাতির দলের দেখা।
বিভিন্ন রাইড নিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা করে গড়ে তোলা হয়েছে শিশুদের খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক।
প্রবেশ ফি প্রতিজন ২০/৪০ টাকা।
এখানে ভ্রমণপ্রিয়দের দিনের বেলায় ব্যবহারের জন্য রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায় মহুয়া রেস্টহাউস। এটি ব্যবহার করতে চাইলে শেরপুর ডিসি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।তবে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ।
এ ছাড়া এখানে রয়েছে ডিসপ্লে মডেল, তথ্যকেন্দ্র, গাড়ি পার্কিং জোন, ক্যানটিন, মিনি চিড়িয়াখানা। ঔষধি ও সৌন্দর্যবর্ধক প্রজাতির বৃক্ষ, মৌসুমি ফুলসহ বিভিন্ন রঙের গোলাপের বাগান। রয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পটও। পার্কটিতে জীববৈচিত্র্য ও প্রাণীর সমাহারও চোখে পড়বে।
★★★গজনী অবকাশ
অবস্থান - ঝিনাইগাতি, শেরপুর।
প্রাকৃতিক বর্ণনাঃ-
গজনী অবকাশ কেন্দ্র শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। প্রকৃতিপ্রেমিদের মনে গজনী অবকাশ কেন্দ্রের সারি সারি গজারী, শাল ও সেগুন গাছের সারি প্রশান্তি এনে দেয়। শীতকালে গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে ভ্রমণ পিয়াসী মানুষ এখানে ছুটে আসেন । পাহাড়ী ঝর্ণা, লেক, টিলা, ছড়ার স্বচ্ছ জল ও ঘন সবুজ বন এখানকার পরিবেশকে দিয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
প্রবেশ ফি ২০ টাকা। প্রবেশ করেই পাশে দেখতে পাবেন চমৎকার পাহাড়ি লেক। লেকের টলমল সবুজ জল আপনার মনকে আন্দোলিত করবে।
গজনী অবকাশ কেন্দ্রে পাহাড়ী ঝর্ণার গতিপথে বাধ দিয়ে এই কৃত্রিম লেক তৈরি করা হয়েছে। লেকের মাঝে সৃষ্টি করা হয়েছে কৃত্রিম পাহাড় ও লেক ভিউ , যা একটি ঝুলন্ত ব্রীজ দিয়ে সংযুক্ত আছে। গারো পাহাড়ের চূড়ায় ৬ কক্ষ বিশিষ্ট একটি আধুনিক রেষ্ট হাউজ রয়েছে। রেষ্ট হাউজ থেকে পাহাড়ের নিচে মাঠে যাবার জন্য রয়েছে পদ্মাসিঁড়ি নামক একটি আঁকাবাঁকা সিঁড়িপথ। গজনী অবকাশ কেন্দ্রে রয়েছে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ও খেলার মাঠ। পিকনিক করার জন্য এখানে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির নলকূপ, পর্যাপ্ত স্যানিটেশন এবং রান্নার আয়োজন।
এখানে রয়েছে একটি বাঘের গুহা, এই গুহার মুখ দিয়ে প্রবেশ করে পিছন দিক দিয়ে বের হওয়া যায়।
এছাড়াও এখানে রয়েছে একটি শতবর্ষী গাছ। যেখানে দেখতে পাবেন শতকের বেশি মৌচাক।
অবকাশ কেন্দ্রের পূর্ব দিকে রয়েছে সুউচ্চ ডাইনোসরের ভাস্কর্য।
রেস্টহাউজ এর একটু পরেই পাবেন গারোদের ঐতিহ্য সম্বলিত জিনিসের দোকান।
গজনী অবকাশ কেন্দ্রে একটি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে, টাওয়ারে উঠতে গেলে দিতে হবে ১০ টাকা।
এই টাওয়ার থেকে পাহাড়ি টিলার সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়।
এছাড়া আরো রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা, ক্যাকটাস পল্লী, শিশু পার্ক, শিশু রেল,রংধনু ব্রীজ, ক্রিন্সেন্ট লেক, কৃত্রিম জলপ্রপাত, প্যাডেল বোট, পানসিতরী নৌকা, মুক্তিযুদ্ধ স্মুতিসৌধ, কাজী নজরুল ইসলাম ও রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিফলক, পাতাল পথ, লাভলেইন এবং বিভিন্ন প্রানীর প্রতিকৃতি। গজনী অবকাশ কেন্দ্রে আসা ভ্রমণকারীদের বাড়তি পাওনা হিসাবে রয়েছে গারো পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসীদের জীবনযাত্রা।
যেভাবে যাবেনঃ- ঢাকা থেকে শেরপুরগামী অনেক বাস আছে যেমন সোনার বাংলা, টেনিস ক্লাব, ইত্যাদি।
ঢাকা মহাখালী থেকে ভাড়া মাত্র ৩০০/- টাকা।
অথবা ঢাকা মহাখালী থেকে নালিতাবাড়ীগামী অনেক বাস পাবেন, ভাড়া ৩০০/- টাকাই। তবে ঢাকা থেকে শেরপুরগামী বাসে যাওয়াই ভালো। প্রচুর গাড়ি পাবেন। সার্ভিস মোটামুটি মানের।
শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে অটো রিক্সায় করে শেরপুর খোয়ারপাড় শাপলা চত্বরে যাবেন ভাড়া প্রতিজন ১০/- টাকা। শাপলা চত্বরে নেমে গাড়ি নিতে হবে। যদি লোক ৪/৬ জন থাকেন তবে অটো রিজার্ভ নিতে পারেন। ২ টি স্পষ্ট -গজনী ও মধুটিলা ইকোপার্ক (সারাদিন) সন্ধা পর্যন্ত অটো ভাড়া ৫০০/৭০০ টাকা। অর্থাৎ শেরপুর -গজনী-মধুটিলা-শেরপুর। প্রতি অটোতে ৬/৭ জন উঠতে পারবেন।
২ বা ৩ জন হলে ভেঙে ভেঙে যেতে পারেন। শেরপুর শাপলা চত্বর থেকে নন্নী বাজার সিএনজি ভাড়া ৬০-৭০ টাকা প্রতি জন তারপর নন্নি বাজার থেকে মধুটিলা ইকোপার্ক ১৫ টাকা প্রতি জন।
ঢাকা থেকে নাইটের গাড়িতে আসাই ভালো তাতে সকালে শেরপুর এসে পৌঁছাতে পারবেন এবং ঘুরার জন্য সারাদিন সময় পাবেন। আর শেরপুরের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। শেরপুর একটি চমৎকার শহর।
খাবার খাওয়ার জন্য অবশ্যই শেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র নিউমার্কেটে অনেক হোটেল রেস্টুরেন্ট
রয়েছে।
নিরাপদে পার্কিং করে খাবার খেতে পারবেন শহর থেকে ৬ কি.মি. দুরবর্তী আমাদের রেস্তোরা
----
হোটেল জামান রেস্তোরা এন্ড সুইটস -01775024322
আর স্পটে খাবার খেলে অবশ্যই দরদাম করে খাবেন এবং টাকা দেওয়ার আগে হিসাব করে দিবেন।
★★★ যদি কোনোভাবে থাকতে ইচ্ছে হয় তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেননা শেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র নিউমার্কেটের কাছেই রয়েছে 3 স্টার মানের 'হোটেল সম্পদ' আবাসিক । এছাড়াও আরও বেশ কিছু হোটেল রয়েছে এবং সার্ভিস খুব ভালো।
হোটেলের ফোন নাম্বার
সার্কিট হাউজ – ০৯৩১-৬১২৪৫,
হোটেল সম্পদ – ০১৭১২৪২২১৪৫,
কাকলী গেষ্ট হাউজ – ০১৯১৪৮৫৪৪৫০,
হোটেল সাইদ – ০৯৩১-৬১৭৭৬।
হোটেল_জামান - 01777-5024322
বিঃদ্রঃ -কৌতুহলের বশবর্তী হয়েও সীমান্তের দিকে না যাওয়াই ভাল। জরুরী প্রয়োজনে শেরপুর জেলা প্রশাসকের নেজারত শাখায় ফোন করতে পারেন।
ফোন নাম্বারঃ ০৯৩১-৬১৯০০, ০৯৩১-৬১২৮৩।
জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে...
০১৭৭৫০২৪৩২২পর্যটনের আনন্দে, তুলশীমালার সুগন্ধে শেরপুর জেলায় আপনাকে স্বাগতম।
মধুটিলাঃ-
ইকোপার্কে ঢুকতে জনপ্রতি ২০ টাকায় টিকিট কাটার ব্যবস্থা রয়েছে।পার্কের গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই নজরে পড়বে উঁচু গাছের সারি। রাস্তা থেকে ডান পাশে খোলা প্রান্তর। একটু এগিয়ে গেলেই দুই পাশে রকমারি পণ্যের দোকান। রকমারি দোকান আর খাবারের দোকান পেরোলেই পাহাড়ি ঢালুর আঁকাবাঁকা রাস্তা। পাহাড়ের প্রবেশপথেই অভ্যর্থনা জানাবে ধূসর রঙের বিশাল আকৃতির শুঁড় উঁচানো পাথরের তৈরি দুটি হাতি।
এরপর যত এগোনো যাবে, ততই মন ভরে যাবে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে। পথে বুনো গাছপালার ফাঁকে ফুটে আছে হরেক রকমের বুনোফুল। এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাওয়ার পথে ঝোপঝাড়ে দেখা মিলবে হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, বানর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, হ্রদের ধারে কুমির, ব্যাঙ আর মৎস্যকন্যার অতি চমৎকার সব ভাস্কর্য। আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথে ঘন ঘন গাছের সারি গভীর অরণ্যের দিকে চলে গেছে। মাঝে মাঝে বসার জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর ব্যাঞ্চ যেখানে গাছের ছায়ায় বসে কাটানো যাবে দুপুর ও বিকেল।
পাহাড়ের চূড়ায় সাইট ভিউ টাওয়ারে উঠলেই চোখ জুড়িয়ে যায় সীমান্ত পেরিয়ে উঁচু উঁচু পাহাড় আর সবুজ অরণ্যের মনোরম দৃশ্য দেখে। দূরের অরণ্যকে একটু কুয়াশাচ্ছন্ন মনে হলেও এর সৌন্দর্যের কোনো কমতি নেই। গারো পাহাড়ের আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথ পেরিয়ে যত দূর এগোনো যায়, ততই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমারোহ।
ওয়াচ টাওয়ারে উঠতে গেলে দিতে হবে প্রতিজন ১০ টাকা করে। ভাগ্য ভালো হলে ওয়াচ টাওয়ার থেকেই মিলতে পারে বুনোহাতির দলের দেখা।
বিভিন্ন রাইড নিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা করে গড়ে তোলা হয়েছে শিশুদের খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক।
প্রবেশ ফি প্রতিজন ২০/৪০ টাকা।
এখানে ভ্রমণপ্রিয়দের দিনের বেলায় ব্যবহারের জন্য রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায় মহুয়া রেস্টহাউস। এটি ব্যবহার করতে চাইলে শেরপুর ডিসি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।তবে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ।
এ ছাড়া এখানে রয়েছে ডিসপ্লে মডেল, তথ্যকেন্দ্র, গাড়ি পার্কিং জোন, ক্যানটিন, মিনি চিড়িয়াখানা। ঔষধি ও সৌন্দর্যবর্ধক প্রজাতির বৃক্ষ, মৌসুমি ফুলসহ বিভিন্ন রঙের গোলাপের বাগান। রয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পটও। পার্কটিতে জীববৈচিত্র্য ও প্রাণীর সমাহারও চোখে পড়বে।
★★★গজনী অবকাশ
অবস্থান - ঝিনাইগাতি, শেরপুর।
প্রাকৃতিক বর্ণনাঃ-
গজনী অবকাশ কেন্দ্র শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। প্রকৃতিপ্রেমিদের মনে গজনী অবকাশ কেন্দ্রের সারি সারি গজারী, শাল ও সেগুন গাছের সারি প্রশান্তি এনে দেয়। শীতকালে গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে ভ্রমণ পিয়াসী মানুষ এখানে ছুটে আসেন । পাহাড়ী ঝর্ণা, লেক, টিলা, ছড়ার স্বচ্ছ জল ও ঘন সবুজ বন এখানকার পরিবেশকে দিয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
প্রবেশ ফি ২০ টাকা। প্রবেশ করেই পাশে দেখতে পাবেন চমৎকার পাহাড়ি লেক। লেকের টলমল সবুজ জল আপনার মনকে আন্দোলিত করবে।
গজনী অবকাশ কেন্দ্রে পাহাড়ী ঝর্ণার গতিপথে বাধ দিয়ে এই কৃত্রিম লেক তৈরি করা হয়েছে। লেকের মাঝে সৃষ্টি করা হয়েছে কৃত্রিম পাহাড় ও লেক ভিউ , যা একটি ঝুলন্ত ব্রীজ দিয়ে সংযুক্ত আছে। গারো পাহাড়ের চূড়ায় ৬ কক্ষ বিশিষ্ট একটি আধুনিক রেষ্ট হাউজ রয়েছে। রেষ্ট হাউজ থেকে পাহাড়ের নিচে মাঠে যাবার জন্য রয়েছে পদ্মাসিঁড়ি নামক একটি আঁকাবাঁকা সিঁড়িপথ। গজনী অবকাশ কেন্দ্রে রয়েছে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ও খেলার মাঠ। পিকনিক করার জন্য এখানে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির নলকূপ, পর্যাপ্ত স্যানিটেশন এবং রান্নার আয়োজন।
এখানে রয়েছে একটি বাঘের গুহা, এই গুহার মুখ দিয়ে প্রবেশ করে পিছন দিক দিয়ে বের হওয়া যায়।
এছাড়াও এখানে রয়েছে একটি শতবর্ষী গাছ। যেখানে দেখতে পাবেন শতকের বেশি মৌচাক।
অবকাশ কেন্দ্রের পূর্ব দিকে রয়েছে সুউচ্চ ডাইনোসরের ভাস্কর্য।
রেস্টহাউজ এর একটু পরেই পাবেন গারোদের ঐতিহ্য সম্বলিত জিনিসের দোকান।
গজনী অবকাশ কেন্দ্রে একটি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে, টাওয়ারে উঠতে গেলে দিতে হবে ১০ টাকা।
এই টাওয়ার থেকে পাহাড়ি টিলার সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়।
এছাড়া আরো রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা, ক্যাকটাস পল্লী, শিশু পার্ক, শিশু রেল,রংধনু ব্রীজ, ক্রিন্সেন্ট লেক, কৃত্রিম জলপ্রপাত, প্যাডেল বোট, পানসিতরী নৌকা, মুক্তিযুদ্ধ স্মুতিসৌধ, কাজী নজরুল ইসলাম ও রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিফলক, পাতাল পথ, লাভলেইন এবং বিভিন্ন প্রানীর প্রতিকৃতি। গজনী অবকাশ কেন্দ্রে আসা ভ্রমণকারীদের বাড়তি পাওনা হিসাবে রয়েছে গারো পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসীদের জীবনযাত্রা।
যেভাবে যাবেনঃ- ঢাকা থেকে শেরপুরগামী অনেক বাস আছে যেমন সোনার বাংলা, টেনিস ক্লাব, ইত্যাদি।
ঢাকা মহাখালী থেকে ভাড়া মাত্র ৩০০/- টাকা।
অথবা ঢাকা মহাখালী থেকে নালিতাবাড়ীগামী অনেক বাস পাবেন, ভাড়া ৩০০/- টাকাই। তবে ঢাকা থেকে শেরপুরগামী বাসে যাওয়াই ভালো। প্রচুর গাড়ি পাবেন। সার্ভিস মোটামুটি মানের।
শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে অটো রিক্সায় করে শেরপুর খোয়ারপাড় শাপলা চত্বরে যাবেন ভাড়া প্রতিজন ১০/- টাকা। শাপলা চত্বরে নেমে গাড়ি নিতে হবে। যদি লোক ৪/৬ জন থাকেন তবে অটো রিজার্ভ নিতে পারেন। ২ টি স্পষ্ট -গজনী ও মধুটিলা ইকোপার্ক (সারাদিন) সন্ধা পর্যন্ত অটো ভাড়া ৫০০/৭০০ টাকা। অর্থাৎ শেরপুর -গজনী-মধুটিলা-শেরপুর। প্রতি অটোতে ৬/৭ জন উঠতে পারবেন।
২ বা ৩ জন হলে ভেঙে ভেঙে যেতে পারেন। শেরপুর শাপলা চত্বর থেকে নন্নী বাজার সিএনজি ভাড়া ৬০-৭০ টাকা প্রতি জন তারপর নন্নি বাজার থেকে মধুটিলা ইকোপার্ক ১৫ টাকা প্রতি জন।
ঢাকা থেকে নাইটের গাড়িতে আসাই ভালো তাতে সকালে শেরপুর এসে পৌঁছাতে পারবেন এবং ঘুরার জন্য সারাদিন সময় পাবেন। আর শেরপুরের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। শেরপুর একটি চমৎকার শহর।
খাবার খাওয়ার জন্য অবশ্যই শেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র নিউমার্কেটে অনেক হোটেল রেস্টুরেন্ট
রয়েছে।
নিরাপদে পার্কিং করে খাবার খেতে পারবেন শহর থেকে ৬ কি.মি. দুরবর্তী আমাদের রেস্তোরা
----
হোটেল জামান রেস্তোরা এন্ড সুইটস -01775024322
আর স্পটে খাবার খেলে অবশ্যই দরদাম করে খাবেন এবং টাকা দেওয়ার আগে হিসাব করে দিবেন।
★★★ যদি কোনোভাবে থাকতে ইচ্ছে হয় তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেননা শেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র নিউমার্কেটের কাছেই রয়েছে 3 স্টার মানের 'হোটেল সম্পদ' আবাসিক । এছাড়াও আরও বেশ কিছু হোটেল রয়েছে এবং সার্ভিস খুব ভালো।
হোটেলের ফোন নাম্বার
সার্কিট হাউজ – ০৯৩১-৬১২৪৫,
হোটেল সম্পদ – ০১৭১২৪২২১৪৫,
কাকলী গেষ্ট হাউজ – ০১৯১৪৮৫৪৪৫০,
হোটেল সাইদ – ০৯৩১-৬১৭৭৬।
হোটেল_জামান - 01777-5024322
বিঃদ্রঃ -কৌতুহলের বশবর্তী হয়েও সীমান্তের দিকে না যাওয়াই ভাল। জরুরী প্রয়োজনে শেরপুর জেলা প্রশাসকের নেজারত শাখায় ফোন করতে পারেন।
ফোন নাম্বারঃ ০৯৩১-৬১৯০০, ০৯৩১-৬১২৮৩।
জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে...
০১৭৭৫০২৪৩২২