মায়াদ্বীপ Mayadip

মায়াদ্বীপ Mayadip ২০০৭ সালে কবি শাহেদ কায়েস মেঘনা নদী বে
(10)

22/05/2024

কবিতা: প্রকৃতির গণিতে
কবি: শাহেদ কায়েস

#অতঃপর_শব্দায়ন #শিল্প #সাহিত্য #আর্ট #কবিতা #বাংলাকবিতা

অবন্তিকাশাহেদ কায়েস অবন্তিকা নয়, নারী নির্যাতন-নিপীড়নে ঝুলে আছে বাংলাদেশ প্রাণোচ্ছল, প্রতিবাদী, আত্মহত্যা-প্রতিরোধে সোচ্...
18/03/2024

অবন্তিকা
শাহেদ কায়েস
অবন্তিকা নয়, নারী নির্যাতন-নিপীড়নে ঝুলে আছে বাংলাদেশ

প্রাণোচ্ছল, প্রতিবাদী, আত্মহত্যা-প্রতিরোধে সোচ্চার মেয়েটি
বেছে নিল আত্মহত্যার পথ… তাঁর সহপাঠী, তাঁর শিক্ষক
তাঁকে বাঁচতে দিল না; অবন্তীকা তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছে:
‘আমার ওপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো—
ভালোবাসে যে মানুষ, সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে!’
এটি আত্মহত্যা নয়, এটি একটি সম্মিলিত হত্যাকাণ্ড।
এটি সুইসাইড নয়, এটি একটি মার্ডার, টেকনিক্যালি মার্ডার
আমরা যারা আমাদের চারপাশে অন্যায়, অত্যাচার দেখে—
চোখ, মুখ বন্ধ রাখি— আমরা সবাই এই হত্যার জন্য দায়ী।
আহা! মেয়েটি বাঁচতে চেয়েছিল
ফেসবুক পোস্টে সে আরও লিখেছে—
‘আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না, কিন্তু আমাকে
বাঁচতে দিতেসে না, বিশ্বাস করেন, আমি ফাইটার মানুষ—
আমি বাঁচতে চাইছিলাম।’
আমাদের চারপাশে আরও আরও অবন্তিকা আছে—
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁরা যৌন ও
মানসিক নির্যাতন, শিক্ষকদের ইগো, পরীক্ষায় নম্বর-দুর্নীতি
এবং প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অভিমানে দীর্ঘ মেয়াদী ট্রমার—
মধ্যে চলে যাচ্ছে, কোথাও কোনো প্রতিকার না পেয়ে
পড়াশুনার প্রতি, জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
আমরা সেসব জানি, কথা বলি না… আমাদের নীরবতাই
জীবন শুরু হতে না হতেই আমাদের মেয়েগুলোর জীবন
মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে; আমরা শুধুই তাকিয়ে তাকিয়ে—
দেখছি… এমনই এক মনস্টার সমাজ, রাষ্ট্র আমরা নির্মাণ
করেছি— যেখানে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চিরস্থায়ী—
বন্দোবস্তে পরিণত হয়েছে; কে নাড়াবে এই অচলায়তন!
আমরা কেউই আর নিরাপদ নই এই হেমলক-জনপদে…
ঘরে-ঘরে এভাবেই আমাদের বোনেরা অবন্তিকা হবে
আমাদের সমস্ত অস্তিত্ব নাড়িয়ে দিয়ে কেঁদে উঠবে—
‘দাদা, আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম।’
আপনার, আমার গালে প্রতিনিয়ত আত্মগ্লানির এই—
চড়-থাপ্পড়ের শব্দ কী আমরা শুনতে পাচ্ছি?
অবন্তিকা তো চলেই গেল। এরপর কে!

বৈভব প্রি-অর্ডারবৈভব থেকে প্রকাশিত আমার অনুবাদে ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি মাহমুদ দারবিশ-এর কবিতার বই 'মুক্তিকামী মানুষের কবি...
27/01/2024

বৈভব প্রি-অর্ডার

বৈভব থেকে প্রকাশিত আমার অনুবাদে ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি মাহমুদ দারবিশ-এর কবিতার বই 'মুক্তিকামী মানুষের কবিতা' এর প্রি-অর্ডার শুরু হয়েছে।

* প্রি-অর্ডার মূল্য ১৯০ টাকা

* প্রি-অর্ডার চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

* প্রি-অর্ডার করতে ১৯০ টাকা বিকাশ সেন্ডমানি করুন 01712093677 নম্বরে।

* বিকাশ কনফার্ম করে কুরিয়ার এড্রেস দিন শুধুমাত্র বৈভব পেইজে অথবা হোয়াটসঅ্যাপ করে (01712093677)



বই: মুক্তিকামী মানুষের কবিতা
কবি: মাহমুদ দারবিশ
ভাষান্তর: শাহেদ কায়েস
ধরন: কবিতা
কভার: হার্ড কভার
কাগজ: ১০০ গ্রাম অফসেট
প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত
সাইজ: ৬" × ৯"
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৫৬
প্রকাশক: বৈভব
প্রকাশকাল: জানুয়ারি, ২০২৪
মূল্য: ২৫০ টাকা
ISBN: 978-984-98446-0-0

17/12/2023

স্বাধীনতা
শাহেদ কায়েস

বিজয় আসে, বিজয় যায়—
বায়ান্ন বছর পেরিয়ে যায় দিবসের আনুষ্ঠানিকতায়
সাধারণ মানুষের মুক্তির পাখিটি দূরে—
কোন আকাশে ওড়ে!

মুখ বন্ধ, চোখ তো এখনো বাঁধা—
বুটের লাথির পরিবর্তে প্রতিনিয়ত বৈষম্যের লাথি

কথা তো কতো কিছুই ছিল—
কথা ছিল দারিদ্রতা যাবে জাদুঘরে
‘আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খামারে’।

এখনো সেই ‘অনাথ কিশোরী শূন্য থালা হাতে—
বসে আছে পথের ধারে।’
এখনো এই তীব্র শীতে মানুষ ঘুমায় প্ল্যাটফর্মে
এখনো হরিয়ে যাচ্ছে ‘নরোম নোলক পরা বোন’।
অন্যদিকে আমাদের শ্রমে-ঘামে ভেজা অর্থে—
দেশে-দেশে গড়ে উঠছে বেগম পাড়া

যোহরারা প্রতিনিয়ত এখনো হয় নির্মম শিকার
‘লম্পটেরা সঙ্গীনের সুতীব্র চুম্বন গেঁথে যায় দেহে’
হাসানের ‘মুখস্থ মানুষ’ এখনো দাবড়ে বেড়ায়।
স্বাধীনতা, তোমাকে তো আর কোথাও দেখিনা!

https://www.youtube.com/watch?v=RsEFjSpGdzY
14/05/2023

https://www.youtube.com/watch?v=RsEFjSpGdzY

অতঃপর শব্দায়ন-এর আয়োজন “শব্দায়ন সমীপেষু” সাহিত্যের সাথে পনেরো মিনিট, প্রতিদিন। আজকের অতিথি: শাহেদ কায়েস, কবি, সাম....

30/04/2023

বায়োস্কোপ

23/04/2023

ফিরে আসছে জায়মান অতীত, চৈত্রের খরতাপে―বাতাসে ঝুলছে সেঁজুতি দি’র ফাটা পায়ের নৈঃশব্দ্যজন্মের বিস্মৃতি নিয়ে আমরা .....

একুশে বইমেলায় ‘স্বনির্বাচিত কবিতা’ পাওয়া যাচ্ছে ভাষাচিত্রের প্যাভিলিয়নে (প্যাভিলিয়ন নম্বর ৩২)বাংলাদেশে প্রকাশক: ভাষাচিত্...
26/02/2023

একুশে বইমেলায় ‘স্বনির্বাচিত কবিতা’ পাওয়া যাচ্ছে ভাষাচিত্রের প্যাভিলিয়নে (প্যাভিলিয়ন নম্বর ৩২)

বাংলাদেশে প্রকাশক: ভাষাচিত্র
প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত

ঘরে বসে বইটি সংগ্রহ করতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করে অনলাইনে অর্ডার করুন
https://www.rokomari.com/book/286695/swanirbachito-kobita

(বইটি প্রকাশিত হয়েছে একই সঙ্গে তিনটি প্রকাশনী থেকে― ভারতের আগরতলা থেকে 'নীহারিকা', কলকাতা থেকে 'কবিতা আশ্রম' এবং ঢাকা থেকে 'ভাষাচিত্র' বইটি প্রকাশ করেছে।)

একুশে বইমেলা ২০২৩-এ প্রকাশিত হয়েছে আমার দু’টি কবিতার বই। চৈতন্য প্রকাশনী থেকে আসছে ‘নৈরাজ্যবাদী হাওয়া’, এবং ভাষা...

16/02/2023

মেলার মাঠে মুখোমুখি

'দেশ রূপান্তর'-এর আয়োজনে "মেলার নির্বাচিত বই নিয়ে লেখকের সাথে অন্তরঙ্গ আলাপ" অনুষ্ঠানে বই, বইমেলা ও লেখালেখি নিয়ে কবি শিমুল সালাহ্উদ্দিন-এর সঙ্গে আড্ডা...

12/09/2022

আজ রাতে, প্রশান্তিবাড়িতে...

আহা নদী! বেশ লাগলো 'নদীবুড়ো'
23/07/2022

আহা নদী! বেশ লাগলো 'নদীবুড়ো'

একটি নদী মরছে। তার পাড়ে বসে থাকেন বিষণ্ণ এক বুড়ো মাঝি। নদী ছোট হয়ে যাওয়ায় জল আর আগের নদীতীরে পৌঁছয় না এখন। স.....

মায়াদ্বীপে বালুদস্যুদের তান্ডব: বন্ধের মুখে জেলেশিশু পাঠশালা"দৃকনিউজ প্রতিবেদন:মেঘনার বুকে জেগে থাকা চর মায়াদ্বীপে, বালু...
12/05/2022

মায়াদ্বীপে বালুদস্যুদের তান্ডব: বন্ধের মুখে জেলেশিশু পাঠশালা

"দৃকনিউজ প্রতিবেদন:

মেঘনার বুকে জেগে থাকা চর মায়াদ্বীপে, বালু সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য চলছে প্রায় ১ যুগ ধরে। যথেচ্ছভাবে বালু তোলার কারণে নদীর গতিপথ বদলে যাচ্ছে, বাড়ছে নদী ভাঙ্গন। একইসাথে কৃষিজমি ধ্বংস, মাছের প্রজননক্ষেত্র বিনষ্ট এবং নৌ দুর্ঘটনা বৃদ্ধিসহ দেখা দিয়েছে নানা সংকট। অবৈধ এই তৎপরতার বিরুদ্ধে স্থানীয় কৃষক ও জেলেরা প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে প্রভাবশালী বালুদস্যুরা। সবশেষ 'মায়াদ্বীপ জেলেশিশু পাঠশালা'র প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারের ওপর নির্মম হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। সবমিলিয়ে মায়াদ্বীপের জনজীবন আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে।

মেঘনা নদীতে দেড়শত বছরের পুরনো চর ‘নুনেরটেক’ ঘেষে প্রায় ৫৫ বছর আগে জেগে ওঠে নতুন আরেকটি চর। নতুন এই চরের তিনটি অংশ- সবুজবাগ, গুচ্ছগ্রাম ও রঘুনারচর। ভালোবেসে এই তিনটি অংশকে মিলিয়ে নাম ‘মায়াদ্বীপ’ রেখেছেন কবি শাহেদ কায়েস। বালু সন্ত্রাসীদের কবল থেকে দ্বীপটিকে বাঁচাতে ২০১০ সালের জুনে, শাহেদ কায়েসের গড়ে তোলেন 'মায়াদ্বীপ রক্ষা আন্দোলন'।"

বিস্তারিত পড়তে ও ভিডিও দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন:
https://driknews.com/%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%87%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%A6%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%20%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%9B%E0%A7%87%20%E0%A6%A8%E0%A6%BE?fbclid=IwAR1Ezy5Xl9WDru7vzcG1I6Ze6zCi3sfnrpulhzAId-ecC7UxnFki7pcSbzE

মেঘনার বুকে জেগে থাকা চর মায়াদ্বীপে, বালু সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য চলছে প্রায় ১ যুগ ধরে। যথেচ্ছভাবে বালু তোলার কার...

মায়াদ্বীপে বালুদস্যুদের তান্ডব: বন্ধের মুখে জেলেশিশু পাঠশালাhttps://www.youtube.com/watch?v=3C-J3EcAuSg
09/05/2022

মায়াদ্বীপে বালুদস্যুদের তান্ডব: বন্ধের মুখে জেলেশিশু পাঠশালা

https://www.youtube.com/watch?v=3C-J3EcAuSg

মেঘনার বুকে জেগে থাকা চর মায়াদ্বীপে, বালু সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য চলছে প্রায় ১ যুগ ধরে। অবৈধ এই তৎপরতার বিরুদ্ধে .....

05/02/2022

বালু সন্ত্রাসীদের তান্ডবে অনিশ্চয়তায় মায়াদ্বীপের জেলে শিশুদের পড়াশোনা

নারায়ণগঞ্জ টিভিঃ রাস্তায় জ্যাম না থাকলে নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে সোনারগাঁয়ের বৈদ্যের বাজার ঘাট প্রায় দেড় ঘন্টার পথ। সেখান থেকে প্রায় চল্লিশ মিনিট সময় পর ট্রলারে মেঘনা নদীর বুকের দূর্গম চরাঞ্চল মায়াদ্বীপ। কাগজে কলমে মায়াদ্বীপ সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের অংশ। তবে বাস্তবে এটি চারদিকে মেঘনা নদী ঘেরা নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত বিচ্ছিন্ন জনপদ। এ জনপদের উল্লেখযোগ্য মানুষ জেলে। জেলে শিশুদের শিক্ষিত করতে সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০০৭ সালে ‘মায়াদ্বীপ জেলেশিশু পাঠশালা’ নামের একটি স্কুল গড়ে তোলেন কবি শাহেদ কায়েস। কিন্তু স্কুলটি বন্ধ করে দিতে স্থানীয় বালু সন্ত্রাসী চক্র দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছে। গত ২২ জানুয়ারী রাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার পাখি এবং তার দেড় বছর বয়েসি মেয়েসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে এলাকার বালু সন্ত্রাসীরা। নিরাপত্তাহীনতার কারনে এখনো নুনেরটেকে নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন এই শিক্ষিকার পরিবার।
হামলার পর আহত পাখির পরিবার চিকিৎসা নিতে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে চাইলে বাধা দেয় হামলাকারিরা। তারা মায়াদ্বীপের ট্রলারগুলিকে নিষেধ করে এই শিক্ষিকার পরিবারকে পরিবহন না করতে। পরে কবি শাহেদ কায়েসের সহায়তায় সোনারগাঁ সদর থেকে যাওয়া ট্রলারে তারা থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় আহতরা জানান, দশ-এগারো বছর আগে এই চক্রটি অবৈধভাবে বালু কেটে নুনেরটেককে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিলো। কবি শাহেদ কায়েসের নেতৃত্বে গ্রামবাসীর আন্দোলনের মুখে এবং তৎকালীন জেলা প্রশাসনের পদক্ষেপের ফলে বালু কাটা বন্ধ হয়। বর্তমানে এই চক্রটি এখন মাদক ব্যবসা ও হুন্ডির ব্যবসা করছে। নিজেদের অপকর্ম গোপন করতে, এবং তাদের অবৈধ ব্যবসা অবাধে চালিয়ে যেতে এ চক্রটি স্কুল বন্ধ করতে চাইছে বলে হামলার শিকার পাখিসহ আহতরা জানালেন।

কবি শাহেদ কায়েস এ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবী জানান।

এ ব্যাপারে কথা বলতে ওসমান মেম্বার, আবুল হাশেমদের খোঁজ করলে তারা গ্রামে নেই বলে জানায় তাদের আত্মীয়রা। আত্মীয়দের দাবী স্কুল নয় স্কুলের একটি মেয়েকে ইভ টিজিং করা নিয়ে বিরোধের জের ধরে শিক্ষিকার পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পরপর স্থানীয় ইউএনও, এসি ল্যান্ড, থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা আহতদের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পান। তবে ইউএনও বা থানা পুলিশের কেউ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। এই ঘটনায় শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার পাখি'র ভাই মো. শরীফ বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ এর মধ্যেই একজন হামলাকারিকে গ্রেফতার ও মামলার চার্জশীট আদালতে দাখিল করেছে। #

শরীফ উদ্দিন সবুজ, নারায়ণগঞ্জ। ৪-২-২০২২

07/11/2021

হানিফ সংকেতের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে কবি ও সমাজকর্মী শাহেদ কায়েসকে নিয়ে প্রতিবেদন। শাহেদ কায়েস-এর কর্মযজ্ঞ আমাদের উৎসাহিত করে। উৎসাহিত করবে বর্তমান প্রজন্মকেও।

23/09/2021

'সহজ মানুষ' অনুষ্ঠানটি গতকাল যারা দেখতে পারেননি তাঁদের জন্য
সহজ মানুষ, পর্ব ৪৯১। আকণ্ঠ কবিতা গানের নিবিড় প্রহর : কবি শাহেদ কায়েস, শিল্পী সাগরময় ভট্টাচার্য্য।

https://www.facebook.com/rabibaulshahojmanush/videos/604656047608878

ভারত ভ্রমণ, প্রথম পর্ব/ শাহেদ কায়েস কন্যা কুমারীর দেশে ১শুধুই ভারতবর্ষ না, ভারতীয় উপমহাদেশের দক্ষিণের দিকে একেবারে শেষ প...
07/09/2021

ভারত ভ্রমণ, প্রথম পর্ব/ শাহেদ কায়েস

কন্যা কুমারীর দেশে ১

শুধুই ভারতবর্ষ না, ভারতীয় উপমহাদেশের দক্ষিণের দিকে একেবারে শেষ প্রান্ত কন্যা কুমারী। এর পরে আর স্থল নেই, অথৈ জলরাশি। কন্যা কুমারীর দক্ষিণে সাগর তীরে দাঁড়িয়ে নাক-বরাবর তাকালে ভারত মহাসাগর, পূর্বদিকে বাংলাদেশ ছুঁয়ে আসা বঙ্গোপসাগর আর পশ্চিমে আরব সাগর। নয়ের দশকের মাঝামাঝি যখন আমি দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাজে (চেন্নাই) পড়তে গিয়েছিলাম, তখন একবার গিয়েছিলাম কন্যাকুমারী। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ভোরে বঙ্গোপসাগরে দেখেছিলাম সূর্যোদয়, আর সেই একই স্থানে দাঁড়িয়ে পশ্চিমের আরব সাগরে দেখেছিলাম সূর্যাস্ত।

কন্যাকুমারী পৃথিবীর একমাত্র স্থান যেখানে সাগর আর মহাসাগরের মিলন স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুই-ই দেখা যায়।

এখানে আছে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল, যেখানে স্বামী বিবেকানন্দ শিকাগোতে বিশ্ব-সভায় যোগ দেয়ার আগে সমগ্র ভারত ভ্রমণ করে কন্যা কুমারীতে এসে সাগরের মধ্যে অবস্থিত একটি বিশাল শিলা খণ্ডে বসে ধ্যান করেছিলেন। সেই থেকে এই শিলার নাম বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল।

কন্যাকুমারী নামটি এসেছে দেবী কন্যাকুমারীর (যাঁর স্থানীয় তামিল নাম কুমারী আম্মান) নামানুসারে। এখানে একটি মন্দির আছে, নাম কন্যাকুমারী। মন্দিরটি ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কন্যাকুমারী জেলায় পড়েছে। ইংরেজিতে এই শহরকে Cape Comorin বা কুমারী অন্তরীপ বলা হয়। আমাদের বাংলাদেশে চিকিৎসার জন্য অধিক পরিচিত 'ভ্যালোর সিএমসি' এবং 'এপোলো হাসপাতাল' এই রাজ্যে অবস্থিত। এর রাজধানী মাদ্রাজ, এখন নাম পরিবর্তন হয়ে চেন্নাই।

আনুমানিক ৩০০০ বছরের কুমারী আম্মানকে পুজো করে আসছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তরা। সমুদ্র সৈকতের কিনারায় পাথর দিয়ে তৈরি মন্দিরে দেবী কন্যাকুমারীকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মন্দিরের মূল দরোজাটি উত্তর দিকে। এই দরোজাটি বিশেষ কয়েকটি দিন ছাড়া প্রতিদিনই খোলা থাকে। এই মন্দিরে পূজো দেওয়ার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সাধারণত, দক্ষিণ ভারতের সমস্ত মন্দিরেই প্রবেশ কালে পুরুষদের গায়ের জামা খুলতে হয়। তারপরেই মন্দিরের অন্দরমহলে প্রবেশ করা যায়। কন্যাকুমারীতেও একই নিয়ম। এখানে পূজা দেওয়ার আগে নারী-পুরুষ উভয়কেই মন্ত্র পড়ে সমুদ্রে স্নান করে, ভিজে কাপড়েই প্রবেশ করতে হয়।

এখানে একটি লোকবিশ্বাস আছে। হিন্দুধর্ম মতে দেবী কুমারী হলেন পার্বতীর আরেক রূপ, যাঁর রূপে মোহিত হয়ে মহাদেব তাঁকে বিয়ে করতে চান। বিয়ের দিনই দেখা পাওয়া যায় না শিবের। কুমারী দেবীর বিয়ের দিন যা যা রান্না করা হয়েছিল তা সব ফেলে দেওয়া হয়। ভক্তরা মনে করেন, সেই সব রান্না না করা চাল, শস্য ফেলে দেওয়ায় সমুদ্রতট তৈরি হয়েছে।

এই রাজ্যের ভাষা তামিল। ভারতের সমস্ত ভাষার উৎস হচ্ছে সংস্কৃত, ব্যতিক্রম শুধু তামিল ভাষা। তামিল হচ্ছে দ্রাবিড় ভাষা। ভারতের অন্যান্য অংশে আর্য সংস্কৃতির প্রভাব বেশি হলেও তামিলনাড়ুতে দ্রাবিড় সংস্কৃতির প্রভাব বেশি। পড়াশুনার সুবাদে আমি এই রাজ্যে ৫ বছর ছিলাম। বাংলা, ইংরেজির পরেই তামিল ভাষায় আমার দখল আছে। আমার এই সামান্য লেখাটি পড়ার জন্য আপনাদের রম্ভা নানরি।

* রম্ভা নানরি (তামিল ভাষা, বাংলা অর্থ অশেষ ধন্যবাদ)।
~

গলি-চাঁদনী-ওয়ালি

সে সময় আমার ফেরারী জীবন। সোনারগাঁয়ে “মায়াদ্বীপ রক্ষা আন্দোলন” করতে গিয়ে আমি তখন আমার বিরুদ্ধে প্রভাবশালী মহলের করা অনেকগুলো মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার শিকার। পরিস্থিতি যখন চরম পর্যায়ে, তখন কিছু সময়ের জন্য আমি দেশের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। ২০১৪’র ফেব্রুয়ারিতে দেশ ছেড়েছিলাম, হংকং-এ ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনে’ এক বছরের একটা ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম নিয়ে। চীনের হংকং এক বছর কাটিয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে তিন সপ্তাহ থেকে ২০১৫ সালের ২২ মার্চ ভারতের দিল্লী এলাম একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে। এটা ছিল The World Movement for Democracy (WMD) আয়োজিত “International Conference on Strengthening Democracy in Asia” বিষয়ের উপর দুইদিনব্যাপী একটি বৈশ্বিক সভা। এই সম্মেলনের একটা সেশনে আমি প্যানালিস্ট ছিলাম। বাংলাদেশ থেকে আরও অনেকেই যোগ দিয়েছিলেন।

তেইশ গেলো, চব্বিশ গেলো— টানা দুই দিন কনফারেন্সের চিড়ে-চ্যাপ্টা সময়তালিকা। মার্চের পঁচিশে সবাই যার যার, তার তার। প্রায় সবাই ধরল ঘর-ফেরা উড়ন-পথ, আমি ধরলাম যাযাবর ধুলো-পথ। কথা ছিল কনফারেন্সের আয়োজকদের ললিত হোটেল ছেড়ে উঠবো লোধি রোডের ‘ইন্টিগ্রেটেড সোশ্যাল ইনিশিয়েটিভ'-এর গেস্ট হাউসে। গিয়ে দেখি সব রুম ফুল, আগে থেকে আমার রিজার্ভেশন ছিল না। সিদ্ধান্ত হলো আজ অন্য কোথাও কাটিয়ে কাল চলে আসবো এখানে। এই জায়গাটা অনেক ছিমছাম, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এখান থেকে 'দিল্লী লোক-কলা মঞ্চ' ৫ মিনিটের আর 'ইন্ডিয়া হেবিটেট সেন্টার' ১০ মিনিটের হাঁটা পথ। চার বছর আগে ২০১১ সালের নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত শিক্ষা বিষয়ক একটি বিশ্ব-সভা, '5th International Entertainment Education Conference (EE), 2011-তে যোগ দিতে এসেছিলাম দিল্লীতে। কনফারেন্স শেষে দিল্লী বেড়ানোর জন্য এই গেস্ট হাউসে ছিলাম সাত দিন। সেই থেকে দিল্লীর এই গেস্ট হাউসের প্রতি আমার দুর্বলতা ছিল।

ট্যাক্সি ধরে চলে এলাম পাহাড় গঞ্জের বসন্ত রোডের একটা গেস্ট হাউস ‘নর্দার্ন প্যালেস’-এ। লাগেজ রেখে বেরিয়ে পড়লাম। হাঁটতে আমার ভালো লাগে, সুযোগ পেলেই হাঁটি… হেঁটে হেঁটে আমি কবিতা লিখি, হেঁটে হেঁটে নব-মুকুলিত নানান ভাবনা মাথায় আসে, কোনটা বা ডালপালা মেলে, কোনটা আবার বাতিল হয়, হেঁটে হেঁটে মানুষ দেখি, মানুষের মুখের দিকে তাকাই, অভিব্যক্তি লক্ষ্য করি।

নিউ দিল্লীর লোধি রোডের ওই অংশটা অনেক অভিজাত, কিন্তু পাহাড়গঞ্জের মেইন বাজারের এই অংশটা অনেকটাই এলেবেলে, আতরাফ-ঘরানার। এই যাচ্ছে যান্ত্রিক, তার পাশেই অযান্ত্রিক, সাই-সাই ছুটে যাচ্ছে বদ-মাজাজি হর্ন বাজিয়ে মটর-যান, তারপাশেই রিক্সার ক্রি-ক্রিং, হটো হটো… ময়লা, হইচই, কাপড়ের হকার, সান গ্লাসের হকার, হোটেল-গেস্ট হাউজের দালাল, হরেক ধরনের হ্যালো-পার্টি— ‘হ্যালো হ্যালো সানগ্লাস চাহিয়ে, চিপ রেট স্যার…’ ‘সস্তা মে হোটেল মিলেগি, চাহিয়ে চাহিয়ে…’ ‘রুটি-চাওয়াল খায়েঙ্গে? হ্যালো হ্যালো… ’ রাস্তায় সারাক্ষণ কিছু মানুষ এমনিভাবেই পর্যটকদের ডাকাডাকি করতে থাকে, এটাই ওদের জীবিকা। দুনিয়াতে কত ভাবেই না মানুষ বেঁচে থাকে!

দিল্লীর রাস্তায় পর্যটকের অভাব নাই— চাইনিজ, জাপানিজ, ফ্রেন্স, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ইউরোপের অন্যান্য দেশের, মার্কিন মুল্লুকের… চারদিকে শত শত হোটেল, গেস্ট হাউজ, বার, খাবারের দোকান, রেস্তোরাঁ। হাঁটতে হাঁটতে গলি-চাঁদনী-ওয়ালিতে চোখ গেলো একটা গেস্ট হাউজে, নামটা দারুণ, 'প্রেম'!

কত শত বছর আগে এই গলিতে কেউ একজন চাঁদনীর বেসাতি করতো, সেই থেকে গলি-চাঁদনী-ওয়ালি… ‘নর্দার্ন প্যালেস’ ছেড়ে উঠে এলাম গলি-চাঁদনী-ওয়ালির ‘প্রেম ডিলাক্স গেস্ট হাউসে’, এর মধ্যে দুই-একজন পর্যটকের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেলো হাঁটতে-হাঁটতে, ফাস্ট ফুডের দোকানে খেতে খেতে। একদিনেই এখানে মন বসে গেলো, ভালো লাগছে এখানকার প্রাণ-চাঞ্চল্য, মানুষের সচল স্রোত, শ্রমের সৌন্দর্য। সিদ্ধান্ত নিলাম লোধি রোডের গেস্ট হাউজে যাব না এবার, দিল্লীতে যে কয়দিন আছি, এখানেই কাটিয়ে দেবো।

দিনের দিল্লীর এক রূপ, রাতের দিল্লীর আর… রাত যত গভীর হয়, বারগুলো জেগে ওঠে— গুরু বার, জেম বার, গোল্ড বার, চিয়ার্স বার… অভাব নাই, নেপালের কাঠমান্ডুর থামেলের কথা মনে পড়ে যায়। মধ্য রাতের বার-মিউজিকের সুরে ভাসতে থাকে তখন পাহাড়গঞ্জ, মেইন বাজার, গলি-চাঁদনী-ওয়ালি…
~

'এশিয়ান ইয়ুথ নেট-ওয়ার্ক’

দু’দিন বাদে কবি ও নবীন প্ল্যান্ট সায়েন্টিস্ট বন্ধু রমা ভারতী'র সঙ্গে আড্ডা হয় ইন্ডিয়া হেবিটেট সেন্টারে। এখানকার স্থাপত্য চোখে দেখার মতো, দারুণ প্রকৃতি ছোঁয়া পরিবেশ, এক্সপেরিমেন্টাল আর্ট গ্যালারিতে চলছিল শিল্পী সঞ্জয় দেওয়ানের মাল্টি মিডিয়া আর্ট-ওয়ার্কস 'ART VIVID'। সঞ্জয়ের আর্ট ওয়ার্কস দেখলাম, চমৎকার কাজ।

এরপরে নিজেদের কাজবাজ নিয়ে খুব ফলপ্রসূ আড্ডা হলো ঘণ্টা তিনেক— কখনো এম্পি-থিয়েটারের সবুজ লনে, কখনো ইউটোপিয়া ক্যাফেটেরিয়ায়... রমা দিল্লীর মেয়ে, তার একটি সংগঠন আছে বিহারের মধুবন জেলায়। ওরা কাজ করে মধুবনী আর্টিস্টদের নিয়ে। 'এশিয়ান ইয়ুথ নেট-ওয়ার্ক'-এর বিষয়ে কথা হলো।

সিদ্ধান্ত নিলাম 'এশিয়ান ইয়ুথ নেট-ওয়ার্ক' নিয়ে কাজে নামবো, তবে প্রাথমিক ভাবনার কিছু রদ-বদল হয়েছে। সিদ্ধান্ত হলো পাশ্চাত্যের কোন সংগঠন থেকে কোন সহযোগিতা নেব না। নিজেরাই গড়ে তুলবো নেটওয়ার্ক, এতে করে স্বাধীনভাবে কাজ করা যাবে।

রমার সঙ্গে কথা হলো দিল্লীর জীবন-যাপন, ভারতে নতুন কেন্দ্রীয় সরকার, দিল্লীর আম আদমি পার্টির রাজ্য সরকার, কবিতা, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে।

(পরের পর্ব: আগামীকাল)

* কন্যাকুমারীর ছবিটা নেট থেকে নেওয়া।

এই লেখাগুলো সেই সময় বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে লিখেছিলাম। লেখাগুলো একত্রিত করছি, কিছুটা পরিমার্জন করছি, সিদ্ধান্ত নিয়েছি কিছু কিছু লেখা আবার পোস্ট দেবো, কোনো প্রকাশক আগ্রহী হলে আগামী বই মেলায় আমার ভারত-দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান ভ্রমণের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা বই প্রকাশ করার ইচ্ছে আছে।— লেখক]

লেখক পরিচিতি:

শাহেদ কায়েস মূলত কবি। জন্ম ঢাকায়, ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭০। পৈতৃক নিবাস সোনারগাঁয়ের ললাটি গ্রামে, এখন বাস করেন খাসনগর দীঘিরপাড় গ্রামে। পড়াশুনা কম্পিউটার বিজ্ঞানে, দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই, এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংজু শহরে, চোন্নাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ‘হিউম্যান রাইটস’ বিষয়ে মাস্টার্স। এখন পুরোপুরি সামাজিক প্রকৌশলী, কাজ করেন মানুষের অধিকার নিয়ে। কবিতায় হাতেখড়ি নব্বই দশকের শুরুতে। শখ ভ্রমণ, সুযোগ পেলেই ঘুরে বেড়ান দেশ-বিদেশ।
~
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ:

বাঁক ফেরার অভিজ্ঞতা (দোয়েল প্রকাশনী, ১৯৯৯)
চুড়ায় হারানো কণ্ঠ (মঙ্গলসন্ধ্যা, ২০০৩)
মায়াদ্বীপ (ঐতিহ্য, ২০১৫)
মঙ্গলসন্ধ্যা প্রেমের কবিতা (সম্পাদিত, ধ্রুবপদ, ২০১৭)
কৃষক ও কবির সেমিনার (অভিযান, একুশে বইমেলা, ২০২০)
শাহেদ কায়েস-এর নির্বাচিত কবিতা (ঐতিহ্য, একুশে বইমেলা, ২০২০)

অন্যান্য গ্রন্থ:

এশিয়ার বারটি দেশের মানবাধিকার বিষয়ে (মে এইটিন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, দক্ষিণ কোরিয়া, ২০১৫)
বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম স্মরণগ্রন্থ (ঐতিহ্য, একুশে বইমেলা, ২০২০)

১৫ আগস্ট উপলক্ষে মায়াদ্বীপে পাঁচশতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ সোনারগাঁয়ের মায়াদ্বীপে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্...
25/08/2021

১৫ আগস্ট উপলক্ষে মায়াদ্বীপে পাঁচশতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ

সোনারগাঁয়ের মায়াদ্বীপে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব-এর আয়োজনে স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশন-এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পাঁচশতাধিক অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ২০ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় অবস্থিত মেঘনা নদী বেষ্টিত, সুবিধাবঞ্চিত চরাঞ্চল নুনেরটেক সংলগ্ন মায়াদ্বীপে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে সুবর্ণগ্রাম-এর ‘মায়াদ্বীপ শিশু পাঠশালা’র একশোর উপরে শিশু, তাদের অভিভাবক এবং স্থানীয় নিম্নবিত্ত পাঁচশতাধিক মানুষের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব লিমিটেড-এর সভাপতি ও আইইবি’র ঢাকা কেন্দ্রের অনারারি সেক্রেটারি প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাসার বলেন, আমরা আমাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব’-এর পক্ষ থকে দেশজুড়ে সারা বছরই কিছু সামাজিক ও মানবিক কাজ করে থাকি। এবার আমরা মায়াদ্বীপে এই মানবিক আয়োজনটি করতে পেরে আনন্দিত। আমি ক্লাবের এই আয়োজনটি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সমস্ত সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই, এবং পাশাপাশি সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশন-এর সার্বিক সহযোগিতার জন্য অভিনন্দন জানাই।

সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবি শাহেদ কায়েস জানান, চারদিকে মেঘনা নদীঘেরা মায়াদ্বীপ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের একটি বসতি, এখানকার অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর এবং মৎস্যজীবী। আমরা সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশন-এর পক্ষ থেকে ২০০৭ সাল থেকে এই চরের আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অধিকার ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছি। আজকের আয়োজনে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব লিমিটেড যেভাবে মায়াদ্বীপের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, এর জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

অনুষ্ঠানে সিসিমপুরের নির্বাহী পরিচালক ও শিশুসাহিত্যিক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব লিমিটেড-এর সভাপতি ছাড়াও সংগঠনের পরিচালক প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন মিঠু, পরিচালক প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম, প্রকৌশলী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এজেডএম শফিউল হান্নান মিলন, প্রকৌশলী ও কবি মনিরুজ্জামান মিন্টু, উদীচী সোনারগাঁ শাখার সভাপতি শংকর প্রকাশ, সোনালী ব্যাংক সোনারগাঁ শাখার ব্যবস্থাপক মতিউর রহমান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোকাররম মামুন, বাসদ সোনারগাঁও শাখার সমন্বয়ক বেলায়েত হোসেন এবং সুবর্ণগ্রাম-এর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

16/08/2021

সেবারের স্মৃতি২০১০ সালের কথা। ‘চিম্বুকের পথে’ এগিয়ে চলছে যান পাহাড়ি চড়াই-উতরাই পেরিয়ে। সহযাত্রী সবাই পাহাড়ি মা.....

“সন্ধ্যায় বৃক্ষেরা চুপিচুপি—                     কথা বলে নিজেদের মাঝে ঘুম ও জাগরণের সীমান্তে তোমাকে দেখি... “
08/08/2021

“সন্ধ্যায় বৃক্ষেরা চুপিচুপি—
কথা বলে নিজেদের মাঝে
ঘুম ও জাগরণের সীমান্তে তোমাকে দেখি... “

FacebookTweetPin ছিন্ন হলেই মুক্তি শীতল পাটির নিকটেই আলোপাতা জন্মের স্মৃতি নিয়ে উড়ে আসে পালক ফিরে ফিরে আসে অ-তর্কিত দৃশ্য— ন...

বৃষ্টির সঙ্গে চ্যাট — অপারবাংলা
29/07/2021

বৃষ্টির সঙ্গে চ্যাট — অপারবাংলা

বৃষ্টির সঙ্গে চ্যাট শাহেদ কায়েস হাই বৃষ্টি; — হাই ওয়ান্না চ্যাট মি? — ওকে কোথায় থাকো? — মেঘের দেশে কি কর? — নূপুর বাজা...

25/07/2021

সহজিয়া প্রেমের পদ্য   ৬ নকশিকাঁথার চিত্রটি তোমার শরীরে দেখে কথাহীন ধূলি হয়ে তাকিয়েছিলাম একদিন সবুজ শরীর জুড়ে ছি....

22/07/2021
আজ, ১০ মে ২০২১, সকাল এগারোটায় ঈদ উপলক্ষে সামাজিক সংগঠন সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে সোনারগাঁয়ের চারদিকে মেঘনা নদী বে...
10/05/2021

আজ, ১০ মে ২০২১, সকাল এগারোটায় ঈদ উপলক্ষে সামাজিক সংগঠন সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে সোনারগাঁয়ের চারদিকে মেঘনা নদী বেষ্টিত বিচ্ছিন্ন চর 'মায়াদ্বীপ'-এ সুবিধা বঞ্চিত জেলে সম্প্রদায় এবং ভাটি বন্দরের বেদে সম্প্রদায়ের ১৭৫টি স্বল্প আয়ের পরিবারের মাঝে শেমাই, চিনি ও প্যাকেট দুধ বিতরণ করা হয়েছে।

বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা কবি শাহেদ কায়েস, প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ব্যাংকার ও লেখক মো. মতিউর রহমান, উদীচী সোনারগাঁ শাখার সভাপতি লেখক শংকর প্রকাশ, ব্যাংকার ও লেখক মোয়াজ্জেনুল হক, স্থানীয় সাবেক মেম্বার মো. জিলানি, সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশন-এর সদস্য রাবেয়া বুশরা বাঁধন, নাভিয়া লতিফ লামী প্রমুখ।

01/05/2021

২ মিনিট সময় থাকলে শুনতে পারেন.............................................

মাত্র ২মিনিট ৩২ সেকেন্ডে, তিনি— দার্শনিক সরদার ফজলুল করিম—জীবন সংক্রান্ত মর্মসত্যটি বলেছিলেন, যা আমার মর্মমূলে বল্লমের মতো গেঁথে আছে। বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাই ২ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের এই ক্লিপিংটিতে। ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল ২০০৭ সালে। ডকুফিচারটি করেছিলেন কবি, কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী

23/04/2021

গভীরে খুরের আওয়াজ, হ্রেষাধ্বনি, তারপর শুধু গতি আর গতি... দিগভ্রান্ত পথ, পায়ে পায়ে হাওয়ার রাজ্য যেভাবে একটি জীবন নিভৃ...

18/04/2021

আলোর মুখ দেখুক স্বপ্ন...

18/04/2021

স্বপ্ন আলোর মুখ দেখুক...

16/04/2021

গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনা, বন্ধুরা শুনতে পারেন

Address

Sonargaon
1440

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মায়াদ্বীপ Mayadip posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মায়াদ্বীপ Mayadip:

Share

'মায়াদ্বীপ' নামকরণ যেভাবে হল

"(সোনারগাঁও দর্পণ)— মায়াদ্বীপ নামকরণ যেভাবে

নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলের নাম মায়াদ্বীপ হওয়ার পিছনে রয়েছে নানা ঘাত-প্রতিঘাত, একজন প্রকৃতিপ্রেমী কবি শাহেদ কায়েসের ছুটে চলা ও দুরন্তপনার ন্যায় জীবনের ঝুঁকি নেয়া।

নুনেরটেক গ্রাম ঘেষে মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা নতুন চরে ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকার ‘গুচ্ছগ্রাম’ প্রজেক্ট করেছিল। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে ওই প্রজেক্ট বাতিল করে দেয়া হয়। নতুন জাগা ওই চরের তিনটি অংশ— গুচ্ছগ্রাম, সবুজবাগ ও রঘুনারচরকে একত্রে ২০০৭ সালে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কবি শাহেদ কায়েস মায়াদ্বীপ বলে প্রথম ঘোষণা দেন।

মূলত ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে শাহেদ কায়েস ওই চরে বেড়াতে যান। মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে তিনি বাড়ি ফিরে এসে সেই রাতেই ওই দ্বীপকে নিয়ে ‘মায়াদ্বীপ’ নামে একটি কবিতা লিখেন।